নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধ পরবর্তী একটা দেশে প্রধান সমস্যা গুলো হল. 1) পদ-পদবী নিয়ে মারামারি 2) সম্পদ ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি 3) মতবাদ-আদর্শ প্রতিষ্ঠা নিয়ে মারামারি. 4) নিজ দেশে বিরোধী পক্ষ কে হত্যা, লুন্ঠন করা. সোভিয়েত ইউনিয়ন কে পরাজিত করার পর আফগানিস্থানে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় তারপরই তালিবান তৈরী হয়. কিন্তু আজকের দিনে আমেরিকা-ন্যাটো বাহিনী তালিবান কর্তৃক পরাজিত করার পর এই সমস্যাগুলো এখনোও সামনে আসেনি.
গতকাল আমেরিকা সম্পূর্ণভাবে চলে যাওয়ার পর আল-জাজিরার সিনিয়র মহিলা সাংবাদিক শার্লট বেলিস ( বিবিসি- স্কাই নিউজ সাবেক সাংবাদিক) কে তালিবানের অন্যতম সিনিয়র লিডার আনাস হক্কানী সাক্ষাৎকার দেন. আনাস হক্কানী হল তালিবানের সহ প্রতিষ্ঠাতা জালালুদ্দীন হক্কানীর ছেলে. জালালুদ্দীন হক্কানী কে ২০১৮ সালে ন্যাটো বাহিনী ড্রোন স্টাইক করে হত্যা করে.
সাক্ষাৎকার একটা সারাংশ হল এরকম.
শার্লট বেলিস: তালিবান এখন সরকার গঠন করতেছে. তালিবান সরকারের লক্ষ্য কি হবে?
আনাস হক্কানী: আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা ছিল দখলদাররা। আমরা তাদের কে হটিয়েছি। সামগ্রিকভাবে আমরা যার জন্য যুদ্ধ করেছি তা রক্ষা করা, তার উপর অটল থাকা. আফগান জনগণের সেবা করা. ইসলামের সেবা করা, গত ২০ বছরে যারা শহীদ হয়েছে, পরিবার কে হারিয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, জেলে গিয়েছে তাদের সেবা করা.
শার্লট বেলিস: আপনি কি জানেন সরকারে আপনার কোন পদ থাকবে? ( আমার মতে গন্ডগোল বাধানোর জন্য এটা একটা চালাকি প্রশ্ন)
আনাস হক্কানী: প্রত্যেক মানুষেরই কিছু দূর্বলতা আছে. আমি আমার যোগ্যতাকে প্রশ্ন করি. আমাদের মতবাদ অনুযায়ী বড়দের আদেশই আমাদের পালন করতে হবে. আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা হল আমার শিক্ষা জীবন শেষ করা. স্বাধীনভাবে বসবাস করা, এবং অন্যান্য মুসলমানদের সাহায্য করা.
শার্লট বেলিস: প্রায়ই এমন হয় যখন কোন সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সেখানে অভ্যন্তরীণ বিভাজন থাকে. তালিবানরা কি সমন্বিত নাকি তাদের মধ্যেও বিভাজন আছে?
আনাস হক্কানী: আমরা কাবুল এবং অন্য প্রদেশগুলো শান্তিপূর্ণভাবেই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি. রক্তপাত এবং অবকাঠামোর ক্ষতি কমেয়েছি. এগুলোই আমাদের ঐক্য এবং জোটগত বন্ধন প্রকাশ করে. আশা করি আমরা সমৃদ্ধি লাভ করবো এবং দোয়া করি আমরা কখনোই পদবী চাই না, ক্ষমতা চাই না, ধনসম্পদ চাই না.
শার্লট বেলিস: আমরা দেখেছি মানুষজন দৌড়ে এয়ারপোর্টে যাচ্ছে. তারা বলছে তারা আতঙ্কিত, তারা তালিবানকে ভয় পায়, এটা কি নিশ্চিত? তাদের কে আশ্বস্ত করা জন্য আপনারা কি করতে পারবেন?
আনাস হক্কানী: আমরা একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করেছি. যখন তারা বলে তারা তালিবানে আতঙ্কিত. এটা শুধু তাদের একটি অজুহাত. বাস্তবতা হচ্ছে আমেরিকানরা এই সমস্যাটি তৈরী করেছে আমাদের জাতি কে হেয় করার জন্য. তারা ইউএস হেলিকপ্টারের সাথে ঝুলন্ত ভিয়েতনামদের মত তুলনা দেখাতে চায়.
শার্লট বেলিস: কাবুল বিমান বন্দরে বৃহস্পতিবার এ্যাটাক এর পর আফগানিস্থানে আইএস নিয়ে অনেক উদ্বেগ আছে. আইএস কে প্রতিহত করতে তালিবানের কৌশল কি হবে?
আনাস হক্কানী: আমরা খালি হাতে বিশ্বের সাথে লড়াই করে আজকের এখানে এসেছি. আইএস মত দল থেকেও মুক্তি পাব যেমনটি আমরা অতীতে পেয়েছি. আইএস এমন কিছু নয় যা সম্পর্কে আমরা ভীত.
ইন্টারভিউর লিংক: https://youtu.be/wm85I0gyYDE
প্রথম ছবি: মধ্যে রাতে আমেরিকান বাহিনীর শেষ ব্যক্তি মে: জে: ক্রিস প্লেনে উঠার জন্য আসতেছে। ( সূত্র: পেনটাগন টুইটার)
দ্বিতীয় ছবি: তালিবানদের স্পেশাল বাহিনী "বদর ৩১৩" বাহিনীর সদ্স্যরা কাবুল বিমান বন্দরে ঢুকে সিজদা দিচ্ছে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য। ( সূত্র: টুইটার) সামনের সময়গুলোই বলে দিবে তালিবান কতটা সফল।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৫
তানভির জুমার বলেছেন: সেই পুরোনো প্রোপগান্ডা.. ছোট ছোট মেয়েদের বিয়ে করতে পারবে এবং একসাথে চার জন স্ত্রী রাখতে পারবে।যেটা তারা অতীতে করেছ। এইগুলো কিছু মিডিয়ার প্রোপগান্ডা খুব কম অংশই সত্য। ইসলামের বিধান সঠিকভাবে না জেনেই হুদাই এইগুলো বলে অপবাদ দেয়। " ইসলাম কখনোই প্রাপ্ত বয়স না হলে কোন মেয়েকে বিয়ের অনুমতি দেয় না। আর চারটা বিয়ে করার পূর্ব শর্তগুলো কি কি সেটা আপনি জানেন?
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: কথা একটাই তালেবানদের কোমর ভেঙ্গে দিতে হবে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০০
তানভির জুমার বলেছেন: কপালের নিচে চোখ থাকলে আর নিজের ব্রেইন টাকে পশ্চিমাদের কাছে বাড়া না দিয়ে থাকলে, বুঝতে পারবেন কে কার কোমর ভেঙ্গেছে। বৃটিশ, রাশিয়া- সোভিয়েত, আমেরিকা-ন্যাটো এদের কোমর কিন্তু তালিবানরা ভেঙ্গে দিয়েছে। শুকনো রুটি আর ছেড়া জুতা পড়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোকে খেয়ে দিয়েছে।
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৫২
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
গনতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত, কি সুন্দর কথা তাইনা! কিন্তু কথা হইলো রাষ্ট্র নেতা বাছাইয়ের মত দূরদর্শীতা কি সংখ্যাগরিষ্ঠের আছে? আমাদের দেশেই দেখুন না, সংখ্যাগরিষ্ঠই ছাগল,তাই তাই রাষ্ট্র চালাচ্ছে ছাগল, এরই নাম হল গনতন্ত্র বা পশ্চিমা তরিকা
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০৬
তানভির জুমার বলেছেন: গনতন্ত্র যে কতটা ভাল এটা আমরা বাংলাদেশীরা হারে হারে টের পাচ্ছি। এখন পৃথীবিতে যত জুলুম অত্যাচার হল তা গনতন্ত্রের নাম দিয়েই হয়।
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমি চাই আফগানিস্থানের মানুষ শান্তিতে থাকুক- আর কত লড়াই করবে ওরা
প্রায় একশ বছর আগের মুজতব আলীর লেখায় ও ওদের যুদ্ধ আর জাতিগত দাঙ্গার গল্প শুনে শিউড়ে উঠেছি- এখনো চলছে, তার আগেও ছিল।
আমি নিশ্চিতভাবে জানি যতগুলো আফগানি দৌড়াচ্ছে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে তার বড় একটা অংশ ভয়ে নয়- বিমানে উঠলেই আমেরিকা বা তার মিত্র উন্নত দেশে বসবাসের সুযোগ পাবেই লোভে। বুদ্ধিমান আর শিক্ষিত লোকের বড় অভাব সেখানে
৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন, ‘তালেবানদের কোমর ভেঙ্গে দিতে হবে’ - সেই চেষ্টাই তো ২০ বছর ধরে করা হলো, উল্টা যারা তাদের কোমর ভাঙতে গেল তাদের কোমারটাই ভেঙ্গে গেল। তারপর কি করা যায় এবার রাজীব নুর সেইটাই অন্তত বলুক।
৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অ্যামেরিকা ঝামেলা না করলে তালেবানরা ক্ষমতা নিয়ে দেশ চালাতে পারবে। কেমন চালাবে সেটা সময় বলে দেবে। আইএস বেশী সমস্যা করতে পারবে বলে মনে হয় না যদি না বাইরের কেউ তাদের উস্কানি দেয় এবং সাহায্য করে। আফগান জনগনের জন্য শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: গনতান্ত্রীক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলেই দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি হতো।কিন্তু তালিবান সে পথে হাটতে রাজি না।তারা চায় শরীয়া আইন।তাহলে তারা ছোট ছোট মেয়েদের বিয়ে করতে পারবে এবং একসাথে চার জন স্ত্রী রাখতে পারবে।যেটা তারা অতীতে করেছে।গত বিশ বছরে অনেক উন্নতি করে ছিলো বিশেষ করে নারী উন্নয়ন।