নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অহন থিক্কাসব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

সত্য সন্ধানী ১৩

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

সত্য সন্ধানী ১৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে ঘাপটি মেরে আছে ১২ লাখ ভারতীয়; গুপ্তঘাতকতার অভিযোগ

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

বাংলাদেশে এ মুহূর্তে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে সার্কভুক্ত ৬টি দেশের প্রায় সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি নাগরিক বসবাস করছে। এদের মধ্যে পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ড জাল করে ১২ লাখেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছে। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পেছনে এই ভারতীয় নাগরিকরা গুপ্তঘাতকের ভূমিকা রাখে বলে পর্যবেক্ষকরা জোর সন্দেহ করছেন।

অথচ সরকারের কাছে বাংলাদেশে অবস্থানকারী সার্কভুক্ত ৬টি দেশের মোট ১৪ লক্ষাধিক নাগরিকের মধ্যে মাত্র ১ লাখ ১৫ হাজার ৩শ ৬৬ জনের হিসাব আছে। সরকারি হিসাবের বাইরে অবস্থানকারী বিদেশী নাগরিকরা বিশষত ভারতীয়রা গুপ্তঘাতক হিসেবে জড়িয়ে আছে নানান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকা-ে। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, বাংলাদেশে অবস্থানকারীদের মধ্য ভারতীয়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এদেশে সবচেয়ে কম সংখ্যায় আছে মালদ্বীপের নাগরিকরা। ভারতের পর পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা ও ভুটানের অবস্থান।

বাংলাদেশে অভিবাসী বিদেশীদের চরিত্র পর্যবেক্ষণকারী বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিদেশীরা বিশেষত ভারতীয়রা বাংলাদেশে থেকে নিজেদের জীবন নির্বাহ করলেও কোনোভাবেই এইদেশের অগ্রগতি সহিষ্ণু নয়। ফলে সুযোগ পেলেই সামান্য সুবিধার বিনিময়ে তারা বাংলাদেশ-বিরোধী নানান অন্তর্ঘাতমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশে অবস্থানরত অধিকাংশ ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা কাজ করে মূলত আমাদের গার্মেন্টস শিল্পে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধভাবে থাকা এসব ভারতীয় নাগরিকদের ভিসার মেয়াদ এবং ওয়ার্ক পারমিট বলে কিছু নেই। এদের মধ্যে বাংলাদেশ-বিদ্বেষ খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এ কারণে পোশাক শিল্পের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে নানান সময়ে ঘটে যাওয়া নাশকতায় এদের হাত থাকার প্রবল সন্দেহ রয়েছে। গোয়েন্দাদের হাতেও তথ্য-প্রমাণ আছে। কিন্তু আ’লীগ সরকারের ভারতীয়দের প্রতি নমনীয়তার কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছো না বলেও গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা গেছে।

অভিযোগ আছে, বিদেশী বিশেষত ভারতীয়দের অনেকেই বাংলাদেশী জাল পাসপোর্ট এবং আইডি কার্ডও ব্যবহার করছে। আবার কেউ কেউ মিথ্যা পরিচয়ে বাংলাদেশের ভোটারও হয়েছে। এসব ভারতীয় নাগরিকদের কেউ কেউ রাজনৈতিক সহিংসতাতেও ভূমিকা রাখছে। এদের অনেকেই রাজনীতির আড়ালে-আবডালে থেকে নানান সহিংস ও নাশকতামূলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, এই বিদেশী নাগরিকরা বিশেষত ভারতীয়রা বিভিন্নভাবে আয় করে উপার্জিত টাকার সিংহভাগই অবৈধ পথে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়। ফলে একদিকে দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।

সরজমিনে জানা গেছে, বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের মধ্যে ভারতীয় দূতাবাসের লোকবলও বেশি। বৈধ এবং অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয় নাগকিরদের মধ্যে বেশির ভাগই গার্মেন্টস, ক্লিনিক, সিমেন্ট এবং ইপিজেড ব্যবসায় জড়িত। এদের কেউ কেউ ইপিজেডের সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ও এনজিওতে কর্মরত রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রায় শতাধিক গার্মেন্টেস মালিক ভারতীয় নাগরিক। আর তাদের মালিকানায় রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক ফ্ল্যাটবাড়ি।

পাকিস্তানের নাগরিকদের মধ্যে সিংহভাগই গার্মেন্টস, কাপড় ও চামড়া ব্যবসায় জড়িত। নেপালের নাগরিকদের মধ্যে বেশির ভাগই ছাত্র। এরা ডাক্তারী বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এদেশে এসেছে। কেউ কেউ পাস করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে। ভুটানের নাগরিকদের বেশির ভাগই গ্যাস সেক্টরের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি হিসেবে কর্মরত রয়েছে। শ্রীলংকার নাগরিকরা মূলত তৈরী পোশাক-ব্যবসা ও পেশায় নিয়োজিত। আর মালদ্বীপের নাগরিকদের মধ্যে অধিকাংশই নার্সিং পেশায় জড়িত। এছাড়া মালদ্বীপের বেশ কিছু নার্সিংয়ে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এসব নাগরিকদের মধ্যে বিশেষত ভারতীয় নাগরিকরা অবৈধ পথেই নিজ দেশে যাতায়াত করে। বর্ডার গার্ড ও পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক শ্রেণীর সদস্যেদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও সখ্যতার কারণে এবং আ’লীগ সরকারের ভারত তোষণনীতির কারণে অবৈধভাবে থাকা এসব নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অবৈধভাবে অবস্থানকারী নাগরিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে একটি সংস্থা বেশ তৎপর রয়েছে। সংস্থার শীর্ষস্থানীয় এক পদস্থ কর্মকর্তার মতে, নতুন সরকার স্থিতিশীল হলে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।



লিনক

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

সোহানী বলেছেন: মনে হয় ঠিক তাই... কিছুদিন আগে আইটিখাতের কিছু পরামর্শকের প্রয়োজন হয়েছিল আমার দেখলাম যেকয়জন আসছিল সবই ভারতীয়...

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

অচেনা সহযোদ্ধা বলেছেন: আশা করি পোস্ট টি ব্লগ admin নির্বাচিত পোস্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবেন

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


বিডিআর কিলিংয়েও নাকি তাদের লোক বিডিআরের পোষাক পড়ে কাজ করেছে..
হেফাজতের অবরোধ প্রতিরোধে শনির আখড়ায় নাকি অনেকেই শুনেছে পুলীশের পোষাক পড়া লোকদের মূখে হিন্দি ভাষার আক্রমনের নির্দেশ-সবলোগকো মার ডালো!!!!
পেট্রোল বোমা গ্রুপেও যে তারা নেই কে বলবে!!!

সর্বনাশ!! আমাদের এত এত বিভাগ তবে করছেটা কি?

আর সরকারের ভারত তোষন ণীতিতে কাজ না করতে পারলেও তথ্যতো ছড়িয়ে দিতে পারে- যাতে দেশ ও জনতার কল্যান রয়েছে।


৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

নিকষ বলেছেন: প্রত্যেক বছর ৩.৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করে ভারতের শুয়োরগুলি।

১২ লাখ, শালাগুলিরে একটা একটা কইরা ধইরা কাঁটাতারের বেড়ার উপ্রে ঝুলাইয়া দেয়া হোক।

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সব আন্দোলন, নাসকতা অবরদ ব্যার্থ হয়ে যাওয়ার পর -
আবার সেই পুরনো অস্ত্র - 'বারত যুযু'

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: @ বালবৈশাখি- এত জ্বলে কেন? রুট কি ভারতে নাকি!!!! X( X( X(

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

নীলতিমি বলেছেন: বালবৈশাখির বাল ছিড়লো কেডা! X( X(

৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: @ বালবৈশাখি- এত জ্বলে কেন? রুট কি ভারতে নাকি!!!!


নীলতিমি বলেছেন: বালবৈশাখির বাল ছিড়লো কেডা!



X( X( X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.