![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তি ও বিজ্ঞানই পারে মানুষ , রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিবর্তন করতে
শিক্ষকের মর্যাদা একটা ফালতু কথায় পরিণত হয়েছে। আর যারা সত্যিই মনে করেন শিক্ষকের মর্যাদা ফর্যাদা কিছু দরকার বুঝতে হবে তারা সমাজের ধনে এবং অবস্থানে নি¤œবিত্ত শ্রেণির মানুষ। শিক্ষকের মর্যাদা গরীবের ইজ্জতের মতো। গরীবের বউ যেমন সবার ভাবী, শিক্ষকের মর্যাদাও তেমনি সকলের করুনার বিষয়, অনুকম্পার বিষয়।
বাংলাদেশের মতো বর্বর অসভ্য দেশে শিক্ষার কি কোনো দরকার আছে? শিক্ষক ক্লাসে পড়ান ‘সদা সত্য কথা বলিবে’। বাস্তবে সকলেই জানেন সত্য কথার কোনো দাম নাই। আপনি যত মিথ্যা কথা বলবেন আপনার দাম ততই বেশি।
শিক্ষক ক্লাসে পড়ান ‘অপরের সম্পদ বিনা অনুমতিতে গ্রহণ করিবে না।’ কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই জানেন অপরের সম্পদ গ্রহণের মধ্যেই আপনার সকল সুখ। অপরের সম্পদ চুরি করা ছাড়া আপনি কস্মিনকালেও বড়লোক হতে পারবেন না। ধনী হতে পারবেন না। আর হিন্দুদের সম্পত্তি পেলে তাতো নিজের মনে করিয়া দখল করিবেন। তাতে আপনি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে পরিচিত হতে পারবেন।
শিক্ষক ক্লাসে পড়িয়ে থাকেন ‘দেশকে ভালোবাসিবে।’ কিন্তু আপনি দেশকে যত কম ভালোবাসিবেন ততই আপনার মঙ্গল। আপনি নিশ্চই জানেন এই দেশের কোনো ভবিষ্যত নাই। তাই এই দেশের সম্পদ চুরি করে এর অর্থ বৈদেশে পাচার করার মধ্যেই আপনার এবং আপনার বংশধরদের মঙ্গল। দেশকে আপনি পতিতার মতো যেমন খুশি তেমন করবেন তাতেই আপনি দেশের সবচেয়ে বড় নেতা হতে পারবেন।
এই সমাজে যে যত বড় মিথ্যাবাদী, যে যত বড় চোর, যে যতবড় দেশবিরোধী সেই সমাজের তত বড় কর্ণধার। আর কর্ণধার শিক্ষকের কানে ধরবেনা তো কে ধরবে? কারণ শিক্ষক সারাজীবন ভুল শিক্ষা দিয়ে এসেছেন। এই কারণে রাষ্ট্রের পেটি কর্মচারী শিক্ষককে দিয়ে পা ধরাতে পারে এবং তার কোনো বিচার হয় না। রাষ্ট্রের প্রধান কর্তাব্যক্তি শিক্ষককে আমলা হয়ে যাবার পরামর্শ দিতে পারেন। আইন প্রণেতা শিক্ষককে দিয়ে কান ধরে ওঠ বস করাতে পারেন। আইনপ্রণেতারা চাইলে সংসদে কানে ধরে ওঠা-বসার আইনও পাস করাতে পারেন।
শিক্ষক ক্লাসে পড়ান ‘পরীক্ষায় পাস করতে হলে পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই’। কিন্তু আজকের একটা বাচ্চা ছেলেও জানে যে পরীক্ষায় পাস করার জন্য পড়ালেখার কোনো দরকার নেই। বাবার টাকা থাকলে পরীক্ষায় পাস কোনো ব্যাপারনই নয়। পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন কিনতে পাওয়া যাবে। কাজেই সারা বছর লাফাঙ্গা ছেলেদের মতো রাজ্যের আকাম কুকাম করেও পরীক্ষায় ঠিকই এ প্লাস পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশে শিক্ষকদের মতো এমন ফালতু এবং অপ্রয়োজনীয় গোষ্ঠি আর দ্বিতীয়টি নেই। তারা নিজেরা অত্যন্ত পশ্চাতপদ ধ্যানধারণা নিয়ে আছে। তারা মনে করে এই সমাজ তাদের মর্যাদা দিয়ে দিবে। এমন বেকুবীয় চিন্তা আর আছে কি? তারা এটাও জানেনা এই সমাজের কর্ণধাররা তাকেই ভয় পায় যার হতে ডান্ডা হাছে। কারণ তারা জানে ডান্ডাওয়ালাদের ডান্ডা তাদের পশ্চাদদেশকে যেকোনো সময়ে রক্তাক্ত করে দিতে পারে।
শিক্ষকদের বলছি। আপনারা কি দেখছেন না রাষ্ট্রের কর্ণধাররা ডান্ডাওয়ালাদের কত তোয়াজ করে? না চাইতেই তাদের সবকিছু উজার করে দিয়ে দেয়? তাদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে, তাদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলে। এরপরও আপনারা কেন বিচার চাইবেন অন্যের কাছে। ইংরেজি প্রবাদ শিখেন নি ছাত্রজীবনে। টিট ফর ট্যাট। ইটকেলটা মারলে পাটকেলটা দিতে হবে। ডান্ডার ব্যবহার করতে হবে। আপনি যত ভয়ঙ্করভাবে আপনার ডান্ডার ব্যবহার করতে পারবেন এই নষ্ট সমাজ এবং সমাজের কর্ণধাররা আপনার জুতোর কাছে ততটাই ন্যূজ হয়ে বসে থাকবে।
তাই এইবার আপনার সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে।
২| ১৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
মশার কয়েল বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন
৩| ১৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮
তৌহিদ আমানুল্লাহ বলেছেন: সফিক ভাই , অনেক অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ সুন্দর লিখনির জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: ভাল লিখেছেন, সালাম রইল।