নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানভির জুমার

সব সময় সব জায়গায় সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে।

তানভির জুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেনো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে নিয়মিত সামরিক অভ্যুত্থান হয়?

২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩৭

বিষয়টি বুঝতে কাউকে আইনস্টাইন কিংবা নিউটন হওয়ার প্রয়োজন নেই। সেই ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের পতনের পর থেকে পাকিস্তানে মিলিটারি ক্যূ (মি. ক্যূ) হয়েছে কয়েক ডজন। ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমাদের দেশেও মি. ক্যূ হয়েছে কয়েক ডজন। এখানে প্যাটার্নটা বুঝতে হবে। সৎ এবং সত্যিকারের দেশ প্রেমিক জিয়ার ৪ বৎসর সময়ের মধ্যে মি. ক্যূ হয়েছে ১৯ টির বেশি, ‘র’ এর নির্বাচিত এরশাদের ৯ বৎসর সময়ের মধ্যে কোনো মি. ক্যূ নেই। এমনকি ‘র’ এর মাধ্যমে ৬ বৎসর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার ১৬ বৎসরের দেশ শাসনের সময় কোনো মি. ক্যূ নেই বরং ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। দেশ প্রায় পরাধীন সিকিমের ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছিল। মহান আল্লাহ্‌ পাকের কাছে শুকুর যে জেন- জি রা তা হতে দেয়নি।

এবার যদি ১০ বৎসরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিএনপির সালাউদ্দিন ক্ষমতায় বসতে পারে তবে নিশ্চিতভাবে অতি দ্রুতই প্রিয় মাতৃভূমি অখণ্ড ভারতের অংশ হবে। গত ১৫ বৎসর প্রশিক্ষণের নামে এ দেশের সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সকল বাহিনীর কর্মকর্তাদের ভারতে নিয়ে হানি ট্র্যাপ এবং হুকআপ করা হয়েছে। এরাই এখন এজেন্ট ইন প্লেস এবং এজেন্ট অব ইনফ্লুয়েন্স হিসাবে কর্মরত। নেভি, এয়ারফোর্স থেকে শুরু করে আমলা এমনকি সকল প্রকার কোর্টের জজ সাহেবদেরও প্রশিক্ষণের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভারতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমান সরকারে নিয়োজিত ‘র’ এর প্রতিনিধি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও চেষ্টা করেছিলেন ৭০/৮০ জন জজ সাহেবকে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে প্রেরণ করতে। তবে এবার তা আর সম্ভব হয়নি ব্যাপক জনবিক্ষোভের কারণে। এখন বুঝার বিষয় হল সেই ৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ভারতে কেন কোনো প্রকার মি. ক্যূ নেই? মানুষ হিসাবে ওরা অত্যন্ত ভালো তাই? ওরা তো চরম ইসলাম বিদ্বেষী, গোমূত্র সেবনকারী এমনকি গরুর গোবরকেও ওরা পবিত্র ধারণা করে ভক্ষণ করে। আসলে বিষয়টা হচ্ছে যারা মুসলিম দেশগুলোতে মি. ক্যূ অরগানাইজ করে তারা (ইসরাইল) ভারতের বন্ধু তাই ভারতে কস্মিনকালেও মি. ক্যূ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই।

ইসলামের শত্রুরা হচ্ছে ফলস নেরেটিভ তৈরিতে ওস্তাদ। ৭১ সালে চরম নারীভোগী পাড় মাতাল ইয়াহিয়া খানের দোস্ত আমেরিকান সেক্রেটারি অব স্টেট, হেনরী কিসিঞ্জারের পরামর্শে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দু/মুসলমান জনগোষ্ঠীর উপর সেনাবাহিনীকে আক্রমণের পরামর্শ/নির্দেশ প্রদান করে। ওই গবেট ইয়াহিয়া ভারতের সম্ভাব্য আক্রমণের কথা উত্থাপন করলে, কিসিঞ্জার সেভেন ফ্লিট দিয়ে ভারতকে ঠেকাবে এ রকম প্রতিশ্রুতি দেয়, আমেরিকা সেভেন ফ্লিটকে ভারত মহাসাগরে নিয়ে আসে ইয়াহিয়া খানকে ফলস পারসেপশন দেয়ার জন্য। ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানের উপর আক্রমণ রচনা করলে ঐ সেভেন ফ্লিট টা টা, বাই বাই করে স্থান ত্যাগ করে। একইভাবে ডিফেন্স সেক্রেটারি ডোনাল্ড রামসফেল্ড স্বৈরাচার সাদ্দামকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুয়েতে আক্রমণ করায় এবং পরবর্তীতে ইরাককে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়। বর্তমান সময়ে উপমহাদেশের মুসলমানদের অবস্থা ভয়ংকর করুণ যদি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে আমরা ব্যর্থ হই তবে দেখা যাবে দিনের শেষে ভারতের মোদী, ইসরাইল ও আমেরিকার সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে আক্রমণ করবে, যেখানে দু’ দেশের জনগণই বর্তমানে তাদের নিজ দেশের সেনাবাহিনীর উপর চরম বিক্ষুব্ধ। পাকিস্তানের জনগণ সেনাবাহিনীর উপর ক্ষিপ্ত কারণ প্রিয় নেতা ইমরান খানকে অন্যায়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং জেলে বন্দি করার জন্য। আর বাংলাদেশের জনগণ সেনাবাহিনীর উপর ক্ষিপ্ত স্বৈরাচার হাসিনাকে গত ১৫ বৎসর ক্ষমতায় থাকতে সহযোগিতা করার জন্য এবং বর্তমানে ঐ স্বৈরাচারকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বলে জনগণ ধারণা করে।

আমাদের দেশের যে জেনারেলগুলো দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের সাথে ১৭৫৭ সালের মীরজাফরের তফাৎ কী ? কোনই তফাৎ নেই। তখন সিরাজুদ্দৌলার সেনাবাহিনীতে মীরজাফর চরিত্রের গাদ্দার ছিল গুটি কয়েক, আর এখন পাওয়া যাচ্ছে দলে দলে। এদের ধরা কিংবা শাস্তি দেয়ার মধ্যে তেমন কোনো কৃতিত্ব নেই। কৃতিত্ব হচ্ছে একজন দেশ প্রেমিক কিভাবে হুকআপ এবং ট্র্যাপ এর মাধ্যমে ট্রেইটর বা বিশ্বাসঘাতক হয় তা ইনভেস্টিগেশনের মাধ্যমে চিহ্নিত করা এবং ভবিষ্যতে যাতে একই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে শত্রু গোয়েন্দা আমাদের মাঝে গাদ্দার পয়দা করতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা

বুঝতে হবে, পৃথিবীর সকল দেশ শান্তকালীন সময়ে যুদ্ধরত থাকে গোয়েন্দা বাহিনীর দ্বারা। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে মোসাদ প্রশিক্ষিত ভারতের ‘র’ এর কাছে পাকিস্তানের আইএসআই সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হয়েছিল। এবার দুটো দেশকেই পরাজিত করে উপমহাদেশের মুসলমানদের উপর ওরা চালাবে সীমাহীন ধ্বংসযজ্ঞ আর নির্যাতন। পাকিস্থান ও বাংলাদেশের অধিকাংশ জেনারেলই হানি ট্র্যাপে ধরা খেয়ে ভিতরে ভিতরে গাদ্দারের রোল প্লে করছে। ক্রান্তিকালে এরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথেই মীরজাফরের রোল প্লে করবে। সব গাদ্দার জেনারেলই ভারতে পালিয়ে যায়নি। দেশে এখনও অনেক ধরা খাওয়া ক্যাপ্টেন থেকে শুরু করে জেনারেলরা আছে যারা জাতির ক্রান্তিকালে ব্যক্তি স্বার্থে দেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ‘র’ এর নির্দেশে মাতৃভূমির সাথে বেইমানী করবে।

শান্তকালীন সময়ে আমাদের দেশে কিভাবে গাদ্দার তৈরি হয় তার বিস্তারিত পরিকল্পনা আমরা সকলের জ্ঞাতার্থে ভবিষ্যতে তুলে ধরতে সক্ষম তবে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে যে কাজটি এখন করা প্রয়োজন তা হচ্ছে ধৃত এবং প্রমাণিত প্রতিটি গাদ্দারের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ রিপোর্টগুলো কাহিনী আকারে দেশের জনগণের জ্ঞাতার্থে পত্রপত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচার করা। একজন দেশপ্রেমিককে গাদ্দারে রুপান্তর করা হচ্ছে একটি সাকসেসফুল গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে। সবগুলো যদি প্রকাশ করা যায় তবে ভবিষ্যতে এ দেশের জনগণকে গাদ্দারে রুপান্তর করা কঠিন হবে। এটা হচ্ছে সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শত্রু গোয়েন্দা চায় দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপক যৌনাচার ছড়িয়ে পুড়ুক তাতে হানিট্র্যাপ সহজ এবং কম খরচে তা করা সম্ভব। তা না হলে প্রশিক্ষণের নামে বিদেশে নিয়ে গিয়ে ট্র্যাপে ফেলা যায় তবে তা হয় ব্যয় বহুল। এ ক্ষেত্রে শত্রু যে কোনো পরিমাণ ব্যয়কে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সামান্য ব্যয় বলে ধারণা করে। লক্ষ্য বা টার্গেট হচ্ছে মুসলিম দেশ, মুসলিম জনগোষ্ঠী ও ধর্ম ইসলাম।

এ ক্ষেত্রে ইসলামের শত্রুরা অকাতরে টাকা খরচ করে আর তাতেই তারা সফল হয় মুনাফিকদের খুঁজে বের করতে এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষিত বিশ্বাসঘাতকে রুপান্তরিত করতে। প্রতিটি গাদ্দারের জিজ্ঞাসাবাদ (Interrogation) রিপোর্ট গল্পের আকারে প্রকাশ করা হলে তা ব্যাপকভাবেই ভাইরাল হবে। গাদ্দার তৈরির পদ্ধতি এক তবে প্রতিটা ক্ষেত্রে পরিকল্পনা ও কার্যক্রম (Execution) ভিন্ন। ইসলামের শত্রুরা মুসলমানদের মাঝে কিভাবে গাদ্দার তৈরি করে তা বর্তমানের প্রতিটা মুসলমানের জানা প্রয়োজন। আর আমাদের গোয়েন্দা বাহিনীতে কী ধরনের পরিবর্তন/পরিবর্ধন করা প্রয়োজন সে বিষয়েও আমরা বিস্তারিতভাবে ভবিষ্যতে আলোকপাত করার ইচ্ছা পোষণ করছি। মহান আল্লাহ্‌ পাক আমাদের সহায় হন।

Md Mustafizur Rahman

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫৩

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




আমেরিকান ক্যু'এর ফলে সৃষ্ট পাকীপন্হী জারজ দল "বিএনপি"তে আপনি কেন?

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫৫

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আপনি যদি ক্যু'এর ক্ষতিকর দিক বুঝতেন, আপনি কি বিএনপি'র হয়ে গর্দভ সাজতেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.