![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে চলিত কিছু অদ্ভুত আইন আছে। সিরিজ ওয়াইজ সেই অদ্ভুত আইনগুলোর ক্রিটিসাইজ করবো।
আজকে পর্ব ১
বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ে ছোট হতে হবেঃ
এই আইনটা কবে থেকে চালু হয়েছে তার কোনও হিসাব খুজে পেলাম না। ইভেন এটা কোথায় লেখা আছে সেটাও পেলাম না। ইভেন ক্যানো এটা মানতে হবে তার কোনও যুক্তিগত ভিত্তিও নাই। আছে কিছু খোড়া যুক্তি।
বাঙালি সর্বদায় যৌনকাতর জাতি। তাদের কাছে যৌনতা মৌলিক চাহিদা, কিন্তু যৌনতা যে জৈবিক চাহিদা তা তারা মানতে নারাজ।
এই যৌনকাতর হওয়ার জন্য সমাজের মাথারা যুগ যুগ ধরে একটা অবাস্তব আইন আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে আর আমরা সেটা ফলো করে যাচ্ছি, যে বা যারা করতে পারছে না তারা সমাজের থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে।
যৌন সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য কে বা কাহারা বলেছিলো বৌ যত "কচি", ততই আরাম। ব্যাস বাঙালি সেইটার পিছনে হাটা শুরু করলো।
হ্যা মেয়েদের ৩০ এর আগে বাচ্চা নেওয়ার জন্য মেডিকেল সাইন্স বলেছে। সেটা হতেই পারে, ৩০ এর আগে একটা বাচ্চা নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু বিয়ের জন্য মেয়েকেই ক্যানো ছোট হতে হবে সেইটা আমার কাছে এখনো ক্লিয়ার না।
আচ্ছা আমি সাধারন বাঙালির সাথেই গেলাম। যৌনতায় মূখ্য মানলাম। তাহলে আমি যদি দিন রাতের ২৪ ঘন্টাকে যৌনতার সাথে কম্পেয়ার করি তাহলে একটা কাপল সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা যৌনতা নিয়ে কাটাতে পারে, তাহলে বাকি রইলো ২৩ ঘন্টা। এই ২৩ ঘন্টা যদি একজনকে না ভালোবাসে, শুধু ঐ ১ ঘন্টাই বাসে তাহলে কি সংসার হইলো? হইলো না।
তারপর বলছে বৃদ্ধ জীবনে নিরাপত্তা। বৃদ্ধ জীবনে বৌ এর মূখাপেক্ষি ক্যানো হতে হবে? প্রত্যেকটা মানুষের নিজস্ব জীবন আছে। আচ্ছা আমার বৌ ও তো বৃদ্ধা হবে, তার নিরাপত্তা কে দিবে? আমি যদি সেইটাই ভাবি? উত্তর নাই।
তারপর বলা হয় ছেলেদের থেকে মেয়েরা ম্যাচিউর্ড আগে হয়। এটা একেবারে ডাহা মিথ্যা কথা। আমার জীবনে ২ জন প্রাক্তন ছিলো, ২জনই আমার সিনিয়র। আমি যতটুকু ম্যাচিউর্ড তার ছিটে ফোটাও তাদের মাঝে দেখি নাই।
ছেলেদের থেকে মেয়েদের আগে বয়সের ছাপ আসে বলা হয়। কিন্তু আমার কথা এটা আসলেই বা কি? আমার ৫০ বছর বয়সে আমার বৌকে ইয়ং দেখাতেই বা ক্যানো হবে? উত্তর খুজে পাই নাই।
সো মোটামুটি এই কয়টা চলিত কারন পেয়েছি যে মেয়েকে ছোট হতেই হবে। কিন্তু এগুলার যুক্তিগত ভিত্তি কোথাও খুজে পাই নাই।
এবার বলি আমাদের ইসলাম ধর্মের কথা। বাঙালি তো নিজদেরকে ৯০% মুসলিমের দেশ হিসাবে গর্ব করে। আমরা তো হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর উম্মত, কিন্তু তার দিকে একটু তাকাই তো? থাক আমি আর কিছু বললাম না। সবাই লজ্জা পেয়ে যাবে।
সো ভাই এই অলিখিত কোনও নিয়ম নীতির আগে যুক্তিগত ভিত্তি খুজেন। মানুষ করে তাই আমাকেও করতে হবে এমন কোনও কথা নাই। তাহলে নিজেকে অশিক্ষিত প্রমান করলেন বৈ আর কিছুই না।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল আমি একটা বই পড়লাম। সমরেশ মজুমদারের। বইয়ের নাম- বাঙ্গালীর নষ্টামি।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সাদ০০৭ বলেছেন: আসলে এটা হয়তো আমার ব্যর্থতা যে লেখাটার মাঝে এর অর্থটা পুরোপুরি বুঝাতে পারি নাই। তবে আমার লেখাটার সারমর্ম হচ্ছে ভালোবাসা যেনো কখনো বয়সের সংখ্যার কাছে পরাজিত না হয়। আর ইচড়ে পাঁকা যাকে বলছেন সেই আমার বয়সও কিন্তু নেহাত কম না। ৩০ ছুইছুই। তবে নিজেকে কখনোই পূর্ণবিকশিত বলতে চাই না। কারন বিকশিত হওয়ার কোনও বয়স থাকে না। যাজ্ঞে আমার লেখার মূল সারমর্ম এটাই যে "একটা মেয়ে তার থেকে ছোট কাউকে ভালোবাসতে পারবে না, সমাজের এই নিয়মের পরিবর্তন হওয়া দরকার। কারন এই নিয়মের কোনও যুক্তিগত ভিত্তি নাই। ভালোবাসার কোনও বয়স দিয়ে বিচার করা যেনো না হয়। এই যা।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সাদ০০৭ বলেছেন: বাঙালির অনেক নষ্টামি আছে যা তারা যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই কেমনে কি ?কি বুঝাতে কি লিখলেন ,বিষয়টা পরিষ্কার না।
আর আপনে কি পূর্ণবিকশিত ,না অপরিণত তা বুঝতে পারছিনা। তবে আপনি ইচড়ে পাকা এটা নিশ্চিত।
কারন বয়সে ছোট হয়েও বড় দুইজনকে প্রাক্তন করে ফেলেছেন "আপনি গর্বিত বোধ করতে পারেন" তার জন্য।
লক্ষ্য কি? ডজন,হাফ সেঞ্চুরি না সেঞ্চুরি ?