নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোলা জীবন, খোলা বই, খোলা পাতা

I am what I am and that's how I would be. No I am not stubborn. I just want to be myself.

শাফ্‌ক্বাত

একজন মা এই ব্লগের কোন ছবি, লেখা বা মন্তব্য (সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে) লেখকের পূর্ব-অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা। ধন্যবাদ।

শাফ্‌ক্বাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুলের পাঠ্য আমার বই... মনে পড়ে গেল

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:০৯

প্রথম কবিতাটা কোন ক্লাসে পড়েছিলাম? আমার বই প্রথম ভাগ? সিংহ মামা, সিংহ মামা, করছো তুমি কী? এই দেখ না কেমন তোমার ছবি এঁকেছি!! কিংবা ভোর হল দোর খোল খুকুমণি ওঠো রে...

জানিনা সবার এমন হয় কিনা, আমি প্রতিটা কবিতা পড়ার সময় নিজেকে কবিতার বিষয়বস্তুর মাঝখানে কল্পনা করে নিতাম। একেবারেই পড়ুয়া ছিলাম না, পড়তে ভাল লাগতোই না। কিন্তু সেই ছোটবেলার ছড়াগুলো বড়বেলায় অনেকবার আউড়ে গেছি।

যে বছর খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো পড়লাম সেবছরই একটা কবিতা ছিল এরকম একদা এক বাঘের গলায় হাড় ফুটিয়াছিল...না না না গান না খোকন, গল্প তুমি বল... আরেকটা তো আমরা ভাইবোনেরা ট্রেনে উঠলেই বলতাম

মামুদ মিয়া বেকার

তাই বলে কি সাধ নাই তার বিশ্ব ঘুরে দেখার?

আসলে পরে চেকার

বললো হেসে মামুদ মিয়া "ট্রেন কি তোমার একার?"




একই বইয়েই ছিল

ক্রিং ক্রিং টেলিফোন হ্যালো হ্যালো হ্যালো

কে তুমি, কাকে চাও, বলো বলো বলো।

আমি ম্যাও, হুলো ক্যাট, ইঁদুরকে চাই।

জরুরী আলাপ আছে, তুমি কে হে ভাই?

আমিই ইঁদুর, তবে কথা হলো এই

আমি গেছি মার্কেটে, বাড়িতেই নেই!

ক্রিং ক্রিং টেলিফোন, শোন হে ইঁদুর...

শুনবোনা, শুনবোনা, দূর-দূর-দূর!!




সেই কাজলা দিদির কবিতাটা পড়ে খুব মন খারাপ হতো। আমার বড়বোনের বিয়ে হয়েছিল সদ্য, কবিতা টা পড়লে ওর কথা মনে পড়তো খুব।

বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-

মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?

পুকুর পাড়ে, নেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে

ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই।

মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?



সেদিন হতে দিদিকে আর কেনই বা না ডাকো

দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?

খাবার খেতে আমি যখন দিদি বলে ডাকি তখন-

ও ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো,

আমি ডাকি, তুমি কেন চুপটি করে থাকো?



বল্ মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?

কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুলবিয়ে হবে!

দিদির মত ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকাই গিয়ে

তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে র'বে?

আমিও নাই, দিদিও নাই- কেমন মজা হবে!



ভুঁইচাঁপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল

মাড়াসনে মা, পুকুর থেকে আনবি যখন জল

ডালিম গাছের ডালের ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,

দিস না তারে উড়িয়ে মাগো, ছিঁড়তে গিয়ে ফল-

দিদি এসে শুনবে যখন, বলবে কি মা বল?



বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-

এমন সময় মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?

বেড়ার ধারে, পুকুরপাড়ে ঝিঁ-ঝিঁ ডাকে ঝোপে- ঝাড়ে

নেবুর গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতো জেগে রই-

রাত যে হল, মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?




ক্লাস টু-তে মনে আছে পিকনিক নিয়ে একটা ছড়া ছিল যেটা আমরা নিজেরা চড়ুইভাতি করতে গেলে বলতাম...

নুরু, পুসি, আয়শা, শফি সবাই এসেছে

আমবাগিচার তলে যেন তারা হেসেছে।

রাঁধুনীদের সখের রাঁধার পড়ে গেছে ধুম...

বোশেখ মাসের এই দুপুরে নাইকো কারো ঘুম।

বাপ মা তাদের ঘুমিয়ে আছে এই সুবিধা পেয়ে

বন ভোজনে মিলেছে আজ দুষ্টু কটি মেয়ে।

কেউ বা রাঁধে কোর্মা পোলাও কেউবা রাঁধে ভাত,

কেউ বা বলে "দুত্তরি ছাই পুড়েই গেল হাত"

...।




ছিল মজার কবিতা, যতবার পড়তাম, নিজেই হেসে কুটোপাটি!!

হাসতে নাকি জানেনা কেউ

কে বলেছে ভাই?

এই শোন না, কত হাসির খবর বলে যাই।

খোকন হাসে ফোকলা দাঁতে

চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে।

কাজল বিলের শাপলা হাসে, হাসে সবুজ ঘাস...




এখন মনে করতে গেলে দেখি যত বড় হয়েছি, ততো ভুলেছি। অনেক বাচ্চা ক্লাসের ছড়াগুলো যত সহজে মনে পড়ে, ওপরের ক্লাসের গুলো মনে পড়লেও খুবই কম। নিচের ক্লাসের শিক্ষণীয় ছড়াগুলো যেমন অনেক সহজবোধ্য ছিল, তেমনি যত উপরের দিকে উঠেছি, ছড়া হয়ে গিয়েছে কবিতা, আর সেই কবিতার ভিতরে লুকিয়ে থাকা মানে বের করতে দাঁতে কলম কামড়াতে হতো। কিছু কিছু কবিতা চরম বোরিং ছিল আবার তারমধ্যে শেখারও অনেক কিছু ছিল। আপনারে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে, বড় সেই হয় মনে আছে এই পদ্যটা কেন জানি মুখস্থ করতে কষ্ট হয়েছিল, যেমন কঠিন মনে হতো মা কথাটি ছোট্ট অতি, কিন্তু জেনো ভাই, ইহার চেয়ে নামটি মধুর তিনভূবনে নাই। যেবছর থেকে কবিতা মুখস্থ লিখা ও তার মধ্যে আমার ঘন ঘন বানান ভুল করা শুরু হলো, সেবছর থেকে আগ্রহ কমতে থাকলো। এর মধ্যেই ক্লাস ফাইভে এক গদ্য পেয়ে গেলাম যেটা কিনা ছড়ার ছন্দে লেখা!! আমার এত পছন্দ হলো যে আমি অনেক কষ্টে সেই গদ্য মুখস্ত করলাম। বেশিদিন মনে রাখতে পারিনাই। তাই ছোটভাইয়ের বইয়ে যখন খুঁজতে গেলাম দেখি ওটা পাঠ্যবই থেকে মুছে ফেলেছে। এক ছোট ছেলে মাহবুব সারাজীবন তার মনিবের হাতে মার খেত, আর মনিব কে ভীষণ ভয় পেত। একদিন সে কিভাবে প্রতিবাদ করে বদলে গেল তারই কাহিনি।



সবাই অবাক, সবাই ভাবে, ব্যাপারখানা কী?

ভয়কাতুরে মাহবুব আজ এমন সাহসী?

কাঁপুনি নেই, কঁকানি নেই, হেঁট করে নেই মাথা

দুটি চোখে ভীরুতা নেই, জড়ানো নয় কথা।

...তাকে কেঁচোই বলা যেতো-রাতারাতি মানুষ হলো সে,

আহা, মানুষ মানে ছেলেমানুষ, তার তো বয়স বেশী নয়-

কিন্তু কেঁচো ছেলে কোন সাহসে বদলে পরিচয়

শক্ত মেরুদন্ড সহ মানুষ ছেলে হয়?

সেই কাহিনিই বলি।

তখন গোধুলি।

সূয্যি গেছে ডুবে।

আঁধার নামে পূবে...


গল্পটার শেষের কথাটা ফাটাফাটি অত্যাচারী চিরকালই ভীরু। যতই মোটা হোক না দেহ, সাহস বেজায় সরু।



এভাবেই বুঝি সাহিত্যপ্রেম হয়। কতশত ছড়া, কত কবিতা, কত প্রবন্ধ পড়া হলো ক্লাস টেন অব্দি। যে কয়বছর মা হাতে ধরে পড়িয়েছেন সে কয়বছর মনে হয় আদ্যোপান্ত মনে আছে। লাগামে ঢিল পড়ার পর মনে হয় মন সরে গিয়েছে সেবা প্রকাশনী, সাথে অন্যান্য যা হাতের কাছে পাই। ক্লাস নাইন থেকে চালাচালি শুরু করলাম mills & boon...সে অন্য কাহিনী, আরেকদিন নাহয় লিখব। আমার জায়গায় নুশেরাপু হলে এই নিয়ে আরো অনেক ক্যাচাল পাড়তে পারতো, কিন্তু আমার আবার অত লম্বা লেখা আসেনা। নিজেই খেই হারিয়ে ফেলি।

তবে একটা আফসোস এখন হয়। ক্লাস ফাইভ অব্দি আমার বই গুলো সব জমিয়ে রাখা উচিত ছিল।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫৪

অলস ছেলে বলেছেন: শৈশব। আহ শৈশব। ঐসময়ের পড়াগুলোর কথা মনে নেই তেমন আর। শুধু আবছা ভাবে আম্মার পড়ানোর কথা মনে পড়ে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:০৮

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: হায়রে মা-এর পড়ানো!!

আমাদের আম্মাদের পড়ানোর স্টাইলই ছিল অন্যরকম। একহাতে রান্নার খুন্তি, অন্যহাতে বেত। এই দেখা গেলো আমার সাথে পড়ার টেবিলে, আবার দেখা গেলো রান্নাঘরে চুলোর পাশে। আমার মা'র গায়ে সবসময় একটা রান্না-রান্না গন্ধ পাওয়া যেত। মায়ের হাতে বানানো দুধেও সেই গন্ধ পেতাম। অন্য কেউ দুধ বানিয়ে আনলে সেই গ্লাস ছুঁয়েও দেখতাম না!!

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫৭

আমি নীল আকাশ বলেছেন: আহা রে, সেই দিন গুলি কি মজার ছিল! মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে আবার যদি ফিরে যেতে পারতাম। পোষ্ট টি দেখে নসটালজিক হয়ে গেলাম রে..

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:১০

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: আমরা ভাইবোনরা ছড়াগুলো এখনও নিজেরা নিজেরা বলি। জাইনা-কে "ক্রিং ক্রিং" ছড়াটা শিখিয়েছিলাম, ও নার্সারীতে ক্লাসে শুনানোর পর তার ক্লাস-টীচার মূূূ-গ্ধ!! ;)

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:০৯

মেঘের পরে মেঘ বলেছেন: লেখা পড়ে নস্টালজিক হলাম। শৈশবের সেই রংগীন দিনগুলো যদি আবার ফিরে পেতাম! আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। চাইলেও সেই দিন গুলোতো আর ফিরে পাবনা। এখন যেটা করতে পারি, আমাদের উত্তরসুরীদের দিন গুলোও যেন এমন আনন্দময়, স্মৃতিময় হয় সে ব্যবস্হা আমরা করতে পারি।

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:২৩

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: আমাদের উত্তরসূরীদের জন্য সেরকম অনেক কিছু দরকার, যেটা আমরা পেয়েছিলাম কিন্তু ওরা পাবেনা।
১) সেরকম "মা" দরকার। আমাদের মা-য়েরা বিরল প্রজাতির মত অবলুপ্তির পথে। তাঁরা যে খুব বেশী মনযোগ দিতেন তা'নয় কিন্তু তাঁদের নিজস্ব লাইফ বলে কিছু ছিলনা, তাই নিজেদের মা-ভূমিকার বাইরে তাঁরা আর কোনও চিন্তা করতে পারতেন না। আমরা আমাদের বাচ্চাদের অনেক বেশী অ্যাটেনশন দেই। কিন্তু মনের কোণায় আরো হাজারটা প্রায়োরিটি সেট করে রাখি...আমাদের মায়েদের মত জেনুইন বাংলা-রান্নার চাইতে আমরা কেক-পিজ্জা রান্নাতে দক্ষতা অর্জন করি...মোদ্দা কথা সেরকম জেনুইন মা আমরা হতে পারি, আমাদের মায়েদের মত?
২) সেরকম "পরিবার" দরকার। আমরা গন্ডা গন্ডা ভাইবোন পাড়া প্রতিবেশী একসাথে মারামারি করে খেলে ভাগাভাগি করে খেয়ে বড় হয়েছি। সেটাও কিন্তু আমাদের ছোটবেলার মধুর স্মৃতির একটা বিরাট জায়গা জুড়ে আছে।
৩)সেরকম খেলার মাঠ কই?
৪)সেরকম স্কুল কই? আমাদের স্কুলের টিচাররা প্রাইভেট পড়ানোর ব্যবসা করতেন না। সিনিয়র ক্লাসে কেউ কেউ ব্যাচে পড়ালেও তার জন্য স্কুলের পড়ানোতে কমতি হতোনা। আমাদের সময় এডেক্সেল/ক্যামব্রিজ এর নামও শুনিনাই। এক এস.এস.সি পাশ করেই সবাই কলেজ-ইউনি পাশ করে চাকরি তে ঢুকতো। আর এখন?...কনফিউজড্ কোনটা ভাল কোনটা খারাপ, কোনটা তে আল্টিমেটলি কী হবে!

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:১৭

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: আসলেই "আমার বই"-গুলো জমিয়ে রাখা উচিত ছিল! ছেলেবেলার সব স্মৃতি যেন ওইসব বইয়ের পাতায় পাতায় ডুবে আছে। দারুন লিখেছেন। ছোটবেলার বাংলা বইগুলো ছিল খুবই প্রিয়। অনেক কিছু মনে আছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করে যেতে পারব এসব নিয়ে। ভালো থাকুন!

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৫

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: আমি লেখাটা লিখবার সময় অনলাইলে সার্চ দিয়ে দুঃখ পেলাম। ইংরেজী নার্সারী রাইম্সের ভান্ডার অফুরন্ত কিন্তু বাংলা ছড়াগুলো কোথাও পেলাম না :(

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:১৯

পারভেজ বলেছেন: উপরের সবগুলি কবিতার কথাই তো মনে পড়লো! তবে এগুলো কি আমাদেরও পাঠ্য ছিল কিনা মনে নেই। গল্পের বইএর নেশা ধরেছিলো ক্লাশ টু থেকে; প্রথম পড়া গল্পের বই নাম এখনো মনে আছে! 'কুমীরের বাপের শ্রাদ্ধ' :)
এরপর সারাজীবনে মায়ের হাতে যতো মার খেয়েছি সব গল্পের বই পড়া সংক্রান্ত B:-/

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪২

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: গল্পের বই নিয়ে একদিন লিখি, চলেন! কী কী বই পড়েছি তার চেয়ে বেশী লিখা যাবে গল্পবইকে ঘিরে চমকপ্রদ ঘটনাগুলি!!

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:২১

বড় বিলাই বলেছেন: আমার বইয়ের পাশাপাশি আরেকটা বই ছিল 'চয়নিকা', যেটা পরে পাঠ্যবইয়ের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়, এই বইতেই বেশী মজার মজার কবিতাগুলো ছিল।

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:২৫

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: ঠিক ঠিক। আমার লেখাটাতে আসলে চয়নিকার দুইটি ছড়া আছে!! ক্রিং ক্রিং আর মামুদ মিয়া! বইটা নিউজপ্রিন্ট কাগজের ছিল :)

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:০২

শেরজা তপন বলেছেন: দুর মিয়া -দিলেনতো পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে...!

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৩

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: পুরান কথা বুঝি শুধু?
পুরান ছড়া মনে পড়েনাই কোনও?

শোনেন ভাই, পুরান হৈলো খারাপ...ক্লাস এইটে মনে হয় পড়সিলাম

"ওরে নবীন ওরে আমায় কাঁচা!
নস্টালজিক বুইড়া যত আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা!!"

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪

অলস ছেলে বলেছেন: মন্তব্যের উত্তরগুলো পড়লাম। পুরনো দিনের সবই ভালো, ঠিক আছে। সেই গ্রামের নিখাদ বিশুদ্ধতা, সেই সম্পর্কের মাধুর্য সবই অনেক বেশি ছিলো, একমত। তাই বলে এখন যে পুরোটাই খারাপ তা আমি মানি না। আমাদের নৈতিকতা, মানসিকতা খারাপ হয়ে গেছে। এই ভিত্তি ভালো হলে বস্তুগত সব সীমাবদ্ধতা কাটানো যায়।

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৬

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: এই আইল্সা ছেলে!! আমি কি বল্ছি এখনকার পুরাটাই খারাপ?
আইল্সামি করে লিখা না পড়ে খালি কমেন্ট পড়ে দায়সারা পাল্টা কমেন্ট করলে হবে?
আইল্সা কোথাকার!!
আইল্সামি করার পানিশ্মেন্ট হিসেবে আপনাকে "সফদার ডাক্তার" ছড়াটা মুখস্থ লিখতে হবে, কোনও বানান যেন ভুল না হয়!!

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৩২

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
আগে কাজলা দিদি থেকে খানিকটা তুলে দেন, তারপরে কথা.....

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৯

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: Click This Link

গান শুনেন...(অনলাইনে পেলাম) ;)

১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১০

অলস ছেলে বলেছেন: দ্বিতীয় মন্তব্য টা যখন লেখছিলাম, মনের ভেতর কূ-ডাক ছিলো। কারণ মুলসূরের সাথে যায় না। ইনষ্টিংক্টকে পাত্তা না দিয়ে ভুল করেছি, ভাব নিতে গিয়ে ধরা :(

১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৪৮

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: মানে, বড় মাপের ব্লগার আপনি... অ্যামেচার একজনের লেখার উপর একটু ভাব নিতেই হবে, না?
আমি আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে ভাবছিলাম, একটা :( ইমো হয়তো পাল্টা কমেন্টে আসবে।
তাই-ই হলো। ইনষ্টিংক্টকে পাত্তা না দিয়ে ভুল করেছি, পানিশ্মেন্ট দিতে গিয়ে ধরা। আপনি মনে হয় আপনার ব্লগে আমারে এবার ব্যান করে দিবেন :(

১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
কবিতাটি পোস্টের মাঝে জুড়ে দেওয়ার জোর দাবী জানাই।

ছোটবেলায় কবিতা বুঝতাম না। তবু তখনও এই কবিতাটা ভালো লাগতো।
অনেক পড়ে এসে বুঝেছি এটা একটি অসাধারণ কবিতা। কবিতার কোথাও বলা হয়নি কাজলা দিদি'র আসলে কি হয়েছে। কিন্তু পাঠকের হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গভীর শূন্যতা। এটাই কবিতার সার্থকতা।
অনেক বিখ্যাত কবিই লাশের পর লাশ, কবরের পর কবর রচনা করে যান পাঠককে কাঁদাতে, পাঠক হৃদয়ে জোর করে বেদনার অনুভূতি সৃষ্টি করতে অক্লান্ত চেষ্টা করেন।

বাগচী এখানেই সার্থক।

অটঃ বাড়ীর কাছের মানুষ বলে হয়তো যতীন্দ্র মোহন বাগচী'র প্রতি আমার বিশেষ দূর্বলতা রয়েছে।

১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৪৩

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: দাবী মানা হয়েছে। পারলে স্মৃতির সবকটি কবিতাই সম্পূর্ণ জুড়ে দিতাম, কিন্তু আমার আমার লেখার কলেবর বৃদ্ধিতে অ্যালার্জি আছে।
কবিতাটা পড়লে আসলেই কেমন বুকটা খাঁ-খাঁ করে।
যতীন্দ্র মোহন বাগচী'র বাড়ী কৈ? সেখানে কি কোথাও এই কবিতা লেখা কোনও সাইনবোর্ড আছে?

১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২৩

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: দাবী নামা গৃহীত হয়েছে দেখে খুশি হলাম।
আপনার লেখা এমনিতেই বেশ ভালো, দৈর্ঘে বড় হলেও অসুবিধা হবে না যদি সুখপাঠ্য হয়।
বাগচীর বাড়ী ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বাগচী গ্রামে।
আমাদের পাশের জেলা, পাশের উপজেলা। তবে দূরত্বে খুব কাছাকাছি।
আমাদের বাড়ীর পাশের কবি হলেন কাজী কাদের নওয়াজ ও ফররুখ আহমদ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২৩

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: হুমমম

১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৫

যীশূ বলেছেন: মনে পড়ে গেল। :)

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৪

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: :)

১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:০০

ভুরিদত্ত বলেছেন: ক্ল্যাস ফোরে এই কবিতাটি পাঠ্য ছিল। জোশ!

অবনী বাড়ি আছো

শক্তি চট্টোপাধ্যায়

দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া
কেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া
‘অবনী বাড়ি আছো?’
বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাস
এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে
পরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাস
দুয়ার চেপে ধরে–
‘অবনী বাড়ি আছো?’
আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয়ে পড়ি আমি
সহসা শুনি রাতের কড়ানাড়া
‘অবনী বাড়ি আছ’


১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫১

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: কোন আমলে ভাই?
আমি তো পড়িনাই?
আমার আগের আমলে, না পরে?

১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২০

নাজনীন১ বলেছেন: পিকনিকের কবিতাটি ভুলেই গিয়েছিলাম, এখন আবার মনে পড়লো।

আমার আরেকটা কবিতা ভাল লাগতো, আসমানী দেখতে যদি তোমরা সবে চাও............, আমি হব সকাল বেলার পাখি...।

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২৫

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: হ্যাঁ হ্যাঁ, আরো অনেক ছিল প্রিয় কবিতা, বইগুলা যে কই গেল!! আহা রে!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.