নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাসড়কগুলিতে সতর্কবাণী লেখা থাকে চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালাবেন না। এই ধরণের পরিস্থিতি আগে হয় নাই আমার তাই ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝতাম না। গতকাল আমি বাধ্য হয়েছিলাম ঢুলু ঢুলু চোখে গাড়ি চালাতে। কারণটা আমার নিজের সৃষ্টি কিন্তু আমার স্ত্রীকে কারণটা বলার মত সাহস আমার ছিল না। আমার মাঝে মাঝে এলারজি সমস্যা দেখা দেয়। তখন হাত এবং মুখ আক্রান্ত হয়। আমার বউ আমার সামান্য কোন রোগের আলামত পেলেই ধরে বেঁধে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। চোদ্দ রকমের টেস্ট করাবে। আমাকে বকা ঝকা করবে শরীরের যত্ন না নেয়ার জন্য। তবে সে একটু বাড়াবাড়ি করে এই সব ব্যাপারে। যেটা আমার পক্ষে হজম করা কষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে সব কিছু তাকে বলি না।
এই কারণে গত পরশু এলারজির আলামত বুঝতে পেরে রাতে আমি এলারজির ওষুধ খাই। বউয়ের কাছে ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য একটার জায়গায় দুইটা ওষুধ খাই। এই ওষুধ খেলে খুব ঘুম আসে। গতকাল কাপ্তাই গিয়েছিলাম বেড়াতে গাড়ি চালিয়ে। সারা রাত ঘুমানোর পরেও আমার ঘুমের ঘোর কাটে না সারাদিন। যার কারণে বেড়ানোটাও মজা হল না আমার। ওরা ঘুরছিল আমি এক জায়গায় বসে ঝিমাচ্ছিলাম। বিকালে ফেরার সময় গাড়ি চালাতে কষ্ট হচ্ছিল ঘুম ঘুম ভাবের কারণে। এক জায়গায় ট্রাফিক জ্যামের কারণে গাড়ি অনেক ক্ষণ থেমে ছিল। সেই সময়ে কিছুক্ষণের জন্য চোখে তন্দ্রা চলে এসেছিল। আমার বিশ্বাস ছিল ঘুমিয়ে পড়বো না।
কিন্তু নিজের অজান্তে ঘুমের জগতে চলে গিয়েছিলাম কিচুক্ষনের জন্য। সামনের গাড়িগুলি এগিয়ে গেছে আর আমি ঘুমিয়েই ছিলাম। পাশে থেকে আমার বউ হাত দিয়ে ধাক্কা দেয়ার পরে উঠলাম আর গাড়ি চালালাম।
তখন আমার খেয়াল হল আসলে চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানো কতটা বিপদজনক। আমি ভাবলাম আমি যদি গাড়ি চলন্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে যেতাম তাহলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। তাই কারও উচিত না ঘুম আসলে গাড়ি চালানো। নিজের অজান্তে মানুষ হঠাৎ ঘুমের কোলে ঢোলে পড়তে পারে। বহু বছর গাড়ি চালাই কিন্তু এই ধরণের পরিস্থিতি কখনও হয় নাই। তাই ঘুম চোখে গাড়ি চালানোর বিপদ সম্পর্কে নিজের কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই সকলের প্রতি আহবান চোখে বেশী ঘুম থাকলে গাড়ি চালানো উচিত না। একান্ত চালাতে হলে মিস্টার বিনের মত চোখের সামনের অংশ টুথপিক দিয়ে খুলে রাখা উচিত নিচের ছবির মত।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের টাউন সার্ভিসের ৮০% চালক এবং হেল্পার ড্রাগ বা মদে আসক্ত। দূর পাল্লার ট্রাক চালকদের বড় অংশ মদ এবং পতিতায় আসক্ত।
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মানুষ তাহলে ঠেকে ও অনেক কিছু শিখে!
লাইসেন্স নেবার পরীক্ষায় লিখেছেন আর এবারে সত্যতা টের পেয়েছেন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি একটু ভয় পেয়েছিলাম। কারণ আমার ধারণা ছিল যে আমার ঘুমের উপরে আমার নিয়ন্ত্রণ আছে। আসলে ওষুধের কারণে ঘুম তো তাই নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ওষুধ না খেলে এই ধরণের ঘুমের চাপ আমার আসে না। আসলেও সেটা চা, কফি খেলে চলে যায়। আমি ওষুধ খেয়েছি আগের দিন রাতে। সারা রাত ঘুমিয়েছি। দুপুরের আগে পর্যন্ত সমস্যা হয় নাই। দুপর থেকে সমস্যা শুরু হয়। বাসায় পৌছাই সন্ধ্যায়। এসেই ঘুম। আজ সকালে ৮ টার সময়ে ঘুম ভাঙ্গে। মাঝখানে ঘুম ভাঙ্গেনি একবারও।
ঠেকে শিখতে গেলে অনেক সময় অনেক মূল্য দিতে হয়। মূল্য দেয়ার আগেই কালকে আমার আক্কেল হয়েছে।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
একান্ত চালাতে হলে মিস্টার বিনের মত চোখের সামনের অংশে টুথপিক দিয়ে খুলে রাখা উচিত নিচের ছবির মত।
নেক্সট টাইম এই অবস্থায় সাচুর একটা ছবি দেখতে চাই
ঘুম ঘুম ভাব শুরু হবার সাথে সাথেই কোথাও গাড়ি থামিয়ে চা কফি সিগারেট কিছু একটা খাবে যাতে ঘুম চলে যায়।
অথবা গাড়ির বাইরে বের হয়ে কয়েক মিনিট আসে পাশেই হাঁটবে।
ঘুমের ঘোর কেটে গেলে তখন আবার ড্রাইভিং কনটিনিউ করবে।
আমার রাতের ঘুম দুই থেকে তিনটা ঘণ্টা, এই অবস্থায় প্রতিদিন ড্রাইভ করি, যেহেতু অভ্যাস হয়ে গেছে, সমস্যা হয়না।
মাঝে মাঝে একটু ডিজিনেস হয়।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার চোখটা কানা করতে চায় মনে হয় মিরোরডডল।
আসলে ওষুধ না খেলে এতো প্রবল আর দীর্ঘ ঘুমের ঘোরে কখনও আক্রান্ত হই না। হলেও চা, কফি আর হাঁটাহাঁটিই যথেষ্ট। আর রাতে আমার ভালো ঘুম হয়। অনিদ্রা হয় না কখনও। বরং বেশী ঘুমানোর রোগ আছে। একটু ঘুম কাতুরে টাইপের। ঘুম আমি খুব উপভোগ করি। বিশেষ করে শীতকালে কাথা মুড়ি দিয়ে।
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: মদিনা থেকে জেদ্দা আসার পথে রাতে ঘুম পেল, সিদ্ধান্ত নিলাম সামনের পেট্রোল ষ্ট্যাশানে গিয়ে পার্কিং করে ঘুম দিব, অল্প পথ বাকি, কিন্তু সেটা আর হলনা, ঘুম চলে আসে অন্ধকার রাতে, বাইন্ডরী ষ্টিল প্লেইডে মেরে দিলাম, ওটা পার হলে নিচে পড়ে গিয়ে নিশ্চিত মৃত্যু। সেই থেকে ঘুম আসলে গাড়ি আর চালবনা সিদ্ধান্ত নিয়েছি
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লম্বা পথে দিনের বেলাতেও অনেক সময় চোখ লেগে আসতে অনেকের। আমি আবার সড়ক পথে বাসে বা ট্রেনেও সাধারণত ঘুমাই না। ঘুম আসতে চায় না।
রাতের ভ্রমণ হওয়ার কারণে আপনি বিপদে পড়েছিলেন। আল্লাহর রহমত যে বড় কিছু হয় নাই। কিন্তু কালকে আমার মাথায় ঢুকলো যে কেন ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালানোর উপর এতো সতর্কতা নির্দেশনা থাকে।
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমরা যারা বাইক রাইড করি তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। যদিও আমরা এটার একটা ছোট ট্রিক্স বের করে নিয়েছি। সেটা হচ্ছে ১৫ মিনিটের ন্যাপ।
বেশি ঘুম পেলে আমরা বাইকটি কোন একটা সাইডে দাড় করিয়ে চা খাই এরপর সেখানে লম্বা বসার জায়গাতে ঘুম। ১৫/২০ মিনিটের একটা ঘুম দিয়ে আবার রওনা দেই।
এছাড়া কারো ঘুম পেলে আমরা দাঁড়িয়ে যাই, চা খাই। হাটাহাটি করি। যত দূর সম্ভব হয় ঘুম দূর করার চেষ্টা করি।
কারণ ঘুমের কারণে অনেক দূর্ঘটনা ঘটে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অবশ্যই গাড়ির চেয়ে বাইকে রিস্ক বেশী ঘুমের ক্ষেত্রে এবং অন্য অনেক ক্ষেত্রেই। আপনার টেকনিক অবশ্যই ভালো। এছাড়া দেখেছি যে নাইট কোচের ড্রাইভারেরা সব সময় হেল্পারের সাথে গল্প করতে থাকে যেন চোখে ঘুম না আসে।
আসলেই ঘুমের কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। আরেকটা সমস্যা হল মানুষ বুঝতে পারার আগেই ঘুমিয়ে পড়ে।
৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
নতুন বলেছেন: ভাই ২দিন আগেই এমনটা হইছিলো।
সকালে কফি খাইনাই।
বাসা থেকে ৩৫ কিমি দুরে একটা হাসপাতালে গিয়েছিলাম শারমিনের ডাক্তার দেখাতে। দুপুর ১.৩০টার দিকে গাড়ী চালিয়ে বাসায় ফেরার সময় মনে হচ্ছিলো চোখ বন্ধ হয়ে যাবে...
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার সাথে আমার বউ আর মেয়ে ছিল। আমার বউকে কারণটা বলতেও পাড়ছি না কেন ঘুম আসছে। দিনও শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাতে থাকার কোন ইচ্ছা বা ব্যবস্থা নাই। তাই ঘুম সত্ত্বেও চলে আসতে হল। কিন্তু ঘুমের মাত্রা যে তো হবে সেটা বুঝতে পারিনি। আক্কেল হয়েছে আমার এবার।
৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
নতুন বলেছেন: বাসা থেকে ৩৫ কিমি দুরে একটা হাসপাতালে গিয়েছিলাম শারমিনের ডাক্তার দেখাতে। দুপুর ১.৩০টার দিকে গাড়ী চালিয়ে বাসায় ফেরার সময় মনে হচ্ছিলো চোখ বন্ধ হয়ে যাবে...
বাকপ্রবাস বলেছেন: কিন্তু সেটা আর হলনা, ঘুম চলে আসে অন্ধকার রাতে, বাইন্ডরী ষ্টিল প্লেইডে মেরে দিলাম, ওটা পার হলে নিচে পড়ে গিয়ে নিশ্চিত মৃত্যু। সেই থেকে ঘুম আসলে গাড়ি আর চালবনা সিদ্ধান্ত নিয়েছি
দুজনকেই বলছি, Be careful man!!!!!
এ পর্যন্ত আমি কার এক্সিডেন্ট করেছি ৫ বার।
দুইবার আমার ভুল ছিলো, আর তিনবার I was right but another driver's fault.
যে কারো ভুলে এক্সিডেন্ট হতে পারে।
কিন্তু এই ঘুমের কারণে এখন পর্যন্ত কিছু হয়নি, আই উইশ ইন ফিউচারও যেনো না হয়!
অথচ আমারই হবার কথা, যেহেতু প্রায়ই নির্ঘুম থাকি।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি খুব হাল্কা দুর্ঘটনা ঘটিয়েছি। তবে নিজের দোষে না, একটা ছাড়া। বেশীর ভাগই রিকশা বা কোন গাড়ি ঘষে দিয়েছে। একবার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোবাইল চালাতে গিয়ে সামনের বাসে লাগিয়ে দেই। সব গাড়ি জ্যামে আটকা ছিল। একটু একটু করে ছাড়ছিল। আমিও ধীরে ধীরে আগাচ্ছিলাম বার মোবাইলে কল করতে চাচ্ছিলাম। বাসের কিছুই হয় নাই। আমার গাড়ির সামনের অংশের কিছুটা ক্ষতি হয়। ঐ অবস্থায় কোন রকমে ঢাকা আসি। গাড়ির আরও ক্ষতি হলে গাড়ি হয়তো অচল হয়ে যেত। সেই ক্ষেত্রে বড় ঝামেলায় পড়তাম।
আরেকবার বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে আমার গাড়ির ব্রেকপ্যাড অকেজো হয়ে যায়। দোষটা অবশ্য আমারই ছিল। কারণ অলসতার জন্য ব্রেকপ্যাড পরিবর্তন করা হয় নাই। পথে সন্ধ্যার কিছু আগে প্রায় এক ঘণ্টা দেরী করতে হয়েছিল। কারণ একটু পরে পরে ব্রেকপ্যাড গরম হয়ে যাচ্ছিল। একজনে বুদ্ধি দিল যে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা হওয়ার সময় দেন। বাকি পথ অনেক সাবধানে ধীরে ধীরে চালিয়ে এসেছি। বান্দরবানে ঠিক করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমার গাড়ির পার্টস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একবার মনে হয়েছিল আজকে মনে হয় জঙ্গলেই কাটাতে হবে।
৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১০
স্প্যানকড বলেছেন: এনার্জি ড্রিংক সাথে রাখবেন অথবা চা কফি। আবার পেপারমিন্ট লজেন্স। যেকোনো মিউজিক বা রেডিও অন করে রাখতে পারেন। এতে কাজ না হলে নিরাপদ কোথাও গাড়ি পার্ক করে এক দুই ঘন্টা ঘুমিয়ে নিতে পারেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ভালো থাকবেন সাচু ভাই সেফ ড্রাইভিং
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পরামর্শগুলি মনে থাকবে। গাড়িতে লেপ তোষক সাথে রাখলে আসলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এনার্জি ড্রিঙ্ক খেলে নাকি ভালো কবিতাও লেখা যায়।
৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বেঁচে গেছেন !
বাংলাদেশে তো গাড়ির কোন গতি নেই ।
বিদেশের কোন রাস্তায় হলে এভাবে গাড়ি চালালে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যেত গাড়ি খানা।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গাড়ি তখন জ্যামে থামা অবস্থায় ছিল। তাই দুর্ঘটনা ঘটত না। যদি চলন্তু অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়তাম তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটত। কারণ এটা হাইওয়ে ছিল।
১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯
স্প্যানকড বলেছেন: পাশের সিটে হট কোন নারী থাকলে ঘুম কি মৃত্যু পর্যন্ত থেমে যেতে পারে ! ড্রিংক্স ছাড়া কবিতা কি জমে ? আগেরটি মুছে দেন প্লিজ ভুল হইছে দু:খিত।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হট নারী পাশে নিয়ে গাড়ি না চালানোই ভালো। তখন ঘুমের সমস্যা না অন্য সমস্যা হতে পারে।
১১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ঘুম তাড়ানোর কোনো শর্টকাট উপায় আপনার জানা আছে?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপরে অনেকে শর্টকাট কিছু পদ্ধতি বলেছে। যেমন চা, কফি খাওয়া। কিংবা গাড়ি থামিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা ইত্যাদি। আরেকটা হতে পারে পাশের কাউকে এক মিনিট পরে পরে পেটে খোঁচা দিতে বলা ইত্যাদি। চোখে হাল্কা গুড়ো মরিচ ছিটানো ইত্যাদি।
১২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধরুন, মাইক্রো নিয়ে আমি যাচ্ছি কক্সবাজার। গাড়িতে পরিবারের সবাই আছে। রাত তখন দুইটা। গাড়ি চালাতে চালাতে আমার খুব ঘুম পেলো। গাড়িতে থাকা আর কেউ গাড়ি চালাতে পারে না। ঠিক এই মুর্হুতে আমি কি করে ঘুম তাড়াবো? চা খাবো? পান খাবো? গান শুনব?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইয়াবা খেলে নাকি শরীরে শক্তি আসে। ঘুম দূরে চলে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে মিত্র বাহিনীর সৈন্যরা ইয়াবা (methamphetamine) খেতো দুর্বলতা দূর করার জন্য। তাই ড্রাইভিং সিটের কাছে কিছু ইয়াবা রাখা যেতে পারে।
১৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
বুঝলাম এই পোষ্ট রিপোর্ট করতে হবে।
অলিখিত নীতিমালা ভঙ্গ করেছে।
সাবজেক্ট ঘুম চোখে ড্রাইভিং থেকে অপ্রাসঙ্গিক পাশের সিটে হট নারী
সাচুকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হোক
দৃষ্টি আকর্ষণ পোষ্টে যারা সহমত প্রকাশ করে মন্তব্য করেছে, এখন থেকে আমি তাদের মন্তব্য ফলো করবো।
দেখবো তারা অন্যের পোষ্টে একাধিক মন্তব্য করে কিনা বা পোষ্টের শিরোনাম বহির্ভূত কথা বলে কিনা।
এবং তাদের পোষ্টেও সাবজেক্টের বাইরে কোন কথা বলে কিনা।
মানুষের স্বতস্ফূর্ততার মাঝে যে একটা আনন্দ আছে, সেটা কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অলিখিত নীতিমালা বলে আসলে কিছু নাই। ব্লগিং করতে হবে নিজ দায়িত্বে। বিপদ আপদ আসলে নিজেকে সামলাতে হবে। কোন দোস্ত বন্ধু এসে ক্যাচাল বাধলে সাহায্য করবে সেই আশা ত্যাগ করতে হবে। আড্ডা না দিলেও বিপদ এবং ক্যাচাল আসতে পারে। আড্ডাই ক্যাচালের উৎস মনে করলে ভুল করা হবে। নিজ দায়িত্বে আড্ডা দেয়া যেতে পারে। লিখিত আকারে নীতিমালা আসলে তখন দেখা যাবে।
ড্রাইভিং সিটের পাশে হট নারী তো অতি প্রাসঙ্গিক একটা বিষয়। আমরা কিশোর বয়সে লাইন দিয়ে পড়তাম টু সিটার গাড়ির রহস্য নামে একটা হট গল্প/ উপন্যাস। এই গল্প যে পড়ে নাই তার জীবনটাই বৃথা। যে গল্পে পাশের সিটে একটা হট নারী থাকে। বাকি কথা এখানে বলা যাবে না।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো 'মানুষের স্বতস্ফূর্ততার মাঝে যে একটা আনন্দ আছে, সেটা কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই। '
১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য করতে আসছিলাম, কাপ্তাইয়ের আঁকাবাঁকা পথে ঘুম চোখে গাড়ি চালানো একেবারেই উচিত হয়নি আপনার । কিন্তু মন্তব্য করতে গিয়ে মিরোরডডলের মন্তব্য চোখে পড়লো, সেখানে একটা লাইক দিয়ে গেলাম।
আপনাকে লাইক না দিয়ে একটা উপদেশ দেই, ঘুম চোখে কখনোই গাড়ি চালাবেন না আর।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার উপদেশ মেনে চলার চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে। আসলে ওষুধের কারণে অস্বাভাবিক ঘুম ছিল প্রায় ২৪ ঘণ্টা। তা না হলে ঘুম নিয়ে সমস্যা হয় না। হলেও চা, কফি, হাঁটাহাঁটি করলে ঠিক হয়ে যায়। তবে ঘুম চোখে আসলেই গাড়ি চালানো ঠিক না।
১৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৬
স্প্যানকড বলেছেন: অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন কি??
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি,
আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’।
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই,
আমি মুক্ত জীবনানন্দ। --- কাজী নজরুল ইসলাম।
@ মিরোর
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কারণে মিরোরডডল আমাকে ব্ল্যাক লিস্ট করতে চায়। হট নারীর কথা আপনি আগে বলেছেন। আমি শুধু তাল দিয়েছি।
আপনার বিদ্রোহী কবিতার জবাব আশা করি মিরর দিবে।
১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১
নতুন বলেছেন: এ পর্যন্ত আমি কার এক্সিডেন্ট করেছি ৫ বার।
দুইবার আমার ভুল ছিলো, আর তিনবার I was right but another driver's fault.
যে কারো ভুলে এক্সিডেন্ট হতে পারে।
সাচু ভাই মিরোর যেই পথ গাড়ী নিয়ে নামবে সেই পথ এড়িয়ে চলবেন কিন্তু....
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার সামনে পড়লে আমি গাড়ি রিভার্স গিয়ার দিয়ে সবেগে উল্টা চলা শুরু করবো যেন হাজার চেষ্টা করেও আমাকে ধরতে না পারে মিররের গাড়ি।
১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন:
ধারাপু এবং স্প্যানকডকে থ্যাংকস।
নতুন বলেছেন: সাচু ভাই মিরোর যেই পথ গাড়ী নিয়ে নামবে সেই পথ এড়িয়ে চলবেন কিন্তু....
হা হা হা
নতুন, এ কথা আমার বস বলে।
টিমের সবাইকে বলে দেয় মিড যদি সাবধান নাও হয়, তারা যেনো যে পথে মিড চলাচল করে সেটা যেনো এভয়েড করে
আমার চেয়ে বস বেশি কন্সারনড।
অনেক সময় রানিং লেইট, সেটা বসকে যদি টেক্সট করি চলমান অবস্থায়, অফিসে গেলে সে এসে বলবে যত লেইট হোক নো প্রবলেম কিন্তু আমি যেনো এভাবে টেক্সট না করি, তার প্যানিক এটাক হয়।
আমিও ব্লুটুথ কল না দিয়ে তাকে টেক্সট দিয়ে প্যারা দেই
যতক্ষণ অফিস না পৌছাই বস টেনশনে থাকে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এমন বস বাংলাদেশে পাওয়া গেলে ভালো হতো।
আপনি তো ফাউল করেছেন। চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোর সাথে অফিসের বসের কি সম্পর্ক? আপনাকে লাল হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করা হলও।
১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: আমি অনেকবারই রাতে জার্নি করেছি । আমাদের এখানে ঢাকার কোচের ড্রাইভাররা ঘুম তাড়ানোর জন্য গান চালু করে রাখে আর সেই সাথে সিগারেট । যদিও বাসে অন্য সবার জন্য সিগারেট খাওয়া নিষেধ তবে ড্রাইভাররা ঠিকই খায় । ড্রাইভার সিটের পাশেই একটা ছোট জানালা থাকে, ধোয়া সেদিক দিয়ে বের করে দেয় !
এই পোস্টেও দেখা যাচ্ছে পোস্টের বাইরে মন্তব্য চলে যাচ্ছে । আমার সামু ব্লগের গুরুত্বপূর্ণ সব ব্লগাররা আবার রাগ করতে পারেন । জানেনই তো তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে ব্লগিং করে এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন । যদি এর বাইরে কিছু ঘটে যায় তাহলে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হবে যা করা মোটেই ঠিক হবে না !
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নাইট কোচের ড্রাইভার সব সময় হেল্পারের সাথে কথা বলতে থাকে। সাথে সিগারেট, পান আর গান চলে।
পোস্টের ভিতরে আর বাইরে বলে আসলে কিছু নেই। পোস্টদাতার আপত্তি না থাকলে যে কোন মন্তব্য, আড্ডা দেয়া যেতে পারে। আমার এখানে আড্ডা দিলে আমি মাইন্ড করবো না। তবে কারও গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হলে নিজ দায়িত্বে পোস্ট এড়িয়ে যেতে পারে।
১৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
অপু তানভীর বলেছেন: আমার সামু ব্লগের গুরুত্বপূর্ণ সব ব্লগাররা আবার রাগ করতে পারেন । জানেনই তো তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে ব্লগিং করে এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন ।
করুক। no one bothered, ওটা ওদের অধিকার।
আবার একইভাবে আমরা যারা এভাবে ব্লগিং করতে অভ্যস্ত, এখনও করছি, যদি ব্লগে থাকি এভাবেই করবো।
No one should bother, এটা আমাদের ব্লগিং রাইটস।
কমিউনিটি ব্লগ, সবাই যার যার মতো ব্লগিং করবে।
যদি কেউ কোন অফেন্সিভ মন্তব্য করে বা আচরণ করে সেটা যে কেউ রিপোর্ট করার অধিকার রাখে।
অনেকে পরিমিতবোধের কথা বলেছে, সেখানেও প্রশ্ন থাকে কার পরিমিতবোধ কতটুকু।
সেটা পরিমাপের দায়িত্ব কে নিবে? কিভাবে করবে।
একজন ড্রাইভার ৬০ রাস্তায় ৭০ স্পীডে চালায়, আবার কেউ ৯০ পর্যন্ত স্পীড তুলছে।
দুজনেই ভুল করলো, কিন্তু এটাই তাদের কাছে পরিমিত।
তারমানে পরিমিতবোধও একেকজনের কাছে একেক রকম।
আমার এক অফিস কলিগ ৯০ এর রাস্তায় ১৩০ স্পিডে ড্রাইভ করে লাইলেন্স সাসপেন্ড হয়েছে।
এখন বুঝতে পারছে যে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
ঠিক সেরকম এখানে কেউ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তখন তার পেনাল্টি হবে।
তার আগ পর্যন্ত, সবাই যার যার মতন করে থাকুক।
আরেকজন কি করে সেটা নিয়ে মাথা না ঘামালেই হয় ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কেউ রাগ করতে চাইলে করুক। এটার তার অধিকার। একইভাবে পোস্টদাতার সমস্যা না হলে পোস্টে আড্ডাও চলতে পারে। পরিমিত বোধ ব্যাপারটা আপেক্ষিক।
গাড়ির গতির উদাহরণ দিয়ে ভালো করেছেন। সবার বুঝতে সুবিধা হবে।
আসলে আড্ডা বা হাল্কা কথা ব্লগে সব সময়েই ছিল। এটা নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি করা ঠিক না। আরেকজন কি করে সেটা নিয়ে মাথা না ঘামালেই হয়।
২০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৮
নতুন বলেছেন: অনেক সময় রানিং লেইট, সেটা বসকে যদি টেক্সট করি চলমান অবস্থায়, অফিসে গেলে সে এসে বলবে যত লেইট হোক নো প্রবলেম কিন্তু আমি যেনো এভাবে টেক্সট না করি, তার প্যানিক এটাক হয়।
আমিও ব্লুটুথ কল না দিয়ে তাকে টেক্সট দিয়ে প্যারা দেই
যতক্ষণ অফিস না পৌছাই বস টেনশনে থাকে।
ড্রাইভ করার সময়ে অবশ্যই ফোন ব্যবহার করা উচিত না।
আমি প্রায় ২/৩ বার সামনের গাড়ীকে গুতা দিতে গিয়ে বেচে গেছি এবং প্রতিবারই হয়েছে মোবাইলের কারনে..
তার পর থেকে মোবাইল ব্যবহার করিনা। করলেও সিরি কে বলি কল করতে, hey siri call বউ on speaker
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অনেক বুদ্ধিমান।
২১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আমার সামনে পড়লে আমি গাড়ি রিভার্স গিয়ার দিয়ে সবেগে উল্টা চলা শুরু করবো যেন হাজার চেষ্টা করেও আমাকে ধরতে না পারে মিররের গাড়ি।
হ্যাঁ এই কাজ করেই সাচু তখন এক দুর্ঘটনা ঘটাবে।
যেটা আমার সাথে হয়েছিলো। ঐযে বললাম, তিনটা এক্সিডেন্ট অন্য ড্রাইভারের কারণে, এটা তার একটা।
আমার সামনের গাড়ি কোনকিছু বোঝার আগেই রিভার্স করে আমার গাড়ির সামনে ভেঙ্গে দেয়, ওটা তার ইনস্যুরেন্স কাভার করেছে। একজন ভদ্রমহিলা, সে মনের ভুলে রিভার্সে দেয় আর ওমনি অঘটন
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অন্য কারও সাথে ঠোকাঠুকি হোক সমস্যা নাই কিন্তু মিররের সাথে ঠোকাঠুকি করতে চাই না।
২২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
নতুন বলেছেন: ড্রাইভ করার সময়ে অবশ্যই ফোন ব্যবহার করা উচিত না।
আমি প্রায় ২/৩ বার সামনের গাড়ীকে গুতা দিতে গিয়ে বেচে গেছি এবং প্রতিবারই হয়েছে মোবাইলের কারনে..
অবশ্যই উচিত না। আমিও এখন করিনা, ব্লুটুথ স্পিকারে কথা বলি।
ওইটা বসকে প্যারা দিতে করা, ও টেনশন করলে আমি মজা নিতাম
ড্রাইভে মোবাইল ইউজ করলে অনেক ফাইন $362 আর যদি স্কুল এরিয়াতে হয় তাহলে আরও বেশি $481.
লাইসেন্স ৫ পয়েন্ট ডিমেরিটস। এসব কারণেই সাবধানে চালানোর চেষ্টা করি।
তার পর থেকে মোবাইল ব্যবহার করিনা। করলেও সিরি কে বলি কল করতে, hey siri call বউ on speaker )
কল বউ, কি সুইট
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে পুলিশ ফাইন করলে তার একটা শেয়ার সেই পুলিশ কর্মকর্তা পায়। প্রতিদিন ফাইন করার একটা টার্গেট দেয়া থাকে অধীনস্থ অফিসারের উপরে।
২৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বড় ধরনের দুর্ঘটনার অন্যতম একটা কারণ ঘুমঘুম চোখে গাড়ি চালানো।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঘুম আসলে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা উচিত। একটু ঘুমিয়ে নেয়া ভালো এই ক্ষেত্রে। তা না হলে চা, কফি খেয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করে যেতে পারে। ভালো থাকবেন।
২৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৩৬
জাদিদ বলেছেন: আমি আমার কর্মজীবনের একদম শুরুতে 'পাওয়ার ন্যাপ' বলে একটা অতি প্রয়োজনীয় বিষয় শিখি আমার রিপোর্টিং বসের কাছ থেকে। তিনি প্রতিদিন দুপুরে লাঞ্চের পর ঠিক ১৫-২০ মিনিট একটা পাওয়ার ন্যাপ নিতেন। আমি ভাবতাম, এটা কিভাবে সম্ভব? পরবর্তীতে আমি ব্যাপারটা রপ্ত করি এবং লক্ষ্য করি যে, পাওয়ার ন্যাপ একটা চমৎকার জিনিস এবং এতে ক্লান্তি বা ঘুম ঘুম ভাবটা কেটে শরীরটা খুবই চাঙ্গা হয়ে যায়।
রাস্তায় ড্রাইভিং এর সময় সাধারণত আমার ঘুম পায় না যদি কখনও এমন ঘুম ঘুম লাগে আমি কোন একটা ভালো রেস্টুরেন্ট বা মানুষজন আছে এমন কোন স্থানে গাড়িটা পার্ক করে একটা পাওয়ার ন্যাপ নিই। তবে যদি এমন কখনও হয় যে, আমি দীর্ঘক্ষন ঘুমাই নি এবং আমাকে কোন অপরিচিত রাস্তায় লম্বা ড্রাইভ করতে হবে, তখন আমি সেই পথের কিছু খোঁজ খবর নিয়ে নি বা গুগল ম্যাপ থেকে পথটা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। বিশেষ করে কোথায় পাম্প আছে বা গ্যাস স্টেশন আছে বা রেস্টুরেন্ট বা বাজার ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে আমি ড্রাইভিং এ যাই। তবে টানা ৮/৯ ঘন্টা ড্রাইভিং করার পর আমি ঘন্টা খানেকের জন্য ঘুমানোর চেষ্টা করি।
তবে একবার আমি একটা ভুল করেছিলাম এবং সেটার জন্য কিছুটা বিপদেও পড়তে যাচ্ছিলাম। আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর পোস্টিং হলো চট্রগ্রামে। বেচারার হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর খুব একটা অভিজ্ঞতা ছিলো না, শহরের ভেতর কাজ চালানোর মত ড্রাইভিং তার জানা ছিলো। তাঁর অনুরোধে আমি তাঁকে চট্রগ্রাম পর্যন্ত ড্রাইভ করে দিয়ে আসার প্ল্যান করি। সমস্যা হচ্ছে আগের দিন রাতে ব্লগের একটা সমস্যার জন্য প্রায় সারারাত আমি আর জানা আপা পালা করে চোখ রাখছিলাম। যতদুর মনে পড়ে, ফজরের পর আমি নামাজ পড়ে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে গেছি, ঠিক তখনই আমার বন্ধু গাড়ি নিয়ে বাসার নিচে হাজির। দশ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে রওনা দিলাম।
চৌদ্দগ্রামের হাইওয়ে ইন থেকে নাস্তা শেষ করে রওনা দেয়ার পর বিশেষ করে ফেনী পার হবার সময় থেকেই মুলত সমস্যাটা অনুভব করা শুরু করলাম। আমি একটা পিকাপ ভ্যানের পিছনে ছিলাম। ভ্যানের গতি মোটামুটি ভালো হওয়াতে তাকে সেই মুহুর্তে আর ওভারটেক না করে পিছনে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রায় দশ মিনিট এইভাবে চলার পর আমি মনে হয় ১ সেকেন্ডের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, সাথে সাথে চোখ খুলে দেখি, আমি ভ্যানে পিছনের বাম সাইডের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি, অর্থাৎ ভ্যান কিছুটা স্পীড স্লো করায় আমি প্রায় লাগিয়ে দিতে যাচ্ছিলাম। এক সেকেন্ডের ব্যবধান যে কত গুরুত্বপুর্ন হতে পারে, সেদিন আমি টের পেয়েছিলাম। সাথে সাথে আমি নিজেকে সর্তক করে রোডের একটা সাইডে নিরাপদে গাড়িটা পার্ক করে ৩০ মিনিট ঘুমিয়ে নিয়েছিলাম। সেই সময়ে হঠাৎ বৃষ্টি আসাতে আমার জন্য ঘুমটা খুব আনন্দের ছিলো।
সেই ৩০ মিনিট ঘুমের পর আমি দারুন ফ্রেস হয়ে গেলাম। এর পর চা সিগারেট খেয়ে এক টানে চট্রগ্রাম পৌঁছে গেলাম। আমার বন্ধু আমাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে আসল। আমার দুপুরের ফ্লাইটে ঢাকা এসে উবারে উঠেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পাওয়ার ন্যাপ নিলে আসলেই সারা দিনের জন্য এনার্জি পাওয়া যায়। লম্বা ড্রাইভ আমি কম করেছি। গতকালের ঘুমের মূল কারণ ছিল ওষুধ। ওষুধ ছাড়া এতো তীব্র ঘুম আমার আসে না সাধারণ। হাইওয়েতে একটা দুর্ঘটনা ঘটতে আসলে ১ সেকেন্ড বা তারচেয়ে কম সময়ই যথেষ্ট।
আপনার মন্তব্য থেকে অনেক বোঝা যাচ্ছে এই অভিজ্ঞতার কারণে আপনি পরবর্তীতে আরও সতর্ক হয়েছেন। আপনার বর্ণনা ভালো লাগলো। আমারও একটা শিক্ষা হয়েছে কালকে। আশা করি এই ভুল আর কখনও করবো না। ভালো থাকবেন।
২৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:০১
কাছের-মানুষ বলেছেন: গাড়ি চালানোর সময় ঘুম বিপদ জনক। আমি আমেরিকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ৪-৫ দিন টানা গাড়ি চালিয়েছি, শেষ এ বছরও আমেরিকার এক স্টেইট থেকে আরেক স্টেইটে ৪-৫ দিন সময় লাগিয়ে চালিয়ে এলাম, তবে এবার আমারো একটু ভুল হয়েছিল এক পর্যায়, হাইওয়ে গাড়ি চালানোর সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, আমি তাড়াতাড়ি গাড়ি থামিয়ে কিছুক্ষন ঘমিয়ে নিলাম। তবে সাধারণত আমি ঘুম ঘুম ভাব এলে গাড়িয়ে কোন গ্যাস স্টপে থামিয়ে ২০-২৫ মিনিটের একটি ঘুম দেই! আর কোরিয়াতে থাকতে দেখতাম আমার ল্যাবম্যাটরা ঘুম পেলে ডেস্কে মাথা রেখে বাঁ চেয়ারে হেলান দিয়ে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেয় কারণ সেখানে ল্যাবে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করতে হত!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ৫/৬ ঘণ্টার বেশী একটানা গাড়ি চালাই নাই কখনও। আপনার এবং আমার ভাগ্য ভালো যে আমরা দুর্ঘটনায় পতিত হই নাই। একটা দুর্ঘটনা ঘটার জন্য অনেক সময় ১ সেকেন্ড বা তার চেয়ে কম সময়ই যথেষ্ট। ঘুম যে এতো নিয়ন্ত্রণহীন হতে পারে সেটা সম্পর্কে প্রথম ধারণা হল। তবে ওষুধ না খেলে সাধারণত এতো ঘুম আমার আসে না। তবে আপনি যেহেতু অনেক লম্বা ভ্রমণ করেছেন একটানা তাই আপনার ঘুম আসাটা অস্বাভাবিক না। ভালো থাকবেন।
২৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৫
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: মাত্র ২-৩ সেকেন্ডের জন্য চোখের পাতা লেগে এসেছিল। সিগনালে দাড়ান মাঝারি আকারের কা্ভার্ড ভ্যানকে দিলাম লাগিয়ে। আমার এক্সিওর সামনের অংশ ভর্তা। কা্ভার্ড ভ্যানের গায়ে একটা আচড়ও পড়েনি। বেশি না, ২-৩ সেকেন্ডের জন্য চোখের পাতা লাগার মূল্য মাত্র ১,২০,০০০.০০।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি মোবাইল ব্যবহার করতে গিয়ে একটা বাসের পিছনে লাগিয়ে দিয়েছিলাম একবার। বাসের কিছুই হয় নাই। আমার গাড়ির সামনের বনেট বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। গাড়ির বেশী ক্ষতি হলে গাড়ি নিয়ে ঢাকা পৌছাতে পারতাম না। জ্যামে আটকা ছিলাম আমরা, গতি খুব কম ছিল। তাতেই এই অবস্থা। গতি বেশী থাকলে ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
কাভারড ভ্যানের পিছনের অংশ শক্ত ধাতুর তৈরি থাকে। তাই সেটার কিছুই হয়নি। জাপানী প্রাইভেট গাড়ির বডি খুব নরম হয়। এই কারণেই বাসের হেল্পাররা মনে হয় প্লাস্টিক বলে। টাকার উপর দিয়ে গেছে। আরও ক্ষতি হতে পারতো আপনার।
২৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৮
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @লেখকঃ টাকা নিয়ে কোন আফসোস নেই। শারীরিক কোন ক্ষতি হয়নি সেজন্য আল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আসলে সামনের বনেট সহ অংশবিশেষ মেরেপিটে ঠিক করা হয়নি। সরাসরি নতুন অংশ দিয়ে রিপ্লেস করেছি। যেমন দুমড়ে যাওয়া বনেট ফেলে দিয়ে নতুন বনেট লাগিয়েছি। আর বনেট যে অংশে আটকে থাকে, সেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশও পুরোপুরি রিপ্লেস করেছি। এসব কারনে খরচ পড়েছে বেশি। লাভের লাভ আরেকটা যা হয়েছে গাড়িতে বাড়তি ক্যাচকোচ শব্দ নেই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বনেট পুরোপুরি পরিবর্তন করে ভালো করেছেন। কারণ দুর্ঘটনার কারণে বেঁকে গেলে সেগুলি সঠিকভাবে সেট হতে চায় না।
টাকার চেয়ে বড় কথা আপনার কোন ক্ষতি হয়নি। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ঘুম চোখে ড্রাইভ না করাই বেটার। আমাদের দেশের অধিকাংশ ড্রাইভার কে এওয়ার্ড দেয়া উচিৎ। এরা শুধু ঘুম চোখে নয়, রীতিমতো ড্রিংকস করে গাড়ি চালায়।