নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠেলার নাম বাবাজী !!! সুইডেন আর কখনও পবিত্র কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেবে বলে মনে হয় না

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:০৪


গত ২৮ জুন, ২০২৩ তারিখে সুইডেনের স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে ঈদের নামাজের পরে এক ইরাকী বংশদ্ভুত সুইডিশ নাগরিক পবিত্র কোরআনের উপরে শুকরের মাংসে তৈরি খাবার রাখে, কোরআনকে লাত্থি দিতে থাকে এবং অবশেষে কোরআনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনার আগে সুইডেনের আদালত কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেয়। এর আগেও একাধিক বার সুইডেনে নির্বিঘ্নে কোরআন পোড়ানো হয়েছে। কারণ সুইডেনে কোরআন পোড়ানো কোন অবৈধ কাজ না। কোরআন পোড়ানোর পরে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে কাজটা আইনগতভাবে বৈধ হলেও অনুচিত ছিল। কথাটার ব্যাখ্যা করলে দাড়ায় যে সুইডেনের আইন এই কাজকে বাধা দিতে পাড়ছে না সুইডেনের বাক স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনের কারণে। ভবিষ্যতেও অনুমতি দেয়া হতে পারে।

এই ঘটনার পর থেকেই প্রচণ্ড প্রতিবাদ হতে থাকে সারা বিশ্বে। অ্যামেরিকা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সহ অমুসলিম দেশগুলিও এই ঘটনার নিন্দা জানাতে থাকে। সম্প্রতি ক্যাথোলিকদের নেতা পোপ পর্যন্ত এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। ৫৭ টি মুসলিম দেশের সংগঠন ও আই সি জরুরী সভা ডেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং ভবিষ্যতে যেন এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেটা নিশ্চিত করার জন্য সকল মুসলিম সদস্য দেশকে একতাবদ্ধ হতে বলে।

মুসলিম দেশগুলির মধ্যে তুরস্ক সবচেয়ে বেশী কঠোরভাবে প্রতিবাদ করেছে। ন্যাটোতে সুইডেনের যোগদানের ব্যাপারে তুরস্ক আবারও ভেটো দিবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে প্রেসিডেন্ট এরদোগান। মরক্কো তার রাষ্ট্রদূতকে সুইডেন থেকে চলে আসতে বলেছে এবং মরক্কোর সুইডিশ দূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান সহ বেশ কয়েকটি দেশ সুইডিশ দূতকে ডেকে পাঠিয়েছে।

ইরাকে প্রচণ্ড বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, আরব লীগ, মিশর, কুয়েত ,ইয়েমেন, সিরিয়া, প্যালেস্টাইন, লেবানন এবং কাতার সহ আরও কয়েকটি দেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং ঢাকাস্থ সুইডিশ চার্জ ডি এফেয়ারকে ডেকে পাঠিয়েছে।

সুইডেন সরকার প্রথম দিকে দায়সারা ভাবে ঘটনাটাকে সঠিক ছিল না বললেও আনুষ্ঠানিক নিন্দা তারা জানায় নি। অবশেষে ৪/৫ দিন পরে ৩ জুলাই তারিখে সুইডেন অবশেষে এই ঘটনার নিন্দা জানায়। এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে ইসলামবিদ্বেষ বা মুসলিম-বিরোধী মনোভাব বলেও অভিহিত করেছে তারা। সুইডেনের সরকার স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর নিন্দা করেছে এবং এটিকে ‘ইসলামোফোবিক’ বা ইসলামবিদ্বেষ মূলক কাজ বলে অভিহিত করেছে। সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সুইডেনের সরকার পুরোপুরি বোঝে যে, সুইডেনে বিক্ষোভের নামে কিছু ব্যক্তির সংঘটিত ইসলামফোবিক কর্মকাণ্ড মুসলমানদের জন্য আক্রমণাত্মক হতে পারে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করি এবং এসব কাজ কোনোভাবেই সুইডিশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে না।’

পরে সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘কোরআন বা অন্য কোনো পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো খুবই আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কাজ এবং স্পষ্ট উস্কানি। বর্ণবাদ, জেনোফোবিয়া এবং এই ধরনের অসহিষ্ণুতার কোনো স্থান সুইডেন বা ইউরোপে নেই।’ একই সময়ে সুইডেনে ‘সমাবেশ, মতপ্রকাশ এবং বিক্ষোভ করার স্বাধীনতা সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত’ রয়েছে বলেও সুইডিশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

সুইডেন এই ঘটনার নিন্দা জানাতে এতো দেরী কেন করলো। কারণ প্রথমে তারা ব্যাপারটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় নি। পরে তারা ৫৭ টি ওআইসি রাষ্ট্র এবং তুরস্কের চাপে পড়ে ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝতে পারে। এখন তারা এই ধরণের কাজকে উস্কানি এবং ইসলাম বিদ্বেষ মুলক কাজ বলছে। তাই আমার মনে হয় ভবিষ্যতে সুইডেন কোরআন পোড়ানোর অনুমতি আর দেবে না। কারণ একটা ইসলাম ফোবিক/ বিদ্বেষ মুলক কাজকে কোন সরকার/ আদালত অনুমতি দিতে পারে না। যে ব্যক্তি কোরআন পুড়িয়েছে সে ১০ দিন পরে আবার কোরআন পোড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করছিল। কিন্তু সুইডেন তাকে বা অন্য কাউকে ভবিষ্যতে আর অনুমতি দেবে বলে মনে হয় না।

অনেকে সামু ব্লগে আমার আগের পোস্টে বিশ্ব জুড়ে মুসলমানদের প্রতিবাদকে অহেতুক বা অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। কিন্তু আমার মনে হয় এই প্রতিবাদের কারণে সুইডেন তার অবস্থান থেকে সরে এসেছে বা আসবে। আর এই প্রতিবাদের কারণে মুসলমান দেশগুলি অন্তত একটা ইস্যুতে একতাবদ্ধ হতে পেড়েছে। এই ধরণের ঘটনা মুসলিমদের ভবিষ্যতেও একতাবদ্ধ হতে সাহায্য করবে বলে আমার মনে হয়। তাই প্রতিবাদের প্রয়োজন আছে এবং শক্ত প্রতিবাদের সাহায্যে অন্যায়কে ঠেকানো যায়। একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজী। ঠিক মত ঠেলা দিতে জানলে কাজ হয়।

এই ব্যাপারে ব্লগারদের অভিমত জানতে চাচ্ছি।

সূত্র – ঢাকা পোস্ট

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:১৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ওদের দেশে এগুলো ঘটতে থাকবে বলে মনে হয় আমার।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আবারও অনুমতি দিলে আরও বড় বিক্ষোভ হবে বিভিন্ন দেশে। তবে এদের বিশ্বাস নাই।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:২৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বাংলাদেশের কি অবস্থা বলেন। বিএনপি কি ঠেলা দিতে পারবে শেখ হাসিনাকে?

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিএনপিকে কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দিলে দলের লোকেরা জঙ্গিবাদ কায়েম করতে পারবে। কারণ বিএনপি মূল শক্তি জামাত। কিন্তু নিজেরা কিছুই করতে পারবে না। দলে মেধাবী লোক নাই। যারা আছে এরা কোন কাজের না।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৩৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কারো ধর্মীয় গ্রন্থকে অবমাননা করাটা কোন স্বাভাবিক মানুষের কাজ হতে পারে না। এটা বরাবরই নিন্দনীয় কাজ সে যেই হোক বা গ্রন্থটি যে কোন ধর্মেরই হোক না কেন। ধন্যবাদ।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যাপারে বিশ্বের দেশগুলি মোটামুটি একমত প্রকাশ করেছে। এটা একটা ভালো দিক। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ব্যাপারটাকে খারাপ মনে করেছে।

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: কোরানে যেভাবে ঘৃণা ছড়ানো আছে নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। চীন কোরান ছুড়ে ছুড়ে ডাস্টবিনে ফেলছে,মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে,সেটা নিয়ে কেউ কিছু বলছে না।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনে কোন ঘৃণা ছড়ানো হয় নাই। এগুলি ইসলাম বিদ্বেষীদের মনগড়া কথা। চীন উইগর মুসলমানদের উপরে নির্যাতন করছে। চিন আরও অনেক অন্যায় করছে কিন্তু এদের সমস্যা হোল এদের সরকার এগুলি স্বীকার করতে চায় না। সুইডেন আর চিনের ঘটনার পার্থক্য হোল সুইডেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এবং দায়িত্ব নিয়ে এই ন্যাকারজনক কাজ ঘটতে দিয়েছে। কিন্তু চীন সরকার এই ধরণের অন্যায় স্বীকার করে না এবং তারা এগুলির সাথে জড়িত সেটাও মানতে চায় না। আর তাছাড়া চীনের খবর সহজে বাইরে আসে না। করোনা নিয়ে তারা অনেক কিছু করেছে কিন্তু সব কিছু মিডিয়াতে আসে না। এই ধরণের সব কাজই অন্যায় যে দেশেই ঘটে থাকুক না কেন। চিনের অন্যায় নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিবাদ করেছে অনেক দেশ তবে জোরালো প্রতিবাদ প্রয়োজন।

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: মুসলিমরা যতবেশি একতা বদ্ধ হবে ততই তারা তাদের সর্বনাশ ডেকে আনবে।একতাবদ্ধ হবে হবে সবার সাথে।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুসলিমরা একতাবদ্ধ হওয়া মানে অমুসলিমদের বিরোধিতা করা না। মুসলমানরা যেহেতু সংখ্যালঘু তাই একতার প্রয়োজন আছে যেন নিপীড়নের সময় একে অন্যকে পাশে পায়। পৃথিবীতে অমুসলিমরা কি একতাবদ্ধ। তারা আংশিক একতাবদ্ধ। এই কারণেই ইউরোপ অ্যামেরিকা এখন রাশিয়ার সাথে লেগেছে এবং বিশ্বে প্রচণ্ড অর্থনৈতিক সমস্যা এবং অশান্তি ডেকে এনেচে। পৃথিবীর যুদ্ধগুলি কিছু অমুসলিম দেশ জোট বদ্ধ হয়ে ঘটাচ্ছে তাদের স্বার্থে।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ৩ দিনেও খবরটা বাংলাদেশী মিডিয়ায় দেখা যায় নি।
আমি প্রতিদিন অনলাইন ভার্ষন চেক করেছিলাম।
কিছু কিছু পৃন্টেড পত্রিকায় থাকলেও চোখে পড়ে নি। সবাই হয়তো সেলফসেন্সর করেছে। বুঝেছে বাংলাদেশী মোল্লাদের উষ্কে দিয়ে লাভ নেই। তাই এবার মোল্লাদের লম্ফঝম্ফ দৃশ্বমান ছিল না।

কামাল১৮ বলেছেন: চীন কোরান ছুড়ে ছুড়ে ডাস্টবিনে ফেলছে,মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে,সেটা নিয়ে কেউ কিছু বলছে না।

ঘটনাটা ভারতে হলে ভয়াভহ রকম রিয়েকশান হত।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদী না। শুধু ধর্মীয় বিষয় না দেখবেন কোন জন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্য অনেক দেশের মত প্রতিবাদ করে না। এই দেশে যারাও বা প্রতিবাদ করে তারা সাধারণ জনগণ না বরং কোন রাজনীতি সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী। আমরা স্বার্থপর এবং আত্মকেন্দ্রিক জাতি হয়ে গিয়েছি। এই কারণে অনেক অনাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসলাম সংক্রান্ত বিষয়ে সব সময় আমাদের ধর্মীয় নেতারা দেরী করে। তারা অন্য দেশের মানুষকে দেখে রাস্তায় নামে। তার আগে না। আর যখন রাস্তায় নামে তখন সহিংসতা করে। ফলে আন্দোলন ব্যর্থ হয়। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে হবে।

ভারতের কোন ইস্যু আমাদের রাজনীতিকে দ্রুত গরম করে। কারণ আমাদের বড় দলগুলির কাছে ভারত ইস্যু রাজনীতির অংশ।

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৫৩

সোহানী বলেছেন: সুইডেন বা ফ্রান্স সরকার পররাস্ট্রনীতি ছাগল বলবো নাকি সেয়ানা বলবো বুঝতে পারছি না!!!

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুইডেন এবং ফ্রান্সকে ধর্ম বান্ধব হতে হবে। এই বিশ্বে এখনও বেশীর ভাগ মানুষ কোন না কোন ধর্ম পালন করে। ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর মত অপ্রয়োজনীয় কাজের ব্যাপারে তাদেরকে সতর্ক হবে। ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো কখনও ব্যক্তি স্বাধীনতা হতে পারে না। এইবার সুইডেন একটু চাপে আছে। দেখা যাক কিভাবে তারা ব্যাপারটা সামলায়। এরা পাগল হোক বা সেয়ানা হোক যেটাই হোক না কেন তাদের বুঝতে হবে তাদের দেশের ভিতরের এই ধরণের কর্মকাণ্ড সারা বিশ্বের মানুষকে নাড়া দিচ্ছে।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:১৯

তানভির জুমার বলেছেন: নাস্তিকতা খুবই ভয়াবহ, এরা ক্রিমিনাল মেন্টালিটির হয়। এরা ঘৃণা- বিদ্বেষ আর যুদ্ধ বাধাতে সবসময় সচেষ্ট থাকে। এরা মূলত ইসলাম বিদ্বেষী। কোন মুসলিম কোনদিনই কোন ধর্ম গ্রন্থ পুড়াতে পারে না, এরকম কোন কথা ইসলামে নেই। সারা পৃথীবি জুড়ে মুসলিমদের প্রতি এত ঘৃনা-বিদ্বেষ তারপরও তো দিন দিন অন্যদের তুলনায় মুসলিমদের সংখ্যাই বাড়তেছে।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক শান্তি প্রিয় নাস্তিক আছে যাদের ধর্ম নিয়ে চিন্তা করারই সময় নাই। কিন্তু আমাদের বাংলাভাষী নাস্তিকরা আসলে ইসলাম বিদ্বেষী। এদের বেশীরভাগ মুসলিম পরিবারের সদস্য। প্রতিশোধ নেয়ার উদ্দেশ্যেও কোন মুসলমানের অন্য ধর্মের গ্রন্থ পোড়ানো উচিত হবে না।

৫০ বছর পরে বিশ্বে সংখ্যার দিক থেকে ইসলাম ধর্ম এক নম্বরে থাকবে।

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬

ধুলো মেঘ বলেছেন: যে দেশের আদালত সবচেয়ে সেন্সিটিভ ধর্মের সেন্সিটিভ ধর্মগ্রন্থকে পোড়ানোর জন্য 'অনুমতি' দেয়, সে যেন নির্বিঘ্নে পোড়াতে পারে, তার জন্য পুলিশের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তারা কি ৫৭ দেশের প্রতিবাদ বা বিক্ষোভের কোন তোয়াক্কা করে বলে আপনি মনে করেন?

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন পোড়ানোর অনুমতি যখন দিয়েছিল তখন বিশ্বে বিক্ষোভ হয় নি। বিক্ষোভ হওয়ার পরে এদের টনক নড়েছে। দেখা যাক সুইডেন সরকার ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর নতুন আবেদনগুলির ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয়। তারা তোয়াক্কা করে কি না এটা দেখতে হলে কিছুদিন দেরী করতে হবে।

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০০

আহলান বলেছেন: পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের অবমাননা যে কোন একত্ববাদীদের মনে কষ্টের উদ্রেগ সৃষ্টি করা উচিৎ। তাওরাত ইন্জিল যবুর এর অনুসারীগন কিভাবে কোরআনের অবমাননাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে পারে, সেটাই ভাবার বিষয়।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিশ্বের শান্তির জন্য অন্য ধর্মকে তুচ্ছ তাচ্ছিল করা বন্ধ করতে হবে। এই বারের ঘটনায় ইসলাম, খৃস্টান এবং ইহুদি ধর্মের ধর্মীয় নেতারা সকলেই কোরআন বা ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর প্রতিবাদ করেছে। এই কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

১১| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২০

অগ্নিবেশ বলেছেন: কোরান পোড়ানো, এই ব্যাপারটাকে ঘনঘন পোস্ট দিয়ে সবার সামনে এনে ইসলামকে কি বারবার অপমান করা হচ্ছে না? চেপে গেলেই ত কেউ জানত না। যার কিতাব সেই যা শাস্তি দেওয়ার দেবে, নাকি তার প্রতি ভরসা একদমই নেই?

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ব্লগে একজন প্রতিষ্ঠিত ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগার। আপনি শুধু এই কাজের জন্যই ব্লগে আসেন। আপনার গত কয়েকদিনের মন্তব্যে আপনি সেটা আবারও প্রমাণ করেছেন। তাই আপনার মত ইসলাম বিদ্বেষী মানুষের সাথে কথা বলা মানে সময় নষ্ট করা। আমি আপনার মন্তব্যগুলির আর জবাব দিচ্ছি না। কারণ আপনি মুলত হিংসা ছড়াচ্ছেন। সারা বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যেখানে একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাচ্ছে সেখানে আপনার এই ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্যগুলি বেমানান লাগছে।

১২| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: এতদিন ইওরোপ আমেরিকায় মুসলমানেরা সেকুলারদের ঘাড়ে চেপে ঘি শক্কর খেয়েছে,
এরপর সেই সেকুলারদের ঘরেই এরা লুটপাট শুরু করেছে, যে পাতে খায় সেই পাতেই হাগে আর কি।
এখন কট্টর খ্রিষ্টানেরা অস্ত্র ধরলে এই দুর্বল অশিক্ষিত মুসলমানেরা কি করবে? বেঘোরে মারা যাবে !
নিজের ভালো ছাগলেও বোঝে, কারন ছাগলের পেটেও কয়েক পাতা কোরান আছে।
কিন্তু এদের ঘটে কিস্যু নেই, এরা ১৪শ বছর আগের মত গাধায় চেপে বিশ্বজয় করতে চায়।

পরিচ্ছদঃ ৯/৩৬. বয়স্ক লোকে দুধ পান করলে।
২/১৯৪৪। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রজম সম্পর্কিত আয়াত এবং বয়স্ক লোকেরও দশ ঢোক দুধপান সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়েছিল, যা একটি সহীফায় (লিখিত) আমার খাটের নিচে সংরক্ষিত ছিল। যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন এবং আমরা তাঁর ইন্তিকালে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম, তখন একটি ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে।

মাজাহ ১৯৪৪ সহীহুল বুখারী ১৪৫২, নাসায়ী ৩৩০৭, ২০৬২, মুয়াত্তা মালেক ১২৯৩, দারেমী ২২৫৩, তা’লীক ইবনু মাজাহ। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)

এবার কি ছাগলের বিরুদ্ধে আন্দুলন হবে? জ্বালাও পোড়াও হবে? সামুতে পোষ্টের বন্যা হবে? আর আমাকে ব্লক করা হবে?
গোপনাঙ্গে রোগ হলে সবার আগে লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে রোগকে স্বীকার করতে হবে, তবেই চিকিৎসা শুরু হবে।

১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: যে কোন গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো অপরাধ ও ঘৃন্য কর্মকান্ডের মধ্যে পড়ে।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও আপনার সাথে একমত। অযথা হিংসা বিদ্বেষ ছড়িয়ে কি লাভ।

১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রতিটি মানুষেরই নিজের ইচ্ছেমত ধর্ম বেঁছে নেবার স্বাধীনতা রয়েছে, সেক্ষেত্রে কারো ধর্মীয় বিশ্বাস কে অমর্যাদা করা মানে হলো তার মত প্রকাশের স্বাধীতাকেও অমর্যাদা করা।

কোথাও যখন অগ্রহণযোগ্য বা অন্যায় কোনো কিছু হয় তখন তার প্রতিবাদ না করে চুপ থাকার অর্থই হলো অন্যায়টি মেনে নেয়া এবং তাকে আরো অন্যায় করার সুযোগ দেয়া। তাই প্রতিবাদের প্রয়োজন আছে এবং শক্ত প্রতিবাদের সাহায্যে অন্যায়কে ঠেকানো যায়। একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজী। ঠিক মত ঠেলা দিতে জানলে কাজ হয়।

অফটপিকঃ সামুতে পিউর নাস্তিক বলে কেউ আছেন বলে মনে হয় না। যারা আছেন তারা ইসলাম বিদ্বেষী। খুব সম্ভবতঃ তারা কারো পেইড এজেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকতে পারেন।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুইডেন ছাড়া পৃথিবীর প্রায় সব দেশে আইনের সাহায্যে ধর্মীয় শান্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়। সুইডেন উল্টা আইনের সাহায্যে ঝামেলা তৈরি চেষ্টা করছে।

আমরা প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছি। অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা হলে জুলুম বাড়তে থাকে।

সামুতে কিছু শান্তি প্রিয় নাস্তিক আছে। তবে বেশীরভাগই আসলে ইসলাম বিদ্বেষী। কারণ এদের বেশীর ভাগের জন্ম হয়েছে মুসলিম পরিবারে পরে শয়তানের টানে ইসলাম বিদ্বেষী হয়েছে।

১৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১১

অগ্নিবেশ বলেছেন: @গেঁয়ো ভূত আপনি বলেছেন প্রতিটি মানুষেরই নিজের ইচ্ছেমত ধর্ম বেঁছে নেবার স্বাধীনতা রয়েছে, সেক্ষেত্রে কারো ধর্মীয় বিশ্বাস কে অমর্যাদা করা মানে হলো তার মত প্রকাশের স্বাধীতাকেও অমর্যাদা করা।

হিন্দুরা গরুকে মাতা বলে সম্মান করে এজন্য কি মুসলমানেরা হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে মর্যাদা দিয়ে গরু খাওয়া বন্ধ করে দেবে?
ইসলামে মুর্তিপুজা হারাম এজন্যকি হিন্দুরা মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে মর্যাদা দিয়ে মুর্তিপুজা বন্ধ করে দেবে?
কোনো একটা ধর্ম গ্রহণ করলে সেটাকেই সত্য বলে মনে করলে, বাই ডিফল্ট অন্য সব ধর্মকে হেয় করা হয়, অপমান করা হয়।

অফটপিকঃ সামুতে আমি স্বঘোষিত নাস্তিক, একই সাথে ধর্ম বিদ্বেষী, কিন্তু টাকা পয়সা কেউ দেয়? আপনার কি যোগাযোগ আছে? কমিশন দেবো।

১৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:২০

বিজন রয় বলেছেন: আপনি খুব বুদ্ধিমান।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মন্তব্য ভালো লাগলো যদিও আমি কতটুকু বুদ্ধিমান সেটা আমি জানি না। তবে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করি না।

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: @অগ্নিবেশ, এইটুকু মগজ নিয়া নিজেরে নাস্তিক ঘোষণা দিলে হবে?

প্রতিটি মানুষেরই নিজের ইচ্ছেমত ধর্ম বেঁছে নেবার স্বাধীনতা রয়েছে, সেক্ষেত্রে কারো ধর্মীয় বিশ্বাস কে অমর্যাদা করা মানে হলো তার মত প্রকাশের স্বাধীতাকেও অমর্যাদা করা। এই সহজ কথাটির অর্থ বোঝা কি খুব কঠিন? কোন প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে তা বোঝা কি খুব কঠিন আপনার কাছে? যদি না বুঝে থাকেন তাহলে আবার পড়েন। আমি কারো ধর্মীয় পুস্তক পোড়ানো এবং অমর্যাদা করা প্রসঙ্গে কথা বলেছি। এইবার দেখেন আমি কি বললাম আর আপনি এইটারে টাইনা কোথায় লইয়া গেলেন?

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অগ্নিবেশ আসলে ইসলাম বিদ্বেষী। কারণ সারা বিশ্বের নাস্তিকরাও ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোকে সমর্থন করে না।

অগ্নিবেশের সাথে কথা বলা মানে সময় নষ্ট করা। সে ব্লগে শুধু ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য আসে।

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: @ভুত ভাই, পেমেন্ট কনে পাই?

১৯| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

কিরকুট বলেছেন: কেবল ধর্ম গ্রহ্ন কেনো একটা চটি বই ও পোড়ানো উচিৎ না ।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চটিবই পোড়ানোর ক্ষেত্রেও আদালতের অনুমতির নিয়ম থাকা উচিত। যে কোন বই অনেক কষ্ট করে রচনা করতে হয়।

২০| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভাই শান্তির পক্ষে।
সবাই শান্তিতে থাকুক। হিন্দু, মুসলিম, খিস্টান, বৌদ্ধ আরো যত ধর্ম আছে সবাই শান্তিতে থাকুক। পুরো বিশ্বটা আমাদের। তাহলে আমরা কেন ক্যাচাল করবো? কেন একে অন্যের শান্তি নষ্ট করবো?

আমাদের উচিৎ সকলে মিলেমিশে থাকা। ভালো থাকা।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেশ শান্তিময় একটা মন্তব্য করেছেন।

২১| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এ সবই পরিকল্পিত ভাবে করা হয় । ইউরোপের কয়েকটি দেশে ইসলাম নিয়ে খেলে ।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা অলিখিত সমঝোতা মনে হয় আছে। সেটা শুরু হয়েছে ক্রুসেডের সময় থেকে।

২২| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

চারাগাছ বলেছেন:
এই ব্লগ এসে নাস্তিকতা সম্পর্কে আমার ধারনায় পাল্টে গেছে।
কিছু ধর্ম বিদ্বেষী নিজেকে নাস্তিক দাবি করে নাস্তিকতাকে চরমভাবে অপমান করছে।

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাভাষী নাস্তিকদের বড় অংশ আসলে ধর্ম বিদ্বেষী বিশেষ করে ইসলাম বিদ্বেষী। এই ধর্ম বিদ্বেষীদের কর্মকাণ্ড মুলত ইন্টারনেট কেন্দ্রিক। বাস্তব জগতে এরা লুকিয়ে থাকে।

২৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই ভাল, আপনি যে জীবন চান সেটা পাচ্ছেন বা চলতে পারেন, ফলে ধর্ম নিয়ে কথা না বলাই ভাল।

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সহমত।
হালনাগাদ খবর হোল সুইডেন তার আইন পরিবর্তন করতে পারে। তারা ব্যাপারটা নিয়ে কাজ করছে।

২৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বেশ শান্তিময় একটা মন্তব্য করেছেন

আমি সব সময় শান্তির পক্ষে।

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শান্তির পক্ষে থাকা ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.