নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামী ২০ বছর বাংলাদেশের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। ২০০০ সালের পর থেকে বাংলাদেশের অগ্রগতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করছে। সরকারগুলিকে আমরা যতই গালি দেই না কেন একথা আমাদের মানতে হবে যে ২০ বছর পরে আমাদের পরের প্রজন্মের মাথাপিছু আয় হবে ১৩,০০০ মার্কিন ডলারের মত। যদিও সরকার বলছে আর ১৭ বছর পরে ২০৪১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ১৬,০০০ মার্কিন ডলার। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২,৬২১ মার্কিন ডলার। ২০০০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৪১৩ মার্কিন ডলার। ২৩ বছরে ৫৩৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০৪১ সালে মাথাপিছু আয় ১৬০০০ মার্কিন ডলার সরকার আশা করলেও হয়তো হবে না। কিন্তু বিশ্ববিখ্যাত পেশাদারী সেবা প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটারহাউজ কুপারের প্রাক্কলন অনুযায়ী বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২০৪০ সালে হবে ১০,৫০০ মার্কিন ডলার। এটা অনেকটাই বিশ্বাসযোগ্য এবং অর্জন হবে বলে মনে হয়।
২০০০ সালে বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের হার ছিল প্রায় ৩৫%। বর্তমানে দরিদ্রের হার প্রায় ১৯% (ধরে নিলাম ১৯% না এটা ২৫% থেকে ৩০%)। ২৩ বছরে দরিদ্রতার হার প্রায় অর্ধেক কমেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে ২০৪১ সালে দরিদ্রের হার হবে প্রায় ২.৬০%। ধরে নিলাম ২.৬০% হয়তো অর্জিত হবে না কিন্তু সেটা ১০% থেকে ১৫% এর মত হবে বলে মনে হয়।
প্রাইস ওয়াটারহাউজ কুপারের প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০৪১-২০৫০ সালে বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৭০%। পক্ষান্তরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৫০%, চিনের ২.৫০%, ১.৬০% এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১.৫০%। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৯% নাগরিকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। আমাদের বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ৩১% যেটাকে বেশী না বলে কমই বলা যায়। কারণ অনেক দেশের ক্ষেত্রে এটা ১০০% এরও বেশী। যার মধ্যে অনেক উন্নত দেশও আছে। সামনের দিনগুলিতে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম ২০ থেকে ২৫ টি শীর্ষ অর্থনীতির দেশের তালিকায় চলে আসবে।
এই সাফল্য আরও আগেই অর্জন সম্ভব যদি দুর্নীতি কমানো যায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়।
আমাদের তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠে সেই জীবন জয়ের গান আমরা শুনতে চাই। কারণ চোখে রঙিন স্বপ্ন নিয়ে জীবন পথে চলা তাদের এখনই শুরু করতে হবে। এই রকম স্বপ্ন নিয়ে একটা প্রিয় গান তাই মনে পড়ে গেল;
লিয়ে সাপ্নে নিগাহোমে চালাহু তেরি রাহো মে
জিন্দেগী আরাহাহু ম্যায়
সূত্র -
data.worldbank.org/country/BD
pwc.com/gx/en/research-insights/economy/the-world-in-2050.html
ছবি - albd.org/articles/taggit/economy
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাসটেইনেবল উন্নয়নের জন্য সুশাসন খুব দরকার। আশা করা যায় ২০ বছরের মধ্যে এই ব্যাপারে একটা সুরাহা হবে। আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৬
বাউন্ডেলে বলেছেন: অগ্রগতির সিস্টেম তৈরী হয়ে গেছে । এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। অটো গিয়ার আপ হবে। শেখের বেটি বিলিয়নে একটা পয়দা হয়। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আমরা পিএচডি না করলেও অর্থনীতি কিছুটা বুঝি।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেখের বেটির সমালোচনা হলেও ওনার বিকল্প নাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে। উনি সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলকে থামিয়েছেন। জঙ্গিদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করেছেন এবং পাকিস্তানমুখী রাজনীতির অবসান ঘটিয়েছেন। ওনার দলের লোক এখন দুর্নীতি একটু কম করলেই দেশ এগিয়ে যাবে। সেই সাথে কিছু খারাপ লোককে ওনার দল থেকে সরাতে হবে।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪২
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু কেমন আছে? লাস্ট ইয়ারে কথা হয়েছিলো।
মাঝে কেটে গেছে কত সুদীর্ঘ রজনী
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাইতো নতুন বছরে মিররের সাথে কথা হয় নাই। আশা করি মিরর ভালো আছে।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪২
রোকসানা লেইস বলেছেন: আশা করতে বাঁধা নাই।
দূর্নীতি কমার ব্যবস্থা চাই
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এগুলি শুধু আশা না ২০ বছর পরে দেশ ঘুরে যাবে। দুর্নীতি কমার সম্ভবনা নাই। এই দুর্নীতি থাকার পরেও ২০ বছর পরে দেশে দরিদ্র মানুষ কমে যাবে। তখন দেশ দ্রুত উন্নতি করবে। দরিদ্রতার কারণে রাজনীতিবিদরা জনগণকে নিয়ে খেলেছে। ভবিষ্যতে এটা কমে যাবে।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এরকমই একটা পোস্ট আশা করছিলাম কারো কাছ থেকে, মানুষ শুধূ নেগেটিভ নিউজই প্রচার করে, ঠিক কেন জানি মানুষ পজেটিভ নিউজ দেখতে পারে না, হাসাহাসি করে।
এই পোস্ট'টি গাজী সাহেবকে দেখান, উনার ধারণা আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, এটা কোন কথা বলেন? গত ১৫ বছরে যে কোন সূচকে বাংলাদেশের আগ্রগতির লক্ষণ স্পষ্ট কিন্তু মানুষ শুধু নেগেটিভ নিউজই প্রচার করে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের আসলে অনেক কিছু পজিটিভ। মাইন্ড সেটের কারণে মানুষ ভালো জিনিসকে খারাপ ভাবে উপস্থাপন করে থাকে। গাজী সাহেব আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেন। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগের জায়গায় বিএনপি থাকলে দেশ আরও খারাপের দিকে যেত। বিভিন্ন সূচকে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের স্পষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু অনেকেই সেটা মানতে চান না। তবে দুর্নীতির কারণে ভালো দিকগুলি ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
এই দেশের সুদিন নিকটবর্তী।
অবশ্যই সুদিন আসবে।
আগের তুলনায় বর্তমান অনেক দিক থেকে অনেক কিছু ভালো হয়েছে, উন্নত হয়েছে।
কিন্তু সেটা সামগ্রিকভাবে হয়নি, কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে হয়েছে।
সব সেক্টরেই উন্নতি দেখতে চাই, সেটার জন্য সিস্টেমের মূল ঠিক করতে হবে।
সরকারগুলিকে আমরা যতই গালি দেই না কেন
ভালো কাজের জন্য প্রশংসা পাবে, খারাপ কাজের জন্য গালি খাবে এটাই স্বাভাবিক।
সরকার অথবা জনগণ সবার জন্যই এটা প্রযোজ্য।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দেশে এখন গরীব মানুষ বেশী বলে সরকার জনগণকে নিয়ে খেলতে পাড়ছে। ২০ থেকে ৩০ বছর পরে গরীব মানুষ কমে যাবে। তখন আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করা সম্ভব হবে। দরিদ্রতার সাথে শিক্ষা, স্বাস্থ্য জড়িত। মানুষ আরও শিক্ষিত হবে এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে ফলে সার্বিকভাবে দেশের মানব সম্পদের উন্নতি হবে। এই দক্ষ এবং সুস্থ সবল মানব সম্পদই দেশের সমৃদ্ধি ঘটাবে।
সিস্টেমের গোড়া ঠিক হতে হলে একজন কারিশমাটি নেতার প্রয়োজন। আপাতত সেরকম কোন নেতাকে দেখা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদি এখন শক্ত হওয়া সত্ত্বেও উনি অনেক বিষয়ে পরিবর্তন করতে আগ্রহী না বা প্রয়োজন বোধ করেন না। ওনাকে আরও বুদ্ধি খাটাতে হবে দেশের জন্য।
৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯
মিরোরডডল বলেছেন:
রোকসানা লেইস বলেছেন: আশা করতে বাঁধা নাই।
দূর্নীতি কমার ব্যবস্থা চাই
লেইস আপুর স্লোগানের সাথে সহমত
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এগুলি শুধু আশা না এগুলি অচিরেই বাস্তবে পরিণত হবে। দুর্নীতি কমার সম্ভবনা কম। এই দুর্নীতির মধ্যেই আগাতে হবে। জনগণের মধ্যে দরিদ্রতা কমে গেলে দুর্নীতি থাকা সত্ত্বেও দেশ সামনে এগিয়ে যাবে। গত ২০ বছরে অনেক পজিটিভ পরিবর্তন হয়েছে। তাই সামনেও হবে।
৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দেশের যে কোন বিষয়ে যখন পজেটিভ নিউজ শেয়ার করি তখন নাদান পোলাপান হাহা রিয়্যাক্ট দেয়, বলে সরকারের কাছ থেকে কত পাইলাম!! কিন্তু তারা যে দিনভর নেগেটিভিটি প্রচার করে তাদের কি বলা উচিৎ বিম্পির কাছ থেকে কত পাইলো?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরকারের ভালো কাজ যেগুলি আছে সেগুলিকে স্বীকার করতে হবে। তবে সরকার বিভিন্ন কারণে সমালোচিত। এই সমালোচনা করার সুযোগ যেন জনগণ না পায় সেই ধরণের সংশোধনী পদক্ষেপ সরকারকে নিতে হবে।
৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @মিরোরডডল, এই দেশে সব সেক্টরে সমানভাবে উন্নতি সম্ভব না, অনেক সমস্যা আছে, সময় লাগবে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের মত অনুন্নত দেশে পরিবর্তন হবে ধাপে ধাপে। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পজিটিভ পরিবর্তন আসলে অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমস্যা কেটে যাবে ধীরে ধীরে।
১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪
বিজন রয় বলেছেন: অমন সুদিনের আশায় প্রতিদিন কাজ করি।
কিন্তু শুধু অর্থনৈতিক সুবিধা চাই না, সাথে মানুষের নৈতিক উন্নতিও চাই, যেটা এখন শূন্যের কোঠায়।
যেকোনো একটি দল আরো কয়েকবছর ক্ষমতায় থাকলে এটা সম্ভব।
তবে আওয়ামীলীগ ক্ষমতার বাইরে থাকলে হরতান করে সব শেষ করে ফেলবে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় গত কয়েক দশকে নৈতিক অধঃপতন ঘটেছে। নৈতিক উন্নতির জন্য জনগণেরও ভুমিকা আছে। নৈতিক উৎকর্ষতা ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশকে ঠিক করতে হবে। এটা হবার সম্ভবনা দেখি না। তবে আমাদের পরিবার, মহল্লা, শিক্ষালয়ে নৈতিক চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। আওয়ামীলীগ এখন শক্ত অবস্থানে আছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত হবে রাজনীতি থেকে সহিংসতা, গুণ্ডামি, মাস্তানি দূর করার উদ্যোগ নেয়া। উনি করবেন বলে মনে হয় না। কারণ উনি কারও বুদ্ধি নেন বলে মনে হয় না। কিন্তু ওনার একটা সুযোগ এসেছে দেশে কিছু বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার। উনি এটা উপলব্ধি করতে পাড়ছেন বলে মনে হয় না। ওনার হাত এখন অনেক শক্ত। তাই চাইলে কিছু ভালো কাজ করতে পারবেন। কিন্তু উনি ভালো বলতে মুলত আওয়ামীলীগের ভালো বোঝেন। ওনাকে দলের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। গত প্রায় ১০ বছর হরতাল হয় নাই বললেই চলে। এটা শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য ভালো ছিল। আমাদের রাজনীতির কালচার পরিবর্তন করতে হবে। সহিংসতার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: খালি ব্লগে দিলে হবে ? জায়গামত এইসব পোস্ট পাঠান । যাদুর কাঠির সন্ধান পেয়ে যাবেন ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আওয়ামীলীগের সমালোচনা করে শেষ করা যাবে না। কিন্তু আমাদের হাতে আর কোন বিকল্প এই মুহূর্তে নেই। বিভিন্ন দেশে অনেক স্বৈরশাসক দেশের উন্নয়নে কাজ করেছেন অতীতে। তাই আমরাও আশা করতে পারি যে যে রকম শাসকই থাক না কেন বাঙ্গালী জাতি অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে। গত ২০ বছরের অগ্রগতি দেখলে বোঝা যায় সামনেও সেটা অব্যাহত থাকবে।
১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
উপরে লামিচানের বিচার পড়ে এসে আপনার পোস্ট,পুরোটাই উল্টো।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লামিচান কে বুঝলাম না। এই দেশ ধীরে হলেও এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০ বছরে অনেক পজিটিভ পরিবর্তন দেখতে পাবেন। দরিদ্রতা কমে গেলে তখন গতি আরও বেড়ে যাবে।
১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলার সাধারণ মানুষ যেন অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল হয়ে উঠে। যদি এমনটা বাস্তবায়ন হয় তবে আশা করা যায় সাধারণ মানুষের দুর্দশা কেটে যাবে। তবে কেবল অর্থনৈতিক বিপ্লব একটি জাতির উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয়। উপরে অনেক ব্লগারগণ সুবিচার প্রত্যাশার কথক জানিয়েছেন। এটাও গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি চিন্তার উন্নয়ন খুব জরুরি।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে যদি চিন্তার মুক্তি না আসে তবে সেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাস্তবিক ফলাফল সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবে দেখা দিবে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুশাসন এবং নৈতিকতার উন্নয়ন দুইটাই দরকার আছে। একজন কারিশমাটিক নেতা আমাদের প্রয়োজন। কিন্তু কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তারপরেও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা যদি আমরা অর্জন করতে পারি তখন দেশের জনগণকে বোকা বানানো কঠিন হয়ে যাবে।
১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবেই। কেউ এটাকে থামাতে পারবে না। রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ব্যবসায়ীদের অসততা না থাকলে আমাদের গতি আরও বেশী হতো। নিজের চোখের সামনেই গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তনগুলি দেখছি। তাই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এখন থেকে ২০ বছর পরে দেশের জনগণ আরও অনেক ভালো থাকবে। মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত হলে বাকি সমস্যাগুলিও কেটে যাবে। আমি বাংলাদেশ নিয়ে অনেক আশাবাদী। হয়তো সেটা দেখে যেতে পারবো না। কিন্তু আমার পরের প্রজন্ম দেখবে এই আশা রাখি।
১৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২০
কামাল১৮ বলেছেন: বাংলদেশ আমাদের দেশ।এর ভালো মন্দের সাথে মিশে আছে আমাদের ভালো মন্দো।ভালোটাই কামনা করি প্রত্যাশা করি,খারাপটা দেখলে দুঃখ পাই।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক মন্দের মাঝেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কাঙ্খিত গতি হয়তো নাই। কিন্তু কোন দেশই অনন্তকাল পিছিয়ে থাকে না। গত ১ শতকে অনেক জাতির ইতিহাস দেখলেই সেটা বোঝা যায়।
১৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেকেই বলে পরিসংখান ভুয়া।
কিন্তু বাস্তব চোখে দেখা যায় দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে দারিদ্র কমছে। এটা বাস্তব।
দেশে প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ। গ্রামের দরিদ্র কৃষক সচ্ছল হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিদ্যুৎ বিল এত সস্তা না। উচ্চমুল্যে দিয়ে পল্লিবিদ্যুত রেজিষ্টার্ড ঠিকাদার দিয়ে বাসায় কমপ্লায়েন্স ওয়ারিং করতে হয় অনেক খরচ। এর পর মাসে মাসে বিল দিতেই হবে। এরপরও সংযোগ নিচ্ছে। টাকা আয় উন্নতি নিশ্চই হয়েছে।
দেশের প্রায় শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রমান করে সমগ্র দেশের মানুষের সক্ষমতা ও মাথাপিছু আয় উল্লেখযোগ্য পরিমানে বেড়েছে।
সোনাগাজি মার্কা হাবিজাবি পরিসংখান দেখিয়ে লাভ হবে না।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি বোঝার জন্য পরিসংখ্যানের দরকার পড়ে না। খালি চোখে একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়। গ্রামের মানুষের বাড়িঘরের উন্নতি হচ্ছে। অনেকেই গ্রামের বাড়িতে ইন্টারনেট কানেকশন নিচ্ছে। গ্রামের রাস্তা ঘাট আগের চেয়ে অনেক ভালো এখন। জেলা শহরগুলিরও আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে।
১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:৩৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই চার্টগুলো শুভঙ্করের ফাকির মত। এগুলো আসলে তেমন কোন অর্থই বহন করেনা। একথা সত্যি যে বিগত ২০-২৫ বছরে দারিদ্র কমেছে এটা আসলে সারা পৃথিবী জুড়েই হয়েছে- এটার জন্য যদি কেউ বাহাবা পায় তাহলে ক্যাপিটালিজম বাহাবা পেতে পারে।
আপনি ক্যাপিটালিজম এবং গ্লোবাল ইকোনোমিক গ্রোথ - এই নামে গুগল করলেই বুঝতে পারবেন।
বাস্তবতা হলো সরকারগুলো আমাদের দেশটাকে টেনে নামিয়েছে। যদি বিগত ২০-২৫ বছর কোন সরকার না থাকতো দেশে তাহলে উন্নতি আরো বেশি হতো।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি মাত্র দুইটা বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। একটা হল গত ২০ বছরে দরিদ্রতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেছে। যেটা বিশ্ব ব্যাংক সহ আরও অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা বলেছে। আরেকটা হল মাথা পিছু আয় অনেক বেড়েছে। এই দুইটা বোঝার জন্য একটু পর্যবেক্ষণ শক্তিই যথেষ্ট। আলাদা কোন পরিসংখ্যানের দরকার পড়ে না।
অন্য দেশের সাথে তুলনা করতে চাই না। আমি বলতে চাচ্ছি আমাদের দেশের মানুষের আর্থিক কষ্ট আগের চেয়ে অনেক কমেছে। ৭০ এর দশকে মানুষ অনাহারেও মারা গেছে। এখন কম বেশী সবাই আয় করে। আরও দ্রুত উন্নতি হওয়ার কথা ছিল। ২০০০ সালেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের স্তরে চলে যেতে পারতো যদি ভালো নেতা আমরা পেতাম এবং দেশে সুশাসন থাকতো।
আমরা হয়তো বলি যে সরকারের ভুমিকা নাই। কিন্তু বাস্তবতা হল কোন সরকার না থাকলে এই দেশে আরও অধিক মাত্রায় অরাজকতা থাকতো। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত। তবে সরকারগুলির আরও অনেক কিছু করার ছিল।
১৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ শ্রাবণধারা
পৃথিবীর কোন কিছু এমনি এমনি হয় না।
ছেলে বড় হয়ে গেলে বাপেও মাগনা খাওয়ায় না।
কষ্ট না করলে পরিশ্রম না করলে কোন কিছুই উপার্জন হয় না।
এমনকি এবাদত মোনাজাত না করলে আল্লাহ পর্যন্ত কিছু দেয় না।
পাকিস্তান বাংলাদেশের থেকে দ্বিগুণ বেশি ধনী ছিল। ২০০০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ধনী ছিল। কিন্তু এখন দেউলিয়া ভিক্ষুকের পর্যায়ে গেছে। আসলে বাংলাদেশে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান আগের জায়গায় আছে।
পাঁচ বছর আগেও পার্কেপিটা ইনকাম ভারতের বেশি ছিল বাংলাদেশের চেয়ে।
এখন বাংলাদেশের বেশি। সিলেটের একজন হোটেল শ্রমিক সীমান্তবর্তী ভারতের জেলার শ্রমিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি ইনকাম করে।
এসব কোন কিছুই হাওয়ার উপরে হয়নি। বিদ্যুৎ ও অন্যান্য অবকাঠামো শক্তিশালী হয়েছে তাই উন্নতি হয়েছে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগামী ২০ বছরে দরিদ্রতার হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যাবে। ফলে মানুষ আরও সুশিক্ষিত হবে এবং দেশে ব্যবসা বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থান বাড়বে। প্রবাসীদের একটা অংশ দেশে ফিরে এসে ব্যবসা বাণিজ্য এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা অন্তর্নিহিত শক্তি আছে। ফলে আফ্রিকার কিছু দেশ বা শ্রীলঙ্কার মত দুরবস্থা বাংলাদেশের কখনও হবে না। করোনা মহামারীর সময়েও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের ক্ষতি কম হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার করোনা মোকাবেলায় সফল ছিল।
দেশে দুর্নীতি কমানোর জন্য এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শক্ত উদ্যোগ নিতে হবে।
পাকিস্তান বা ভারতের চেয়ে আমাদের অগ্রগতি ভালো।
১৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৯
অক্পটে বলেছেন: শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো হয়ে গেল। মাথা পিছু ঋণের কথা বলারও তো দরকার ছিল। লেখা পড়েই বুঝা যায় এটা একটা ডামি লেখা। ডামী সরকারের জয়গান করা হচ্ছে। একমাত্র লুটেরা সরকারই জনগণের ম্যান্ডেটকে ভয় পায়, যার কারণে তাকে ছলচাতুরী রাতের ভোট আর ডামী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে হয়।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মাথাপিছু ঋণ কোন সমস্যা না। পৃথিবীর বহু উন্নত দেশের ঋণ বেশী। যেমন নেদারল্যান্ড (জিডিপির ৩৮১%), যুক্তরাজ্য - ২৮৭%, সুইজারল্যান্ড ২৮৫%, সুইডেন ১৭২%, সিঙ্গাপুর ১৫৮%। আবার অনেক মধ্যম আয়ের দেশের ঋণ বেশী। যেমন ফিলিপাইন ( জিডিপির ৫৯%), মালয়েশিয়া ৫৮%, মেক্সিকো ৫৩%, থাইল্যান্ড ৪৯%, তুরস্ক ৪৬%। অর্থনৈতিক অবস্থার দিক থেকে আমাদের কাছাকাছি কিছু দেশেরও ঋণ বেশী আছে। যেমন - ভুটান - ১০৮%। বাংলাদেশ মাত্র ৩১%।
অনেক ধনী দেশের মাথাপিছু ঋণ বেশী। যেমন - আয়ারল্যান্ড ৬,২৮,৫০৫ ডলার, সুইজারল্যান্ড ২,৬২,৮৬৩ ডলার, হং কং - ২৪৮,১৫৩ ডলার, নেদারল্যান্ড ২১৫,৫৬৯ ডলার, সিঙ্গাপুর ১৪৪,০৬১ ডলার, ইউকে ১৩০,০৩৪ ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ৯৮,০৯৪ ডলার। বাংলাদেশের মাত্র ৪৬০ ডলার।
২০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ভাই, দেশের উন্নতি এমনি এমনি হয়েছে এটা আমি বলিনি। আমার মন্তব্যে এমন প্রচ্ছন্ন স্বর্গীয় ইঙ্গিত আপনি কোথায় পেলেন জানা নেই।
দেশের যা কিছু উন্নতি হয়েছে তার কৃতিত্ব ব্যাক্তি মানুষের, গার্মেন্টস নারী শ্রমিকের, কৃষকের, মধ্যপ্রাচ্যে দগ্ধ হওয়া কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কারের, দেশের প্রত্যেকটা মানুষের যারা বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন প্রাণপাত করছে।
"বিদ্যুৎ ও অন্যান্য অবকাঠামো শক্তিশালী হয়েছে তাই উন্নতি হয়েছে।" হ্যা, বিদ্যুৎ এবং অবকাঠামো খাতে বেশ কিছু উন্নতি হয়েছে যেটা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক। এটা উন্নতির প্রত্যক্ষ কারণ নয়। আপনি যদি রোক্ষ কারন হিসেবে এটা উল্লেখ করেন, তাহলে এই পয়েন্টটা খুব বেশি কনভিন্সিং না হলেও মেনে নেব। এর পাশাপাশি অবনতিমূলক কাজও কিন্তু অনেক হয়েছে। চুড়ি-ডাকাতি বহুগুনে বেড়েছে। আবার কাজের কাজ তেমন কিছু হয়নি।
সরকারের প্রধান কাজ আইনের শাসনে অবনতি হয়েছে। এর পর প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থনীতি, সরকারি সেবা। বিগত ১৫ বছরে কতখানি সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থনীতি, সরকারি সেবা এই বিষয়গুলোতে দেশে কী কী উন্নতি হয়েছে সেই প্রশ্ন আপনার এবং এই পোস্ট দাতার জন্য রেখে গেলাম।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিএনপি গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকলে বিদ্যুতের চরম আকাল চলতো। হারিকেনের বিক্রি বেড়ে যেত। ছিনতাই, ডাকাতি আগের চেয়ে অনেক কমেছে। ১৫ থেকে ২০ বছর আগে মহাসড়কে ডাকাতি, গ্রামে ডাকাতি, শহরে ছিনতাই অনেক বেশী ছিল। জঙ্গির উৎপাত কমেছে বিএনপির শাসনের পরে।
প্রতিরক্ষা বাহিনী আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় আছে। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের সক্ষমতা প্রশংসার যোগ্য। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ক্যু এর পরে ক্যু হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি এসেছে শেখ হাসিনার শান্তি চুক্তির কারণে। নইলে ১০০ বছরেও জিয়াউর রহমান বা তার অনুসারীরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারতো না।
সরকারি সেবার কিছু উন্নতি হয়েছে অটোমেশন এবং অনলাইন ব্যবস্থার কারণে। এটা অস্বীকার করা যাবে না। উন্নত দেশের মত না হলেও সরকারি বিভিন্ন সেবা এখন অনলাইন ভিত্তিক।
২১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ইতিবাচক কিছুতেও লোকজন নেতিবাচকতা ঢুকিয়ে দেয়। আশাব্যাঞ্জক কিছু বলতে পারে না।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জনগণের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করতে হবে। বাংলাদেশের দুরবস্থা ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে আর আশাবাদী হতে হবে।
২২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ শ্রাবণধারা।
সরকারের প্রধান কাজ আইনের শাসন। সেটার অবনতি হয় নি মোটেই। বরং উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
মুখ থাকলে অনেক কথাই বলা যায়। বাস্তবতা ভিন্ন।
দেশে এসিড সন্ত্রাস উল্লেখযোগ্য পরিমান কমে প্রায় শুন্যের কাছে নেমে গেছে। অনেক বছর আগেই।
উচ্চমান সম্পন্ন (ইসরাইলি?) যন্ত্রপাতি সজ্জিত পুলিশের যোগাযোগ অবকাঠামো, সক্ষমতা যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী এমনকি উন্নত দেশের চেয়েও বেশি বর্তমানে। (উন্নত দেশে কথিত প্রাইভেসির অযুহাতে অনেক কিছুই পারে না)
পত্রিকার সংবাদ পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে কোন পলাতক আসামী ২৪ ঘন্টাও পালিয়ে থাকতে পারছে না।
পলাতক অপরাধী বিদেশে পালালেও অবস্থান জেনে যাচ্ছে। ভারত বাদেও বাংলাদেশের পুলিশের অনুরোধে আমিরাত ও কুয়েতি পুলিশ আসামী আটক করছে। বাংলাদেশী পুলিশ কুয়েত থেকে পলাতক আসামীকে হাত পা বেধে দেশে নিয়ে আসার রেকর্ডও আছে।
দেশে বিশ্বমানের ন্যাশানাল ইমার্জেন্সি ফোন ব্যাবস্থা ৯৯৯ ফোন চালু করা হয়েছিল ২০১৭ সালে। এই ফোন দিন দিন যথেষ্ঠ কার্জকর হচ্ছে।
সারা দেশের মানুষ বিপদে আপদে ৯৯৯ ফোন ব্যাবহার করছে।
জাতীয় জরুরি সেবার ওই নম্বরে এভাবে কল দিয়ে গত ছয় বছরে প্রায় ২৬ হাজার বাল্যবিবাহ ঠেকানো হয়েছে। ৯৯৯-এ কর্মরত পুলিশ সদস্যরা জানান, বাল্যবিবাহ ঠেকানোর ক্ষেত্রে স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। পাশাপাশি আত্মীয়স্বজন, এমনকি মেয়ে নিজেও ওই নম্বরে কল দিয়েছে।
৯৯৯-এ ফোন কল পেয়ে চট্টগ্রামের অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে রংপুর মিঠাপুকুর থানার পুলিশ। এ সময় দুই অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। এই রকম হাজারে হাজারে উদাহরন খবর কাগজেই পাবেন। সেদিন খবর দেখলাম রাতে এক চোর একটি মার্কেট ভবনে চুরি করতে যেয়ে আটকে যেয়ে উদ্ধারের জন্য ৯৯৯-এ ফোনে কল দিয়েছিল।
বর্তমানে ফোন করে 'কোথায় আছেন' বলা লাগে না। বলতে হয় না নাম, ঠিকানা ও অবস্থান। জরুরি অবস্থায় বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করা হয় না। গ্রাহকের অবস্থান, নাম ও ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে ৯৯৯-সার্ভারে। এমনকি ফোন লোকেশন বন্ধ করে রাখলেও ফোর্সড কলার লোকেশন ট্র্যাকারের মাধ্যমে চলে আসে ভুক্তভোগীর সকল তথ্য।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সংঘবদ্ধ হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে। গ্রামে চুরি ডাকাতি অনেক কমে গেছে। আমাদের দেশে র্যাব এবং পুলিশের অপরাধী সনাক্ত করা এবং গ্রেফতারের দক্ষতা প্রশংসার যোগ্য (যদি তারা কাজে বাধা না পায়)। পেপারে যদি দেখেন যে কোন আসামি পলাতক এবং পুলিশ খুজছে তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সে ধরা পড়বে। হারানো মোবাইল খুঁজতে পুলিশ অনেক সাহায্য করে থাকে। পুলিশ ৯৯৯ সার্ভিসের ক্ষেত্রে সত্যিই অনেক আন্তরিক এবং এটি কার্যকর একটা সেবা।
২৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৫
নতুন বলেছেন: দেশের একটা শ্রেনীর হাতে অনেক টাকা তারা মাসে লাখ টাকা খরচ করে। তাদের আয়ের উতস নিয়ে চিন্তা নাই। তাদের জন্য দেশের অবস্থা ভালো।
নিন্ম বিত্তরা খুব বেশি কস্ট নাই।
কিন্তু নিন্ম মধ্যবিত্তরা কস্টে আছে। তারা মাসের বেতন দিয়ে চলতে কস্ট । তারা সব কিছু করতে পারেনা লজ্জায় এবং দূনিতির সুযোগ বা করেনা তাই সিমিত আয়ে কস্ট হয়। কারন বাজারে পন্যের দাম বাড়ে কিন্তু বেতন সেই হারে বাড়েনা।
দেশের অনেক জিনিসের দাম দুবাইয়ের বাজারের চেয়ে বেশি।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিম্নবিত্তরা যে কোন কাজ করতে পারে। তাই তারা একেবারে আয় শূন্য থাকে না। যত কষ্ট নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদের। তারা আর্থিক কষ্টের কথা বলতে পারে না। কষ্টে থেকেও ভালো থাকার অভিনয় করে।
কিছু মধ্যসত্ত্বভোগী বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। সরকার চাইলে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু এখানে মনে হয় রাজনীতি এবং নেতাদের আর্থিক স্বার্থ আছে।
২৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৪
নতুন বলেছেন: কিন্তু এখানে মনে হয় রাজনীতি এবং নেতাদের আর্থিক স্বার্থ আছে।
ইচ্ছা করলে সবই সম্ভব।
দুবাইতে ভারত/ পাকিস্তান থেকে আমদানি করা গরুর মাংশ ৭০০ টাকা কেজি।
আমাদের দেশের নিজেরা উতপাদন করে এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশে সাপ্লাই চেইনে সমস্যা আছে। এটার জন্য দায়ী জনগণের অসততা। এছাড়া বেশীর ভাগ ব্যবসায়ী কম পরিশ্রমে বেশী লাভ আশা করে।
২৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৪
মিরোরডডল বলেছেন:
২০ থেকে ৩০ বছর পরে গরীব মানুষ কমে যাবে।
বর্তমানের গরিবদের জন্য কি প্রজেক্ট?
আমি খুব ক্লোজলি অনেক মানুষ চিনি যাদের কোন ইনকাম বাড়েনি কিন্তু এক্সপেন্স বেড়ে যাওয়ায় তারা ভয়াবহ কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এরকম লক্ষাধিক পরিবার আছে।
দিনের শেষে তারা চিন্তা করে পরদিন কিভাবে চলবে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্তমানের গরীবদের সন্তানেরা ধনী হবে ভবিষ্যতে। ৭০ এর দশকে বাংলাদেশের মধ্যবিত্তের ঘরে গৃহ সামগ্রী তেমন থাকতো না। গরীবেরা অনেকে অনাহারে থাকতো। ৯০ এর দশকের মাঝামাঝিতে মধ্যবিত্তের ঘরে গৃহ সামগ্রী বেড়ে গেল। অনাহারে থাকা মানুষ আগের চেয়ে কমলো। বর্তমানে অনাহারে থাকা মানুষ অনেক কমে গেছে। মধ্যবিত্তের বাড়িতে গৃহ সামগ্রী রাখার জায়গা থাকে না অনেকের। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। তবে সীমিত আয়ের লোকেরা কষ্টে আছে। সরকারের উচিত রেশন পদ্ধতি পুনরায় চালু করা যেন মানুষের খাবারের কষ্ট কমে।
২০০০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৩০০০ ডলার হওয়া উচিত ছিল। সেটা হয় নাই। ধীর গতিতে উন্নতি হচ্ছে। আর ২০ বছর অপেক্ষা করলে দরিদ্রতা অনেকটা দূর হবে। তখন মানুষকে বোকা বানানো যাবে না।
২৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৩৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ভাই, সুশাসন সম্পর্কে আপনার সর্বপ্রথম যুক্তি "উচ্চমান সম্পন্ন (ইসরাইলি?) যন্ত্রপাতি সজ্জিত পুলিশের যোগাযোগ অবকাঠামো, সক্ষমতা যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী এমনকি উন্নত দেশের চেয়েও বেশি বর্তমানে। (উন্নত দেশে কথিত প্রাইভেসির অযুহাতে অনেক কিছুই পারে না)" আমাকে হতভম্ব করেছে।
আপনি যে ইসরাইলি প্রযুক্তির কথা বলেছেন সেটা সম্পর্কে শশী থারুর লিখেছেন "নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী সরকার অভ্যন্তরীণ প্রতিপক্ষ ও সমালোচকদের শায়েস্তা করতে যেসব নজরদারি সফটওয়্যার ব্যবহার করছে, সেগুলোর সরবরাহকারী দেশ হলো ইসরায়েল।" (প্রথম আলো ২২ নভেম্বর ২০২৩)।
এই প্রযুক্তি বাংলাদেশ ইসরাইল থেকে কিনেছে মোদি সরকারের মত একই উদ্দেশ্যে যার অপব্যবহার নিঃসন্দেহে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে। উন্নত দেশ এই প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করতে পারেনা প্রাইভেসির অযুহাতে নয়, প্রাইভেসি বিষয়টি সুশাসনের অংশ বলে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা কম। এদের আধুনিক যন্ত্রপাতিও কম। সেই তুলনায় আসামি সনাক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশের দক্ষতা ভালো। পুলিশের মূল সমস্যা ঘুষ বাণিজ্য। সরকার আন্তরিক হলে এদেরকে লাইনে আনা সম্ভব।
সরকার গদি ঠিক রাখার জন্য নজরদারী বৃদ্ধি করেছে।
২৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনারা জ্ঞানী গুনী মানুষ।
আপনাদের চিন্তা ভাবনা ও জানার পরিসর অনেক বড়।
আর আমি শুধু দেখি চারিদিকে ইতর আর ইতর। দেশ ভরে গেছে ইতরে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অর্থনৈতিক সচ্ছলতা অর্জিত হবে ২০ থেকে ৩০ বছর পরে। তখন ইতররা থাকলেও ভালো মানুষের কোন সমস্যা হবে না।
২৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রতিটি মানুষ যদি সততাকে লালন ও ধারণ করতে পারে তাহলে হবে।
আমাদের টাকা পয়সার অভাব নেই।
কিন্তু সততার ঘাটতির কারণে হচ্ছে না।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটলে ধীরে ধীরে সমস্যা কমে যাবে।
২৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেক ঘটেছে।
অনেক মানুষের কাছে আছে এখন কোটি কোটি টাকা।
কিন্তু সততা, ন্যায় নীতির কোন সমৃদ্ধি ঘটেনি ।
কারো কারো পকেটে প্রচুর পরিমাণ টাকা ।
আবার অনেকের টাকা পয়সা নেই ।
তারা খেতেও পারছে না ।
পার্থক্যটা এখানেই।
আফসোস।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যবধান ধীরে ধীরে কমে যাবে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ আগে অনেক দরিদ্র ছিল। এখন অবস্থা পরিবর্তন হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটবে। তবে দেরীতে ঘটবে।
৩০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক আশার কথা শোনালেন। এসব শুনলে আশাবাদী হতেই হয়, মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু ঐ যে বললেন, দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন, সেটা একটি আবশ্যিক পূর্বশর্ত। সেটার উপরই নির্ভর করবে সামগ্রিক সাফল্য।
আপনি কি ব্লগ থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন নাকি? বোধকরি দীর্ঘ সময় ধরে আপনাকে ব্লগে দেখা যাচ্ছে না।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরি। উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল। বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল দুর্নীতি দমনের কথা কখনও বলেছে বলে শুনি নাই। আসলে কোন সরকার যদি ইচ্ছা করে তাহলে অন্তত ৫০% দুর্নীতি কমাতে পারবে সহজেই। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা আসলে সহজ। তাই এই দেশের রাজনীতিবিদরা চায় না এই দেশ থেকে দুর্নীতি দূর হউক বা এই দেশের সাধারণ মানুষ শিক্ষিত এবং জ্ঞানী হউক। হিরক রাজার দেশ হলে ওনাদের সুবিধা।
আমি ব্লগে এখন একটু কম সময় দিচ্ছি। বিভিন্ন ধরণের ঝামেলার মধ্যে আছি। আর ব্লগের ভবিষ্যৎ গতিপথ নিয়ে আমি শঙ্কিত। ব্লগ আর ফেইসবুকের পার্থক্য করতে পাড়ছি না। তাই আগে থেকেই কিছুটা সতর্ক হয়ে গিয়েছি। আশা করি আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা ভালো আছে। আমার খবর নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার কয়েকটি মন্তব্যের জন্য শ্রাবণধারা কে ধন্যবাদ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার কথার সাথে আমি আংশিক একমত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ২০কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় ১৩ হাজার ডলার করে হলে বিশাল একটি অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। সে অনুযায়ী সাসটেনেবল পদক্ষেপ যদি না নেওয়া যায় সেটা হিটে বিপরীত হবে।