নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুদিন পর্যন্ত এই দেশের লোক জানতো যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মিথ্যা ছিল। জনগণের ধারণা ছিল শেখ সাহেবকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের শাসকরা এই মামলা সাজিয়ে ছিল। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে আওয়ামীলীগের লোকেরা এবং এই মামলার সাথে জড়িত অনেকে বলছেন যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সত্যি ছিল। ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় ঐ মামলার অন্যতম আসামী এবং সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বলেন যে ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সরকারের দায়ের করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগ শতভাগ সত্য ছিল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কথা উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী বলেন, ‘আমরা তখন রাজনৈতিক কারণে অনেক কথাই বলেছি। তবে পাকিস্তান আমাদের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যে অভিযোগ দায়ের করেছিল, তা শতভাগ ঠিক ছিল। আমাদের পরিকল্পনা শুরু হয় ১৯৬৪ সালে। ১৯৬৮ সালে আমরা ধরা পড়ি। পরিকল্পনা ছিল, একটি নির্দিষ্ট রাতের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাঙালি সৈন্যরা পূর্ব পাকিস্তানের সবগুলো সেনানিবাস দখল করে পাকিস্তানি সৈন্যদের অস্ত্র কেড়ে নেবে। এরপর মুজিব ভাইয়ের (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) নেতৃত্বে স্বাধীনতা ঘোষণা করব। '
ঐ সময় শেখ সাহেব একবার ভারতের আগরতলায় গিয়েছিলেন। এটা সত্যি। ১৯৬৪ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু ভারতের সাথে গোপনে ষড়যন্ত্র করেছেন বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য। অথচ তিনিই আবার ১৯৭০ সালে নির্বাচনে জিতে উভয় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন। ১৯৭১ সালে উনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে পাকিস্তান ভাংতেন? মনে হয় না। অর্থাৎ যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়াই ছিল তৎকালীন আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্য। একদিকে বাইরে বাইরে গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা আর গোপনে ভারতের সাহায্য নিয়ে দেশকে দুই ভাগ করার ইচ্ছা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ওনার কাছে তাজউদ্দিন আহমেদ গিয়েছিলেন যেন তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা টেপ রেকর্ডারে রেকর্ড করেন এবং ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন। কিন্তু বংগবন্ধু সেই প্রস্তাবে রাজী হননি। তিনি তাজউদ্দিন সাহেবকে বলেছিলেন যে বাসায় গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও ২৭ তারিখ হরতাল ডেকেছি। অর্থাৎ উনি ভেবেছিলেন যে ওনাকে গ্রেফতার করার পরে আর্মিরা দেশকে ঠাণ্ডা করে দিবে। পরিকল্পনা ছিল বঙ্গবন্ধু সহ আওয়ামীলীগের বড় নেতারা পালিয়ে ভারতে চলে যাবেন। কিন্তু ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না করে নিজে পাকিস্তানীদের হাতে ধরা দেন। আওয়ামীলীগ নেতাদের কোন দিক নির্দেশনা তিনি দিয়ে যাননি। যে কারণে তাজউদ্দিন আহমেদ সাহেব বাধ্য হন নিজস্ব উদ্যোগে ভারতের সাহায্য নেয়ার।
২৬ মার্চের পরে রাজনৈতিক দলের নেতারা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই সামরিক বাহিনীর কিছু বাঙ্গালী কর্মকর্তা সর্ব প্রথম ৪ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক করেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ বৈঠকেই দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টর ও ৩টি ব্রিগেডে। অস্ত্রের যোগান, আন্তর্জাতিক সমর্থনসহ গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এ সভায়।
১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানী, তৎকালীন মেজর সিআর দত্ত, মেজর জিয়াউর রহামন, কর্ণেল এমএ রব, রব্বানী, ক্যাপ্টেন নাসিম, আব্দুল মতিন, মেজর খালেদ মোশাররফ, কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী, ভারতের ব্রিগেডিয়ার শুভ্রমানিয়ম, এমপিএ মৌলানা আসাদ আলী, লেঃ সৈয়দ ইব্রাহীম, মেজর কেএম শফিউল্লাহ প্রমূখ।
জেনারেল এম জি ওসমানীর নেতৃত্বে নেয়া হয় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি। শপথ বাক্য পাঠ করানোর পর নিজের পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার শপথের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এম এ জি ওসমানী। ওই সভায় ১০ এপ্রিল দ্বিতীয় বৈঠক ও সরকার গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে সেক্টর বিভক্ত নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও এ মিটিং ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম মিটিং এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই কারও।
শেখ হাসিনার গত সাড়ে ১৫ বছর শাসন আমলে আওয়ামীলীগ গোপনে ভারতের ‘র’ এর নির্দেশনায় দেশ চালিয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে মানুষকে নির্যাতন করতো ‘র’ এর লোক। প্রায়ই হিন্দি কথা শুনতেন রিমান্ডে নেয়া আটককৃত ব্যক্তিরা। ইদানিং অনেক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ‘র’ এর ভুমিকার ব্যাপারে তথ্য দিয়েছেন। বিডিআর বিদ্রোহের সময়ে ভারতীয় লোক পিলখানায় হত্যা এবং নিপীড়নে জড়িত ছিল এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। একজন সামরিক অফিসারের স্ত্রী বলেছেন যে তিনি হিন্দি কথা বলতে শুনেছেন যখন তারা বন্দি ছিলেন। এই কথা তিনি যেন প্রকাশ না করেন সেটা বন্ধ করার জন্য তাকে কিছুদিন আগে আর্মি থেকে লোভ দেখানো হয়েছে যে আপনার ছেলেকে আইএসএসবিতে পাস করিয়ে দেয়া হবে। কিছু দিন আগে একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এই তথ্য জনসম্মুখে আনেন।
আওয়ামীলীগের অভ্যাস হল দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ে রাজনীতি করা। অতীতের উদাহরণ দিলাম। আর এখন ভারতে বসে করছে। জুলাই আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে শেখ হাসিনা ভারতের সাহায্য চেয়েছিলেন। অর্থাৎ আওয়ামীলীগের মূল লক্ষ্য হল ক্ষমতায় যাওয়া। সেটা দেশ বেঁচে হলেও।
সুত্র - প্রথম আলো
bssnews.net
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটাকে প্রতারণা বলে না। প্রতারণা গোপনে করে। আওয়ামীলীগ দিনে দুপুরে ঢাক ঢোল পিটিয়ে ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে। তবে কিছু কাজ তারা গোপনে করেছে। সেটাকে প্রতারণা বলা যেতে পারে। এখনও আওয়ামীলীগ প্রকাশ্যে ভারতের দ্বারস্থ হয়েছে যেন তাদের নেত্রীকে পুনরায় ভারত গদিতে বসিয়ে দেয়। ভারতে ধর্মীয় উগ্রবাদী শাসন চলছে অনেক বছর। এছাড়া হাসিনার কারণে তারা বাংলাদেশকে শোষণ করতে পেড়েছে। কট্টর আওয়ামীলীগার ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ কখনও উগ্রবাদী এবং শোষক ভারতকে সমর্থন করবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কতিপয় বিক্রি হওয়া জেনারেল ছাড়া একটা সদস্যও পাবেন না যারা ভারতের শোষণ এবং 'র' এর মাতব্বরি সমর্থন করে। সেনাবাহিনীর ৯৯% মুসলমান সদস্য ইসলামিক চেতনা ধারণ করে। এই কারণে সেনাবাহিনীতে বিএনপির জনপ্রিয়তা সব সময়ই বেশী। কারণ বিএনপি একটা ইসলামী লেবাস সর্বদা গায়ে দিয়ে রাখতে চায়। গত সাড়ে ১৫ বছরে হাসিনার কারণে কিছু পদস্খলন ঘটেছে চাকরীর প্রয়োজনে। তবে সেটা উপরের পদগুলিতেই সীমাবদ্ধ ছিল। আওয়ামীলীগের মধ্যে ইসলামী চেতনার চেয়ে হুজুর বিরোধী মনোভাব বেশী। ভারতকে খুশি করার জন্য তারা জঙ্গি গ্রেফতারের নাটক করেছে অনেকবার। আওয়ামীলীগের মূল শক্তি ছিল ভারত, কিছু কেনা জেনারেল, পুলিশ, প্রশাসন, হেলমেট পড়া ছাত্রলীগ আর গোয়েন্দা।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫২
রাকু হাসান বলেছেন:
সহমত । দারুণ লিখেছেন। আমার প্রশ্ন হলো আগরতলা মামলা সত্যি হলে ,সঠিক বললে কি হত? দোষটা কোথায়? এটা লুকানোর কি । সামান্য একটা বিষয় বলে মনে করি। যুদ্ধের সময় তা ষড়যন্ত্র বলে চালিয়ে দেওয়া সঠিক। এরপর কেন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন! বরং বলাই হ্যাঁ স্বাধীনতার জন্য সেখানে বৈঠক করেছে। পাকিদের কাছে ষড়যন্ত্র ,আমাদের কাছে এটা সুসংগঠিত সু পরিকল্পনা,যা মুক্তির সংগ্রামে ভূমিকা পালন করছে। যেমন মতিউর রহমান যতটা বাংলাদেশে সম্মানিত ততটাই পাকিস্থানে ঘৃণিত। স্বাভাবিক। এতটুকু বলারও সৎ সাহস নেই! ধন্যবাদ বিষয়টি তুলে আনার জন্য ,আপনি যথেষ্ট ভালো লিখেন। তর্ক করেন না,বির্তক করেন বরং । লিখুন প্রাণভরে ..... শুভকামনা । হোক আলোচনা -সমালোচনা ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ স্বাধীন করার মত কোন রাজনৈতিক ইস্যু ছিল না। ১৯৬৬ সালেও ৬ দফার বিষয়গুলি দেশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত ছিল না। ১৯৬৪ সালে এই দেশের সাধারণ মানুষ নিজেদের বঞ্চিত হিসাবে জানলেও পাকিস্তান ভেঙ্গে স্বাধীন হওয়ার প্রচেষ্টা তখনও জনমনে ছিল না। ৬ দফা মুলত ছিল স্বায়ত্ত শাসন সংক্রান্ত। তাই ১৯৬৪ সালে আওয়ামীলীগ যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র শুরু করে তখন এটা কোন প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না। প্রকাশ্য রাজনীতিতে থেকে গোপনে অন্য দেশের সাহায্য নিয়ে দেশ ভাঙ্গার পরিকল্পনা করা যায় না। এগুলি হল অপরাজনীতি। তখন কোন দল বা জনগণ স্বাধীনতা চাইলে উচিত ছিল সেটা প্রকাশ্য রাজনীতির মাধ্যমে করা। ৬ দফা সেই হিসাবে ঠিক থাকলেও আগরতলা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গোপনে ভারতের সাহায্য নিয়ে দেশ ভাঙ্গার পরিকল্পনা পরিষ্কার দেশদ্রোহিতা। প্রকৃতপক্ষে ১৯৭১ সালে মানুষ প্রথম সচেতনভাবে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে পৃথক হতে চায় পাকিস্তানের নির্বাচন সংক্রান্ত ঘাউরামির জন্য। তার ৭ বছর আগে ১৯৬৪ সালে গোপনে ভারতের সাহায্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করার চেষ্টা কোন রাজনীতির পর্যায়ে পড়ে না। এটা দেশদ্রোহিতার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
শেখ হাসিনা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে প্রকাশ্যে এবং গোপনে ভারতের প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ, বৈধ এবং অবৈধ সকল ধরণের সাহায্য নিয়েছে যেন ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকা যায়। এই কর্মকাণ্ড ষড়যন্ত্র এবং দেশদ্রোহিতা ছাড়া আর কিছু না। এখনও তারা আশা করছে ভারত যে কোন উপায়েই হোক তাদের পুনরায় ক্ষমতায় নিয়ে যাবে।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০৩
বিষাদ সময় বলেছেন: এ লেখার কতটুকু আপনার আর কতটুকু প্রথম আলোর ঠিক বুঝতে পারলাম না।
সত্য মিথ্যার মিশেলে এই লেখাটা নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে। তবে এতো দীর্ঘ আলোচনা মন্তব্যে করা সমীচীন না দেখে এ থেকে বিরত রইলাম। ধন্যবাদ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লেখাটায় আমার মতামত কম। তথ্য যা উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলি প্রথম আলো এবং আরেকটি সূত্র থেকে নেয়া।
যেহেতু আলোচনা করতে চাচ্ছেন না তাই আপনার উচিত না এই লেখাকে সত্যি এবং মিথ্যার মিশেল বলা। সেটা করতে হলে আলোচনা করতে হবে। কোন প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়া অভিযোগ করলে সেটা কেউ বিশ্বাস করবে না।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেখ মুজিব কোন সময়েই স্বাধীনতা চায় নাই। উনার মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া। কাজেই এই নতুন বয়ান বিশ্বাস করা কঠিন। বরং ভাসানী বহু আগেই বুঝতে পেরেছিলেন যে, আখেরে পাকিস্তানের সাথে থাকা সম্ভব না। উনার ইচ্ছা ছিল আলাদা হওয়ার। প্রথম আলোর এই নতুন বয়ান বিশ্বাস করা কঠিন। এরা খুব সূক্ষভাবে আওয়ামী লীগ তথা ভারতের দালালী করে।
আওয়ামী লীগ সব সময়েই প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে যে শেখ মুজিব ছিল স্বাধীনতার ঘোষক বা স্বপ্নদ্রষ্টা। বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় তাদের সেই চাওয়া পূরণ হওয়া আকাশ-কুসুম কল্পনা। তাই ইনডাইরেক্টলি সেটাকে প্রতিষ্ঠিত করতেই প্রথম আলো এই বিকল্প বয়ান সামনে এনেছে। খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হয় না।
আপনে কি এইটা বিশ্বাস করেন? আমি করি না। ইতিহাস বিকৃতি আওয়ামী ঘরানার সব সময়ের সংস্কৃতি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কর্নেল শওকত আলী ২০৫ পাতার একটা বই লিখেছেন এই বিষয়ে। বইয়ের নাম 'সত্য মামলা আগরতলা'। আমার ধারণা উনি মিথ্যা লেখেন নাই। বইয়ের লিঙ্ক দিলাম। https://fliphtml5.com/lzrut/puni/basic
এই মামলা সত্যি হলেও আওয়ামীলীগের বিপক্ষে যাবে আর মিথ্যা হলেও আওয়ামীলীগের বিপক্ষে যাবে। কারণ মামলা যদি সত্যি হয় সেই ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ ১৯৬৪ সাল থেকে ভারতের সাহায্য নিয়ে দেশ ভাঙ্গার গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। প্রকাশ্য রাজনীতি করে এই ধরণের দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড করা যায় না। এটা দেশদ্রোহিতা। ৬ দফা একটা ভালো রাজনৈতিক পদক্ষেপ হলেও এই গোপন ষড়যন্ত্র দেশদ্রোহিতা ছাড়া আর কিছু না। কারণ ১৯৬৪ সালে দেশ ভাঙ্গার কোন পরিকল্পনা কারো মধ্যেই ছিল না।
আর মামলা মিথ্যা হলে আওয়ামীলীগের বিপক্ষে যাবে। কারণ সেই ক্ষেত্রে তারা এখন মিথ্যা কথা বলছে। এটাও কাম্য না।
১৯৬৪ সালে গোপনে আরেক দেশের সাহায্য নিয়ে দেশ ভাঙ্গার পরিকল্পনাকে সমর্থন করা যায় না। কারণ ১৯৭১ সালের আগে মানুষ প্রকাশ্যে এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে কখনই পাকিস্তান থেকে আলাদা হতে চায়নি। ১৯৭১ সালে এই কাজ করলে সেটাকে মেনে নেয়া যেত। কারণ ততদিনে পাকিস্তান সীমালঙ্ঘন করে ফেলেছে।
শেখ সাহেব ১৯৬৩ সালে ত্রিপুরায় গোপনে গিয়েছিলেন এটার প্রমাণ পাওয়া যায় ত্রিপুরার সূত্র থেকে।
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তাইলে এইটা পড়েন,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জবানবন্দি.......... “ স্বাধীনতার- পূর্ব ভারতীয় ও বঙ্গীয় মুসলিমলীগের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে আার বিদ্যালয় জীবনের সূচনা হতে আমি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করেছি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার এ সংগ্রামে আমাকে আমার লেখাপড়া পর্যন্ত বিসর্জন দিতে হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর মুসলিমলীগ জনগনের আশা আকাঙ্খার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে, এর ফলে ১৯৪৯ সালে আমরা মরহুম জনাব হোসন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামিলীগ গঠন করি। আওয়ামিলীগ পূর্বেও ছিল এবং এখনও সেইরূপ একটি নিয়মতান্ত্রিকতার পথনুসারী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যমান। ১৯৬৬ সালের এপ্রিলে আমি যখন খুলনায়,একটি জনসভা করে ঢাকায় ফিরতেছিলাম,তখন তারা যশোরে আমার পথ অবরোধ করে এবং আপত্তিকর বক্তৃতা প্রদান এর অভিযোগে ঢাকা হতে প্রেরিত এক গ্রেফতারী পরোয়ানা বলে এইবারের মতো আমাকে গ্রেফতার করে।
কেবল মাত্র আমার উপর নির্যাতন চালাবার জন্য এবং আমার দলকে লাঞ্জিত অপমানিত ও আমাদেরকে কুখ্যাত করবার জঘন্য মনোবৃত্তি নিয়ে আমাকে এই তথাকথিত ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িত করা হয়েছে। আমি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামিলীগের সভাপতি। এটা একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশের অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক,ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যার একটি সুনির্দিষ্ট,সুসংগঠিত নীতি ও কর্মসূচী রয়েছে। আমি অনিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিকে আস্থাশীল নই। আমি কখনো পূর্ব পাক্স্তিানকে পশ্চিম পাকিস্তান হতে বিচ্ছিন্ন করবার জন্য কোন কিছু করি নাই কিংবা কোন দিনও এই উদ্দেশ্যে কোন স্থল, নৌ বা বিমান বাহিনীর কোন কর্মসূচির সংস্পর্শে কোন ষড়যন্ত্রমূলক কার্যে আত্ন নিয়োগ করিনি। আমি নির্দোষ এবং এ ব্যাপারে পরপিূর্নভাবে অজ্ঞ।”(সূত্রঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবুর রহমানের লিখিত বিবৃতি;বিচিন্তা,২৫ শে অক্টোবর,১৯৮৭)
এইসব নতুন খেলা খেলে কোন লাভ হবে না।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর এই লেখা আমি আগেও পড়েছি। উনি যদি স্বীকার করতেন তবে উনি সহ সবার ফাঁসির আদেশ হত। কারণ এটা দেশদ্রোহিতার মামলা। আপনি নীচের লিঙ্কে দেয়া লেখাটা পড়েন। এখানে পাবেন যে ত্রিপুরাতে ১৯৬৩ সালে বঙ্গবন্ধু গিয়েছিলেন এবং একদিন জেল খেটেছিলেন। পাকিস্তানের গোয়েন্দারা এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতে পারে।
https://www.bbc.com/bengali/news/2015/12/151217_mb_tripura_docu_film_1971
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:২২
অধীতি বলেছেন: সব সত্য এখন ধীরে ধীরে বের হয়ে আসতেছে। যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ভারতের সাহায্য চাওয়াটা আওয়ামীলীগের তাহলে মৌলিক নীতি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ব্যাপারে ২০১৪ সাল থেকে আওয়ামীলীগ এবং মামলার কয়েকজন অভিযুক্ত ব্যক্তি বলছেন যে এই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সত্যি ছিল। নীচের লিঙ্কে এই ব্যাপারে একটা বই পাবেন যেটা ২০১১ সালে লেখা। ২০৫ পৃষ্ঠার বইয়ে লেখক কর্নেল শওকত আলী দাবি করেছেন যে মামলার অভিযোগ সত্যি ছিল। তিনি এই মামলার একজন আসামী ছিলেন।
https://fliphtml5.com/lzrut/puni/basic
আওয়ামীলীগের দাবি ১৯৬৪ সাল থেকে তারা স্বাধীনতার ব্যাপারে ভারতের সাথে ষড়যন্ত্র করে এসেছে। রাজনীতি আর ষড়যন্ত্র এক না।
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সংক্ষেপে লেইখা কাম সারতে চাইছিলাম, আপনের জ্বালায় আর পারলাম না। যাই হোক এই মামলার ব্যাপারে আমার ভিউজ তুইলা ধরলাম। কেউ মানুক আর না মানুক, এইটাই আমার স্ট্যান্ড।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সত্যি ছিল, তবে এইটাতে বঙ্গবন্ধু সম্পৃক্ত ছিল না। এই ষড়যন্ত্রের (আমি এটাকে ষড়যন্ত্র বলি না বরং এটা ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার জন্য একটা বড় পদক্ষেপ) প্রাথমিক উদ্যোক্তা ছিল পাক সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালী সেনারা। তারা পাক সেনাবাহিনীতে বাঙ্গালীর নিয়োগ আর সুযোগ-সুবিধা নিয়া অসন্তুষ্ট ছিল। তারা জানতো, সেনাবাহিনীসহ সব ক্ষেত্রেই বাঙ্গালীরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছে, এবং হতেই থাকবে। পরে তারা রাজনৈতিক নেতাদেরকেও এতে সম্পৃক্ত করে তবে বঙ্গবন্ধুকে না জানিয়ে কারন তিনি পাকিস্তানের বিভক্তি না বরং আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন। তার পরিকল্পনা ছিল বড়জোর স্বায়্ত্ত্বশাসন। এটার সপক্ষে বহু দলিল আছে।
এই বিষয়টাকে আওয়ামী-মনারা স্বাধীনতার এতো বছর বাদে এইজন্য সামনে এনেছে কারন, দিনে দিনে জনমনে এই ধারনা পোক্ত হচ্ছে যে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায় নাই। তার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের ক্ষমতার মসনদ। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা আর তার ২৫শে মার্চ আত্মগোপনে যেতে না চাওয়াটার উপর পর্দা দেওয়ার জন্যও এটার প্রয়োজন ছিল।
ওই মামলায় দোষী প্রমানীত হলে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদন্ড না হলেও যাবজ্জীবন কারাদন্ড হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সত্যি কিন্তু আমার আগের মন্তব্যে দেয়া বঙ্গবন্ধুর জবানবন্দি তার মনের কথাই ছিল। আর ত্রিপুরাতে বিভিন্ন কারনেই উনি যেতে পারেন, গেলেই এটাতে তার সম্পৃক্ততা প্রমাণীত হয়ে যায় না।
আপনে এই ভিডিওটা দেখতে পারেন, view this link
তবে আপনের শিরোনাম ঠিক আছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মতে ষড়যন্ত্রটা সত্যিও হতে পারে। বঙ্গবন্ধু আগরতলাতে গিয়েছিলেন এমন প্রমাণও পাওয়া যায়।
ভারতীয় সাংবাদিক অশকা রায়নার লেখা একটা বইয়ের নাম হল ' ইনসাইড র'। এই বইয়ে লেখক বলেছেন যে ' আগরতলায় ১৯৬২-৬৩ সালে ভারতীয় এজেন্ট এবং মুজিবপন্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরবর্তী গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। ' লেখক এই বইয়ের ৬৩ পৃষ্ঠায় বলতে চেয়েছেন যে আগরতলাতে ভারতীয় এজেন্টদের সাথে মুজিবপন্থীদের বৈঠক হয়েছিল। নীচে বইয়ের লিঙ্ক দিলাম।
https://xeroxtree.com/pdf/inside_raw.pdf
এছাড়া প্রথম আলোতে প্রকাশিত এই সাক্ষাতকারটা পড়তে পারেন। প্রথম আলো এখানে আছে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ এবং নিউক্লিয়াস গঠনের কথা। মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন 'মুজিব ভাইকে সামনে রেখেই আমরা এটা শুরু করি। তিনিই আমাদের নেতা। এ ব্যাপারে তাঁকে আমরা কিছুটা জানিয়েছিলাম ১৯৬৬ সালে। ১৯৬৯ সালে তাঁকে ডিটেইল জানানো হয়। '
আরেক জায়গায় লিখেছেন 'পূর্ব বাংলা স্বাধীন করার ব্যাপারে শেখ মুজিবুর রহমান যে কত বেপরোয়া ছিলেন, তার আভাস পাওয়া যায় শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাষ্যে। '
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলছেন - মুজিব ভাই একটা লিফলেট ড্রাফট করেছেন ‘পূর্ববঙ্গ মুক্তি ফ্রন্ট’ নাম দিয়ে। সাইকেল চালিয়ে নিজেই প্রেসে গিয়ে ছেপেছেন। উনি আমাকে একটা সাইকেল প্রেজেন্ট করেছিলেন। আমাকে ডাকলেন। আমি ওই সাইকেল চালিয়েই গেলাম। উনি আমার হাতে এক বান্ডিল লিফলেট দিয়ে বললেন, ‘তোর বিশ্বস্ত লোক নিয়া এগুলি ডিস্ট্রিবিউট করবি।’ আরও লিখেছেন .... আমি পাঁচজনের একটা টিম করলাম। কে এম ওবায়দুর রহমান, সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক মণি, ফরিদপুরের আনিস আর আমি নিজে। রাত ১২টার পর বের হতাম। ধরা পড়লে স্ট্রেট ফাঁসি। কিন্তু নেতার নির্দেশে আমরা এটা করেছি। চাদর গায়ে দিয়ে সাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন এমবাসির গেটের সামনে ফেলে দিয়ে চলে আসতাম। এই সাক্ষাতকারে আরও আছে ;
শাহ মোয়াজ্জেমের কথায় বোঝা যায়, পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা নিয়ে শেখ মুজিবের নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনা ছিল। এ জন্য তিনি ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালান। এর একটি বিস্ময়কর বিবরণ পাওয়া যায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের তৎকালীন উপহাইকমিশনের পলিটিক্যাল অফিসার শশাঙ্ক শেখর ব্যানার্জির কাছ থেকে। ব্যানার্জি পুরান ঢাকায় চক্রবর্তী ভিলায় থাকতেন। পাশের বাড়িতেই ছিল ইত্তেফাক অফিস। ১৯৬২ সালের ২৪ মার্চ মাঝরাতে ইত্তেফাক সম্পাদক মানিক মিয়া একটি ছেলেকে পাঠিয়ে ব্যানার্জিকে ইত্তেফাক অফিসে ডেকে আনেন। মানিক মিয়ার সঙ্গে ছিলেন শেখ মুজিব। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তাঁরা কথা বলেন। ব্যানার্জি দেখলেন, একপর্যায়ে শেখ মুজিব ও মানিক মিয়ার কথাবার্তার ধরন বদলে গেল। তাঁরা কিছু একটা বলতে বা দেখাতে চাইছেন। ব্যানার্জি জানতে চান তাঁরা উঁচুপর্যায়ের কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো বার্তা পৌঁছাতে চাচ্ছেন কি না। মুজিব মুখ খুললেন। বললেন, এই বৈঠক ডাকার উদ্দেশ্য হলো, তাঁরা ব্যানার্জির মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা গোপনীয় চিঠি পাঠাতে চান। মুজিব চিঠিটা ব্যানার্জির হাতে দিলেন। তাঁর মধ্যে তাড়াহুড়ো ছিল। চিঠিটা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে ব্যক্তিগতভাবে সম্বোধন করে লেখা। ভূমিকার পর সরাসরি একটা কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। মুজিব বললেন, তিনি বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম পরিচালনা করবেন। মানিক মিয়া ইত্তেফাক-এ লেখনীর মাধ্যমে প্রচারকাজ চালাবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৬৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চের মধ্যে মুজিব লন্ডনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে প্রবাসী সরকার গঠন করবেন। চিঠির শেষ প্যারাগ্রাফে নৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন ও সাজসরঞ্জাম চেয়ে নেহরুকে অনুরোধ জানানো হয় এবং এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মুজিব গোপনে নেহরুর সঙ্গে দেখা করতে চান।*
চিঠি পাঠানো হলো। ভারত তখন চীনের সঙ্গে যুদ্ধে বিপর্যস্ত। দিল্লি থেকে খবর এল, মুজিবকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। মুজিব ভাবলেন, ঢাকায় ভারতীয় উপহাইকমিশনের আমলাদের কারণেই দেরি হচ্ছে। ধৈর্য হারিয়ে তিনি কৌশল পাল্টালেন। গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে আগরতলায় গেলেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিংহের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। আগরতলায় মুজিবকে রেখে শচীন সিং দিল্লি যান এবং নেহরুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন। চীনের সঙ্গে যুদ্ধের পর নেহরু আরেকটি ফ্রন্ট খুলতে চাননি। শচীন সিং আগরতলা ফিরে এসে মুজিবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁকে সাহায্য দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং তা ভারতের ঢাকা উপহাইকমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নেহরুর পরামর্শ ছিল, এরপর থেকে মুজিব যেন ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমেই যোগাযোগ করেন, আগরতলার মাধ্যমে নয়।**
শচীন সিংহের ভাষ্যে এবং অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, শেখ মুজিব আগরতলা গিয়েছিলেন ১৯৬৩ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে। তিনি সেখানে ছিলেন ১৫ দিন। তাঁর আগরতলা মিশন সম্বন্ধে দলের সহকর্মীরা এবং সরকারের গোয়েন্দারা ছিলেন সম্পূর্ণ অন্ধকারে।
৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ইতিহাস নিয়ে দড়ি টানাটানি বন্ধ হোক। রিসেট বাটন টিপে আগের সব ফালতু ইতিহাস মুছে দেয়ার কথা বলেছেন ডক্টর ইউনুস। ১৯৭১ সালে আমরা নিশৃংষ পাক বাহিনির হাত থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন হয়েছি। ভারত আমাদের এই স্বাধীনতা পেতে সাহায্য করেছে। এটাই সত্য ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর সব ইতিহাস লেখা আইন করে বন্ধ করে দেয়া উচিত। সবাই যে যার স্বার্থনুযায়ী ইতিহাস লেখার চেষ্টা করে এই দেশে। তাই বন্ধ হোক এই কালচার। বরং বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এই দেশের শাষকেরা কে কি করেছে সেটার চর্চা হোক। শেখ মুজিবের দূবৃত্তায়নের বাকশালী শাষনামল নিয়ে লেখা হোক। লেখা হোক জিয়া , এরশাদ , খালেদা জিয়া, হাসিনার শাষনামল নিয়ে।
২৯২৪ এর বিপ্লব সফলতা লাভ করবে না, যদি দিনশেষে এই দেশের জনগন বিজয়ী না হয়। বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের ১ দফা ( ফ্যসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈ্তিক বন্দোবস্ত) বাস্তবায়ন না হলে , বৃথা যাবে হাজারো তরুনের রক্ত দান। দুঃখজনকভাবে বৃথা যাবার সব আলামত দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। কাতারের আমীরের রাজকীয় বহরের বিমানে লন্ডন যাচ্ছে খালেদা জিয়া!! ১৬ জন সফরসঙ্গী যাচ্ছেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে!! একের পর এক মামলা থেকে অব্যহতি লাভ করছে তারেক রহমান!!
দেশ নিয়ে আমরা ইতিহাস কচলাই, বিভিন্ন রাজনৈ্তিক দলের হয়ে গলাবাজী করি । আর ঐদিকে শেখ ও জিয়া রাজ পরিবার বহাল তবিয়তেই টিকিয়ে রাখছে তাদের রাজতন্ত্র। দেশ নিয়ে আমি প্রচন্ড পরিমানে হতাশ এখন। ছাত্রদের মাঝে বিভেদ ধরাতে নানান ষঢ়যন্ত্র চলছে। দিন শেষে তারা পরাস্ত হবে বলেই মনে হচ্ছে রাজতন্ত্রের দলীয় লোকদের হাতে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই অভ্যুত্থানের দ্বারা কিছু পরিবর্তন আসবে বলে আশা করি। হয়তো সব কিছু আশানুরূপ হবে না। কিন্ত ফ্যাসিস্ট শাসন আশা করি আর ফিরে আসবে না। সনাতনী ধারার লুটপাট, হত্যার রাজনীতির ধীরে ধীরে অবসান ঘটবে বলে মনে করি।
৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: শেখ মুজিব থেকে শেখ পরিবারের সবই ষড়যন্ত্র এর ফসল। ওরা সবাই স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী এবং চোর।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ষড়যন্ত্র করা আওয়ামীলীগের পুরানো অভ্যাস। তাদের কাছে ক্ষমতায় যাওয়াটাই বড় কথা। প্রয়োজনে দেশ বিক্রি করে দিবে।
১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: নিজের মনের সব রাগ ক্ষোভ ঢেলে দিচ্ছেন। এটা ভালো। লেখালেখির এই এক সুবিধা।
কিন্তু আমি বলব সহজ ও সত্য পথে থাকুন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি তো সকাল বিকাল পথ বদলান।
১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬
বিষাদ সময় বলেছেন: আমার ইচ্ছা ছিলনা কষ্ট করে এই মন্তব্য লেখা কারণ যারা এই তত্ত্বে বিশ্বাস করেন তাদেরকে দিনের বেলার সূর্য দেখিয়ে যদি বলা হয় এটা সূর্য তাও তারা বিশ্বাস করবেন না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ মুজিব এবং আওয়ামীলীগ কে বিশ্বাস ঘাতক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা।
১) প্রথম আসি আপনার শিরোনাম প্রসঙ্গে। আওয়মীলীগ এর শাসন আমলের শেষ দিকে এ প্রবণতা ছিল। কিন্তু শেখ মুজিব তার শাসনামলে কি কোন বিদেশী প্রভুর সহযোগীতা চেয়েছিলেন? তার যদি ভারতের প্রতি বিশেষ প্রীতি থাকতো তবে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সাক্ষাতকারেরর শুরুেতেই বলতেন না আপনার সেনাবাহিনী বাংলাদেশ থেকে কবে ফেরত আনছেন? ভারতের অভ্যন্তরের অনেক বিরোধীতা সত্যেও তাদের দুজনের ভাল সম্পর্কের কারণেই এতো দ্রুত ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। নাহলে হয়তো আমাদের কে আজ কাশ্মীর এর ভাগ্য বরণ করতে হতো।
২) আওয়ামীলীগই কি শুধু বিদেশের সাথে ষড়যন্ত্র করেছে? স্বাধীন হওয়ার পরেই আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্গার কি বাংলাদেশ কে যেন স্বাধীন দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া না হয় তার জন্য দেশে দেশে ষড়যন্ত্র করে বোড়ায়নি? সেই তারাই আবার পরবর্তীতে এদেশে মন্ত্রী এমপি হয়েছে। তাছাড়া আমেরিকা, ইউরোপের দুতাবাস গুলোতে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ে হস্তক্ষেপ চাওয়া এবং তাদের সাথে বসে ষড়যন্ত্র করা এদেশের রাজনীতিবিদদের অত্যন্ত প্রিয় একটি কালচার।
৩) শেখ মুজিব স্বাধীনতা চাননি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের মন্ত্রীত্ব। শেখ মুজিব তো ৭ মার্চই কন্ডিশনাল স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে রেখেছিলেন। আমরা পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হতে চেয়েছি কেন? শোষণ, শাষন, বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্যই তো। না হলে শখ করে যে পাকিস্তান বানিয়েছিলাম তা ভাঙ্গার প্রয়োজনীয়তা তো ছিলনা। শেখ মুজিব যদি পুরো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেন
তাহলে শোষণ বঞ্ছনা এমনিতেই কমে আসতো আর প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি যদি এদেশে পাকিস্তানী সেনাদের সংখ্য কমিয়ে আনতে পারতেন তাহলে আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনতে হতো না। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে প্রয়োজনে স্বল্প রক্ত ক্ষয়েই আমরা স্বাধীন হতে পারতাম সে বিষয়টি তার মতো রাজনীতিবিদের মাথায় অবশ্যই ছিল।
৪) যারা বলেন শেখ মুজিব কেন পালাননি। তাদের জানা প্রয়োজন জীবনে তিনি ২৩ বছরে জেল খেটেছেন, যেদিন তাকে হত্যা করতে এদেশের তথাকথিত সূর্য সন্তানরা এসেছিল তখ্নও তিনি পালানোর চেষ্ট না করে তাদের সামনা সামনি ফেস করেছিলেন। তাকে নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকতে পারে কিন্তু তিনি ছিলেন নির্ভিক এবং বাংলাদেশেকে ভালবাসতেন এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। তাছাড়া যারা মনে করেন তিনি চাইলেই পালাতে পারতেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। ৭ মার্চের পর থেকে তিনি পাক্স্তািনীদের কি রকম গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন সেটা বুঝার জন্য খুব বেশি বুদ্ধিমান হতে হয়না। পাকিস্তানিরাও হয়তো চাইছিল যেন তিনি পালাতে গিয়ে ধরা পড়েন তাহলে বাঙ্গালীদের নেতা একজন ভীরু , কাপুরুষ এটা প্রমাণ করতে তাদের সুবিধা হতো ।
৪) আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ কি জনযুদ্ধ না সামরিক যুদ্ধ এটা নিয়ে শুরু থেকেই একটা বিতর্ক আছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এটাকে সামরিক যুদ্ধ বলে তাদের মন গড়া ইতিহাস বলেন আর সাধারণ মানুষ তাদের বীরত্বের কথা বলেন, এখানে একটা বিভাজিত অবস্থা আছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম আঘাত আসে পিলখানা, রাজারবাগে এবং সেখান থেকেই প্রথম প্রতিরোধ শুরু হয়। সেখানকার কর্মরত পুলিশ এবং ইপিআর সদস্যরাও নিজেরা মিলিত হয়ে এর জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন, সংগঠিত হওয়ার চেষ্ট করেছেন। তাছাড়া কাদের সিদ্দিকি সহ অনেক নেতা, মুক্তিযোদ্ধাও এ যুদ্ধকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম যারা দুঃসাহসিক কাজ করেছিলেন তারা হলেন ক্রাক প্লাটুন এর সদস্যরা যারা সবাই ছিলেন সিভিলিয়ান। তারপরও যে কোন ভাবেই হোক আমাদের সাধারণ মানুষের যুদ্ধের কৃতিত্বটা নিদিষ্ট কোন বাহিনী দখলে নিতে পেরেছেন এবং তাদের বয়ানই আমরা সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য মনে করি।
এখানে আরো অনেক কথা বলা যায়-কিন্তু ব্লগ সে ধরনের কথা বলার জন্য ততটা স্বাধীন প্লাটফর্ম না। ধন্যবাদ
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারতের সাথে ষড়যন্ত্র করেছিলেন ১৯৭১ সালের আগে। ক্ষমতায় যাওয়ার পরে অন্য দেশের সাহায্যকে জরুরী মনে করেননি, কারণ তখন ক্ষমতা পেয়ে গিয়েছেন। ইন্দিরা গান্ধীর কোন নিয়ত ছিল না বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে থাকার। তাই সেনা প্রত্যাহার করে নেন। ১৯৭২ সালে ক্ষমতা পাওয়ার পরে তিনি চাননি ভারত তাতে নাক গলাক। প্রকাশ্য রাজনীতির পাশাপাশি গোপনে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্য নেয়াকে রাজনীতি বলে না। এটাকে বলে দেশদ্রোহিতা। ১৯৬২-৬৩ সালে দেশ স্বাধীন বা পাকিস্তান ভাঙ্গা নিয়ে কোন প্রকাশ্য রাজনৈতিক ইস্যু ছিল না। কিন্তু আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতা গোপনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ রেখে সামরিক বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এগুলি দেশপ্রেম না বরং ষড়যন্ত্র। প্রকাশ্যে যারা রাজনীতি করে তারা এই ধরণের কাজ করতে পারে না।
আওয়ামীলীগ ভারতের সাথে ষড়যন্ত্র করেছে এটা স্বীকার করার জন্য ধন্যবাদ। অন্য কোন কুলাঙ্গার কী করলো সেটার সাথে আওয়ামীলীগের তুলনার কোন দরকার নাই। কিন্ত দুঃখজনক ঘটনা হল শেখ হাসিনা এই কুলাঙ্গারদের কাছে দোয়া চাইতে গিয়েছিলেন এক সময় এবং নিজের মেয়েকে রাজাকারের ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন।
শেখ মুজিব ২৫ মার্চ রাতে তাজউদ্দীন আহমেদকে বলেন যে বাসায় গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও। পরশু হরতাল ডেকেছি। উনি তখনও জাতিকে বা তার দলকে কোন দিক নির্দেশনা দেননি। উনি জানতেন আর্মি আক্রমণ করছে। কিন্তু কোন দিক নির্দেশনা উনি তার দলের নেতাদের দেননি। যে কারণে তাজউদ্দীন আহমেদকে উদ্যোগ নিতে হয় নতুন বাংলাদেশের সরকার গঠনের। সম্ভবত শেখ সাহেব কোন স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। যে ঘোষণার কথা শোনা যায় সেটার খসড়া করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ। সেটাই পরবর্তীতে প্রচার পায়। তাজউদ্দিন আহমেদের মেয়ের বইয়ে সেই রকম দাবি করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর লোকেরা ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি/ মার্চ মাসে তাকে কয়েকবার জানায় যে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রচুর সৈন্য পূর্ব পাকিস্তানে আসছে। এখনও যদি পূর্ব পাকিস্তানের সৈন্যরা বিদ্রোহ করে তাহলে কম রক্তপাতে দেশকে স্বাধীন করা যাবে। জবাবে শেখ সাহেব বলেন যে আমি আরেকটা ইয়াহিয়া খান চাই না। কর্নেল অলির কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। ওনার দেরির কারণে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়। আগে সিদ্ধান্ত দিলে অনেক কম রক্তপাতে দেশ স্বাধীন হত।
২৫ মার্চ রাতে শেখ সাহেব কোন দিক নির্দেশনা তার দলের কর্মীদের দেননি। তাজউদ্দীন আহমেদ সেই রাতে ওনার কাছে গিয়েও কোন দিক নির্দেশনা পাননি।
সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধ বলে। তারা কখনই বলে না যে যুদ্ধ শুধু সামরিক বাহিনী করেছে। অনেক সামরিক কর্মকর্তার লেখা থেকে সেটা জানা যায়। কিন্তু যুদ্ধ করার জন্য প্রথম বৈঠক হয় সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে। আমার পোস্টে সেটা বিস্তারিত ভাবে লেখা আছে। পিলখানা, রাজারবাগে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে তেমন কোন পাল্টা জবার দেয়ার খবর পাওয়া যায় না। সেখানে পুলিশ এবং ইপিআরদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। এটাকে প্রতিরোধ যুদ্ধ বলা যাবে না। তারা তখন সংগঠিত হওয়ার সুযোগও পায় নাই। সামরিক কর্মকর্তারাই প্রথম হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়ায় সমবেত হয়ে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নেন। কাদের সিদ্দিকি আরও পরে তার দল নিয়ে যুদ্ধে নামে। আমি কাদের সিদ্দিকির লেখা বই পড়েছি।
ক্র্যাক প্লাটুন গঠনের আগে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলি গঠিত হয়। ২ নং সেক্টরের খালেদ মোশাররফের অধীনে ছিল ক্র্যাক প্লাটুন। সেনাবাহিনী বা তার কোন কর্মকর্তা কখনও কোথাও বলেনি যে মুক্তিযুদ্ধ জনযুদ্ধ ছিল না।
১৯৭১ সালে আওয়ামী ছাত্র নেতাদের দ্বারা গঠিত মুজিব বাহিনী বামপন্থি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পর্যন্ত করেছে। মুজিব বাহিনী কোথায় কোথায় যুদ্ধ করেছে এটা নিয়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধারই কৌতূহল আছে। তারা আদৌ কতটুকু যুদ্ধ করেছে সেটা নিয়ে অনেক সন্দেহ আছে। ১৯৭১ সালে আওয়ামীলীগ বিরোধী কাউকে (বিশেষ করে বামপন্থি দলের সদস্য) মুক্তিবাহিনীতে নেয়া হত না। অনেকেই বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।
১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ষড়যন্ত্র করে অন্য দেশের সাহায্য নেয়া আওয়ামীলীগের পুরানো অভ্যাস অতএব বলা চলে আওয়ামীলীগ কোন কালেই দেশকে ভালোবাসেনি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আওয়ামীলীগ অন্য অনেক দলের মতই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে। শেখ হাসিনা রাজনীতিতে এসেছিলেন তারা বাবার হত্যার বদলা নিতে।
১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০২
নতুন বলেছেন: ষড়যন্ত্র করে অন্য দেশের সাহায্য নেয়া আওয়ামীলীগের পুরানো অভ্যাস
যদি আপনি মানেন যে বঙ্গবন্ধু ভারতের সাথে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তবে তিনি তো বাংলাদেশ স্বাধীন করতেই সেটা চেয়েছিলেন।
জামাতীদের এই ষড়যন্ত্র খারাপ লাগবে, কারন তিনি সাচ্চা পাকিস্তানী ছিলেনা তিনি গাদ্দার পাকিস্থানী ছিলেন।
১৯৭১ এ তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, পরে স্বায়ীত্বস্বাষন করতে পারলে এক সময় স্বাধীন বাংলাদেশ করা যেতো তাতে রক্তপাত হতো না। উনি সেই ভাবনা থেকে আলোচনা করতে চাইলে সেটাও ভালো ভাবনা।
২০২৪ এর মানুষ হত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে। আয়ামীলীগের বেশ কিছু নেতার ফাসি দিতে হবে।
কিন্তু বাংলাদেশ সৃস্টির পেছনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সবার সন্মান রাখা উচিত। উনি এমন খারাপ মানুষ ছিলেন না যে তাকে সপরিবারে হত্যা করতে হবে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৬২-৬৩ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন করা বা পাকিস্তান ভাঙ্গার মত কোন রাজনৈতিক ইস্যু ছিল না। পরবর্তীতে শেখ সাহেব স্বায়ত্তশাসনের উদ্দেশ্য ৬ দফা পেশ করেন। তাই ১৯৬২-৬৩ সালে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে দেখা করে বিদ্রোহ করার অভিলাষকে দেশপ্রেম বলা যাবে না। বরং এটা ছিল ষড়যন্ত্র।
দেশ ভাঙ্গার ইচ্ছা থাকলে ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ নির্বাচনে ভোট দিত না। ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি/ মার্চ মাসে জনগণ স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করতে থাকে। একটা দেশে প্রকাশ্য রাজনীতি করার পাশাপাশি গোপনে অন্য দেশের গোয়েন্দাদের সাথে আতাত করা যায় না। করলে সেটাকে দেশপ্রেম বলে না। ষড়যন্ত্র বলে। কোন বড় নেতা কখনও গোপনে অন্য দেশের সাহায্য চাবে না।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে সবাই বুঝে গিয়েছিল যে আলোচনা ব্যর্থ। তারপরেও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশা করা বুদ্ধিমানের কাজ ছিল না। সামরিক কর্মকর্তারা শেখ সাহেবকে অনেক বার বার্তা পাঠিয়েছেন ফেব্রুয়ারি/ মার্চ মাসে। তখন সিদ্ধান্ত দিলে অল্প রক্তপাতে দেশ স্বাধীন করা যেত। কিন্তু উনি কোন সিদ্ধান্ত দেননি এবং ২৫ মার্চ রাতে কোন দিক নির্দেশনা পর্যন্ত দেননি তাদের দলের নেতাদের উদ্দেশ্য। শুধু তাজউদ্দীন সাহেবকে বলেছেন যে বাসায় গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও। পরশু হরতাল ডেকেছি। অথচ তিনি বুঝতে পেড়েছিলেন যে তাকে আজকে রাতে গ্রেফতার করা হবে। বেগম মুজিব ওনার জামাকাপড় সুটকেসে গুছাচ্ছিলেন। উনি হয়তো ভেবেছিলেন তাকে আর্মি ধরে নিয়ে যাবে এবং আর্মি ২/৪ দিনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিবে। রাজারবাগ এবং পিলখানায় যখন হত্যা শুরু হয় তখনও তিনি ধানমণ্ডির বাসাতে ছিলেন কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত তিনি দেননি।
১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: শেখ মুজিব যদি তখন ভারতে গিয়ে দেশকে পাকিস্তান থেকে আলাদা করার পরিকল্পনা করে তাহলে এটা কি আমাদের দেশের জন্য ভাল নাকি খারাপ? আপনার মতে?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৬২ সালে পাকিস্তান ভাঙ্গার কোন ইস্যু ছিল। একই সাথে কেউ প্রকাশ্য রাজনীতি করবে আবার গোপনে আরেক দেশের গোয়েন্দাদের সাথে যোগাযোগ রাখবে এটা মেনে নেয়া যায় না.। ১৯৭০ সালে এই দেশের জনগণ পর্যন্ত চাইত যে দুই পাকিস্তান এক থাক। কিন্তু ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং ভুটটো সাহেবের কারণে পরিস্থিতি বদলে যায়।
১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: একই সাথে কেউ প্রকাশ্য রাজনীতি করবে আবার গোপনে আরেক দেশের গোয়েন্দাদের সাথে যোগাযোগ রাখবে এটা মেনে নেয়া যায় না।
কেন মেনে নেওয়া যাবে না?
একটা হচ্ছে রাজনৈতিক সমাধান আর আরেক বৈপ্লবিক সমাধান। একজন রাজনৈতিকের দুই দিকেই চিন্তা করতে হয়। সে রাজনৈতিক ভাবেই সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে । তার পর যখন আর পথ খোলা থাকবে না তখন যাবে যুদ্ধের দিকে। শেখ মুজিব যদি সম্ভাব্য সব পথ বিবেচনা করেন তাহলে সেটা খারাপ কিছু আমি দেখি না। অন্তত যারা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা খারাপ কিছু ছিল না। তবে হ্যা যারা পাকি প্রেমি তাদের জন্য ব্যাপার খারাপই বটে।
আর ৬২ কেন, একেবারে শুরু থেকেই পাকিস্তানি শাসকদের এই দেশের প্রতি বৈষম্যমূলক মনভাব ছিল। ১৫ বছর কি যথেষ্ঠ সময় না এটা বোঝার জন্য যে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী আমাদের শোষন করেই যাবে?
আর ৭১ এর যদি পাকি সেনা হামলা নাও করতো তারপরেও বাংলাদেশ ঠিকই পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যেতই।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বলছেন যে একজন রাজনৈতিকের দুই দিকেই চিন্তা করতে হবে। কিন্তু আপনার কথার বিপরীত বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আগরতলা মামলার জবানবন্দীতে বঙ্গবন্ধু বলেন যে 'আমি অনিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে কখনও বিশ্বাস করি না। আমি দেশের উভয় অংশের প্রতি ন্যায় বিচার চাহিয়াছিলাম এবং ৬ দফা কর্মসূচীতে উহা সন্নিবিশিত রহিয়াছে। দেশের জন্য আমি যা ভালো মনে করি সর্বদাই তা নিয়মতান্ত্রিক সীমারেখার মধ্যে প্রকাশ্যে প্রকাশ করি। '
উনি কি তাহলে মিথ্যা বলেছিলেন।
আসলে উনি একটা আদর্শবাদী কথা বলেছিলেন। কিন্তু উনি নিজেই সেটা মানেননি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে।