নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আইন বেঁচে খাই

সাদ০০৭

পাকিস্তানকে ফাকিস্তান মনে করি এটাই নিজের সম্পর্কে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছি

সাদ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে চলিত কিছু অদ্ভুত আইনঃ পর্ব ২

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

আজকে এমন একটা আইনের কথা বলবো যেটা কেউ যদি ভঙ্গ করে তাহলে পাশের আর ১০ জন মানুষ শুনে নাক শিটকায়। যেনো উক্ত ব্যক্তিটা কি এক অপরাধ করে ফেলেছে। কিন্তু আসলেই সেটা অপরাধ কি না তার কোনও যুক্তিগত ভিত্তি দেখাতে পারবে না।

এই বঙ্গদেশে অলিখিত একটা রীতি আছে যে, কোনও অবিবাহিত ছেলে কোনও তালাকপ্রাপ্ত মেয়েকে বিয়ে করলে সে অলিখিত ভাবে সে এক প্রকার সমাজের বাইরেই চলে যায়। চলে যাই না, পাঠিয়ে দেই আমরা।

কারন আমরা ধরেই নেই মেয়েটার তালাক হয়েছে মানে অবশ্যই ঐ মেয়েটার সমস্যা আছে। মেয়েদের সমস্যা যে নাই সেটাও বলবো না, আছে কিন্তু ঐ স্পেসিফিক মেয়ের সাথে সমস্যাটা কি হয়েছিলো আমরা না জেনেই এক বাক্যে বলে দেই, "ওর তো স্বামী তালাক দিছে। ঐ মেয়ে ভালো না"

প্রফেশনালি এ পর্যন্ত ৩২ টা ডিভোর্স কেস হ্যান্ডেল করেছি। এর মধ্যে সব থেকে বেশি এসেছে নারী কতৃক ডিভোর্স। এটা ক্যানো? কারন পুরুষের অত্যাচারে একটা মেয়ে স্যাক্রিফাইস করতে করতে আর যখন করার যায়গা থাকে না তখন সে ডিভোর্সের ডিসিশন নেই।

হ্যা আমি বলছি না নারীদের মধ্যেও সমস্যা নাই। নারীদের মধ্যেও অনেক সমস্যা আছে কিন্তু কথা হচ্ছে একটা সংসার না টিকলে ডিভোর্স করাটাই বেটার, ডিভোর্স করে সেই ছেলে বা মেয়ের রাইটস আছে আরেক যায়গাতে বিয়ে করা কিন্তু

একটা ডিভোর্সড ছেলে আরেকটা অবিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করলে এই কথা আসে না। কিন্তু একটা ডিভোর্সড মেয়ে যদি একটা অবিবাহিত ছেলেকে বিয়ে করে বলা হয় সেই ছেলে না কি মেরুদন্ডহীন। কিন্তু ক্যানো? এর কোনও যুক্তিগত ভিত্তি এখন পর্যন্ত পাই নাই।

এবার একটু অন্যভাবে দেখি, যখন কোনও মেয়ে বিয়ে করতে যায়, তখন অপরপক্ষ সেই মেয়ের আগে বিয়ে হইছিলো কি না সেটা খোজ নেই, অথচ মেয়েটা যদি আর প্রাক্তন বফের সাথে রুম ডেটে যেয়েও থাকে সেটা আমাদের কাছে ম্যাটার করে না।

বাহ বাঙালি বাহ, কোনও মেয়ে যদি ৫ জনের সাথে রুম ডেট করে আসে থাকে তাকে তুমি মেনে নিচ্ছো, আর কোনও তালাকপ্রাপ্তাকে মানতে পারছো না।

আচ্ছা ঐসব যাক, এবার একটু আমাদের ইসলামের দিকে তাকায়। বাঙালি তো মুসলিম হিসাবে নিজেদের অনেক বড়াই করে।

ইসলাম বলতেছে সকল তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে তালাক পাওয়ার দিন থেকে পরবর্তি ৯০ দিন পর সে চাইলে ইসলামে যাদেরকে বিয়ের করার অনুমতি আছে তাদের মধ্যে যে কাউকেই সে বিয়ে করতে পারে। ইভেন অবিবাহিত কোনও ছেলে ডিভোর্সড কোনও মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না এমন বিধানও ইসলামে নাই।

তাহলে এই বিধান বাঙালি পেলো কোথা থেকে?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

একাল-সেকাল বলেছেন: বিজ্ঞান মনস্ক নাস্তিকরা অথবা ননমুসলিম ( হিন্দু ) রা এর ভাল জবাব দিতে পারবে বলেই আমার ধারনা।
যেখানে ইসলাম ডিভোর্সড মেয়েকে সামাজিক মর্যাদা দিতে চায়, সেখানে তারা তাকে পাবলিক প্রোপার্টি হিসেবে দেখতে আগ্রহী।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: একবার চিন্তা করুন তো, একজন পচিশ বয়সি যুবক চল্লিশ বছরের একজন বিধবা নারীকে বিবাহ করছেন। এ সমাজে তার অবস্থান কোথায়! সমস্যা হচ্ছে, তার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে ধর্মের ফ্লেভার মিশিয়ে দেয়া হবে।

এদেশের মুসলমানরা আমাদের নবী মুহাম্মদ দঃ এর চেয়েও বড় মুসলমান।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

সাদ০০৭ বলেছেন: লাস্ট কথাটাই হচ্ছে বাস্তব সত্য।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯

একাল-সেকাল বলেছেন: খাদিজা (র;) এর বয়স নবী মোহাম্মদ (সা;) এর বয়সের পার্থক্য জানলে ধর্মীয় ফ্লেভার-ই পারে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: দেশে শিক্ষতের হার বাড়ছে, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে নির্বোধের সংখ্যাও বাড়ছে।

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এসব আইন নয়, অপসংস্কৃতি !

৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আগ্রহ নিয়েই পোস্টটা পড়লাম, কিন্তু এ পোস্টে কোন অদ্ভুত আইনটা নিয়ে আলোচনা করেছেন, ধরতে পারি নি। আইনের ধারাটি সহ ব্যাখ্যা করলে ক্লিয়ার হতো।

আপনার একটা কথার সাথে একমত নই। পাত্রী দেখতে গেলে পাত্রীর আগে বিয়ে হয়েছিল কিনা সেটা খোঁজ নেয়া হয়। খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেলো তার আগে বিয়ে হয় নি ঠিকই, কিন্তু সে ব্যাভিচারিণী, বা ছেলেদের সাথে অবৈধ মেলামেশার রেকর্ড আছে, তাহলে সেই মেয়ের বিয়ে দেয়াই তো অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিয়ে আগে বিয়ে ও ডিভোর্সড একটা বৈধ পন্থা, ব্যাভিচার অবৈধ ও অন্যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.