নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:১০

আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু করার আগে কয়েকটা কথা বলি।

ভালো নেতৃত্ব ছাড়া একটা দল কোন রকমে টিকে থাকলেও জয়ী হতে পারে না। গত ১৬ বছরে বিএনপি, জামাত টিকে থাকলেও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারেনি। মূল কারণ নেতৃত্বের সঙ্কট। কয়েকদিন আগের ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা প্রায় ১,০০০ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে দেশের জন্য। এছাড়া প্রায় ১০,০০০ ছাত্র-জনতা আহত হয়েছে। এই ত্যাগের বিনিময়ে হাসিনার পতন হয়েছে এবং নতুন একটা সরকার পেয়েছি আমরা। বিএনপিতে নেতৃত্ব দেয়ার মত কোন মেধাবী নেতা নেই। সাংগঠনিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে জামাতের অবস্থা বিএনপির চেয়ে ভালো। কিন্তু জামাতের গায়ে অতীতের কালিমা এখনও আছে এবং তাদের জনসমর্থন সীমিত। এই ছাত্র আন্দোলন না হলে বিএনপির অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যেত আগামী কয়েক বছরের মধ্যে।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে ছিল। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দলের হাল না ধরলে আওয়ামী লীগের অবস্থা হয়তো মুসলিম লীগের মত হত। ১৯৭৫ সালের পরে আওয়ামী লীগের একটা সুবিধা ছিল যে বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক হত্যা জাতির হৃদয়ে রেখাপাত করেছিল। জনগণের এই আবেগকে আওয়ামী লীগ সফলভাবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে। এছাড়া ১৯৭৫ সালের আগে তারা মাত্র সাড়ে তিন বছর শাসন করেছে যখন দেশটা ছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত। কিন্তু এই বারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে যে নির্যাতন, দুর্নীতি, হত্যা, গুম, লুটপাট করেছে সেটা তার বাবার সময়ের চেয়েও ভয়াবহ ছিল। আরেকটা ব্যাপার হল এই আন্দোলনে শেখ হাসিনা নিহত হননি বা গ্রেফতার হননি। বরং তিনি নিরাপদে ভারতে আছেন এবং তার মাতাল ছেলে প্রায়ই উস্কানিমুলক কথা বলে বেড়াচ্ছে। তাই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে মানুষের যে আবেগ বঙ্গবন্ধুর প্রতি তৈরি হয়েছিল ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার প্রতি সেই মাত্রার আবেগ তৈরি হবে না। রোকেয়া প্রাচীর মত কিছু দলকানা মানুষ ছাড়া আওয়ামীলীগের নেতাদের জন্য কান্না আর কেউ করবে না।

ভালো নেতৃত্ব ছাড়া যে কোন দল ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের সর্ব প্রাচীন দল কংগ্রেসের সেই দাপট এখন নাই। বরং। অবস্থা করুণই বলা যায়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র তৈরিতে নেতৃত্ব দেয়া মুসলিমলীগের আজকে কোন অস্তিত্ব নেই। এই দুই দলের ক্ষেত্রেই মূল সমস্যা হল যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। যুগের সাথে সাথে এভাবেই ভাঙ্গা গড়ার খেলা চলে রাজনৈতিক অঙ্গনে। আওয়ামী লীগের হাল ধরার মত কেউ নেই। শেখ হাসিনা প্রকাশ্য রাজনীতিতে আর আসতে পারবে না। কারণ সে অন্য দেশের কৃপায় আছে। তাছাড়া তার বয়স ৭৬ বছরের বেশী এখন। শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং আরও হবে। ওনারা নিকট ভবিষ্যতে কেউ দেশে আসতে পারবে না। শেখ হাসিনার পরিবারের কোন সদস্য ছাড়া আওয়ামীলীগ দলকে টিকিয়ে রাখা মুশকিল হবে। এই উপমহাদেশে পরিবার কেন্দ্রিক রাজনীতি খুব জোরালো এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। আওয়ামীলীগের মধ্যে হাজারো কোন্দল আছে। হাসিনা তার দুষ্ট বুদ্ধি দিয়ে এগুলিকে এতদিন নিয়ন্ত্রণ করেছে। হাসিনার এই কাজের দায়িত্ব নেয়ার মত নেতা আওয়ামীলীগে নাই। ফলে শেখ পরিবারের বাইরে কেউ নেতৃত্বে আসলেও ঐক্য ধরে রাখতে পারবে না। হয়তো আওয়ামীলীগ অনেক উপদলে বিভক্ত হয়ে যাবে।

হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা এবং নির্যাতন করার কারণে দল হিসাবে আওয়ামীলীগ তার নৈতিক অবস্থানকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। তার সাথে যোগ হয়েছে অতীতের ১৬ বছরের হত্যা, গুম, রিমান্ড, নির্যাতন, দুর্নীতি। তাই ভবিষ্যতে আওয়ামীলীগ টিকে থাকলেও দুর্বল হয়ে যাবে। তবে যদি বিএনপি, জামাত অথবা নতুন কোন দল ক্ষমতায় গিয়ে একই কাজ করে সেই ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ পুনরায় জনসমর্থন পেতে পারে। কিন্তু সেই সময় আসতে এবার হয়তো ২১ বছরের বেশী লাগবে। ততদিন ভালো নেতার অভাবে দল টিকবে কি না এটাও একটা প্রশ্ন। তাই বলা যায় নিকট ভবিষ্যতে আওয়ামীলীগের কোন আশা নাই। এমন কি এই দলটি মুসলিম লীগের মত শেষ হয়ে যেতে পারে। যুগের পরিবর্তন এবং নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে রাজনীতি করা আগের চেয়ে কঠিন হয়ে যাবে। ফলে সনাতনী ধারায় চলা রাজনৈতিক দলগুলি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তার মধ্যে প্রথমে থাকবে আওয়ামী লীগ। এই দলে হাসিনা কোন ভালো লোককে নেতৃত্বে রাখেন নি। রেখেছেন কিছু হত্যাকারী, গুন্ডা, দুর্নীতিবাজ। তাই আওয়ামীলীগের জন্য নিকট ভবিষ্যতে কোন আশার আলো নেই।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এদেশে আর কোন চোর বাটপার দল দেখতে চাইনা।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আশা করি দেশে নতুন ধারার রাজনীতি চালু হবে যেখানে চোর, বাটপার, গুন্ডা, সন্ত্রাসীরা স্থান পাবে না। নতুন প্রজন্মই আমাদের ভরসা। আশা করি এরা রাজনৈতিক সংস্কৃতির আমুল পরিবর্তন করে ভালো লোকদের রাজনীতিতে আসার পথ তৈরি করবে। গতকালের আনসার আন্দোলন ছাত্র এবং সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করেছে। ইচ্ছে করলে অনেক আনসারকে ছাত্ররা কঠিন মার দিতে পারতো। কিন্তু ছাত্ররা প্রচুর পরিমানে আহত হওয়া সত্ত্বেও আনসারদের হাল্কা পাতলা শাসন করেছে। এটা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে ছাত্ররা বয়সের তুলনায় অনেক বিচক্ষণ।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো নেতৃত্ব ছাড়া একটা দল কোন রকমে টিকে থাকলেও জয়ী হতে পারে না। গত ১৬ বছরে বিএনপি, জামাত টিকে থাকলেও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারেনি। মূল কারণ নেতৃত্বের সঙ্কট। একটু দ্বিমত পোষণ করি!! নেতৃত্বের সঙ্কট একটা কারন, ঠিক আছে। কিন্তু মূল না। মূল কারন হলো গনতন্ত্রহীনতা আর একটা ভয়ংকর সাইকো স্বৈরাচারের উপস্থিতি। সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশের স্বৈরাচারদের বিশ্লেষণ করলে বিষয়টা আরো ভালোভাবে বোঝা যায়। আর ''ভয়ংকর সাইকো স্বৈরাচার'' বললাম এই কারনে যে, এরশাদও একজন স্বৈরাচার ছিল, কিন্তু শেখ হাসিনার কাছে সে ছিল দুগ্ধপোষ্য শিশুতুল্য। একটা দেশে গণতন্ত্র থাকলে নেতৃত্ব ম্যাটার করে, স্বৈরাচার থাকলে করে না। তখন সরকার বদলের উপায় হয় সামরিক বাহিনীর ক্ষমতাদখল, নয়তো গন-বিস্ফোরণ। আর কোন মধ্যবর্তী উপায় নাই।

আপনাকে আজকে একটা কথা বলি। প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া বিএনপি/জামাতের চাপে পড়ে সরকার যদি কোন রকমের সংস্কার করে তড়িঘড়ি নির্বাচন দেয়, তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে ঠিকই, কিন্তু তারপরে আওয়ামী লীগ যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সেটা সামাল দেয়ার ক্ষমতা তাদের নাই। ফলে, আওয়ামী লীগ বিএনপি/জামাতের ঘাড়ে পা রেখে আবার অল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষমতায় আসতে পারবে। সেজন্যেই জয় চাচ্ছে, বিএনপি তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দাবী সামনে নিয়ে আসুক। জয় এক্ষেত্রে বিএনপিকে সহায়তা করার কথাও বলছে।

সম্ভবতঃ এই কারনে ফখরুল ছাগলটা নির্বাচনের জন্য লাফালাফি শুরু করেছে। নির্বোধ বিএনপি'র কোন শিক্ষাই হয় নাই। এদের আবার আওয়ামী ফাদে পড়ার নমুনা খুব ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছি আমি। এখন ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকতে হবে। দ্রুত নির্বাচনের জন্য যারাই চাপ দিবে, তাদেরকেই জাতীয় শত্রু ঘোষণা করতে হবে।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যদি ধরে নেই যে বিএনপি এবং জামাতের মত পুরানো দলগুলি পারলো না হাসিনার সাইকো স্বৈরাচারের কারণে। কিন্তু তাহলে ছাত্ররা কিভাবে পারলো। ছাত্ররা পারলে ঐ দুটি দল কেন পারলো না। কারণ ছাত্রদের নেতৃত্ব সুদৃঢ় ছিল, তাদের একতা ছিল এবং তারা তাদের প্রাণ দিতে তৈরি ছিল এবং তারা ১ মাসে ১০০০ প্রাণ দিয়েছে এবং ১০,০০০ ছাত্র-জনতা আহত ও অন্ধ হয়েছে। এই ত্যাগ বিএনপি বা জামাত করতে পারেনি। তাদের সেই সাহসও ছিল না। গত ১৫ বছরে বিএনপি জামাতের ১০০০ লোক হত্যা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। এতো মানুষ অন্ধ এবং পঙ্গু হয়েছে কি না সেটাও জানি না। হলেও ১৫ বছরের তুলনায় ১ মাস অনেক কম সময়।

শেখ হাসিনা অবশ্যই সাইকো স্বৈরাচার ছিল এটা আমারও মত। সারা বিশ্বের ইতিহাস ঘাটলে হিটলার বা এই ধরণের দুই একজন ছাড়া এই ধরনের সাইকো খুঁজে পাওয়া যাবে না। এরশাদের স্বৈরাচার হাসিনার কাছে নস্যি ছিল এটাও আমি মনে করি।

ছাত্ররা গণ বিস্ফোরণ ঘটাতে পেড়েছে তাদের সাহস, ত্যাগ, নেতৃত্ব, একতা এবং সততার কারণে। জামাতে দুর্নীতিমুক্ত লোক থাকলেও বিএনপির বড় একটা অংশ দুর্নীতি এবং অনৈতিক কাজে জড়িত ছিল। সততার কারণে ছাত্রদের যে নৈতিক জোর ছিল সেটা বিএনপির ছিল না। বিএনপি আন্দোলন করার মত কোন জোরালো ইস্যুই সামনে আনতে পারনি। তাদের দাবিগুলি জনগণকে সম্পৃক্ত করার মত ছিল না। ফলে তারা গত ১৫ বছরে জনগণকে রাস্তায় আনতে পারেনি। আরেকটা ব্যাপার হল ছাত্রদের আন্দোলন ছিল অহিংস। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনের সময় অতীতে জনগণের উপরে পেট্রোল বোমা মেরেছে। ফলে জনগণ তাতে সাড়া দেয়নি। বিএনপির বুদ্ধিও কম। কারণ কিছু দিন পরে আওয়ামী লীগ পেট্রোল বোমা মেরে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিত। বিএনপির নেতা কর্মীদের অনেকেই দুর্নীতি এবং অনৈতিক কাজে জড়িত ছিল। ফলে আন্দোলন করার মত নৈতিক জোর তাদের ছিল না। তারেক জিয়া নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তার কথা কে শুনবে। কিন্তু সাধারণ ছাত্ররা যখন আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তখন মানুষ তাদের বিশ্বাস করেছে এবং মানুষ দেখেছে যে নিরীহ ছাত্রদের পাখির মত গুলি করে মারা হচ্ছে। ফলে এক পর্যায়ে অভিভাবক, শিক্ষক থেকে শুরু করে সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। বিএনপি এবং জামাত কেন পারলো না। কারণ তারা ছাত্রদের মত ত্যাগী না। তাদের নেতারাও আন্দোলনের মাঠ গরম করতে পারেনি। অথচ একই পরিবেশে ছাত্ররা পেড়েছে।

আপনার কথার সাথে একমত যে সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে আপনি যেটা বলেছেন সেটা হওয়ার সম্ভবনা আছে। অর্থাৎ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এদেরকে আওয়ামী লীগ সহজে কুপোকাত করতে পারবে। কিন্ত একটা আশার আলো হল যে নতুন প্রজন্মের ছাত্র সমাজ কিন্তু বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কাউকেই ছাড়বে না সামনের দিনগুলিতে। গতকাল আনসার আন্দোলন যেভাবে ছাত্ররা নিয়ন্ত্রণ করেছে সেটা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। তারা চাইলে তাদেরকে মারার বদলা হিসাবে আনসারদের আরও পিটাতে পারতো। কিন্তু তারা প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে সুযোগ পেয়েও পরে আনসারদের নিরাপদে পালাতে সাহায্য করেছে যেন পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হয়। তাই আমি তরুণ প্রজন্মের শক্তিকে গুরুত্ব দিচ্ছি এবং আশা করছি যে যারা হাসিনার মত সাইকো স্বৈরাচারকে সাইজ করতে পারে তারা পরবর্তীতে যে কোন পরিস্থিতি সামলাতে পারবে। সবচেয়ে ভালো হবে সময় নিয়ে সংস্কার করে নির্বাচন দিলে। সেই ক্ষেত্রে ছাত্রদের একটা দলও ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা তৈরি হবে। আসলে সংস্কার না করে নির্বাচন দেয়াই ঠিক হবে না।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬

নতুন বলেছেন: আপনাকে আজকে একটা কথা বলি। প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া বিএনপি/জামাতের চাপে পড়ে সরকার যদি কোন রকমের সংস্কার করে তড়িঘড়ি নির্বাচন দেয়, তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে ঠিকই, কিন্তু তারপরে আওয়ামী লীগ যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সেটা সামাল দেয়ার ক্ষমতা তাদের নাই। ফলে, আওয়ামী লীগ বিএনপি/জামাতের ঘাড়ে পা রেখে আবার অল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষমতায় আসতে পারবে। সেজন্যেই জয় চাচ্ছে, বিএনপি তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দাবী সামনে নিয়ে আসুক। জয় এক্ষেত্রে বিএনপিকে সহায়তা করার কথাও বলছে।

১০০% সহমত ভাই।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও মনে করি যে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দেয়া ঠিক হবে না। দিলে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে সামলাতে পারবে না। আসলে এই সরকারের মেয়াদ নির্ভর করবে পশ্চিমের শক্তিশালী দেশগুলির সমর্থনের উপরে। তারা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত। কিন্তু এরা আবার যে কোন সময় বেঁকে বসতে পারে। ১/১১ এর সময়ে পশ্চিমের সমর্থন না থাকার কারণে ঐ সময়ের অনির্বাচিত সরকার আর দীর্ঘ সময় থাকতে পারনি। তখন মইন ইউ আহমেদ আরেকজন এরশাদ হতে চেয়েছিল। যদিও তখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিল। ভয় হল ভারতের চাপে অ্যামেরিকা বলে বসতে পারে যে দ্রুত নির্বাচন দেয়া হোক। সেই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের লাভ হবে। কারণ সংস্কার ছাড়া বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগ মাঠে নামার সুযোগ পাবে। তবে আওয়ামী লীগের হাল ধরার কেউ নেই এখন। ওদের মধ্যে অনেক কোন্দল আছে যেটা হাসিনা ছাড়া কেউ সামলাতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। তাই দল হিসাবে আওয়ামী লীগ সংগঠিত হতে সময় লাগবে। ১৯৮১ সালে হাসিনা হাল ধরেছিল বলেই পরবর্তীতে ১৫ বছর পরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছিল। এখন কে হাল ধরবে। শেখ পরিবারের কেউ না হলে আওয়ামী লীগের লোকেরা তাকে মানবে না। আবার শেখ পরিবারের লোক হলে জনগণ আগ্রহ দেখাবে না।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
বিএনপি তো তড়িঘড়ি নির্বাচন নিয়ে মেতেছিলো !
এখন চুপ আছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ৫ বছর ঠিকলে আমীলীগের ক্ষমতায় আসা কঠিন হবে।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখন আবার ফখরুল বলছে যে অনির্দিষ্টকাল সময় তারা দেবে না। আকারে ইঙ্গিতে বলতে চাচ্ছে যে জলদি নির্বাচন দাও। ৫ বছর সময় এই সরকার পেলে তো অনেক ভালো। কিন্তু আমার তো মনে হচ্ছে তার আগেই বাইরের চাপ আসবে। ভারত তো কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করবে জলদি নির্বাচনের জন্য। আগের নির্বাচনে ভারত আমেরিকাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিল হাসিনার ব্যাপারে। এটাই ভয়ের কারণ। কারণ আমেরিকাও চিনের কারণে ভারতকে হাত ছাড়া করতে চাবে না। এখন ডঃ ইউনুসই ভরসা। সে যদি অ্যামেরিকার সমর্থন ধরে রাখতে পারে সেই ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। বিএনপির ফখরুল যদি এখন বোকামি করে নির্বাচন আগায় সেই ক্ষেত্রে তারা নিজের পায়ে কুড়াল মারবে। কারণ তাদের নিজেদের দলেও অনেক সংস্কার প্রয়োজন। যদিও তারা সেটা হয়তো মানতে চাচ্ছে না বা বুঝতে পাড়ছে না।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বিএনপি তো তড়িঘড়ি নির্বাচন নিয়ে মেতেছিলো! এখন চুপ আছে। আপনি তো দেখছি উল্টা জানেন। দেশের কোন খোজ-খবর রাখেন না?

বিএনপি প্রথমে বলেছিল, সরকারকে সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সময় দেয়া হবে। কোন চাপ নাই।

আর এখন বলছে, সংস্কারের একটা রোডম্যাপ দিয়ে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে। তারা এটাও বলছে, এই সরকারের কোন বড় ধরনের সংস্কার করার আইনগত ক্ষমতা নাই। এরা দ্রুত নির্বাচন দিবে আর প্রয়োজনীয় মূল সংস্কারগুলো হবে জাতীয় সংসদের অনুমোদনের মাধ্যমে!!!!

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিএনপি কয়েকদিন আগেও বলেছিল যে সময় দিবে। এখন আবার উল্টা কথা বলছে। কৌশলে চাপ সৃষ্টি করছে আগে আগে নির্বাচনের জন্য। ফখরুল এগুলি বলে ভোট কমাচ্ছে। পাবলিক কিন্তু বিএনপির অতীতের আচরণ ভুলে নাই। শোনা যাচ্ছে যে দেশের অনেক এলাকায় বিএনপি পূর্বের মত অবৈধ প্রভাব খাটাতে শুরু করেছে। বিএনপি যতটা আসন পাবে বলে ধারণা করছে আমার মনে হয় সেটা তারা পাবে না। আর এই ধরণের কথা বার্তা বলে গেলে ভোট দিন দিন কমতে থাকবে।

ফখরুল কি একটা দালাল কি না আমার মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়। অথবা একটা গবেট হবে লোকটা। বিএনপির উচিত হবে সরকারকে সময় দেয়া এবং সেই সময়ে নিজের দলের সংস্কার করা। তবে বিএনপির নেতা বাছতে গেলে 'ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়ের অবস্থা হতে পারে'।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই মুহূর্তে ব্রেকিং নিউজ হল রাজধানীর উত্তরা থেকে ইনুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিস্তারিত আমিও জানি না। কেবল শিরোনাম শুনলাম।

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ভুয়া মফিজ ,
ভাই দুটো নিউজ এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো। হ্যা , ফকরুল সাহেব ‘অনির্দিষ্টকালের’ সময় দিতে চায়না। এই লোকটাকে থামাতে হবে। আশপাশের অনেক নেতা এখন কথা বলতে শুরু করেছে। ফলাফল ভালো হবে না।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গত ১৬ বছর বিএনপির নেতারা এই রকম অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার কারণে দলের কর্মীরা ভুগেছে। আমার ধারণা লন্ডন থেকে এই নির্দেশনা এসেছে। ওনার মনে হয় তর সইছে না। কিন্তু সেনাবাহিনী কিন্তু তারেককে পছন্দ করে না। বেয়াদপ ভাতিজাকে কেউ পছন্দ করে না।

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০

নতুন বলেছেন: I will make politics difficult for politicians" is attributed to Jayaprakash Narayan

আমাদের দেশের জনগনের ভোটের অধিকার নাই। তাই রাজনিতিকরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারে।

জনগনের ভোটে ক্ষমতা পরিবর্তন হলে সেই দেশে গত সরকারের মতন দাবন সৃস্টি হতে পারেনা।

দূনিতি বন্ধু করতে হবে।
বিচার বিভাগ নিরেপেক্ষ করতে হবে
নিবাচন কমিসন প্রফেসনাল করতে হবে।

সর্বপরি জবাবদিহিতার কালচার চালু করতে হবে।

দূনিতি কমাতে পারলে, জনগনের হাতে ভোটের ক্ষমতা থাকলে, রাজনিতিক দল ভালো মানুষকে ই নির্বাচনে প্রার্থি বানাবে।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জিয়াউর রহমান মনে হয় জয় প্রকাশের কাছে থেকে ধার ক'রে এই কথা বলেছিলেন যে 'আই উইল মেইক পলিটিক্স ডিফিকালট ফর দা পলিটিশিয়ান'। সবাই জানে যে জিয়াউর রহমান বলেছিলেন এই কথা। যাই হোক, যেই বলুক না কেন, হাসিনা আওয়ামী লীগের লোকদের জন্য রাজনীতি সহজ করে দিয়েছিলেন। এমনভাবে দেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ, গোয়েন্দা, প্রশাসনকে সাজিয়েছিলেন যে আওয়ামী লীগের লোকদের ধারণা হয়েছিল যে তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে।

সুস্থ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে রাজনীতিবিদরা ভয়ে থাকবে এবং তাদের জবাবদিহিতা সৃষ্টি হবে।

ইচ্ছা করলে দুর্নীতি কমানো সম্ভব। কিন্ত আমরা জনগণই নিজেরা দুর্নীতিতে অনেক সময় জড়িত। আমরা সরকারি অফিস থেকে অন্যায় সুযোগ নিতে চাই। নিয়ম ভেঙ্গে অন্যের আগে সেবা নিতে চাই। ঘুস দিয়ে কর ফাঁকি দেই।

বিচার বিভাগ হল শেষ ভরসা। হাসিনা সেটাকেও গিলে খেয়েছে। জুডিশিয়াল ক্যু করার চেষ্টা এই কারণেই হয়েছিল কয়েকদিন আগে। আপনার বাকি পরামর্শগুলিও ভালো। এগুলি করা গেলে দেশের রাজনীতি পঙ্কিলতা মুক্ত হবে। ফলে ভালো নেতা আমরা পাবো। ভালো নেতা পেলে দেশ এমনিতেও সামনে আগাবে।

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে, দেশের জন্য কি ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে সেটা নিয়ে একটু চিন্তা করুন।
কিছু দিন পর আওয়ামী লীগ বিএনপি এক হয়ে আন্দোলন করলেও অবাক হওয়ার কিছু নাই।
মির্জা ফখরুল আজও নির্বাচনের কথা বলেছেন।
শুনতেছি বিএনপি নেতাদের আবারও জেলে ঢুকানোর ছক আকা হচ্ছে।
এদেশে মার্কিন ঘাঁটি, গৃহযুদ্ধের সূচনা করবে। আজ প্রাক্তন এক সেনাকর্মকর্তা দেখলাম ইনিয়ে বিনিয়ে মার্কিন ঘাঁটির পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তিনি এন্টি আওয়ামী লীগ হলেও তাকে আমি পছন্দ করতাম।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মির্জা ফখরুলের এতো ক্ষমতা থাকলে আওয়ামী লীগকে সরাতে পারলো না কেন। এই লোকটাকে আমার ভাঁড় মনে হয়।

হাসিনা করেছিল ভারতের ব্যবসায়ীক ঘাটি। তার চাইতে মার্কিন সামরিক ঘাটি হলে ভালো হবে। ভারত এবং চিনের প্রভাব কমবে। বিশ্বের অনেক দেশে মার্কিন ঘাটি আছে। এটা কোন সমস্যা না। অ্যামেরিকানরা আমাদের চাকরী বা ব্যবসা দখল করতে আসবে না। বরং অ্যামেরিকান বিনিয়োগ, ঋণ, অনুদান এগুলি বাড়বে। ভারত বাংলাদেশে তখন নাক গলাবে না। মার্কিন ঘাটির কু প্রভাবগুলি বলেন দেখি।

বিএনপির নেতারা কোন কাজের না। ছাত্রদের এখন এদেরকে মুখে তুলে আন্দোলন খাওয়াতে হল। এরা নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝে না। দেশপ্রেম বা দল প্রেম নেই। এরা চায় যে কোন ভাবে ক্ষমতায় যেতে। ক্ষমতায় গিয়ে আবার আগের মত জুলুম করবে।

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার কি ধারণা, মার্কিন ঘাঁটি হলে ভারত, চীন বসে থাকবে?

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চিন বা ভারত কি কোন মার্কিন ঘাটিতে কখনও আক্রমণ করেছে? শুনেছেন কখনও। আঘাতের পরিণতি কি হবে বলে মনে হয়?

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৪

এম এ কাশেম বলেছেন: শেখ হাসিনাকে আপনি একজন সফল ফ্যাসিস্ট মিথ্যেবাদী, লোভী ও খুনি স্বৈরচারী বলতে পারেন, সফল নেতা কিংবা রাস্ট্র পরিচালক বলতে পারেন না। সফল নেতা বা রাস্ট্র পরিচালক হলে আজ তাহাকে কুত্তার মত দেশ ছেড়ে পালাতে হতো না।
তার মত নিকৃস্ট শাসক অতীতেও আসে নাই, ভবিষ্যতেও আসবে বলে মনে হয়।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি তাকে সফল বলেছি নাকি? বলি নাই। আপনি যা বলেছেন সেটাই ঠিক আছে। ওনার সমতুল্য একমাত্র হিটলার ছাড়া আর কারও কথা মনে আসছে না।

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩১

জটিল ভাই বলেছেন:
ভাই, আমার মনে হয় দুই দলের শাসনে এদেশের জনগণের আচরণই এখন দু'টি। হয় বিএনপি, নয় আওয়ামীলীগ। তাই এদের এদেশ আকীদা এদেশ হতে সহজে বিলোপ করা যাবে বলে মনে হয় না :(

২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা আসলে আশা করার মানসিক সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছি। এই দলগুলির অনাচার দেখতে দেখতে ভালো কিছুর আশাও আমাদের মনের কোণে আসে না এখন। এটাই হল তরুণ প্রজন্ম আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য। তরুণরা অনেক কিছু আশা করছে এবং ইতিমধ্যে তাদের অনেক আশা আলোর মুখ দেখছে যার শুরু হয়েছে হাসিনাকে ধাওয়া দিয়ে ভারত পাঠানোর মধ্য দিয়ে। বিএনপি, জামাত কিংবা আমরা যারা সাধারণ জনগণ আছি তারা কেউ কি স্বপ্নেও ভেবেছিলাম যে মাত্র এই কয়েকদিনে সামান্য কোটা নিয়ে আন্দোলন করে হাসিনাকে গদি থেকে নামানো যাবে। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ তরুণরা অনেক কিছু স্বপ্ন দেখতে পারে এবং আশা করতে পারে কিন্তু আমরা সেটা পারি না। এই কারণেই এই বারের সরকার পতন তরুণদের দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। সুপ্রতিষ্ঠিত দলগুলি ১৬ বছর কিছুই করতে পারেনি কারণ তারা আশা করাও ভুলে গেছে। আসলে আশা করা শিখতে হবে। কোন জিনিস যদি আশা না করা যায় তাহলে সেটা অর্জনের প্রশ্নই আসে না। সফলতার প্রথম ধাপ হল আশা রাখা।

আমার ধারণা সনাতনী ধারার রাজনীতি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হবে। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দিলেই অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় ছাত্রলীগকে উচ্ছেদ করা হল যখন হাসিনা পূর্ণ শক্তিতে ক্ষমতায়। ছাত্রলীগের সাথে ছিল পুলিশ, গোয়েন্দা, প্রশাসন, বিজিবি সহ সব কিছু। ছাত্রদের সাহস বেশী ছিল তাই তারা পেড়েছে। আমাদের সাহস কম তাই আমরা আশা করাও ভুলে গেছি। এটাই এই জাতির সমস্যা। তরুণ প্রজন্ম ছাড়া আমাদের মনোজগতে শুধু নেতিবাচক চিন্তা। এটাই আমাদের জাতিকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভালো কিছু আশা করতে হবে এবং তরুণ প্রজন্মকে সাহায্য করতে হবে। ওদের কাজ ওরা করে দিয়েছে। বাকিটা আমাদের করতে হবে। সব তো ছাত্ররা করে দিবে না।

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিএনপিকে একটা চরম শিক্ষা দেয়া দরকার। একের পর এক ষঢ়যন্ত্রে বিপর্যস্ত অন্তর্বর্তী সরকার। কোথায় তারা এই সরকারের পাশে থেকে সরকারকে সকল সহায়তা দেবে , তা না করে নির্বাচনের জন্য বাদর নাচন শুরু করে দিয়েছে!!

বিএনপির প্রথম সারীর সব নেতাদের দুদকের হাতে তুলে দেয়া হোক। এদের সবার বিপুল অর্থ সম্পদের খোজ খবর জানা দরকার। কথায় কথায় সিঙ্গাপুর লন্ডনে চিকিৎসা করতে যায় । টাকার উৎস কি ? তারেক রহমান লন্ডনে কি কাজ করে ? লন্ডনে তার অর্থ সম্পদের অনুসন্ধান করা হোক।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিএনপির আসলে এখনও শিক্ষা হয় নাই মনে হয়। ওদের লজ্জা থাকা উচিত। ছাত্ররা হাসিনাকে না হটালে আগামী আরও ১৫ বছরেও বিএনপি কিছুই করতে পারতো না। এখন যে ভোটের জন্য তাড়াহুড়া করছে এটার ফলও ভালো হবে না। বিএনপির মধ্যে সংস্কার না হলে ক্ষমতায় গেলেও এরা বেশী দিন টিকতে পারবে না। আর ওরা নিজেদের যতটা জনপ্রিয় মনে করছে ততটা জনপ্রিয়তা তাদের আছে কি না এটাও একটা প্রশ্ন।

বিএনপির নেতাদের নৈতিক দুর্বলতার কারণেই গত ১৫ বছর তারা কোন শক্তিশালী আন্দোলন করতে পারেনি। কোন আন্দোলনেই তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। তাদের আন্দোলন হল জনগণের গায়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ। তাদের নেতাদের অসততা, অবৈধ অর্থ এবং স্বার্থপরতার কারণেই তাদের এই অবস্থা হয়েছে। এই চোর, বাটপারগুলিকে না সরাতে পারলে বিএনপি আবার বিপদে পড়বে।

আমার তো মনে হয় কিছু অন্ধ সমর্থক ছাড়া তারেক জিয়াকে কেউ পছন্দ করে না। দলের বাইরে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে সে একজন দুর্নীতিবাজ নেতা। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারেক জিতে আসতে পারবে কি না আমার সন্দেহ আছে। খালেদা জিয়া তার সিটে জিতলেও তারেক জিততে পারবে কি না নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।

১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৪৪

আদিত্য ০১ বলেছেন: আপনি অনেক ডেপথে এনালাইসিস করেছেন, আমি এনালাইসিস করেছি এভাবে

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে আসেনি, তাই অগণতান্ত্রিক সরকার, ফখরুদ্দিন খুব জোর করে অনে চাপে ২ বছর কোন রকম পার করতে পারছিলো, তাও সেটা মাইনাস টো ফর্মুলার আরও বিএনপি ও আওয়ামীলীগে দুর্নীতিবাজ নেতা গ্রেপ্তার করে। কিন্তু এইবার শুধুই আওয়ামীলীগের, কারন এইবার এইটা হইছে আন্দোলনের মাধ্যমে। আর সেটার বিরোধে পড়েছে আওয়ামীলীগ।

এই সরকারের প্রধান ইউনুস আছেন আমেরিকার অনুকম্পা নিয়ে থাকতে পারবে আর ছাত্রদের সংবদ্ধতার ওপরও? সেটা এই কয়দিনে আঁচ করা যাচ্ছে, কারন যে কোন ঐক্য ফাটলও ধরে, সেটা করে কিছু পক্ষ। বিএনপি জামাত ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে, তারেক দেশের বাইরে, তারেকের কথায় বিএনপি চলে, তারেকের মাথায় রাজনৈতিক জ্ঞান নাই বরং লোভী ও চোর। এই দল দুইটার এখন চাই ক্ষমতা, এই দুইটা দলের ছাত্র রাজনীতি ভিত্তি শক্ত, ভার্সিটি ভালোভাবে ক্লাস শুরু হলে, এই দুই দলের ছাত্র রাজনীতি ভালোভাবে চলবে, ও অনেক সাধারন ছাত্রছাত্রীরা এই দলে ভিড়বে। তখন আর এই আন্দোলনের তেমন ছাত্র-ছাত্রী ভিড়বে না, বা ফর্মেশনে আসবে না।

বিএনপি জামাতই চাইবে সর্বোচ্চ ১ বছরের মধ্যে নির্বাচন, তাদের ক্ষমতার ক্ষুধা আর এই সরকারের অনেক পদক্ষেপ তাদের চাওয়ার বাইরে হবে, তাই বিএনপি জামাত কুটনৈতিক ততপরতা বাড়াবে, আমেরিকা বা অন্য সবদেশ থেকে চাপ আসবে নির্বাচনের জন্য। এখন সংসদ নাই, অনেক আইন বা প্রস্তাব বা বাস্তবায়ন সংসদের মাধ্যমে হলে যতটা গ্রহনযোগ্যতা পায়, সংসদ ছাড়া পাবে না। সংসদ ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন। গণতন্ত্র মাধ্যম প্রত্যক্ষ ভোট। সেইটা যেমনই হোক। এই সরকার এইটা কোনটাই নাই। বাইরে চাপ বাড়বে এইটা এই কয়দিনে বুঝা যায়, আর দেশের ভিতরে অস্থিরতা অনেকটা ঘুমোট হয়ে আছে। ছাত্ররা পড়াশোনা করবে নাকি এগুলাই সামাল দিবে, দেশের প্রশাসন চালানো বা নজরদারি করা এইটা ছাত্রদের কাজ না। এইটা আমি আপনি সবাই বুঝি। আস্তে আস্তে যদি এই আন্দোলনের ছাত্রদের মাঝে ছাত্রলীগ ছাত্রদল বা শিবিরের মত রাজনৈতিক প্রভাব ও দখলদারিত্ব এসে যায়, তখন মানুস আস্থা হারাবে।

ছাত্রদের কোন ফিজিকেল ফর্মেশন নাই মানে রাজনৈতিক দল, সেটা হতে সময় লাগবে। নতুন একটা রাজনৈতিক দক গঠন হলেই যে জনমত পেয়ে ভোট বেশি পাবে তা নয়। এখন বলতে পারেন আন্দোলনে তাদের পক্ষে জনগন ছিলো, এই আন্দোলনে জড়িত জনগনে মাঝে বিএনপি, জামাত ও অন্য দলে সমর্থক ছিলো, আর ফেসবুকের ২ কোটি লোক শুধু ভোটার না এর বাইরে আরও তিনগুন ভোটার আছেন। আবার অনেক তরুন আছে ভোটারই হয় নাই (আমার কথায় বলি ২৩ বছর বয়সে ভোটার হইছি মানে আন্ডারগ্রেডের শেষে)। ১৯৪৯ সালে গঠিত আওয়ামীলীগ নির্বাচনে জয়ী হইছে ১৯৭০ সালে প্রায় ২১ বছর পর। ১টা দল গঠন করলেই যে ভোটে জয়ী হবে এইটা আশা করা যায় না। দল গঠন করে জোট বদ্ধ হতে পারে। জোট বদ্ধ হলে তারা নীতি বিচ্যুত হওয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে

বড়জোর ১ বছর এই সরকার থাকবে আশা করা যায়, নির্বাচনে আসন ভাগাভাগী করে বিএনপি জামাত জোট বদ্ধ হবে মনে হয়, যেহেতু সংসদের বিরোধী দল সংকট কাটানোর জন্য আওয়ামীলীগকে নির্বাচনে আসার ব্যবস্থা করা হতে পারে, আর যদি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ না আসে বা আসতে না দেওয়া হয়, তবে জামাত বিরোধী দলে যাবে, কিন্তু জামাত বিরোধী দলে যেতে রাজি হবে না, জামাত শাসনে কিছু অংশে থাকতে চায় সবসময়।

যে দলই ক্ষমতায় আসুক, দুর্নীতি অনিয়ম হবেই আর এই সময়ে আওয়ামীলীগ দল গুছাবে ও এই দুর্নীতি অনিয়ম হাইলাইট করে আগাবে। হয়ত নতুন নেতৃত্ব আসবে, জয় বা পুতুল বা শেখ রেহেনা, এদের যে কোন একজন হাত দিয়ে দল গুছাবে। জয় বা পুতুল বা শেখ রেহেনার বিরুদ্ধে মামলা গুলো খুবই দুর্বল এইটা যে রাজনৈতিক হয়রানি, সেটা সবাই বুঝে। এখন যে আওয়ামী বিরোধী মত তুঙ্গে, এইটা ৬/৭ বছর পর অনেক কমে যাবে, অনেকেই ভুলে যাবে, নতুন তরুনেরা জানবে না তেমন একটা। আর এখন এই বিরোধী মনোভাবাপন্ন ২ কোট ফেসবুকে যতটা, ফেসবুকের বাইরে এখনও ততটা প্রকট না, গ্রাম বা মফস্বল শহরে ভোটে আওয়ামীলীগের সমর্থন একটু কমেছে মানে যারা সোশাল নেটওয়ার্কে বাইরে তাদের কাছে হয়ত একটু কমেছে, কিন্তু তেমন না, আমি গ্রাম ও মফস্বলে অনেক যায়গায় যাই, আমি মানুসের সাথে কথা বলে জেনেছি।

তাই যতটুকু ধারনা করা যায় ১০/১৫ বছর পর আওয়ামীলীগ ফিরে আসবে নতুন করে, হয়ত এর মাঝে অনেক ঝড় ঝাপটা যাবে, আর ১৫ বছরের শাসনে তারা যে সুযোগ পেয়েছিলো চাইলে তারা অনেক ভালো কিছু করতে পারতো, কিন্তু করেনি, তাহলে তারা আবার ক্ষমতা খুব সহজে আসতে পারতো।

কোন দল নিঃশেষ হয়ে যায় না, বিএনপি, আওয়ামীলীগ, জামাত বা জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য ছোট দল, এগুলো আছে থাকবে, হয়ত ক্ষমতার পালা বদলে ক্ষয় প্রাপ্ত হবে আবার গড়বে, আবার ক্ষমতায় আসবে, এইভাবেই চলবে, আমাদের দক্ষিন এশিয়ার বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও জনগনের চিন্তা এমন

২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই সরকার কিছুদিন পরেই আন্তর্জাতিক চাপের সম্মুখীন হতে পারে। প্রভাবশালী দেশগুলি নির্বাচনের জন্য চাপ দিতে পারে। তাই এই সরকার বেশীদিন থাকতে পারবে কি না এটা নিয়ে সংশয় আছে। ভারতকে খুশি রাখতে গিয়ে অ্যামেরিকা নির্বাচন এগিয়ে আনার কথা বলতে পারে। গত জানুয়ারিতেই ভারতের কারণে অ্যামেরিকা শেখ হাসিনার প্রতি কিছুটা নমনীয় হয়। অ্যামেরিকা ভারতকে চটাতে চাইবে না এই অঞ্চলে চিনের সাথে তাদের বিরোধের কারণে। শেখ হাসিনা এই সুবিধাটা গত অনেক বছর ভোগ করেছে। ভারতের কারণে বাংলাদেশে অন্য কোন দেশ নাক গলাতে পারেনি। ১/১১ এর সময়ে মইন ইউ আহমেদ চেয়েছিল সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ করতে। কিন্তু বাইরের দেশগুলির সমর্থন না থাকার কারণে সেটা সম্ভব হয় নাই। ফলে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার সমাপ্তি ঘটে। তবে এই বার ভরসা হল ডঃ ইউনুস। দেখা যাক উনি অ্যামেরিকাকে কতদিন সামলাতে পারেন।

ছাত্রদের ঐক্যে ফাটল ধরার ঝুকি আছে। এখন আওয়ামী লীগ চাইবে ছাত্রদের মধ্যে গোপনে ঢুকে ফাটল সৃষ্টি করার। ষড়যন্ত্রে আওয়ামী লীগের সাথে কেউ পারেনি। সেটা আজকে থেকে নয়। আগে শোনা গেছে যে আগরতলা মামলা ছিল মিথ্যা এবং বানোয়াট। কিন্ত গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগের অনেক পুরানো নেতাই বলেছেন যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা আসলেই সত্যি ছিল। ভারতের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তান ভাঙ্গার পরিকল্পনা শেখ মুজিবের ছিল। তার মানে মূল রাজনীতির পাশাপাশি এই ধরনের গোপন কাজ কারবার করার অভ্যাস আওয়ামী লীগের আগে থেকেই ছিল। এই বারেও আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না। আর হাসিনা এখনও জীবিত আছে। তাই ঝুকি আছে যে ছাত্র আন্দোলনের ঐক্য আওয়ামী লীগ নষ্ট করার প্রাণপণ চেষ্টা করবে।

তারেকের জনপ্রিয়তা দলের বাইরে আছে বলে আমার মনে হয় না।

সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের উপরে অতিষ্ঠ। এবারের আন্দোলন থেকেও বোঝা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শতকরা ১% বা ২% এর বেশী ছাত্র রাজনীতি করে বলে আমার মনে হয় না। তাছাড়া এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর ছাত্র পড়াশুনা করে যারা ছাত্র রাজনীতি পছন্দ করে না। তাই সামনের দিনে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের প্রতি সাধারণ ছাত্ররা খুব বেশী আগ্রহ দেখাবে না। আসলে অসৎ চিন্তার মানুষ ছাড়া এই সব দল এখন আর কেউ করে না। তারাই করে যারা দল করে কিছু পায়। এই ছাত্র আন্দোলন শুধু ছাত্রদের না বরং অভিভাবক এবং জনগণেরও সমর্থন পেয়েছে। সামনের দিনে নতুন সমস্যা তৈরি হলে ছাত্ররা আবার মাঠে নামবে। তারা আন্দোলন করা শিখে গিয়েছে। হাসিনার মত সাইকো স্বৈরাচারকে যারা ভাগিয়েছে তাদের সক্ষমতাকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। ১ দিন আগেও আনসার আন্দোলন ছাত্ররা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে মোকাবেলা করেছে। আমার মনে হচ্ছে ছাত্ররা কোন রাজনৈতিক দল নিয়ে আসবে। তবে একটা দল জনপ্রিয় হতে অনেক সময় লাগে এবং দলেও মত বিরোধ হয়। তাই ঝুকি আছে।

হাসিনা সরকারকে উৎখাতে সেনাবাহিনীরও ভুমিকা ছিল। তাই সেনাবাহিনীর উঁচু পদের অফিসাররা নিজেদের ঝুকি কমানোর জন্যই আওয়ামী লীগের গতিবিধির উপরে নজর রাখবে। জেনারেলরা কখনই চাইবে না যে হাসিনা বা আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসুক। কারণ ফিরে আসলে জেনারেলরা বিপদে পড়তে পারে। ১/১১ এর সময়েও এই কারণে জেনারেলরা বিএনপির বদলে আওয়ামী লীগকে চেয়েছে নিজেদের প্রয়োজনে। বর্তমান জেনারেলরা নিশ্চিত করবে যে আওয়ামী লীগ যেন ক্ষমতায় না আসে। কারণ আওয়ামী লীগ হটানোতে তাদের প্রত্যক্ষ ভুমিকা আছে। হাসিনার প্রতিহিংসা পরায়নতার কথা তারা ভালো করে জানে। হাসিনা বা আওয়ামী লীগকে সেই সুযোগ তারা দেবে না নিজেদের স্বার্থেই। সেনাবাহিনী এবং বর্তমান সরকারের লোকেরা এটা নিশ্চিত করবে যে তাদের সময়ে করা সকল কাজকে যেন বৈধতা দেয়া হয় পরবর্তী সরকারের দ্বারা। তাই আওয়ামী লীগের পুনরায় আসা এতো সহজ হবে না।

নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ কিছু সিট অবশ্যই পাবে এবং চেষ্টা করলে বিরোধী দলে যেতে পারবে হয়তো। কিন্ত গত ১৬ বছরের কর্মকাণ্ডের কারণে সরকার গঠনের মত সিট তারা পাবে না। তাদের অনেক নেতার শাস্তি হয়ে যাবে। হাসিনার বয়স অনেক বেশী হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের প্রথম সারির সব নেতাকে বাদ দিতে হবে পুনরায় জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য। আওয়ামী লীগের হাল হাসিনা ছাড়া কেউ ধরে রাখতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগ একটা পরিবার কেন্দ্রিক দল। আবার বর্তমান প্রেক্ষাপটে শেখ পরিবারের কাউকে জনগণ মেনে নেবে না। পুতুল, জয় বা রেহানা দলের ঐক্য ধরে রাখতে পারবে না। হাসিনার সক্ষমতার তুলনায় এদের সক্ষমতা শূন্যের কোঠায়। এরা রাজনীতি বোঝেই না ভালো করে। আসলে হাসিনার বিকল্প নাই। হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগের বাতি টিমটিম করে জ্বলবে হয়তো। তবে কিছু গোরা আওয়ামীলীগার সব সময়ই থাকবে। আওয়ামী লীগ সব সময়ই কিছু সিট পাবে। দূর ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হলে নাকে খত দিয়ে আসতে হবে এবং রাজনীতির স্টাইল আমুলে পরিবর্তন করতে হবে। গত ১৬ বছরের অনাচারের কথা ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। মানুষ এটা সহজে ভুলবে না। আর ছাত্ররা বারুদের মত জ্বলে ওঠা শিখেছে। সময়ের প্রয়োজনে তারা আবার জ্বলে উঠবে। আগের ধারার রাজনীতি আর চলবে না। পরিবর্তন আসতে হবে এবং আসবে। তবে একবারে হবে না, সময় লাগবে।

কোন দল নিঃশেষ হয় না বলেছেন আপনি। আমি দ্বিমত পোষণ করছি। মুসলিমলীগ এই উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ছিল। সেই দলের অস্তিত্ব এখন নাই। সমাজতান্ত্রিক দলগুলি থেকেও আসলে নাই। এরা অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে আছে এবং পরগাছার মত গণতান্ত্রিক দলগুলির ছায়ায় বেচে আছে। তার চেয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া ভালো ছিল। ইনু, রাশেদ খান মেনন, মতিয়া চৌধুরীর আরও আগেই উচিত ছিল রাজনীতি ছেড়ে দেয়া। লোভ বা একগুঁয়েমির কারণে তারা রাজনীতি করে যাচ্ছে।

আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের রাজনৈতিক চিন্তায় পরিবর্তন আসবে। দরিদ্রতা কমছে, শিক্ষা বাড়ছে। তাই, আগে যেটা করা গেছে সেটা সামনের দিনগুলিতে রাজনৈতিক দলগুলি করতে পারবে না। তবে রাতারাতি হবে না। সময় লাগবে। তরুণ প্রজন্মই এই পরিবর্তনে অগ্রণী ভুমিকা নেবে। ইতিমধ্যেই তারা তাদের সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছে। আমাদের দায়িত্ব তাদেরকে সাহায্য করা। খারাপ পরিবেশে থাকার কারণে আমাদের মন থেকে নেতিবাচক চিন্তা দূর হতে চাচ্ছে না। এটাই সমস্যা। ভালো কিছুর আশা করতে হবে এবং চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৫১

মিল্লাত হোসেন বলেছেন: ভাই, আওয়ামীলীগ আর কখনো ক্ষমতায় আসবে না। কারন আজ থেকে ২০ বছর পর হাসিনা হয়ত আর বেচে থাকবে না এবং জয় ও পুতুল এর বয়স ৭০ এর বেশি হবে। আন্দলোন সফল করতে ছাত্র দল,ছাত্র শিবির,ছাত্র সেনা,ইসা ছাত্র আন্দোলন বিরাট ভূমিকা রেখেছিল।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগের হাল ধরার কেউ নাই। আমার মাথায় একটা নামও আসে না যে ব্যক্তি আওয়ামী লীগের হাল ধরতে পারবে। হাসিনা গত ১৬ বছরে দলের সবচেয়ে খারাপ লোকগুলিকে আওয়ামী লীগের উঁচু পদে এনেছে। কয়েক দিন আগে সরকার উৎখাতের কারণে এরা সবাই ব্ল্যাক লিস্টে চলে গেছে। দ্বিতীয় সারির এমন কোন নেতা পাওয়া যাবে না যে আওয়ামী লীগের হাল ধরে ঐক্য বজায় রাখতে পারবে।

আগামী ১০ বছর দেশের বাইরে থাকলে হাসিনা আর কখনও রাজনীতিতে আসতে পারবে না। আর দূর থেকে রাজনীতি ফলপ্রসূ হয় না। ভারতে বসে নির্দেশ দিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করা যাবে না। সেই সুযোগ ভারত হাসিনাকে দিবে কি না সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে। মোদী হাসিনার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে একবার দেখাও করবে না বা কথাও বলবে না। হাসিনা ভারতের জন্য একটা সমস্যা হবে তার বয়স এবং কর্মকাণ্ডের কারণে। পতিত স্বৈরাচারের কোন মূল্য থাকে না। অতীতের ইতিহাস ঘাঁটলেই সেটা বোঝা যায়।

এই বারের আন্দোলনের শেষের দিকে অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও যোগ দিয়েছিল। শুধু রাজনৈতিক দলের কর্মী না সাধারণ জনগণ মাঠে নেমেছিল। ফলে সেনাবাহিনী নমনীয় হতে বাধ্য হয়। আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে ছড়িয়ে পরে এই জন আন্দোলনের খবর। তবে মূল ক্রেডিট সাধারণ ছাত্রদের।

১৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উতস ছিল- ইন্ডিয়া। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছিলো ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়া নিয়ন্ত্রিত বন্ধুকধারী বাহিনীগুলো, দুর্ণীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত প্রশাসন। যদি আবার কখনো আওয়ামী লীগ ফিরে আসে- সেটা সেই একই পদ্ধতিতে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একমত আপনার সাথে। কোন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার পদ্ধতি বা নীতি ছিল ভারতের সহায়তা নেয়া এবং হত্যা, নির্যাতন, গুমের রাজনীতি করা। দেশের প্রতিটা প্রতিষ্ঠানকে তারা কলুষিত করেছে। যার মধ্যে আর্মি এবং গোয়েন্দা সংস্থাও বাদ পড়েনি। আশা করি এবার শুদ্ধি অভিযান চলবে।

১৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



আওয়ামী জাহিলিয়াতের অন্ধকার আর এই দেশের মানুষ পুনরায় দেখতে চায় না। বহু মায়ের বুক খালি করার পরে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই জাতির সূর্য্য সন্তানেরা ওদের এ দেশ থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করেছেন। গুম, খুন, লুটপাট, অর্থপাচার, ভোটাধিকার হরণকারী, বিচার বিভাগ ধ্বংসকারী, দুর্ণীতিবাজ, ব্যাংক লুটেরা, ভিনদেশী তাবেদার অপশক্তি এই রক্তখেকো হিংস্র, দুর্বৃত্তদের ফিরে আসার সকল পথ রুদ্ধ করে দিতে হবে। দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে নতুন করে।

তবে, আওয়ামী লীগের প্রভূ ভারতের চক্রান্ত থেমে থাকবে না। তারা এই দেশে আওয়ামী অপশাসন পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরণের শয়তানিকেই কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে। দেশবাসীকে কঠোর হস্তে ভারতের দুশমনিকে রুখে দিতে হবে। রুখে দিতে হবে ফ্যাসিবাদীদের যাবতীয় কূটকৌশলকে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছাত্ররা বলতে গেলে অসাধ্য সাধন করেছে। এবার সুযোগ এসেছে দেশ গড়ার। বাধা আসলেও সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রমাণ হ্ল সংখ্যালঘু ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা, জুডিশিয়াল ক্যু এর চেষ্টা, ডাকাতির নাটক সাজানোর চেষ্টা, আনসারদের দিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করা, ভারতের সাহায্যে অ্যামেরিকার সাথে লবিং করার চেষ্টা ইত্যাদি।

তবে ওরা যেমন বসে নেই তেমনি ছাত্র-জনতাও বসে নেই। আওয়ামী লীগ নতুন প্রজন্মকে চিনতে ভুল করেছে।

১৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:১০

কিরকুট বলেছেন: ব্যাক্তিগত ভাবে আমাকে কেউ প্রশ্ন করলে আমি বলবো দেশের সকল রাজনৈতিক দলের ভেতর নির্মম শুদ্ধি অভিযান চালানো জরুরী । দেশে শুধু তারাই রাজনৈতিক দল পরিচালনা করতে পারবে যারা শুধুমাত্র বাংলাদেশ কেন্দ্রিক রাস্ট্র ব্যাবস্থায় বিশ্বাসী । ভারত পাকিস্থান চীন সৌদি আরব আমেরিকা রাশিয়া প্রভাবে প্রভাবিত সকল নষ্ট ব্যাক্তিদের চিরতরে অবসরে পাঠিয়ে দিতে হবে । দেশ চালাবে বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী চিন্তাধারায় বিশ্বাসী জনগোষ্ঠি ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.