![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইন্টারনেট মানেই হচ্ছে সবার জন্য সংরক্ষিত
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব প্রবীণ আলেম মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের আইসিউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার পায়ে অপারেশনের পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত শনিবার তাকে কারাগার থেকে এনে বারডেমে ভর্তি করা হয়। পায়ে পচন ধরায় তাকে চিকিত্সার জন্য বারডেমে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর তার জন্য ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। কয়েক দিনের মাথায় পায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাওয়ায় অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতকাল অপারেশন করেন চিকিত্সকরা। কিন্তু বিকালের দিকে তার কিডনি ফেল করে। এ সময় তাকে ডায়লাইসিস দেয়া হয়।
পুলিশ ও হাসপাতালের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, বাবুনগরীর কোমর থেকে পা পর্যন্ত কালো দাগ ও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। রিমান্ডে তার ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করায় এসব ক্ষতচিহ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হেফাজত নেতারা। পুলিশ পাহারায় চিকিত্সাধীন বাবুনগরীর কক্ষের সামনে দুটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিত্সকরা তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন দেখতে পান। তার ব্লাডসুগার রয়েছে ২৭-এ। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। উন্নত চিকিত্সার জন্য তার মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তার চিকিত্সা চলছে। দুই একদিনের মধ্যে তার বাঁ-পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে।
বারডেম হাসপাতালে ভর্তির পর তার কক্ষের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও তার কক্ষে কারা যাতায়াত করে তার ওপরও লক্ষ্য রাখছে পুলিশ। বিশেষ নিরাপত্তার জন্য বাবুনগরীর ৬০১ নম্বর কক্ষের সামনে গত রোববার দুটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
বারডেম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহীদুল হক মল্লিক জানান, বাবুনগরীর উন্নত চিকিত্সার ব্যাপারে চিকিত্সকরা গত রোববার মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে। তার বাম পায়ে ফোলা স্থানে অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, কক্ষের সামনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের পর হাসপাতালের কর্মচারীদেরও সতর্কভাবে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে তার কক্ষে নির্দিষ্ট চিকিত্সক এবং পুলিশ সদস্য ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করে না।
পুলিশ দাবি করেছে, ১৩ দিনের রিমান্ড শেষে গত ২১ মে আদালতে হাজির করা হলে বাবুনগরী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তবে হেফাজতে ইসলামের একটি সূত্র জানায়, মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করতে চাপ প্রয়োগ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মাওলানা বাবুনগরী স্বেচ্ছায় কোনো জবানবন্দি দেননি। এ অবস্থায় পুলিশ সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে তাতে মনগড়া কথা বসিয়ে তা জবানবন্দি হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে।
গত ৬ মে রাতে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ৭ মে তাকে ৯ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এরপর আবারও গত ১৬ মে মতিঝিল থানায় দায়ের করা তিন মামলায় বাবুনগরীর আরও ২২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
৩ মামলায় জামিন পেলেন জুনায়েদ বাবুনগরী
অসুস্থতার কারণে তিনটি মামলায় জামিন পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী।
আজ দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান এ জামিন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ হত্যা, গাড়ি ভাংচুরসহ কয়েকটি অভিযোগে দায়ের করা ৪ মামলার মধ্যে মতিঝিল থানার ৩ মামলায় জামিন পেলেন তিনি।
বাবুনগরী বর্তমানে কারা হেফাজতে বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।
আমার দেশ
©somewhere in net ltd.