নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানিং ভারতের কিছু মানুষ এবং মিডিয়া প্রচার করে যাচ্ছে যে ভারতীয় পণ্য এবং সেবা বন্ধ হলে বাংলাদেশের মানুষ কঠিন বিপদে পড়বে। না খেয়ে মরবে এমন কথাও বলছে অনেকে। তাদের অনেকেই ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে বলতে চাচ্ছে যে বাংলাদেশের মানুষের তুলনায় তারা অনেক বেশী আয় করে এবং সুখে শান্তিতে আছে। আসুন দেখা যাক এই কথাগুলি কতটা সত্য।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে প্রতিদিন ২ ডলার ১৫ সেন্টের কম যারা আয় করে তাদেরকে চরম দরিদ্র মানুষ বলা হয়। সেই হিসাবে ভারতের ১২.৯০% মানুষ চরম দরিদ্র (২০২১ সালের হিসাব)। একই মানদণ্ডে বাংলাদেশের ৫% মানুষ চরম দরিদ্র (২০২২ সালের হিসাব)। (সুত্র – বিশ্বব্যাংক)
২০২৩ সালের আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী গত চার বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে বেশী ছিল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২৬২১ ডলার আর ভারতের ছিল ২৬১২ ডলার।
বাংলাদেশের মানুষ ভারতের চেয়ে সামান্য বেশী পরিমান ডায়েটারি এনার্জি গ্রহণ করে থাকে খাদ্যের মাধ্যমে। বাংলাদেশের মানুষ গড়ে প্রতিদিন ১০,৭২০ কিলোজুল ডায়েটারি এনার্জি গ্রহণ করে থাকে আর ভারতের মানুষ গ্রহণ করে ১০,৬০০ কিলোজুল। (সূত্র – এফ এ ও)।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্সের ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষ বেশী সুখী (সূত্র - ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৩) । এই তালিকায় ভারত ১২৬ তম আর বাংলাদেশ ১১৮ তম।
২০২৩ সালের গ্লোবাল অরগানাইজড ক্রাইম ইনডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের অবস্থান ৬১ তম (স্কোর ১০ এর মধ্যে ৫.৭৫ ) আর বাংলাদেশের অবস্থান ৮৯ তম (স্কোর ৫.১২)। সুবিধার জন্য বলছি যে, অবস্থান যত আগে ক্রাইম তত বেশী।
পিইউ রিসার্চের ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে যে ৮ টি দেশে অত্যধিক বেশী (ভেরী হাই) মাত্রায় ধর্মীয় শত্রুতা বিরাজমান তার মধ্যে ভারতের অবস্থান দ্বিতীয় (বাকি দেশগুলি হল নাইজেরিয়া, সিরিয়া, ইসরাইল, মিশর, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান)। এই তালিকায় যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশ আছে বেশী মাত্রার (হাই গ্রুপ) গ্রুপে। এই হাই গ্রুপে আরও আছে ফ্রান্স, মেক্সিকো, ফিনল্যান্ড, ফিলিপাইন, বেলজিয়াম, জার্মানি, রাশিয়া, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা সহ আরও কিছু দেশ। ।
প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় হত্যার পরিমান হিসাব করলে ভারত বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে। ভারতে প্রতি লাখে ২.৮৩ জন মানুষ হত্যা হয় আর বাংলাদেশে লাখে হত্যা হয় ২.৩৪ জন (সূত্র - UNODC)।
স্বাস্থ্যকর খাবার পানি, টয়লেট, নর্দমা, বর্জ্য ইত্যাদি জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুবিধা বিবেচনায় নিলে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। বিশ্বের সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩ তম আর ভারতের অবস্থান ১৪৩ তম। (সুত্র - https://epi.yale.edu/measure/2024/H2O)
বেকারত্বের হার বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে বেশী। আইএলওর রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে বেকারত্বের হার ৭.৮০% আর বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৫.২০%।
ভারতে প্রতি লাখে আত্মহত্যার হার বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশী। ভারতে প্রতি লাখে ১৯ জন আত্মহত্যা করে আর বাংলাদেশে করে ৭ জন।
জনগণের গড় আয়ু বাংলাদেশের ৭৩.১০ বছর ( ২০২১ সালের উপাত্ত , ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন রিপোর্ট) আর ভারতের ৬৭.৩০ বছর।
২০২৪ সালে তৈরি করা শান্তির দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের চেয়ে ভালো। বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩ তম আর ভারতের অবস্থান ১১৬ তম (সুত্র - https://gfmag.com/data/most-peaceful-countries/)।
নারীর সমতার ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের ২০১৮ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ৪৮ তম আর ভারতের অবস্থান ১০৮ তম। নারীর সমতার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।
শিশু মৃত্যু এবং পুষ্টির হার বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের চেয়ে ভালো।
ধর্মীয় শত্রুতার বিচারে সারা বিশ্বে ভারতের অবস্থান খারাপের দিক থেকে ৪র্থ (পিউ রিসার্চের রিপোর্ট ২০১৫) । ভারত শুধু মাত্র সিরিয়া, নাইজেরিয়া এবং ইরাকের চেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল।
বায়ু দূষণে দিল্লির অবস্থা ঢাকার চেয়েও খারাপ।
তবে সব সূচকেই যে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে এগিয়ে এই কথা বলা যাবে না। উপরে ব্যক্তি পর্যায়ের অর্থনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিক স্বস্তি এবং সামর্থ্যকে বিবেচনায় নিয়ে দেখানো হয়েছে যে আর্থিক, সামাজিক, ধর্মীয় এবং মনস্তাত্ত্বিক বিচারে গড়ে ভারতের একজন মানুষের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। কিছু কিছু সুচকে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের চেয়ে ভালো কিন্তু খুব ভালো বলা যাবে না। যেমন রাজনৈতিক পরিবেশের স্থিতিশীলতায় ভারতের স্কোর ৫৯ আর বাংলাদেশের ৫০। জীবন যাত্রার ব্যয় ভারতে কম ( বাংলাদেশের স্কোর ৫৮ আর ভারতের ৪৯)। ভারতের মুদ্রাস্ফীতি বাংলাদেশের চেয়ে কম (বাংলাদেশ ৯.৮৮% ভারত ৫.৬৫%)। দুর্নীতিতে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে ( বাংলাদেশের স্কোর ৭৬ আর ভারতের ৬১)। প্রতি হাজারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ভারতে ৪৬৩ জন আর বাংলাদেশে ৪৪৫ জন (কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাংলাদেশে হাজারে ৭৫ জন আর ভারতে ২৮ জন)। ভারতে প্রতি হাজারে ১.৬৩ টা হাসপাতাল বেড আছে। বাংলাদেশে আছে ০.৮৮ টা। ভারতে প্রতি হাজারে ০.৭৩ জন ডাক্তার আছে আর বাংলাদেশে আছে ০.৬৭ জন। ডায়াবেটিস রোগী ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে বেশী (ভারত ৯.৬০%, বাংলাদেশ ১৪.২০%)। ধূমপায়ীর সংখ্যা বাংলাদেশে অনেক বেশী (ভারত ৮% আর বাংলাদেশ ৩৪.৭০%) (এই প্যারাগ্রাফে দেয়া উপাত্তের সূত্র হল Click This Link)
পশ্চিম বঙ্গের দাদারা লাফালাফি বেশী করছে। আমি উপরে যে উপাত্ত দিয়েছি সেগুলি সমগ্র ভারতের গড় হিসাব। আসুন দেখি পশ্চিমবঙ্গের কি অবস্থা। বাংলাদেশের মাথা পিছু আয় হল ২৬২১ ডলার (২০২৩ সাল) তার বিপরীতে পশ্চিম বঙ্গের মাথা পিছু আয় হল ২১০০ ডলার (সূত্র - "GSVA/NSVA by Economic Activities")। অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় ২০% কম এবং ভারতের গড় মাথাপিছু আয়ের চেয়েও প্রায় ২০% কম ( ভারতের গড় মাথাপিছু আয় ২৬১২ ডলার)। মাথাপিছু আয়ের হিসাবে ভারতের ২৮ টা রাজ্যের মধ্যে পশ্চিম বঙ্গের অবস্থান হল ২১ তম। অর্থাৎ তাদের চেয়ে আরও ২০ টা রাজ্যের মানুষের মাথাপিছু আয় তাদের চেয়ে বেশী। বলা যেতে পারে যে আয়ের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটা পিছিয়ে পড়া রাজ্য। তবে স্বীকার করতে হয় যে তাদের মুদ্রাস্ফীতির হার বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম (৩.৬৩%)।
তারপরেও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কৃপণতা নিয়ে কিছু কথা প্রচলিত আছে। যেমন ‘দাদা খেয়ে এসেছেন নাকি গিয়ে খাবেন’। কিংবা ‘আধেক ডিম পুরোটাই খেলুম’। অথবা ‘আধেক মিষ্টি পুরোটাই খাবেন কিন্তু’। এমনও শোনা যায় যে পশ্চিমবঙ্গের দাদা বউদিরা নাকি একই কনডম ধুয়ে রোদে শুকিয়ে পুনরায় ব্যবহার করে থাকেন (আমাদের একজন সুপরিচিত ব্লগার এই ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন)।
আমার এই পোস্টে সামষ্টিক সুবিধার চেয়ে ব্যক্তিগত সুযোগ, সুবিধা, সুখ, স্বস্তিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ভারত মহাকাশে রকেট বা উপগ্রহ পাঠাতে পারে কিংবা পারমানবিক বোমা বানাতে পারে কিংবা তাদের অস্ত্র, সৈন্য, গোলাবারুদ বেশী এই বিষয়গুলি ভারতের একজন দরিদ্র সাধারণ মানুষের কোন উপকারে আসে না। এগুলি নিয়ে তারা যদি বড়াই করেও থাকে, নিজের আয় রোজগারের ক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত সুখ, স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রে এগুলির কোন ভুমিকা নাই।
ভারতবাসীদের প্রতি, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের দাদা দিদিদের প্রতি পরামর্শ রইল দয়া করে নিজের চরকায় তেল দেন। আর শেখ হাসিনাকে দেখে শুনে রাখিয়েন। উহা আপনাদের জন্য অমূল্য সম্পদ। আশা করা যায় উহার কারণে অচিরেই আপনাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতি সংঘটিত হইবে।
সূত্র-
https://ocindex.net/rankings?f=rankings&view=List
https://www.pewresearch.org/religion/wp-content/uploads/sites/7/2024/02/PR_2024.3.5_religious-restrictions_B.pdf
https://data.who.int/countries/356
https://www.huffpost.com/archive/in/entry/on-religious-hostilities-india-ranked-just-slightly-better-than_in_5c11edf1e4b0295df1fa0e65
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রতিবেশীর সাথে খারাপ সম্পর্ক নিয়ে যদি কোন সূচক থাকতো (হয়তো আছে, আমি জানি না) তাহলে ভারত প্রথম হত। ইতিমধ্যেই তারা সব প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং চীনের সাথে সফলভাবে বৈরি সম্পর্ক তৈরি করেছে। শেষ ভরসা ছিল বাংলাদেশ, সেটাও তারা হারাল। তাদের নাক উঁচু ভাব এবং দাদাগিরির প্রচেষ্টার কারণে প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী দরিদ্র মানুষ তাদের দেশে থাকে। তারপরেও তাদের মিথ্যা অহংকার। তাদের উচিত আগে দেশের লোকের জন্য খাবার জোগাড় করা এবং টয়লেট তৈরি করা তারপরে মহাকাশে নভোযান পাঠানো।
ভারতের দাদাগিরির কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বোর্ড এখন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। বিহারের লোক নাকি এখনও খাবার না পেয়ে ইঁদুর খায় (সত্যি কি না জানি না)। বিভূতিভূষণের উপন্যাসে আছে যে বিহারের লোকেরা চীনা ঘাসের বীজ খেত। হিন্দি সিনেমার কিছু মান আগে ছিল। এখন হিন্দি সিনেমা দেখা হয় না। ওদের সমাজের চিত্র এখন হিন্দি সিনেমাতে ফুটে ওঠে না। শুধু গোলাবারুদ, সৈন্য, পারমাণবিক বোমা আর রকেট দিয়ে কোন জাতি উপরে ওঠে না। তাই যদি সত্যি হত তাহলে পাকিস্তান বিশ্বে এগিয়ে থাকতো।
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারতের সাথে বাংলাদেশের তুলনা হয় না। বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ কিন্তু ইহার জনসংখ্যা অনেক বেশি। অন্যদিকে আমদানী নির্ভর দেশ হওয়াতে আমাদের অবস্থান ভালো নয়। হাসিনার অতিরঞ্জিত উন্নয়নে এখন অনেকেই সেন্টি খাচ্ছে। সব কিছু বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। ভারতের সব রাজ্য উন্নত নয়। তবে ভারত রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। তাদের সরকার ভুয়া উন্নয়নের গল্প শোনায় না। বাংলাদেশের সাথে তুলনা করতে হবে প্রায় একই সময়ে স্বাধীন হওয়া দেশ এবং জনসংখ্যা প্রায় সমান পরিমাণ আছে এমন দেশের। ভারতের দক্ষ লোকেরা বাংলাদেশে চাকুরি করেন কিন্তু বাংলাদেশের কতজন দক্ষ লোক ভারতে চাকুরি করেন ইহা জানার দরকার।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জনসংখ্যা কোন সমস্যা না। জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে এরাই দেশকে সামনে নিবে। পৃথিবীর অনেক দেশ মানুষের অভাবে বাইরে থেকে মানুষ আমদানি করছে।
পণ্য আমদানি করার মত বৈদেশিক মুদ্রা অভাব নেই এই দেশে। ১ কোটি ১০ বা ২০ লাখ লোক দেশের বাইরে থাকে যারা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে থাকে। তবে আমদানি নির্ভর হওয়ার কারনে এই দেশে কল কারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না। ফলে মানুষ বেকার থাকছে এবং বিদেশে চলে যাচ্ছে।
যে পরিসংখ্যান আমি দিয়েছি সেগুলি বিভিন্ন পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা নিজেদের উদ্যোগেও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে থাকে। রিজারভ নিয়ে যে হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছিল সেটা আই এম এফ মানে নাই। তাই মিথ্যা পরিসংখ্যান দিয়ে বিশ্বকে বেশি দিন বোকা বানানো যায় না।
ভারত রপ্তানি করুক আর না করুক তাদের গড় অবস্থা আমাদের চেয়ে ভালো নয়। আমি বিভিন্ন পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে মাথাপিছু হিসাব দিয়েছি তাই জনসংখ্যা কোন সমস্যা না। এই ভাবেই দেশগুলির তথ্যের তুলনা করা হয়ে থাকে। ভারত আমাদের আগে স্বাধীন হয়েও বাংলাদেশের পিছনে। তবে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি করতে পারেনি। যা হয়েছে সেটা সাধারণ মানুষ করেছে মুলত। সথিক নেতৃত্ব পেলে দেশ আরও ভালো করতো।
আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মনজগতে ভারতীয়রা ভালো কর্মী। আসলে ব্যাপারটা তা না। আমাদের দেশে বহু দক্ষ সিইও আছে কিন্তু আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের লোকদের পছন্দ করে। আর যত লাখে লাখে ভারতীয় এই দেশে কাজ করে বলে শোনা যায় সেটা অতিরঞ্জিত। এত ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করে না। আই টি সেক্টর, গার্মেন্টস এবং বাইয়িং হাউজে কিছু ভারতীয় আছে। সেটাকেই বাড়িয়ে বলা হয়। ভারতের একটা শ্রেণী চাকরির আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো করছে এটা ঠিক। কিন্তু সেটা দিয়ে ভারতের আম জনতার সার্বিক আর্থিক অবস্থা বোঝা যায় না। তাদের লোক সংখ্যা বাংলাদেশের প্রায় ৮ গুন এটাও খেয়াল রাখতে হবে।
আমি পরিসংখ্যান দিলাম আর আপনি জেনেরিক কিছু কথা বললেন ভারতীয়দের মত।
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি একজন বাংলাদেশির মতো কথা বলেছি। পাকিস্তান ভারতের সাথে তুলনা করলে মানা যেত কিন্তু বাংলাদেশ কেন তুলনা করবে? আপনাকে হাসিনার ভুয়া উন্নয়ন ফ্লেক্সে পাইছে। বাংলাদেশের একজন প্রাইমারী শিক্ষকের বেতন ২০/২৫ হাজার আর ভারতের ৪০ হাজার প্লাস বেতন! আরো হাজারো তুলনা করা যায়। নিজেদের বাস্তব অবস্থা স্বীকার করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। রাজনীতিবিদ দের প্রোপাগাণ্ডায় পড়লে চলবে না।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তুলনা করার কোন দরকার নাই। ভারতীয়রা তুলনা করছে এবং বড় বড় কথা বলছে। ভারতের সাথে কেন তুলনা করা যাবে না সেটা আপনার কথায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। জনগণের ব্যক্তিগত পর্যায়ের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রে ভারত আর বাংলাদেশ একই পর্যায়ে আছে। বরং অনেক ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থা ভালো। যে কোন দেশের সাথেই আরেকটা দেশের তুলনা করা যায়। উপায়ও আছে। সেগুলি হল কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান। সেটাই বলার চেষ্টা করেছি। দেশ যা এগিয়েছে সেটা হাসিনার জন্য আগাই নাই। এগিয়েছে মানুষের চেষ্টার কারণে।
শুধু প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকের বেতন তুলনা করে আপনি পুরো অর্থনীতি বুঝতে চাচ্ছেন। এটাই সমস্যা। প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকরা সরকারী চাকরী করে। সরকারী চাকরীর বেতন দিয়ে দুইটা দেশকে তুলনা করা যায় না। কারণ সরকার চাইলে যে কোন সময় এটা বাড়াতে পারে। দেশের ১% থেকে ২% লোক সরকারী চাকরী করে। আপনি বাকিদের নিয়ে ভাবছেন না। তাদের নিয়ে ভাবলে সরকারী চাকুরেদের বেতনের কথা বলতেন না।
আমি যে পরিসংখ্যান দিলাম সেটার কোনটাই খণ্ডন করতে পাড়ছেন না। এই দেশের সাধারণ জনগণের অবস্থা ভারতের সাধারণ জনগণের মতই। বরং কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থা ভালো। ভারত বড় দেশ তাই তাদের সমস্যাও অনেক। তাদের মধ্যে জাতিগত সমস্যা, ধর্মীয় দাঙ্গা ইত্যাদি আছে। তাদের অনেক প্রত্যন্ত এলাকা আছে যেখানে উন্নয়ন পৌঁছান কঠিন। বাংলাদেশ ছোট দেশ তাই উন্নয়ন করা সহজ। ফলে স্বাধীনতার পরে ভারতের চেয়ে দ্রুত এগিয়েছে এবং ভারতের পর্যায়ে চলে গেছে।
৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৯
Ruhin বলেছেন: মিশর তো অনেক স্যাকুলার বাংলাদেশ থেকে
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কে কার চেয়ে বেশী সেকুলার এটা মাপা কঠিন। উভয় দেশের সমাজেই ধর্মের একটা বড় প্রভাব এখনও আছে। ইসলামের সাথে সাঙ্ঘরশিক কিছু বিষয় উভয় দেশেই অপরাধ হিসাবে দেখা হয়। আবার অনেক ইসলাম বিরোধী কাজ ঐ দেশের আইনে বৈধ।
৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ভারত আমাদের বন্ধু। বন্ধুর সাথে কোনো তুলনায় যাওয়া সঠিক কাজ নয়।
তাছাড়া আমাদের নিজেদের অবস্থা ভালো না। এই সময়ে আমাদের কোনো ক্যাচালে যাওয়া অথবা উসকানিমূলক কথা উচিৎ নয়।
শান্ত থাকুন। রেগে মেগে কাউলে শত্রু ভাবা সঠিক কাজ নয়।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার ওস্তাদ মনে হয় বলেছে যে ভারত আমাদের বন্ধু। নিজের থেকে কিছু বলার চেষ্টা করেন। সব কিছু ওস্তাদের কাছ থেকে ধার করবেন কেন।
৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বাংলাদেশের মেয়ে পাচার হয় ভারতে, নাকি ভারতীয় মেয়ে পাচার হয় বাংলাদেশে?
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি যতদূর জানি ভারতে মেয়ে পাচার হয় বিভিন্ন দেশ থেকে। বাংলাদেশ থেকেও হয়। কারণ নারী ব্যবসার বড় বাজার হল ভারত। নারী পাচারের ব্যবসার ক্ষেত্রে ভারতের কাছে আমরা নস্যি।
৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৭
কামাল১৮ বলেছেন: @ সৈয়দ,ভারতেও আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ লোক কাজ করে।তবে অবৈধ ভাবে।বড় বড় শহর গুলির বস্তিতে তারা থাকে।আমাদের গ্রামের আছে ২০/২৫ জন।বেশির ভাগ নারী।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই বিষয়ে তথ্য দেয়ার জন্য। আমার এই বিষয়ে তেমন ধারণা ছিল না।
৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪১
বিষাদ সময় বলেছেন: লেখাটা বেশ তখ্য বহুল। আপনার লেখাটি পড়ে কয়েকটি কথা মনে হলো সেগুলো নিচে পয়েন্ট আকারে দিলাম-
১) এই বাহাসটা মূলত চলছে আমাদের বাংলাদশের সাথে পশ্চিমবঙ্গের। দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতারা মোটামুটি মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। যে ছক তৈরী করার তারা গোপনে তা তৈরী করছেন।
২) ভারত নানা দিক দিয়ে খুব বৈচিত্রময়। সেখানের তাই রাজ্য ভেদে পরিসংখ্যান গুলোরও অনেক ভিন্নতা রয়েছে। সেখানে জাতিসত্ত্বা এবং ভৌগলিক ভিন্নতা থাকায় অনেক কিছু করা বেশ কঠিন।
৩) শেষ কখা হচ্ছে আপনি আন্তর্জাতিক মানের যে ডাটা গুলো দিলেন সেগুলো প্রায় সব ২০২১-২০২৩ এর ২০০৫-২০০৭ এর এই ডাটা গুলো একটু ঘেটে দেখুন প্রায় সব জায়গায় বর্তমানের এর চেয়ে ২০০৪-২০০৭ এর এই সূচক গুলোর অবস্থা অনেক খারাপ ছিল, অনেক সূচকে ভারতের চেয়ে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার, লুটেরা, ভারতের দালাল সরকার দেশ চালানোর পর যদি সূচকের এ রকম উলম্ফন ঘটে এবং ভারত কে পিছে ফেলে দেয়া যায় .........
১৫ বছর গুম, খুন চালিয়েও যদি দেশের মানুষ সুখি থাকে .........
সর্বোপরি ভারতের জনগন যদি বলে তোমরা কেউ ভাদা, কেউ পাদা আর আমরা দেশ প্রেমিক তাহলে .........
ধন্যবাদ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার প্রথম পয়েন্টেের সাথে একমত। এই বাহাস পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা বেশী চালাচ্ছে। দিল্লীর নেতারা নিশ্চয়ই কিছু করছেন কিন্তু সেটা এখন আমাদেরকে জানাবেন না। সময় গেলে বোঝা যাবে।
আপনার দ্বিতীয় পয়েন্টের সাথেও আমি একমত। বিশাল দেশ ভারত। বিভিন্ন জাতির মানুষ আছে সেখানে। ভৌগলিক কারণে সব এলাকায় সমানভাবে উন্নয়ন করা যায় না। তাছাড়া জাতিগত দাঙ্গা, ধর্মীয় উস্কানি এবং রাজনৈতিক জটিলতা আছে। এই কারণেই আমি মনে করি বাংলাদেশে সরকার চাইলে উন্নয়ন ঘটানো সহজ। কারণ জাতিগত এবং ধর্মীয় দ্বন্দ্ব খুব কম।
আপনার তৃতীয় পয়েন্টের ব্যাপারে বলতে চাই যে এই দেশের উন্নয়নের মূল ক্রেডিট দিতে হয় এই দেশের সাধারণ জনগণকে। আমাদের দেশের মূল ব্যবসা হল গার্মেন্টস, যার উপর নির্ভর করে অন্যান্য কিছু সেক্টর গড়ে উঠেছে। এই গার্মেন্টস ব্যবসার উন্নয়নের পিছনে শেখ হাসিনার তেমন কোন অবদান আপনি দেখবেন না। বরং গত ১৫ বছরে গার্মেন্টস ব্যবসার প্রবৃদ্ধি কম। ওষুধ কোম্পানিগুলি বেশ ভালো করছে। এটার পিছনে শেখ হাসিনার কোন অবদনা নাই। আইটিতে বাংলাদেশ কিছুটা ভালো করছে। এই সেক্টরে সরকারের কিছু ভুমিকা ছিল। বিদেশে ১ কোটি ২০ লাখ লোক থাকে। শেখ হাসিনা তাদেরকে বিদেশে পাঠায়নি। মানুষ নিরুপায় হয়ে গিয়েছে বা নিজের চেষ্টায় গিয়েছে। শেখ হাসিনা কিছু করে নাই এটা বলাও ঠিক হবে না। কৃষির উন্নয়নে কৃষি বিভাগের ভুমিকা ছিল। দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু ভাতার ব্যবস্থা তিনি করেছেন। রাস্তাঘাটের উন্নতির কারণে অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আমরা জানি যে ৯ টা ব্যাংক প্রায় পুরোপুরি লুট করা হয়েছে। ১৮ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির একটা বড় কারণ সড়ক পথে চাঁদাবাজি। এগুলি না ঘটলে এই ১৫ বছরে দেশ নিশ্চয়ই আরও এগিয়ে যেত। ৫৩ বছর আগে স্বাধীন হওয়া দেশ কাঙ্ক্ষিত উন্নতি করতে পারেনি। সিংগাপুর বাংলাদেশের ৪/৫ বছর আগে সম্ভবত স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু তারা এখন কোথায় আমরা জানি। বিশ্বের দুর্নীতিতে আমরা ভারতের চেয়েও এগিয়ে। গত ৫৩ বছরই কম বেশী লুটপাট হয়েছে। এই লুটপাট না হলে আমরা ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে যেতাম এটা বলা যায়।
আসলে দেশের সাধারণ মানুষ নিজের জীবিকার প্রয়োজনে আয় রোজগারের পথ তৈরি করে। সরকারের জন্য কেউ বসে থাকে না। কিন্তু অবশ্যই ভালো সরকারে থাকলে উন্নয়ন তরান্বিত হয়। সেটা আমাদের দেশে হয়নি। আমি যে তুলনা দিয়েছি সেটা ভিন্ন কারণে। কারণটা হল ভারতের মত দরিদ্র দেশ বাংলাদেশকে উপদেশ দেয়ার যোগ্যতা রাখে না। ভারত নিজেই হাজারো সমস্যায় জর্জরিত। এটা ভারতবাসীকে বুঝতে হবে। ওদের মিডিয়াগুলি অনৈতিকভাবে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এই কারণেই এই পোস্ট দেয়া।
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির গতি ভালোই ছিল। যে কারণে অনেক বিদেশী সংস্থা প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছে।
৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্ট লিখতে কত সময় লেগেছে?
অনেক কিছু জানা হলো।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনে হয় এই পোস্ট লিখতে দেড় ঘণ্টার মত লেগেছে। এই পোস্ট লিখতে গিয়ে আমিও কিছু নতুন তথ্য জেনেছি যেটা আগে জানা ছিল না। আশা করি ভালো আছেন।
১০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৫
জটিল ভাই বলেছেন:
অনেক তথ্যসমৃদ্ধ লিখা। আপনার মতো করে যদি সবাই তথ্য নিয়ে কাজ করতো, তবে অনেক অপব্যাখ্যার অবসান হতো।
জটিলবাদ প্রিয় ভাই ♥♥♥
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৫
মায়াস্পর্শ বলেছেন: আমি তামিল এবং কেরালার মানুষদের সাথে অফিস করছি। আমি একা বাংলাদেশি, বাকি সবাই তামিল এবং কেরালার। সকালের নাস্তা বলে যে একটা কিছু আছে তা এরা জানে না। সকালে এক কাপ দুধ চা খেয়ে এরা দুপুর দুটাই লাঞ্চ করে। আবার রাত ১০ টায় ডিনার। এর মাঝখানে আর কোনকিছু চোখে বা পেটে পড়েনা এদের। যেদিন অফিসিয়াল কোন ইভেন্টে খাবার থাকে সেদিন এরা হিংস্র নেকড়ের মত খায়। এতে বুঝলাম এরা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে নাস্তা বা বিকেলের স্ন্যাকস খায় না। আবার ফ্রী পেলে ছাড়ে না।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতীয়রা সম্ভবত বেশীর ভাগই অতি হিসাবী। হিসাব করতে গিয়ে অনেক সময় বাড়াবাড়ি করে ফেলে।
১২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:২১
তাবরিযি বলেছেন: ব্লুম এর একটা রিপোর্ট ২০২১ সালে বেশ সারা ফেলেছিল, জেনে থাকবেন। ওই রিপোর্ট থেকে জানা যায় এক ইন্ডিয়ার মধ্যে ৩টি ইন্ডিয়া আছে। রিপোর্টির ভিত্তিতে ইন্ডিয়ায় শহরগুলোকে tier হিসেবে ভাগ করার একটি ট্রেন্ড শুরু হয়। Tier-1 হলো সবচেয়ে ভাল। Tier যত বেশি শহর তত খারাপ। রিপোর্টি থেকে দেখা যায় অনলাইন ভিত্তিক ইন্ডিয়ার GDP এর প্রায় ৭০%ই আসে এই tier-1 শহর থেকে! অথচ এই tier-1 শহরে থাকে ইন্ডিয়ার শহর অঞ্চলে বাসকারীদের মাঝে মাত্র ৯-১২% মানুষ। দিল্লি, মুম্বাই, পুনে, হায়দ্রাবাদ, ব্যাংলড় ইত্যাদি। ইন্ডিয়ার প্রায় সব স্টার্টাপই এই শহরগুলো থেকে এসেছে এবং এখানেই ব্যাবসা করে। এই শহরগুলোর জীবনমানের পাল্লায় বাংলাদেশ হারবে। Tier-2 মূলত পর্যটন শহর। এগুলোয় স্থানীয়দের জীবনমান অতো ভাল না হলেও অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। Tier-1,2 বহির্ভূত শহর গুলোয় থাকে ইন্ডিয়ার অধিকাংশ মানুষ। তাদের তুলনায় বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের জীবনমান অনেক ভাল। ওই একই রিপর্টে দেখা যায় ভারতের জনসংখ্যার নির্দিষ্ট ১০% মানুষ GDP-এর ৫০% উৎপাদন করে।
এইসব হিসেবে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য কম।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকে ভারত সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। এগুলি আমার জানা ছিল না।
জিনি সূচক অনুযায়ী ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য কম। ওদের অনেক প্রত্যন্ত এলাকা আছে যেখানে উন্নয়ন পৌঁছান কঠিন। আমাদের দেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া এই ধরণের কোন প্রত্যন্ত এলাকা নাই বললেই চলে।
১৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬
রবিন_২০২০ বলেছেন: বেতন বৈষম্য ভয়াবহ। আউটসোর্সিং জায়ান্ট Cognizant একজন কম্পিউটার গ্রাজুয়েটকে শুরুতে বছরে ৩ হাজার ডলার (মাসে ২০ হাজার রুপি) বেতন দিচ্ছে। কিন্তু CEO পাচ্ছে ২৩ মিলিয়ন ডলার। বেতন Ratio অকল্পনীয়।
স্বাভাবিক ভাবেই একটা চাকরিতে জীবনযাপন অসম্ভব।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সিইও সব খেয়ে ফেললে বাকিরা ভাগে তেমন কিছুই পাওয়ার কথা না। ভারতে আয়ের বৈষম্য বাংলাদেশের চেয়ে বেশী।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভারতবাসী অথবা পশ্চিম বঙ্গ মূলত বেঁচে আছে বাংলাদেশের চাইতে অনেকখানি এগিয়ে আছে - মিডিয়ার কল্যাণে ওদের গলাবাজ সংবাদ মাধ্যম। ওরা সব যুদ্ধেই নাম্বার ওয়ান হিন্দি মুভিতে, আর সব খেলাতেই প্রতিপক্ষকে ধবল ধোলাই করে স্টার স্পোর্টস এ। সুতরাং আপনি এই সব তুলনা মূলক তত্ত্ব মত্ত না দেখাইয়ে বেশি বেশি হিন্দি মুভি দেখেন, আজতক এন্ডই টিভি দেখুন আর দেখবেন স্টার স্পোর্টস। তাহলে হয়ত চেতনা জাগ্রত হতে পারে
পরিশেষে আপনার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি -
ভারতবাসীদের প্রতি, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের দাদা দিদিদের প্রতি পরামর্শ রইল দয়া করে নিজের চরকায় তেল দেন। আর শেখ হাসিনাকে দেখে শুনে রাখিয়েন। উহা আপনাদের জন্য অমূল্য সম্পদ। আশা করা যায় উহার কারণে অচিরেই আপনাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতি সংঘটিত হইবে।