নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনের ইচ্ছার কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করাকে ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৭

শরীরে যৌনাঙ্গ সঠিকভাবে না থাকলে ইসলামের বিধান অনুযায়ী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেটা ঠিক করা জায়েজ আছে। হিজড়া তারাই যাদের এই ধরণের শারীরিক সমস্যা আছে। কিন্তু যৌনাঙ্গের দিক থেকে সুস্থ কারও ইচ্ছা হল সে মেয়ে থেকে ছেলে হতে চায় অথবা ছেলে থেকে মেয়ে হতে চায় এবং সেই কারণে সে অস্ত্রোপচার করলো বা হরমোন নিয়ে ছেলে বা মেয়ে হয়ে গেল, এটা ইসলাম সমর্থন করে না। পশ্চিমের অনেক দেশের তরুণদের মধ্যে ট্রান্সজেন্ডার সহ এলজিবিটিকিউ হওয়ার প্রবণতা এখন প্রায় ২৫% এ পৌঁছেছে। সেখানে স্কুলের বাচ্চাদের কথা শুনে ডাক্তাররা তাদেরকে ছেলে থেকে মেয়ে বা মেয়ে থেকে ছেলে বানাচ্ছে। বাপ মাও এই ব্যাপারে বাধা দিতে পাড়ছে না। এগুলি নিয়ে রাজনৈতিক এবং সামাজিক ইস্যু তৈরি হচ্ছে।

পশ্চিমের অনেক দেশের আইনে ট্রান্সজেন্ডার হওয়ার জন্য তার মনের ইচ্ছাই যথেষ্ট। শরীর সংশোধনেরও প্রয়োজন পড়ে না। অনেক বিজ্ঞানী বলে থাকে যে অনেক মেয়ের ব্রেনের গড়ন ছেলেদের মত অথবা ছেলের ব্রেনের গড়ন মেয়ের মত তাই তারা মেয়ে থেকে ছেলে বা ছেলে থেকে মেয়ে হচ্ছে। এগুলির ভিত্তি এখনও সুপ্রতিষ্ঠিত না। এগুলির বিপরীতেও অনেক বিরুদ্ধ মতও আছে। আর তাছাড়া ৩০ হাজার মানুষে একজন এরকম হতে পারে। কিন্তু যে হারে ট্রান্সজেন্ডার বাড়ছে সেটা এক ধরণের সামাজিক সংক্রমণের কারণে হচ্ছে। লাখে লাখে মানুষ ট্রান্সজেন্ডার হয়ে যাচ্ছে যার সাথে এই ধরণের পরিসংখ্যানের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া যৌনতা সংক্রান্ত অনেক বিষয়ের সাথে শরীর, ব্রেন ছাড়াও পারিপার্শ্বিক পরিবেশেরও প্রভাব থাকে। দেখা যাচ্ছে জেলে গেলে নারী বা পুরুষ সমকামি হয়ে যাচ্ছে। তার আগে সে সমকামি ছিল না। আবার জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে আবার আগের মত হয়ে যাচ্ছে। তাই পরিবেশের প্রভাব অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটা জরীপে দেখা গেছে যে কিছু মানুষ তাদের জেন্ডার পরিচয় কয়েক বছর পরে পরিবর্তন করে আগের জায়গায় এসেছে। তাই মনে মনে ভাবনার ভিত্তিতে বারবার জেন্ডার পরিবর্তন কোন ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে না।

শুধু ব্রেন বা হরমোন দিয়ে বিচার করলে হবে না। যেমন পুরুষ হরমোনের সাথে অপরাধ প্রবণতার সম্পর্ক আছে। কিন্তু তার মানে এই না যে পুরুষ হরমোন বেশী থাকলেই সে অপরাধী হবে। মানুষকে সামাজিক আচরণ শিখতে হবে এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

যে সব দেশে ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে সেই সব দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এবং সমাজেও এই মতের বিপক্ষে বহু মানুষ আছে। পশ্চিমে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ নিয়ে যা হচ্ছে সেটা আল্লাহতায়ালার নির্দেশের বিপরীত। তাই মুসলমান হিসাবে আমাদের এই মতবাদের বিরুদ্ধে থাকা উচিত। আবার পৃথিবীর কোন বড় ধর্ম এই ধরণের কার্যকলাপকে সমর্থন করে না। তাই হিন্দু, খৃস্টান, বৌদ্ধ বা মুসলিম আমরা যে ধর্মের অনুসারীই হই না কেন আমাদের উচিত হবে বাংলাদেশে যেন এই ট্রান্সজেন্ডার গ্রুপ তৈরি না হয়। আমাদের দেশের আইনে এগুলি নিষিদ্ধ এবং এই নিষেধাজ্ঞা যেন সদা বজায় থাকে। প্রকৃতি বিরুদ্ধ কোন মতবাদ এই দেশে আনা যাবে না। পশ্চিমেও এই মতবাদের কারণে সামাজিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই আমাদেরকেও সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামে সমকামিতা এবং ট্রান্সজেন্ডার কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

মন্তব্য ৭৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৬

এম ডি মুসা বলেছেন: মানুষ স্বাধীন যে ভাবে নিজেকে ভালো রাখতে পারে করুক এত আলোচনা সমালোচনা কেন আমি জানি না,, আপনার কথা যুক্তি যুক্ত

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম ধর্মে নিজের খুশি মত অনেক কিছু করা যায় না। নিজের খুশিতে মরাও যায় না। আপনি কি খাবেন আর কি খাবেন না সেটাও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। তাই নিজের খুশি মত ট্রান্স হওয়া যাবে না।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪২

এম ডি মুসা বলেছেন: হাহা যে যুগে ইসলমা ধর্ম এত নিয়ম কানুন ছিলনা তারা কি হাশরের ময়দানে উঠবে না কি? তা বন্ধ হয়ে থাকবে! বর্তমানে কোরআনে আয়াত চেয়ে হাদিস দিয়ে সমাজ চলছে তাই , মরা বাঁচা আপনার নিজের উপর না ইসলামের উপর? আচ্ছা আবার বলি,, হাদিস কি কতটুকু শুদ্ধ তার কোন সঠিক ভিত্তি নাই ছয়টি হাদিস মোটামুটি ভাবে শুদ্ধ বলে দাবি করে,, কিন্তু বাকি গুলো নিজের স্বার্থে কে বলল কোথায় থেকে আসলো আনুমানিক কোন সাহাবা ধরা হয়ে থাকে ,, আপনি বড় এক আলোম স্থান দখল করে হাদিস বানিয়ে বই আকারে রেখে দেন ৫০০ বছর পর আপনার কথা মানতে শুরু কবে

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাদিস ইসলামের অপরিহার্য অঙ্গ। হাদিস ছাড়া ইসলামের মৌলিক কোন কাজও সঠিকভাবে করা সম্ভব না। সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সহি হাদিসগুলি এখন প্রতিষ্ঠিত। কোরআনের আয়াত বুঝতেও হাদিস লাগবে। কারণ আল্লাহ কোরআনে উল্লেখ করেছেন যে তিনি রসূলকে (সা) দায়িত্ব দিয়েছেন কোরআনের ব্যাখ্যা সবাইকে জানানোর জন্য। সেটা জানার একমাত্র উপায় হল হাদিস।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



কি করার দরকার সেটা আল্লাহ বলে দিলে সবচেয়ে ভালো হতো; কিন্তু উনি তো কিছু বলেন না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ কোরআন আর হাদিসে এই ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু আমরা মানতে চাই না। কিছু হাদিস আছে যাকে হাদিসে কুদসি বলে। এই হাদিসগুলিতে আল্লাহর বলা কথা আছে। অর্থাৎ হুবহু আল্লাহর কথা হাদিসের মাধ্যমে এসেছে। ইসলামের বিধান সঠিকভাবে পালন করলে পরকালে কোন সমস্যা হবে না। কবরের কঠিন প্রশ্নের জবাব সহজে মানুষ বলতে পারবে।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যৌনাঙ্গ আলাদা কিছু না, শরীরের যে কোনও অঙ্গ সঠিকভাবে না থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে। আর যাদের অঙ্গে না মনে সমস্যা, তাদের মানসিক চিকিৎসা করাতে হবে। সোজা হিসাব। এটা নিয়ে যারা ফেনায় তাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে।

বাদ দেন এইসব সাইকোদের কথা, বরং এই ছবিটা দেখেন। টোকো নামের জাপানী একজন ২মিলিয়ন ইয়েন খরচ কইরা এই কুত্তা হইছে। কারন তার মনে হইছে সে আসলে মানুষ না, কুত্তা। এখন কুত্তা সমাজে এর প্রতিক্রিয়া কি জানা সম্ভব হয় নাই। =p~

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মানুষ থেকে কুকুরে রুপান্তরের এই রকম ঘটনা আমার জানা ছিল না। পৃথিবীতে কত রকমের পাগল যে আছে বলা মুশকিল। এই পাগলদের পাগলামি বাড়িয়ে কিছু বিজ্ঞানী আর ডাক্তার টাকা বানাচ্ছে। :) এই ব্যাপারে উন্নত দেশে রাজনৈতিক ইস্যুও তৈরি হচ্ছে। এই সব পাগলদের উৎসাহিত করার পিছনে তাই রাজনৈতিক ফায়দাও জড়িত বলে মনে হচ্ছে।

ইসলামে চিকিৎসা নিষিদ্ধ না। শরীরে বা মনে সমস্যা হলে চিকিৎসা করাতে হবে।

মনে হচ্ছে এই ধরণের সাইকো টাইপ মানুষ খুব দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে উন্নত দেশগুলিতে। কয়েক বছর পরে প্রতি ৪ জনে একজন এলজিবিটিকিউ হবে অনেক দেশে। আরও বাড়ার সম্ভাবনাও আছে। গণহারে এই ধরনের রোগ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বলা যায় এগুলি মনে হয় এক ধরনের ম্যাস হিস্টিরিয়া। গণ মানসিক সমস্যার ব্যাপারে এই লেখাটা পড়তে পারেন Mass psychogenic illness

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৪৬

আলামিন১০৪ বলেছেন: ভুয়া মফিজ, খবরটা কোথায় যেন দেখছিলাম বিন্তু ভুয়া্ হইতে পারে, ছবি দেখে তো মনে হয় আসল কুত্তা.

@ লেখক, এ ধরনের কেইস (মহিলা হয়েও পুরুষের মতো বেষভুষা কিংবা পুরুষ হতে চাওয়া অথবা উল্টাটা) সব সমাজেই অন্ততঃ ১/২ টা থাকে। তবে সামাজিক/রাস্ট্রীয় স্বীকৃতি দিলে এসব লোকজন অনেক বেড়ে যাবে এবং ব্যাধি আকারে ছড়িয়ে পড়বে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঘটনা সত্যি বলেই মনে হয়। এই ধরণের পাগল আরও আছে। নীচের ছবিতে একজন বাঘ হওয়ার জন্য জীবনে ১৪ ধরণের পরিবর্তন করেছেন।


উন্নত দেশে এই ধরনের পাগলদের আইনি এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। ফলে গণ হিস্টিরিয়া রোগের মত এখন প্রতি ৫ জনে ১ জন এলজিবিটিকিউ গ্রুপের সদস্য অনেক দেশে। সামনে এই হার আরও বাড়বে। কারণ বিগত কয়েক বছরে খুব দ্রুত বাড়ছে এই রোগ। ১০/ ১২ বছরের বাচ্চার ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের হরমোন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেক্স পরিবর্তনের জন্য। এই ব্যাপারে স্কুলের শিক্ষক এবং ডাক্তাররা সাহায্য করছে। অভিভাবকের বেইল নাই।

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার পোষ্টের প্রথম লাইনে যে কথাটি আপনি বলেছেন যে জায়েজ আছে সেটা পবিত্র কুরআনের কোন সূরা এবং কোন হাদিসে উল্লেখিত আছে।

দয়া করে দলিল দিন ।
দলিল ছাড়া কোন কথা বললে হবেন না।

ইসলাম হচ্ছে একমাত্র পরিপূর্ণ জীবন বিধান এবং এই জীবন বিধান লিপিবদ্ধ আছে মহাপবিত্র গ্রন্থ কোরানুল করিমে ।

এর সাথে পরিপূরক হিসেবে আছে হাদিস সমূহ ।
এর বাইরে কোন কথা বানিয়ে বানিয়ে বললে হবে না অবশ্যই হবে না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের অস্ত্রোপচারের সুযোগ ঐ যুগে ছিল না। তাই কোরআন হাদিসে সরাসরি এই ব্যাপারে কোন রায় পাবেন না। তবে বর্তমান যুগের আলেমরা এই ব্যাপারে ফতোয়া দিয়েছেন কোরআন এবং হাদিসের আলোকে। কোরআন হাদিসের পাশাপাশি ইজমা, কিয়াসের সুযোগ আছে। এই লিঙ্কে গেলে এই বিষয়ে বেশ কিছু ফতোয়া পাবেন The Implementation of MUI's Fatwa on the Position of Transgender Individuals, Gender Reassignment Surgery and Genital Refinement। এই ফতোয়াটা ইন্দোনেশিয়ার আলেমদের।

ইসলামে জেন্ডার মাত্র দুইটা (পুরুষ এবং নারী) এবং ইসলামে জেন্ডার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নাই। একজন হিজড়াও হয় পুরুষ অথবা মহিলা। প্রস্রাব যদি পুরুষদের মত অঙ্গ দিয়ে করে তাহলে তাকে পুরুষ ধরা হয় এবং নারীর মত অঙ্গ দিয়ে করলে তাকে নারী ধরা। পুরুষ হলে পুরুষের নিয়ম তার জন্য প্রযোজ্য আর নারী হলে নারীর নিয়ম প্রযোজ্য। এছাড়া আরেকটা ব্যাপার হল যার মধ্যে পুরুষালী ভাব বেশী তাকে পুরুষ ধরা হয় আর মেয়েলি ভাব থাকলে মেয়ে হিসাবে ধরা হয়। ইসলামী আলেমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন। মানসিক কারণে জেন্ডার পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে শরীরের যৌনাঙ্গ পরিবর্তনের কোন সুযোগ ইসলামে নেই। এছাড়া সমকামিতা ইসলামে নিষিদ্ধ।

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি বলছেন কোরআন বুঝতে হলেও হাদিস জানা লাগবে। কিন্তু আল্লাহ কুরআনে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে আমি কোরআনকে নাযিল করেছি সহজ করে। এছাড়া বলেছেন কোরআন হলো আমাদের জন্য একমাত্র পরিপূর্ণ জীবন বিধান। এখন আপনি হাদিসের মাধ্যমে যদি কোনো বিধান আরোপ করেন সেটা কি ঠিক হবে? কোরআনের যে বিধান আছে হয়তো সেটাকে আপনি কার্যকর করতে পারেন হাদিসের মাধ্যমে কিন্তু কোরআনে যে বিধান নেই সেটা তো আপনি হাদিস দিয়ে আরোপ করতে পারবেন না। এবং আল্লাহ এও বলেছে বিধান দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর আর কারো বিধান দেওয়ার এখতিয়ার নেই। চাইলে এ ব্যাপারে কোরআনের আয়াত আমি দিতে পারব।
সুতরাং আমাদের আলেমরা কিংবা আপনি যে ইজমা কিয়াস এর কথা বারবার বলছেন সেগুলি করে আপনি নতুন বিধান আনতে পারবেন না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনের কিছু আয়াতের অর্থ মানুষের জানা নাই। শুধু আল্লাহ এগুলির ব্যাখ্যা জানেন।

'তিনিই তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছেন, তার মধ্যে আছে মুহকাম আয়াতসমূহ। সেগুলো কিতাবের মূল, আর অন্যগুলো মুতাশাবিহ। ফলে যাদের অন্তরে রয়েছে সত্যবিমুখ প্রবণতা, তারা ফিতনার উদ্দেশ্যে এবং ভুল ব্যাখ্যার অনুসন্ধানে মুতাশাবিহ্ আয়াতগুলোর পেছনে লেগে থাকে। অথচ আল্লাহ ছাড়া কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না। আর যারা জ্ঞানে পরিপক্ক, তারা বলে, আমরা এগুলোর প্রতি ঈমান আনলাম, সবগুলো আমাদের রবের পক্ষ থেকে। আর বিবেক সম্পন্নরাই উপদেশ গ্রহণ করে। ' (সুরা আল ইমরান, আয়াত ৩)

আপনি হাদিসের মাধ্যমে ইসলামী বিধান আরোপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আপনি নিশ্চয়ই ঈদ পালন করেন, ঈদের নামাজ পড়েন, ঈদের ফিতরা দেন। কিন্তু এগুলির কোনটা-ই কোরআনে পাবেন না। রসূলের নির্দেশে আমরা এগুলি পালন করে থাকি। কোরআনে বলা আছে যে মৃত্যু প্রাণীর মাংস খাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা জানি যে মৃত মাছ খাওয়া যায়। তাহলে আমরা কি কোরআন বিরোধী কাজ করছি।

কোরআনের ব্যাখ্যার দায়িত্ব রসূলের (সা) উপর। কারণ আল্লাহতায়ালা কোরআনে বলেছেন '(হে নবী!) আমি আপনার প্রতি ‘আযযিকর’ নাযিল করেছি, যাতে আপনি মানুষের সামনে সেইসব বিষয়ের ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। ' -সূরা নাহল, আয়াত – ৪৪
উপরের আয়াতে রসুলকে (সা) নাজিলকৃত বিষয়ের ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রসূলের (সা) ব্যাখ্যা এসেছে তার কথা ও কাজের মাধ্যমে যা হাদিস হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে।

আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর আর তোমাদেরকে যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় করে চল। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। -সূরা হাশর (৫৯) : ০৭

আমি প্রত্যেক রাসূলকে কেবল এ লক্ষ্যেই পাঠিয়েছি, আল্লাহর হুকুমে তাঁর আনুগত্য করা হবে। -সূরা নিসা (৪) : ৬৪

কোরআনে ইরশাদ হয়েছে ; (হে নবী!) আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবেসে থাক, তবে আমার অনুসরণ কর; তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ৩১

হাদিসের দিক নির্দেশনা ছাড়া নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত কোনটাই করা সম্ভব না।

কোরআনে জেনার শাস্তি মৃত্যু দণ্ড নয়। কিন্তু হাদিসের মাধ্যমে জেনার শাস্তি মৃত্যু দণ্ড করা হয়েছে। কোরআনে জেনার শাস্তি ছিল কিন্তু সেই আয়াত উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ। আল্লাহ কোরআনের অনেক আয়াত ভুলিয়ে দেন বা রহিত করেন। তাই আল্লাহ বলেছেন;

'আমি যে আয়াত রহিত করি কিংবা ভুলিয়ে দেই, তার চেয়ে উত্তম কিংবা তার মত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। ' ( সুরা বাকারা, আয়াত ১০৬)

হাদিসের সাহায্যে অনেক কিছুকে হারাম করা হয়েছে। যেগুলির উল্লেখ আপনি কোরআনে পাবেন না। যেমন হিংস্র প্রাণী এবং ধারালো নখর বিশিষ্ট প্রাণীর মাংস খাওয়া হারাম করা হয়েছে হাদিসের মাধ্যমে। কোরআনে শুধু শুকরের মাংস হারাম করা হয়েছে। তাই হাদিসের সাহায্যেও অনেক আদেশ, নিষেধ দেয়া হয়েছে।

ইজমা বা কিয়াস ইসলামে প্রতিষ্ঠিত জিনিস। ইজমা বা কিয়াসের প্রশ্ন তখনই আসে যখন কোরআন বা হাদিসে এই ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু বলা না থাকে। এই যুগে অনেক নতুন জিনিস আবিষ্কার হয়েছে যার ব্যাপারে কোরআন বা হাদিসে কিছু পাওয়া সম্ভব না। কিন্তু কিয়াসের মাধ্যমে কোরআন বা হাদিসের আলোকে ফতোয়া দেয়া হয়। রসূলের (সা) জমানাতেও কিয়াস ছিল।

রসূলের নির্দেশ মানার জন্য অনেক গুলি আয়াত আছে কোরআনে। যেমন;

কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; যেমন আমরা তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে রাসূল পাঠিয়েছি (১) যিনি তোমাদের কাছে আমাদের আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করেন, তোমাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেন। আর তা শিক্ষা দেন যা তোমরা জানতে না। সুরা বাকারা, আয়াত ১৫১

উপরে কিতাব হোল কোরআন আর হেকমত হোল রসূলের সুন্নাহ ও ইসলামী বিধি বিধান যা হাদিসের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা লাভ করি। রসুল ( সা) এই হেকমত পেয়েছেন আল্লাহর কাছ থেকে জিব্রাইলের (আ) মাধ্যমে।

কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; এবং তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত ও কিতাব এবং হেকমত যা তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন, যা দ্বারা তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, তা স্মরণ কর। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞ। সুরা বাকারা, আয়াত ২৩১ ( শেষাংশ)

উপরের আয়াতে বলা হচ্ছে কোরানের সাথে হেকমতও আল্লাহ নাজিল করেছেন। আর এই হেকমত হোল রসূলের সুন্নাহ ও ইসলামী বিধি বিধান যা হাদিসের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা লাভ করি।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি বলে দিন, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩২)

একটি আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো, যদি তোমরা মুমিন হও।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ১)

আরো ইরশাদ হচ্ছে, ‘বলে দিন, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসুলের আনুগত্য করো। তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে সে শুধু তার ওপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য দায়ী এবং তোমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী। আর যদি তোমরা তার আনুগত্য করো, তবে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে।’ (সুরা : নূর, আয়াত : ৫৪)

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নাফরমানি করে এবং তাঁর সীমারেখা লঙ্ঘন করে আল্লাহ তাকে আগুনে জ্বালাবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর তার জন্য রয়েছে অপমানজনক আজাব।’ (সুরা : নিসা, আয়াত ১৪)

অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোনো নির্দেশ দিলে কোনো মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য নিজেদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না; আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৬)

আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে তার জন্য হিদায়াত প্রকাশ পাওয়ার পর এবং মুমিনদের পথের বিপরীত পথ অনুসরণ করে, আমি তাকে ফেরাব যেদিকে সে ফিরে এবং তাকে প্রবেশ করাব জাহান্নামে। আর তা খুবই মন্দ আবাস।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১১৫)

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

কলাবাগান১ বলেছেন: যারা অপকন্ডুমতায় আছে, তারাই মনে করে যে মনে মনে চিন্তা করেই ট্রান্সজেন্ডার হওয়া যায়.......যদি জেনেটিক/হরমোনাল বেসিস না থাকতো, তাহলে ঘরে ঘরে ট্রান্সজেন্ডার দেখা যেত....

শয়ে শয়ে সাইন্টেফিক পেপার আছে যেখানে নানান সিচুয়েশন এর প্রমান পাওয়া যাচ্ছে যে বেবীর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট এর সময় মায়ের হরমোন কিভাবে বেবীর সেক্চুয়ালিটি কে প্রভাবিত করে..

সামান্য প্লাস্টিক দুষনেই মায়ের শরীরে থেকে মেইল হরমোন বাচ্চার শরীরে যেতে পারে, তখন বাচ্চা যদি মেয়েও হয়, তার ব্রেইন ডেভেলপ হবে ছেলের মত চিন্তাধারায়

যাই হোক ধার্মিক দের সাথে এসব নিয়ে কথা বলাই সময় নস্ট

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এগুলির বিপক্ষেও অনেক গবেষণা আছে। এগুলি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আর ট্রান্সজেন্ডার হওয়ার ক্ষেত্রে তার ইচ্ছাটাই বড় কথা। তার ব্রেন কেমন সেটা দেখা হয় না। জনসংখ্যার ২০% লোক এলজিবিটিকিউ দলের সদস্য হতেই পারে না। এগুলি পাগলামি।

জিনেটিক্স বা হরমোনের কারণে মানুষ অপরাধ প্রবণ হতে পারে। কিন্ত তাই বলে সেটা জায়েজ হয়ে যায় না। যৌনতার ক্ষেত্রে অনেক সামাজিক বিষয় আছে। জেন্ডার পুনরায় পরিবর্তন করে এমন মানুষও আছে। স্ত্রেইট লোক গে হচ্ছে আবার ফিরেও আসছে এমন ঘটনাও আছে। কাজেই এগুলি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। যে হারে এলজিবিটিকিউ দলে মানুষ নাম লেখাচ্ছে বিদেশে এগুলি পাগলামি ছাড়া আর কিছু না। সামান্য বৈজ্ঞানিক কারণ খুব ক্ষুদ্র অংশের জন্য থাকতেও পারে। কিন্তু সেটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

নতুন বলেছেন: সেই মানুষটা সখের বসে এমন সার্জারী করেনা।

একজন মানুষ কতটা কস্ট করে এই সার্জারী করে সেটা চিন্তা করে দেখেন। এর খরচ এবং শারিরিক কস্ট মানুষ কেন করতে যাবে যদি সে কস্টে না থাকে?

ট্রান্সজেন্ডার অথবা উপরে যত রকমের উদাহরন আছে তাদের প্রতি সমাজ যেন ঘৃনা না করে এটাই আমি চাই। তাদের চিন্তা ভাবনা আলাদা কিন্তু তার জন্য তাকে হত্যার মতন আইন যেন না তৌরি হয়। তারা যেন মানুষের মতন বেচে থাকতে পারে সেটাই সভ্য সমাজের ভাবনা হওয়া উচিত।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা জাতির ২৫% এলজিবিটিকিউ হওয়া মানে এরা পাগলামি করছে। বিদেশে অনেক অসৎ ডাক্তার এবং বিজ্ঞানী এগুলিকে উৎসাহিত করছে। জেন্ডারের ক্ষেত্রে ব্রেন ছাড়াও অনেক সামাজিক ফ্যাক্টর আছে। অনেকে জেলে গিয়ে সমকামি হচ্ছে। আগে ছিল না। জেল থেকে বের হয়ে ভালো হয়ে যাচ্ছে। এগুলির কারণ কোন বৈজ্ঞানিক কারণ না। বৈজ্ঞানিক কারণ এখনও সুপ্রতিষ্ঠিত না। এগুলি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। বিদেশে এগুলি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে এবং এখন এগুলি সামাজিক ইস্যু।

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০০

কামাল১৮ বলেছেন: জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদে কিছু দিক নির্দেশনা দেয়া আছে।উন্নত বিশ্ব সেটা ফলো করে।আমরা ইসলামের সাথে যেটা সাংঘর্ষিক সেগুলি বাস্তবায়নে সময় চেয় তাতে স্বাক্ষর করেছি।যখনি আমরা কোন বিষয়ে তাদের সাহায্য চাই তখনই তারা আমাদের এই কথা স্বরণ করিয়ে দেন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উন্নত বিশ্বেও ট্রান্স জেন্ডার নিয়ে অনেক রাজনৈতিক এবং সামাজিক ইস্যু চলমান। কোন জাতির ২৫% লোক এলজিবিটিকিউ হতে পারে না। এগুলির পিছনে বিজ্ঞানের চেয়ে বেশী কারণ পাগলামি।

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: " কিন্তু সেটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।" যারা সারা জীবন কন্সপিরিউসি থিয়োরীকেই মেইন বিষয় বলে বিশ্বাস করে, মনে সন্দেহ আছে, তাদের কাছেই এটা ইচ্ছাকৃত/বিতর্ক আছে.... কিন্তু বিজ্ঞান বলে যে জেনেটিক/হরমোনাল ইফেক্ট....কোন বিতর্ক নাই।

কে কোনটা বিশ্বাস করে, তা দেখেই বুঝা যায় বুঝার লেভেল.........।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বলতে চাচ্ছেন ৫ জনে ১ জনের এই ধরণের ত্রুটি আছে ( নতুন প্রজন্মের ২০% থেকে ৩০% মানুষ এলজিবিটি গ্রুপের অনেক দেশে। দিন দিন এটা বাড়ছে)। এটা অবিশ্বাস কথা। বিজ্ঞানের নামে অপ বিজ্ঞান শিখাচ্ছে আপনাদের মত বিজ্ঞানীরা।

১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০১

মিরোরডডল বলেছেন:




হ্যালো মাই ফ্রেন্ড সাচু, হাউ আর ইউ?

এই পোষ্টের বিষয় নিয়ে কোন কমেন্ট করবো না।

কারণ আমি চাই না আমার বন্ধুটার সাথে প্রথমে হাতাহাতি, তারপর মারামারি, এরপর খুনোখুনি হোক :)


০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো। :) আমি শান্তিপ্রিয় উপায়ে বিতর্ক করতে পারি। অনেকে পারে না।

১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কেউ নিজের ইচ্ছায় উভয় লিংগ, হিজরা বা সমকামি হতে পারে না। জেনেটিক কারন। ত্রুটিপুর্ন ক্রোমজম ইত্যাদির জন্যে।
কলাবাগানের পোষ্টে বিস্তারিত আছে।
শুধু হিজরা না অনেক রকমের জন্ম ত্রুটি হয়, যেমন বাইয়া (বামহাতি) মাথায় ২ টিকি, হিজরা সমকামি জোড়া বাচ্চা ইত্যাদি।
আপনি আমি হাজার চেষ্টা করলেও সমকামী হতে পারবো না, যেমন একজন বাঁহাতি কে হাজার শাসন করলেও ডানহাতি বানাতে পারে না কোন পিতামাতা। এভাবেই চলছে সারা পৃথিবী। জন্মগত কারনে কেউ যদি উভয় লিংগ হয় বা অন্য কিছু হয় তার রাইট আছে একজন ডাক্তার মারফত যে লিঙ্গে সে কম্ফোর্টেবল সেটাতে রুপান্তর হওয়ার।

কিন্তু একজন সর্বশক্তিমান কিভাবে নিজের শৃষ্টকে অভিসাপ দিতে পারে?
যেখানে নিজেই বলেছে 'আশরাফুল মক্লুকাত'।
নিজের শৃষ্টিকে সংশোধোন বা ধ্বংশ করতে না পেরে, অনেক পরে লাখ লাখ বছর পরে হঠাৎ হুশ হইলো।
অষ্পষ্ট ভাবে একটা অহি পাঠিয়ে কিছু অসভ্য বান্দাকে লেলিয়ে দেয়। পিটিয়ে মানুষ করা জন্য!
এতে যে সমাজে দাংগা ফ্যাসাদের শৃষ্টি হতে পারে। যার জন্মগত সমস্যা তার কি ভালভাবে বাঁচার অধিকারটুকু নেই? এ কেমন সর্বশক্তিমান?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে কিছু পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন অনেক দেশে তরুণদের মধ্যে এলজিবিটির সদস্য প্রায় ২০% এবং প্রতি বছর এই হার বাড়ছে। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় কিছু পাগল এই দলে ঢুকে গেছে।

আল্লাহ এদের কাউকে অভিশাপ দেননি। এরা নিজের দোষে সমকামি। অহি কোন অস্পষ্ট বিষয় না।

এতো হারে জন্মগত সমস্যা হয় না। অনেকেই শয়তানি করার জন্য এই দলে নাম লেখাচ্ছে।

১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সাচু ভাই আমি এখন একটা মুভি দেখছি। মুভি দেখা কি ইসলাম সমর্থন করে?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের রসূলকে নিয়েও মুভি আছে (দি ম্যাসেজ)। মুভিতে শরিয়ত বিরোধী কিছু না থাকলে সমস্যা নাই। আরও অনেক ইসলামিক মুভি আছে। মুভি, গল্প, উপন্যাস, কাব্য এগুলিতে শরিয়ত বিরোধী কিছু না থাকলে সমস্যা নাই। আরবের লোকেরা কাব্যে পারদর্শী ছিল। সাহাবীদের মধ্যেও কবি ছিলেন।

১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: একটু রিয়েল ফিলিংস নেয়ার জন্য মাত্র মাস ছয়েক মেয়ে হয়ে কাটানোর ইচ্ছে ছিল আমার!!
কি করা যায় বলুন তো? এটাকে মানসিক বিকৃতি হিসেবে নিয়েন না এটা হল এক্সপেরিমেন্ট।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের ধর্মে এগুলি নিষেধ। আর যদি কোন ছেলের সাথে কিছু করে ফেলেন, সেই ক্ষেত্রে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সব কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা ভালো না।

১৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: সমকামিতা ভিন্ন জিনিস মেয়ে হবার সাধ ভিন্ন ব্যাপার!

একটা হইল ভিতর থেকে তীব্র ইচ্ছা জাগ্রত হওয়া আরেকটি সখ করে। একটাই জীবন কত কিছুই করতেই তো মন চায় - নো ওয়ে টু রিটার্ন!!!
ধর্ম দিয়ে এইসব বাঁধা ছানার বিষয় বাদ দেন এগুলো তো অলমোস্ট সবাই জানে- না কি?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাই আমার পক্ষ হয়ে বলে দিয়েছেন 'হয়ে যান। বিস্তারিত বললাম না, তবে ধান্ধাটা বেশ চমৎকার। মেয়েদের সাথে ফ্রিভাবে মেলামেশার লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। ' :)

১৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মুভিতে ইসলাম না থাকলে উহা দেখা কি হারাম৷?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুভিতে অশ্লীল দৃশ্য থাকলে সেটা দেখা অবশ্যই হারাম।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুভিতে ইসলাম না থাকলেও সেটা দেখা হারাম না যদি অশ্লীলতা না থাকে।

১৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: মানব মনের বহুমাত্রিক জীবনবোধ আছে। মাত্রা অনুযায়ী সাইকো, মানষিক রোগী, প্রতিবন্ধী চিহ্নিত করার সুযোগ আছে। যতক্ষন পর্যন্ত এই ধরনের মানসিকতা নিজের জন্য বা সমাজের জন্য ক্ষতিকারক হয় না, ততক্ষন পর্যন্ত ইহা কোন রোগ নয়। এই মুহুর্তে ইসরাইল-আমেরিকার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা সময়ের দাবী। =p~

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ট্রান্সজেন্ডার হওয়ার এই প্রবণতা ইতিমধ্যে পশ্চিমের সমাজে সমস্যা তৈরি করছে। এটা এখন সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইস্যু। কোন সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না আপাতত।

১৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগ আর ফেবু'র বিজ্ঞানীদের জ্বালায় আর বাচি না। আইনস্টাইন, নিউটনরাও নাস্তিক ছিল না; অথচ এরা নিজেদেরকে এতোই জ্ঞানী মনে করে যে তারাও এদের কাছে ফেইল। বিজ্ঞান যে সবকিছু জানে না, এই বোধটাও এদের নাই। কয়েক পাতা বিজ্ঞান পড়ার এই হলো নতিজা। এদের সাথে তর্ক করে সময় নষ্ট করার কোনই মানে নাই।

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: একজন বাঁহাতি কে হাজার শাসন করলেও ডানহাতি বানাতে পারে না কোন পিতামাতা। ভুল কথা। এর প্রমান আমি নিজে। জন্ম থেকে ছিলাম বা-হাতি, আজকের আমি একজন মিশ্র-হাতি। বিস্তারিত বলতে গেলে অনেক টাইপ করতে হবে। শুধু বলবো, না জেনে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। অবশ্য এই কাজ আপনি করতেই থাকবেন। বলে লাভ নাই, যার যেটা অভ্যাস। =p~

শেরজা তপন বলেছেন: একটু রিয়েল ফিলিংস নেয়ার জন্য মাত্র মাস ছয়েক মেয়ে হয়ে কাটানোর ইচ্ছে ছিল আমার!! হয়ে যান। বিস্তারিত বললাম না, তবে ধান্ধাটা বেশ চমৎকার। মেয়েদের সাথে ফ্রিভাবে মেলামেশার লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। :P

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলেই ঠিক বলেছেন এই সব বিজ্ঞানীদের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না। এরা স্বীকার করতে চায় না যে বিজ্ঞান বহু কিছুই ভালো করে জানে না। প্রকৃত জ্ঞানী বিজ্ঞানীরা অবশ্য স্বীকার করে। আরেকটা ব্যাপার হল জ্ঞানপাপী বিজ্ঞানীরও অভাব নাই বর্তমানে।

বা-হাতি মানুষ যে চাইলে ডান-হাতি হতে পারে তার উদাহরণ আমার কাছেও আছে। আমার ছেলে বা-হাতি কিন্তু সে এখন দুই হাতেই অনেক কিছু করতে পারে। তবে তার জন্য চেষ্টার প্রয়োজন হয়েছে। সমকামিতা বান্ধব পরিবেশের কারণে সমকামিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

২০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৫

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: ধর্ম তো নিষেধ দিয়েই খালাস। কোনো সমাধান তো দেয় নাই। এই অপারেশন কি কেউ শখ কোরে করে? এইটা করতে কত কষ্ট, যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় তা জানেন? এতে লাইফ রিস্ক থাকে এবং নানারকম জটিলতা সৃষ্টি হয়। মন চাইলো আর করে ফেললাম ,ব্যাপারটা তো এরকম না। তো আপ্নের ধর্মের সবক যেমন তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারবে না, তারা এইসব কেয়ারও করবে না। এবং যখন ধর্মে তাদের নিয়ে বিধানের কথা জানবে, তারা ধর্ম নিয়ে বিতৃষ্ণ হয়ে উঠবে। এইসব সবক দিয়ে সাধারণ ধার্মিকদের ছহমত ছহবত পাইবেন ঠিকই, কিন্তু সত্যিকারের সমস্যার সমাধান করতে পাইরব্যান না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হিজড়াদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সংশোধন করার ব্যাপারে ইসলামে কোন বাধা নাই। আমার কথা নাস্তিকদের ভালো লাগবে না এটাই স্বাভাবিক। তবে
যারা ট্রান্সজেন্ডার যারা তাদের ব্যাপারটা মুলত মানসিক সমস্যা। কারণ এখন যে ব্যাপক হারে ট্রান্স হচ্ছে এটার সাথে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রাপ্ত ব্রেইনের ত্রুটির পরিসংখ্যানের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। ট্রান্স হওয়ার জন্য একজনের ইচ্ছাই যথেষ্ট।

পাগলদের ডাক্তাররা উৎসাহিত করছে যে কারণে এই রোগগুলির প্রকোপ বাড়ছে। সামনে আরও বাড়বে আর আপনারা এদের উৎসাহ দিয়ে যাবেন। চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী। এই কথাটাও আমাদের মনে রাখতে হবে।

২১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম ধর্ম কি সমর্থন করে, আর কি সমর্থন করে না, সেটা নিয়ে মানুষ ভাবে না।
ভাবলে দেশে এত এত চোর ডাকাত থাকতো না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুধু ইসলাম ধর্ম না সমকামিতা সব ধর্মেই নিষিদ্ধ কাজ। যে সব দেশে ইসলাম নেই সেখানেও চোরের অভাব নাই। চুরি ডাকাতি যে সব দেশ শীর্ষে আছে সেই দেশগুলিতে ইসলাম নাই।

২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার প্রতিটি আয়াত ও যুক্তি ধরে ধরে ব্যাখ্যা করা সম্ভব, অনেক লম্বা হয়ে যাবে। আলাদা একটি পোস্ট দেবো পরে, হাতে সময় নেই এই মুহূর্তে।
তারপরও কিছু বলতাম কিন্তু যখন দেখলাম আপনি হিকমত বলতে হাদিস বুঝাচ্ছেন তাই আর কিছু বলতে এখন চাচ্ছিনা। সময় করে পোস্ট দেবো।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাদের রসূলকে নিয়েও মুভি আছে (দি ম্যাসেজ)। মুভিতে শরিয়ত বিরোধী কিছু না থাকলে সমস্যা নাই। আরও অনেক ইসলামিক মুভি আছে। মুভি, গল্প, উপন্যাস, কাব্য এগুলিতে শরিয়ত বিরোধী কিছু না থাকলে সমস্যা নাই। আরবের লোকেরা কাব্যে পারদর্শী ছিল। সাহাবীদের মধ্যেও কবি ছিলেন।

আপনার প্রিয় দশটি মুভির নাম বলুন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি মুভি তেমন দেখি না। আপনি গুগুলে খুজলে পাবেন।

২৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: এই ব্যাপারে আপনার মতামত কী ?


আর আমি তো আপনাকে আপনার প্রিয় দশটা মুভির নাম জিগাইলাম। আপনি গুগল মারাইতে কন কা।

মুভি তেমন দেখেন না, কিন্ত দেখছেন তো কিছু? তার মদ্ধে সেরা কুনগুলা লাকচে?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আমার আগের পোস্টে এই ব্যাপারে বলেছিলাম। বিজ্ঞানীরা বলছেন ২৫ হাজার বা ৩০ হাজার বাচ্চার ক্ষেত্রে ১ জনের এই সমস্যা হয়। সেই হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে ১৩,৬০০ জন ট্রান্সজেন্ডার থাকার কথা। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সেখানে ট্রান্সজেন্ডার আছে তার ৪০০ গুণ বেশী অর্থাৎ ৫৪ লাখ ৪০ হাজার জন। আপনি আমাকে এই হিসাব মিলিয়ে দেন। মিলাতে পারবেন না কারণ ভালো মানুষ এখন সামাজিক সংক্রমণের কারণে ট্রান্সজেন্ডার হচ্ছে। ১০ বছরের বাচ্চার কথায় ডাক্তাররা তাকে ছেলে থেকে মেয়ে বানিয়ে দিচ্ছে। পিউবারটি ব্লকার দিয়ে দিচ্ছে। এগুলি নিয়ে সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিতর্ক হচ্ছে। কোন সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।

বর্তমান যুগে ডাক্তারি পরীক্ষায় এই রোগ ধরা যায় তাই এই রোগের চিকিৎসায় কোন বাধা নাই ইসলামের বিধান অনুযায়ী। তার যৌনাঙ্গের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা যদি করা সম্ভব হয় সেটা করা যেতে পারে। যৌনতার ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গ, হরমোন, ক্রোমোজোম, ব্রেন পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনেক কিছুই মানুষকে প্রভাবিত করে। হিজড়াদের ক্ষেত্রেও ক্রোমোজোমে সমস্যা থাকে। ইসলামের নিয়মে তাকে পুরুষ বা নারী হিসাবে যে কোন এক দলে নেয়া হয়। তাকে সেভাবেই বাঁচতে হয়। এগুলি তো ব্যতিক্রম। খুবই বিরল ঘটনা। কিন্তু বিশ্বে কোটি কোটি লোক কেন ট্রান্স হচ্ছে তার কোন ব্যাখ্যা এটা থেকে পাওয়া যায় না। কারণ হিসাব মেলে না।

আপনার ভাষা থেকে আপনার ক্লাস বোঝা যাচ্ছে। আমার কোন সিনেমা পছন্দ সেটা আপনার জানার কোন দরকার দেখি না। আমার যে সিনেমা ভালো লাগবে সেটা আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। তাই সিনেমার ব্যাপারে নিজের চরকায় তেল দেন। আর ভাষা ঠিক না করলে আমার ব্লগে আর আসতে পারবেন না। সরি টু সে। আমি ঝামেলা পছন্দ করি না। আশা করি বুঝতে পেড়েছেন। দয়া করে এই ব্যাপারে কথা বাড়াবেন না। আমি নির্ঝঞ্ঝাট এবং ভদ্র ব্লগিং পছন্দ করি। আপনি সেই দলের না হলে দূরে থাকেন।

২৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৪

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: বারবার ২৫% এর হিসাব দেখাচ্ছেন।

গুগল করে দেখেন, ইন্ডিয়াতে ১৭% ট্রান্সজেন্ডার আছে এই তথ্য পাবেন। তারা তো এলজিবিটির সাপোর্টার না। সেখানে এত কেন?

ধরে নিলাম, ৩০০০০ এ একজন আছে এই হিসাব সঠিক। ধরে নিলাম বাংলাদেশে সেই অনুযায়ী ৫০০০ জন ট্রান্সজেন্ডার আছে। এদের নিয়েই কথা বলি, আসেন। বাকিদের কথা বাদ দেন। এরা কী করবে? বারবার হিজড়া, ইন্টারসেক্সুয়াল এইসব ভাও বুঝাইয়েন না।আমি একচুয়াল ট্রান্সজেন্ডারদের কথা বলছি। এরা যদি এখন সেক্স চেঞ্জ অপারেশন না করে, তারা কী করবে? কোন চিকিৎসা নিয়ে ভালো হবে? সেরকম কোনো চিকিৎসার কথা আপনে জানেন? জানলে সেটা কি? না কি জুম্মার নামাযে
ট্রান্সবিরোধী খুতবা শুনলেই তারা ঠিক হয়ে যাবে?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাধারণ অংক কেন বোঝেন না। ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে একজনের ক্রোমোজোমে যদি সমস্যা থাকে তাহলে ভারতে ট্রান্সজেন্ডার থাকার কথা ৪৬,৬৬৭ জন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেখানে আছে। ২৩ কোটি ৮০ লাখ (১৭% যদি সঠিক হয়ে থাকে)। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য কোন সংখ্যা। এটার ব্যাখ্যা তো ৩০,০০০ হাজারে ১ জন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। তারমানে অনেকে ক্রোমোজোম ত্রুটি ছাড়াও এই দলে ঢুকে যাচ্ছে সামাজিক কারণে।

বহু সমকামি পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ভিডিওটা দেখেন বুঝতে পারবেন। Former LGBTQers Testify: If You No Longer Want to Be Gay or Transgender, You Don't Have to Be

ক্রোমোজোমের কারণে যৌনাঙ্গে সমস্যা হলে সে চিকিৎসা করবে। শুধু ক্রোমোজোম দিয়ে মানুষের যৌনতা প্রকাশ পায় না। শরীরে হরমোন প্রবাহিত হচ্ছে। সেটাও যৌনতাকে প্রভাবিত করে। কোন পরিবেশে আছে সেটাও একটা ব্যাপার। জেল খানায় গিয়ে অপরাধীরা সমকামি হয় আবার পরে অনেকে আগের অবস্থানে আসে। কাজেই ক্রোমোজোমই সব কিছু না।

২৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪১

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন:
worldpopulationreview.com এর হিসাব অনুযায়ী ট্রান্স জনসংখ্যায় এগিয়ে থাকা দেশ এইগুলি-


আপনি ২৫% এর হিসাব কোথায় পেয়েছেন?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক দেশের তরুণদের ২৫% এলজিবিটিকিউ। ট্রান্স প্রায় ৫%। আপনার কি মনে হয় ক্রোমোজোমের সমস্যার কারণে এতো অধিক হারে মানুষ ট্রান্স বা সমকামি হয়। এগুলি পাগল মুলত।

২৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ ভুয়া মফিজ

একজন সমকামী বা বামহাতি সমাজ বা পরিবারের চাপে উভয়কামী বা উভয়হাতি হতে পারে। কিন্তু মূল কাজটা সে বামহাতেই করবে।

আপেল কাটবে বাম হাতেই। খাবে ডান হাতে সেটা সমাজের চাপে।
এবং অবশ্যই ক্রিকেট বোলিং বা টেনিস রেকেট ধরবে খেলবে বাম হাতে। কারণ জেনেটিক কারণেই তার বাম হাতে মূল শক্তি।
স্কুল কলেজে থাকতে বন্ধুদের কে বাঁহাতি এমনিতে বোঝা যেত না যেহেতু সে ডানহাতে খায় ডান হাতে লেখে। কিন্তু মূল কাজে যখন নামে তখন সে খেলার মাঠে বাম হাতেই বল করে। নিখুঁত আর্ট সে বাম হাতেই করত।

আমি মোটেই সমকামী নই। তবে আমি মনে করি সমাজে রাষ্ট্রে সমকামীদের নিজেদের মত করে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
যেমনটা অধিকার আছে অটিস্টিক ও পঙ্গুদের নিজেদের মত বাঁচার অধিকার। বা হিজড়াদের যে কোন একটা লিঙ্গ বেছে নেওয়ার অধিকার।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধরণের প্রবনতাই মানুষের মধ্যে থাকতে পারে বিভিন্ন কারণে। কিন্তু সংযমের সাহায্যে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটাই জীবনের পরীক্ষা। পুরুষ হরমোনের কারণে পুরুষদের অনেকে ইভ টিজিং করে। অনেকের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেশী হয়। কিন্তু সমাজ বলবে তাকে সংযত হতে। তাই হরমোন, ক্রোমোজোম আর ব্রেইনই সব কিছু না।

২৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০২

হাসান রাজু বলেছেন: কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ পড়তেই হবে। হাদিস নিয়ে ঘাটব না। তর্কে যাব না। যখন উচ্চতর জ্ঞান অর্জন বা গবেষনার যোগ্যতা হবে তখন হাদিস বিশ্লেষনের সাহস দেখাব।
আপনার মতামত কি?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অবশ্যই বাংলা কোরআন পড়তে হবে। কারণ এই বইটা দেয়া হয়েছে মানুষ যেন পড়ে এবং বোঝার চেষ্টা করে আল্লাহ কি বলেছেন।

হাদিস ছাড়া কোন মানুষ নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত কিছুই সঠিকভাবে করতে পারবে না। রসূলের নির্দেশ মানার কথা কোরআনে অনেকগুলি জায়গাতে আছে। রসূলের নির্দেশ কোরআনে নেই। তাহলে কোথায় আছে। হাদিসে আছে। ঈদ, ঈদের নামাজ, ফিতরা কোরআনে নেই। এগুলি হাদিসে শুধু আছে। হিংস্র পশু এবং ধারাল নখ বিশিষ্ট প্রাণীর মাংস খাওয়া হারাম এই কথা কোরআন কোথাও বলা নাই। আমরা এগুলি হাদিসে পাই। কোরআন পড়লে মনে হবে মৃত মাছ খাওয়া হারাম। কিন্তু আমরা জানি মৃত মাছ খাওয়া হারাম না। কারণ হাদিসে মৃত মাছকে কোরআনের আয়াতের নির্দেশনার বাইরে বলে বলা হয়েছে। ফলে আমরা মৃত মাছ খাই।

২৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১১

নতুন বলেছেন: এই যে LGBTQIA+ এতো সব রকমের মানুষ পৃথিবিতে আছে, এটা কি সৃস্টিকর্তার সৃস্টির নিখুত নয় সেটাই প্রমান করে না?

এই কারনেই কি এই জিনিস লুকানোর জন্য মৃত্যুদন্ডের মতন আইন করছে বিভিন্ন সময়ের মোল্যারা?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সৃষ্টিকর্তায় যদি কেউ বিশ্বাস করে তাহলে সংজ্ঞাগত ভাবেই সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান এবং নিখুত। ভুল করলে সে তো সৃষ্টিকর্তা হতে পারবে না। যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে না তারাই বলবে যে সৃষ্টিকর্তা নিখুত না। পৃথিবীতে মানুষের জীবনে হাজারো সমস্যা আছে, পরীক্ষা আছে। এই কারণেই এই ধরণের ব্যতিক্রম আল্লাহ তৈরি করেছেন মানুষের জন্য পরীক্ষা হিসাবে। আসলে এই পৃথিবীতে মানুষ সুখে থাকুক বা দুঃখে থাকুক কোনটাই স্থায়ী না। তাই এগুলি নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নাই। পৃথিবীতে অমুসলিমরা বহু সুখে আছে। কিন্তু কোন লাভ নাই। কারণ তারা জাহান্নামে যাবে। তাই সবার পরকালের স্থায়ী জগতের কথা ভাবতে হবে। সৃষ্টিকর্তা যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেটা মানলে পরকালে স্থায়ী সুখ পাওয়া যাবে। পৃথিবীর ক্ষণিকের সুখ বা দুঃখ কোন ব্যাপার না।

৩০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫২

নতুন বলেছেন: এই কারনেই তো পৃথিবিতে যখন মানুষ এমন সব সমস্যা দেখিয়ে প্রশ্ন করে তখন মানুষের মুখ বন্ধ করতেই মৃত্যুদন্ডের মতন আইন দিয়ে মানুষকে চুপ করিয়ে রাখে। ;)

LGBT demographics of the United States
The demographics of sexual orientation and gender identity in the United States have been studied in the social sciences in recent decades. A 2022 Gallup poll concluded that 7.1% of adult Americans identified as LGBT - ইউকি<< Click This Link

আপনি ২৫% কোথায় পেলেন? ওয়াজবাজেরা অতিরন্জিত করে, যেমন আমাদের দেশের বক্তারা রকেটে চড়ে আমেরিকা যায়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার বক্তব্য অতিরঞ্জিত না। যুক্তরাষ্ট্রে তরুণদের ( জেনারেশন জি) মধ্যে ৫ জনে ১ জন এলজিবিটিকিউ দলের সদস্য (২০২১ সালের হিসাবে। এখন হয়তো আরও বেশী)। নীচে লিঙ্ক দুটিতে গেলে পাবেন। এছাড়া আরও অনেক পরিসংখ্যান পাবেন এই হার নিয়ে।
The number of LGBTQ-identifying adults is soaring

Nearly 40 Percent of U.S. Gen Zs, 30 Percent of Young Christians Identify as LGBTQ, Poll Shows (২০২২ সালের জরীপে ৪০%) সামনে এই হার আরও বাড়বে। কারণ প্রতি বছর এই হার বাড়ছে। বিভিন্ন এই হার বিভিন্ন রকম হলেও বোঝা যাচ্ছে যে তরুণদের মধ্যে এই হার ২০% এর বেশী।

যে সব বৈজ্ঞানিক কারণ উল্লেখ করা হচ্ছে তার সাথে এই পরিসংখ্যান অসামঞ্জস্যপূর্ণ। পাগলদের জন্য মৃত্যুদণ্ড না বরং কাউন্সেলিং দরকার। সামাজিক হিস্টিরিয়ার মত এলজিবিটিকিউয়ের হার সংক্রমিত হচ্ছে।

৩১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৬

কলাবাগান১ বলেছেন: এই জীবনে কম করেও হলে হাজার দশেক লোকের সাথে ইন্টারএকশ্যান হয়েছে, তার মাঝে আমি ৪ জনকে জানতে পারি যে তারা ট্রান্সজেন্ডার...কয়জন লোক তার ক্রোমজম এর ক্যারিওটাইপ করে জানতে পারে যে ক্রমোজমে অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম আছে? কয়জন তাদের হরমোনাল ইমব্যালান্স পরীক্ষা করে? কয়জন তার ব্রেইন এর হরমোন প্রভাব নিয়ে ডাক্তার এর কাছে যায়...
আপনার প্রবলেম হল যে আপনি কয়েন এর মত শুঢু দুদিক দেখেন কিন্তু এটা কোন সাদা-কালো ব্যাপার না...।এটা একটা স্পেক্ট্রাম (spectrum)...হাজার হাজার ভাবে এটা ইন্লুয়েন্সড হতে পারে...।কোন মেয়ে কে দেখবেন একেবারে টমবয়, ছেলের চেয়েও বেশী দুস্টামি/খেলাধুলায় এগিয়ে...আরেকজন একটু কম টমবয়, আরেক জন আরেকটু কম...ছেলেদের মাঝেও কেউ একেবারে বেশী মেয়েলি, কেউ একটু কম... যেমন অটিস্টিক শিশুও এক টা স্পেক্ট্রাম এর মাঝে থাকে....।
আগে সমাজে এদের স্হান হত না..।আস্তে আস্তে সমাজ (ধর্মান্ধ রা না) এদের কে গ্রহন করছে দেখেই এখন আপনি এদেরকে বেশী সংখ্যায় বেশী দেখেন ইদানিং। আজকাল বৈজ্ঞানিক এডভান্সমেন্ট এর জন্য শারীরিক প্রবলেম ডিটেক্ট করাও সহজ হয়ে আসছে....আর এলজিবিটি সংস্হা গুলি এ তাদের পাওয়ার/জোর দেখানোর জন্য এমন উদ্ভট স্ট্যfিসটিক দিয়ে থাকে (সংখ্যায় বেশী দেখানো)
আমার নিজের ছেলে/মেয়ে যদি ট্রান্সজেন্ডার হয়, খুবই ব্যথিত হব, তবে এটা মানসিক বলে উড়িয়ে দিব না....মেনে নিব তার মতামত কে....।


[native code]
}

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১০০% পারফেক্ট পুরুষ বা নারী বিরল। একইভাবে দুইদলের ঠিক মাঝখানে আছে কিছু মানুষ আছে তারাও বিরল। সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের সাথে অনেক কিছু জড়িত যেমন সেক্স সংক্রান্ত ব্রেনের কাঠামো, জীন, হরমোন পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ইত্যাদি। অ্যামেরিকান সাইকোলজি এসোসিয়াশনের মতে সেক্স ওরিয়েন্টেশনের নির্দিষ্ট কারণের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা এখনও একমতে পৌছাতে পারেনি। একজন মানুষের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।

What causes a person to have a particular sexual orientation?
There is no consensus among scientists about the exact reasons that an individual develops a heterosexual, bisexual, gay, or lesbian orientation. Although much research has examined the possible genetic, hormonal, developmental, social, and cultural influences on sexual orientation, no findings have emerged that permit scientists to conclude that sexual orientation is determined by any particular factor or factors. Many think that nature and nurture both play complex roles; most people experience little or no sense of choice about their sexual orientation.

এছাড়া সমকামিতার প্রবণতা থেরাপির মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায় এই মর্মে অনেক গবেষণা আছে। নীচে দুইটা দিলাম। উপরে ২৫ নং প্রতি মন্তব্যে একটা ভিডিও লিঙ্কও দিয়েছি;Can homosexual attraction be eliminated? Key Findings

200 participants reporting a change from homosexual to heterosexual orientation

অনেক চুরি, সাইকোপ্যাথ আচরণ এবং অপরাধ প্রবণতার পিছনে জিনেটিকস আছে। হিংসা, ক্রোধের পিছনে জিনেটিকস আছে। কিন্তু মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব তাই কখনই এই কাজগুলিকে উৎসাহ দেয়া হয় না। কারণ জীনের ভিতর চুরির প্রবণতা থাকলেও মানুষ চুরি থেকে বা অপরাধ থেকে দূরে থাকতে পারে। যে পারে না তাকে আমরা অপরাধী বলি। এই ধরণের বর্ডার লাইনের মানুষের হার আসলে খুবই কম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের কমপক্ষে ২০% বলছে যে তারা হিটারোসেক্সুয়াল না এবং প্রতি বছর এই সংখ্যা বাড়ছে। এটা ভয়ংকর অবস্থা একটা সমাজের জন্য। সামান্য কিছু মানুষ (অনেকটা হিজড়াদের মত। তবে মানসিক চিন্তার কারণে) আছে যাদের সেক্সূয়াল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে সমস্যা হতে পারে। সেই কারণটা যে তার শরীরের মধ্যে আছে এটা সুপ্রতিষ্ঠিত না। কারণ আরও অনেক বাহ্যিক ফ্যাক্টর আছে এবং চেষ্টা করলে সে মুলধারায় মিশতে পারে বলে অনেক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে।

মনে হচ্ছে এলজিবিটিকিউ মানব সমাজের জন্য নতুন সমস্যা নিয়ে আসছে। কারণ এটার মধ্যে ৯৯% ই ফেইক বলে আমার মনে হয়। কারণ সমকামি বা ট্রান্সদের টেস্ট করা হয় না তাদের মধ্যে কয়জনের ব্রেন বা ক্রোমোজোমে সমস্যা আছে। ট্রান্স আইন সর্বত্র প্রনয়নের আগে প্রতিষ্ঠিত এবং প্রামাণ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রয়োজন যেন কেউ স্রেফ খুশি মত তার জেন্ডার পরিবর্তন না করে এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি না করতে পারে।

৩২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখীঃ এইতো লাইনে আসছেন।

১৩ নং মন্তব্যে বললেন, শুধু হিজরা না অনেক রকমের জন্ম ত্রুটি হয়, যেমন বাইয়া (বামহাতি)। একজন বাঁহাতি কে হাজার শাসন করলেও ডানহাতি বানাতে পারে না কোন পিতামাতা।

আর ২৭ নং মন্তব্যে বললেন, একজন বামহাতি সমাজ বা পরিবারের চাপে উভয়হাতি হতে পারে। কিন্তু মূল কাজটা সে বামহাতেই করবে। আপেল কাটবে বাম হাতেই। খাবে ডান হাতে সেটা সমাজের চাপে।
এবং অবশ্যই ক্রিকেট বোলিং বা টেনিস রেকেট ধরবে খেলবে বাম হাতে। কারণ জেনেটিক কারণেই তার বাম হাতে মূল শক্তি।
স্কুল কলেজে থাকতে বন্ধুদের কে বাঁহাতি এমনিতে বোঝা যেত না যেহেতু সে ডানহাতে খায় ডান হাতে লেখে। কিন্তু মূল কাজে যখন নামে তখন সে খেলার মাঠে বাম হাতেই বল করে। নিখুঁত আর্ট সে বাম হাতেই করত।

..............এই যে পরিবর্তন হলো, এটা তো চাপে পড়েই হলো, নাকি!! এই যে আমি এখন ডানহাতে খাই, ডানহাতে লেখি.......এর জন্য কি পরিমান পারিবারিক আর সামাজিক চাপ আমাকে সামলাতে হয়েছে, আপনি ধারনাও করতে পারবেন না। কিন্তু পরিবর্তন তো হয়েছে।

২৭ নং মন্তব্যে ''মূলকাজ'' বলে আবার পিছলানোর চেষ্টা করছেন। আপনের ''মূলকাজ'' এর সংজ্ঞা কি? খাওয়া, লেখা এগুলো কি মূলকাজ না!!! মূলকাজের একটা লিস্ট দিয়েন তো, আমার সাথে মিলায়ে দেখবো। =p~

আরেকটা কথা। ফর ইয়োর কাইন্ড ইনফরমেশান, বাহাতি কোন রকমের জন্ম ত্রুটি না।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার বড় ছেলেকে ডান হাতে খাওয়া শিখাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। খুব সহজেই সে ডান হাতে খাওয়া শিখেছে। হয়তো চেষ্টা করলে ডান হাতে ক্রিকেট খেলা এবং লেখা সে শিখতো। কিন্তু আমরা চাপাচাপি করিনি। আপনি মনে হয় জন্মের পর থেকেই একটু তেড়া স্বভাবের তাই আপনার পিছনে বেশী সময় দিতে হয়েছে আপনার বাবা মাকে। :) বা-হাতি হওয়ার পিছনে জিনেটিক্স, জন্মপূর্ব এবং জন্মের পরের বাইরের পরিবেশের প্রভাব আছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ কিছু জন্মগত কারণ যেমন থাকতে পারে আবার জন্মের পরের কিছু ফ্যাক্টরও আছে। কিন্তু এটাও তো দেখা যাচ্ছে যে এটা এমন কিছু না যে কিছু এডজাস্টমেন্ট করা সম্ভব না। সমকামিতা সহ অনেক আচরনগত প্রবণতার পিছনেই আসলে একই সাথে জিনেটিক্স এবং বাহ্যিক পরিবেশের ভুমিকা থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। সমকামিতা থেকে বেড়িয়ে আসা যায় এই ধরণের সফল গবেষণা অনেক আছে। উপরে ২৫ নং প্রতি-মন্তব্যে একটা ভিডিও লিঙ্ক দিয়েছি। এছাড়া ৩১ নং প্রতি মন্তব্যে এই ব্যাপারে দুইটা লিঙ্ক দিয়েছি। জিনেটিক্স আর পরিবেশের দোহাই দিয়ে তো যা ইচ্ছা তাই করা করা যাবে না এটা অনেকে মানতে চায় না।

৩৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২২

নতুন বলেছেন:

কলাবাগান ভাই যেমন তার ৩১ নং কমেন্টে বলেছেন। মানুষের যৌনতা সাদা বা কালো এমন দুই মেরুর না।
বরং এটা একটা স্পেকট্রাম।
মানুষ ১০০% স্ট্রেইট ১০০% গে হতে পারে। কিছু মানুষ এসেক্সেচুয়ালও হয় যারা যৌনতার অনুভুতি অনুভব করেনা।

যৌনতা যেহেতু স্পেকট্রাম তাই আপনি ১০০% স্ট্রট এবং ১০০% গ্রে মানুষই কম পাবেন বরং ১%-৯৯% এর সংখ্যাই সমাজে বেশি থাকবে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথায় মনে হচ্ছে একজন মানুষ ৮০% গে এবং ২০% স্ত্রেইট হতে পারে। এরা তাহলে বাই। কিন্তু এটার বৈজ্ঞানিক কারণ কি বলেন। জীন, ব্রেন ইত্যাদির কারণে তো আংশিক গে হওয়া সম্ভব না। কারণ সমকামিরা দাবি করে তারা ১০০% সমকামি। তাদের মধ্যে স্ত্রেইটের কোন লক্ষণ নাই বলে তারা দাবি করে। এটার ব্যাখ্যা কি। এরা কি সেই ১%? কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ২০% তরুণ মনে করে তারা স্ত্রেইট না এবং প্রতি বছর এই হার বাড়ছে। এই হিসাব আমাকে মিলিয়ে দেন।

আসলে সমকামি থেকে স্বাভাবিক হওয়া যায়। বিভিন্ন গবেষণায় সেটা উঠে এসেছে। উপরে আমি কিছু লিংক দিয়েছি। সমকামি হওয়ার নির্দিষ্ট কোন কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত না। বিভিন্ন কারণ আছে। ফলে অনেকে ফিরে আসছে সঠিক পথে। বাই সেক্সুয়াল হওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণ আমাকে বলেন।

জিনেটিকাল কারণে অনেক মানুষ চুরিও করে। কিন্তু সেই জীন থাকলেই সে চোর হবে এমন কোন কথা নাই। তারমানে জিনেতিক্সটাই সব না। বা-হাতি হওয়ার পিছনে জিনেতিক্স এবং অন্যান্য বাহ্যিক কারণ আছে। তারপরও অনেক ক্ষেত্রেই বা-হাতিকে ডান- হাতি বানানো যায়। একই কথা সমকামিতার ক্ষেত্রেও। শুধু জিনেতিক্স বা ব্রেন দিয়ে সমকামিতার কারণ সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। কারণ অনেক ব্যতিক্রম আছে এবং অনেকে ফিরে আসছে সমকামিতা থেকে।

৩৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯

আলামিন১০৪ বলেছেন: ৥আগের মন্তব্য মুছে দেবার জন্য অনুরোধ করলাম। বাংলা টাইপে আমি এক্কেবারে কাঁচা

@নতুন, মানুষ তার আশেপাশের লোকজনের দ্বারা প্রভাবিত হয়...কোন রকম শারিরিক বা হরমোনাল অস্বাভাবিকতা(যা চিকিৎসা দ্বারা correct করা উচিত ) ব্যতীত পুরুষের নারী হওয়ার বাসনা বা উল্টাটাকে স্বীকৃতি দিলে তার আশেপাশে বসবাসরত লোকজনের মধ্যে আগ্রহ তৈরী হবে এবং অনেকে এটা দেখে inspired হবে। এজন্য রাসুল সঃ এ জাতীয় লোকদের বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার জন্য বলেছেন।
ট্রান্স হওয়ার ইচ্ছা স্বীকৃতি পেলে ট্রাস্স এর সংখ্যা নিঃসন্দেহে বাড়তে থাকবে। তাই আপনি কলাবাগানের যে রেফারেন্স দিয়েছেন সেই পরিসংখ্যান পরিবর্তনশীল, জন্মগত প্রবণতা ছাড়াও মানুষ সমাজ দ্বারা প্রভাকিত হয়, এই সত্যটা আপনারি কবে বুঝবেন? যেদিন আনার ছেলে সন্তান একদিন মেয়ে হকে চাইবে সেদিন কি আপনাদের বোধোদয় হবে?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক দেশে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির কারণেই অনেক ভালো মানুষ এখন ট্রান্সজেন্ডারদের দলে নাম লেখাচ্ছে। আর যে সব বৈজ্ঞানিক কারণ বলছে সেগুলি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। একজন মানুষের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের সাথে পরিবেশ এবং সমাজের প্রভাব থাকে। বিজ্ঞানীরা এখনও কোন একমতে পৌছাতে পারেনি সমকামি হওয়ার নির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে। তারা বলছে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ভুমিকা আছে যার মধ্যে পরিবেশ, সমাজও অন্তর্ভুক্ত।

অপ্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক কারণকে বেশী গুরুত্ব দেয়ার কারণে এখন কমপক্ষে ২০% মার্কিন তরুণ/ তরুণী এখন এলজিবিটিকিউয়ের দলে নাম লিখিয়েছে। প্রতি বছর এই সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যেমন; ১০ বছরের বাচ্চার কথায় তাকে ট্রান্স বানানো হচ্ছে (অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হয় না) , টয়লেট ব্যবহার নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, মেয়েদের খেলার দলে ট্রান্স নারীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, অনেকে বিভিন্ন কারণে আগের জায়গায় ফিরে আসতে চাচ্ছে কিন্তু পাড়ছে না, এখনও ৩৫% মার্কিন নাগরিক ট্রান্স ধারণার বিপক্ষে, ৬০% মার্কিন নাগরিক মনে করে জন্মের সময়েই সেক্সয়াল অরিয়েন্টেশন নির্ধারিত হয়।

৩৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪

নতুন বলেছেন: @আলামিন একজন মানুষের যৌনতার পছন্দের উপরে ভিক্তিকরে তাকে তাদের সাজা দেওয়া ঠিক না। তাকে পরিবার থেকে বিতাড়িত করে এমনকি মৃত্যু দন্ড পযন্ত সাজা দেওয়া ঠিক না।

আপনি কি কখনো গে পর্ণ দেখেছেন? আপনি ১০০% স্ট্রেইট হলে গে পর্ণ দেখে উত্তেজিত হবেন না বরং আপনার যৌন উত্তেজনাই চলে যাবে....মেশিন বন্ধ হয়ে যাবে B-))

আপনাদের ধারনা দুনিয়াতে যৌনতা ২ রকমের<<< পুরুষ অথবা নারী।

যৌনতা এটা স্পেকট্রামের মতন, দুনিয়ার সব মানুষ যেমন শুধুই সাদা অথবা কালো না, উচ্চতাও যেমন ২৯ ইন্চি থেকে ১১ফুট৮ ইন্চি হয়।

তেমনি কিছু মানুষ ১০০% স্ট্রেইট হবে... কিছু ৯৯%...৯৮%... এবং কিছু ১০০% গে এবং কিছু মানুষ যৌনতার অনুভুতি নেই।



তাই মানুষ যেমন রং, উচ্চতা,চুল, চোখ, লিংগ, স্তন, ওজনে ভিন্ন তাই যৌনতার পছন্দের ক্ষত্রেও ভিন্নতা আসবেই।

আগে সমকামীদের জন্য মৃত্যুদন্ড ছিলো। তাই যারা ৯৯% মানুষ যারা কিছুটা সমলিঙ্গের প্রতি আর্কষন বোধ করে তারা চুপ থাকতো। এখন তারা স্বীকার করছে, নিজেদের পছন্দের কথা বলছে...

দুনিয়া বদলাইতেছে, এখন সমকামী যৌন পছন্দের জন্য কাউকে মৃত্যুদন্ড দিতে চাইলে মানুষ মেনে নেবে না।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্রেইনের কারণে হলে সমকামিরা ১০০% সমকামি হতো। কিন্তু আপনি বলছেন ১% থেকে ৯৯% পর্যন্ত সমকামি চিন্তার লোক আছে। তারমানে ব্যাপারটা ব্রেইনের কারণে না। এই ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা একমত না।

৩৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি কি ইনাকে চিনেন?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চিনি না।

৩৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৪

সামরিন হক বলেছেন: সহমত পোষণ করছি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার চিন্তাধারা ঠিক আছে তাই সহমত পোষণ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। যারা সমকামিতাকে সমর্থন দিচ্ছে তারা সমাজ বিধ্বংসী কাজকে সমর্থন করছে।

৩৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: মনের ইচ্ছার কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করাকে ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না, এই সাধারণ বাক্যটি না বোঝার কি আছে বুঝতে পারছি না।

যাদের মধ্যে পুরুষ ও নারী দু ধরনের শারীরিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, তাঁরা এবং যারা দেহে পুরুষ মনে নারী কিংবা ভাইস ভারসা, তাঁরা এক নয়। দ্বিতীয় দলের মানুষের শরীরে বিপরীত লিঙ্গের কোনও বৈশিষ্ট্য না থাকলেও কেবল মনে মনে তারা বিপরীত লিঙ্গ ধারণ করেন।

প্রথম ধরনের মানুষ অপারেশনের মাধ্যমে শারীরিক ত্রুটি সারিয়ে পূর্ণাঙ্গ পুরুষ বা নারীতে পরিনত হতে পারেন, এটাই যুক্তিযুক্ত। এমন একজনের কথা সামুর এই পোস্টে আছে, view this link লিঙ্ক দিলাম।‌ অবশ্যই পড়বেন কারণ পোস্টটি হোসনে আরাকে নিয়ে, উপরের ৩৬ নম্বর মন্তব্যের ছবি আবুল হোসেন থেকে পরিবর্তিত হোসনে আরার। এই পোস্ট থেকে কিছুটা উদ্ধৃত করি,

আবুল হোসেন সব সময় মৌলানাদের স্কার্ফের মতো একটা স্কার্ফ পরত, বুক আড়াল করার জন্য। ভেতরে ভেতরে মেয়েই ছিল সে, কিন্তু জন্মের পর আত্মীয়স্বজন ভেবেছিল সে ছেলে, ভাবার নিশ্চয়ই কোনও কারণ ছিল।

এ তো আপনার উল্লেখিত মনে মনে নয়, শারীরিক ভাবেই অনেকখানি মেয়ে ছিল, সার্জারি করে পুরো মেয়ে হয়েছে।

আজকাল নানা ধরণের হরমোন আবিষ্কার, শল্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে কিছু মানুষ শখ করে লিঙ্গ পরিবর্তন করছে। এটা প্রকৃতির বিপরীতে যায়। তবু এর প্রয়োগ ক্রমাগত বেড়ে চলছে, কারণ এটা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। ঠিক এই কারণেই খুব ধীরে ধীরে গোটা পৃথিবী জুড়ে লিঙ্গ পরিবর্তনের যথার্থতা নিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, নানাভাবে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুলত নাস্তিকরা এই মতবাদকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। স্বাধীনতার নামে উন্নত বিশ্বে ট্রান্স নিয়ে যা হচ্ছে সেটা সমাজের অনেক ক্ষতি করবে। আর কয়েক দশক গেলেই তারা সমস্যা বুঝতে পারবে।

আপনার দেয়া লিঙ্কে গিয়ে পুরো পোষ্টটা পড়েছি। এছাড়া নীচে ব্লগার ফ্রেটবোর্ডের দেয়া লিঙ্ক থেকেও হোসনে আরা সম্পর্কে জানতে পারলাম। হোসনে আরা নাকি সন্তানের মাও হয়েছে। তার শারীরিক সমস্যা ছিল বোঝা যাচ্ছে। পরে চিকিৎসা করে পুরো মেয়ে হয়েছে। ওনাকে ট্রান্সজেন্ডার ভাবার কোন কারণ দেখছি না। কারণ ট্রান্সনারীরা মা হতে পারে না। তার শরীরে আগেই অধিকাংশ নারী অঙ্গ ছিল। সাথে হয়তো আংশিক পুরুষাঙ্গ ছিল। শল্য চিকিৎসা করে পুরুষালী অঙ্গ অপসারণ করা হয়েছে।

আপনি যথার্থ বলেছেন যে ট্রান্সদের চিকিৎসার নামে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অর্থের ব্যবসা হচ্ছে। ডাক্তার, রাজনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী সবাই এটাকে উস্কে দিচ্ছে।

পশ্চিমে ধর্ম অনেকটাই সামাজিক ব্যাপার হয়ে গেছে। চার্চ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একটার পর একটা। সেখানে মসজিদ হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। খৃস্টান ধর্মের বই গুলিতে অনেক গোঁজামিল দেয়া। ফলে মানুষ খৃস্টান ধর্ম থেকে সরে আসছে। ইসলামকে পশ্চিমে ধরে নেয়া হয় একটা জঙ্গি গোষ্ঠী হিসাবে। উন্নত বিশ্বের একটা বড় অংশ নামে খৃস্টান হলেও মনে প্রাণে এরা নাস্তিক।

৩৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫১

ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: ৩৬ নম্বর মন্তব্যে যে ছবি আছে এখানে তার পরিচয়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই লিঙ্কটা দেয়ার জন্য। করুণাধারা আপা আর আপনি লিঙ্ক দুটি না দিলে আমি কখনও জানতাম না এই নারী সম্পর্কে। তবে আপনাদের দেয়া লিঙ্ক থেকে বুঝলাম যে উনি আসলে ট্রান্স ছিলেন না। ওনার শরীরে নারী এবং পুরুষ উভয় ধরনের অঙ্গ ছিল। তবে নারী অঙ্গ বেশী ছিল। শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে অপরিপক্ব পুরুষালী অঙ্গ অপসারণ করা হয়েছে। আমাদের দেশের অনেক হিজড়াকে চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকটাই স্বাভাবিক করা সম্ভব। কিন্তু সামাজিক কলঙ্কের কারণে সেই ব্যবস্থা আমাদের দেশে এখনও গড়ে ওঠে নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.