![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশের বিশালতায় সাদা মেঘে উড়ে চলে যায় মন এখান থেকে ওখানে, হয়তো কোন একদিন বৃষ্টি হয়ে ঝরবে কোথাও, তারপর..... আবারও বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে সেই সাদা মেঘেরই সাথে.... প্রয়োজনে খুঁজে নিও আমায়, আকাশের বিশালতায় সাদা ঐ মেঘেরই মাঝে.....
শীত দরজার কড়া নাড়ছে জোরে জোরে। ইতোমধ্যে দখিনা হাওয়া বন্ধ হয়ে উত্তরের হিম শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছে। দিনের সূর্যতাপ ইদানীং আর আগের মত পীড়া দেয় না। আর দুপুর গড়িয়ে কোন রকম বিকলে হলেই ঝুপ করে অন্ধকার নেমে যায় চারদিক থেকে।
হ্যাঁ শীত একেবারেই দরজার বাইরে দাড়িয়ে আছে।
পুরাতন কাঁথা আছে, কিন্তু এইবার শীতের তীব্রতা মনে হয় আমার এই কাঁথাকেও সহ্য করবে না। এখুনি রীতিমতো কাঁথা হাঁপিয়ে উঠে আমাকে উষ্ণ রাখতে গিয়ে।
একটু বাইরে গিয়েছিলেম বিকেলের দিকে একটা কাজে। ফেরার পথে মোড়ের চা'য়ের স্টল থেকে এক কাপ চা খাওয়ার লোভে পেয়ে বসলো। আর তাই গিয়ে সিদ্দিক মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। শীতের আগমন আর হরতালের উত্তাপ মনে হয় বেচারার ব্যবসাকে একটু মিইয়ে দিয়েছে। আর তাই সে অন্য যেকোনো সন্ধ্যায় ব্যস্ততার এই সময়টাকে আজ টিভি দেখে পার করছে। আমি গিয়ে দাড়াতেই জিজ্ঞাস করলো
- কেমন আছেন? আজ এই সময়? কোন কাজে গিয়েছিলেন নাকি?
- হ্যাঁ, একটু বেরুতে হয়েছিল। কিন্তু হরতালের কারণে কাজটা আজ আর হলো না। তাই চলে এলাম দ্রুতই।
- বসেন, কি দিবো আপনাকে?
- আপাতত এক কাপ চা দিও।
সিদ্দিক মিয়া ধীরে সুস্থে চা বানাতে শুরু করলো। চা প্রস্তুত করাটাও একটা আর্ট। কাপ ধোয়া, তাতে চিনি আর কনডেস্ট মিল্ক দেয়া, ছাঁকুনি বসিয়ে তাতে কিছু আলাদা চা'পাতা দেয়া আর সব শেষে কেতলি থেকে গরম পানি ঐ ছাকনিতে ফেলা। ব্যাপারটা ঠিক এইভাবে মনোযোগ নিয়ে দেখিনি। আসলে সবসময় এত ব্যস্ততা থাকে যে, এইসব দেখার সময় কই থাকে হাতে?
সিদ্দিক মিয়া চা বানানো শেষ করে কাপটা এগিয়ে দিলো। আমি একটু আরাম করেই চা খাচ্ছি আর নিউজ চ্যানেল দেখছি সিদ্দিক মিয়ার দোকানের ভেতর দিকটায় বসে। রাজনীতির ব্যাপার স্যাপার নিয়ে কথা বলছে উপস্থাপক। এগুলি শুনতে শুনতে আর ভাল লাগে না। তাই সিদ্দিক মিয়াকে বললাম চ্যানেলটা পাল্টে দিতে। সে বললো কিছুক্ষণ পর নাকি কোন মন্ত্রী অনুষ্ঠানে আসবে। মন্ত্রী কি বলে সেটা শুনতে সে নাকি অনেকক্ষণ ধরে এই চ্যানেলটাই দেখছে। আমি আর কথা বাড়ালাম না। চা খেয়ে চারটা সিগারেট নিয়ে দাম পরিশোধ করে চলে আসলাম।
নাহ, সময় বাড়ার সাথে সাথে উত্তরের বাতাসটাও বাড়ছে। একেবারে কাবু করে দিতে চায়। বিকেলে যখন বেরিয়েছিল তখন এতটা ঠাণ্ডা লাগবে বুঝতে পারলে চাদরটা সাথে করে নিয়ে বেরুতাম। কিন্তু তখন এমন হবে সেটা একটিবারের জন্যেও মনে হয়নি। আর কাজটা তো আরও সময় লাগতো, একবার ভেবেই নিয়েছিলাম যে আজ আর হয়তো আসা হবে না।
এখন বাসায় যেতে হবে। ভাতের রান্না করতে হবে। আলুসিদ্ধ করতে হবে। তারপর আলুভর্তা বানিয়ে খেতে বসতে হবে। নাকি চাল ডাল একত্রে বসিয়ে দিয়ে যেটা হয় ঐটাই করবো চিন্তা করতে করতে মেসে চলে আসলাম। হরতালের কারণে আগেই অনেকে বাড়িতে চলে গিয়েছে। দুই একজন যারা আছে তারা এই মুহূর্তে মেসে নেই। একেবারেই ঠাণ্ডা লাগছে মেসের পরিবেশ। অন্য সময়টাতে কারো কারো রুমে গান শুনতে পারতাম। সাথে তাদের টাস খেলার উচ্চ আওয়াজ। কিন্তু এখন সব নিস্তব্ধের আওয়াজ দিয়ে পরিপূর্ণ।
রান্না ঘরে গিয়ে ভাত বসিয়ে দিয়ে আসলাম। রুমে এসে পত্রিকাটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু এখন সব খবরেই ঐ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা। এটা আর ভাল লাগে না। তাই পত্রিকা রেখে বাইরে আসলাম। মেসের বাইরে একটা ছোট্ট ফাকা জায়গা। প্রতিদিন বিকেলে কিছু ছেলে এখানে ক্রিকেট খেলতো। এখন ব্যাডমিন্টন খেলবে কিছুদিন পর থেকে। সেটাও দেখার মত বিষয়।
কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে একটা সিগারেট বের করে জ্বালালাম। ধুয়াটা ছাড়লাম উপরের দিকে তাকিয়ে। ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোট বেলায় শীতের সময় মুখ দিয়ে ধোয়া ছাড়ার চেষ্টার করতাম এখনকার এই সিগারেটের ধোয়ার মত করে।
আহ! সময় কত দ্রুত চলে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই কোথা থেকে কোথায় চলে এসেছি। এখনো মনে পড়ে এতিম খানাটার কথা। ছোট্ট জায়গা, খাবার হয়তো ভাল ছিল না। কিন্তু আমার ঐ জায়গাটাই ভাল লাগতো। যখন একত্রে কষ্ট করতাম আমার মত আরো কয়েকজন মিলে তখন কাউকে আলাদা করে কিছু বলতে হতো না। সবাই কিভাবে যেন ঠিকই বুঝে যেত সমস্যাটার কথা। নিজেরাই অন্য কোন একটা বিষয় নিয়ে আসতাম সমস্যাটাকে পেছনে ফেলে দিতে।
কিন্তু মেট্রিক পাশ করার পর তারা আর আমাকে কোন ভাবেই রাখতে চাইলো না। আর তারপর কিছুটা হোঁচট খেয়েই চলে এসেছি এতদূর। রাত বাড়ছে, ঠাণ্ডাটাও বাড়ছে। উপরে তাকিয়ে আকাশের তারা গুলিকে দেখলাম। আর হারাতে লাগলাম তরার মৃদু মনোমুগ্ধকর উজ্জ্বলতায়....
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৪
সাদা আকাশ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া.....
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫১
খেয়া ঘাট বলেছেন: একেবারে বর্তমান সময়ের দৈনন্দিন যাপিত জীবনের লিখা।
+++++
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৫
সাদা আকাশ বলেছেন: ভাইয়া আপনাকে আর কি বলবো। আপনি যেভাবে লিখেন ঐরকম তো কিছু বেরোয় না মাথা থেকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে....
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪২
এহসান সাবির বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন.......
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
সাদা আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লেগেছে। একজন মানুষের বেড়ে ওঠার জায়গা নিয়ে যখন স্মৃতিচারণ করে সেখানে কষ্ট থাকলেও একধরণের প্রচ্ছন্ন ভালো লাগাও থাকে। এখানে যদিও মেইনলি ফোকাস করা হয়েছে শীতের আগমনকে। একটা যাপিত দিনের কথা।
শুভকামনা সাদা আকাশ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪
সাদা আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা আপু
৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
মোঃ নজরুল ইসলাম বলেছেন: নতুন লেখকদের জন্য সুখবর। সৃষ্টি প্রকাশনী নতুন বই প্রকাশ করতে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। ৮০ জন লেখকের ৮০টি কবিতা নিয়ে বিশেষ সংকলন বের করতে যাচ্ছে। “অদম্য তারুণ্য” শিরোনামের বইটিতে যারা কবিতা প্রকাশ করতে আগ্রহী তাদের স্বরচিত কমপক্ষে ৫টি কবিতার একটি গুচ্ছ আমাদের ই-মেইল ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে বলা হচ্ছে। বই মেলা ২০১৪ উপলক্ষে “অদম্য তারুণ্য” শিরোনামে একাধিক বই প্রকাশ করতে আগ্রহী। সংকলনের লেখকদের পরবর্তীতে একক বই প্রকাশে বিশেষ ভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে। E-mail: [email protected], [email protected]; +8801557864260
*** লেখার সাথে নাম, ঠিকানা, মোবাইল নং অবশ্যই প্রদান করতে হবে।
যে সকল লেখক অদম্য তারুণ্য তে লেখা জমা দিতে চান কিন্তু এখনও দেন নাই তাদের কে অনুরোধ করছি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ এর মধ্যে জমা দিবেন। নির্ধারিত তারিখের পর কোন লেখা নেওয়া সম্ভব হবে না। যে কোন তথ্যের জন্য আমাদের পেইজের সাথে থাকুন।
প্রকাশক
সৃষ্টি প্রকাশনী
http://www.facebook.com/SristyProkashony
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
সাদা আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ,
তবে ছন্দ তৈরী করার মত মেধা আমার এখনো তৈরী হয়নি।
আপনাদের “অদম্য তারুণ্য” এর জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা রইলো
৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালোলাগা, ভালোবাসা।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
সাদা আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০২
হৃদয় এর স্পন্দন বলেছেন: এতো সুন্দর একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ দিবো না কি করবো বুঝতে পারছিনা, তবে যা বুঝতে পারছি তা হলো খুব সামান্য, আসলে আমার মগজে ডুকছেনা, এতিম খানা থেকে মেট্রিক পাশ করার পর তারা আর রাখলনা আমাকে, কথাটি প্রথম যখন লেখক লিখেছেন হরতালে সবাই বাড়ি চলে গেছে, কিন্তু সে কেনো গেলোনা সে প্রশ্ন বা তার উত্তর দেওয়া হয়েছে পরে, আর ঠিক তেমনি করে সিগেরেটের ধোয়ার মত আবছা করে আমাকে বুধ করেছে পুরু লেখাটি পড়ার জন্য কারন আমার মনেই প্রশ্ন টা জেগেছে সে কেনো গেলোনা, এতো নিখুত রহস্যের নিখুত সমাপ্তি সত্যি ভালো লেগেছে তবে এর যদি ধারাবাহিক সংকলন পেতাম খুশি হতাম বাকিটা আমার বড় ভাই এর ইচ্ছে অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
সাদা আকাশ বলেছেন: হৃদয়, কোন কিছুই নিখুঁত হয় না। প্রাকৃতিক রহস্য সব জায়গাতেই আছে।
ধারাবাহিক ভাবে কোন জিনিষ চিন্তা করি নি এখনো। এইটা লিখার সময়ও খুব চিন্তা করে লিখি নাই। যদি ঐরকম কিছু আবার মনে হয় তবে লিখবো হয়তো
ভাল থাকিস। শুভকামনা তোর জন্যে
৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
হৃদয় এর স্পন্দন বলেছেন: (y)
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন। পড়ে ভালো লাগল।