নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গৃহকর্মীকে আমরা সোফায় বসতে দেই না। এই সামাজিক বৈষম্য কবে দূর হবে? ছোট চাকরীর প্রতি অনীহা কবে দূর হবে?

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৭

গৃহকর্মীকে সোফায় বসানোর মত মন মানসিকতা আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষের মধ্যেই আছে বলে মনে হয়। ছোট বেলায় আমাদের বাসাতেও কাজের লোক সোফায় বসতো না। তবে আমার পরিবারের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে মনে হয়। এখন আমার বাসায় একটা বাচ্চা মেয়ে থাকে। বয়স হবে ৮/৯ বছর। সে আমাদের সোফায় বসে টিভির কার্টুন দেখে। আমাদের বিছানায় বসে। বেশ কয়েক বছর আগে একটা কিশোরী মেয়ে অনেক বছর ছিল আমাদের বাসায়। সে মাঝখানে চলে গিয়েছিল এবং দ্বিতীয় বার আবার এসেছিল। প্রথম বার সে সোফায় বসতো না। দ্বিতীয় বার আসার পরে সে আমাদের খাবার টেবিলে বসে খেত, সোফায় বসত। আমরা মেনে নিয়েছিলাম এবং কিছুই বলতাম না। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত সে আমাদের বাসায় ছিল। তখন আমার বাবা মা ছিল এবং যৌথ পরিবারে ছিলাম আমরা। মাঝখানে স্থায়ী কাজের লোক ছিল না। ছুটা কাজ করতো অনেকেই। এদের বসার সময় নাই। কাজ করে দিয়ে কত আগে চলে যাবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত থাকতো তারা। যাদের কথা বললাম তারা ছাড়া অন্য কোন গৃহকর্মীকে আমরা সোফায় বা চেয়ারে বসতে দিব কি না সেটাও আমি সঠিক বলতে পারবো না। কারণ সামাজিক নিয়মের বাইরে আমরাও না।

সাধারণত আমাদের সমাজে কাজের লোককে আমরা ড্রইং রুমের সোফায় বা খাবার ঘরের চেয়ারে বসতে দেই না। ব্যতিক্রম সম্ভবত খুব কমই আছে। আমার স্ত্রীও ছুটা কাজের লোককে চেয়ারে বসতে দেবে কি না আমি জানি না। এই সামাজিক বৈষম্য পৃথিবীর আর কোথায় আছে জানি না। এটা কি এক ধরণের বর্ণবাদ? একটা সমাজে এই ধরণের বৈষম্য থাকলে সেই সমাজের সুষম উন্নয়ন কিভাবে সম্ভব।

আরেকটা বিষয় বলি। আমাদের সমাজে শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা সব পেশায় যেতে চায় না। যদিও আগের চেয়ে অবস্থার কিছু উন্নতি হয়েছে। এখন অনেক রেস্টুরেন্টে দেখি শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা কাজ করছে ওয়েটার হিসাবে। দূর পাল্লার বাসে সেবক হিসাবে কাজ করছে ডিগ্রি বা মাস্টারস পাস করা ছেলেরা। হোম ডেলিভারি দিচ্ছে শিক্ষিত ছেলেরা। তবে এখনও অনেক শিক্ষিত তরুণ আছে যারা এই পেশাগুলিতে যাবে না বছরের পর বছর বেকার থাকা সত্ত্বেও। আমার একটা গ্রাম সম্পর্কের ভাগ্নে আছে। গরীব ঘরের ছেলে। অনেক কষ্টে সে বিবিএ পাস করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বছর খানেক বেকার থাকার পরে আমাকে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়েছে যে মামা একটা চাকরী দেয়া যাবে। আমি তার জন্য কর্পোরেট জব আগেও চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে বিবিএ পাস হলেও যোগ্যতার মাপকাঠিতে পিছিয়ে। কম্পিউটার চালাতে পারে না বললেই চলে। ইংরেজিতে দুর্বল। ই-মেইলে যোগাযোগ সে কখনও করেনি। এই সব কারণে চেষ্টা সত্ত্বেও তার চাকরীর ব্যবস্থা করতে পারিনি। তার মেসেজ পেয়ে আমি তাই তাকে লিখলাম যে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরী করবে কি না। সে রাজী হলে একটা কোম্পানির সিকিউরিটি বিভাগে চাকরী দেয়া সম্ভব হতো। কিন্তু সে আমার মেসেজের উত্তর দেয় নি। সম্ভবত এই চাকরীকে সে সম্মানজনক মনে করেনি। আমি তাকে বেশ কয়েকবার বলেছি গাড়ি চালানো শিখতে কিন্তু সে এটাকেও সম্মান জনক পেশা হিসাবে মনে করেনি।

আমাদের সমাজে কিছু সামাজিক বৈষম্য আছে যেটা এই যুগে থাকা উচিত না। যেমন আমরা পিয়ন, দারোয়ান, গৃহকর্মী, গাড়ি চালক ইত্যাদি পেশার লোকদেরকে একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখি এবং আমাদের সাথে এক সাথে চলার যোগ্য মনে করি না। এই পেশাগুলিতে ডিগ্রি বা মাস্টারস পাস খুব কম ছেলেই আসে। এটার মূল কারণ এই পেশাগুলিকে আমরা নিচু শ্রেণীর পেশা মনে করি এবং এই পেশা নিলে আমাদের সামাজিক মান মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে বলে আমরা মনে করি। আবার এই পেশার লোকদের সাথেও আমরা অনেকে খুব অমানবিক ব্যবহার করি। আমরা আরবদের দোষ দেই গৃহকর্মীর উপর যৌন এবং শারীরিক নির্যাতনের জন্য। কিন্তু আমাদের দেশেও গৃহকর্মীরা চরম নিগৃহীত। আমরা মনে করি এরা নিচু জাত। আমাদের এই দীনতা দূর করতে হবে নিজেদেরকে সভ্য দাবী করতে হলে। অতীতের সামাজিক বৈষম্য এই যুগেও বজায় রাখা মানে আমাদের সমাজের বাহ্যিক জৌলুস বৃদ্ধি পেলেও আমাদের মন মানসিকতার মধ্যেও এখনও এক ধরনের বর্ণবাদ আছে। ধনী আর দরিদ্র শ্রেণীর মাঝে একটা অদৃশ্য দেয়াল আমরা এখনও রেখে দিয়েছি। এই দেয়াল ভেঙ্গে ফেলতে আমরা কি পারবো? সম্ভবনা খুব কম মনে হচ্ছে আমার কাছে। ব্লগাররা কি মনে করেন?

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৩

বিষাদ সময় বলেছেন: আমাদের সস্কৃতিটা এখন এক রকমের ট্রাইজেন্ডার সংস্কৃতি হয়ে গেছে। দেশ এবং সস্কৃতি সবই প্রচণ্ড অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কোথায় গিয়ে সেটেল হবে আল্লাহ জানেন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা ভিন্ন সংস্কৃতি খারাপ দিকটা নিতে চাই আর ভালোটা আমাদের নজের আসে না। যার কারণে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই দেশে ভালো কোন শাসক না আসার কারণে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়া লোকেরা সমাজকে আরও কলুষিত করছে।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৫

মিরোরডডল বলেছেন:




আমাদের বাসায় একজন আসে, ঘণ্টা কয়েক মায়ের কাজে হেল্প করে যায়।
ফ্যামিলি মেম্বারের মতোই একজন সে। কোন বৈষম্যতো নেই! বরং রেস্পেক্টফুল।

একটা কথা আমি বাসায় সবসময় বলি, এই মেয়েটির সাথে আমি বা আমার বোন,
যারা জব করছি there's no difference.
we all are working women.
কাজের যোগ্যতা আর অপরচুনিটির জন্য আমাদের কাজের টাইপ ভিন্ন, at the end we all are same.

আমি যখন ঢাকা যাই, এমন কত হয়েছে আমি চা বানিয়ে মা আর ওকে নিয়ে একসাথে চা খাই, জীবনের গল্প করি, গল্প শুনি।

তবে এটা সত্যি, ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন চিত্র আছে, থাকবে।


১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডল বৈষম্যহীন আচরণ করছে। তার এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসনীয়। কিন্তু আমরা কয়জন সেটা পাড়ছি বা করছি। আমরা অনেকেই মনে করি এই শ্রেণীর সাথে যা করা হচ্ছে সেটাই সঠিক। অফিসে অনেক সময় দেখি ৬৫ বছরের পিয়নকে তুমি করে ডাকছে তরুণ বয়সের ছেলেরা। আবার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও একটা পিয়নকে অফিসার বানানো যাচ্ছে না। তাকে আজীবন পিয়নই থাকতে হবে। এইচ আর পলিসি বা প্র্যাকটিস পিয়নের অফিসার হওয়াকে সমর্থন করে না। সাপোর্ট স্টাফ নামে আলাদা একটা ক্লাস আছে এইচ আর পলিসিতে যেখানে পরিষ্কার বৈষম্য খুঁজে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে অনেক বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে পিয়ন এবং ড্রাইভারদের বিশেষ রঙের শার্ট, প্যান্ট পড়তে হয় যেন বোঝা যায় তারা এই বিশেষ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।

আমার অফিসের একজন ৬৫ বছরের বাবুর্চিকে এক বড় কর্মকর্তার স্ত্রী তার বাসায় ডেকে কচুর লতি বাছতে দিয়েছে। তাকে দিয়ে ঘর মোছাচ্ছে। দুঃখ করে আজকে সে আমাকে কথাগুলি বলল। তার মানে দেখা যাচ্ছে একটা বয়স্ক মানুষকে অসম্মান করতেও আমাদের বাধে না।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বর্তমানে বাংলাদেশে স্থায়ী কাজের লোক নেই বললেই চলে।
আর যারা কাজ করতে আসে, ছুটা। দুই ঘন্টার বেশি থাকে না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি এগুলি বলে মনে হয় বুঝাতে চাচ্ছেন যে সামাজিক বৈষম্য দূরে হয়েছে। কোন প্রয়োজনে ছুটা বুয়াকে খাবার টেবিলে আমরা বসতে দেই কি? যদি না দেই সেই ক্ষেত্রে কারণটা কি? এই রোগ আমাদের সমাজে আছে ব্যাপকভাবে। আমরা এটাকে একটা সমস্যা হিসাবে শিকার করি না। তাই সমাধানের প্রশ্ন অনেক দূরে। আমিও তার মধ্যে পড়ি কখনও কখনও। আমাদের সমাজের নিয়ম আমাদেরকে প্ররোচিত করে এই বৈষম্যমুলক নিয়ম মানার জন্য।

এ কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে আমাদের সমাজে অতি দরিদ্র একটা শ্রেণীর প্রতি আমাদের আচরণ মানবিক না। আপনি বিদেশে থাকেন। আপনার পার্থক্যটা আরও ভালো বুঝতে পারার কথা।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২০

মিরোরডডল বলেছেন:




এই দেয়াল ভেঙ্গে ফেলতে আমরা কি পারবো? সম্ভবনা খুব কম মনে হচ্ছে আমার কাছে।

পারবো, পারতে হবে।
যখন পারবো, তখনই আমরা সঠিকভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারবো।
তবে এটা ঠিক, সেইদিন আসতে সময় লাগবে অনেক।

আলটিমেইটলি এটাই আমাদের লক্ষ্য এবং স্বপ্ন হওয়া উচিত, সুস্থ বসবাসের জন্য একটা শ্রেণী বৈষম্যমুক্ত সমাজ।
শান্তিপূর্ণ জীবন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটার মূল একটা কারণ হল চরম অর্থনৈতিক বৈষম্য একটা শ্রেণীর মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হওয়া। এরা যদি আর্থিকভাবে মোটামুটি সচ্ছল থাকতো তাহলে আমরা এদের সাথে এই ধরনের আচরণ করতে সাহস পেতাম না। তাই যতদিন দরিদ্রতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় না কমবে ততদিন এই বৈষম্য থাকবে বলে মনে হচ্ছে।

বৈষম্যের একটা অদৃশ্য দেয়াল যে আমাদের সমাজে আছে এটাকে আগে আমাদের মানতে হবে।

'আলটিমেইটলি এটাই আমাদের লক্ষ্য এবং স্বপ্ন হওয়া উচিত, সুস্থ বসবাসের জন্য একটা শ্রেণী বৈষম্যমুক্ত সমাজ। শান্তিপূর্ণ জীবন। '

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:




আমাদের পিছিয়ে থাকার কারণের মাঝে এটা একটা বিশেষ কারণ।
আমাদের নিজেদের মধ্যে রেসিজম চরম লেভেলের।
সাচুর প্রতিমন্তব্যে মেনশন করা চিত্রগুলো বদলাতে আরও শত বছর লাগবে, কথা সত্যি।

এখন রাত সাড়ে তিনটার বেশি বাজে, সকালেতো অফিস আছে।
আমি চলে যাচ্ছি।
এই পোষ্টে আরও অনেক কথা হবে সাচু।
ভালো থাকবে।
গুড নাইট!

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি সম্পূর্ণ একমত মিররের কথার সাথে। সে বলেছে, আমাদের পিছিয়ে থাকার কারণের মাঝে এটা একটা বিশেষ কারণ।

আমাদের এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে শ্রেণী বৈষম্য বাড়ছে। ফলে গরীব মানুষ অনেক ক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও উপরে উঠতে পাড়ছে না। একটা অদৃশ্য দেয়াল আমরা তৈরি করে রেখেছি। তবে তার মধ্যে আশার আলোও আছে। আমাদের অফিসে একজন পিয়নের বয়স ৬৫ বছর। সারা জীবন সে পিয়ন ছিল এখনও আছে। কিন্তু তার এক ছেলে এবং এক মেয়ের একজন বিসিএস কর্মকর্তা আর আরেকজন ডাক্তার। সে তার জীবন এইভাবে শেষ করে দিলেও তার পরের প্রজন্মকে সে এই সামাজিক বাধার শিকার হতে দেয় নি। তবে এগুলি ব্যতিক্রমী ঘটনা।

এই কথাও ঠিক যে আমাদের মধ্যে রেসিজম চরম লেভেলের। যদিও আমরা সেটা স্বীকার করি না। এগুলি জাতিকে পিছিয়ে দেয়। এগুলি থেকে কবে বের হতে পারবো বলা মুশকিল।

এতো রাতে পোস্টে অংশ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি আগামী কাল আবার এই বিষয়ে আলাপ হবে। শুভ রাত্রি।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঢাকায় এসে প্রথমবার যে চাকরিটা করতাম; একদিন মালিকের বাসায় গেলে বসতে দেওয়া হলো এমন এক টুলে, মনে হয় ফকিরও বসবে না। আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। আরেকদিন গেলাম, এবার সোফা রেখে টুলে বসতে দিল। বসতাম না, কিন্তু লেখালেখির কাজ ছিল আর একটু নাস্তাপানিও ছিল। এরপর আরও একাধিকবার ওই বাসায় গিয়েছি। কখনও বসতে বলা হয়নি, নাস্তা তো দূরের কথা। শুনেছিলাম মালিকের ছেলে, যিনি বর্তমানে মালিক; তিনি নাস্তা দেওয়ার ব্যাপারটা পছন্দ করেননি। তিনিই একবার অফিসে উনার সামনে চা খাওয়ায় কাজের লোক ডেকে চা ফেরত নিয়ে যেতে বলেছিলেন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আমার নিজের জীবনের একটা ঘটনা বলি। এটা বলার উদ্দেশ্য হল আমাদের দেশের শিল্পপতি শ্রেণীর মন মানসিকতা সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য। আমার প্রথম দিকের একটা চাকরীতে আমি অফিসার লেভেলে চাকরী করছিলাম। স্বনামধন্য কোম্পানির এমডি সাহেবের রুমে আমি পকেটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম। আমার বয়স কম তখন তাই অত নিয়ম কানুন আমার মাথায় ছিল না। উনি আমাকে বললেন পকেটে হাত দিলে পিপল মাইন্ড। পিপল বলতে উনি আসলে ওনাকে বুঝাতে চাচ্ছেন। আমি পকেট থেকে হাত বের করে ফেললাম। যদিও মনোবিজ্ঞানীরা বলেন যে মানুষ আসলে অস্বস্তি বা ভয়ের সময় অনেক ক্ষেত্রে পকেটে হাত রাখে। সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু উনি মাইন্ড করেছেন যে একজন এমডির সামনে একটা অফিসার কোন সাহসে পকেটে হাত রেখে দাঁড়িয়েছে। আসলে আমি ধারণা করেছিলাম যে ওনারা শিল্পপতি মানুষ বিভিন্ন উন্নত দেশের মানুষের সাথে ওঠা বসা ওনাদের। ওনাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চয়ই অনেক উন্নত হবে এবং অন্তত সংকীর্ণ হবে না। কিন্তু আমি হতাশ হলাম যে আমাদের দেশের অনেক মানুষের প্রচুর টাকা থাকলেও বা তারা বিভিন্ন উন্নত দেশ ঘোরার পরেও তাদের মধ্যে থেকে বাঙ্গালী সমাজের বৈষম্যমুলক আচরণগুলি দূর হয় না। এরা একটা বিদেশির সাথে যে আচরণ করবে তার অফিসের অধস্তনের সাথে সেই আচরণ করবে না। বাঙ্গালী স্টাইলে ডমিনেট করতে চাইবে।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি কাতারে অনেকদিন বেকার ঘোরাঘুরির পর একটা ছোট চাকরি পেয়েছিলাম। কিন্তু করি নি। কারণ আমার মনে হয়েছিলো ঐটা আমার সঙ্গে যায় না।
দেশে অনেক কিছু চেষ্টা করার পাশাপাশি একবার একটা অল্প বেতনের চাকরি করি প্রায় ৫ মাস। বেতন অনেক কম ছিলো। আমার পারফরম্যান্সও ভালো ছিলো না। আমি চেষ্টা করেছিলাম ঐটা যেকোনো ভাবে ধরে রাখতে। কিন্তু আমার সাথে এমন আচরণ করা হয়েছিল চাকরি না ছেড়ে উপায় ছিলো না।
পরে আর কখনো চাকরির জন্য চেষ্টা করি নি।
ঐ চাকরি ছাড়ার পর একজনের সাথে একটা মুদি দোকান পার্টনারশিপে শুরুর পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু একজনের আপত্তিতে আর করা হয় নি।

অনেক সময় পরিবারের কারণেও ছোটখাট ব্যবসা শুরু করা যায় না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশে প্রাইভেট চাকরী ভালো মানুষের জন্য না। এই দেশের শিল্পগ্রুপগুলির বেশীর ভাগ মালিক বিভিন্ন ধান্ধা করে বড় লোক হয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে নৈতিক সমস্যা প্রবল। ব্যতিক্রম খুব কম।

আপনার কথা ঠিক যে অনেক সময় পরিবারের কারণেও ছোটখাট ব্যবসা করা যায় না। এই সব কারণে আমাদের সমাজ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে আছে। এগুলি সামাজিক প্রতিবন্ধকতা যা আমরা নিজেরা বানিয়েছি।

কে কি ভাবলো সেটা চিন্তা না করে আয় রোজগারের জন্য যেটা পারা যায় সেটাই করা উচিত। মানুষ শুধু সমালোচনাই করবে কেউ এগিয়ে আসবে না।

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনি কাজের মানুষের কথা বললেন। অনেকে তো গরীব আত্মীয়কে ঠিকমতো আপ্যায়ন করে না। বাসায় আসলে মনে করে, সাহায্য চাইতে আসছে।

ধনী গরীবের দেয়াল ভাঙতে হলে একে অন্যের সাথে আত্মীয়তা করতে হবে। সেখানেও সমস্যা আছে।
আপনি যদি আপনার অবস্থানের চাইতে কম যোগ্যতাসম্পন্ন কারো সাথে সম্পর্ক করেন। তাহলে পচা শামুকে পা কাটবেই।
এই দেয়াল ভাঙবে না। এটাই প্রকৃতির নিয়ম বলেন অথবা আল্লাহ পাকের ইশারা বলেন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গরীব আত্মীয়ের ক্ষেত্রেও এটা সত্যি। অনেকে গরীব আত্মীয় আসলে বিব্রতবোধ করে। বিশেষ করে ঢাকার মানুষেরা। আমাদের বড় শহরগুলি থেকে মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে।

এই নিয়ম আমরা বানিয়েছি। পৃথিবীর খুব কম দেশেই এই ধরনের খারাপ নিয়ম এই যুগে আছে। যারা এই ধরনের বৈষম্য দূর করতে পেরেছে সেই জাতিগুলিই এগিয়ে গেছে। তাই সময় লাগলেও এই আত্ম বিধ্বংসী নিয়ম থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আজ থেকে প্রায় ৮ বছর আগের কথা এক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আমাকে বলেছিলেন তিনি ইউরোপ আমেরিকায় পাড়ি জমাবেন। কারণ সেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নিপিড়ীত মানুষেরা গিয়ে বসতি স্থাপন করেছেন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাগ্যান্বেষণে বহু মানুষ ইউরোপ এবং অ্যামেরিকাতে গিয়েছে এবং যাচ্ছে। যারা নিজের দেশে সুযোগ পায় নাই তারা ঝুকি নিয়ে এই সব দেশে গিয়েছে এবং এখনও যাচ্ছে। তবে অনেক ক্রিমিনাল, ডাকাত, জলদস্যু গ্রেফতার এড়ানোর জন্য অতীতে অ্যামেরিকাতে গিয়েছে। আবার অ্যামেরিকার নিগ্রদেরকে ক্রীতদাস হিসাবে আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছে। তারা এখন ভালো করছে। এশিয়া থেকে কোটি কোটি মানুষ প্রতিনিয়ত এই সব উন্নত দেশে যাচ্ছে যার বড় একটা কারণে নিজেদের দেশে তাদের আয় রোজগার হচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে আরবের মরুভূমিতে যারা যাচ্ছে বা যারা ইউরোপে জীবনের ঝুকি নিয়ে যাচ্ছে তারা দেশে তেমন কিছু করতে পারেনি বলেই যাচ্ছে।

১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: এটা আমাদের উপনিবেশিক মানসিকতা।তারা আমাদের তৃতীয় শ্রেনীর মানুষ মনে করতো।স্বাধীনতার এতো বছর পরও আমাদের দেশে অনেক স্থানে তৃতীয় শ্রেনী আছে।ভারত সরকারী ভাবে এটা তুলে দিয়েছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপনিবেশ আমলে ইংরেজরা ওদের ক্লাবে লিখে রাখতো ডগস অ্যান্ড ইন্ডিয়ানস আর নট অ্যালাউড। বাংলাদেশে ট্রেনে এখন আর তৃতীয় শ্রেণী বলা হয় না। নাম পরিবর্তন করে সম্ভবত সুলভ শ্রেণী করেছে।

১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশে গৃহশ্রমিক ও দাসের মাঝে পার্থক্য বেশি নাই।বিদেশে মেইড সিস্টেম আছে। কিন্ত সেই মেইড নিতে হলে একটা চুক্তিপত্র করতে হয়। সেই চুক্তিপত্রে মেইডকে কিভাবে বাসায় রাখতে হবে , কেমন ব্যবহার করতে হবে তা সুস্পষ্টভাবে উল্ল্যেখ করা থাকে। গৃহকর্মীর সাথে বাজে আচরন করা হলে ,সে যে কোন মুহুর্তে কমপ্লেন করে দিতে পারে। এমপ্লয়ারের সেক্ষেত্রে ফাইন ও জেলের বিধান রয়েছে। আমাদের দেশে এসবের কোন বালাই নাই। বিশেষ করে শিশু গৃহকর্মী রাখার মত জঘন্য ও পৈশাচিক সিস্টেম আমার মনে হয় এই পৃথীবিতে দ্বীতিয় আর কোন দেশে নাই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার চেনা জানা অনেক মানুষ সম্পর্কে জানি যারা গৃহকর্মীর গায়ে হাত তোলে এবং নির্মমভাবে প্রহার করে। আমাদের দেশে গৃহকর্মীরা প্রায়শই নিগৃহীত। উন্নত দেশে এই ধরণের অনাচার হওয়ার সুযোগ নাই। আইন কানুন যেমন আছে তেমনি আইনের প্রয়োগও আছে।

১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মুই গরীব মানু।
বাসাত টিবিও নাই।
সোবাও নাই।
ঝারা হাতপাও।
এই সব নিয়ে টেনশনও নাই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টেনশন খারাপ জিনিস। এটা না থাকাই ভালো।

১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আগেও বলেছি, ড্রাইভিং, সিকিউরিটি, কেয়ারটেকার - এসব কাজে শিক্ষিত লোক আসা উচিত। কিন্তু আমাদের কালচার বদল হচ্ছে না। আমি নিজেও এর বাইরে থাকতে পারছি না। আমাদের দেশে কাজের মেয়েকে ঘুমানোর খাটও দেয়া হয় না, ঘুমাতে হয় ফ্লোরে। কিছু উচ্চবিত্ত পরিবারে আলাদা রুম দিয়ে দেয়। আমার কাজের লোক রাখার সামর্থ্য নেই। তবে আমার ভাইয়ের ঘরে (আম্মা থাকেন ওখানে) কাজের মেয়ে রাখতে চাইলে আমি সবসময় বলি, যেন পার্মানেন্ট কাউকে না রাখে, কারণ রাখতে হলে সে ঘুমাবে আম্মার রুমে ফ্লোরে, যেটা আমার ভাল লাগে না...

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সমাজে একটা অদৃশ্য দেয়াল আছে। আমাদের এই সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো খুব কঠিন একটা ব্যাপার। আমাদের দেশে যখন দরিদ্রতা আরও অনেক কমে যাবে তখন হয়তো এই সমস্যা দূর হবে। কারণ তখন বাসায় কাজ করার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। একটা ড্রাইভারের বেতন এতো বেশী হবে যে খুব মানুষ গাড়ির জন্য ড্রাইভার রাখতে পারবে। আমাদের দেশে অতি দরিদ্র মানুষ বেশী হওয়ার কারণে খুব কম টাকায় এই ধরনের কাজের মানুষ পাওয়া যায়। একজনকে চিনি যাদের বাসায় দুইজন প্রবীণ বাস করে। তাদের কাজের লোক দুইটা, ড্রাইভার একটা। অফিসে তার জন্য একজন পিয়ন বরাদ্দ অফিসের কাজের জন্য। কিন্তু তাকে দিয়ে সে যাবতীয় ব্যক্তিগত কাজ করায়। এছাড়াও অফিসের বাবুর্চিকে ঘরে ডেকে কাজ করায়, অফিসের দেয়া গাড়ি
তার চোদ্দগুষ্টির কাজে ব্যবহার করে।

১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

শায়মা বলেছেন: আমাদের বাসায় একটা মেয়ে এসেছে। আসমার বোনের মেয়ে। তার মা তার বয়স ১০ বলেছিলো এবং এটাও বলেছিলো তার ৬ ছেলেমেয়ে নিয়ে খেতেও দিতে পারছে না। এর পরে আরও চার ভাইবোন আর বড়টাও ঢাকার নতুন বাজারে এক বাসায় আছে যার বয়স ১৩।
এত ছোট মেয়ে শুধু শিশুশ্রমের বেআইনী আওতায় পড়ে তাই নয় এতটুকু মেয়ে কি কোথাও উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলীতেও কাজ করে! বা আমরা বলতে পারি যা বাসন মাজ কাপড় কাজ! এই অমানবিক কাজগুলো শুধু দরিদ্র শ্রেনীর মানুষগুলোই করছে দিনের পর দিন।

তবুও তার মা অনেক বলে কয়ে রেখে গেলো! ফুটফুটে সুন্দর একটা মেয়ে। কথাও বলে বাচ্চাদের মত! আমি তো অবাক! তোমার বয়স দশ!! সে বলে বইলেন না আন্টি কাউরে। আমার বয়স ৯ হবে এই বছরে। মা মিছা কথা বলছে। বেশি ছোট বললে যে আপনারা রাখবেন না তাই।

আহারে বাচ্চাটা! :(

যাইহোক আমি অবশ্য পেয়ে গেলাম আমার নতুন খেলার পুতুল! সত্যিই দুইটা বারবিডল বের করে দিলাম আমার বারবিডলেদের ঝুড়ি থেকে। ছবি এঁকে দিলাম রঙ করতে। আবার বললাম লিখতেও- আমার নাম সোমা, আমার বাড়ি ময়মনসিংহ বারহাট্টা। তাকে যা শিখাই তাই সে শিখে ফেলে এবং আমার পাশ ঘেষেই থাকে। চুল আঁচড়ে দেয়। নেইল পলিশ তুলে দেয় আবার লাগিয়ে দেবারও চেষ্টা করে।

আমি বললাম তুমি কি বাড়িতে তোমার মায়ের চুল আঁচড়ে দিতে সে বললো না। তুমি কি তোমার বোনদের সাথে ছবি আঁকতে সে বললো না। আমি বললাম স্কুলে ছবি আঁকতে না!! সে তো আকাশ থেকে পড়লো, বলে স্কুলে ছবি!! স্কুল কি ছবি আঁকার জায়গা নাকি!!

আহারে বাচ্চাটা!

আমি ওর জন্য জেলী কিনে এনেছি কারণ সে সকালে নাকি বাড়িতে খায়না তারা। একবারে দুপুরে খায়। আমি প্রিঙ্গেলস দিলাম সে তো মহা খুশি। আমরা যা যা খেতামও না বুড়ি হয়ে গেছি বলে সেসব দেখলেই এখন ওর জন্য কিনি।

বললাম সোমা তুমি এর আগে যেই বাড়িতে গেছিলে তারা কি তোমাকে অনেক মজার মজার খাবার দিত?? মানে তারা যেটা খায় সেটাই দিত সে বললো

নাহ! তারা টেবলত বইসা খাইত আমারে একা একা রান্নাঘরে খাইতে দিত। তারা চৌকিত ঘুমাইত আমারে পাটিৎ ঘুমাইতে দিত!

আমি চুপ হয়ে গেলাম! ভয়ে জিগাসা করতেই পারলাম না প্রথমে। তারপর বললাম সোমা আমরাও তো টেবিলে খাই তুমি তো আমাদের সাথে খাও না।

সে বলে তো কি হইসে আমাদের টেবিল আলাদা খালা কইয়া দিসে। তবুও আমার আপনারে অনেক ভালা লাগে। আপনি অনেক ভালো। আমি কোনোদিনও বাড়ি যাবো না।

আমি মাঝে মাঝে একটু বিছানায় রেস্ট নিতে দুপুরের দিকে চোখ বুজলেও সে এসে আমার পাশে বসে থাকে। আমি কখনও দুপুরে ঘুমাই না চোখ বন্ধ দেখে একদিন বুঝতে পারলাম সে আস্তে করে আমার পাশে ভয়ে ভয়ে শুলো। তারপর আবার উঠে পড়লো।

এখন সে আমার সাথে খেতে বসে না বটে তবে আমার এই কম্পিউটার রুম ছাবি আঁকার রুম বা হারমোনিুান বা গিটারের রুমে সে আমার সর্বক্ষনের সঙ্গি। আমার কান্ডগুলো শুধু দেখেই না নিজেও করার ট্রাই করে।

আমার গিটার বাজনার ফাকে ফোন আসলে সে টিটিং টিটিং শুরু করে দেয় । ল্যাপটপ পসে রাখলে ঠাস করে অন করে দেয়। তখন অবশ্য একটু তাকে থামাতেই হয় চোখ রাঙ্গিয়ে।

সে হাসতে থাকে। ভুবন ভোলানো হাসি।

আমাদের বাড়ির এখন সে খেলার পুতুল।সবাই ওকে ভালোবাসে সে দারোয়ান ড্রাইভার আরও যত শত কাজের লোকজন আছে সবাই বটেই আমাদের আত্মীয় স্বজনেরাও বুঝে গেছে ওকে ভালোবাসতেই হবে এই বাড়িতে আসলে।

আজ আমি আর সে একটা পুতুলের বাড়ি বানাবো দুপুরের পর। :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বেশ কিছু মানবিক গুণ আছে। মন্তব্য থেকে আরেকটা গুণ সম্পর্কে জানতে পারলাম। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা আরও বেড়ে গেল।

১৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

কঙঋঈঈ বলেছেন: In search of wealth, a lot of people have been traveling to America and Europe. Individuals who were denied opportunities in their home countries bravely traveled to these new countries and continued their journey.
geometry dash

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। কয়েক শতাব্দী ধরে এই ধারা চলে আসছে। নিজ দেশে যারা বিত্তহীন বা সুবিধা বঞ্চিত তারা অনেক ধরণের বিপদ সয়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে জীবনের ঝুকি নিয়ে ইউরোপ এবং অ্যামেরিকায় এসেছে। তারাই কঠোর পরিশ্রম করে সফল হয়েছে এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবী নিশ্চিত করেছে।

১৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১০

মিরোরডডল বলেছেন:




আমাদের সমাজে শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা সব পেশায় যেতে চায় না। যদিও আগের চেয়ে অবস্থার কিছু উন্নতি হয়েছে।

এভাবেই আস্তে আস্তে আরও হবে।

আমাদের দেশে কাজ মানেই এখনো ম্যাক্সিমাম জব ফুলটাইম, সে কারণে অনেকে কাজ করতে পারে না প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও।
যদি আরও বেশি পার্টটাইম জব, ক্যাজুয়াল জবের অপশন থাকে স্টুডেন্টরা পড়ালেখার পাশাপাশি সব ধরণের কাজ নিজের প্রয়োজন মতো করতে পারবে । এতে অল্প বয়স থেকেই স্টাডির পাশাপাশি নিজেরাই পকেট মানি রোজগার করবে।

উপার্জন করতে শুরু করলে দায়িত্ব নিতে শিখবে, অর্থকে মূল্যায়ন করতে শিখবে।
অভিজ্ঞতা হবে। পরবর্তীতে ক্যারিয়ারে এসব অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু কাজে লাগে।
শুধু স্টুডেন্ট না, ডিফারেন্ট অপশন থাকলে সবার জন্যই সুবিধা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশে এতো মানুষ বেকার যে এখানে পার্ট টাইম জব নেই বললেই চলে। খুব অল্প টাকায় একটা মানুষকে ফুল টাইম জবে রাখা যায়। পার্ট টাইম জবের সংখ্যা আমাদের আরও বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। ইদানিং অবশ্য অনেক কলেজ এবং ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়ে অনলাইনে আয় রোজগার করে। অনেকে টিউশনি করে।

নিজে উপার্জন না করলে টাকার মূল্য বোঝা যায় না। আমাদের দেশে যদি সামাজিক বাধা না থাকতো তাহলে মধ্যবিত্ত ঘরের অনেক ছেলেমেয়ে ছোটখাটো কাজে আরও বেশী এগিয়ে আসতো। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে কিছুটা পরিবর্তন আসছে।

১৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫০

ফিনিক্স! বলেছেন: খুব বাস্তব একটা সামাজিক প্রথার বিষয় তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পরিবর্তন এর আশায় পথ চেয়ে রই সব সময়।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সমাজে এই ধরণের বাধা থাকার কারণে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মধ্যবিত্ত অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পাড়ছে না। এছাড়া অতি দরিদ্র মানুষেরা অভাবের তাড়নায় গৃহকর্মীর কাজ করছে কিংবা পিয়নের ড্রাইভার হিসাবে কাজ করছে। কিন্তু এদের সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বৈষম্য মুলক। এই মন মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের বাসায় মোট ৫ জন গৃহকর্মী। এরা দীর্ঘদিন ধরে আছে। সকাল ত্থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকে। একজন আছেন সেলিনা নাম। উনি আমাকে প্রায়ই বলেন চা বানান। চা খেয়ে কাজ শুরু করি। আমি চা বানিয়ে তাকে দেই। নিজেও এক কাপ নিই। সেলিনা আমার পাশে বসে চা খায়। এরা আমাদের সাথে টেবিলে বসে খায়। কোনো বাধা নিষেধ নেই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই মানবিক গুণ সত্যিই প্রশংসনীয়।

১৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১

বিষাদ সময় বলেছেন: আবার মন্তব্যে ফিরে আসলাম । আমাদের বাসায় এক গৃৃহকর্মী আছে যে সকাল ১১ থেকে সন্ধা ৬ পর্যন্ত কাজ করে। প্রথম দিকে মেঝেতে বসেে খেত। একদিন শীতের দিনে বুঝলাম মেঝেতে বসে খেতে কস্ট হচ্ছে। এর পর তার জন্য একটা মুড়া কিনে এনে দিলাম। তবে আমরা যা খাই সেও তাই খায় এমনকি সে নিজ হাতে নিজের খাবার বেড়ে খায় আমরা কিছু বলিনা কারণ দেখি অনেক শিক্ষিত মানুষের চেয়ে তার বিবেক বিবেচনা ভাল।
তবে আমার কাছে কোথায় বসে খেল তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় গৃহ কর্মীদের শ্রমের সময় । এদের নির্দিষ্ট শ্রম ঘন্টা নেই, নেই কোন সাপ্তাহিক ছুটি। অবশ্য শুক্রবার আমাদের গৃহকর্মীটির ছুটি।

কোথায় বসে খেল বিষয়টা তখন ফ্যাক্টর হয় যখন এ নিয়ে কারও মনে মর্মবেদনা থাকে। নিচু উচু ভেদাভেদটা তখন অত্যন্ত খারাপ যখন কোন কোন ব্যাক্তি এ থেকে মর্মপীড়া অনুভব করে।
যাদেরকে আমরা নিচু বলে মনে করি বর্তমানে তাদের বেশির ভাগের এ ব্যপারে তেমন কোন মর্মপীড়া নেই। সাধারণ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত্বদের এরা তেমন পাত্তাও দেয়না। কাজের বুয়া, রিকসা ওয়ালা, হকার, এলাকার সেলুনের কর্মী কেউ আর এখন হীনমন্যতায় ভুগে না। আপনি যদি কেউকেটা না হন তবে কাজের বুয়াকে এক কথা বললে, তিন কথা শুনিয়ে দিবে। হকাররা সংঘবদ্ধ এবং নেতাদের আশ্রয়ে থাকে বলে ভদ্রলোকরা তাদের একটা কথা বলতে দশবার ভাবেন। এলাকার সেলুনের কর্মীরা পাতি নেতাদের সাঙ্গ পাঙ্গ, আপনি যদি এলাকার প্রভাবশালী না হন তারা আপনাকে দুই পয়সাও দাম দিবে না। ভার্সিটির হোটেল বয়রা নেতাদের আর্মস ম্যান। সাধারণ ছাত্রদের সাহস নাই তাদের কিছু বলার।

কাজেই বিষয়টা এখন আর জাত পাতে আবদ্ধ নাই এখন শ্রেনী হচ্ছে দুইটা শক্তিহীন আর শক্তিমান। শক্তিহীনরা শক্তিমানদের দ্বারা নিগৃহিত। বর্তমান যুগে সকল শ্রেনী পেশায়ই শক্তিমান এবং শক্তিহীনরা বিরাজমান।

কাজেই জাত পাতের অবমাননাকর অতীতের ধারণাটা আমার মনে হয় এখন আর তেমন কার্যকর না।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কাজের বুয়া বা রিকশাওয়ালা কথা শোনায় কারণ এরা প্রতিনিয়ত আমাদের অন্যায় আচরণের শিকার। যার কারণে আমাদের মধ্যবিত্তদের প্রতি এদের অনুভূতি ভোতা হয়ে গেছে। একজন রিকশাওয়ালা প্রায়ই মানুষের চড় থাপ্পড় খাচ্ছে। বুয়ারা কাজের সময় বোকা এবং দুর্ব্যবহার পাচ্ছে। বাসায় গেলে ঘিঞ্জি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকছে। অর্থের অভাবের কারণে এদের পরিবারগুলি পারিবারিক কলহ লেগেই থাকে। ফলে এদের অনুভূতিগুলি নষ্ট হয়ে যায়। মধ্যবিত্ত মানুষদের প্রতি এদের শ্রদ্ধা বা সম্মান অনেক ক্ষেত্রে এভাবে নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের অন্যায় আচরণ এদেরকে বিদ্রোহী করে তোলে।

কিন্তু আমি আসলে বলতে চাচ্ছি এদের সম্পর্কে আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি। আমাদের মধ্যে কয়জন একটা নাপিতের মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দিতে রাজী হবে। গৃহকর্মীর সাথে ঘরের ছেলের প্রেমের সম্পর্ক হওয়া সম্ভব না আমাদের সমাজে। কারণ তাদের সমাজ আর আমাদের সমাজ আলাদা। আমি এই অদৃশ্য দেয়ালের কথা বলতে চেয়েছি।

আপনি হোটেল বয়, নাপিতের উদাহরণ দিয়েছেন যারা অনেক সময় ক্ষমতা দেখায় হয়তো। কিন্তু এগুলি ব্যতিক্রম। বস্তির ছেলেও মাস্তানি করতে পারে। এগুলি ঘটে থাকে খারাপ পরিবেশের কারণে। সাধারণভাবে এই শ্রেণীর সাথে আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণী সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করতে রাজী হবে না। আমি এই সামাজিক শ্রেণী বিভেদের কথা বলছি। যেটা থাকা উচিত না। আমাদের উন্নত সমাজ হতে হলে এগুলি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

আপনি কিছু এই শ্রেণীর কিছু উগ্র লোকের উদাহরণ দিয়েছেন। কিন্তু একটা প্রভাবশালী হোটেল বয়ের সাথে কেউ সামাজিক সম্পর্ক করবে না তার সামাজিক অবস্থানের কারণে। সে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন। আমি এটাই বলতে চেয়েছি।

২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯

হবা পাগলা বলেছেন: Equality doesn't always mean that incomes need to be the same. While financial parity between individuals can be a form of equality, it's not the only way. Equality can also refer to equal opportunities, rights, or treatment regardless of income. In a broader sense, societal equality involves fair access to resources, opportunities, and treatment for everyone, regardless of income levels. So, while equal incomes can be a form of equality, it's not the sole definition or requirement for achieving equality in general.

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত। সমতার ক্ষেত্রে শুধু আয় রোজগারকে বিবেচনায় নিলে চলবে না। তাছাড়া পৃথিবীতে আয় রোজগারের বৈষম্য কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। মূল বিষয় হল সমতা নিশ্চিত করতে হলে সামাজিক কর্মকাণ্ডের সকল ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সামাজিক সম্পর্ক এবং সামাজিক আচরণের ক্ষেত্রেও সমতা আনতে হবে। নিচু জাত বলে কারও সাথে সম্পর্ক করা যাবে না এই ধরনের মন মানসিকতা আমাদের পরিহার করতে হবে। যে কোন পেশার লোককে সম্মানের সাথে দেখতে হবে। পেশার কারণে কারও প্রতি হীন আচরণ বা বৈষম্যমুলক আচরণ করা যাবে না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার বিয়ের পর বিশ ত্রিশ জন অন্তত মেয়ে ছিল । একসাথে দুইবোনও রেখেছিলাম। আমি কী বলবো। আমি কখনোও এদেরকে কাজের মানুষ হিসেবে দেখতাম না বা অমর্যাদা করতাম না। এরা যে বেত্তমিজ .. আদর করলে ভেবে বসে যে সে ঘরের মালকিন। বিভিন্ন ভাবে এরা আমাকে বিরক্ত করেছে। এতগুলা মেয়ে সবগুলাই আমার মানিব্যাগে হাত দিয়েছে। কত আদর করছি। কত কিছু কিনে দিছি। আমি কাজ দিলে মুখ ফুলাইয়া রাখতো। আর ভাইয়ারা ডাক দিলে মাগো মা, দুনিয়ার সব কাজ ফালাইয়া দৌড় দিতো। বান্দররে আদর করলে মাথায় উঠে এটা ঠিক।

শেষ পর্যন্ত তিন বছর কোন মানুষ রাখিনি। গত এপ্রিল থেকে একটা মেয়ে আনছিলাম। তারেও আদর করছি বেশ। কিন্তু এইটাও আমার সাথে বেঈমানি করছে। ৭কে দিয়ে রাখছিলাম। বলেছিলাম বইন তুমি তোমার মত প্রতিদিন যে কাজগুলো করতে হয় সেগুলো করে নিয়ো যাতে আমার বলা না লাগে। আমি বললে আমিও বিরক্ত তুমিও বিরক্তৰ। কিন্তু না সেই প্রতিদিনই বলতে হয় । শেষে রাগে না বললে দেখা যায় ঘরের সব নষ্ট। খেয়াল না করলেই সব শেষ। প্রথম দিকে তাকে ভালো ভাবছিলাম। টাকার ব্যাগ ড্রেসিং টেবিলেই রেখেছি।

একদিন তার ব্যাগ সে খুলতেছে এমন সময় গিয়ে দেখি আমার ব্রোচ পিন সহ আরও অন্যান্য জিনিস বুকটা চ্যত করে উঠছে। রাতে ব্যাগ খুলে দেখি আমার ব্যাগের টাকা তার ব্যাগে। কারণ সে যখন আসছিলতার কাছে একশত বিশ টাকা ছিল। আমি টাকা আর আনি নাই তবে ব্রোচগুলো নিয়ে আসছি। অথচ আমি আগেই ভেবে রেখেছিলাম মেয়েটা চলে যাবে তার মা অসুস্থ তাকে কিছু জিনিস কিনে দেব। কিন্তু সে আমার বিশ্বাস ভংগ করছে। তবুও আমি ব্রোচ সহ চুলের বেন্টসহ জায়নামাজ হিজাব তছবিসহ বেশ কিছু জিনিস কিনে দিয়ে বলেছি বইন তোমার কিছু লাগলে বলতে পারতা, কারো প্রিয় জিনিসে কখনো হাত দিবা না। এতে তার জাদের বদদোয়া লাগে। তাতে যার জিনিস নিছো তার কিছু আসে যায় না। কিন্তু তুমি ঠকবে বিপদে পড়বে। চুরি জিনিসটা ভালো না। সে কিছু বলে নাই। চলে গেছে মেয়েটা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে অভাবে স্বভাব নষ্ট বলে একটা কথা আছে। এই শ্রেণীর মানুষ এতো বেশী নিষ্পেষিত এবং নিগৃহীত যে এদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়। দেখবেন যে বস্তিগুলি বিভিন্ন অসামাজিক কাজ এবং ভয়ংকর অপরাধের আখড়া। তারমানে এই না যে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে অপরাধী নাই। মধ্যবিত্ত শ্রেণী ভিন্ন ধরণের অপরাধে যুক্ত। গৃহকর্মীদের আদর করা যেমন দরকার আছে তেমনি শাসনেরও দরকার আছে। আমরা শিথিলতা পেলে অলস হয়ে যাই। আমাদেরকে সব সময় চাপে রাখতে হয় যেন কাজে ফাঁকি না দেই। গৃহকর্মীদেরও ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। যে পরিবেশে এরা মানুষ হয় সেই পরিবেশ তাদের অপরাধী হতে প্ররোচিত করে।

২২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধনী-দরিদ্রের মাঝে যে অদৃশ্য দেয়ালের কথা বলেছেন, তা চিরকাল ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। শুধুমাত্র দারিদ্র্যের কারণে কাউকে ছোট করে দেখা, গালমন্দ করা বা তার ইজ্জতের অধিকার পদদলিত করা ইত্যাদি না করলেই হলো। আমি তো প্রবাসেও দেখেছি যে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার উদ্দেশ্যে যখন কয়েক ঘণ্টার জন্য ক্লীনার নিয়োগ করা হয়, তখন তারা কাজের ফাঁকে সোফা কিংবা চেয়ারে বসে বিশ্রাম নেবার কথা চিন্তাও করে না।
"পেশার কারণে কারও প্রতি হীন আচরণ বা বৈষম্যমুলক আচরণ করা যাবে না" (২০ নং প্রতিমন্তব্য) - এটাই আসল কথা, যা আমাদেরকে মানতে হবে।
১৯ নং মন্তব্যে বিষাদ সময় চমৎকার কথা বলেছেন যে কাজেই বিষয়টা এখন আর জাত পাতে আবদ্ধ নাই এখন শ্রেনী হচ্ছে দুইটা শক্তিহীন আর শক্তিমান। শক্তিহীনরা শক্তিমানদের দ্বারা নিগৃহিত। বর্তমান যুগে সকল শ্রেনী পেশায়ই শক্তিমান এবং শক্তিহীনরা বিরাজমান। আমি তার সাথে একমত।



০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.