নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল

আমাদের ছড়া গুলো সমাজের আয়না,যার কাছে কোন কিছু ঢেকে রাখা যায়না!

সুমন আহমাদ স্বাধীন

সহজ সরল শাদামাটা !!!

সুমন আহমাদ স্বাধীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীকে আবেদনময়ী দেখালেই পুরুষ ধর্ষণ করবে?

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫





নয়াদিল্লির গুড়গাঁও মেট্রো স্টেশনের বাইরে এক নারী অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছেন।





দিল্লিতে গত ডিসেম্বরে চলন্ত বাসে মেডিকেলের এক শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ। গত সপ্তাহে মধ্যপ্রদেশে এক সুইস নারীকে গণধর্ষণ। একই সপ্তাহে আগ্রায় হোটেলের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে এক ব্রিটিশ নারীর ধর্ষণ থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা। সম্প্রতি ভারতে সংঘটিত আলোচিত ধর্ষণকাণ্ডের অন্যতম এগুলো।

সরকারি হিসাব মতে, ভারতে প্রতি ২১ মিনিটে একটি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ব্যাপারে ভারতীয় পুরুষেরা কী ভাবেন? এ প্রশ্নটি মাথায় রেখে ভারতের গোয়া রাজ্যের কয়েকজন ব্যক্তির মতামত জানতে চেয়েছিল ব্রিটিশ সাপ্তাহিক ‘অবজারভার’। মতামত দেওয়া ব্যক্তিদের প্রায় সবার বক্তব্য ছিল, মেয়েদের আবেদনময়ী দেখালে ছেলেরা ধর্ষণ করবে—এটাই স্বাভাবিক।

‘ধর্ষণ একটা সমস্যা। এটা নারীদের দিক থেকেই শুরু হয়। ওরাই পুরুষদের উত্তেজিত করে তোলে।’ বলছিলেন ৩২ বছর বয়সী এক পানশালার মালিক পাপি গঞ্জালেস। মাথা নেড়ে তাঁর কথায় সম্মতি দিলেন পানশালার কর্মী রবিন শ্রীঠা। ২১ বছর বয়সী এ তরুণের বক্তব্য, ‘মেয়েদের আবেদনময়ী দেখালে ছেলেরা নিজেদের আর ধরে রাখতে পারে না।’

২৮ বছর বয়সী অভিজিত্ হারমালকার পেশায় গাড়িচালক। ধর্ষণের ব্যাপারে তাঁর মতামত, ‘ধর্ষণের জন্য শুধু পুরুষকে দোষারোপ করা হচ্ছে। অথচ তরুণীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেউ কথা বলছে না। আমাদের এটা বোঝা উচিত যে, রাতের বেলায় মেয়েদের বাড়ির বাইরে যাওয়া উচিত নয়। আমাদের সংস্কৃতি ভিন্ন।’

হারমালকারের ছোট ভাই অবিনাশের (২৪) ভাষ্য, মা-বাবার উচিত বেশি রাতে মেয়েদের বাইরে যাওয়া বন্ধ করা। তাহলে এ ধরনের অপরাধ ঘটবে না।

২৬ বছর বয়সী ভিভরেশ বানাওলিকার একটি প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষক। তিনি বলেন, ‘আমার এক বোন আছে। ও যদি রাতে বাইরে যায়, আমি চিন্তায় পড়ে যাই। সাতটা পেরিয়ে গেলে আমি দুশ্চিন্তায় পড়ি। পুরুষেরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।’

শুধু সাধারণ মানুষ নয়, ভারতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও বিশ্বাস করেন, ধর্ষণের দায় শুধুই পুরুষের নয়। চলন্ত বাসে মেডিকেলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল অনেকে। এ অবস্থার মধ্যেও মেয়েদের সাজগোজ ও পোশাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ছেলে এবং পার্লামেন্ট সদস্য অভিজিত্ মুখার্জি। ভারতের ধর্মীয় গুরু আসারাম বাপু বলেছিলেন, ‘ধর্ষণের শিকার নারী নির্দোষ ছিল না। এক হাতে কখনো তালি বাজে?’

গঞ্জালেস বলেন, দেশে যদি আরও বেশি যৌনকর্মী থাকত, তবে তরুণীদের সমস্যা হয়তো কমত। তিনি বলেন, ‘যৌনকর্মীরা পুরুষদের আনন্দ দেন। বোম্বেতে এমন ২০টি জায়গা আছে, যেখানে আমি মাঝেমধ্যে যাই। ওখানে এমন শত শত জায়গা আছে। কিন্তু গোয়ায় এমন কিচ্ছু নেই। সাদা চামড়ার কেউ যদি নিজের শরীর দেখায়, তবে গোয়াবাসী অনেক কিছু করে।’

তিনি বলেন, ‘নারীদের ওপরে যৌন নিপীড়ন ঠেকানোর একটি উপায় হতে পারে মা-বাবার কড়া শাসন, রাতে বাড়ির বাইরে যেতে না দেওয়া। এটা অনেক দিন ধরে প্রচলিত একটি উপায়। ভারতীয় সংস্কৃতিতে, আমাদের প্রজন্ম বেড়ে উঠেছিল পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে। এ জন্য আমরা মা-বাবাকে সম্মান করতাম। তাঁরা আমাদের যা বলতেন, আমরা তাই করতাম। মা-বাবা চিত্কার করে বলতেন, “এটা কর, ওটা কর”, আমরা করতাম। কিন্তু এখনকার প্রজন্মে ওসব বদলে গেছে।’

হারমালকার বলেন, যে পুরুষেরা বাসে নারীদের ওপরে নিপীড়ন করে, তারা একা থাকে না। তাদের বাঁচানোর জন্য আরও অনেকে থাকে বলেই তারা এমনটা করার সাহস পায়। আবার এমনও হয়, তারা যে ভুল করছে, এটা তারা বোঝে না।

কারখানার শ্রমিক বৃন্দাবন সালগাওকর বলেন, ‘এদের কোনো মেয়েবন্ধু নেই। যদি কোনো মেয়েবন্ধু থাকত, তারা এমনটা করত না। যদি তাদের একটা বোনও থাকত, তাহলেও এমনটা হতো না।’

যাঁদের মত নেওয়া হচ্ছিল, তাঁরা কেউ সমাধানের ব্যাপারে একমত হতে পারছিলেন না। বানাওলিকার বলেন, ধর্ষণ বন্ধের একমাত্র উপায় হলো ছেলেদের কাজে ব্যস্ত রাখা এবং পথ থেকে সরিয়ে নেওয়া। তিনি বলেন, ‘আমি যে কাজ করি, তাতে সব সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। ওসব করার সময় আমার নেই। যদি আপনি তাদের (ছেলেদের) ব্যস্ত রাখেন, তবে তাদের সামলাতে পারবেন। বেকার ছেলেরাই ওসব কাজ করে।’

বানাওলিকার বলেন, ‘যদি তারা (ছেলেরা) কাউকে কিছু করতে দেখে, তাহলে নিজেরাও সেটি করতে চায়। মেয়েদের বেলায়ও এমনটি ঘটে। দিনের বেলা সে সুবোধ বালিকা, কিন্তু রাত হলেই সে বুঝে যায় কী করতে হবে। এ জন্য সে তার বন্ধুদের পটায়।’

সবার মত হলো, মা-বাবা ও স্কুলের উচিত ঠিক-বেঠিক শিক্ষা দেওয়া।

এ মানুষগুলোর কাছে উচ্চশিক্ষার জগিট খুবই আলাদা। তাঁরা মনে করেন, উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রগুলো পাপাচারের আখড়া। অবিনাশ বলেন, ‘কলেজজীবন একেবারে আলাদা। ওখানে যা ইচ্ছা ঘটতে পারে। মেয়েরা যৌনতা সম্পর্কে সব জেনে যায়। একের পর এক ছেলে বদল করে।’

বানাওলিকার বলেন, ‘কিছু কিছু নারী টাকার জন্য এসব করে। ওরা ছেলেটাকে ব্যবহার করে, পরে ছুড়ে ফেলে দেয়। এ জন্য কিছু কিছু ছেলে প্রতিশোধ নেয় (ধর্ষণ করে)। ওদের যদি যৌনকর্ম করতে চায়, কেউ ঠেকাতে পারে না। যদি আপনি যৌনকর্মে লিপ্ত হতে না চান, লোকে বলবে আমি খোঁজা।’

ভারতে যাঁরা নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, তাঁদের জন্য এ আলোচনাটি আশঙ্কাজনক ও ভীতিকর। গত সপ্তাহে দেশটির লোকসভায় ধর্ষণবিরোধী আইন পাস হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। নারীদের হয়রানি বা উত্ত্যক্ত করার জন্যও কড়া শাসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ওই আইনে। তবে গোয়ার সমুদ্রতীরে কিছু ব্যক্তির সঙ্গে অবজারভারের আলাপে এতটুকু বোঝা গেছে, যাঁরা যৌন নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে প্রচার চালাচ্ছেন, তাঁদের জন্য খুব বেশি আশা নেই। অবিনাশ বলেন, ‘কিচ্ছু বদলাবে না। প্রতিদিন এসব হচ্ছে। তবু কিছু হবে না। দুনিয়াটা ধ্বংস হলে যদি কিছু হয়!’



( দৈনিক প্রথম আলোর নিউজ )

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: পাকু হানাদারেরা যখন ধর্ষণ করেছিল-তখন কি কে আবেদনময়ী, কে আবেদনময়ী না-তা দেখে ধর্ষণ করেছিল? একজন ধর্ষক সব সময়ই মানষিক বিকারগ্রস্থ্য-কাজেই সেই ধর্ষক সুযোগ পেলেই যেকাউকেই ধর্ষণ করার সুযোগ নেবে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

সুমন আহমাদ স্বাধীন বলেছেন: একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র আর প্রচলিত সময়
এক নয় !

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

নক্ষত্রের কান্না বলেছেন: এইসব মতামত প্রদানকারীরা হয় ধর্মের ষাঁড় নাহয় খোদার খাশী, সুসভ্য মানুষ বলা যায় না

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

নক্ষত্রের কান্না বলেছেন: নারীকে আবেদনময়ী দেখালেই পুরুষ ধর্ষণ করবে? .....কি অদ্ভুত কথা! মানুষ কি জন্তু জানোয়ার নাকি? নারী জন্মগতভাবেই পুরুষের কাছে আবেদনময়ী

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: :( :( :( :(

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০১

বিডি আমিনুর বলেছেন: আবেদনময়ী মানে কি জাতি জানতে চায় ?

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

বলাক০৪ বলেছেন: আবেদনময়ী না হলে তাকে আবার পাত্রপক্ষ পছন্দ করবেনা। মহা জ্বালা।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

ইলুসন বলেছেন: কেন? নিজের মা আর বোন যদি আবেদনময়ী হয় তাহলে তাদের সাথেও কি তারা সেক্স করা শুরু করবে নাকি? হায়রে পৃথিবী!

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

সালমা শারমিন বলেছেন: আমার মনে হয় ধর্ষণ রোধে অন্যতম উপায় হতে পারে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের মূল্যবোধ বৃদ্ধি করা। আমি একটা মেয়ে। সে হিসাবে আমার মনে হয়, বিভিন্ন মিডিয়ায় মেয়েদের অতিরিক্ত খোলামেলা ভাবে উপস্থাপন এবং মেয়েদেরকে অনেক বেশি কামনার বস্তুতে রুপান্তরিত করাটাই এর অন্যতম কারন। আমাদের সমাজতো পুরুষ শাষিত সমাজ। এখানে পুরুষ যদি একটু চেষ্টা করে তাহলেই বোধ করি উল্লেখযোগ্য ভাবে ধর্ষণ কমানো সম্ভব। পুরুষরা যখন কোন মিডিয়াতে আবেদনময়ী কোন নারী দ্যাখে তখন তার মনে যে লিপ্সা তৈরি হয়, সেটা সে চরিতার্থ করে পথে হেটে যাওয়া একটা মেয়ের উপর।হতে পারে সে আবেদনময়ী অথবা না। পুরুষের লিপ্সাই যে একমাত্র ধর্ষণের কারন, সেটা আমার মনে হয় না। আপনারা হয়ত খেয়াল করে দেখবেন একটা উগ্র পোষাকের মেয়ের চেয়ে একটা শালীন পোষাকের মেয়েকে একটা ছেলে কটূক্তি করতে দ্বিধা করে। আর আগের সময়ের চেয়ে এখন ধর্ষণের ঘটনা অনেক বেশি ঘটে। কারন পুরনো হিন্দি ছবি আর সমসাময়িক হিন্দি ছবি গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমিও মনে করি যে এক হাতে তালি বাজে না। তবে অন্য হাতটা যে ধর্ষিতার হাত আমার তাও মনে হয় না। হয়ত টিভিতে অথবা বাস্তবে কোন উগ্র মেয়েকে দেখে পুরুষের লিপ্সা/পৌরষ জাগ্রত হয়েছে,আর সেটা চরিতার্থ হচ্ছে অন্য কোন মেয়েকে দিয়ে। মেয়েদেরতো মিডিয়াতে উপস্থাপন করা হয় কেবল মাত্র আবেদনময়ী হিসাবে। নাহলে পুরুষ যেখানে সুটেড বুটেড হয়ে ১০০% ঢেকে ফ্যাশান শো করে সেই একই ফ্যাশন শো তে দ্যাখা যায় মেয়েটা অর্ধউলঙ্গ। কেন? মেয়েটাই বা নিজেকে কেন এভাবে উপস্থাপন করে? আর একটা কথা অনেকেই বলে আগুনের কাছএ মোম থাকলে তা গলবেই। তাই বলবো আমরা মেয়েরা নিজেদের আগুন না বানিয়ে পানি বানাই। ওপরে কয়েকটা ভাই এর কমেন্ট পড়ে ভাল লাগলো যে, তারা আমাদের নিয়ে ভাবে। তবে একটা ভাইয়া ৭১ এর কথা বলল যে তখন কেন এমন হল।৭১ তো ছিল যুদ্ধকালীন সময়।অনেক রকম ক্রাইসিস তখন হয়েছে। তাই বলে আমরা স্বাধীন দেশেও একই রকম ঘটনার শিকার হতে পারি না। পশ্চিমা বিশ্বে এ ধরনের ঘটনা অনেক বেশি হয় মধ্যপ্রাচ্যের যে কোন দেশের চেয়ে। যেখানে কিনা পশ্চিমা বিশ্বের মেয়ে গুলো সমান তালে কাজ করে পুরুষের সাথে। এটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত মতামত। কারো সাথে অমিল হতেই পারে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

সুমন আহমাদ স্বাধীন বলেছেন: সালমা সারমির কে আন্তরিক অভিন্দন জানাচ্ছি সাহসি মতামত প্রদানের জন্য,

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: বিডি আমিনুর বলেছেন: আবেদনময়ী মানে কি জাতি জানতে চায় ?

১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

আহলান বলেছেন: আবেদনময়ী মানে আবেদন করছে এমন ভাব। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কি আবেদন করছে বা কি প্রস্তাব করছে? উত্তর হলো যৌন ক্রিয়া করার আবেদন। এটা হলো এক প্রকার বডি ল্যাঙ্গঙয়েজ। কেউ যদি হাত উঠায় অনেকে ভাবতে পারেন সে হয়তো কাওকে চড় মারার জন্যই হাত উঠিযেছেন। কেউ যদি মুঠি পাকায়, যে কেউ ভাবতে পারে সে কাওকে ঘুষি মারতে চাচ্ছে। কেউ যদি পা দেখায় অনেকে ভাবতে পারেন সে লাত্থি মারতে চায়। সুতরাং কোন নারী যদি শরীরের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করে ঘুরে বেড়ায় (হতে পারে সেটা অঙ্গ ভঙ্গী,চলার ঢং , হাটার ভঙ্গিমা) তখন অনকেই ভাবতে পারে উক্ত নারী সেগুলো দেখিয়ে অন্যের চোখে নিজেকে 'মুই কি হনুরে' করে তুলতে চায়।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

সুমন আহমাদ স্বাধীন বলেছেন: শাবাশ বস্

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

বোকা_ছেলে বলেছেন: আহলান বলেছেন: আবেদনময়ী মানে আবেদন করছে এমন ভাব। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কি আবেদন করছে বা কি প্রস্তাব করছে? উত্তর হলো যৌন ক্রিয়া করার আবেদন। এটা হলো এক প্রকার বডি ল্যাঙ্গঙয়েজ।

১২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

শিপু ভাই বলেছেন:
এই আবেদনটা কিসের??!!!??

১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: ধর্ষন একটা অপরাধ। যেমন অপরাধ খুন, ডাকাতী।

ধরে নিলাম একজন মানুষের অনেক টাকা। সে প্রতিমাসে একটা গাড়ি কিনেছে ফ্লাট কিনছে। এখন তার বাসায় ডাকাতী করা উচিত তাই না? কারন সে এমন ভাবে চলছে যে তার অনেক টাকা আছে, তার মানে লুট করো।

একজন মেয়ে একজন পুরুষের কাছে সবসময়য় আবেদনময়ী, এটা আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। যে আবেদনময়ী নয়, তাকে কি মানুষ বিয়ে করে না, তার সাথে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হবে না? তাহলে তো দুনিয়ায় কোনো পর্দানশীল মহিলা গর্ভবতীও হবে না।

@ সালমা শারমিন, আপনাকে দুটো প্রশ্ন। একটা শিশু জন্মগত ভাবেই ন গ্নভাবে জন্ম নেয়। যখন সে বেড়ে উঠে তখন সে শিশু মাঝে মাঝেই উলঙ্গ হতেই পারে। একজন সুস্হ স্বাভাবিক মানুষ কখনোই তাকে খারাপ ভাবে দেখবে না। কিন্তু একজন পেডোফাইল মানুষ সে শিশুকেও ধর্ষন করবে।

পেডোফাইল লোক শিশুকে ধর্ষন করে কেন? কারন শিশুটি তার কাছে আকর্ষনীয় আর পেডোফাইল লোকটা মারাত্মক ভাবে মানসিক বিকারসম্পন্ন। এখন আপনি বলেন শিশুর ধর্ষনকে আপনি কিভাবে দেখেন? বাংলাদেশে এসব পেডোফাইল অনেক আগে থেকেই আছে এর সবচেয়ে বড় উদাহরন হলো বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ যদি আইন করা না হতো আল্লাহ না করুক আপনার দুর্দিনে আপনার ৫-৬ বছরের মেয়েকে কোনো এক ২২ বা ৩৫ বছরের লোক তাকে বিয়ে করেছে কয়েকদিনের জন্য।


এটা অবশ্যই মানসিক রোগ কারন পাশ্চাত্যে নারীদের অধিকার আইন এবং রাস্ট্রের মাধ্যমে করা আছে আর তাই সেখানে ধর্ষনের হার খুব কম। যতটুকু কাগজে কলমে দেখা যায় সেটা সেখানকার সুবিচার এবং স্বচ্ছতা এবং আইন ও মিডিয়ার স হজলভ্যতার কারনে কোনো এক অজপাড়াগায়ের দুর্ঘটনার খবরও ঘরে বসে পাই। সেখানে আমাদের দেশে একটা মেয়ে যখন তার বয়স ৮ তখন থেকেই পরিচিত কাছে মুরুব্বী বা বড় ভাই দ্বারা ধর্ষন বা মর্ষকামের স্বীকার হয় এবং বড় হয়ে আপনাদের ইবলিশের ধর্ষনের স্বীকার হয়। আল্লাহ না করুক কখনো যদি জানতে পারেন আপনারি ছোট বোন শৈশবে আপনারই কোনো মামা চাচা দ্বারা এরকম নিগৃহ হয়েছে তখন আপনার চেহারা আমার দেখতে ইচ্ছা করবে। বাংলাদেশে তো এসব খবর চাপাই থাকে সারা জীবন আর পরিবারগুলোও এটা চেপে যায় সবসময়।

নারীদের পর্দা করা ইসলাম ধর্ম মতে অবশ্যই দরকার। কিন্তু সেখানে ইসলামে সেটা বলা নাই যে নারী যদি বেপর্দা হয়ে ঘুরে তাহলে তাকে ধর্ষন করা উচিত। ইসলামে বলা আছে নারীকে পর্দা করার জন্য তাগাদা দেয়া সমাজে তার জন্য আইন করা। সাথে সাথে যেকোনো নারী সে যদি বেশ্যাও হয় তাহলেও তাকে ধর্ষন করা হলে তাকে পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদন্ডের কথা ইসলামে বলা আছে।

আমরা ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করতে চাই না, চাই পাকিস্তানী রাজাকারদের গেলমান গোলাম আজমের দলকে রাস্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিতে তাদের পূর্ববর্তী অপকর্মের বিচার না করে। আমরা চাই কচি শিশুদের বিবাহের নামে ধর্ষন করতে।

আর এই পোস্ট লেখক সাথে কিছু কমেন্ট কারী যেখানে একজন মেয়েও আছে কেমন মূল্যবোধ এদের যে ধর্ষনের জন্য ধর্ষনের স্বীকার নারীকে দোষারোপ করছে।

এরকম হীন মানুষ যে আমাদের আশেপাশেই ঘুরছে ভাবতেও অবাক লাগে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

সুমন আহমাদ স্বাধীন বলেছেন: জবাব নেই !

১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

সালমা শারমিন বলেছেন: ঘুমাইলে চোখে দেখি না! @ হম...আমি আপনাকেই বলছি। আপনি আমাকে ভূল বিঝেছেন। ভীষন ভাবে ভূল বুঝেছেন।আমার মনে হল যে আপনি শুধু ঘুমালে না, জেগেও চোখে দেখেন না। এই রকম একটা পোস্টের মধ্যেও আপনি গোলাম আযম কে টেনে নিয়ে আসছেন। তাই বুঝতে হবে আপনার রাজনীতি ভক্তির লা জবাব। আমি কিন্তু একবার ও বলিনি যে যাকে ধর্ষণ করা হয় সেই মেয়েটাই ঐ লোকটাকে ধর্ষণের জন্য প্রভাবিত করে। আমি বলেছি মেয়েদের ইদানিং সব মাধ্যমে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয় যে সবার কাছে কাঙ্খিত,লোভনীয় বস্তুতে পরিনত করে। যার জন্য অনেক শিশু অথবা অনেক নিরপরাধ মানুষ ও রক্ষা পায় না।আর আমি এটাও বলিনি যে ধর্ষণ করাটা নৈতিক।আমি এটাও বলিনি যারা এ কাজ করে তাদের শাস্তি দেয়া যাবে না। আর এখানে যে আলোচনা হচ্ছিল সেটা হল কিভাবে এই অপরাধটা কমানো যায়। প্রতিকার নয়, প্রতিরোধ কিভাবে করা যায়। আপনি মূল বক্তব্য থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছেন। আর এটা মনে হয়েছে কোন বিষেশ রাজনৈতীক দলের অন্ধ ভক্ত হওয়ার কারনে। কারন এটা সাধারনত তারাই করে থাকে।
আর আপনি বললেন না পাশ্চাত্যে এটা নাকি হয় না আইনের কারনে? আমি আপনার এ কথাটা শুনে বুঝতে পারলাম যে এ ব্যাপারে আপনার জ্ঞান খুূূূূূূূূূূূবি কম। মানে শুনে শুনে কিছুটা আরকি। যেমন আমরা শুনি যে আমেরিকায় এটা হয় ওটা হয়।কত ম্যজিক এর কথা শুনি। কিন্তু আপনি আরেকটা ম্যজিক এর কথা শুনে অবাক হবেন যে,
The United States has the world’s highest rape rate of all countries that publish such data- 13 times higher than England and more than 20 times higher than Japan (12).
An American woman is 10 times more likely to be raped than to die in a car crash (13).

আশা করি কল্পনার স্বর্গ ছেড়ে নিচে নেমে আসবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.