![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা হাঁটবো জীবনের পথ একসাথে, দূঃখ -কষ্ট সংগ্রামে থাকবো পাশে, সবার মনেই যে আশা থাকে ভালোবাসা হবে চীর সবুজ-সত্য, কিণ্ডু আমরাতো চিনি পৃথিবীর রূপ কত রূঢ় যদি ছুটে যাই দুজনের হাত, আমি অপেক্ষায় রবো, যদি জীবনের স্রোতে যাই পিছে পড়ে, তুমি ও অপেক্ষায় থেকো।
লক্ষাধিক রিকশা ও ভাঙাচোরা টেম্পো, হিউম্যান হলার, পুরনো বাস আর যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে চট্টগ্রাম শহর যানবাহন চলাচলের অযোগ্য ও যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনের যানজটে নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার শ্রমঘণ্টা। জনদুর্ভোগ প্রকট আকার ধারণ করার পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা।
যানবাহন চলাচলে বাস-ট্রাক-টেম্পো চালকদের নিয়ম-কানুন না মানা, ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতা, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের একগুঁয়েমির কারণে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নজরদারি না থাকায় পরিস্থিতি ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠেছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। প্রতিদিন শত শত অবৈধ রিকশা চট্টগ্রাম শহরে ঢুকলেও কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় যানবাহন চলাচলে নেমে এসেছে স্থবিরতা। তদুপরি সিটি বাস, হিউম্যান হলার, টেম্পো যত্রতত্র দাঁড়ানোর ফলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে যানজট পরিস্থিতি।
নগরীতে গাড়ির সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি রাস্তা। তদুপরি যেসব রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে, সেখানে দোকানপাট, কাঁচাবাজার গড়ে ওঠাসহ ট্রাক, বাস, ট্যাক্সি-টেম্পো পার্কিং করায় যানজট পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিআরটিএ সূত্র জানায়, নগরীতে ১৬ হাজারের অধিক প্রাইভেট কার ও ২০ হাজারের অধিক বাস-ট্রাক, ১৩ হাজার অটোরিকশা চলাচল করে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৪-৫শ’ গাড়ি নামছে। এসব কারণে নগরীর যানজট আরও বাড়ছে।
ট্রাফিক বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঝে মাঝে কিছু পদক্ষেপ নিলেও অধিকাংশ সময় তারা নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করায় যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। গত তিন মাস ধরে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটের আরও কারণ হচ্ছে সম্প্রতি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা অত্যাধুনিক মার্কেট ও কমিউনিটি সেন্টার। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে স্থাপিত মার্কেট ও কমিউনিটি সেন্টারগুলোর অধিকাংশের পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা নেই। ফলে মার্কেটে এবং কমিউনিটি সেন্টারে আসা গাড়িগুলো রাস্তাজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে যানজট আরও প্রকট হয়ে ওঠে।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, নগরীতে অর্ধলক্ষাধিক রিকশার লাইসেন্স থাকলেও বর্তমানে দেড় লাখেরও বেশি রিকশা চলাচল করছে। শাসক দলের বিভিন্ন সংগঠনের নামে দেয়া হয়েছে অবৈধ রিকশার লাইসেন্স। একটি লাইসেন্স দিয়ে চলছে পাঁচ-ছয়টি রিকশা। নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অভিমত—পুলিশের অবহেলা, ট্রাফিক কনস্টেবলরা দায়িত্ব পালন করলেও সার্জেন্টদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা বিরূপ।
অবৈধ পার্কিংয়ের কারণেও যানজট লেগে থাকে। নগরীর ডাক্তার ও পত্রিকাপাড়া খ্যাত জামালখান সড়কে রয়েছে দুটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, তিনটি স্কুল, কয়েকটি ক্লিনিক—যেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা নেই। যে কারণে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, স্কুল ছাত্রছাত্রী, ডাক্তার-রোগীর শতাধিক প্রাইভেট কার রাস্তার উভয় পাশে পার্কিং করা থাকে। এতে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ভয়াবহ যানজট পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে এর নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়েনি বলে উল্লেখ করেন। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ফিটনেসবিহীন ট্রাক, বাস, টেম্পো চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ, অবৈধ রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ, ট্রাফিক আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে তাত্ক্ষণিক জরিমানা, বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, যত্রতত্র বাস-টেম্পো থামানো বন্ধ করা গেলে যানজট সমস্যার সমাধান হবে। যানজট নিরসনে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার সুপারিশে সড়কের ওপর থেকে ভাসমান হকার ও স্থাপনা নিষিদ্ধ, গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়গুলো সম্প্রসারণ, বহুতল মার্কেট ও ভবনের পার্কিং প্লেস বাধ্যতামূলক করার কথা থাকলেও সেগুলো মানছে না কেউ। সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দেন।
সুএ:http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/10/16/49026
©somewhere in net ltd.