নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করার মত বিষয়গুলি দেখি। আমার দৃষ্টিতে নীচের বিষয়গুলি সমস্যা তৈরি করতে পারে।
নেতিবাচক দিকঃ
১। এই শিক্ষা পদ্ধতি ব্যয়বহুল হয়ে যাবে অনেকের জন্য। বিভিন্ন উপকরণ কিনতে অনেক অভিভাবকের কষ্ট হবে। মোবাইল, অন্তরজাল বা কম্পিউটার সুবিধা দরিদ্র বা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার দিতে পারবে না। সরকারকে এই ব্যাপারে চিন্তা করে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে।
২। ক্লাস সিক্স বা সেভেনের বাচ্চাদের মোবাইল দেয়াটা ঠিক হবে না। একটা কারণ হলও চোখের উপর চাপ পড়বে। মোবাইল সুবিধা বৈধভাবে পাওয়ার কারণে মোবাইল আসক্তি আরও বাড়বে। ১৬ বছরের আগে মোবাইল না দেয়াই ভালো।
৩। বিজ্ঞান এবং গণিতের বইগুলিতে অনেক অধ্যায় কমিয়ে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। যদি সত্যি হয় তাহলে এই ব্যাপারটা একটা সমস্যা তৈরি করতে পারে যারা বিজ্ঞান নিয়ে ভবিষ্যতে পড়বে। আন্তর্জাতিকভাবে আমরা মোটামুটি জানি এসএসসি বা এইচএসসি পর্যায়ে বিজ্ঞান এবং গণিতের কি কি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত। এসএসসি এবং এইচএসসির বই পড়ে যারা পাস করবে তারা যেন বিশ্বের ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মত যোগ্যতা অর্জন করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা দরকার।
ইতিবাচক দিকঃ
১। মুখস্ত করার একটা বাজে প্রথা যুগের পর যুগ আমাদের দেশে চলে এসেছে। এই প্রথা বন্ধ হওয়া দরকার। ছাত্র জীবনে দেখেছি যে এসএসসি বা এইচএসসির অংক পর্যন্ত অনেকে মুখস্ত করতো। এক অংক ১৪ বার করলে এমনিই অনেকের মুখস্ত হয়ে যেত। অনেকে অংক বুঝতো না কিন্তু বারবার প্র্যাকটিস করার কারণে না বুঝেই অংক মিলিয়ে দিতে পারতো। অংক একটু ঘুরিয়ে দিলে তারা আর পারতো না। অনেক অভিভাবককে দেখেছি যে উচ্চস্বরে না পড়লে বকা দিত বাচ্চাকে। উচ্চস্বরে পড়া মানে সে পড়ছে। নীরবে পড়লে ফাঁকি দিচ্ছে। মুখস্ত অনেক বিষয় করতে হয়। কিন্তু কিছু বিষয় আছে নিজে বুঝে নিজের মত করে লিখতে হয়। আমাদের দেশে এই প্রথা ছিল না। যার কারণে যারা মুখস্ত কম করতে পারতো তারা পরীক্ষায় মার্ক কম পেত।
২। এই পদ্ধতিতে খারাপ ছাত্ররাও লেখাপড়ায় আগ্রহী হয়ে উঠবে। কারণ বইয়ের লেখার চেয়ে দল বেঁধে বা এককভাবে মাথা খাটিয়ে কাজ করার ও বইয়ের পড়াটা বোঝার সুযোগ তারা পাবে। ছাত্র জীবনে দেখেছি যে ক্লাসের অনেক ছাত্র বা ছাত্রী প্রচলিত লেখাপড়ায় ভালো না কিন্তু তাদের সাথে মিশলেই বোঝা যেত যে তাদের মেধা ঠিকই আছে কিন্তু সেটা আমরা বুঝতে পাড়ছি না আমাদের প্রচলিত শিক্ষার মাপ কাঠির কারণে। এই ধরণের খারাপ ছাত্র বা ছাত্রীকে শিক্ষকরা পশুর মত জালি বেত দিয়ে পিটাতো। এটা যে ঐ বাচ্চার জন্য কত ক্ষতিকর সেটা আমরা বুঝি না। পরবর্তী জীবনে দেখেছি যারা ক্লাসে শেষের দিকে থাকতো তারা এখন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল। তাই শুধু পরীক্ষার হলের পরীক্ষার মার্ক দিয়ে একজন মানুষের মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন হয় না।
৩। আমাদের আগের শিক্ষা পদ্ধতিগুলিতে বাচ্চাদের মানসিক চাপের দিকগুলি খেয়াল করা হয় নাই। এই নতুন শিক্ষাক্রমে বাচ্চারা আনন্দ করতে করতে শিখবে। তাদের মধ্যে টিম ওয়ার্ক করার মন মানসিকতা গড়ে উঠবে। একসাথে ছেলে মেয়ে মিলেমিশে বইয়ের পড়াটাও আনন্দের সাথে শিখবে। শিক্ষকদের চোখ রাঙ্গানির ভয়ে অনেক ছেলে মেয়ে ঝরে পড়ে। সেটা আশা করি কমে যাবে।
৪। ফার্স্ট সেকেন্ড হওয়ার এবং জিপিএ ৫ পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা ছোটবেলা থেকেই বাচ্চার মাথায় ঢুকে যায়। এক ধরণের স্ট্রেস বাচ্চার মধ্যে ছোট থেকেই তৈরি হয়। তবে এইট বা নাইন থেকে তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে পড়ার চাপ নেয়ার মন মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তার আগের ক্লাসগুলিতে এতো বেশী পড়ার চাপ দেয়া ঠিক না।
৫। আগে এসএসসিতে নাইনে যা পড়ানো হয়েছে সেটার উপরও পরীক্ষা দিতে হতো। একইভাবে এইচএসসি প্রথম বর্ষের বই থেকেও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন আসতো। এখন নাইনের পড়া নাইনে শেষ। কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের পড়া ফার্স্ট ইয়ারেই শেষ।
৬। ক্লাস ফাইভ এবং এইটের বোর্ড পরীক্ষা বন্ধ করে ভালো হয়েছে বলে আমার মনে হয়। এতো কম বয়সে বোর্ড পরীক্ষা না হলেও চলে।
আমাদের দেশে ক্যাডেট কলেজ বা ভারতেশ্বরী হোমসের মত আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের অনেক সুনাম। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে ক্লাসের পড়াশুনার পাশাপাশি শরীর চর্চা, ফুলের বাগান সবজি বাগান করা, রান্না করা, মাঠের ঘাস কাটা, ময়লা পরিষ্কার করা, শখের কাজ করা, ঘর ঝাড়ু দেয়া, ঘর মোছা, বিছানা তৈরি করা, নিজের কাপড় ধোয়া সেলাই করা ইত্যাদি ছোট বয়স থেকেই শেখানো হয়। কোন অভিভাবক এগুলির বিরুদ্ধে কিছু বলেছে বলে শুনি নাই। আমাদের জাতীয় শিক্ষাক্রমে এগুলি পুরোপুরি আনতে পারবে না সেটা ঠিক। কারণ আবাসিক ব্যবস্থা না হলে সব কিছুর ব্যবস্থা করা সম্ভব না। তারপরও কিছু চেষ্টা করা হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রমে। মূল লেখাপড়ার পাশাপাশি খুব সামান্য সময়েই এই কাজগুলিতে ব্যয় করতে হবে। কিন্তু বিভিন্ন মিডিয়া দেখলে মনে হচ্ছে এরা লেখাপড়াই করছে না। সঠিক তথ্য মিডিয়াতে আসা উচিত। নতুন শিক্ষাক্রমের সাথে সম্পর্ক নেই এমন অনেক অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন হাসের ডাক অনুকরণের ভিডিওটা গণিত অলিম্পিয়াডের, ব্যাঙের লাফের ভিডিওটা স্কাউটিং ট্রেনিংয়ের এবং কিরিং কিরিং সাইকেলের ভিডিওটা আসামের এক শিক্ষকের। এই শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নেই এই কথাও ভুল। পরীক্ষাও আছে।
এই শিক্ষাক্রমের ভালো খারাপ দুইটাই আছে। খারাপগুলি সংশোধনেরও সুযোগ আছে। কিন্ত আমরা কোন বড় পরিবর্তন আসলে মানতে চাই না। আশা করি সরকার এই শিক্ষাক্রমের ত্রুটিগুলি সংশোধন করবে, মানুষের আর্থিক সামর্থ্যের ব্যাপারটা নিয়ে ভাববে এবং মূল লেখাপড়ার মান যেন কমে না যায় সেটা নিশ্চিত করবে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ। মিডিয়া থেকে প্রকৃত চিত্র আমরা পাচ্ছি বলে মনে হয় না। অতি রঞ্জিত খবর মিডিয়াতে আসছে। অনেকে ভালো দিকগুলি এড়িয়ে গিয়ে ছোট খাটো বিষয়কে বড় করে দেখাচ্ছে। তবে এই নতুন পদ্ধতির সমস্যাগুলির ব্যাপারে শিক্ষা বিভাগকে আন্তরিক হতে হবে। অভিভাবকদের সমালোচনা এবং অভিযোগগুলি শুনতে হবে। ভুল বোঝাবুঝি থাকলে মিটাতে হবে আর যদি সংশোধন করার প্রয়োজন হয় সেটা করতে হবে।
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন চালু হওয়ার পর অনেক শিক্ষিত লোককেও দেখেছিলাম এর সমালোচনা করতে। অনেকে বলেছিলেন এর মাধ্যমে তথ্য চুরি হয়ে যাবে। আমার মনে পড়ে গিয়েছিল সাবেক এক প্রধানমন্ত্রীর কথা। ইন্টারনেট চালু হওয়ার প্রস্তাবে উনি নাকি বলেছিলেন, তথ্য বিদেশে পাচার হবে।
দেশের মানুষ আসলে নতুন কোনো কিছুকে গ্রহণ করতে পারে না। পারে শুধু সমালোচনা করতে।
আমি নিজে নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে তেমন কিছু জানি না। তবে আমার কাছে বেশ কৌতূহলোদ্দীপক মনে হয়েছে। এক্সপেরিমেন্টটাকে আমার ভালোই মনে হচ্ছে। আগের শিক্ষা ব্যবস্থা আহামরি ভালো ছিল না যে তার জন্য হা-হুতাশ করতে হবে। কী হচ্ছে একটু দেখলে ক্ষতি কী? নিজে ৬ বছর শিক্ষকতায় ছিলাম, আমার মনে হয়েছে গৎবাঁধা কিছু সিস্টেমের পরিবর্তন দরকার আছে।
শিক্ষামন্ত্রী এক প্রোগ্রামে শিক্ষানীতি নিয়ে সমালোচনার জবাবে নিচের কথাগুলো বলেছেন। আমার মনে হয়েছে চেষ্টাটা খারাপ নাঃ
অতীতে আমাদের শিক্ষকদের দীর্ঘ প্রশিক্ষণের ফাঁকে বিনোদনের জন্য তাদের অংশগ্রহণে এসব ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল। সেগুলো এখন ছড়িয়ে দিয়ে বিশেষ গোষ্ঠী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে অপপ্রচার চালাতে নতুন করে এসব ভিডিও তৈরিও করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এমন একটা যুগ পার করে এসেছি, যেখানে পরীক্ষার হল থেকে বের হলেই অভিভাবকরা জিজ্ঞাসা করতেন, ‘কয়টা প্রশ্ন কমন পড়েছে?’। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেশি কমন প্রশ্ন বলে দিতে পারতেন, সেই প্রতিষ্ঠানকে সেরা বলা হতো। আমরা সেই মুখস্তনির্ভর পড়া থেকে বের হতে চাই।
নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা একদিনে তৈরি করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি। আটশোর বেশি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। বিভিন্ন পর্যায়ে পাইলটিং করেছি। ২০১৭ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ১১ বছরের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের বইগুলো এখনো পরীক্ষামূলক সংস্করণ। এখানে পরিবর্তন-পরিমার্জনের সুযোগ রয়েছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা পরিবর্তনকে ভয় পাই। আগেই সন্দেহ করি।
আমাদের আগের শিক্ষা ব্যবস্থাতেও অনেক সমস্যা ছিল। যেমন বহু স্কুলে ল্যাব নেই, আইটি সুবিধা নেই। অনেকে স্কুলে শিক্ষকের অভাব। এই সমস্যাগুলির সমাধান আমাদের মত দরিদ্র দেশে হঠাৎ করে হবে না। এই বাস্তবতা মানতে হবে। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেই এগিয়ে যেতে হবে।
অনেক ভুয়া বা অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে।
যেহেতু শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে পরিবর্তন এবং পরিমার্জনের সুযোগ আছে তাই আমাদের এই ব্যাপারে একটু ধৈর্য ধরা প্রয়োজন। তবে শিক্ষা বিভাগকেও আন্তরিক হতে হবে।
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২০
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: দেখা যাক আমাদের বাঁচ্চাদের কি হয়? কিন্তু চাকুরীর পরীক্ষার ক্ষেত্রে কি হবে জানা যাচ্ছে না-
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে এই নতুন শিক্ষাক্রমের গ্রহণযোগ্যতা জানার জন্য। চাকরী সংক্রান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা কেমন করবে সেটাও আগে থেকে বোঝা যাচ্ছে না। আমি আশা করবো শিক্ষা বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের গঠন মুলক সমালোচনা বিবেচনায় নিবে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশে অনলাইনে এডাল্ট কনটেন্ট খুবই সহজলভ্য।
এটা একটা খারাপ দিক হতে পারে।
বাচ্চারা পড়াশোনা বাদ দিয়ে এই সব চিত্তাকর্ষক জিনিসপত্র নাড়াচাড়া করতে থাকবে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের বাচ্চারা আসলে আমাদের চেয়ে স্মার্ট। প্রাপ্ত বয়স্কদের উপযোগী জিনিস এরা ঠিকই খুঁজে বের করবে। এটা বয়সের একটা স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। শিক্ষাক্রমে না থাকলেও যৌনতা সংক্রান্ত বিষয় টিন এজার বাচ্চারা ঠিকই খুঁজে বের করবে। তবে ডিভাইসের নেশা যেন বাচ্চাদের মধ্যে না প্রবেশ করে সেটার ব্যাপারে শিক্ষা বিভাগকে ভাবতে হবে।
৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪০
মৃতের সহিত কথোপকথন বলেছেন: নিতান্তই এক পাক্ষিক লেখা
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আরেক পক্ষের মতামত বা পরামর্শ আশা করেছিলাম আপনার কাছে থেকে।
৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নতুন কারিকুলাম শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধিতা করছে মূলত তিনটা শ্রেণি।
১: কোচিং বাণিজ্যের সাথে যুক্ত শিক্ষকরা।
এরাই সর্বপ্রথম সঙ্গবদ্ধভাবে এর বিরোধিতা শুরু করে। যেহেতু ছোট ক্লাসে পরীক্ষা থাকবে না তাই কোচিংয়েরও প্রয়োজন হবে না। রুটি রুজি বন্ধ হয়ে যাবে তাই বিরোধিতা।
২: আর বিরোধিতা করছে বাংলাদেশ বিরোধী কিছু শিবির পন্থি ইউটিউবার।
যারা বাংলাদেশ সরকারের সকল পদক্ষেপ সবকিছুর বিরোধিতা করতে হবে, ডিফল্ট।
৩: সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করছে ৮, ৯ পাস কিছু টোকাই, কিন্তু একএকজন বিশাল বিশেষজ্ঞ শিক্ষা গবেষক!
যারা কোন জ্ঞানই রাখে না, সস্তা স্মার্ট ফোন আর সস্তা ইন্টারনেট পেয়ে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াচ্ছে, কিছু একটা পেলেই শেয়ার করো আর হাসাহাসি করো।
আরো একটি শ্রেণী এটার বিরোধীতা করছে।
এরা বাংলাদেশী তালেবান পন্থি বোকোহারামপন্থি। এরা প্রচলিত সকল শিক্ষা ব্যাবস্থার বিরোধী। অবস্য বোকোহারামিরা প্রচলিত সকল শিক্ষা ব্যাবস্থার বিরোধী হলেও বাংলাদেশের বোকোহারামপন্থিরা ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত শিক্ষা অনুমদন করে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নতুন এই শিক্ষা পদ্ধতির সমালোচনা করার নামে যেন অতিরঞ্জিত, অপ্রাসঙ্গিক এবং মিথ্যা প্রচার যেন অনলাইনে না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে এই শিক্ষাক্রমের বিষয়টা নিজেদের ফায়দা হাসিলের হাতিয়ার মনে করছে। কোচিং ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে বাধা আসবে তাই তারা বিরোধিতা করছে। অনেকে রাজনৈতিক কারণে বিরোধিতা করছে। আর আমাদের দেশে টোকাই পর্যায়ের লোকজন এখন ইউটিউবার হয়েছে। ভালো মত বাংলা ভাষাটাও এরা বলতে পারে না। ভাষা শুনলে বিরক্ত লাগে। এরাও পয়সা কামানোর জন্য জনগণকে উস্কানি দিচ্ছে।
গঠনমূলক সমালোচনা করলে শিক্ষা বিভাগ সেটা বিবেচনা করবে বলে আমার মনে হয় হয়।
৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আফটার অল স্টুডেন্টদের ডিভাইস দিতেই হবে।
মোবাইল বা ট্যাবগুলোকে এক্সেস লিমিটেড করে সমাধান করা যায়।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। কারণ মোবাইল ডিভাইসের কারণে ছোট বাচ্চাদের চোখের উপরেও চাপ পড়ে। এক্সেস লিমিটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: নেতিবাচক আরো কিছু দিক -
১) ত্রিভূজ পাবার প্রতিযোগীতা: বাচ্চাদের উপর পড়ার চাপ কমাতে গিয়ে মনে হচ্ছে চাপ আরো বাড়াচ্ছে। ত্রিভূজ পাবার প্রতিযোগীতা হয়তো আগের মতো মানসিক চাপে রাখবে বাচ্চাদের।
২) ত্রিভূজ পেতে/দিতে সমস্যা: দক্ষতার মাপকাঠিতে চতুর্ভূজ/বৃত্ত দেবার মতো হলেও, রাজনৈকিত নেতা/প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তানকে ত্রিভূজ ছাড়া দক্ষতার অন্য মাপকাঠি দেবার সাহস পাবে না এলাকাভিত্তিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
৩) ত্রিভূজ পেতে/দিতে দূর্নীতি: বাস্তবতা হচ্ছে সৎ শিক্ষকের শতকরা হার নেহাত কম। যে বাচ্চারা বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়বে তারা সহজেই ত্রিভূজ পাবে না পড়লে বৃত্ত/চতুর্ভূজ।
৪) দলবদ্ধ কাজে সমস্যা: বিদ্যালয় থেকে যে দল বানিয়ে দেওয়া হয় তাদের সবার বাড়ি এক স্থানে নয়। সব বাচ্চা যার যার বাড়ি থেকে কোন একজন সহপাঠীর বাসায় আসতে হচ্ছে দলবদ্ধ কাজটি সম্পাদন করতে। আবার বিদ্যালয় থেকে দেওয়া কাজটি দলবদ্ধভাবে করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা সম্পাদন করতে হচ্ছে ২/৩ জনকে, এতে করে দলবদ্ধ কাজের ঠিকঠাক মূল্যায়ন করা কষ্ট হচ্ছে।
৫) দক্ষ শিক্ষকের অভাব: নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষা দানের জন্য যে মানের দক্ষ এবং যে সংখ্যক শিক্ষক প্রয়োজন তার অভাব রয়েছে। শিক্ষক-ছাত্র আদর্শ সংখ্যা ধরা হয় ১:২০, সেখানে বর্তমানে আমাদের আছে ১:৪০/৫০ এর উপরে। আর পর্যাপ্ত দক্ষ শিক্ষক তো নেই বললেই চলে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটু উপরের ক্লাসে উঠলে প্রতিযোগিতা আসবেই। তবে সেটা যেন মাত্রা ছাড়া না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শিক্ষকদের সততার প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বাংলাদেশে সব সেক্টরে অসততা একটা বড় সমস্যা। অসততার কারণে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা বা সুযোগ পাচ্ছে না। আগের পাঠ্যক্রমেও কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসততার অভিযোগ ছিল। প্রাইভেট না পড়লে মার্ক পাওয়া যেত না। কারণ প্রান্তিক পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব স্কুলেও চলে আসবে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা এখনও কঠিন হবে। অভিভাবকদের প্রতিবাদ করতে হবে এবং শিক্ষা বিভাগকে কঠোর হতে হবে এই ব্যাপারে। যদিও রাজনৈতিক নেতারা অনেক শক্তিশালী এটাও ঠিক। তবে বোর্ড পর্যায়ের পরীক্ষায় আশা করা যায় নিরপেক্ষতা থাকবে।
দলবধ্য কাজ বাসায় করার কথা না সম্ভবত। এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে। স্কুলের শিক্ষকরা এগুলি চাপিয়ে দিচ্ছে সম্ভবত। শিক্ষকরা যেন বাড়াবাড়ি না করতে পারে সেই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক হবে। স্কুল কমিটিগুলি ভালো হলে উপরের অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু আমাদের দেশে স্কুল এবং মসজিদ কমিটিতে সাধারণ অসৎ লোক বেশী থাকে।
দক্ষ শিক্ষক তৈরি করা বিশাল একটা চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের দেশের জন্য। ১০ বছরেও পারবে কি না সন্দেহ।
৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: প্রতিটি বিষয়ের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক আছে। এসকল ক্ষেত্রে শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ চিন্তা করতে হবে। অসুবিধাগুলো যাতে আর কনটিনিউ না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। এখন এমএ পাশ করা এমন অনেক ছেলে-মেয়ে আছে যারা চাকুরীর ক্ষেত্রে একটা ইংরেজীতে দরখস্ত লিখতে পারে না। লেখাপড়ার মান বজায় রাখা উচিত।
সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শিক্ষা বিভাগকে আন্তরিক হতে হবে। শিক্ষার সাথে রাজনৈতিক এজেনডাকে মিশানো যাবে না। সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করুক কিন্তু শিক্ষা নিয়ে যেন রাজনীতি না করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার জিদ না করে গঠনমূলক সমালোচনাগুলির সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। আর অভিভাবকরদের উচিত হবে না কিছু স্বার্থান্বেষী চক্রের কথায় বিভ্রান্ত হওয়া।
আমাদের দেশের আগের শিক্ষায় নিশ্চয়ই ত্রুটি ছিল। বিএ এমএ পাস করে শিক্ষার্থীরা নিজে থেকে সঠিকভাবে কোন কিছু লিখতে পাড়ছে না। ইংরেজি তো দূরের কথা বাংলায় একটা দরখাস্ত লিখলে তার মধ্যে অজস্র ভুল চোখে পড়ে।
লেখাপড়ার মান যেন আগের চেয়ে উন্নত হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। উন্নত দেশের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা যেন সহজেই ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও গণিতে যেন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে পড়ে সেটা সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
১০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯
মৌন পাঠক বলেছেন: সুন্দর আলোচনা, ধন্যবাদ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। সরকারের উচিত হবে গঠনমূলক সমালোচনাগুলিতে কর্ণপাত করা। আর অভিভাবকদের উচিত এই শিক্ষাক্রম সম্পর্কে ভালো করে জানা। অনেকে না জেনেই বলছে। যেমন আমাকে আমার দুইজন কলিগ বলল যে এসএসসি পরীক্ষা থাকবে না। তারা আমাকে ফেইসবুকের একটা লেখাও দেখালো। কিন্তু তারা যা বলেছে সেটা সঠিক না। এসএসসি পরীক্ষা থাকবে। তাই অনেকে ভুল তথ্যের দ্বারা বিভ্রান্ত হচ্ছে। অনলাইনে অনেকে অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা এবং অপ্রাসঙ্গিক তথ্য ছড়াচ্ছে।
১১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা প্রবন্ধটি আমাদের ফলো করা উচিত।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে ভালো জানেন। আপনি অনেক পর্বের পোস্ট দিয়েছিলেন সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের উপরে। এই প্রবন্ধের উপরে আপনি একটা পোস্ট দিলে সবাই উপকৃত হতো।
আবার আসবেন এই পোস্টে। কে, কি মন্তব্য করলো দেখে যাবেন।
১২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১
অপু তানভীর বলেছেন: এই কারিকুলামের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এটা বাস্তবায়নের দক্ষ শিক্ষক শ্রেণী আমাদের আদৌও আছে কিনা ! বিশেষ করে আদি ধ্যান ধরণার শিক্ষকরা এর সাথে কখনই মানিয়ে নিতে পারবে না । সমস্যা কারিকুলামে নয়, এটা বাস্তবায়নে দক্ষ শিক্ষের অভাবে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত। নতুন শিক্ষাক্রমের সফলতা নির্ভর করছে শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের উপর। ভালো শিক্ষক পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। আর অধিকাংশ শিক্ষকের মাইন্ড সেটে সমস্যা আছে। এদের অনেকের মধ্যে একধরণের স্বৈরাচারী মনোভাব আছে। পিঙ্ক ফ্লয়েডের 'এনাদার ব্রিক ইন দা ওয়াল' গানের শিক্ষকদের মত অনেকটা। আমাদের সময়ে শিক্ষকরা অনেক কড়া হলেও তাদের অধিকাংশের নৈতিক মূল্যবোধ উন্নত ছিল। কিন্তু এখন অনেক শিক্ষককে দেখি যাদের দেখলে বোঝা যায় এদের মধ্যে নৈতিকতার অভাব আছে। আমার নিজের বাচ্চাদের বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষক এবং শিক্ষিকা সম্পর্কে খারাপ অভিজ্ঞতা আছে। এরা প্রভাবশালী অনেকে। অভিভাবকের কথাকে তারা গুরুত্ব দিতে চায় না। তখন বাধ্য হয়ে বাঁকা পথে গিয়ে এদের শায়েস্তা করতে হয় বা ভয় দেখাতে হয়। তখন সোজা হয়ে যায়।
১৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৯
করুণাধারা বলেছেন: নতুন কিছু শুরু করার আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি। বলা হচ্ছে, ছাত্রদের বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে যাবার কথা না, কিন্তু সেটা করা হচ্ছে। আসলে শিক্ষকেরা প্রশিক্ষণ ছাড়া এই নতুন ব্যবস্থায় পড়ানো শুরু করেছেন তারাও কিছু বুঝতে পারছেন না। বছরের শুরুতে সপ্তম শ্রেণীর বই নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল মনে আছে আশাকরি। ড. জাফর ইকবাল ক্ষমা চেয়েছিলেন, বলেছিলেন তাড়াহুড়া করে বইটি লেখা হয়েছে দেখে এমন হয়েছে। এভাবে তাড়াহুড়া করে শুরু করে দেয়ার দরকার কি ছিল জানিনা।
ফুয়াদের বাপ ৮ নম্বর মন্তব্যে আরো কয়েকটি নেতিবাচক দিক উল্লেখ করেছেন। আমার কাছে আরো নেতিবাচক মনে হয়,
১) গ্রেডিং বা নম্বর দেবার পদ্ধতি তুলে দিয়ে চিহ্ন দিয়ে মূল্যায়ন করা। এভাবে বৃত্ত ত্রিভুজ চতুর্ভুজ দিয়ে মূল্যায়ন করাটা আমি গুগল সার্চ দিয়ে কোথাও পাইনি। ফলাফলের এই পদ্ধতি বিদেশে গ্রহনযোগ্য হবে না।
২) অধিকাংশ স্কুলে লাইব্রেরী নেই, কম্পিউটার সমৃদ্ধ লাইব্রেরি দূরে থাক। ছাত্রদের বলা হচ্ছে ডিভাইস ব্যবহার করে পড়াশোনা করতে অথচ স্কুলগুলোকে এগুলো ব্যবহারের কোন সুবিধা নেই।
আপনার পোস্টে লাইক। ভালো লিখেছেন।
৩)
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচনার অনেক কিছুই আছে। আমাদের দেশের সরকারী কাজে ত্রুটি বিচ্যুতির মাত্রা একটু বেশী থাকে। অনেক টাকা ব্যয় করার পরেও দেখা যায় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়নি। শিক্ষামন্ত্রী এই ব্যাপারে অনেক কিছু বলেছেন। আমি আশা করবো তিনি এবং শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং উপদেষ্টারা এই ব্যাপারে আন্তরিক হবেন। শিক্ষার ব্যাপারে তারা যেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকতে পারেন এটা তাদের থেকে আশা করি। কিন্তু অনলাইন জগতে গঠনমূলক সমালোচনার বদলে ট্রল হচ্ছে। আশা করবো শিক্ষা বিভাগ অভিভাবকদের গঠনমূলক এবং সঠিক সমালোচনাগুলি নিয়ে ভাববে এবং প্রয়োজনীয় প্রতিকারের ব্যবস্থা করবে।
শিক্ষকরা প্রশিক্ষণের অভাবে বাড়াবাড়ি করছে অনেক ক্ষেত্রে। তারাও অনেক কিছু জানে না। তাদেরকে প্রশিক্ষিত করাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
বোর্ড পরীক্ষার ক্ষেত্রে গ্রেডিং পদ্ধতি যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোন সমস্যা সৃষ্টি না করে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
আমার মনে ডিভাইসের ব্যাপারে সরকারকে ভাবতে হবে। গ্রামে গঞ্জে এমনকি শহরেও অনেকের পক্ষে এই সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে না। ফলে কম আয়ের মানুষের সন্তানেরা বৈষম্যের শিকার হবে। শিক্ষা বিভাগের বাজেট বাড়িয়ে স্কুলেই এগুলির ব্যবস্থা করতে হবে। সুরঙ্গ, সেতুর পিছনে যদি টাকা ব্যয় করা যায় তাহলে শিক্ষার ক্ষেত্রে কেন করা যাবে না। সরকার চাইলে ৫ বছরে প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করতে পারে। কিন্তু সেটার জন্য প্রয়োজন নীতি নির্ধারকদের আন্তরিকতা এবং শিক্ষাকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখার মন মানসিকতা। সরকার যদি এই নতুন শিক্ষাক্রমে সফল হয় সেই ক্ষেত্রে এটা তাদের সুনামে যোগ হবে আর তা না হলে ইতিহাসে এই সময়টা একটা কলঙ্কজনক সময় হিসাবে লেখা থাকবে।
১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৭
রসায়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা লিখা। হাসান ভাইয়ের কমেন্টটাও অনেক ভালো লাগলো।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমাদের উচিত হবে ট্রল না করে গঠনমূলক সমালোচনা করা। আর সরকারের উচিত হবে এই ব্যাপারে আন্তরিক হওয়া।
১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫১
বিজন রয় বলেছেন: আমি এই শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে। আমার অনেক উপকার হচ্ছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শিক্ষা বিভাগের জন্য এটা একটা বড় পরীক্ষা। তাদের উচিত হবে আন্তরিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা এবং সঠিক সমালোচনাগুলির প্রতি কর্ণপাত করা। ত্রুটি বিচ্যুতি নিশ্চয়ই কিছু আছে। আন্তরিক হলে সেই সমস্যা গুলির সমাধান করাও সম্ভব। শিক্ষার মধ্যে যেন রাজনীতি না ঢোকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
১৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪২
শায়মা বলেছেন: বাহ ভাইয়া অনেক কিছুই সহজ আর সরল করে লিখতে পেরেছো।
যাইহোক করুণাধারা আপুর জন্য উত্তর যা আমি কারিকুলাম স্পেশালিস্ট ভাইয়া থেকেই জেনে এসে বলছি- ভাইয়ার ভাষ্য-
ত্রিভুজ চতুর্ভুজ বৃত্ত সংখ্যা থেকে বের হওয়ার একটা কৌশল মাত্র। ত্রিভুজ হলো ভালোভাবে পেরেছে, বৃত্ত হল আংশিক পেরেছে, চতুর্ভুজ হলো অগ্রগতি প্রয়োজন।
নতুন শিক্ষাক্রমকে বলা হচ্ছে যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম। প্রতিটি যোগ্যতা মূল্যায়নের জন্য পারদর্শিতার সূচক বা পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর সেট করা হয়। এই ইন্ডিকেটর দিয়ে শিক্ষার্থীর অর্জন পরিমাপ করা হবে ত্রিভুজ চতুর্ভুজ ও বৃত্ত দিয়ে।
আগের শিক্ষাক্রমে লার্নিং থিওরি ছিল কনস্ট্রাক্টিভিজম ।
এবারের শিক্ষাক্রমের লার্নিং থিওরি হল এক্সপেরিয়েন্সিয়াল লার্নিং।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে এই বিষয়টা নিয়ে কোন শিক্ষাবিদ বা আপনার মত কোন শিক্ষক লিখলে ভালো হতো। আমার বাচ্চারাও এখন বড় হয়ে গেছে। তাই খুব বেশী আমি এই শিক্ষাক্রম সম্পর্কে জানি না। ব্লগ এবং নেট থেকে পাওয়া জ্ঞান এবং আমার নিজের ছাত্র জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে লিখলাম।
আমার ধারণা ইচ্ছাকৃতভাবে মোটা দাগে ৩ টি গ্রুপ রাখা হয়েছে যেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঈর্ষা বা রেষারেষি কম হয়। ফার্স্ট, সেকেন্ডের ধারণা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা আছে সম্ভবত। দুর্বল, কম মেধাবী এদের দিকটাও বিবেচনা করা হয়েছে। আসলে একাডেমীক ফলাফলই সব না। একাডেমীক শিক্ষায় ভালো করেনি এমন বহু মানুষ আছে যারা জীবনে অনেক সফল। আপনি বা আমি আমাদের পরিচিতদের মধ্যেই এই রকম উদাহরণ অনেক পাবো।
আমার ধারণা শিক্ষা বিভাগের লোকেরা এই বিষয়ে যথেষ্ট গবেষণা এবং পরীক্ষা করেছে। প্রয়োজন হলে আরও করতে হবে। তাদের এই বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে। শিক্ষার মধ্যে রাজনীতি ঢুকানো যাবে না। অভিভাবকরা কোন সঠিক এবং গঠনমূলক সমালোচনা করলে সেটা শুনতে হবে।
১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৫
শায়মা বলেছেন: ১০০% সঠিক বলেছো ভাইয়া।
যে কোনো পরিবর্তনই সহজে মানুষ মেনে নেয় না।
কিন্তু এই শিক্ষাক্রমেরও সংশোধন প্রয়োজন। আর প্রয়োজন টিচার্স ট্রেনিং এর সাথে সাথে তাদের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করা।
আমাদের স্কুল বড়লোকদের স্কুল। বাচ্চাদের টিউশন ফি দিয়ে অনেকগুলো পরিবার চলতে পারে। তারপরেও আমার রিসোর্সেসে জন্য প্যরান্টসকে বলিনা। স্কুল প্রভাইড করে।
সেখানে গ্রাম বাংলার দরিদ্র শ্রেনীর ছেলেমেয়েরা নাকি বাড়ি থেকে চাল ডাল অনয়ান্য রিসোর্সেস আনছে এসব ঠিক হচ্ছে না।
জানো ভাইয়া - আমি একবার করাচী আগা খান ইউনিভার্সিটির সিইপি কোর্স করার সময় জেনেছিলাম রিসোর্সেস তৈরীতে এত টাকা লাগবে এমন কথা নেই। চাইলে এখজন ভালো টিচার হাওয়া থেকেও রিসোর্সেস বানাতে পারে।
কাদামাটি/ প্লেডো
কাউন্টিং বিডস/ তেঁতুলের বিঁচি
কোনোটা দামী কোনোটার দামও নেই। কিন্তু শিক্ষার উপকরণ একজন শিক্ষক চাইলেই আশে পাশে থাকা ফেলে দেওয়া জিনিসও রিসাইকেল করে বানাতে পারেন।
আসলে কথা নতুনের সাথে খাপ খাইয়ে চলা বা চলার ইচ্ছা।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরিবর্তন আমরা সহজে গ্রহণ করতে চাই না। নতুন এই শিক্ষাক্রমের সংশোধন এবং উন্নয়ন চলমান রাখতে হবে। আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষকের মাইন্ড সেট ঠিক নাই। ভালো শিক্ষক তৈরি করাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। রিসোর্সগুলি স্কুল থেকে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন যে আসলে রিসোর্স কম টাকাতেও জোগাড় করা যায়। আপনি ভালো উদাহরণ দিয়েছেন যেমন কাদা মাটি, তেতুলির বিচি। আমার মায়ের কাছে শুনতাম যে তারা তালপাতা সেদ্ধ করে লেখার খাতা/ স্লেটের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতেন। কলমের কালি হিসাবে কয়লার কালি ব্যবহার করতেন। তাই রিসোর্স কম টাকাতেও জোগাড় করা সম্ভব। এটার জন্য প্রয়োজন ক্রিয়েটিভ আইডিয়া। আপনার এই ধরণের আইডিয়া ভালোই আছে। বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যেও নিশ্চয়ই অনেকে নতুন আইডিয়া দিতে পারবেন।
ভাস্কর ফেরদৌসি প্রিয়ভাষীনি তার বিভিন্ন ভাস্কর্য তৈরি করতেন ফেলে দেয়া জিনিস থেকে। তাই মাথায় বুদ্ধি থাকলে বিকল্প রাস্তা খুঁজে বের করা সম্ভব।
আসলে কথা নতুনের সাথে খাপ খাইয়ে চলা বা চলার ইচ্ছা।
১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:০৪
শায়মা বলেছেন:
ভাইয়া
সাধে কি বলেছি আমাকে লাঠি হাতে পাঠিয়ে দাও প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলিতে। বাচ্চাদের নহে আগে টিচারদেরকে শিখিয়ে দেবো হাতে কলমে।
রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট এই ট্রেইনিং এ শিখেইছিলাম কিভাবে টিস্যু বক্স / কোক ক্যান/ ভাঙ্গা বটল/ একটা ছেড়া কাগজেও তৈরী করা যায় নানান রকম শিক্ষার উপকরণ। ট্রেইনিং এ টেবিলে টেবিলে দেওয়া ছিলো যত সব ছেড়া ভেড়া কাঁথা কানি কাগজ পত্র!
তাই দিয়ে দিয়েই টিচারেরা বানিয়েছিলো ঘর বাড়ি নদী সাগর.......
গল্প বলা শামীম আজাদ মাঝে মাঝেই আমাদেরকে গল্প বলা ট্রেইনিং দিতে গিয়ে একটা স্কেলকেই কখনও বাঘ কখনও ঘোড়া কিংবা কখনও বানিয়ে দেখায় তালগাছ!! ঐ যে বলেছি আমিও হাওয়া থেকে রিসোরসেস আনতে পারি আমার লেখাপড়া শিক্ষা দীক্ষায়। দেখো কাল সন্ধ্যায় পুরানো বারবিডল ফেলে না দিয়ে বানিয়েছি মনিপুরি নৃত্যশিল্পী।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলেই আপনি টিচারদের টিচার হতে পারবেন। আপনার মাথায় অনেক সৃষ্টিশীল আইডিয়া আছে।
আপনি ট্রেনিংয়ে গিয়ে মনোযোগ দিয়ে শিখেছেন। কিন্ত আমাদের দেশের সরকারী লোকেরা বা সরকারী শিক্ষকেরা ট্রেনিংয়ে যায় আনন্দ, ফুর্তি করতে। তাদের পিছনে সরকার টাকা খরচ করছে যেন তারা অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগায়। কিন্তু তারা সেটা না করে শপিং আর ফুর্তিতে সময় নষ্ট করে। শপিং বা ফুর্তি করুক কিন্তু ট্রেনিংটা তো সঠিকভাবে গ্রহণ করা উচিত।
আপনার মনিপুরী নৃত্যশিল্পী খুব সুন্দর হয়েছে। আপনি রাত ২ টায় তো কখনও জেগে থাকেন না।
১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:১৯
জিকোব্লগ বলেছেন:
এইসব শিক্ষা ব্যবস্থায় মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত শ্রেণী থেকে আসা অনেক শিক্ষর্থী যখন
ভালো ফলাফল দেখিয়েও বুয়েট, মেডিকেল ও ভালো ভার্সিটিতে চান্স পাবে না, তখন
তাদেরকে কি বুঝাবেন? ছাত্রলীগ করতে বলবেন? যেকোন কলেজ -ভার্সিটিতে ছাত্রলীগ
করে বিসিএস দিতে বলবেন? উচ্চ বিত্তদের কথা আলাদা। ওরা না হয় প্রাইভেট
ভার্সিটি অথবা বিদেশে বাপের টাকায় পড়তে যাবে।
আগের শিক্ষা ব্যবস্থায় বাছাই একটু আগে (নবম -দশম শ্রেণীতে ) হত, এখন একটু
দেরিতে হবে। কিন্তু একটা না একটা সময় ভালো মন্দ শিক্ষর্থী বাছাই হবেই।
আর যাই হোক এই শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত বিশ্বের সাথে যায় না। অনেক উন্নত দেশে
(যেমনঃ সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ) প্রাইমারি স্কুলের পরে থেকেই ভালো মন্দ শিক্ষর্থী
বাছাই করা শুরু হয়।
অবশ্য এই শিক্ষা ব্যবস্থা যেহেতু আপনাদের লীগ দ্বারা এপ্রুভড, তাই সবাইকে অবশ্যই
অবশ্যই মানতেই হবে । রাজতন্ত্রে দ্বিমত প্রকাশ করলে এখন গোপনে গুম, খুন চলছে ।
সামনের বছর থেকে হয়তোবা প্রকাশ্যেই চলবে।
জয় বাংলা ! জয় ছাত্রলীগ ! এই শিক্ষা ব্যবস্থা অবশ্যই ১০০% সঠিক।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুয়েট, মেডিক্যাল বা ভার্সিটিতে তো বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরাই পড়বে। তারা সুযোগ না পেলে কারা পাবে। বিদেশীরা তো এই সিটগুলি দখল করবে না। তবে ক্লাস নাইন থেকে বিজ্ঞান এবং গণিতের বই যেন মান সম্পন্ন হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সময় আমরা যা পড়েছি সেটা আন্তর্জাতিক মানের ছিল। ইংলিশ মিডিয়ামের চেয়ে আমাদের বিজ্ঞান এবং গণিতের মান খারাপ ছিল না। এখনও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে আশা করি।
আপনি মনে হয় শুধু বিজ্ঞানের ছাত্রদেরকেই ভালো ছাত্র বলছেন। আসলে ব্যাপারটা ভালো বা মন্দের না। ব্যাপার হল কেউ বাণিজ্য বিভাগের জন্য, কেউ মানবিক বিভাগের জন্য আবার কেউ বিজ্ঞান বিভাগের জন্য উপযুক্ত। আপনার ভালো মন্দ বাছাই শব্দটা একটু বৈষম্য সূচক হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবী চালায় যারা তাদের অধিকাংশ আর্টস বা কমার্সের ছাত্র। সায়েন্স পড়ে মাত্র ২০% থেকে ২৫% শিক্ষার্থী। সব বিভাগই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার মন্তব্যটা রাজনৈতিক মতাদর্শের দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত। আমি আওয়ামী লীগ সমর্থক না। বিএনপি বা জামাতের সমর্থকও না।
২০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৬
সোহানী বলেছেন: প্রচুর ট্রল দেখছি অনলাইনে। আসলে ভীতরে কি আছে তা এখনো দেখিনি তাই বেশী কিছু মন্তব্য করার সাহস করছি না।
তবে দেশের বাইরে এসে দুটো বিষয় গর্ব করার মতো ছিল দেশের, অংক আর বিজ্ঞান। যা আমরা শিখেছি স্কুলে তা এখানকার বাচ্চারা চিন্তাও করতে পারে না। তাই এ দুই বিষয় ছাড় দিলে দু:খজনক হবে বিষয়টি।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রকৃত অবস্থা বোঝা আমার জন্যও কঠিন। তবে ট্রল হচ্ছে এটা ঠিক। এই নতুন শিক্ষাক্রমের ভুল ত্রুটি নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা হচ্ছে না।
এক বছর আগে থেকেই শুনছিলাম যে ক্লাস নাইন এবং টেনে কোন বিভাগ থাকবে না। সবাই বিজ্ঞান এবং গণিত সমানভাবে পড়বে। তখনই আমার কাছে মনে হচ্ছিল যে সেই ক্ষেত্রে বিজ্ঞান এবং গণিতের অধ্যায় কিছু কমিয়ে দিতে পারে। কারণ আসলে সবার পক্ষে আগের নিয়মের নাইন টেনের বিজ্ঞানের সব অধ্যায় পড়ে পাস করা সম্ভব হবে না। আমাদের সময়ে কিছু ছাত্র বাধ্য হয়ে আর্টস নিয়েছিল। কারণ তারা সায়েন্সে পাস করতে পারছিল না। যদি সত্যি সত্যি বিজ্ঞান এবং গণিত হাল্কা করে দেয়া হয় সেই ক্ষেত্রে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা কমে যাবে যেটা কখনই কাম্য না।
আমার মতে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়াশুনার চাপ কম রাখা হলেও কোনভাবেই ক্লাস এইট, নাইন, টেন, ইলেভেন এবং টুয়েলভে বিজ্ঞান এবং গণিত হাল্কা করা যাবে না। আমাদের সময় ক্লাস টুয়েলভের বিজ্ঞান এবং গণিত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার মত ছিল। শিক্ষা বিভাগকে এগুলি নিয়ে ভাবতে হবে। নইলে সমস্যা হবে।
২১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পজেটিভ ও নেগেটিভ দুটো মত আছে তবে আস্তে আস্তে এই নতুন শিক্ষাক্রম গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কারণ আমাদের সমাজ হঠাৎ নতুন কিছু মেনে নিতে অভ্যস্ত নয় তার উপর এটাতো শিক্ষাখাত বলে কথা।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শিক্ষা বিভাগ কতটা আন্তরিক এটা বোঝা যাচ্ছে না। শুধু আমলাদের উপর নির্ভর না করে ভালো মানের শিশু মনোবিদ এবং শিক্ষাবিদদের এই শিক্ষাক্রম প্রণয়ন এবং উন্নয়নে যুক্ত রাখতে হবে। প্রয়োজনে উন্নত দেশের শিক্ষাবিদদের পরামর্শক হিসাবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
তবে আমাদের দেশের অভিভাবকদের মাইন্ড সেটেও সমস্যা আছে।
২২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সুবিধাবঞ্চিতদেরকে কীভাবে এই নতুন শিক্ষানীতিতে অন্তর্ভুক্ত করবে? যেখানে অনেক উপকরণের প্রয়োজন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরকারের স্বদিচ্ছা থাকলে অনেকখানি সম্ভব। সরকার প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য বিনা মূল্যে বই বিতরণ করছে বেশ অনেক বছর ধরে। সরকার দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা ফ্রি করেছে। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছে যেটা প্রশংসনীয়। যেমন বৃত্তি দেয়া হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীতে এবং বৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি অভিভাবকের মোবাইলে চলে যাচ্ছে। তাই সরকার আন্তরিক হলে গ্রামের স্কুলগুলির প্রযুক্তিগত অবকাঠামো ৫ বছরের মধ্যে উন্নত করতে পারবে।
সস্তা উপকরণের কিছু উদাহরণ আমাদের শায়মা আপু উপরে দিয়েছেন। সস্তাতেই অনেক কিছু করা সম্ভব।
২৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: নেতিবাচক যে বিষয়গুলোর কথা বলেছেন সেগুলি খুব সহজে সমাধান করা যায়। খরচের যে বিষয়টি বলেছেন তা রাষ্ট্র বহন করলে অভিভাবকদের উপরে চাপ কমবে। মোবাইলের যে বিষয়টি বলছেন তাদেরকে আমাদের মত মোবাইল ফোন দেওয়ার দরকার নেই। তাদের মত করে ডিজাইন করে ট্যাব হাতে দেওয়া যেতে পারে এবং প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আ্ট্রা রে প্রতিরোধকারী গগলস সাথে দিতে পারে।
নেতিবাচক যে বিষয়গুলোর কথা বলেছেন সেগুলি খুব সহজে সমাধান করা যায়। খরচের যে বিষয়টি বলেছেন তা রাষ্ট্র বহন করলে অভিভাবকদের উপরে চাপ কমবে। মোবাইলের যে বিষয়টি বলছেন তাদেরকে আমাদের মত মোবাইল ফোন দেওয়ার দরকার নেই। তাদের মত করে ডিজাইন করে ট্যাব হাতে দেওয়া যেতে পারে এবং প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আ্ট্রা রে প্রতিরোধকারী গগলস সাথে দিতে পারে। সপ্তম শ্রেণীর একটি গনিত দক্ষতা যাচাই এর প্রশ্নের ছবি দিলাম। আমার তো মনে হয় না তারা গণিতে পিছিয়ে পড়বে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পরামর্শগুলি ভালো। ধীরে ধীরে আরও অনেক বুদ্ধি বা কৌশল আবিষ্কার করা সম্ভব হবে বলে মনে হয়।
পাই চার্ট, গ্রাফ ইত্যাদি বাস্তব জীবনে কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগে। এছাড়া বাস্তব জীবন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ভাবনা যেন শাণিত হয় সেই চেষ্টাও করা হয়েছে। তাই এই প্রশ্ন এবং পদ্ধতিকে খারাপ বলা ঠিক হবে না।
২৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। অনেকে আমার মন্তব্যের উত্তর দেন না। তবু আমি ছেচরার মতো তাদের পোষ্টে যাই, মন্তব্য করি। কি করবো, দীর্ঘদিনের অভ্যাস।
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আমি সামুতে ১০০ পর্বের একটা ধারাবাহিক লিখেছি ৫ বছর ধরে। সেটা শেষমেশ বই আকারে বের হয়। এবং বইটি পাঠক একেবারেই পছন্দ করেন নি। কেন পছন্দ করেনি সেটা খুজতে গিয়ে বইটিতে অসংখ্য ভুল চোখে পড়েছে। ভবিষ্যতে বইটি আবার নতুন করে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে।
শিশুদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে হয়। ঠিক সেই ভাবে শিক্ষাও খেলার ছলে ছড়িয়ে দিতে হবে। যেন লেখাপোরাকে শিশুরা আনন্দময় হিসাবে গ্রহন করেন। ভয় না পায়। বিরক্ত না হয়।
যেসব পোষ্টে বেশী মন্তব্য আসে, সেসব পোষ্টে আমি আবার আসি। আসা উচিত কিনা আপনিই বলুন। আমার তো জানতে হবে, কে কি মন্তব্য করেছেন।
আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। আর সোনাগাজীকে ব্যান মুক্তির জন্য একটা পোষ্ট দেন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বইটা আবার প্রকাশের উদ্যোগ নিন। আপনার লেখা সহজে বোঝা যায়। তাই আমার ধারণা ভুল ত্রুটি মুক্ত ভাবে বইটা প্রকাশ করলে ভালো বিক্রি হবে।
আমাদের সমাজে বহুকাল ধরে চলে আসছে যে শিশুদেরকে বেতের উপরে রাখতে হয়। ছোটবেলায় দেখেছি যে ক্লাস ফোরের বাচ্চাকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলেছে। ক্লাস এইটের একটা ছেলেকে ডাস্টারের কোণা দিয়ে প্রায় ২০ মিনিট একটানা যেভাবে পিঠের উপরে শিক্ষক আঘাত করলো সেটা কোন সন্ত্রাসী বা গুণ্ডাও করবে না। ছেলেটা শারীরিভাবে অত্যধিক ফিট ছিল বলে মাটিতে পড়ে যায়নি। অন্যও কেউ হলে অজ্ঞান হয়ে যেত বা হাসপাতালে নিতে হত। সেই শিক্ষক পরবর্তীতে ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে এই ধরণের মাস্তানিই করেছেন হয়তো।
পোস্টে আপনার বারবার আসা এটা একটা ভাল গুণ। অনেকে পোস্ট পড়ে কিন্তু নীরবে চলে যায়।
আসলে সোনাগাজীকে নিয়ে পোস্ট দেয়া মানে তার ব্যানমুক্তিকে আরও পিছিয়ে দেয়া। এই কারণে দিতে চাচ্ছি না। আমার আশা ব্লগ কর্তৃপক্ষ এতো লম্বা শাস্তি ওনাকে দিবেন না। অনেক দিন হয়েছে। এখন ওনাকে মুক্ত করে দেয়া উচিত। তবে মুক্ত হওয়ার পরে ওনাকে একটু সতর্কভাবে মন্তব্য করতে হবে। তা না হলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
২৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে যা যানা যাচ্ছে
ক্লাস 3 এর আগে কোনো পরীক্ষাই নেই!
ক্লাস টেনের আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষা নেই।
এসএসসি -তে মাত্র ৫ বিষয়ের পরীক্ষা। বাংলা, ইংলিশ, ম্যাথ, সায়েন্স ও সোশ্যাল সায়েন্স। কোনো পত্র নেই। মাত্র ৫ দিনেই পরীক্ষা শেষ।
সায়েন্স, আর্টস, কমার্স গ্রুপিং হবে ইন্টারমিডিয়েটে।
হাইস্কুল লেভেলে বিষয় থাকবে ১০ টি: কিন্তু এস এস সি তে পরীক্ষা হবে ৫ টি
ইন্টারমিডিয়েটে সাবজেক্ট ৬টা। প্রত্যেকটার পত্র ৩ টা করে।
ফার্স্ট ইয়ারে সবগুলোর প্রথম পত্রের পাবলিক এক্সাম। সেকেন্ড ইয়ারে সেকেন্ড ও থার্ড পার্টের। তারপর ২ এক্সাম মিলিয়ে চূড়ান্ত এইচএসসির রেজাল্ট।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ক্লাস থ্রির আগে আসলে পরীক্ষার দরকারও নেই।
ক্লাস টেনের আগে পাবলিক পরীক্ষারও কোন দরকার দেখি না।
গ্রুপিং এইচ এস সি লেভেলে হতে পারে। এটা কোন সমস্যা না। কিন্তু এসএসসি পর্যায়ে বিজ্ঞান এবং গণিতকে যেন হাল্কা না করা হয় সেটা নিশ্চিত করা উচিত। নইলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যেতে পারে।
এইচএসসির গ্রেডিং সিস্টেম যেন আন্তর্জাতিক মানের হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। মুল বিষয় দেশে বা বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হওয়া। ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা যেন না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
২৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: তবে দেশের বাইরে এসে দুটো বিষয় গর্ব করার মতো ছিল দেশের, অংক আর বিজ্ঞান। যা আমরা শিখেছি স্কুলে তা এখানকার বাচ্চারা চিন্তাও করতে পারে না। তাই এ দুই বিষয় ছাড় দিলে দু:খজনক হবে বিষয়টি।
সোহানী আপুর মন্তব্যের এই অংশে লাইক। নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ভালো, কিন্তু আমাদের দেশের জন্য কতটুকু ভালো সেটা বৃহৎ আলোচনার দাবী রাখে। আমার মেয়ে দুবাইয়ের স্কুলে এবং ছেলে ঢাকা দুজনই আই বি (International Baccalaureate) শিক্ষাক্রমে পড়েছে। এ ছাড়াও আমি ইন্ডিয়ার সিংগাপুরের স্কুলিং দেখেছি, সব কিছুর পর আমাদের প্রাধান্য দেয়া দরকার দেশের ৬৮টি হাজার গ্রামের সাধারণ জনগণের বাচ্চাদের জন্য কতটুকু যৌক্তিক। শিশু শ্রেণী খেলার সাথে পড়া আর পড়াশুনার ভিত্তি গড়ে তোলা মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষা এক ধরনের হতে পারে না বলেই আমার মনে হয়।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞান এবং গণিতের মান কমিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ে বিজ্ঞান এবং গণিতে জোড় দিতে হবে। তবে এখন যে সমালোচনাগুলি হচ্ছে সেগুলি ক্লাস সিক্স পর্যন্ত। কারণ পরের লেভেলে এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি।
২৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
শায়মা বলেছেন: হিরণ ভাইয়ার মন্তব্যে আবারও লাইক। আমি তো হিরণ ভাইয়ার ফ্যান হয়ে যাবো মনে হয়। সুচিন্তিত মতামতে আমি মুগ্ধ! পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে হবে। যে কোনো পরিবর্তন সহজে সহজসাধ্য হয় না। সমস্যাগুলো থেকেই সমাধানের চিন্তা মাথায় আসে।
যাইহোক ভাইয়া মাথায় মাঝে মাঝে ভূত চাপে তখন রাত ২/৩/ ৪ টা কিছুই না আমার।
এই মনিপুরি নৃত্যশিল্পীর পিছের ইতিহাস জানলেও তুমি মনে হয় টাসকি খাবে।
আমার এনুয়াল শো এর প্রাকটিস শুরু হয়েছে। আমি বাচ্চাদেরকে দিয়ে বাংলাদেশের নৃ গোষ্ঠি সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করবো।
তো নাচবে চাকমা মুরং মনিপুরি ত্রিপুরা প্রভৃতি। রিসোর্সের থাকবে পিঠে সফট ডল দিয়ে চা বাগানের ঝুড়িতে মাথা বের করে থাকা বাচ্চারা। কাগজের বাঁশ দিয়ে বাঁশ নৃত্য। হাল্কা প্লাস্টিক বোটলের নীচে বোথ সাইড টেপ দিয়ে আটকানো মাথায় বোটল। হাতের তালুতে টেপ দিয়ে আটকানো পেপার প্লেট। মনিপুরি ট্রেডিশনাল ড্রেসের নৃত্যরটা বালিকারা। সব আয়োজন সম্ভব হলো। মায়েরা এই ড্রেস বানাবে কেমনে তাই মাথায় হাত। কাজেই আমাকে স্টাডি চালাতে হলো কেমনে এই ড্রেস বানায় তারা। ইউটিউব থেকে লিঙ্ক নিয়ে নিজেি ডেমোড্রেস বানাতে বসে পড়লাম। তারপর আমার নিজের টেইলরকে বুঝিয়ে দিলাম।
বাপরে টিচার হওয়া কি এতই সহজ!!
এত সহজে হাল ছাড়লেই চলবে!!!! কাভি নেহি!!!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার উচিত হবে সিলেট এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম গিয়ে মনিপুরী, চাকমা আর ত্রিপুরাদের সাথে সপ্তাহ খানেক থাকা। তাহলে ওদের সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা হবে।
নৃগোষ্ঠীর ড্রেস নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের গভীরে কিছু কিছু নৃগোষ্ঠীর মেয়েরা শরীরের উপরের অংশ খোলা রাখে আর নীচে সম্ভবত লুঙ্গি জাতীয় কিছু পরে। ছেলেদেরও একই অবস্থা। এদের নিয়ে নাচ করলে পোশাক বানাতে সমস্যা কম হত খরচও কম লাগতো। আফ্রিকার নৃগোষ্ঠী নিয়ে অনুষ্ঠান করলে পোশাকের জন্য কোনই সময় বা টাকা-ই দিতে হতো না। পরের বছরের জন্য আইডিয়াটা মাথায় রাখতে পারেন।
২৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৬
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: নতুন পাঠ্য বইগুলো বিজ্ঞ জনেরা পুরো বইটি পড়ে তারপর বিশ্লেষণে সুফল/কুফল তুলে ধরবেন! যাঁদের সন্তানেরা এবার ক্লাস সিক্স ও সেভেন এর বই হাতে পাবেন অনুগ্রহপূর্বক অভিভাবক হিসেবে পুরো বই পড়বেন তারপর বাস্তবতার নিরীখে তার মানদণ্ড যাচাই করবেন। পুরো বই পড়ার পর ব্লগে নতুন লেখা পাবো আশাকরি।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা নতুন শিক্ষা পদ্ধতিকে বিচার করা এতো সহজ না। অন্ধের হাতি দেখার মত যে যা অনুভব করছে সেভাবেই বর্ণনা করছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা ভালো বলে পারবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০
বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাল পোষ্ট। সুন্দর নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়েছে।