নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বের অনেক উন্নত শহর ব্যয়বহুল। তার মধ্যে শীর্ষ দশটি শহর হলও সিঙ্গাপুর, নিউইয়র্ক, তেল আভিভ, হংকং, লসএঞ্জেলেস, জুরিখ, জেনেভা, সানফ্রান্সিসকো, প্যারিস এবং সিডনি। ঢাকা শহর কোন উন্নত শহর না তারপরেও এই শহর বিদেশীদের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর। বিদেশীদের জন্য ব্যয়বহুল হলে স্বভাবতই এই দেশের বাসিন্দাদের জন্যও ব্যয়বহুল হবে এটা অনুমান করা যায়। এটা কি কোন শুভ লক্ষণ নাকি অশনিসংকেত? যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জরীপ প্রতিষ্ঠান মারসার ২০২২ সালে এই তথ্য দিয়েছে।
সাধারণত উন্নত শহরগুলিতে জীবন যাত্রার ব্যয় বেশী থাকে। সেখানে সিংহভাগ মানুষের আয়ও বেশী হয়। কিন্তু ঢাকা শহর বিশ্বের দুষিত শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। প্রায়ই বায়ুদূষণে ঢাকা প্রথম স্থানে থাকে। শুধু বায়ু দূষণ না অন্যান্য নাগরিক সুবিধা বিবেচনায় নিলে ঢাকা শহর একটা পশ্চাদপদ শহর। বাংলাদেশের মত একটি দরিদ্র দেশের একটা শহরে কেন তাহলে জীবন যাত্রার ব্যয় এতো বেশী? এই বিষয়টার কারণ এবং এবং বিষয়টা ভালো না খারাপ সেটা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।
বিশ্বের ২২৭ টি বড় শহর নিয়ে এই জরীপ করা হয়েছে। ২০০ টি পণ্য বা সেবার তুলনামুলক ক্রয় মূল্য বিবেচনায় নেয়া হয়েছে যার মধ্যে গৃহায়ন, যাতায়াত ব্যবস্থা, খাদ্য, বস্ত্র, গৃহস্থালি সামগ্রী এবং বিনোদন অন্যতম। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য যে কোন বড় শহরের চেয়ে ঢাকার জীবন যাত্রার ব্যয় বেশী। ভারতের দিল্লী, মুম্বাই কিংবা পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, করাচী অথবা শ্রীলঙ্কার কলম্বোর চেয়ে ঢাকা ব্যয়বহুল। মুম্বাই ১২৭ তম, নিউ দিল্লী ১৫৫ তম, চেন্নাই ১৭৭ তম, বেঙ্গালোর ১৭৮ তম, কলম্বো ১৮৩ তম, হায়দারাবাদ ১৯২ তম, পুনে ২০১ তম, কোলকাতা ২০৩ তম, করাচী ২২৩ তম, ইসলামাবাদ ২২৪ তম। এছাড়া দক্ষিণ পূর্ব দিকে ব্যাংকক ১০৬ তম।
আমার মতে ঢাকা শহরের অতি ব্যয়বহুল হওয়ার এই সংবাদটা একটা দুঃসংবাদ । কারণ;
১। এই শহরের অধিকাংশ মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছে এবং তাদের পক্ষে এই খরচ জোগান অত্যন্ত কষ্টকর একটা ব্যাপার এবং দিন দিন অবস্থার অবনতি ঘটছে। এই শহরের অন্তত ৫০% লোক নিরুপায় হয়ে এই শহরে বাস করছে কারণ দেশের অন্য কোথাও আয় রোজগারের তেমন ভালো ব্যবস্থা গড়ে ওঠে নি অথবা থাকলেও সবার জন্য সেটা উপযুক্ত না।
২। বিদেশীরা ঢাকা শহরের চেয়ে এই অঞ্চলের অন্য শহরগুলিকে থাকার জন্য ভালো মনে করবে। আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য বিদেশীদের আগমন প্রয়োজন আছে।
৩। এই অতি মূল্যের কারণটা আমাদের নিজেদের তৈরি সমস্যার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। উন্নয়নের কারণে এটা ঘটেনি যেটা উন্নত দেশের উন্নত শহরগুলিতে ঘটে থাকে।
৪। দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থান ঢাকা কেন্দ্রিক হওয়ার কারণে মানুষ এখানে বেশী আসছে যার কারণে অন্যান্য অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সুষমভাবে গড়ে উঠছে না। এটা দেশের অর্থনীতির জন্য একটা খারাপ সংবাদ। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। সব চাপ ঢাকার উপরে পড়ছে। ফলে ঢাকাবাসীর নাভিশ্বাস উঠছে।
৫। শুধু ঢাকা না আসলে সারা দেশেই কিছু কিছু পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক। যেমন খাদ্যদ্রব্য। কৃষকের কাছে পানির দামে কিনলেও ভোক্তার কাছে যখন বিক্রি হচ্ছে তখন দাম কয়েকগুন হয়ে যাচ্ছে। কৃষক এবং ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিন্তু মাঝের ব্যবসায়ীরা টাকা কামাচ্ছে।
৬। দেশের মানুষের আয়ের তুলনায় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি ঘটছে অতিমাত্রায়। অর্থাৎ আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে গলদ আছে। মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক জিনিসের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে কারণ আমরা মুলত একটা আমদানি নির্ভর দেশ। আমাদের মূল রফতানি পণ্য হল মানুষ। গার্মেন্টস দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।
আরও অনেক কারণ আছে বা থাকতে পারে। ব্লগারদের মূল্যবান এবং সুচিন্তিত মতামত আশা করছি এই বিষয়ে ।
সূত্র – প্রথম আলো
ছবি – আর টিভি
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকা শহরের ধনী শ্রেণীর লোকেরা খুব ভালো আছে। কিন্তু মধ্যবিত্তের একটা বড় অংশ এবং নিম্নবিত্তের অবস্থা খুব খারাপ। সমস্যা হল মধ্যবিত্ত লজ্জা এবং সংকোচের কারণে নিজেদের দুরবস্থার কথা বলতে চায় না। বরং ভালো থাকার অভিনয় করে। নিম্নবিত্ত মুখে বলে কিন্তু তাদের জন্য বলার কোন জনপ্রতিনিধি নাই। অফিসের নিম্ন বেতনের মানুষের সাথে কথা বলে বুঝলাম তারা অনেক কষ্টে আছে।
ঢাকার মানুষের একটা বড় অংশের আয় অবৈধ পথে উপার্জিত। সরকারী অফিসে সৎ লোক খুব কম দেখেছি। অনেকে সৎ থাকেন কারণ তার ঘুষ খাওয়ার সুযোগ নাই। বড় ব্যবসায়ীরা ৮০% অসৎ। এদের অনেকে ব্যাংক লুট করে, জমি ডাকাতি করে। অনেক প্রাইভেট চাকুরে অসৎ। দেশের প্রাইভেট কোম্পানিগুলির ক্রয় বিভাগে সৎ লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এছাড়া গার্মেন্টসগুলির মার্চেনডাইজাদের একটা বড় অংশ কাচামাল সরবরাহকারীর কাছে থেকে কমিশন নেয়। বাইং হাউজের লোক হোলে সে ফ্যাক্টরির মালিকের কাছে থেকে ঘুষ নেয়। অনেকে নগদ ছাড়াও বিভিন্নভাবে নেয়। যেমন সুন্দরী নারী এদেরকে সরবরাহ করা হয়। ঢাকা শহরের দোকানদাররা প্রতিদিন হাজারো মিথ্যা কথা বলছে পণ্য বিক্রির জন্য। খাদ্য দ্রব্য বিক্রেতারা মাপে কম দিচ্ছে বা ভেজাল মিশাচ্ছে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা হুন্ডি ব্যবসার সাথে অনেকে জড়িত। অনেক ব্যাংকার ঋণ দিতে ঘুষ নিচ্ছে। শেয়ার মার্কেট পুরোটাই দুর্নীতি আর সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সুট বুট পড়া শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্মার্টলি দুর্নীতি করছে। নিজের পছন্দ মত লোক নিয়ে সিন্ডিকেট বানাচ্ছে যাদের সেই চাকরীর যোগ্যতা আসলে নেই। নিজের পছন্দ মত পরামর্শক নিয়োগ দিচ্ছে যারা তার বন্ধু মানুষ। ৩/৪ বছর থেকে মোটা অংকের বেতন নিয়ে যখন কোম্পানি ত্যাগ করছে তখন দেখা যাচ্ছে তাদের কোন উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল না গত কয়েক বছরে কোম্পানির উন্নয়নে। শুধু টাইম পাস। আইনজীবীদের বড় অংশ মক্কেলকে জেতানোর জন্য মিথ্যে বলছে বা বলতে সাহায্য করছে। বেশীর ভাগ ডাক্তার কমিশন নিচ্ছে ওষুধ কোম্পানি থেকে এবং প্যাথলজি ল্যাবগুলি থেকে। ইঞ্জিনিয়ারদের একটা বড় অংশ অসৎ। পেশাদার হিসাব রক্ষকরা অনেকেই জেনে বুঝে কোম্পানির প্রকৃত আর্থিক অবস্থা লুকাচ্ছে তাদের অডিট করা হিসাবে। এদের রিপোর্টের ভিত্তিতে নতুন কোম্পানি শেয়ার বাজার থেকে টাকা তুলতে পারে। কিন্তু তারা অযোগ্য কোম্পানিকে টাকা তুলতে সাহায্য করছে। এনজিওগুলি উন্নয়নের নামে টাকা মেরে দিচ্ছে। আরও অনেক কিছু আছে, লিখে শেষ করা যাবে না।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ঢাকা শহরের ধনী শ্রেণীর লোকেরা খুব ভালো আছে।
ঢাকা শহরে কাহারা ধনী? এরা এত সম্পদের মালিক হলো কি করে?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকা শহরে ধনী হলও মাঝারি বা বড় ব্যবসায়ী, বড় চাকুরে, অনেক জমি বা ফ্লাটের মালিক যারা, বড় মাপের দুর্নীতিবাজ, সরকারের আশীর্বাদ পুষ্ট মাসল ম্যান, রাজনীতিবিদ। বড় ব্যবসায়ীদের অনেকেই ব্যাংক ঋণ ফেরত না দিয়ে বা জমি ডাকাতি করে বড়লোক হয়েছে। গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের অনেকে শ্রমিকদের ঠকিয়ে বড়লোক হয়েছে। অনেকে শুল্ক বন্ড সুবিধার অপ ব্যবহার করেছে। অনেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারের কাছে থেকে প্রণোদনা নিয়েছে। অনেকে শুল্ক এবং কর ফাঁকি দিয়েছে। দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতি করে বড় লোক হয়েছে। সরকারের কাছের মাসল ম্যানরা মাস্তানি, গুণ্ডামি এবং টেন্ডারবাজী করে বড় লোক হয়েছে। অনেকে ড্রাগ ব্যবসা বা স্মুগ্লিংয়ের সাথে জড়িত। অনেকে আদম ব্যবসা এবং নারী এবং শিশু পাচার করে টাকা বানিয়েছে। রাজনীতিবিদরা দুর্নীতি করে টাকা বানিয়েছে। কিছু কিছু শিল্পপতি ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে একচেটিয়া ব্যবসা করে বড় লোক হয়েছে। অনেক আমদানিকারক মজুদদারী করে প্রচুর টাকা বানিয়েছে। জমির অবৈধ ব্যবসা করে টাকা বানিয়েছে বসুন্ধরা, যমুনা, আমিন মোহাম্মাদ গ্রুপের মত কিছু গ্রুপ। রমজান মাসে জিনিসের দাম বাড়িয়ে অনেকে বড় লোক হয়েছে। প্রতারনা করে অনেকে বড়লোক হয়েছে। যেমন যুবক গ্রুপ, ইভেলি, কিছু সমবায় ব্যাংক, এম এল এম কোম্পানি। আরও অনেক রাস্তা আছে। ঢাকা শহরে টাকা ওড়ে। শুধু ধরা জানতে হয়।
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটি জিনিসের মূল্য কখনোই নির্ধারিত নয়।
ন্যায্য মূল্য বলে পৃথিবীতে কিছু নেই।
মিল্টন ফিডম্যানের অর্থনীতি বলেন আর আদিম কালের অর্থনীতি বলেন। মূল্য নির্ধারিত হয় ক্রেতার সক্ষমতা দেখে। বাজারের অবস্থা দেখে।
মধ্যযুগের আদিমকালেও একজন ফল বিক্রেতা তার ফলের দাম নির্ধারিত করেন ক্রেতার অবস্থা দেখে।
কত দাম নির্ধারিত করলে তার ফলগুলো বিকেলের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে পচবে না সেটাই বিক্রয় মূল্য।
বর্তমান অর্থনীতিতে বলেন ফুটপাতের বাজারে সব ক্ষেত্রেই।
আমেরিকার সেতু বা সরকারি মহাসড়কে টোল রেট কখনো নির্দিষ্ট নয়। কিছুক্ষণ পরপরই চেঞ্জ হয়ে যায় এভারেজে পার মাইল এক টাকা, একটু ভিড় বাড়লে ২ টাকা, সবচেয়ে বিজি টাইম ৬ টাকাও হয়ে যায়, আবার রাত বারোটার পর ৫০ পয়সার মাত্র। স্টেডিয়ামে প্রতি সপ্তাহে খেলা হচ্ছে বিশাল পার্কিং লট, সিটি মালিকানাধীন, কিন্তু পার্কিং চার্জ নির্দিষ্ট হয় খেলার মেজাজ বুঝে গুরুত্বপূর্ণ খেলা হলে ৫০ টাকা এরপরে সেটা ৬০ টাকা হয় ১০০ টাকাও হয়ে যায়। আপনি বলতে পারবেন না সরকারি রেট ফিক্স থাকবে না কেন। আসলে পৃথিবীতে কোথাও ফিক্স রেট হয় না।
তবে মার্কিন সরকার গরিবের জন্য জোরপূর্বক কিছু ফিক্স রেট করেছে যেমন বাস ভাড়া সাবওয়ে ভাড়া। এগুলো সব লসে চলে সরকার ভর্তুকি দেয়।
পরোটা ভাজি সিঙ্গারা বার্গার পিজা, ঘর ভাড়া বিমান ভাড়া সবকিছুই বাজার মূল্য।
বাংলাদেশ বলেন আমেরিকা বলেন বা আদিমকাল বলেন সব ক্ষেত্রেই একই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাজার মূল্য যখন সঘবদ্ধচক্র দ্বারা প্রভাবিত হয় তখন তাতে অর্থনীতির সূত্র কাজ করে না। উত্তর বঙ্গ থেকে সবজি ঢাকার কারওয়ান বাজার পর্যন্ত আসার সময় মাস্তান এবং পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। এছাড়া মধ্যবর্তী ব্যবসায়ীদের (ফড়িয়া বলে সম্ভবত) সিন্ডিকেট থাকে। এই সব কারণে দাম কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়। এটাকে আপনি সরবরাহ এবং চাহিদার সুত্রে ফেলতে পারবেন না। এই অতি মূল্যের মূল কারণ হলও মধ্যবর্তী ব্যবসায়ী, পুলিশ, মাস্তান এবং সংঘবদ্ধচক্র। এই মূল্য বৃদ্ধি কৃত্রিম এবং অস্বাভাবিক। রমজান মাসে পরিকল্পিতভাবে পণ্যের মূল্য বেশী নেয়া হয়ে থাকে। রমজান মাস তো কোন দুর্ঘটনা না। ব্যবসায়ীরা জানে রমজান মাস আসছে। এরা এই সময়ের সুযোগ নেয় এবং সরবরাহের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। এই অপকর্ম দেখার কেউ নাই। মিডল ইস্টে রমজান মাসে ব্যবসায়ীরা উল্টা বিভিন্ন রকম ছাড় দিয়ে থাকে। আমরা পারি না কারণ আমাদের ব্যবসায়ীদের কোন নীতি নেই এবং সরকার এই ব্যাপারে নিরব ভুমিকা পালন করে।
সরকারী টোল নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই। কারণ এই টাকা বিদেশে সরকারী কোষাগারে যায় সম্ভবত । আমাদের দেশে ইজারা দিয়ে দেয়া হয়। তাই চাইলেই খুশি মত বাড়াতে পারে না।
আমাদের দেশে সরকার ট্রেনে ভর্তুকি দেয়। টাউন সার্ভিস বাসগুলির ভাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা থাকে।
আমি আমার লেখায় দুর্নীতি, অসততা এবং নিয়মহীনতার কারণে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। এগুলি বাজারের স্বাভাবিক অবস্থাকে বিকৃত করে। ফলে অর্থনীতির সুত্র সঠিকভাবে এখানে কাজ করে না। মানুষের অসততা, জুলুম, অব্যবস্থা এবং দুর্নীতির কারণে পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকা শহরের জমির এতো দামের পিছনে সরকারী ভুল নীতি দায়ী। কারণ আমাদের অর্থনীতিকে আমরা ঢাকা কেন্দ্রিক বানিয়ে ফেলেছি। সবাইকে ঢাকা আসতে হয় বিভিন্ন কারণে। প্রশাসনের বিকেন্দ্রিকরন করা হয় নাই। আমরা নৌ বাহিনী এবং কোস্ট গার্ডকে ঢাকা শহরের মধ্যে রাখছি। যেটার কোন প্রয়োজন নাই। এই রকম আরও অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে। অনেক মিল ফ্যাক্টরি ঢাকা শহরের মধ্যে। ভালো চিকিৎসা ঢাকা ছাড়া হয় না। ভালো চাকরি ঢাকা ছাড়া খুব কম। সকল বড় প্রাইভেট কোম্পানির অফিস ঢাকাতে। সরকারী বিভিন্ন সেবার জন্য বা কাজের জন্য ঢাকা আসতেই হবে। প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেক সময় ঢাকা আসতে হয় কাজের জন্য। এই সব কারণে ঢাকার জমির মূল্য পৃথিবীর অনেক শহরের চেয়ে বেশী। আমাদের ভুল নীতির কারণে এগুলি ঘটেছে। ঢাকা আজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে আমাদের সরকারগুলির বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্তের কারণে।
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: ঢাকা শহরে বিদেশী খুব কম আসে।যারা আসে বেশির ভাগ থাকে ফাইভ স্টার হোটেল গুলিতে।কলকাতায় থাকে তিনশ টাকার হোটেলে।খায় রাস্তার খাওয়া।খরচ তো কম হবেই।চলাফেরা করে ট্রেনে দ্বিতীয় শ্রেনীতে।ভারতে তৃতীয় শ্রেনী নাই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিদেশীদের কাছে তথ্য নিয়ে এই জরীপ করা হয় নি। যদিও বলা হয়েছে যে বিদেশীদের কাছে ব্যয়বহুল শহরের তালিকা। এই জরীপ করা হয়েছে বড় বড় ২২৭ টি শহরের বিভিন্ন ধরণের পণ্য বা সেবার তুলনামুলক ক্রয় মূল্য বিশ্লেষণ করে ( যেমন বাড়ি ভাড়া, যাতায়াত ব্যবস্থা, খাদ্য, বস্ত্র, গৃহস্থালি পণ্য, বিনোদন ইত্যাদি)। বিদেশীরা ফাইভ স্টারে থাকলো কি না এটা এই জরীপে বিবেচনা করা হয়নি। তবে আমার লেখার উদ্দেশ্য বিদেশীরা না। ঢাকাবাসীর নাভিশ্বাস উঠছে এই শহরে বেচে থাকতে গিয়ে। এটাই আমার লেখায় তুলে ধরতে চেয়েছি। কারণ কোন শহর বিদেশীদের জন্য ব্যয়বহুল হলে সেটা স্থানীয় অধিবাসীদের জন্যও ব্যয়বহুল হতে পারে। অন্তত ঢাকার ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য। উন্নত দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।
৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: * মিল্টন ফিডম্যান নয় মিল্টন ফ্রিডম্যান হবে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক আছে। আপনাকে ধন্যবাদ সংশোধনী দেয়ার জন্য।
৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: সবদেশেই শহর ও শহরতলী কিংবা নিউ টাউন ওল্ড টাউন আছে যেমন ঢাকাতে। এই দুই স্থানে দাম খাবার গুন মান পরিবেশ প্রতিবেশ সব কিছুরই পার্থক্য থাকে ব্যাপক। যেখানে নব্য শহর ও নব্য ধণীরা থাকে সেখানে পণ্য ও সেবার মুল্য থাকে বেশী। আমাদের শহর এত দ্রুত পরিবর্তনশীল ও কিছু মানুষ এত দ্রুত ধণী হচ্ছে( যাদের বেশীরভাগ অবৈধভাবে) তাঁর সাথে স্থানীয় বাজার তাল মেলাতে পারছে না।
দেখুন যখন ১০ জন নব্য ধণী মাছের বাজারে যাচ্ছে মাছ কিনতে - বাজারের সবচেয়ে সেরা মাছটা তারা কাউকে সুযোগ না দিয়েই বিক্রেতার আস্কিং প্রাইসে কিনে নিয়ে আসছে- দ্বীতিয়বার বিক্রেতা সুযোগ বুঝে সেই মাছের দাম আরো বেশী চাচ্ছে; এভাবেই এ শহরে সব কিছুর দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমার মরে ঢাকা শহর কন্ট্রোল প্রথমে করেছে খুচরা ব্যাবসায়ীরা; এরা প্রতিটা জিনিসে ৩/৪ গুন লাভ করা শুরু করেছিল।
১০ বছর আগে যখন একটা কৈ মাছ ২৫০ টাকা কাঁচা বিক্রি করতে দেখেছি তখন আমি বুঝেছি সামনে ঘোর দুর্দিন আসছে। খুচরো বাজার থেকে শুরু করেছিল পাইকারেরা- এখন সবাই। আর সবচেয়ে বড় হারামী খাদ্যসামগ্রী আমদানীকারকেরা। সরকার সব কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছে নিজের হাত থেকে। টাকা দিয়ে যখন সব ম্যানেজ হয় তখন এ থেকে পরিত্রানের আপাতত কোন উপায় নেই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উন্নত শহরে দাম বেশী হবে সব কিছুর এটা মানলাম। কিন্তু ঢাকা তো উন্নত কোন শহর না।
অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহর গড়ে উঠেছে। এখনও যে পরিকল্পনাগুলি নেয়া হচ্ছে সেগুলিও ত্রুটিপূর্ণ। এছাড়া অবৈধ আয়ের কারণে ঢাকাতে আয়ের বৈষম্য বেশী। আমি উপরে ১ এবং ২ নং প্রতি মন্তব্যে অবৈধ আয়ের কিছু উদাহরণ দেয়ার চেষ্টা করেছি। উন্নত দেশে অবৈধ আয়ের প্রভাব পড়ে না বাজারের উপরে। বাজার সামগ্রীর ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী ব্যবসায়ী, পাইকার এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা খেলা খেলছে। আপনার কথার সাথে একমত যে খাদ্য সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকরা মূল প্লেয়ার। সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে অথবা সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকেরা এটা থেকে লাভবান হয়। আপনার কথা ঠিক যে টাকা দিয়ে যখন সব ম্যানেজ হয় তখন এ থেকে পরিত্রানের আপাতত কোন উপায় নেই।
৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫
জুন বলেছেন: ঢাকা আরেকটি নতুন স্থান লাভ করেছে আজ পেপারে পড়লাম। মার্কিন গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর হলো ঢাকা এরপরে নাইজেরিয়া আর কি কি জানি পড়ার আগ্রহও হয় নি সাড়ে চুয়াত্তর
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকার গাড়ির গতি আর হাঁটার গতি প্রায় সমান হয়ে গেছে মনে হয়। গাড়ির গতি সম্ভবত ৭ কিলো হবে শুনেছিলাম। রাত ১ টার সময় ঢাকা শহরে জ্যাম থাকে। ভাবতে অবাক লাগে যে একটা ছোট শহরের এক মাথা থেকে আরেক মাথা যেতে ৩ ঘণ্টাও অনেক সময় লাগে। ঢাকার সিটির আয়তন খুব বেশী না। উত্তরা থেকে গুলশান ১ নাম্বার যেতে গড়ে সোয়া এক ঘণ্টা লাগে। কিন্তু কভিডের সময় আমি ১৮ মিনিটে গিয়েছি। আসলে এগুলি নিয়ে কেউ ভাবছে না। অপরিকল্পিতভাবে নগর গড়ে উঠছে। শেরজা তপন ভাই নিজে গুনে দেখেছেন যে ঢাকায় নাকি ২ কোটি ৩২ লাখ লোক বাস করে। ভয়ংকর অবস্থা। ইউরোপের ৩/৪ টা দেশের মানুষের সমান মানুষ এই ছোট্ট একটা শহরে বাস করে। রাজধানী স্থানান্তর ছাড়া এই সমস্যার কেউ সমাধান করতে পারবে না।
৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩
স্প্যানকড বলেছেন: সব দেশের রাজধানীর হাল একই ! হুদাই খরচা বেশি। ঢাকায় মানুষ থাকে নানান সুবিধা পাবার আশায় এ ছাড়া এ শহর বসবাস করার মতো নাকি? গাও গ্রামেই শান্তি। ভালো থাকবেন খুব।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কথা ঠিক। কিন্তু অন্যান্য বড় শহরগুলিতে অধিকাংশ মানুষের পর্যাপ্ত আয় আছে ফলে তারা ভালো আছে। শহর এতো নোংরা আর বিশৃঙ্খল না। আয় রোজগারের ব্যবস্থা থাকলে ঢাকার অর্ধেক লোক অন্য শহরে চলে যেত। ঢাকার পরিবেশ মানুষকে অসুস্থ করে দিচ্ছে।
৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: ঢাকায় সব কিছুর দাম বেশি এবং অস্বাভাবিক ভাবে বেশি। এটা অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে। ঢাকার আগে সিলেটে এমন অবস্থা ছিল। কারণ সিলেটের মানুষের হাতে প্রচুর বিদেশি অর্থ থাকত। নিজে কাজ না করে অন্যের অর্থে ফুটানি দেখানো তাদের মজ্জাগত ছিল। দাম দিয়ে কিনলে সব কিছু ভালো এমন ধারনায় প্রতিযোগীতা করে তারা দাম বাড়িয়ে দিত গ্রোসারী বাজারে।
ঢাকায় এমন অবস্থা শুরু হয় নব্য ধনী বেড়ে যাওয়ার পরে।
উন্নত দেশের উন্নত শহর গুলোতে জীবন যাপন খরচ বেশি কিন্তু একটা নিদৃষ্ট পরিমাণ অর্থ হলে মানুষ বেঁচে বরতে ভালো থাকতে পারত। মধ্যবৃত্ত নিম্নবৃত্তির কথা বলছি। গ্রোসারী ফাস্টফুড বাস ট্রেনের টিকেট এমন কি সিনেমা দেখার টিকেট সব কিছু একটা পরিমান থাকে। ভর্তুকি হলে সরকারের নানা রকম সাহায্য থেকে চালিয়ে নেয়া যায়। কিন্তু গত দু বছর থেকে উন্নত বিশ্বের বড় শহর গুলোর মানুষ হিমশিম খাচ্ছে মাসের খরচ করতে। যে পরিমাণে দাম বেড়েছে বাড়ি ভাড়া, খাবারের পণ্যের যা নিত্য প্রয়োজনীয় তা সামলাতে সমস্যা হচ্ছে মানুষের। মানুষের বেতন সে অনুপাতে বাড়ছে না।
অনেক উচ্চবিত্ত যারা সঞ্চয় করতে পারত হেসে খেলে আগে এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না। বাড়ি ভাড়া আর খাবার কিনতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে মাসের ইনকাম। উন্নত বিশ্বে শহরের চেয়ে গ্রামে অনেক জিনিসের দাম বেশি হয় কারন শহর থেকে দূরে পৌঁছাতে পথ খরচ বেশি। যা আমাদের দেশের উল্টা। গ্রামের দোকানের পণ্য সস্থা ঢাকার তুলনায় অথচ একই ব্রাণ্ডের।
ঢাকায় দামী জিনিস ঠিক মতন রশি টেনে ঠিক করা যায় মনে হয়। কিন্তু সেই ঠিক মানুষ কোথায়?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকাও মনে হয় সিলেটের দেখাদেখি একই পথ ধরেছে। একটা শ্রেণীর হাতে প্রচুর টাকা। তারা বাজারে গিয়ে দামাদামি করে না। ফলে কম আয়ের লোক বিপদে পড়ে। উন্নত বিশ্বেও এখন জিনিস পত্রের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাচ্ছে এটা জানলাম আপনার মন্তব্য থেকে।
আমাদের দেশে গ্রামে গেলে এখনও অনেক কিছু কম টাকায় পাওয়া যায় এবং সেগুলি মানে ভালো।
সরকারের উচিত হবে জীবন যাপনের জন্য অপরিহার্য কিছু মৌলিক পণ্য এবং সেবার দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা। অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং অসততার কারণে এগুলি ঘটে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সংঘবদ্ধ চক্র এই সবের জন্য দায়ী। একটু চেষ্টা করলে অবস্থার কিছু উন্নতি করা সম্ভব।
১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি হতাশ , হতাশ অনেক আগে থেকেই । প্রবাস ছেড়ে ভাবলাম নিজের শহর খুলনাতে স্থায়ী হব । দেড় দু বছর যেতেই বুঝলাম আমার কোন কাজ নেই খুলনাতে । একা একাই ঢাকাতে চলে এলাম , কাজ পেলাম বিদেশি কোম্পানিতে । তারপর চলে গেল ৯টি বছর । বিশাল বাড়িটি তালা বন্ধ করে বাচ্চাদের নিয়ে ওদের মা এসে হাজির । খুলনাতে ভাল ইংরেজির টিচার নেই । বাচ্চারা ইংলিশ মিডিয়ামের সবাই । শুরু হল ভাড়াটের জীবন । বাচ্চারা খুব ভাল রেজাল্ট করে এখন চাকুরিতে ।
আমি যেমন করে খুলনাকে নিয়ে ভাবতাম অন্যরা কেউ তেমনটি ভাবেননি । অথচ আমাদের জীবনযাত্রা খুব সহনশীল ছিল । ঢাকাতে দাম বেশী বিশেষ করে বাড়িভাড়া । আর এখন খাবার ওজন করে বা মেপে খাই । বাজারে যাইনা দাম শুনে যদি অজ্ঞান হয়ে যাই । বাচ্চাদের মা অনন্তে পাড়ি দিয়ে একরকম বেচে গেছে । আমি ধুকে ধুকে চলছি রূপনগরের পচা খালের দুর্বিষহ দুর্গন্ধে নিজেদের অভ্যস্ত করে ।
একটা নাড়া দেওয়া দরকার , প্রচণ্ড ঝাকুনি ------------------------------------
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকার বাইরে ভালো চাকরি তেমন নেই। চট্টগ্রামে কিছু আছে। তাই অনেকেই ঢাকাতে ভালো চাকরি পেলে বাধ্য হয় ঢাকায় থাকতে। খুলনা শহরে বহু সময় কাটিয়েছি এক সময়। আমার দুইজন খালার বাড়ি খুলনা। তাই খুলনা আর যশোরে আমার ছোটবেলার একটা অংশ কেটেছে। খুলনা শহরে অনেক বছর যাই না। খুব ছিমছাম সুন্দর একটা শহর ছিল। ঢাকাতে আয়ের একটা বড় অংশ চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়। শিক্ষার ব্যয়ও এখন অনেক বেশী। অবসরে যাওয়া মানুষের পক্ষে ঢাকায় ভালোভাবে থাকা কঠিন। আমি মাঝে মাঝে ভাবি যখন অবসরে যাবো (যদি আল্লাহ হায়াত দেন) তখন তো ঢাকায় থাকা সম্ভব হবে না। তখন কোথায় যাব।
১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০০
শেরজা তপন বলেছেন: আমি সব মন্তব্য ও প্রতি মন্তব্য পড়ার সময় পাচ্ছিনা। বাকি মন্তব্য আসুক একবারে পড়ে যুক্তিযুক্ত কারণ খোজার চেষ্টা করব।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই সব ব্যাপারে জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা বেশী বলে আমার মনে হয়। বিশ্লেষণধর্মী লেখা আপনি ভালো লিখতে পারেন। আমি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সংক্ষেপে কিছু বলার চেষ্টা করেছি মাত্র। জীবনের বিরাট একটা অংশ কাটিয়ে দিলাম ঢাকাতে। ১৯৭৬ বা ১৯৭৭ সালের ঢাকার কথা আমার স্মৃতিতে আছে। ১৯৭২ সালে ঢাকার খিলগাঁয়ে আমার জন্ম। তাই পরিবর্তনটা ধরা আমার জন্য সহজ।
বাকি মন্তব্যগুলি আসার পরে আশা করি আরও কিছু মন্তব্য করবেন এই বিষয় নিয়ে।
১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
অপু তানভীর বলেছেন: ঢাকা শহরে আমরা যেভাবে থাকি সেটা আমার থেকে বেশি ভাল জানেন যারা এখানে থাকেন না তারা । তাদের কাছে উন্নয়নের ফলে ঢাকা পৌছে গেছে উন্নতির সেরা শিখরে । অথচ তারা নিজেরা কিন্তু এখানে থাকে না । আসার পরিকল্পনাও করে না । কেবল দুর থেকে ঢাকার গুণগানে মুগ্ধ !!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি একটা ভালো কথা বলেছেন। যারা বিশ্বের উন্নত শহরগুলিতে থাকেন অনেক সময় মনে হয় তারা ঢাকা সম্পর্কে বেশী জানেন। সবাই না তবে অনেকে ঢাকার এতো গুণগান শোনান কিন্তু জীবনেও ঢাকাতে ফিরে আসবেন না। অনেকে সিংগাপুরের সাথে পর্যন্ত তুলনা করে ফেলেন। ঢাকায় কিছু দিন কাটালে তারা বুঝতে পারতো যে ঢাকা সবার জন্য না। ঢাকার অধিবাসীর অন্তত ৫০% মানুষ নিরুপায় হয়ে ঢাকায় থাকে। কারণ হল ঢাকা ছাড়া ভালো চাকরি অন্য জেলাগুলিতে নাই বললেই চলে। একমাত্র ব্যতিক্রম চট্টগ্রাম।
১৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: শেষ বার আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম, নিজের চোখে দেখেছি জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া, আর বিপরিতে মানুষের আয় খুব সামান্য। সিন্ডিকেটে বাজার অবস্থা কাহিল। সেবার পিয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া দেখেছিলাম, অথচ বস্তায় বস্তায় পচা পিয়াজ ঢাকার রাজপথে নিজে দেখেছি ফেলে দিতে তারপরও দাম কমায়-নি, এই সিন্ডিকেটে কেউ হাত দেয় না, বা দেয় অনেক পরে। আমি জানিনা সমস্যার সমাধান কোথায়। কারণ সত্যিকার অর্থেই যাদের নজর দেবার তারা চোখ বুঝে আছে, রাজনীতিবিদ হতে হলে এখন আর জনগনের কাছে যেতে হয়না, তাই ব্যাবসায়ীরা সহজেই রাজনীতিবিদ এখন। ব্যাবসায়ীরা রাজনীতিবিদ হলে এই সমস্যাকি সমাধান কখনো সম্ভব!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকায় জিনিস পত্রের এত দাম তাই অনেক সময় বিস্মিত হই সীমিত আয়ের মানুষ কিভাবে এখানে টিকে থাকে। আসলে তাদেরও কোন উপায় নেই। গ্রামে বা মফস্বলে গেলে তাদের আয়ই বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের গ্রামে ঈদ ছাড়া অন্য সময় গেলে বাড়িগুলিতে শুধু শিশু আর মহিলাদের দেখা যায়। প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই শিক্ষা বা আয়ের উদ্দেশ্যে হয় কাছের কোন বড় শহরে যায় কিংবা ঢাকা বা চিটাগাং যায়। এখন সহজেই বিবিএ ডিগ্রি নিচ্ছে ছেলেমেয়েরা। তাই এরা সবাই কর্পোরেট জব খোঁজে। এরা কোন ছোট চাকরি বা ব্যবসা (যেমন ড্রাইভিং, ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদি) করতে চায় না। কারণ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। কিন্তু এতো কর্পোরেট জব ঢাকাতেও নাই। একটা চাকরীর জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ দরখাস্ত পরে।
ঢাকায় বা বলতে গেলে পুরো বাংলাদেশ জুড়েই মূল্য বৃদ্ধির জন্য একশ্রেণীর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দায়ী। এছাড়া চাঁদাবাজি, মাস্তানি এগুলির জন্যও পথে পথে জিনিসের দাম বেড়ে যায়। সরকার দেখেও না দেখার ভান করে। কারণ আমাদের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে রাজনীতিবিদের চেয়ে ব্যবসায়ী বেশী। বড় দলগুলি চলে ব্যবসায়ীদের টাকায়। তাই রাজনৈতিক দল কখনও ব্যবসায়ীদের খ্যাপাতে চায় না।
১৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: তারপরেও কিছু লোক বলবে বাংলাদেশ বেহেস্ত
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যারা বলে ঢাকা বেহেশত তারা জীবনেও ঢাকামুখী হবে না। ৫ বছরে ১ মাসের জন্য বড় জোর বেড়াতে ঢাকাতে আসে। এরা এবং এদের পরবর্তী প্রজন্ম কোনদিনও এই দেশে স্থায়ী হবে না। এরা ঢাকাকে ভালো বলে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেও। একটা দলকে অন্ধের মত সমর্থন করে। তারা ভালো বা মন্দ যাই করুক তাদের দৃষ্টিতে উন্নয়নের জোয়ার।
১৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন:
প্রিয় ব্লগার,
আপনার পোস্টটি পুরোটা পড়লাম। বেশ ইনটেরেস্টিং একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। সহজ ভাবে বলতে গেলে সত্যি আর বাস্তবতা দুটোই তিতো। এই সবের মধ্যে চাপা পড়েছে মধ্যবিত্তরা।
আমরা মুলত একটা আমদানি নির্ভর দেশ। আমাদের মূল রফতানি পণ্য হল মানুষ। আপনার এই কথাটি আমার দারুন লেগেছে। সহজ কথায় সত্যি বলা যাকে বলে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
_ দেয়ালিকা বিপাশা
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেয়ালিকার আগমনে আমি খুব আনন্দ অনুভব করছি। আশা করি দেয়ালিকা নিয়মিত পোস্ট না দিলেও নিয়মিত মন্তব্য করবে সামুতে।
আসলেই সত্য আর বাস্তবতা অনেক সময় তেঁতো। অর্থনৈতিক কারণে সবচেয়ে চাপে থাকে মধ্যবিত্তরা। কারণ মধ্যবিত্তকে ভালো থাকার অভিনয় করতে হয়। মান সম্মানের ভয় তাদের সবচেয়ে বেশী থাকে।
আপনার জন্য দোয়া। আমার জন্যও দোয়া করবেন।
- সাড়ে চুয়াত্তর
১৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০০
বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার প্রায় সব কথাই যুক্তি সঙ্গত। তবে ৫নং পয়েন্ট নিয়ে কিছু কথা আছে।
বছর এর পর বছর শুনছি কৃষক পানির দামে সবকিছু বেচছে।
কিন্তু বাস্তবতা তা হতে পারে না। কারণ কৃষক এমন কোন ধনী সম্প্রদায় না যে বছরের পর বছর নিজের গাটের পয়সা খরচ করে লোকসান দিতে পারবে। কৃষক হয়তো তার ন্যায্য মজুরী পায়না কিন্তু টিকে থাকার মত আয় ঠিকই হয়। কোন কোন সময় কোন কোন পন্য হয়তো কৃষক পানির দামে ছাড়ে। প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়া গ্রাম ও শহরে সাধারণ পণ্যের মূল্য খুব বেশি পর্থক্য নাই।
আর ঢাকা শহর ব্যবহূল শহরে পরিণত হওয়ার আরেকটি কারণ হলো অবৈধ টাকা ফ্ল্যাট, প্লটে ঢুকছে, অসম্ভব গতিতে এগুলার দাম এবং ভাড়া বাড়ছে যা অন্য সব কিছুকে প্রভাবিত করছে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশের কৃষকরা কোন রকমে পেটে ভাতে বেচে থাকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনার দরকার আছে। কিন্তু এই ব্যাপারে কোন উদ্যোগ দেখা যায় না।
কৃষকের উদাহরণ দেয়ার ক্ষেত্রে আমি মুলত শাক সবজির কথা বলেছি। মৌসুমের সময় কৃষক ন্যায্য মূল্য পায় না। আবার ভোক্তারাও বেশী দামে কেনে। অবৈধ চাঁদাবাজি, পুলিশের ঘুষ, যোগাযোগের অব্যবস্থাপনার কারণে এই ধরণের পণ্যে কৃষকের মূল্য এবং ভক্তার মূল্যের মধ্যে অনেক বেশী থাকে। মাঝখানের ব্যবসায়ীরা লাভের গুড় খেয়ে ফেলে।
অবৈধ টাকার কারণে ঢাকার ফ্ল্যাটের দাম বাড়ছে। আর অত্যধিক ঘনবসতি হওয়ার কারণে জমির দাম বাড়ছে।
https://www.kalerkantho.com/online/national/2023/02/04/1242806
উপরের লিঙ্কের রিপোর্টটা পড়লে দেখবেন যে ঢাকার বারিধারায় এক কাঠা জমির দাম নাকি ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর গুলশানে ১ কাঠা জমির দাম নাকি ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আমার ধারণা নিউ ইয়রকের জমির দামও এতো হবে না। হতেও পারে। জানি না। আমাদের ব্লগার হাসান কাল বৈশাখী ভাই হয়তো ভালো বলতে পারবেন। উনি ঢাকার জমির এতো দামের কারণটাও অত্যন্ত পজিটিভভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস। এটা যে দেশের উন্নয়নের একটা সূচক সেটা তিনি প্রমাণ করে দিতে পারবেন। সোনাগাজী সাহেবও নিউ ইউরক থাকেন। তাই উনিও এই ব্যাপারে কিছু জ্ঞান দিতে পারবেন।
ঢাকার জমির সর্বনিম্ন মূল্য হল বাড্ডায়। ৬০ লাখ টাকা। আমাদের জলদস্যু সাহেবে সম্ভবত এই এলাকায় কিছু জমির মালিক।
১৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঢাকা শহর বিদেশীদের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর এবং বিশ্বের মধ্যে ৯৮ তম ব্যয়বহুল শহর। এটা কি সুসংবাদ নাকি দুঃসংবাদ? অবশ্যই সুসংবাদ। আওয়ামী উন্নয়নের জোয়ারের কারনেই এটা সম্ভব হয়েছে। এটা বিদেশীদের জন্য ব্যয়বহুল হলেও আমাদের আম-জনতার জন্য কিছুই না। এই ধারা অব্যাহত থাকলে তারা অচিরেই লন্ডন-প্যারিস-নিউইয়র্কে গিয়েও বলবে, এইহানে হগ্গলকিছু এতো শস্তা ক্যারে?!!!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগে সেন্স অব হিউমার বেশী আছে এমন ব্লগারদের তালিকা করলে আপনার নাম প্রথম দুই একজনের মধ্যে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
তবে আমাদের লজ্জাবতী লতা ব্লগার মিরোরডডলকে তার লাজুক লতার মত আচরন সংক্রান্ত বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আপনি ভয়ানক একটা অন্যায় করেছেন। আমি এই অন্যায় আচরনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিরর নব বধুর মত লাজুক একটা মেয়ে তাই আপনাকে কিছু বলে নি। এমনিই ছেড়ে দিয়েছে।
তবে সামনে পেলে আপনাকে ছাড়তো না। অস্ট্রেলিয়া গেলে বুঝে শুনে যাবেন।
১৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিড ‘লজ্জাবতী লতা‘ এইটা হলো সমকালের সেরা ব্লগীয় চুটকি!!!
ব্লগে মিডের শেয়ার করা জোকস গুলো দেখেছেন আশাকরি!! তারপরেও যদি এই কথা বলেন, তাইলে আমি বলবো, আমাদের দেশের সব পলিটিশিয়ানই অত্যন্ত সৎ এবং চরিত্রবান। এদের চরিত্র মাহমুদুল হাসানের মতোই পবিত্র!!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অসম্ভব আমি আপনার এই মিথ্যা অভিযোগ মানতে পারলাম না। মিরর জোকস পছন্দ করলেও সে ভয়ানক লাজুক। খুবই লাজুক একটা মেয়ে। আপনাদের হাসানোর জন্য কোন জোকস হয়তো বলেছে কারও কাছে থেকে ধার করে। আপনারা সেটার অপ ব্যাখ্যা করেছেন মনে হয়। আপনার এই সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পনাপ্রসূত।
১৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭
বিষাদ সময় বলেছেন: অনেক আগেই পত্রিকার একটি রিপোর্ট ছিল ঢাকার জমির দাম নিউইয়র্ক এর চেয়ে বেশি।
কৃষকের উদাহরণ দেয়ার ক্ষেত্রে আমি মুলত শাক সবজির কথা বলেছি। মৌসুমের সময় কৃষক ন্যায্য মূল্য পায় না। আবার ভোক্তারাও বেশী দামে কেনে। অবৈধ চাঁদাবাজি, পুলিশের ঘুষ, যোগাযোগের অব্যবস্থাপনার কারণে এই ধরণের পণ্যে কৃষকের মূল্য এবং ভক্তার মূল্যের মধ্যে অনেক বেশী থাকে। মাঝখানের ব্যবসায়ীরা লাভের গুড় খেয়ে ফেলে।
বিষয়টি এত সহজ না । পচনশীল পণ্য ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যাবসায়ী ক্রয় সংক্রান্ত মূল্যের সাথে এর ঝুকির মূল্য যোগ করে।
কারওয়ান বাজারে গেলে দেখবেন কত মধ্যসত্বভোগী মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। শীতকালে এ ঘটনা ঘটে বেশি। আজ হয়তো দেখলো বাজারে কফির ব্যাপক চাহিদা- পরের দিন সব আড়তদাররা দৌড়ায় কফি কিনতে, তারপর দেখা যায় এতো কফি বাজারে উঠেছে যে তার অর্ধেকও বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। শীতকালে কারওয়ান বাজারে প্রতিদিন দেখবেন কয়েক টন সবজী অবিক্রিত থাকার পর পচে যাওয়ায় আড়তদাররা মিন্তি লাগিয়ে সেসব সবজী ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই বিষয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। সেখানে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো। আপাতত কারওয়ান বাজার নিয়ে এই লেখাটা পড়তে পারেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী পুরো দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন।
নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে সুপারশপ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রোববার (৯ জুলাই) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, আপনারা কারওয়ান বাজারের পাঁচ-দশজন লোক সারা বাংলাদেশকে জিম্মি করে ফেলছেন। কারণ, কারওয়ান বাজারে কোনো জিনিসের দাম বাড়লে সারা বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়ে।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, কারওয়ান বাজারে ট্রাক থেকে কোনো পণ্য নামার পর যে দাম থাকে, সেটি বাজার থেকে বের হওয়ার সময় দেড়গুণ-দ্বিগুণ দাম হয়ে যায়। তাহলে আমরা কীভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব? সেজন্য বিক্রেতাদের ক্রয়-বিক্রয় রশিদ রাখতে হবে। তা না হলে আমরা জরিমানা করব। প্রয়োজনে আরও কঠোর থেকে কঠোরতম জায়গায় যাবে। কারণ, এভাবে তো চলতে পারে না।
কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে তিনি বলেন, কাঁচা মরিচের মূল্য ১০ গুণ বাড়ার কোনো কারণ নেই। প্রতি বছর বর্ষার সময় মরিচের উৎপাদন কমে, দাম বাড়ে। তাই বলে কোনো বছরই মরিচের দাম এভাবে রেকর্ড করেনি। তার মানে বাজারে কোনোভাবে অদৃশ্য হাত কাজ করেছে। সেটার ফলাফল কাঁচা মরিচের দাম এক হাজার টাকা হয়েছে। এর জন্য আমরা সবাই একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। এটি কোনো সভ্যতার লক্ষণ নয়।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই, ক্যাব ও ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।
২০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০০
করুণাধারা বলেছেন: ঢাকা শহর বিদেশীদের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর এবং বিশ্বের মধ্যে আটানব্বই তম ব্যয়বহুল শহর এটা কি সুসংবাদ নাকি দুঃসংবাদ?
অবশ্যই সুসংবাদ। আমরা গর্ব করে বলতেই পারি, বিদেশীরা আমাদের শহরে এসে দাম দেখে ভড়কে গেলেও আমরা সহজেই এই শহরে জীবন যাপন করতে পারি।
এই ঢাকায় এক টুকরো গরুর মাংস ৫০০০ টাকা!! এই টাকা দিয়ে স্টেক খাবার মানুষ অনেক আছে। কিছুদিন আগে আমি শুনেছিলাম, অভিজাত এলাকায় এক বাড়ির গার্ডেন পার্টিতে ১০০০ লোকের আয়োজন ছিল, খরচ হয়েছে এক কোটি টাকা। আমি সঙ্গে সঙ্গে হিসাব করে দেখলাম মাথাপ্রতি দশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না এত টাকা কি করে খরচ হয়। একজন আমাকে বুঝিয়ে বলল, এইসব পার্টিতে প্রধান খাদ্য মদ, খুব দামি মদ পরিবেশন করে বেয়ারারা। কেউ হয়তো মদের গ্লাস হাত থেকে টেবিলে রেখে কারো সাথে কথা বলছে, বেয়ারারা আধ খাওয়া গ্লাস তুলে নিয়ে নতুন আরেকটা ভরা গ্লাস দিয়ে দেয়।
আমি হিসাব মেলাতে পারিনা!!
পরে আরেকবার আসার ইচ্ছায় আপাতত বিদায়।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মজা লাগলো আপনার প্রথম অংশের কৌতুককর মন্তব্য।
ঢাকা শহরে বেশীর ভাগ মানুষের হিসাব মিলাতে কষ্ট হয়। আবার কিছু মানুষ আছে যারা কোটি টাকার গার্ডেন পার্টি করে। তাদের জন্য ঢাকা শহরে বাস করা কোন সমস্যা না।
২১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া বিদেশী স্বদেশী সবার জন্যই তো ঢাকা ব্যয়বহুল। রাজশাহী খুলনা যশোর রংপুর সবখানেই তো ঢাকা থেকে অনেক সস্তায় বাজার ঘাট করে ও টাটকা জিনিস খেয়েই বেঁচে থাকে মানুষেরা।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকার বাইরের জেলাগুলিতে থেকে আরাম। খাবার, পানি, বাতাস অপেক্ষাকৃত বিশুদ্ধ। ঢাকার বাইরে খরচ অপেক্ষাকৃত কম। ঢাকা শহরের বাসা ভাড়া, স্কুল খরচ, যাতায়াত খরচ অনেক বেশী।
আপনি তো অনেক জেলা শহরে থেকেছেন। সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই খোকা ভাইয়ের গল্প লিখেন। শুভ ভাইয়া মনে করে সত্যি ঘটনা লিখেছেন। আপনিও নিরুপমার মত সাইকেলে চড়ে নদীর হাওয়া খেতে গিয়েছিলেন।
২২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিদেশে একজন ক্লিনারের বেতনও কমপক্ষে ১০০০ ডলার। এইবার ১৩০ দিয়া গুন করলে দাঁড়ায় ১ লাখ ৩০,০০০ টাকা। কিন্ত আমাদের দেশে একজন ক্লিনার বড়জোড় ১০ থেকে ১৫০০০ টাকা ইংকাম করেও বিদেশের দামে জিনিষ কিনে!! এই কারনেইতো মন্ত্রীরা কয় যে, দেশ সিঙ্গাপুর, কানাডা হয়ে গেছে !!
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি হিসাব করে দেখিয়ে দিয়েছেন ঢাকার মানুষ আর বিদেশের উন্নত কোন শহরের মানুষের তুলনামুলক চিত্র। ঢাকায় অনেকের জন্যই আয়ের চেয়ে ব্যয় অসহনীয়। কিন্তু নিরুপায় হয়ে ঢাকায় থাকে, কারণ ঢাকার বাইরে গেলে বেকার হয়ে যেতে হবে।
এই কারণেই মন্ত্রীরা কয় যে, দেশ সিঙ্গাপুর, কানাডা হয়ে গেছে!!
২৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গুরুত্বপুর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ একটি পোষ্ট ।
রাজধানী ঢাকা শহড় শুধু ঢাকাবাসীর কাছেই নয় বিদেশীদের কাছেও ব্যয়বহুল শহড়ের তালিকায় উঠে এসেছে।
এটা ঢাকা বাসীদের জন্য একটি দুঃসম্বাদই বটে। বিদেশীদের, বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের ধনী দেশের মানুষের
কাছে তাদের অয়ের তুলনায় এটা এখনো ব্য়বহুল শহড় হিসাবে গন্য কিনা সে বিষয়ে আরো জরীপের প্রয়োজন
আছে বলে মনে হয় । তবে ঢাকায় আগত পৃথিবীর নিন্ম ও মধ্যম আয়ের পর্যটক ও বসবাসকারীদের
নিকট ঢাকা একটি ব্যবহুল শহড় হিসাবে গন্য হলেও হতে পারে। ঢাকায় বর্তমানে যেসমস্ত বিদেশী কুটনৈতিক
মিশনের লোকজন ও কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং হাতে গোনা কিছু বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকজন
বসবাস করে , তাদের আয়ের তুলনায় এখানে জীবন যাত্রায় ব্যয় তাদের নীজ দেশের তুলনায় এখনো অনেক
কম । তাই তাদের কাছে ঢাকা শহড় তেমন ব্যয়বহুল নয় বলেই ধারণা।তবে গন্ডগুলটা মনে হয় অন্য জায়গায়।
গত ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ এ দৈনিক যুগান্তরে নিন্মরূপ একটি সংবাদ ভাষ্য দেখতে পেয়েছিলাম -
সংবাদটি সেভ করে রাখায় এখন কিছুটা কাজে দিল ।সেখানে দেখেছিলাম লিখেছে-
বর্তমানে দেশের ২১ খাতে ৪৪ দেশের ২ লাখ ৫০ হাজার বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন। এর মধ্যে কর দিচ্ছেন
৯ হাজার ৫০০ জন। বাকি ২ লাখ ৪১ হাজার অবৈধ। এরা বেতনের নামে দেশ থেকে বছরে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি
টাকা পাচার করছেন। যা পদ্মা সেতুর মোট ব্যয়ের প্রায় সমান। এর ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে ১২ হাজার কোটি
টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতের। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি
ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সুত্র : Click This Link
২৬৪০০-কোটি-টাকা
মনে হয় এই অবৈধ ২ লাখ ৪১ হাজার বিদেশীর কাছে ঢাকা শহড় অবশ্যই ব্যয়বহুল হবে, কারণ তাদের
বেশীর ভাগই নিন্ম ও মধ্যম অয়ের দেশ হতে এসেছে ।
যাহোক, বিদেশীদের কাছে ঢাকাকে যেমনই মনে হোক না কেন ঢাকায় বসবাসকারী সকল নিন্ম ও মধ্যম
আয়ের মানুষের কাছে এটা অবশ্যই ব্য়বহুল ও তাদের জীবন য্ত্রায় নাভিশ্বাস হওয়ার মতই । পোষ্টের মন্তব্য
ও প্রতিমন্তব্য সমুহে ব্য়য়বহুল ঢাকায় বসবাসকারী মানুষের দু:খ কষ্ট ও তার কারণ সমুহ সুন্দর ভাবে উঠে
এসেছে । তবে এই করুন অবস্থা হতে ঢাকাবাসী সহ দেশের সকল মানুষের মুক্তির উপায় অমাদের সকলকে
ভাবতে হবে ।
দেশের নীতি নির্ধারক সকল পেশাজীবি ও দেশের শাসককুলকে ভাবতে হবে ও সে অনুযায়ী কর্মপন্থা গ্রহন
ও বাস্তবায়নে বাধ্য করার জন্য গনসচেতনতা সৃজনসহ প্রয়োজনীয় চাপের মাঝে রাখতে হবে ।
এ বিষয়ে বেশ কিছুদিন পুর্বে এই সামুর পাতায় গ্রামীন এলাকায়
গৃহ নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সৃজনের লক্ষ্যে একটি রূপকল্প
শীর্ষক পোষ্ট দিয়েছিলাম । ইচ্ছে হলে লিংক ফলো করে দেখে আসতে পারেন ।
সেখানে ঢাকার উপর চাপ কমানোর জন্য রাজধানী শগড় ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণসহ সমগ্র দেশ জুরেই গ্রামীন
এলাকায় ভিলেজ সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে একটি সচিত্র রূপকল্প তুলে ধরেছিলাম । অনেক পাঠকই মন্তব্যের
ঘরে রূপকল্পটি বাস্বায়নের পক্ষে বলেছিলেন । জানিনা পোষ্টটি দেশের সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরে পড়েছে কিনা,
আর পড়লেই বা কি, তারা সেটা অদতেই আমলে নিবেন কিনা সন্দেহ , কারণ তারাতোআশ্রয়ন প্রকল্প নিয়েই
মেতে আছেন । যাহোক, কামনা করি যে ভাবেই হোক রাজধানী শহড় ঢাকার উপর চাপ কমোক , মানুষের জীবন
চলার পথ সহজ হোক ।
মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিদেশীদের কাছে ঢাকা এখনও ব্যয় বহুল হয়নি। এই জরীপে শুধু বিশ্বের ২২৭ টি বড় শহরের খরচের তুলনা করা হয়েছে। পশ্চিমাদের জন্য প্রথম ১০ বা ১৫ টা শহর হয়তো ব্যয়বহুল হবে। এই জরীপের তুলনা থেকে বোঝা যায় যে ঢাকা অন্যও দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলির চেয়ে ব্যয়বহুল এবং বিশ্বের মধ্যেও ৯৮ তম ব্যয়বহুল শহর। অথচ ঢাকা কোন উন্নত শহর না। শহর উন্নত হোলে ব্যয় সাধারণত বেড়ে যায়।
আড়াই লাখ বিদেশী নাগরিক এই দেশে থাকলেও কর দিচ্ছে মাত্র ৯ হাজার ৫০০ জন। এটা খুবই খারাপ কথা। অবৈধ পথে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। বেশী যাচ্ছে ভারতে। খুবই উদ্বেগ জনক কথা।
ঢাকা শহরের ব্যয়বহুল হওয়ার একটা কারণ হল এই শহরের একটা বড় অংশের অবৈধ আয়। আপনার পোস্টটা ঐ সময় দেখেছিলাম। তবে পুরোটা পড়া হয়নি। খুব সুন্দর ছিল পোস্টের উপস্থাপনা। সময় পেলে পুরোটা পড়বো। আপনার পরামর্শগুলি খুবই ভালো। কিন্তু সমস্যা হল ঢাকার এই সমস্যাকে কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন স্বীকার করতে চায় না। বরং তারা এটাকে উন্নয়নের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলতে চায়। এই ভুল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এই শহরের দিন দিন অবনতি ঘটতে।
২৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪০
সোহানী বলেছেন: এটা ভয়াবহ দু:সংবাদ। আমরাতো মরছিই সাথে দু এক পয়সা ফরিন টাকা পয়সা আসতো সেটাও কমে যাবে।
কিন্তু আসল দু:সংবাদ হলো কেউই এ নিয়ে ভাবছে না। এর জন্য কোন সমাধান খুঁজে ফিরছে না। তাই ভয়াবহ মহা ভয়াবহ এর রুপ নিবে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা দেশের রাজধানী দেখে ঐ দেশ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। আমাদের দেশে বিদেশীরা আসার পরে ঢাকা শহরের এই করুন দশা দেখার পরে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পায় বলে আমার মনে হয়। দেশের জন্য এটা ক্ষতিকর।
আসল দুঃসংবাদ হল প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষ এগুলিকে কোন সমস্যাই মনে করছে না। বরং তারা বলতে চাচ্ছে যে এটা উন্নয়নের সাময়িক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সমস্যা স্বীকার না করলে সমস্যা সমাধানের প্রশ্নই ওঠে না।
দিন দিন অবস্থা আরও ভয়াবহ হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২১
সোনাগাজী বলেছেন:
বিদেশীদের জন্য ব্যয়বহুল, দেশীদের কি অবস্হা?
ঢাকার মানুষ অসৎ হওয়ার একটি বড় কারণ হচ্ছে, আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী।