নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুমায়ূন আহমেদ এবং তার ভাই বোনেরা তরুণ বয়সে প্ল্যানচেটের মাধ্যমে মৃত আত্মার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতেন। হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিচারণ মুলক লেখাগুলিতে প্ল্যানচেটের কথা আছে। আমি হুমায়ূন আহমেদের গল্পের বই খুব কম পড়লেও তার স্মৃতিচারণ মুলক বেশ কিছু লেখা পড়েছি। যেমন এই আমি, আপনারে আমি খুজিয়া বেড়াই, অনন্ত অম্বরে, আমার আপন আধার, আমার ছেলেবেলা, বল পয়েন্ট, রঙ পেন্সিল, নিউ ইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ।
'আমার আপন আধার' বইয়ে হুমায়ূন আহমেদ তার জীবনের একটা জীনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখেছেন। একবার কলেজের ছাত্রদের ভাইভা নেয়ার জন্য একটা মফস্বল শহরে এক শিক্ষকের বাসায় রাতে ছিলেন। ঐ শিক্ষকের স্ত্রী বাড়িতে ছিল না এবং সে নিজেও তাস খেলতে বাইরে চলে যায় রাতের বেলায়। বাড়িতে হুমায়ূন আহমেদ একা ছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন;
‘রাত দু’টার সময় শুরু হল ভুতের উপদ্রব। কলঘরে পানি পড়বার শব্দ হচ্ছে। রান্না ঘরে হাড়ি-কুড়ি নড়ছে। ঝপাং করে বাড়ির টিনের ছাদে কি যেন লাফিয়ে পড়লো। সারা বাড়ি কেঁপে উঠল। নিজেকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম ছাদে ঝাপ দিয়ে যা পড়েছে – তা আর কিছুই না, বানর। কিছুক্ষন পর স্পষ্ট শুনলাম বারান্দায় চটি পায়ে কে যেন হাঁটছে। একবার এ মাথায় যাচ্ছে, আরেকবার ও মাথায়। ঘরের বাটি জ্বালিয়ে বিছানায় বসে রইলাম। প্রচণ্ড বাথরুম পেয়েছে, বাথরুমে যাবার সাহস নেই। সেখানে কল থেকে পানি পড়ছে, পানি পড়া বন্ধ হচ্ছে। আবারও পানি পড়ছে। ঘড়িতে রাত বাজে ৩ টা। এত ভয় জীবনে পাইনি।
শিক্ষক ভদ্রলোক রাত ৩ টার দিকে নির্দোষ আনন্দ শেষ করে ফিরলেন। আমি তাকে ঘটনা বললাম, তিনি নিতান্তই স্বাভাবিকভাবে বললেন, ও কিছু না, জীন।
আমি বললাম, জীন মানে?
এ বাড়িতে একটা জীন থাকে। দুষ্ট প্রকৃতির।
হুমায়ুদ আহমেদের ছোট ভাইয়ের স্মৃতিচারণ মুলক লেখাতেও জীনের কথা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় একবার ডঃ জাফর ইকবাল প্ল্যানচেট করার সময়ে তার এক বন্ধুকে মিডিয়াম বানান। কিন্তু কিছু একটা উল্টা পাল্টা হয়ে যাওয়ার কারণে সেই বন্ধু জ্ঞান হারায়। পরে অন্য বন্ধুদের পরামর্শে কাছের একটা মসজিদের হুজুরকে ডেকে দোয়া দরুদ পড়ানোর পরে সেই বন্ধুর জ্ঞান ফেরে। অনেক আগে বইটা পড়েছিলাম তাই বর্ণনায় একটু এদিক ওদিক হতে পারে।
আসলে সারা পৃথিবীতেই বিভিন্ন জাতির মধ্যে প্ল্যানচেট, ব্ল্যাক ম্যাজিক বা জীনের খেলা আছে। জীন নামের একটা জীব আমাদের আসে পাশেই আছে। এরা যে কোন প্রাণী বা মানুষের আকৃতি ধারণ করতে পারে। এরা বিদ্যুতের গতিতে যে কোন জায়গায় যেতে পারে।
শয়তান জীনদের সাহায্য নিয়ে এই সব প্ল্যানচেট, ব্ল্যাক ম্যাজিক এবং অন্যান্য জাদুকরী কাজগুলি করা হয়ে থাকে।
বাটি চালান দিয়ে তাবিজ বা হারিয়ে যাওয়া জিনিস খোঁজার কথা অনেকে হয়তো শুনে থাকবেন। এই বাটি চালানেও শয়তান জীনদের সাহায্য নেয়া হয়ে থাকে। এই জীনেরা অনেক সময় সত্যি তথ্য দিতে পারে অনেক সময় মিথ্যে কথা বলে।
মেয়ে জীনদের বলে পরী। অনেক সময় মেয়ে জীনেরা (পরীরা) কোন ছেলেকে পছন্দ হলে তুলে তাদের দেশে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে ঘর সংসার করে। আমার পরিচিত গ্রামের একটা ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। কয়েক মাস পরে একটা ঘরের চালের উপরে ধপাস করে ফেলে দিয়েছিল। আমার এক চাচির সাথে জীন ছিল। আমার দুলাভাইয়ের সাথে বহু বছর ধরে একটা ভালো জীন ছিল। মনে হয় এখনও আছে। সেই জীনের সাহায্যে সে অনেক অবিশ্বাস রকমের তাসের খেলা দেখাতে পারেন। অল্প সময়ে দুর্গম পাহাড়ি রাস্তা পার হয়েছে সে জীনের সাহায্যে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে যেটা অসম্ভব। তার কলিগ বা সহকর্মীরাও ব্যাপারটা পরীক্ষা করে সত্যতা পেয়েছে।
তবে জীনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা ঠিক না। কারণে সাধারণত খারাপ জীনেরা যোগাযোগ করে। পরবর্তীতে এরা ক্ষতি করতে পারে। তবে জীন ছাড়ানোর জন্য দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হুজুর দিয়ে দোয়া দরুদ করা যেতে পারে। ব্লগারদের অনুরোধ করবো তারা যেন জীন বন্দি করা বা বশ করার চেষ্টা না করে নিজে নিজে। এটা গুরুমুখী একটা বিদ্যা। ভালো কোন হুজুরের কাছে থেকে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া এই কাজে নামা বিপদজনক।
ছবি - নয়া শতাব্দী
সূত্র - ইউটিউব
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুনিয়ায় কিছু জিনিসের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। এগুলি আমাদেরকে ভাবায় এবং মনে ঔৎসুক্য তৈরি করে। যার কারণ এগুলি নিয়ে আগ্রহ আরও বাড়ে।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন:
পোষ্টের শুরুতেই সাচুর ছবিটা খারাপ না
রাশ আছে। এখন যাই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওটা আমার ছবি না। ওটা একটা চালান জীনের ছবি। ক্ষতি করার জন্য চালান জীন কোন মানুষের উপরে দিয়ে দেয় তান্ত্রিকরা।
রাশ কমলে আশা করি জীন নিয়ে আরও আলাপ হবে।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫
শায়মা বলেছেন: হায়রে! সকাল সকাল আবার তোমার জ্বীন ভূতের কিচ্ছা আনলে ভাইয়া??
আগেই বলেছি দু একটা জ্বীন ভূতকে আমার বাসায় পাঠায় দাও দেখি। কথা বলি আর নাচি গাই তাদের সাথে। পারলেই না তো পাঠাতে আধাটাও।
লেখকরা এমন উদ্ভট কাহিনী বানিয়ে ছানিয়ে লেখেন বটে। হুমায়ুন আহমেদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শরৎচন্দ্র সকলেই এই কাজ করেছেন।
রবিঠাকুরের কঙ্কাল পড়েছো??? হায়রে রবি ঠাকুর কঙ্কালকেও নায়িকা বানিয়ে ছেড়েছেন।
যাইহোক এই ইউটিউব ভিডিও দেখে হাসতে হাসতে সাত সকালে কেউ অজ্ঞান হলে তুমি তার জন্য দায়ী থাকবে বলে দিলাম।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাইরে থেকে ফিরে এসে আপনার জন্য জীন পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। এখন একটু ব্যস্ত হয়ে যাবো।
ভয় পেলে আমার কিন্তু কোন দোষ নাই।
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: কি এক জিন্দেগি কাটাইলাম দুনিয়ায় একটা জিনকে বশ করতে পারলাম না!
সেইরকম একটা জিন পাইলে জাদুকরি সব লেখা লিখে দুনিয়াতে অউলা ঝাউলা করে দিতাম।
* আচ্ছা সাচু ভাই, নিজের বউ দিয়ে জ্বীনরে বশ করতে হবে নাকি দিন দিয়ে নিজের বউরে বশ করতে হবে?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার পরিচিত একজন হুজুর জীনে ধরা রোগের চিকিৎসা করে। খুব পরহেজগার লোক। মাঝে মাঝে মনে হয় ওনার কাছে থেকে শিখবো কিভাবে জীন ডাকতে হয়। কিন্তু আবার ভয় লাগে। ভণ্ড পীরেরা খারাপ জীন দিয়ে অনেক কারসাজি করে থাকে।
জীনদের মধ্যেও লেখক থাকতে পারে। অনেক জীন তো মাদ্রাসায় পড়ে। এরা ভালো জীন।
বউকে দিয়ে জিনকে বশ করতে পারবেন না। জীন উল্টা বউয়ের আশিক হয়ে যাবে আর জামাইকে গলা টিপে মেরে ফেলবে। বউকে জীন দিয়ে বশ করা যায় কিন্তু এগুলি হারাম কাজ। খারাপ জীন দিয়ে যাদু করা হারাম। তাই এগুলি করা যাবে না। জীনের মাধ্যমে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধিয়া দেয়া যায়।
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
শায়মা বলেছেন: বাটি চালানের ভিডিও জ্বীন ভূতের ভিডিও তাড়ানো এই সব অভিনেতা অভিনেত্রীদেরকে বাজে অভিনয়ের জন্য পুরষ্কার দেওয়া হলে।
পুরষ্কার হত ফাঁসি।
অভিনয়টাও তো একটু ভালো করে শিখে আসতে পারে! আর পিছনে দৌড়াচ্ছিলো ঐগুলা কি মানুষ নাকি ভ্যা ভ্যা ক্যা ক্যা করা মানুষরুপী গরুর দল।
লেখা পড়া না শিখলেও তো এত গাধা হবার কথা না মানুষ হিসাবেও।
আচ্ছা সত্যি করে বলোতো ভাইয়া তুমি এসব ভিডিও যে দিলে তুমি বিশ্বাস করো এসব নাকি আমাদেরকে হাসাতে এই সব ভিডিও দিলে ভাইয়ামনি?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যখন জীন ভর করে তখন মানুষ এই ধরণের আচরণই করে। ঐ লোকটা তো নিজের ইচ্ছাতে দৌড়াচ্ছিল না। জীনই তাকে ঐ ভাবে দৌড়াতে বাধ্য করেছিল। ভাববেন না যে এগুলি অভিনয়। এগুলি একদম সত্যি।
অনেক শিক্ষিত লোককেও জীনে ধরে। আর শুধু আমাদের দেশে না পৃথিবীর সকল দেশের সকল ধর্মের মানুষকে জীনে ধরতে পারে। ইহুদি, খৃস্টান এবং ইসলাম ধর্মে জীনের কথা আছে। হজরত সোলাইমানের (আঃ) অধীনে ৭২ টি জীন শয়তান ছিল। এগুলিকে পরে তিনি পিতলের পাত্রে বন্দি করে সমুদ্রে ফেলে দেন। কোরআনের সুরা সাবার ১২ নং আয়াতে আছে যে 'কতক জিন তার সামনে কাজ করত তার পালনকর্তার আদেশে। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করবে, আমি জ্বলন্ত অগ্নির-শাস্তি আস্বাদন করাব। তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউজসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। '
অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
وَمِنَ الشَّيَاطِيْنِ مَنْ يَّغُوْصُوْنَ لَهُ وَيَعْمَلُوْنَ عَمَلاً دُوْنَ ذَلِكَ وَكُنَّا لَهُمْ حَافِظِيْنَ-(الأنبياء ৮২)-
‘এবং আমরা তার অধীন করে দিয়েছিলাম শয়তানদের কতককে (শয়তান জীন বোঝানো হয়েছে। কারণ ইবলিস শয়তান আসলে একটা জীন), যারা তার জন্য ডুবুরীর কাজ করত এবং এছাড়া অন্য আরও কাজ করত। আমরা তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতাম’ (সুরা আম্বিয়া ২১/৮২)।
এই বাটি চালান তো আমি করি নাই। তবে আমার পরিচিত একজন পরহেজগার হুজুর আছেন। ওনার কাছে শিখবো ভাবছি। একবার জীনের আছরের চিকিৎসা করে অনেক রাতে গ্রামের পথে বাড়ি ফেরার সময়ে জীনেরা তাকে ক্ষতি করতে চেয়েছিল। কিন্ত উনি দোয়া দরুদ পড়ার কারণে কিছু করতে পারেন নাই। যারা জীনের চিকিৎসা করে তারা আগেই দোয়া দরুদের মাধ্যমে নিজেদের জন্য একটা দুর্গ তৈরি করে ফেলেন ফলে জীন কোন ক্ষতি করতে পারে না। কয়েক দিন আগে আমার এক কলিগের বাসা থেকে পেন্ডুলাম ঘড়ি, মোবাইল জীনে নিয়ে গিয়েছিল। চোখের সামনে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ঘরের কয়েকটা বিছানায় আগুন ধরে গিয়েছিল। পরে একজন হুজুর ডেকে জীনদের উপদ্রব থামাতে হয়েছিল। আমার অন্য কলিগরা নিজের চোখে দেখে এসেছিল এই ঘটনা। দিনের বেলায় ঘটেছিল।
তাই জীন নিয়ে বেশী হাসি ঠাট্টা করতে যাবেন না। আছর করলে কিন্তু কেঁদে কূল পাবেন না। এগুলি হাসার জিনিস না।
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫২
বিজন রয় বলেছেন: শায়মা এবং শেরজা তপন দুজনেই দেখি জ্বীন-ভূত হতে চায়।
ভালো, খুব ভালো।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শায়মা আপুর জন্য প্রয়োজন আশিক জীন আর শেরজা ভাইয়ের জন্য প্রয়োজন চালান জীন। আরও কয়েক রকমের জীন আছে শুনেছি। ওনারা হাসি তামাশা করছেন। কিন্তু জীনে যদি সত্যি সত্যি ধরে তখন দৌড়ে কূল পাবে না। জীনদের নিয়ে হাসলে জীনেরা খুব ক্ষেপে যায়।
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
শায়মা বলেছেন: ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫০০
লেখক বলেছেন: বাইরে থেকে ফিরে এসে আপনার জন্য জীন পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। এখন একটু ব্যস্ত হয়ে যাবো।
ভয় পেলে আমার কিন্তু কোন দোষ নাই।
পাঠাও পাঠাও। জ্বীনদের জন্য কি আমার ঠিকানা দিয়ে দিতে হবে নাকি জ্বীন বাবাসকল মা সকলরা নিজেরাই আমার ঠিকানা জেনে যাবে। তাদের থেকে জেনে নিয়ে আমাকে জানাও ভাইয়া।
বেশি দেরী হলে কিন্তু জ্বীনেদের আবার বাংলাদেশ ছেড়ে দৌড়াতে হতে পারে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দাঁত বের করে হাইসেন না। আমি তো জীন বশ করি না। কিন্তু আমার পরিচিত হুজুর আছে। তবে উনি জীনে ধরা রোগীর চিকিৎসা করেন। ইচ্ছে করে কারও ঘাড়ের উপরে জীন ছেড়ে দেন না। তবে তান্ত্রিকরা পারে। আপনাকে কেউ যদি বান মারে তাহলে দেখবেন মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। অকারণে ঘরের লোকদের সাথে ঝগড়া করছেন। অকারণে কাঁদছেন বা হাসছেন। আপনার তো মনে হয় এই রোগ আছে। আপনার এই ধরণের লক্ষণ থাকলে আমাকে বলবেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিব।
আর আপনার কোন ধরণের জীন দরকার সেটা জানাতে হবে। এক ধরণের জীন হল আশিক জীন। মেয়েদের ধরে ছেলে জীন আর ছেলেদের ধরে মেয়ে জীন। এরা আছর করে মুলত প্রেম ভালোবাসা করার জন্য। আপনার লাগবে নাকি? এছাড়া চালান জীন আছে। তান্ত্রিকরা চালান জীন যদি আপনার উপরে ছেড়ে দেয় তাহলে দেখবেন অকারণে পেটে ব্যথা করছে, মাথায় ব্যথা করছে। মানুষের সাথে শত্রুতা, কুটনামি শুরু করবেন। এই রকম লক্ষণ আপনার মধ্যে আছে নাকি জানাবেন। আমার মনে হয় কিছুটা আছে।
৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
শায়মা বলেছেন: বিজনভাইয়া এত দিনেও তোমরা কাহাদের সাথে বাস করিতেছো তাহা জানিলেক না!!!!!!!!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উন্নত দেশগুলিতেও জীন আছে। অনেক উচ্চ শিক্ষিত মানুষকেও জীনে ধরে। আপনি হয়তো ভাবছেন আমি তো কত বড় পণ্ডিত আমাকে জীনে ধরবে না। আসলে এটা ভুল ধারণা। জীন নিয়ে বেশী হাসাহাসি করলে ওরা রাগ হয়। তখন বলবেন ছেড়ে ডে মা কেঁদে বাঁচি।
৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৯
কামাল১৮ বলেছেন: জ্বীন ভুতের থেকে হুরের গল্প ভালো।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হুর ও সত্যি জীনও সত্যি। জীনের সাথে এই পৃথিবীতেও দেখা হওয়ার সম্ভবনা থাকে। কিন্তু হুরের সাথে দেখা হতে হলে পরহেজগার মানুষ হতে হবে এবং মৃত্যুর আগে এই দেখা সম্ভব না। বেহেশতে যারা যাবে তারা হুর পাবে ৭২ জন সম্ভবত। এরা মুলত সেবা যত্ন করবে। কেউ মাথা টিপে দেবে, কেউ পা টিপে দেবে, কেউ পাখা দিয়ে বাতাস করবে, কেউ মসলা বেটে দিবে, কেউ পান বানিয়ে দেব। কিন্তু অনেকের মাথায় অন্য চিন্তা থাকে।
১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১১
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের বাড়িতে এক বিডিআর ভাড়াটিয়া থাকতো । তার বড় ছেলে যশোরের এক বিখ্যাত মাদ্রাসায় হাফেজিয়া পড়তো । সে পরীক্ষা করার জন্য নাকি সুরা জ্বিন পড়েছিল ডাকার জন্য এবং সত্যিই সত্যি সে প্রায় ৪৫ দিন গায়েব ছিল । তাকে জ্বীনে নিয়ে গেছে এমনটাই প্রচলিত । তবে সত্যিই এই ৪৫ দিন তার কোন খোজ পাওয়া যায় নি । থানা পুলিশ করেও কেউ খোজ বের করতে পারে নি । ৪৫ দিন পরে তাকে মাদ্রাসার ছাদেই অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেল এবং পরে যখন তার জ্ঞান হয় তার কাছে যখন জানতে চাওয়া হয় যে সে কোথায় ছিল তার কোন হুস ছিল না । সে ঠিক বলতেই পারে না সে কোথায় ছিল ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের ঘটনা অনেক আছে। এগুলি সত্যি। উপরে দুই একজন নারী ব্লগার হাসি তামাশা করছে জীন নিয়ে। জীনে ধরলে এদের মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হবে না। আমি নিজে একটা ২২ বছরের গ্রামের ছেলেকে দেখেছি যাকে পরীরা নিয়ে গিয়েছিল প্রায় এক বছর পরে ওকে ফেরত দেয়। একটা টিনের চালের উপরে ধপাস করে ফেলে দেয়। কিন্তু ও পরীর দেশের কথা তেমন মনে করতে পারে না। ছেলেটা দেখতে তেমন সুন্দর না। তারপরও ওকে কেন পরীরা নিয়ে গেল এটা আমার মাথায় আসছে না।
১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
জ্বীন আপনাকে পছন্দ করবে বলে মনে করেন,এই পোস্ট পড়ার পর?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি তো ওদের সম্পর্কে কোন খারাপ কথা বলি নাই। যা সত্যি তাই বলেছি। অনেক জীন ভালো আবার অনেক জীন খারাপ। মানুষের মধ্যে যেমন হয়। আমি বড় একটা বাড়িতে একটা নির্জন এলাকায় একা থাকি। ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ি প্রায় নিয়মিত। তাই জীনেরা আমাকে পছন্দ না করলেও আমার ক্ষতি করতে পারবে না। একটু ভয় লাগে। তাই পোস্টটা রাতে না দিয়ে দিনে দিলাম। ব্লগার যারা রাতে এই পোস্ট পড়বে তারা ভয় পেতে পারে অবশ্য।
১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এইসব গল্প তো গ্রামে শীতের ছুটিতে বেড়াতে গেলে হারিকেন আলোয় করতে হয়, ব্লগে লিখে দেখেন কিরাম বেইজ্জতি আপনার !
শায়মা আর শেরজাতপন তো আপনার গল্পে পানি ঢেলে দিলো।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি নির্জন এলাকায় একটা বড় বাড়িতে একদম একা থাকি তো তাই দিনের বেলায় দিলাম। রাতে দিলে নিজেই ভয়ে ঘুমাতে পারতাম না। যদিও আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাই।
আসলে গ্রামে, জঙ্গলে এবং পাহাড়ে জীন বেশী। এই কারণে শহুরে ব্লগাররা (বিশেষ করে শায়মা আপুর মত ব্লগারেরা) ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে। আমার বাবা তরুণ বয়সে কয়েক বছর কর্মসূত্রে সুন্দরবনে ছিলেন। ওখানে অনেক জীন আছে। একবার একটা জীন ওনাদের লঞ্চকে অনেক দূর পর্যন্ত ঘুরিয়েছিল রাতের বেলা। ওনারা সামনে একটা আলো দেখতে পাচ্ছিলেন। কিন্তু কিছুতেই সেই আলোকে ধরতে পারছিলেন না। কিন্তু পাকিস্তান আমলে সুন্দরবনের ভিতরে ওনাদেরটা ছাড়া ঐ এলাকায় কোন ইঞ্জিন বোট থাকা সম্ভব ছিল না। তারপরেও লঞ্চ পুরো গতিতে চালিয়েও সারা রাত তারা ঐ আলোকে ধরতে পারেন নাই। পড়ে ঐ এলাকার মুরুব্বিরা বলেছে যে এগুলি আসলে জীনের কাজ। ওদের বেশী ঘাঁটানো যাবে না।
গ্রামে গেলে অনেক জীনের গল্প শুনি। তখন রাতে ভীষণ ভয় লাগে। ব্লগের শহুরে ব্লগাররা (যেমন শায়মা আপু এবং শেরজা ভাই) আমাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা হয়তো করছে। কিন্তু কোন দিন গ্রামে গেলে বুঝতে পারতো জীন আছে কি নাই।
ভয় লাগলে রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাবেন।
১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
শায়মা বলেছেন: মনিরা আপুনি সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়া গেরাইম্মা মানুষ আর তাই ভূতে ভুই পায় সে কথা কি আজ জানলে?? আসলে ভাইয়া ভুই পায় না ভাইয়া হলো ওঝা মানে ঐ যে কোমরে দড়ি দিয়ে হেট হেট করে গরুর মত বোকা মানুষটাকে ঘুরিয়ে আরও তস্য বোকা গাঁয়ের লোকজনকে ধোকা দিয়ে টাকা কামায় সেই ওঝা।
এই কাজই করে ভাইয়া তাই ইউটিউবের লিঙ্ক দিয়ে তার দাম বাড়াচ্ছেন। দেখো পোস্ট দিয়েই অজপাড়াগায়ের কোনো গ্রামে গেছেন বাটি চালান হাড়ি চালান পাতিল চালান এই সব করে ছুটির দিনে টাকা কামাই করতে।
নইলে এই রকম হাস্যকর বোকামী ভিডিও দেবে ভাইয়া এমনি এমনি ভেবেছো? ভাইয়াকে কি এতই বোকা মনে হয় নাকি তোমার!!!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শোনেন, শহরে জীন কম। কিন্ত আছে। এতো হাইসেন না। আপনার প্রিয় মিরর মণির সাথে যে একটা পুরুষ আশিক জিন আছে সেটা কি জানেন। ওনাকে জিজ্ঞেস করলে সত্যি কথা বলবে। জেনে নিয়েন। একবার কোন কারণে ঐ আশিক জীনের সাথে ঝগড়া হয়েছিল তখন উনি হুজুর ডেকে তাকে ঘর ছাড়া করেছিলেন। তবে এখন মনে হয় ঝগড়া মিটমাট হয়ে গেছে এবং এক সাথে থাকেন। উনি এই ব্যাপারে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। পড়েন নাই মনে হয়। তাই অস্ট্রেলিয়াতেও জিন আছে।
কয়েক মাস আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম যেখানে লন্ডনের একজন উচ্চশিক্ষিত মেয়ে, জীনের ভয়ে নাস্তিক থেকে মুসলমান হয়েছিল। মনে আছে সেই ঘটনা। তাই গাইয়া গাইয়া বললেই হবে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শহরে বা গ্রামে হন্টেড বাড়ি আছে। ঐ বাড়িগুলিতে জিন আছে। চাইলে আমি আপনাকে লিঙ্ক দিতে পারবো। বাংলাদেশে জীনের আরেকটা সত্যি ঘটনা নীচের ভিডিওতে পাবেন। দেখার আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে নিলে ঝুকি কম হবে আপনার।
১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ঘরের বাটি জ্বালিয়ে
বাতি জালিয়ে হবে।
এটার একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে মাইর।
যাকে জীন ধরে তাকে না, যারা বলে জীন ধরেছে বা যারা ওঝা হয়ে জীন ছাড়াতে আসে, এদের ধরে এমন মাইর দিতে হবে যে আক্রান্ত ব্যক্তি সেই মাইর দেখে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিররের মাইর খাইয়া আর হুজুরদের দোয়া দরুদের কারণেই তো তার সাথে থাকা আশিক জীনটা ভাইজ্ঞা গেল। মনে নাই। ঐ পোস্ট তো আমি পড়েছিলাম।
আশিক জীন দুষ্টামি করে বারান্দার লাইট জ্বালায়। নিভিয়ে দিয়ে আসলে আবার জ্বালায় মিররকে রাগানোর জন্য। আমার ধারণা ঐ একই আশিক জিন বা অন্য কোন আশিক জিন মিররের সাথে আছে। মিররের বন্ধুরাও নাকি তাই বলে শুনেছিলাম।
১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
আমার টাইপে জ্বালিয়ে বানান ভুল লিখেছি
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিররের জ্বালানোর জ্বালাতনেই আশিক জীনটা ভেগে গিয়েছিল। ঠিক কি না। এখন আগেরটা আছে নাকি নতুন কোন আশিক জিনকে জ্বালানো হচ্ছে?
১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ওটা আমার ছবি না।
ওটাই সাচু।
এর আগে সাচুকে মাস্ক পরা দেখেছিলাম, এখানে মাস্ক ছাড়া
সেই যে ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট! মন আছে নিশ্চয়ই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জিন কিন্তু কালো কুকুর এবং সাপের রূপ নেয় বেশী। তাই কালো কুকুর দেখলে সতর্ক থাকা উচিত। আর সাপ ঘরে ঢুকলে সেটা জিন কি না বোঝার জন্য সাপটাকে ৩ বার সতর্ক করতে হবে। তারপরও যদি না যায় তাহলে বুঝতে হবে এটা জিন না। ৩ দিনেও সাপটা না গেলে তখন মেরে ফেলা যেতে পারে। অনেক জিন কিন্ত মাদ্রাসায় পড়ে। বেশী কিছুদিন আগে একজন প্রখ্যাত ওয়াজকারি তার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বললেন যে তার রুম মেট ছিল জিন।
আমার মাস্ক পরা আগের ছবিটাই আসল আমি। এই পোস্টে একটা জীনের ছবি দিয়েছি।
১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬
মিরোরডডল বলেছেন:
মাঝে মাঝে মনে হয় ওনার কাছে থেকে শিখবো কিভাবে জীন ডাকতে হয়
পারলে প্ল্যানচেট শিখে নিয়ে সামুর হারানো ব্লগারদের একসাথে করা হোক
মৃত অথবা জীবিত হারিয়ে যাওয়া ব্লগারদের আত্মাগুলো ফিরিয়ে আনা হোক।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্ল্যানচেট করা হয় খারাপ জিনদের সাহায্যে। খারাপ জিনদের দিয়ে কিছু করানো ঠিক না। এগুলির অনুমতি নাই। আমি যে হুজুরকে চিনি উনি চাইলে হারানো ব্লগারদের খুঁজে দিতে পারেন। কিন্তু উনি পরহেজগার মানুষ এইসব ব্লগিং পছন্দ করেন না। উনি শুধু জীনে আছর করা রোগীর চিকিৎসা করে থাকেন।
আর মৃত মানুষের আত্মা আসলে হাজির করা যায় না। প্লানচেটের সময় দুষ্ট জিনগুলি মিথ্যা কথা বানিয়ে বানিয়ে বলে থাকে।
মিরর এবং আমি দুইজনেই নির্জন বাড়িতে একা থাকি তাই আয়াতুল কুরসি পড়া উচিত ঘুমানোর আগে। তা না হলে ঘুমের মধ্যেও জিনে আছর করতে পারে।
১৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯
নতুন বলেছেন: জ্বীন সম্পর্কে ধর্মগন্থে বলা আছে তাই মানুষ বিশ্বাস এনেছে।
বাস্তবে এখনো কোন প্রমান নাই যে জ্বীন আছে।
মানুষ এই অজ্ঞতা কে পুজি করে বিভিন্ন কাজ করে তা জ্বীনের নামে চালিয়ে দেয়।
অনেকেই আছে বিভিন্ন ম্যাজিক ট্রিক্সকে জ্বীন বা অলৌকিক ক্ষমতা হিসেবে প্রচার করে নিজের লাভের জন্য।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানীদের উচিত জিন নিয়ে গবেষণা করা। যারা জিন বশ করতে পারে বা যারা জীনের আছরের চিকিৎসা করে তাদের সাথে কথা বললে বিজ্ঞানীরা অনেক কিছু জানতে পারবে। জ্ঞানের নতুন একটা শাখা তখন সৃষ্টি হবে। এক সময় মনে করা হতো যে পৃথিবীর চারিদিকে সূর্য ঘোরে। কিন্ত গবেষণা করে এখন সঠিক জিনিস জানা গেছে। একইভাবে জিন নিয়ে গবেষণা করলে বিজ্ঞানীরা এক সময় জীনের সত্যতা পাবে।
আর ব্ল্যাক ম্যাজিক, যাদু টোনা এগুলি সত্যি। আপনার সাথে হয় নাই তাই ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝতে পাড়ছেন না।
১৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: গ্রামের জ্বিনগুলোর একটা বিশেষত্ব আছে- ওরা হুজুরের বা ওঝার ধমক ধামকে চলে যাবার সময়ে গাছের ডাল ভাঙ্গে, কেউ কেউ টিনের চাল লক্ষ্য করে আধলা ইট ছোড়ে। মেয়েরা সন্ধ্যেবেলায় চুল খুলে হাটলেই ব্যাস খপ করে ধরে ফেলে - পুরুষ জ্বিনেরা শুধু আছর করতে পারে, ওরা ঘন ঘন দাত কপাটি লাগানো , আউলা ঝাউলা ঘুরে বেড়ানোয়, নাকি সুরে কথা বলানোয় বিশেষ এক্সপার্ট।
মেয়ে জ্বিন বা পরিরা নিয়মিত ছেলেদের ধরে তাদের দেশে নিয়ে গেলেও পুরুষ জ্বিনেরা সাধারনত নারীদের নেয় না।
মনে হয় জ্বীনদেশে নারী জ্বীন বা পরীতে থিক থিক করে। বিভিন্ন কামিল লোকজন দোয়া দরূদ পড়ে জ্বিন ডেকে কিংবা ব্লাক ম্যাজিককারীরা সারাদিন লাখ লাখ পুরুষ জ্বীনদের দৌড়ের উপরে রাখার জন্য ওদের ঘর সংসারে নজর দেবার ফুসরত পায় না আর এই সুযোগে পরীরা যুবক মানুষদের নিয়ে দেদারসে ফুর্তি করে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি তাহলে এই ব্যাপারে কিছু জানেন। জীনেরা যখন রোগীর উপর থেকে চলে যায় তখন হুজুরের নির্দেশে প্রমাণ স্বরূপ কাছের কোন গাছের ডাল ভেঙ্গে দিয়ে যায় অথবা চালে প্রচণ্ড আওয়াজ তৈরি করে। এতেই প্রমাণিত হয় যে জীনটা সত্যিই রোগীকে আছর করেছিল। আমার এক চাচির সাথে জিন ছিল। উনি খোলা চুলে সন্ধ্যার সময় বাইরে গিয়েছিলেন বলে ওনাকে জীনে ধরেছিল শুনেছিলাম। জীনে ধরা মানুষের কণ্ঠ খুব অদ্ভুত শোনায় যখন জীনের আছর থাকে।
কোন মেয়েকে পুরুষ জিন ধরে তাদের দেশে নিয়ে গেছে এমন শুনি নাই। কিন্তু কোন ছেলেকে পরীরা ধরে নিয়ে গেছে এমন ছেলে আমি নিজে দেখেছি। উপরে ব্লগার অপু তানভীরও এই ধরণের একটা ঘটনা বলেছেন। আসলে এগুলি তো সত্যি।
পুরুষ জীনদের ব্যাপারে আপনার কথা সত্যি হতে পারে। কারণে মানুষের ক্ষেত্রে যেমন বেশীর ভাগ অপরাধ করে পুরুষেরা একইভাবে পুরুষ জীনেরা দুষ্টামি, বাঁদরামি এগুলিতে বেশী ব্যস্ত থাকে। আর মেয়ে জিন বা পরীগুলি একটু রোমান্টিক হয়। এই কারণে তারা ছেলেদের ধরে নিজেদের দেশে নিয়ে গিয়ে ঘর সংসার করে। কয়েক মাস পরে এক ঘেয়ে লাগলে কোন টিনের চালের উপরে ধপাস করে ফেলে দিয়ে চলে যায়। মেয়ে জিন আদর সোহাগ বেশী করলেও ক্ষতি কম করে। কিন্তু পুরুষ জিনগুলি যাবতীয় ক্ষতি এবং দুষ্টামিগুলি করে থাকে।
আমার এক কলিগ একবার বললেন যে তার দাদা বা নানা খুব পরহেজগার ছিলেন। উনি যখন নামাজ পড়তেন তখন টিনের চালে জিনেরাও নামাজ পড়তো। উনি পড়ে ওদের ডাক দিয়ে আওয়াজ করতে নিষেধ করতেন।
আমার ছোট বেলায় আমাদের পরিবারের সাথে একজন খুবই পরহেজগার হাফেজ ছিলেন। ঐ সময় ওনার বয়স ছিল ১০০ বছর। উনি জিনের আছরের চিকিৎসা করতেন। জিনকে বোতলে আটকে রাখতেন।
২০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে গ্রামেই যাবো নে। তোমার ভূত পেত্নী দত্যি দানোদের সাথে নাচাগানা করতে। আর শুনেছি যারা জ্বীন জ্বীন করে সারাদিন ঘরের মধ্যে বসে থাকে আর পোস্ট লিখে আজ রাতেই তাদের ঘরে তাদের পোস্টে এক জ্বিন মহারাজা হাজির হবেন।
ভাইয়া জ্বীন তাড়ানো সূরা আগেই শিখাই দেই আসো- লা হাওলা কুয়াতা ইল্লাবিল্লাহেল আলীউল আজিম এই সূরা পড়লে জ্বীন ভূত সব পালায় যায়।
তবে হ্যাঁ তুমি যদি পড়ো তো সাবধান তোমাকে জ্বীনরা আবার বড় বেশি ভালোবাসে তো!!!
তোমাদের শীপকে সারা সমুদ্দুর ঘুরিয়েছিলো শীপনা পেয়ে আল্লাহ জানে তোমাকে আবার কই ঘুরায়!
না বাবা যাই যাই আমি খুবই ভুই পাত্তি! পালাই......
ওহ শেরজা ভাইয়ুর কমেন্টে দেখলাম পুরুষ জ্বীনরা নাকি নারীদের নেয় না। বাব্বাহ বাঁচলাম। বুঝলাম নারী জ্বীনরাও মানুষ নারীদের সাথে ঝগড়া ঝাটি মারামারিতে পারেনা তাই আর সতীন বাড়ানোর রিস্ক নেয়না পুরুষ জ্বীনেরা। কিন্তু পরীজ্বীন মানে মহিলা জ্বিনরা কিন্তু পুরুষদেরকে ধরে নিয়ে যায় তুমি সাবধান ভাইয়া!!!!!!!!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের শিপ না। আমার আব্বার তরুণ বয়সের কাহিনী বলেছি। ওনারা সুন্দরবনে ২ বছরের মত চাকরীর কারণে ঘুরতেন পাকিস্তান আমলে ( ১৯৬০ সালের দিকে হবে)। জিন ওনাদের তাড়া করে নাই। কিন্তু গোল্লা ছুট খেলছিল। মানে জীনেরা একটা আলো দেখাচ্ছিল লঞ্চের সামনে। লঞ্চের গতি পুরো দেয়ার পরেও সেই আলো শুধু সামনেই যাচ্ছিল। ঐ যুগে সুন্দরবনে তাদের লঞ্চ ছাড়া কোন ইঞ্জিন নৌকা থাকা সম্ভব ছিল। সারা রাত ছি বুড়ি খেলার পরে সকালে দেখেন যে ঘুরে ফিরে তারা আবার আগের জায়গাতে চলে এসেছেন। লঞ্চে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন মানুষ ছিল। সবাই দেখেছে। আপনার বিশ্বাস না হলে কি আর করা। চট্টগ্রামের অনেক পাহাড় এবং জঙ্গলে জিন আছে। আমি যে কোম্পানিতে আছি সেখানে যারা রাতে ডিউটি করে তারা দেখেছে যে সাদা ঘোড়ায় চরে জীনেরা পাহাড়ে উঠছে।
নারী জিন মানে পরীরা একটু রোমান্টিক আর ভালো হয়। তারা বেশী ক্ষতি করে না। শুধু কোন ছেলেকে পছন্দ হলে নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে ঘর সংসার করে। পরে এক ঘেয়ে লাগলে টিনের চালের উপরে ধপাস করে ফেলে দিয়ে চলে যায়। আর ছেলে জিনগুলি যত বদমাইশি করে থাকে। ওরা পরীদের রেখে মেয়েদের উপরে আছর করে। এগুলি ছাড়ানোর জন্য ভালো কোন হুজুরের কাছে যেতে হয়।
আমাকে নিবে না কারণ আমি তো তরুণ যুবা না। ওরা মুলত একটু হ্যান্ডসাম আর ড্যাশিং টাইপের ছেলেকে পছন্দ করে। আমাকে নিলে ওদের পোষাবে না। আমার পোষাবে অবশ্য। দোয়া করেন যেন আমাকে নিয়ে যায়।
২১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
সেরকম কিছু না, ওগুলো বন্ধুরা মজা করে বলে।
সুইচ অন অফের ঘটনা যেটা ঘটেছিলো, সেরকম ঘটনা আরও আছে কিন্তু ওটা জীন না।
ব্লগার নতুনের ভাষায় বলবো, সব রহস্যময় ঘটনার পেছনেই কারণ থাকে, অনেক সময় আমরা সে কারণটা জানিনা।
যদি নতুন কারণ বের করতে পারে, তাহলে আমি শেয়ার করতে পারি এমন ঘটনা যেটার কারণ খুঁজে পাইনি।
আই মিন আমার জানা মতে কারণ পাইনি কি হয়েছিলো বা কেনো হয়েছিলো।
সাচু শুনলেই বলবে জীন
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি তো আসল কারণটা জানি তাই আমি জিনই বলবো। হুমায়ূন আহমেদের সাথেও জীনের দেখা হয়েছিল। একবার প্রকাশ্য দিবালোকে একটা জিন ওনাকে কি যেন বলেছিল। অনেক আগে পড়েছি তাই মনে নাই।
কারণ জিন হোক বা অন্য কিছু হোক মিররের কাছে অনুরোধ ঘটনাটা নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার জন্য। সাথে কি আগের জিনটাই আছে নাকি নতুন কোন জিন?
২২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০০
নতুন বলেছেন: যদি নতুন কারণ বের করতে পারে, তাহলে আমি শেয়ার করতে পারি এমন ঘটনা যেটার কারণ খুঁজে পাইনি।
আই মিন আমার জানা মতে কারণ পাইনি কি হয়েছিলো বা কেনো হয়েছিলো।
সাচু শুনলেই বলবে জীন
কাহিনি বলো... অবশ্যই ব্যক্ষা খুজে পাওয়া যাবে...
কোন কিছুই কারন ছাড়া ঘটেনা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীনের কারণেই তো অনেক কিছু হয়। এগুলি তো প্রতিষ্ঠিত সত্য। হজরত সোলাইমানের (আঃ) জীনের গল্প তো কোরআনেই আছে। ওনার নির্দেশে জীনেরা সমুদ্রের নীচে পর্যন্ত যেত। উনি যা আদেশ করতেন তাই করতো। বাইতুল মুকাদ্দাস তো জীনেরা মেরামত করেছিল। তাই কারণ তো অবশ্যই আছে। মূল কারণ হল জীনের কারসাজি এগুলি। সত্যি জিনের কাণ্ড ক্যামেরায় দেখেন; নীচের ভিডিওতে পাবেন।
২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬
নতুন বলেছেন: সে পরীক্ষা করার জন্য নাকি সুরা জ্বিন পড়েছিল ডাকার জন্য এবং সত্যিই সত্যি সে প্রায় ৪৫ দিন গায়েব ছিল । তাকে জ্বীনে নিয়ে গেছে এমনটাই প্রচলিত । তবে সত্যিই এই ৪৫ দিন তার কোন খোজ পাওয়া যায় নি । থানা পুলিশ করেও কেউ খোজ বের করতে পারে নি । ৪৫ দিন পরে তাকে মাদ্রাসার ছাদেই অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেল এবং পরে যখন তার জ্ঞান হয় তার কাছে যখন জানতে চাওয়া হয় যে সে কোথায় ছিল তার কোন হুস ছিল না । সে ঠিক বলতেই পারে না সে কোথায় ছিল ।
অনেকেই মাদ্রাসার পড়ার চাপে, অনেকের অত্যাচারে অথবা যৌন নির্যাতনের কারনে পালিয়ে গিয়ে থাকে.... পরে ফিরে এসে এমন কাহিনি তৌরি করে।
* অলৌকিক ভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া যায় না
* মানুষের বেচে থাকতে হলে অক্সিজেন/খাবার( ইত্যাদি... ) দরকার
* এমন অনেক কিছুই আছে যাই গুলি ঐ ৪৫ দিন তার দরকার ছিলো এবং তিনি পেয়েছিলো।
উনাকে জিঙ্গাসা করুন... তাহলে আসল সত্যিটা বের হবে...
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অলৌকিক ভাবেই আমাদের রসূল (সা) বোরাকে আরোহণ করে সপ্তম আসমান পর্যন্ত গিয়েছিলেন অল্প সময়ে।
জিনেরা পৃথিবীর কোথাও মানুষদের ধরে নিয়ে রাখে যেখানে আলো, বাতাস এবং খাবার আছে।
২৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
কারণ জিন হোক বা অন্য কিছু হোক মিররের কাছে অনুরোধ ঘটনাটা নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার জন্য। সাথে কি আগের জিনটাই আছে নাকি নতুন কোন জিন?
নো ওয়ে ম্যান, নো ওয়ে!!!!!!!!
আর কোন পোষ্ট না, কানে ধরেছি
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক আছে। তাহলে আরও কিছু থাকলে এখানেই দেয়া হউক। জীনেরা যে কত দুষ্টামি করতে পারে সেটা শায়মা আপু একটু বুঝুক।
২৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: জীনেরা এই ধরণের কাজ অনেক সময় করে। হয়তো চুল ভালো লেগেছিল তাই কেটে নিয়ে গেছে। ভাগ্য ভালো পুরো মাথা ন্যাড়া করে দেয়নি।
সাচু এমন কিছুই বলবে জানি
নতুন ভালো এক্সপ্লেইন করবে। আমি সেটা শোনার অপেক্ষায়।
অনেক সময় অনেক কিছু ইগ্নর করে যাই কিন্তু ভেতরে প্রশ্ন থেকে যায়।
মনতো জানতে চাইবেই কি করে কি!
আর আমি যেহেতু একা বাসায় থাকি, অলওয়েজ সিকিওরড এপার্টমেন্টে থাকি।
একাধিক সিকিউরিটি ডোর, আমি এক্সসেস না দিলে কারো সাধ্য নেই বাসায় ঢোকার।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চুলের ভিটামিন কমে গেলে অনেক সময় চুল এভাবে ঝরে পড়তে পারে। অনেকে বালিশে মাথা ঘষাঘষি বেশী করে তখন ভিটামিন কম থাকার জন্য চুল হঠাৎ পড়ে যায়।
২৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০
নতুন বলেছেন: মূল কারণ হল জীনের কারসাজি এগুলি। সত্যি জিনের কাণ্ড ক্যামেরায় দেখেন; নীচের ভিডিওতে পাবেন।
উপরের ভিডিও তে যেটা দেখলাম সেটা হলো।
* একটা মানুষ পরিতাক্ত একটা বাড়ীতে রাতের বেলা বিভিন্ন রুমে ঘুরে দেখছে
* আমি কোন জ্বীন দেখতে পেলাম না।
* কিছু ফার্নিচার নরাচরা করেছে... সেটা ঐ মানুষটির সহযোগীরা করতে পারে... সুতা দিয়ে টানা টানি করে....
এই ভিডিও দেখে যারা সত্যি জীন কট অন ক্যামেরা মনে করে তাদের জন্য একটা কাজলের কৌতুক মনে পরে গেলো।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীনের কাজ কারবার ক্যামেরায় দেখা গেছে। জীন দেখলে অনেকে ভয় পাবে তাই জীন সামনে আসে নাই।
২৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২
নতুন বলেছেন: মেয়েরা সাধারণত রাতে ঘুমাতে যাবার আগে লাস্ট টাচ চুল আঁচড়ায়, সেই রাতে আমিও বরাবরের মতো তাই করে টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কিন্তু আয়নায় চোখ পড়ে যেহেতু রুমের একপাশে পুরোটাই বিল্টইন মিরর।
আমাকে দেখে চমকে উঠে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। আমার পুরোই কাঁদো কাঁদো অবস্থা!!
মাথার সামনে কপালের কাছের গোছা ধরে মুঠো চুল এলোমেলো কাটা। ছোট ছোট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, কি যে বাজে অবস্থা।
কিভাবে কি করে আই হ্যাভ নো আইডিয়া।
যদি বিছানায় বা ঘরের অন্য কোথাও চুল না থাকে তবে হয়তো সেটা বাইরে থেকে হয়েছে।
১ নং কেউ দুস্টুমি করে কেটেছে ২ নং হয়তো ক্যাপ/টুপি/হেয়ার ব্যান্ড বা অন্য কোন কিছু থেকে হয়েছে
যদি গোড়া সহ খালী হয়ে থাকে তবে সেটা ন্যাচারেলী হয়েছে... সেটাকে Alopecia বলে... অনেকে হঠাত দেখে মাথায় কিছু জায়গাতে পুরো চুল খালী হয়ে গেছে...
কারন তুমিই পারবে বের করতে। ঐ দিন কি কি হয়েছিলো সেটা খুবই ভালো ভাবে চিন্তা করো.....
১টা জিনিস মাথায় রাখবা সেইটা হইলো.... কারন ছাড়া কার্য সাধন হয় না...
মাথার চুল অবশ্যই কোন জিনিসের দ্বারা কাটিত হয়ে পড়ে গেছে কিন্তু যেহেতু তোমার খেয়াল নাই তাই ঐ দিনের প্রতিটা মূহর্ত মনে করার চেস্টা কর তবে কিছু ক্লু পাবে...
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চুলের ভিটামিন কমে গেলে আর রাতে বালিশ মাথা বেশী ঘষাঘষি করলে এভাবে চুল পড়তে পারে।
২৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
প্রামানিক বলেছেন: ছোট থাকতে অনেক সময় ভুতের আলো গাছের মাথায় জ্বলতে দেখেছি। এখন এসব কিছুই দেখি না।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তেতুল গাছে জীন বেশী থাকে। এখন আগের চেয়ে গাছপালা কমে গেছে তাই জীনেরা বনে, জঙ্গলে চলে গেছে মনে হয়।
২৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: অলৌকিক ভাবেই আমাদের রসূল (সা) বোরাকে আরোহণ করে সপ্তম আসমান পর্যন্ত গিয়েছিলেন অল্প সময়ে।
জিনেরা পৃথিবীর কোথাও মানুষদের ধরে নিয়ে রাখে যেখানে আলো, বাতাস এবং খাবার আছে।
অলৌকিক ভাবেই আমাদের রসূল (সা) বোরাকে আরোহণ করে সপ্তম আসমান পর্যন্ত গিয়েছিলেন অল্প সময়ে।
এটা বিশ্বাস<<< প্রমানিত সত্য না।
একটা মানুষকে কিভাবে নিয়ে যায়? দুনিয়াতে এমন কোন জিনিস এখনো আবিস্কার হয় নাই যেটাতে জ্বীনেদের মতন যাতায়েত করা যায়...
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনে আছে। কোরআনের চেয়ে সত্যি কিছু নাই।
৩০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
নতুন বলেছেন: প্রামানিক বলেছেন: ছোট থাকতে অনেক সময় ভুতের আলো গাছের মাথায় জ্বলতে দেখেছি। এখন এসব কিছুই দেখি না।
গ্রামে জলাভুমিতে অনেক সময় marsh lights দেখা যায়... আপনি হয় তো সেরকম কিছু দেখে ছিলেন.
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জলাভুমির ফসফরাস ডাইহাইড্রাইড গ্যাস আর এটা এক জিনিস না। আসলে আগে জীনেরা গাছের মগডালে বেশী থাকতো। এখন জীনেরা মানুষের উপদ্রবের কারণে বন, জঙ্গল বা ব্যাচেলরদের ফ্লাটে থাকা শুরু করেছে। আমাদের ব্যাচেলর ব্লগার অপুর বাসাতেও জীন দুষ্টুমি করছে বলে শোনা যাচ্ছে।
৩১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
নতুন বলেছেন: কিন্তু স্কাল্প থেকে না, মুঠো করে ধরে কাটলে যেমন হয়, সেইভাবে কাটা, তাই সেই গোছা চুলগুলো দাঁড়িয়ে ছিলো
বললাম না খুবই বাজে অবস্থা, সেইগুলো প্রেস করে ক্লিপ আটকে রাখতে হয়েছে।
যখন আয়নায় দেখলা সেই মূহর্তের ছবিটা তুইলা রাখতে ভালো হইতো...
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চুলে ভিটামিন কম বা বেশী হলে কিংবা বালিশে মাথা বেশী ঘষাঘষির কারণে এই রকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমার ধারণা মিররের মাথার চুলে ভিটামিন বেশী ছিল। যাই হোক আমি উপরে কান্নাকাটি না করে এই ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করেছি।
আসলে খোলা চুলে রাতে বা সন্ধ্যায় মেয়েদের থাকা উচিত না। আমার চাচিকে জীনে ধরেছিল খোলা চুলে সন্ধ্যায় ঘরের বাইরে যাওয়ার জন্য। মিররের উচিত হবে হয় হিজাব পরে ঘুমানো কিংবা বড় কোন টুপি জাতীয় জিনিস দিয়ে মাথায় পুরোপুরি ঢেকে ঘুমানো। নইলে মাথার চুল সব শেষ হয়ে যাবে।
৩২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
নেক্সট আবার হলে রাখবো, ভিডিও করে রাখবো
যদিও জানি এ ঘটনা রিপিট হবে না, বিচ্ছিন্ন এরকম ঘটনা আছে কিন্তু একটার সাথে আরেকটার মিল নেই।
এই ছবিতে যদিও পেছনের চুল, কিন্তু সেদিন লম্বা চুলের মাঝে সামনের কাটা চুলগুলো অনেকটা এরকম দাঁড়িয়ে ছিলো
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভয় পেলে অনেকের চুল খাড়া হয়ে যায়। ভয়ের কারণে সম্ভবত চুল খাড়া হয়ে গিয়েছিল।
৩৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আহা এমন একটা ঘটনা না বললেই নয়; একবার আমার বিচ্ছু দুই ভাই বাড়ির পাশ্বের উচু জমিতে ধান ছাড়ানো ডাঙ্গা সখের বসে বাড়িতে আনতে গিয়েছিল দুইটা সরু বাঁশ নিয়ে আসার পথে রাস্থার পাশ্বেই একটা টয়লেটে ভাতি দেখে বাঁশ দিয়ে আঘাত করতেই এক চিল্লি দিয়ে বেহুস একজন। ওরা ভয়ে চলে আসে বাড়িতে। তারপর গল্পটি ওদের মা কে বলে। কিছুক্ষন পড়ে শুরু হলো জিনের তান্ডব। টয়লেটে অবস্থান রত মহিলাটি সদ্য বিবাহিত আমাদের পাশ্বের বাড়ির এক চাচার নব বধু। সবাই বলছে তাকে জিনে ধরেছে। এখন করণীয় জীন ছাড়ানো কবিরাজ আনা। কিন্তু রাতের বেলা নাকি ওরা আসতে রাজি হয়না। আমাকে দিল কবিরাজকে আনার দায়িত্ব। আমি যখন তাকে আনার জন্য যাব তখন বাড়িতে গেল পুরো গল্পটি আমি অবগত হই। কিন্তু পাশ্বের বাড়ির এমন ঘটনার জন্য দায়ি হবে ছোট দুইটি ভাই তাই বিষয়টি পুরোই গোপন রেখে কবিরাজকে আনা হয়। কিন্তু পরে যা দেখলাম কবিরাজ তার উপর জিনের আছর ছাড়ায়। যাওয়ার সময় একটি আমের ডালা ভেঙ্গে যায়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে জীন সম্পর্কে আরও জানলাম। এই ধরণের অনেক ঘটনা আছে। গ্রামের চেয়ে শহরে জীনের উপদ্রব কম। জীন রোগীর দেহ থেকে বের হওয়ার সময় কোন ডাল ভেঙ্গে যায় কিংবা ঘরের চালে জোরে শব্দ করে।
দুষ্ট জীনের সাহায্যে যাদু, টোনা, বান মারা হয়।
৩৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৮
শায়মা বলেছেন: সুজনভাইয়া তাহলেই বুঝো গাছের ডাল ভাঙ্গা ভন্ড কবিরাজদের কেমন ভন্ডামী। ঐ ছোট বাচ্চাদের লাঠির বাড়ি খেয়ে বউ মূর্ছা গেলো আর কবিরাজ নাকি ভূতের বাচ্চাকে দিয়ে গাছের ডাল ভাঙ্গালো। মানে ভন্ডামীর জায়গা আর কোথাও খুঁজে পায়না মনে হয়। সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়া আবার আরেক অন্ধ গল্পটা পড়েও অন্ধ জ্বীন ভক্তিতে কি বললো কমেন্টে তাই দেখলাম!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন কারণ ছাড়া বাড়ির পাশের একটা আম গাছের ডাল হঠাৎ ভেঙ্গে যাওয়া মানে কি? মানে হল কবিরাজের আদেশে জীন যখন রোগীর দেহ ছেড়ে চলে যায় তার আগে কবিরাজ বলে যে প্রমাণ হিসাবে তুই ঐ আম গাছের একটা ডাল ভেঙ্গে দিয়ে যাবি। জীন জান বাঁচাতে তা-ই করে। এতেই প্রমাণিত হয় যে রোগীর সাথে জীন ছিল। বহু লোকের সামনে এই ঘটনা ঘটে থাকে। জীনের কবিরাজরা এভাবেই প্রমাণ পেশ করে থাকেন।
ঐ গায়ের বধূর পাশ সম্ভবত ভয়ংকর চেহারার কোন জীন ছিল। যেটা দেখে বাচ্চা দুটি ভয় পায়। দুষ্ট জীনেরা মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য এগুলি করে থাকে। এগুলি আসলে ভুত না জীন। হিন্দুরা ভুত বলে আর মুসলমানরা জীন বলে।
উপরে ১৩ আর ২২ নাম্বার প্রতি-মন্তব্যে দেয়া ভিডিও দুইটা দেখলে পুরো ব্যাপারটা আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপনি চাইলে আরও কিছু ভিডিও দিতে পারবো। লাগলে জানাবেন।
রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়বেন আর চুল খোলা রেখে ঘুমাবেন না। কোন মাঙ্কি টুপি বা হিজাব দিয়ে চুল ভালো করে ঢেকে ঘুমাবেন। নইলে মিররের মত মাথার সামনে থেকে চুল গায়েব হয়ে যেতে পারে। আমার চাচিকে জীনে ধরেছিল গ্রামে সন্ধার সময় খোলা চুলে বাইরে বের হবার কারণে।
৩৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: এই ব্লগের প্রায় সবাইরে দেখি কমবেশি জ্বিনে ধরছে- মিরোর আপুর বিষয়টাতো জটিল!
আপনারে নিশ্চিত নাপিত জ্বিনে আছর করেছিল- মনে হয় কোন কাস্টমারের জরুরি তলবে কাম শেষ করতে পারে নাই
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডল তো তার জীবনের ব্যাখ্যার ঊর্ধ্বে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা নিয়ে বছর দুই এক আগে পোস্ট দিয়েছিল। আমি পড়েছিলাম। অনেকেই পড়েছিল। যদিও সে এটাকে জীন বলতে নারাজ। তবে আমি মোটামোটি নিশ্চিত তার আশে পাশে জীনেরা ঘোরে। কিন্তু পাত্তা পায় না। তখন ক্ষেপে গিয়ে জীনেরা চুল ধরে টানে। জীন বারান্দায় দাড়িয়ে থেকে বলে কুক আর লাইট জ্বালিয়ে দেয়। মিরোরডডল আবার গিয়ে লাইট নিভিয়ে আসে। আসলে সাধারণত আশিক জীন এগুলি করে থাকে। আরেক রকম জীন আছে যেটাকে বলে চালান জীন। কারও পেটে ব্যথা, মাথায় ব্যথা কিংবা স্বামীর সাথে ঝগড়া বাঁধানোর জন্য তান্ত্রিকরা জীন চালান দিয়ে থাকে। দোয়া দরুদ প'ড়ে পরে এগুলিকে ছাড়াতে হয়।
৩৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৯
শায়মা বলেছেন: হা হা নাপিত জ্বীন।
আর সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়াকে ধরেছে লেখক জ্বীন। ঘাড়ে ধরে তাদের কথা লিখাচ্ছেন!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীনে আছর করলে জীন মানুষের ব্রেন দখল করে ফেলে। মানুষের রক্তের সাথে এরা মিশে যায় শিরার মধ্যে দিয়ে। আপনাকে কোন আশিক জীন যদি আছর করে তাহলে দেখবেন যে সেই আশিক জীনটা ছেলে হওয়া সত্ত্বেও আপনার কণ্ঠে মেয়েলি গলায় কথা বলছে। মনে হবে আপনি বলছেন আসলে সেই পুরুষ জীনটা কথা বলছে। আর যখন ছেড়ে দিয়ে যাবে তখন আপনি পিছনের দিকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারাবেন। মাথায় একটু পানি দিলে তখন হুশ ফিরে আসবে। কিন্ত আছরকালীন কোন কথা আপনি মনে করতে পারবেন না। আমার প্রতি-মন্তব্যে দেয়া ভিডিও দুটি দেখলে আরও পরিষ্কার হবে ব্যাপারটা।
আসলে বিজ্ঞানীদের এই জীন নিয়ে গবেষণা করা উচিত। সৃষ্টি জগতের অনেক কিছু সম্পর্কে তারা জানতে পারবে। অনেক জীনের বয়স ১০,০০০ পর্যন্ত হয়। এখন থেকে ১০,০০০ বছর আগে পৃথিবী কেমন ছিল সেটা বয়স্ক কোন জিনকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে দিতে পারবে।
৩৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮
রানার ব্লগ বলেছেন: আমার এক মামী কে জ্বীনে তুলে নিয়ে যেতো । নয় দশ দিন কোন খোজ পাওয়া যেতো না । পড়ে কোন এক সময় সন্ধ্যার দিকে তাকে পাওয়া যেতো অন্য গ্রামের ধানের ক্ষেতের মধ্যে অর্ধেক শরীর মাটিতে পোঁতা অবস্থায়। জ্ঞ্যান হীন ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার জীন নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা আছে মনে হয় যে কারণে বুঝতে সুবিধা হচ্ছে। বাকিদের বোঝাতে পাড়ছি না। বিশেষ করে একটা মেয়ে ব্লগারকে।
৩৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজা তপন বলেছেন: আপনারে নিশ্চিত নাপিত জ্বিনে আছর করেছিল- মনে হয় কোন কাস্টমারের জরুরি তলবে কাম শেষ করতে পারে নাই
নাপিত জ্বিন, হা হা হা এটা পছন্দ হয়েছে
লেখক বলেছেন: তবে আমি মোটামোটি নিশ্চিত তার আশে পাশে জীনেরা ঘোরে। কিন্তু পাত্তা পায় না। তখন ক্ষেপে গিয়ে জীনেরা চুল ধরে টানে। আসলে সাধারণত আশিক জীন এগুলি করে থাকে।
নাপিত জ্বিন, আশিক জীন।
কতকিছু যে জানলাম
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আশিক জীন তো সত্যি সত্যি আছে। প্রায়ই এরকম দেখা যায়। নাপিত জীনও থাকতে পারে।
গতকাল আমার খাবার টেবিলে দেখলাম ১ টা রান্না করা ডিম আছে। ১ ঘণ্টা পরে যখন খেতে বসলাম তখন দেখলাম অন্য মাছ, তরকারি আছে কিন্তু ডিমটা নাই। আমি তো ডিম খাই নাই এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আমি জীনদের নিয়ে পোস্ট দেয়ার কারণে জীনেরা উপদ্রব করছে বলে আমার মনে হচ্ছে। কিছুক্ষন আগে আমি শুয়ে ছিলাম। আমার রুমের দরজায় কেউ নক করছে মনে হল। কিন্তু বাসায় তো আমি একা। রান্না যে করেছে তার এই সময় বাসায় চলে যাওয়ার কথা। এক ঘণ্টা আগেও আমি দেখলাম যে বাসায় কেউ নেই। ব্যাপারটা একটু রহস্যজনক মনে হচ্ছে। দিনের বেলা, তাই বেশী গুরুত্ব দিচ্ছি না। রাতে এমন হলে তো সমস্যা।
৩৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: 'আমার আপন আঁধার' বইটা আমি পড়েছি। আত্মজীবনীমূলক বই। সুন্দর একটা বই।
জ্বীন বলতে দুনিয়ায়তে কিছু নেই। হাজার বছর আগে মানুষের অজ্ঞতার ফসল এই সব জ্বীনটিন।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ মিথ্যা বলতেন না।
৪০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪০
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু, ডিসকাশন চলছে চলুক, নো প্রব কিন্তু ২৪ আর ৩২ নং মন্তব্য এবার ডিলিট করে দিবে, ব্যক্তিগত তথ্যগুলো এই পোষ্টে না রাখি
শেয়ারতো করা হলো, অন্য ঘটনাও পরে কখনও শেয়ার করবো, উই উইল হ্যাভ ফান ফর সিওর
সাচুর ঘরের টা তাহলে চোর জ্বীন
ডিম চোর।
এরকম ঘটনা এক ফ্রেন্ডের কাছে শুনেছি।
জামাই বউ দুজন ছাড়া বাসায় কেউ নেই, ডিম গুনে গুনে রান্না করে, খাবার সময় দেখে একটা করে নেই।
বাসায় ফল কিনে আনে গুনে, খাবার সময় দেখে একটা নেই।
ওদের দুজনেরই ধারণা বাসায় তাদের সাথে কিছু একটা আছে, যে চুরি করে খায়
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ২৪ আর ৩২ নাম্বার মন্তব্য মুছে দিয়েছি। জিনও অনেক সময় এই মন্তব্যগুলি পড়ে ফেলে। তাই মুছে দেয়াই উত্তম কাজ।
পেটুক জীন আছে কিছু। এরা চুরি করে খায়।
৪১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯
স্প্যানকড বলেছেন: বংগবন্ধু আর জিয়ারে প্লানচেটে আনতে পারলে জাতি অনেক সমস্যা থেকে বেঁচে যেতো। ভালো থাকবেন
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে প্ল্যানচেটের সময় দুষ্ট জীনগুলি সত্যি আর মিথ্যা মিশিয়ে বলে। মৃত ব্যক্তির আত্মা কখনও ডেকে আনা যায় না। ভালো থাকবেন।
৪২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
জিনও অনেক সময় এই মন্তব্যগুলি পড়ে ফেলে। তাই মুছে দেয়াই উত্তম কাজ।
হা হা হা
সাচু অনেক মজার মানুষ।
মৃত ব্যক্তির আত্মা কখনও ডেকে আনা যায় না।
তাহলে জীবিতদের আত্মা আনা হোক।
আমাদের আড্ডার মেম্বার কমে গেছে।
প্ল্যানচেট করে ঢুকি আর শুভ দুজনের আত্মাকে এখানে চাই
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইচ্ছে করলে জীনের সাহায্যে এই দুইজনকে সশরীরে সামনে আনা যায়। কিন্তু জীন ব্লগের নিক নেইমে এদের চিনতে পারবে কি না এটা একটা সমস্যা। চিনতে না পারলে অন্য কাউকে ধরে নিয়ে আসতে পারে।
৪৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪০
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: জীনে আছর করলে জীন মানুষের ব্রেন দখল করে ফেলে। মানুষের রক্তের সাথে এরা মিশে যায় শিরার মধ্যে দিয়ে।
এইডা কি কইলেন ভাই। এই জিনিস আপনার বিশ্বাস, প্রমানিত কিছু না।
শায়মা বলেছেন: সুজনভাইয়া তাহলেই বুঝো গাছের ডাল ভাঙ্গা ভন্ড কবিরাজদের কেমন ভন্ডামী। ঐ ছোট বাচ্চাদের লাঠির বাড়ি খেয়ে বউ মূর্ছা গেলো আর কবিরাজ নাকি ভূতের বাচ্চাকে দিয়ে গাছের ডাল ভাঙ্গালো। মানে ভন্ডামীর জায়গা আর কোথাও খুঁজে পায়না মনে হয়।
শায়মা আপু মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে আকাম করে সেটা জ্বীনের উপরে চাপায়। আর অন্ধবিশ্বাসীরা সেটা বিনা প্রশ্ন বিশ্বাস করে...
এই্ ভাবেই এমন কাহিনি গুলি বাজারে চলছে...
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন হাদিসের কথার চেয়ে সত্যি কিছু নাই।
৪৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু, লুক দোলা কবে যে চলে গেলো জানিও না। ওর লেখা আমার ভালো লাগতো।
কি যে হচ্ছে এসব ব্লগে, বুঝিনা
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কয়েক মাস আগে দোলার পোস্টে আমি একাধিক বার তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কোন সমস্যা হয়েছি কি না। কিন্তু সে পরিষ্কার কোন জবাব দেয়নি। মনে হচ্ছিল ব্লগ থেকে চলে যাচ্ছে।
ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক। আরেকটা ব্যাপার হল বয়সে যারা তরুণ এরা একটু বেশী সংবেদনশীল। যার কারণে অল্প কিছুতেই প্রতিক্রিয়া বেশী দেখায়। অবশ্য ঠিক কি হয়েছিল এটা না জানা পর্যন্ত তাকে দোষ দেয়া যাচ্ছে না।
এই মেয়েটা ভালো লিখতো। ওর একটা বই আমাকে উপহার হিসাবে পাঠিয়েছিল। আমি এবং আমার স্ত্রী পড়েছিলাম। আমার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। সাহিত্যে তার অনেক আগ্রহ ছিল। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে যাতায়াত ছিল। বেশ সম্ভাবনাময় একজন লেখিকা ছিল সে। হঠাৎ কি যে হল বুঝতে পারলাম না। ওর পোস্ট থেকেও আমি কোন ক্লু বের করতে পারিনি কেন সে ব্লগ ছাড়তে চায়। পোস্টগুলি অন্তত তখন পর্যন্ত ছিল। এখন তো দেখছি পোস্টগুলি সে সরিয়ে ফেলেছে।
ব্যাপারটা মেনে নিতে পাড়ছি না। কি হয়েছে এটা জানতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সেটা জানার উপায়গুলি সে বন্ধ করে দিয়েছে। আলাপ আলোচনা করলেও অনেক সমস্যার সমাধান বের করা যায়। কিন্তু সে সেই পথ বন্ধ করে দিয়ে হারিয়ে গেল। আশা করি সে আবার ব্লগে ফিরবে। পৃথিবীতে এবং মানুষের জীবনে আরও কত বড় বড় সমস্যা, বিপদ আপদ আসে। অল্পতেই গুটিয়ে নিলে তো চলবে না। সমস্যা হলে অন্যের সাথে শেয়ার করা উচিত।
আমার কাছে দোলার ই- মেইল ঠিকানা আছে। আমি একটা মেইল পাঠাচ্ছি। দেখি জবাব দেয় কি না।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মৌরি হক দোলা ই-মেইলে আমাকে বলেছে যে সে ভালো আছে। সে বলেছে পড়ার চাপ কমলে এবং একটু অবসর হলে সে ব্লগে আসবে। সে আরও বলেছে যে পড়ার চাপে পাঠক হিসাবে সাহিত্য জগতে থাকলেও লেখালেখি হয়ে উঠছে না।
আশা করি সে পুনরায় নিয়মিত হবে ব্লগে। আমার ই-মেইল পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে সে উত্তর দিয়েছে।
৪৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২
জ্যাকেল বলেছেন: অনেকেই আধুনিকতার ভেক ধরতে অসুবিধে হবে বিধায় জ্বীন জাতের অস্তিত্ব অস্বীকারে ব্যস্ত থাকেন। কেহ কেহ এমনও আছেন ইনারা বস্তুবাদী ধারণায় অন্ধবিশ্বাসী বিধায় জ্বীনের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। মজার ব্যাপার হইল- জ্বীন জাতির অস্তিত্ব মানব ইতিহাসের সব জায়গায়, সব রেইসে বিদ্যমান। প্রাচীন ইউরোপ থেকে শুরু করে আধুনিক আমেরিকান সমাজেও জ্বীনদের অস্তিত্বের ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে। সহজ শব্দে বলতে গেলে জ্বীনেরা আছেন।
আমিও একসময় পাকনামি করে জ্বীনদের অস্তিত্ব অস্বীকার করতাম। ৯০ শুরুতে বিয়ের পরপরই আমি বউ নিয়ে মহা ঝামেলায় পড়েছিলাম। আমার বউয়ের শ্বাসকষ্ট কোন কালে ছিল না। কিন্তু প্রাণ সংহারী এক রোগে বাসা বেধে নিল উয়ের মধ্যে। ইন্ডিয়া নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এনেও লাভ হলো না। অক্সিজেন দিয়ে কোনরকম প্রাণ বাঁচিয়ে রেখেছিলাম ৩ মাস। এর মধ্যে এক ভায়রা আমাকে কাঁচুমাচু করতে করতে বললেন ভাল এক হুজুর ধরতে। তখনও আমি ফালতু ব্যাপার বলে উড়িয়ে দিচ্চিলাম। কিন্তু আমার মায়ের কথায় রাজি হলাম, হুজুর ধরতে।
সে অনেক লম্বা সব কাহিনী তারপরও বলি- হুজুর এসে বউয়ের মাথায় আঙুল ধরে কি কি যেন পড়েছিলেন, লাফ দিয়ে উঠে আমার বউ কি ভয়ানকভাবে হুজুরের দিকে তেড়ে গিয়েছিল। আমি এবং বউয়ের দুই চাচা বহু কষ্টে তাকে আটকে রেখেছিলাম। এরপর কবিরাজি করে এক মাসের মধ্যে আমার স্ত্রী সুস্থ হইয়া উঠে।
হাজিরা করানোর সময় আমার ওয়াইফ(!) এমন সব লোকেশনের কথা বলেছিল যেগুলো সে জীবনে যায়নি, শোনেনি। এছাড়া পরিবারের গোপন কিছু বিষয় প্রকাশিত হয় যা আমাদের কাহারো জানা ছিল না।
এই সাক্ষাত প্রমাণের পরে আমি জ্বীন জাতের অস্তিত্ব নিয়ে আর কোন সন্দেহ করি না। আর জেগে ঘুমানো লোককে জাগানোর চেস্টা বৃথা সময় নষ্ট বৈ কিছু না।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীনের অস্তিত্ব নিয়ে কোন সন্দেহ নাই আসলে। আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কারণে ব্যাপারটা আপনার কাছে পরিষ্কার। এই পোস্টে আরও কয়েকজন জীনে ধরা সম্পর্কে বলেছেন। শুধু আমাদের দেশে না, পৃথিবীর সব দেশে জীন আছে। ইহুদি, খৃস্টান ধর্মেও জীনের কথা আছে। তবে জীনের ব্যাপারে অভিজ্ঞতা সবার থাকে না। বাস্তব অভিজ্ঞতা হলে জীনে অবিশ্বাসীরাও জিনে বিশ্বাস করবে। আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সাথে আরও অনেক মানুষের অভিজ্ঞতার মিল আছে। কিন্তু অনেকে বলতে চায় না। যারা অতি আধুনিক তারা এগুলিকে মানসিক রোগ বলে। আসলে মানসিক রোগ আর জীনে আছর এক জিনিস না। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
আশা করি সে পুনরায় নিয়মিত হবে ব্লগে। আমার ই-মেইল পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে সে উত্তর দিয়েছে।
জানলাম দোলা ভালো আছে, এখন শান্তি।
সাচুকে অনেক থ্যাংকস আপডেট জেনে জানাবার জন্য।
you're a good person সাচু।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলও অনেক ভালো একটা মানুষ।
৪৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জোকসগুলি নতুন। আগে শুনি নাই। কিন্তু বেশ মজার। অনেক ধন্যবাদ মিররকে।
৪৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৩
শায়মা বলেছেন: এই যে জ্বীন ভাইয়ু...... কি খবর তোমার??
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩
বিজন রয় বলেছেন: দুনিয়ায় কিছু অদ্ভূত কান্ডকারখানা দেখা যায়।
কখনো কখনো অবাক হতে হয়।