![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পলায়ন করিব না, কেননা পলায়নে পরাজয়, আমি বরং ধ্বংস হইব ,তবু পরাজয় বরন করিব না ......
আমি বসে আছি একটি চেয়ারের মত যায়গায়। চেয়ারে গদিটদি কিছু নেই, তবে বসতে খুবই আরাম। আমি যেভাবে কাত হই,চেয়ারটা সেইভাবে কাত হয়। একবার পা তুলে বসলাম- অদ্ভুত কান্ড চেয়ারের বসার যায়গাটা বড় হয়ে গেল। ঠিক আমার পায়ের মাপে মাপ। যেন জিনিসটা পা রাখার জন্যই তৈরি করা হয়েছ। পা নামিয়ে নিলাম বসার যায়গাটা আবার ছোট হয়ে গেল।
আমি যে ঘরে বসে আছি সে ঘরটা সম্ভবত আমার, কারন আর কাউকে ঘরে দেখছি না। ঘর না বলে বলা উচিত গোলক। দেয়ালে কয়েকটা মনিটর, সবকটা মনিটরে কিছু না কিছু লেখা উঠছে। আবার মিলিয়ে যাচ্ছে। বুদ্ধিমান মানুষেরা এইসব মনিটর দেখে অনেক কিছু বুঝে ফেলবেন। আমি বুদ্ধিমান না। একটা মনিটরে ক্রমাগত কিছু নাম্বার উঠছে। মাঝে মাঝে নাম্বারগুলি পড়তে চেষ্টা করি----
৫৪৬৬৮২
৫৪৬৬৮০
৫৪৬৬৮৩
অর্থহীণ ব্যপার। কিংবা কে যানে অর্থ নিশ্চই আছে আমি জানি না। ঘরের মধ্যে খাবারের যায়গা। খাবারের ঘরে ছোট্ট একটা ঠেবিল আর চেয়ার। আমার যে কোন প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য একটি রোবট আছে। রোবটার গলা খুব মিষ্টি। ষোল সতের বছরের তরুনীর মত ঝরমলে গলা। রোবটের ভয়েস-সিনথেসাইজার নিশ্চই কোন চমৎকার মেয়ের গলার স্বর কপি করে তৈরি করা। রোবটার স্বর শুনতে আমার ভাল লাগে, যদিও আমি তাকে ব্যপারটা জানতে দেইনি।
প্রথম দিনে আমি রোবটাকে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার নাম কি?
রোবট মিষ্টি করে বলল, আমি খুব সাধারন রোবট, আমার কোন নাম নেই, তবে আপনি আপনার সুবিধার জন্য আমাকে যে কোন নামে ডাকতে পারেন।
আচ্ছা শোন যা খাচ্ছি সবই কি আসল খাবার না নকল খাবার ?
অবশ্যই আসল খাবার, তবে প্রকৃতিক উৎস থেকে নয়, ল্যাবোরেটোরিতে তৈরি। পৃথিবীর যাবতীয় খাবারের মাত্র ছ’টা গুন থাকে। টক,ঝাল,মিষ্টি,নোনতা,তিতা এবং গন্ধ। এই ছ’টা জিনসের হেরফের করে আপনার জন্য খাবার তৈরি করে দেওয়া হয় ।
আচ্ছা ঠিক আছে। আজ থেকে তোমাকে আমি রিনি বলে ড্কব ।
আমি চুপচাপ বসে আছি। রিনি আমার সামনে মগভর্তি কফি রেখে গেছে। তাকে আমি কফি দিতে বলি নি। এই কাজটি যে সে করল, তার পেছনে কি কোন মমতা কাজ করছে? দূর এসব আমি কি ভাবছি । নিজের উপর বিরক্তি বোধ করছি। মমতা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি কেন? মমতার জন্য আমার এই ব্যকূলতা কেন? একজন খনি শ্রমিকের জীবনে মমতার কোন স্থান নেই।
আমার মাথায় অস্পষ্টভাবে কিছু একটা খেলা করছে। আমি স্বস্তিবোধ করছি না। আমি সামন্য খনি শ্রমিক, কফি নামক এই মহার্ঘ পানীয়ের সাথে আমার পরিচয় থাকার কথা না। কিন্তু এই পানীয় আমার এত পরিচিত লাগছে কেন? কেন যেন মনে হচ্ছে আমি সমুদ্রের একটা যায়গায় কারও সাথে কফির মগ হাতে বসে থাকতাম। দু’জনে বসে সমুদ্র দেখতাম।
রিনি, তুমি কি আছ?
আমি আছি ।
তোমার গলার স্বর এমন বিষন্ন শোনাচ্ছে কেন ?
আমার গলার স্বর আগের মতনই আছে, কোন কারনে তুমি বিষন্ন হয়ে আছো তাই আমার গলার স্বর তোমার কাছে বিষন্ন শোনাচ্ছে।
আমি আসলে কে?
তুমি যান তুমি কে, কিন্তু তুমি তা গ্রহন করতে প্রস্তুত নও। প্রস্তুত নও বলেই, তোমার মস্তিস্কের একটা অংশ ব্যপারটা জানে না। তোমার মস্তিস্কের সেই অংশটি ধরে নিয়েছে জানলে তোমার প্রচুর ক্ষতি হবে। সে ক্ষতি হতে দেবে না। কাজেই সে তোমাকে রক্ষা করার চেষ্টা শুরু করেছে। সে ঠিক করেছে কোনদিনই তোমাকে কিছু জানাবে না। বুঝতে পারছ? তোমার স্মৃতি বেশির-ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। খুব সামান্যই আছে ।
স্মৃতি কে নষ্ট করেছে, তুমি?
হ্যাঁ আমি। তোমার নাম রাহাত। রাহাতের স্মৃতি নষ্ট করে সেখানে একজন খনি শ্রমিকের স্মৃতি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। মস্তিস্কের অনেক নিউরন নষ্ট হয়। যে পদ্ধতিতে এটা করা হয় তার নাম----ইন্টারফেরেন্স রি এন্ট্রি । তুমি একটি প্রজেক্টের স্পেসিমেন। তোমার ডিএনএ প্রেফাইলের বিশেষত্বের কারনে অনেক আগে থেকেই তোমার উপর নজর রাখা হচ্ছিল।
তোমাকে যে নামটা দিয়েছি-, এই রিনি নামটা আমার অনেক পরিচিত মনে হয়। মনে হয় সমুদ্রের ধারে আমি আর রিনি একসাথে বসে কফি খেতাম। রিনি কি আমাকে এখানে আনার ব্যপারে কোন ভূমিকা পালন করেছে ।
হ্যাঁ, তোমাকে এখানে আনার ব্যপারে বিজ্ঞান পরিষদ থেকে তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়, এবং সে তা খুব ভালভাবেই পালন করেছে ।
আমার মনে হয়েছে তুমি আমার প্রতি মমতা অনুভব কর।
ঠিক মমতা নয় তোমাকে দিয়ে ‘ক্লোন-সম্প্রদায়’ সৃষ্টি করা হবে । এই ক্লোন দ্বারা সৃষ্টি হবে অসাধারন বুদ্ধিমান প্রানী। কিন্তু আমার লজিক বলছে মানবগোষ্ঠির বিকাশ ক্লোনের মাধ্যমে হওয়া ঠিক হবে না। হয়তো আমার লজিক বোর্ড এলোমেলো হয়ে গেছে। এই যে তোমাকে সবকিছু খুলে বললাম, এটা আমার লজিকের বাইরে।
আমি লম্বা হয়ে শুয়ে আছি এবং এক বিষাক্ত বিষ আমি আমার শরীরে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বিষ তার কাজ শুরু করে দিয়েছে। শরীরের সবগুলো কোষ ধীরে ধরে নষ্ট করে দিচ্ছে। খুব ঠান্ডা লাগছে, বাহিরে কি বৃষ্টি হচ্ছে। মনে হয় না, এই শৈত্যের জম্ন আমার শরীরের কোষের কেন্দ্রবিন্দুতে।
রিনি একবার বলেছিল ,আমরা ঝুমঝুম বৃষ্টিতে সারাদিন ভিজব। আমার মনে আছে, কিন্তু আমার মনে থাকা না থাকায় তো কিছু আসে যায় না। এই বিশ্বভ্রমান্ডের যিনি নিয়ন্ত্রক, তার কি মনে আছে? রিনির ভালবাসাটা ভালবাসা ছিল না। ভালবাসার অভিনয় ছিল। তাতে কি আমার ভালবাসায় তো কোন খাদ ছিল না।
মানুষের মনে স্বপ্ন ঢুকিয়ে দিয়ে সৃষ্টির্কতা কি দূরে চলে যান। মনে হয় না, হয়তো খুব কাছেই থাকেন। স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় মানুষ যখন কষ্ট পায়, হয়তো তিনিও পান। কারন এইসব স্বপ্ন তো তিনিই তৈরি করেছেন। স্বপ্ন ভঙ্গের কষ্ট অবশ্যই তাকে সইতে হবে ।
০১.০৪.২০১৭
০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ, ফরিদ ভাই। শুভ কামনা রইল ।
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:২৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: বাহ ভালোইতো সাইন্স ফিকশন লিখে ফেললে! থিমটা একটু কমন তবে খুব সুন্দর হয়েছে লেখা।
শুভ কামনা ভাই।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
দুইটি মাত্র অভিনেতা, আপন আপন অংশ অভিনয় করছে। তার সাথেে আমার যে ঠিক কিরূপ সম্পর্ক ছিল তাহা নির্ণয় করা কঠিন, কারণ, সে আবেগশুন্য তবে ভাষাবিশিষ্ট, আর আমি আবেগ আমার কাছে যেন দুঃস্বপ্নের ন্যয় আর্বতিত। সুতরাং উভয়ের মধ্যে সমভাষা ছিল না।
ক্ন্তিু আমাদের এই অভিনয়ের অবকাশে, সংসাররঙ্গভূমিতে কত স্থানে কত অভিনয় চলছে তার সংখ্যা আমার জানা নাই।
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তাহলে গল্পের আড়ালে ভালবসাটাই মুখ্য!! ভুল করছি না তো??
০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
যিনি বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী লিখবেন তাকে অবশ্যই বিজ্ঞানের ছত্রছায়ায় থাকতে হবে, এই তথ্যটা আমার মনে থাকে না বড়ভাই। তাই এক পর্যায়ে এটি হয়ে গেল ভালবাসার গল্প।
আপনার বিশ্লেষন সঠিক। এটি ভালবাসার গল্প, বিজ্ঞান খুজে পাওয়া যাবে না ।
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১
জুন বলেছেন: সহজ সরল সাইন্স ফিকশন গল্প আমার খুব ভালোলাগে যেমনটি লাগছিল আপনার গল্পটি । কিন্ত বড্ড তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল মুশি ১৯৯৪
+
০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
লিখতে গেলেই বিচ্ছেদ বেদনা স্তব্ধ রাত্রির অনন্ত যাত্রার পথিকের মতো আমার দরজার কাছে চুপ করিয়া দাঁড়ায় । সাথে যোগ হয় মেঘমালার অশ্রু, সে অশ্রু যেন আর শেষ হইল না, চিরকালের জন্য ভরিয়া রহিল। তাই তো গল্পগুলো থেকে যায় অসমাপ্ত, শেষটা আর লেখা হয় না ।
মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫৭
মানবী বলেছেন: আগামী সব গল্পগুলোই এমন আত্মহনন দিয়ে শেষ হবে কিনা বুঝতে পারছিনা!
মানুষের জীবনে যতো কষ্টই হোক, আত্মহনন কখনও তার সামাধন হতে পারেনা।
যিনি তাঁর ব্লগের পরিচয়ে লিখে রাখেন "পলায়ন করিব না, কেননা পলায়নে পরাজয়, আমি বরং ধ্বংস হইব ,তবু পরাজয় বরন করিব না ...... " তাঁর গল্পগুলোর সমাপ্তি আত্মহনন দিয়ে, এটা বড় বেশী গোলমেলে মনে হয়!! আত্মহননের চেয়ে বড় পলায়ন আর নেই, আত্মাহুই মানেই পরাজয় বরন করে নেয়া!
ফিকশন অথবা নন ফিকশন, আত্মহনন দিয়ে এর সমাপ্তি কখনও কাম্য নয়।
গল্পের সাবলীলতা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, ধন্যবাদ মুশি-১৯৯৪
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
‘শোনা গেল লাশ কাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে ফাণ্ডুন রাতের চাঁদ মরিবার হলো তার সাধ”—— জীবনানন্দ দাশ।
কবিতাটি পড়েই বোধয় গল্পের প্লটটি মাথায় এসেছিল। কিন্তু মানুষের কি কখনো মরিবার সাধ জাগতে পারে। হয়তো পারে, কেননা এই দুনিয়ায় যত যুদ্ধবিগ্রহ এবং যত অন্যায় অবিচার সেইগুলিও যদি মানুষই করে থাকে তবে মানুষ একাধারে যুক্তিশীল এবং অন্যাধারে যুক্তিহীন দুটো কথাই সত্য এ কথা একসাথেই বলতে হয়।
৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৩
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
প্রথমে ছবি দেখে ও পড়া শুরু করে মনে করেছিলাম, এ গল্পটি হিপনোটাইটিস করার মূলমন্ত্রের গল্প হবে। মানে মাইন্ড নিয়ে খেলাধুলা করা টাইপের এবং তা কিছুটাও বটে । গল্পের মাঝ পথে ও শেষে এসে মনে হল সাইন্স ফিকশন গল্প। আবার কিছু লাইন, মনে করিয়ে দিয়ে গেল চলে গেলে । কারো জীবন দর্শনও। গল্পটি পড়ে সত্যিই আমি নিজেই কনফিউসড । আমার অবস্থা যাইহোক না কেন, তবে এ গল্পে কল্পনায় বর্তমানে ও আগামীর লাইভ সাইন্স এবং মৃত সাইন্স নিয়েও লেখা আছে এবং কিছু বিষয় ইঙ্গিত দিচ্ছে । যেমন ধরুন, কোন জিনিষের সাথে অন্য কোন জিনিষের কোন না, কোন ভাবে রিলেশান থাকে। ঠিক তেমনি ...
আজকের দিনের কল্পনা আগামী দিনের বিজ্ঞান ! এই স্লোগান কে সামনে রেখে আমি বিদায় নিলাম।
ভালো থাকুন । ধন্যবাদ ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
যিনি বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী লিখবেন তাকে অবশ্যই বিজ্ঞানের ছত্রছায়ায় থাকতে হবে, এই তথ্যটা আমার কখনই মনে থাকে না ।তাই কল্প গল্পের আড়ালে লিখে ফেলেছি ভালবাসার গল্প।
তবে নিজস্ব দর্শনের কথা যদি বলেন, তা হয়তো কিছুটা আছে। কল্পনা মানেই তো নতুন শব্দ, যখনই আমরা কোনো শব্দ পাব, শব্দটার গিভেন যে অর্থ বাজারে সেটাই আমাদের মাথায় প্রথমে লাফ দিয়ে আসবে। কিন্তু দেখবেন যে ওইটার বিরুদ্ধে লড়াই একটা করতে হবে আপনাকে।
৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আগামী পৃথিবী নিয়ে মানুষের ফ্যানটাসী বাড়ছে; তবে, মানব জীবন নিয়ে বেশী খেলা করার মত সাহস মানুষেরই থাকবে না, তারা কিছুদুর গিয়ে আবার কেন্দ্রের দিকে ফিরে ফিরে আসবে।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩২
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
মানব জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ হবে না। একসময় পৃথিবীতে মানুষ বনেজঙ্গলে থাকতো, সেখান থেকে কিছু মানুষ কিছু মানুষকে দাস করেছে দাস প্রথা তৈরি করেছে। তারপর মানুষ সামন্ত প্রথা তৈরি করেছে। কিছু মানুষ কিছু মানুষের সার্ভেন্ট থাকবে ।
এরপর কি হতে পারে এটা নিয়েই আপনাদের সামনে একটা গোলকধাঁধার মত অবস্থা উপস্থিত করতে চেষ্টা করলাম।
৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫০
ওমেরা বলেছেন: সবাই তো অনেক প্রসংশা আমি আর কি বলব !! ভালই লিখেছেন ধন্যবাদ ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৬
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
যেখানে খুব করে মিল সেইখানেই মিল- বিরুদ্ধতা। লেখাটা কিছুটা সংস্কার রিরোধী। সংস্কার পুরোনোকে রক্ষা করবার জন্যেই নতুন সৃষ্টিকে বাধা দেয়। ভাল লেগেছে বলে ধন্যবাদ।
৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: কল্প গল্পে ভালবাসা এলো, ভালবাসার অভিনয় এলো, ভালই লাগলো।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৫
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
মন্তব্যর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুল ভাই। হৃদয় হাতরিয়ে ভালোবাসার কবিতা খুঁজেই পেলুম না, আগে সেগুলো হৃদয়ে এমনিতেই বাজত। স্পষ্টই বুঝতে পারছি, হাত জোড়া বাধা পড়েছে বিচ্ছেদের শেকলে, কলম ধরব কী দিয়ে?
হয়তো আমি বিচ্ছেদের গল্প লিখব বলেই সমস্ত হৃদয় অপেক্ষা করে ছিল।
১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
মানবী বলেছেন: একটি প্রশ্ন করবো মুশি-১৯৯৪?
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
অবশ্যই করুন আপু। তবে পৃথিবীর অনেক উত্তরই আমার জনা নেই। তাই উত্তর দিতে ইচ্ছো করে না, পাছে অত্যুক্তি করে বসি। তবে লোকে বুদ্ধিমান বলে হঠাৎ ভ্রম করে সেটুকু বুদ্ধি আমার আছে ,তবে সঠিক ঘরের মন-রক্ষার চেয়ে বাইরে মানরক্ষাতেই আমার যত সময় যায়। তবে নিজেকে ভিখারি বলতে একটুও লজ্জা নেই।
১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪
মানবী বলেছেন: প্রশ্ন খুব সহজ।
আপনার কি আমাকে খুব যুদ্ধবাজ কেউ মনে হয় ভাইয়া?? বরাবর আমার সাথে মন্তব্য প্রতি মন্তব্যে যুদ্ধ বিগ্রহ চচলে আসে, তাই মনে এই প্রশ্নের উদয় হলো। যদিও জানা নেই সকলের সাথেই আপনার এমন ঘটে কিনা!
বুশের দেশের মানুষ হবার কারনে আমার যুদ্ধের সমর্থক বলে ব্লগ জীবনের শুরুতে অনেকে অপবাদ দিয়েছিলো, পরবর্তীতে তাঁদের ভুল ভেঙ্গে যায় এবং তাঁদের অধিকাংশই এক সময় আমার প্রিয় ব্লগার হয়ে উঠেন। ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখে ভয় পায়, তাই এমন জিজ্ঞাসা!!!
নিতান্তই নির্বোধের মতো প্রশ্ন মনে হলে আপনাকে দোষ দেয়া যায়না!!
ভালো থাকুন ভাইয়া।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১১
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আসলে আমি যে ধারনাকে ভূল মনে করি, সেরকম পোষ্টে মন্তব্য করার সময় কেবলই ভাবতে হয় যে কী উত্তর দেওয়া যায়। ভদ্রতার একটা বিশেষ অসুবিধা এই যে, সকল স্থানের লোকে তাহাকে বুঝিতে পারে না। অভদ্রতার ভাষা অপেক্ষাকৃত পরিচিত।
মন্তব্য করার সময় চেষ্টা করি সেই রকম ভাবের একটা মুখের মতো জবাব লিখিতে । কিছুতেই হার মানিতে পারিব না।
তবে হারটা যদি হয় আপনার কাছে আপু, তবে সেই হার মানিয়া যে সুখ আমি পাইব তা ভাষায় প্রকাশ করবার নয়।
১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ ঝরঝরে লেখা , পড়ে আরাম পেলাম !
শুভ কামনা
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপু। সবসময় আপনাকে আমার পাশে পেয়ে অনুপ্রানিত
১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাহঃ!! দারুন লিখেছেন তো! লেখায় সাবলিল ভাব, সাহিত্যের মাত্রাও প্রবল, তবে খুব ক্ষুদ্র পরিসরে অনেক বেশি হয়ে গেছে বলে মনে হলো। কাহিনীর ব্যাপ্তি আরও বেশি হতে পারতো। মনে হলো, ইস! এতো তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেল! তবে বেশ মজাদার ছিল, কনডেন্স মিল্কের মতো।
শুভেচ্ছা রইল। সামনে এমন কল্প-গল্প আরও অনেক চাই।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আপনার মত সাই ফাই গুরুর মন্তব্য পেয়ে অনুপ্রানিত বড়ভাই।
আপনি ঠিক বলেছেন, কাহিনীর ব্যাপ্তি আরও বেশি হতে পারতো। মনের জীবন যে জীবনের বা অভিজ্ঞতার জগত দিয়ে পার হয় তাহার ভিতর আকারের বন্ধন কীভাবে ঢুকে পড়ে তা বুঝিয়া লওয়ার কোন বিকল্প নাই। তাই মনে হয়েছে আরও কথা না লিখলেও চলে। জীবিত প্রাণীর জীবনপর্বের ইহাই অর্থপূর্ণ দিক। এই অন্তহীন বন্ধন জীবন ও মরণের সীমানার মধ্যে কিছু একটার স্বাদ পাইতে সক্ষম। বিষাদ ও হর্ষের মধ্যখানকার পুরা বর্ণালিটা জুড়িয়া থাকিতেও ইহা সক্ষম।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর গল্প