![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পলায়ন করিব না, কেননা পলায়নে পরাজয়, আমি বরং ধ্বংস হইব ,তবু পরাজয় বরন করিব না ......
আজ ছুটির দিন। তিনটা বাজে। খবরের কাগজ সকালেই পড়া হয়েছে এখন আবারও পড়ছি কারন আমি লক্ষ্য করেছি খবরের কাগজ দ্বতীয়বার পড়ার সময় অনেক ইন্টারেস্টিং খবর চোখে পড়ে যা প্রথমবারে চোখ মিস করে যায়। এই যেমন দারুন একটা খবর চোখে পড়ল-- ‘কাঠাঁল খেয়ে একই পরিবারের চার জনের মৃত্যু’। দিনাজপুরের বিরামপুর থানার জনৈক মজনু মিয়ার পরিবারে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মজনু মিয়া সকালে নিজের বাড়ীর পেছনের কাঠাঁল গাছ থেকে একটা পাকা কাঠাঁল পেড়ে এনে বাড়ীর সবাই মিলে আরাম করে খেয়েছে। রাতেই মজনু মিয়া ও তার পরিবারের সকলের রক্ত বমি এবং মৃত্যু। আশ্চর্যজনক সংবাদ তো বটেই। বৃক্ষের ফল কি বিষাক্ত হতে শুরু করেছে।
দরজা ধরে কে যেন দাঁড়িয়েছে।
আমি বসে আছি বারান্দায়, আমার পিঠ দরজার দিকে তারপরও আমি যেন স্পষ্ট বুঝতে পারছি পেছনে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। অবাক বিষয় চোখে না দেখেও কি করে বোঝা যাচ্ছে? এমন তো না যে দাঁড়িয়ে আছে তার ছায়া এসে ঘরে পড়েচে। কিংবা তার নিঃশ্বাসের শব্দ আমি পাচ্ছি। আমি বুঝতে পারছি পেছনে কে দাঁড়িয়ে আছে- স্বাতী, আমার মেয়ে। মেয়েটার চুপিচুপি দরজা ধরে দাঁড়ানোর অভ্যাস আছে। মেয়েটার পাখি স্বভাব। পাখি যেমন গোছের ডালে বসে থাকে, কিন্তু কাছে গেলেই উড়ে যায়। আমার মেয়েটাও হয়েছে সেরকম। ঘাড় ঘুরিয়ে আমি তাকালেই সে সরে যাবে।
আমি কিছুটা বিব্রত বোধ করছি। আমি স্বাতীর বাবা নই। আমি চার আলোকবর্ষ দূরের সূর্যের সবচয়ে কাছের নক্ষত্র প্রক্সিমা সেনচুরির গ্রহ ‘জিয়ন’ থেকে পৃথিবীতে প্রেরনকৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমাত্তা সমৃদ্ধ জৈব যন্ত্র। স্বাতীর বাবা জাহেদুর রহমানের দেহটাকে আমি ব্যবহার করছি। ভালবাসা, রাগ ,বিষ্ময়, ভয়- জাতীয় মানবিক আবেগ থেকে আমি মুক্ত। ভালবাসা একটি মানবিক ব্যপার, আমার চিন্তার ধরনে আবেগ প্রকাশ পেলেও আমি তা থেকে মুক্ত। আজকে আমি ফিরে যাব। আমি ফিরে যাবার পড়ে খবর প্রকাশ হবে জাহেদুর রহমান নিখোঁজ। স্বাতী কি তখন খুব কাঁদবে। এসব আমি কি ভাবছি।
বারান্দা থেকে দেখা যাচ্ছে বাইরে ঝুম বৃষ্টি পড়ছে। আমি আর কিছু না ভেবে ছাতা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লাম। রাস্তায় পানি জমে গেছে। আমি পানি ভেঙ্গে হাটাতে রাস্তায় ছপ ছপ শব্দ হচ্ছে। আমি ছপ ছপ শব্দ করতে করতে এগুচ্ছি আমার খুবই ভাল লাগছে। হলুদ স্ট্রিট ল্যম্প জ্বলছে। হলুদ আলো পানিতে নানা রকম নকশা তৈরি করছে। দেখতে এতো ভাল লাগছে। আমার মনে হলো পানি বেড়ে রাস্তাটা অনেকখানি ডুবে গেলে ভাল হতো। রাস্তাটাকে মনে হতো নদী। একটা মানুষ নদীর উপর হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছে। খুবই অদ্ভুত একটা দৃশ্য হতো। হঠাৎ কি মনে করে যেন পিছন ফিরে তাকালাম। মনে হলো বাড়ীর সদর দড়জা দিয়ে স্বাতী আমার দিকে দৌড়ে আসছে। তাই তো মনে হচ্ছে দৌড়াবার ভঙ্গিটাও একেবারে স্বাতীর মত। আচ্ছা স্বাতী কি বুঝতে পেরেছে আমি চলে যাচ্ছি। ও জানে আমাকে জড়িয়ে ধরলেই আমি কাঁদতে শুরু করব। ও আমাকে কাঁদাতে চায় না,তাই আমাকে বিদায় দিতে আসল না। । আমি অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে হাঁটা শুরু করলাম।
পৃথিবী নামক গ্রহটার ইতিহাসে প্রগতি হয়েছে। মানুষ জঙ্গলে ছিল। সেখানে মানুষ কী করতো? মানুষ সেখানে ছিল পেগান। তারা প্রকৃতি-পূজারি ছিল। তারপর একসময় তারা বুঝতে পেরেছে প্রকৃতিপূজা নয় কোন দেবির কি দেবতার পূজা করতে হবে। তারপর মানুষ ভাবল, না, না, গোষ্ঠী বা জাতি (ট্রাইব),পূজা এসবও ঠিক নয়। সমগ্র নিখিল জগতের এক প্রতিপালক আছেন তাঁর পূজা করতে হবে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কোন কোন প্রভু নাই। কিন্তু এখন আমার কেন যানি মনে হয় যে পরিমাণে আমি নিজেই আমার প্রভু সেই পরিমাণেই আমি অসহায়। ফ্রিডম ইজ এ ডেঞ্জারাস থিং। মানুষ একহাতে বাইবেল আরেক হাতে রাইফেল নিয়ে গেছে। জয় করেছে। জয় করে তাঁরা সেখানে সভ্যতা কায়েম করেছে। কিন্তু আমার মনে হয়,মানুষ পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যখন তৈরি করে ফেলবে- তখনই মানুষ নিজেই ডেকে আনবে মানবজাতির বিলোপ। কেননা আমাদের গ্রহ দেখেই আমি বুঝতে পারছি।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে , বা দ্রুতগতিতে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে - তার সাথে মানুষ পাল্লা দিতে পারবে না। কারণ মানুষের বিবর্তন হয় ধীরগতিতে।
একই ধরনের পোশাক পড়া কতগুলো লোক আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল। মাথার ভেতর কথোপকথন শুরু হয়ে গেছে। টেলিপ্যথিক যোগাযোগ......
তুমি অসাধারন ক্ষমতা নিয়ে জম্নগ্রহন করেছ। এই ক্ষমতার জন্যই তোমার মস্তিষ্কের ভেতরে অতি ক্ষুদ্র ইলেকট্রোড বসানো সম্ভব হয়েছে।এজন্যই তোমাকে পৃথিবী পর্যবেক্ষন এর মত জটিল দ্বায়িত্ব বিজ্ঞান পরিষদ থেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তুমি সীমা লংঘনের চেষ্টা করবে না। আমরা যদিও পৃথিবী থেকে তোমাকে নিতে আসব না, তবে পৃথিবীর প্রকৃতিতে তুমি বাঁচতে পারবে না। প্রকৃতি সীমা লংঘনকারীকে সহ্য করে না্। প্রকৃতি কাউকে সীমা লংঘন করতে দেয় না। কাউকেই না। তোমাকেও দেবে না।
তোমরা বলেছিলে প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মানুষের মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতা আরও উন্নত হবে। মানুষের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে যোগ হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কিন্তু তোমরা আমার মস্তিষ্ককে জুড়ে দিয়েছ কম্পিউটারের সঙ্গে। তোমরা নিউরাল নেটওয়ার্ক, কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা এবং ক্লাউড-বেইজড ম্যাশিন লার্নিং এই তিনের সমন্বয় ব্যবহার করে কৃত্রিম মানুষ তৈরি করেছ। এই সমন্বয়ের ফলে তোমাদের তৈরি কৃত্রিম মানুষগুলো পশুপাখি এবং অন্যান্য জড়বস্তুগুলোকে আলাদাভাবে সনাক্ত করতে পারে এবং সেই অনুযায়ীই সেই বস্তুগুলোতে ইফেক্ট তৈরি করে।
না ঠিক তা নয়, কোনো কাঠামো ছাড়াই তোমার মস্তিষ্ক সরাসরি যন্ত্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। এটাই তোমার অসাধারন ক্ষমতা।
আমি না ফেরার জন্য এক তীব্র আবেগ অনুভব করছি। এই আবেগ এতদিন কোথায় লুকিয়ে ছিল। স্বাতীকে ছাড়া জীবন অর্থহীন মনে হচ্ছে।
তুমি এসব কি করছ। তুমি না ফেরার জন্য মনস্থির করেছ। এটা তুমি করতে পার না।
আমি আমার আবেগ নিয়েই থাকতে চাই্ যারা মানবিক আবেগ থেকে মুক্ত আমি তাদের পছন্দ করি না।
তুমি বিরাট ভূল করছ।
আমি কোন কথা বলতে চাচ্ছি না ।
স্বাতীকে তোমার প্রয়োজন নেই ।
কে বলল প্রয়োজন নেই ।
আমরা বলছি ।
তোমরা বললে তো হবে না। আমার প্রয়োজন আমি বুঝব। আমি আমার মেয়েকে এই পৃথিবীতেই চাই।
আমাদের কথা শোন । পৃথিবীর প্রকৃতি তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে না।
আমাকে ডাকাডাকি করে কোন লাভ হবে না। আামি আমার ক্ষমতা অনুভব করছি। আমি ভালবাসতে পারি।
আমি বাড়ীর গেটে হাত রাখতেই স্বাতী দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমি কোমল গলায় বললাম, কেমন আছ মা।
আকাশ ঘন কৃষ্ঞবর্ন। মেঘের পরে মেঘ জমেছে। ভয়াবহ দুর্যেগের আর দেরী নেই। আমি যানি এই প্রকৃতি অনিয়ম সহ্য করবে না। এবং কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাকে গ্রাস করবে।
স্বাতী বলল- বাবা আমার ভয় লাগছে। খুব ভয় পাচ্ছি বাবা।
আমি লক্ষ্য করলাম, আমার স্মৃতি ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে। পায়ের নীচের মাটি কাঁপছে। প্রকৃতির ক্রোধের সমস্তই যেন আমার উপর দিয়া একই নিশ্বাসে ধূলির স্রোতের মতো উড়ে চলছে। মনে হয় প্রকৃতির হাসিও নাই, কান্নাও নাই। কেবল মানুষই অতীতের জন্য শোক করে, বর্তমানের জন্য ভাবে, ভবিষ্যতের আশাপথের দিকে চেয়ে থাকে। কিন্তু প্রকৃতি প্রতি বর্তমান নিমেষের শতসহস্র নূতন অভ্যাগতকে নিয়ে ব্যস্ত। কেউ কি কখনও মনে রাখবে এই পৃথিবীর বাতাসে আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে গেলাম। আমি চলে গেলে কি কেউ আমার পশ্চাতে পড়ে বিলাপ করতে থাকবে, নূতন অতিথিদের চে অশ্রু বরন করতে কে চায়? বাতাসের উপরে বাতাস কি স্থায়ী হয়। না না, বৃথা চেষ্টা। প্রকৃতি কিছুই পড়ে থাকতে দেয় না – হাসিও না, কান্নাও না ।
১৮.০৪.২০১৭
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
খবর নেবার জন্য ধন্যবাদ শাহরিয়ার ভাই। কিছুটা অসুস্থ ছিলাম। এখন ভাল আছি।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: তুমি মাঝে কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে ভাই? একেবারে লাপাত্তা। ভালো আছ তো?
গল্প পরে সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করব।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
মাঝে কিছুটা অসুস্থ ছিলাম। আর বিশ্রামে বসে বসে এই গল্পটা লিখে ফেললাম।
তুমি লক্ষ্য করেছ বলে ভাল লাগল। জগতে তবে আমারও খবর লইবার কেউ আছে বৈকি।
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
"কিন্তু আমার মনে হয়,মানুষ পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যখন তৈরি করে ফেলবে- তখনই মানুষ নিজেই ডেকে আনবে মানবজাতির বিলোপ। কেননা আমাদের গ্রহ দেখেই আমি বুঝতে পারছি।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে , বা দ্রুতগতিতে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে - তার সাথে মানুষ পাল্লা দিতে পারবে না। কারণ মানুষের বিবর্তন হয় ধীরগতিতে। "
-কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে একটা ভুল ধারণা এখনো চলছে, আরো অনেক বছর চলবে, সেটা হলো, "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে"; আসলে, কথাটা ভুল, শুদ্ধ হবে, "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় মানুষের বুদ্ধমত্তাকে টেকনোলোজীক্যালী প্রয়োগ করা হয় মাত্র"; ফলে, সে মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে অতিক্রম করতে পারবে না।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে না এ ধরণের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের হাতে ইতিমধ্যেই আছে । এবং তা আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু ’পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ অবশ্যই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে। কেননা এটাই তার ধর্ম ।
আমি নিজেও চাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেন কখনোই মানুষের মস্তিষ্কের সমকক্ষ হতে না পারে।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনুভূতি, সেতো কেবল মানুষেরই।। যাদের রক্ত-মাংসের দেহ!! আমাদের হাহাকারে প্রকৃতির কি হবে?? রোবট তো!!
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন বড়ভাই। মানুষের জীবনে প্রকৃতির রয়েছে অদ্ভুত বাধা। তাই মানুষের নতুন অতিথিকে দু হাত বাড়িয়ে গ্রহণ করতে বাধা পড়ে, তাকে ত্যাগ করতেও বুক ফেটে যায়। কিন্তু তাকে শেষ পর্যন্ত ত্যাগ করতেই হয়। শুধু হৃদয়ের ঘরটার মধ্যে রয়ে যায় বোবা একটা শূন্যতা। তাকে প্রশ্ন করলে কোনো কথাই বলতে পারে না। সে একটা মূর্ছা, যে মূর্ছা কোনোদিনই আর ভাঙবে না।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪০
মানবী বলেছেন: আমার একজন বয়জেষ্ঠ আত্মীয় আমাদের তাঁর কৈশোরের গল্প বলতেন এভাবে, "সে সময় নিম্মি নামের একজন নায়িকা ছিলো। কোন সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি জানতাম এখানে নিম্মি আছে, তা শূনেই আমাদের চোখ ভিজে যেতো! কারন সিনেমায় নিম্মির উপস্থিতি মানেই প্রচন্ড করুণ পরিনতি" -
ব্লগিং শুরুতে আমার অনেকটা তেমন ইমেজ হয়েছিলো, অনেক প্রিয় ব্লগার মন্তব্য করতেন আমার পোস্ট মানেই তীব্র কষ্টের পোস্ট!
এখন পেলাম এই ফিকশন রাইটারকে, যাঁর গল্পের শুরুতেই চোখ বুজে বলে দেয়া যায় শেষ হবে মৃত্যু দিয়ে :-)
এটা চমৎকার গল্প সে বিষয়ে সন্দেহ নেই, ধন্যবাদ মুশি-১৯৯৪
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ভালবাসা মানেই তো কষ্ট আপু। কিন্তু আমার গল্পে, আমরা যাকে বলি রোম্যান্স্ সেইটেতে কমতি আছে কি না ! একটুও না। বইয়ের আভিধানিক অর্থ থেকেই রোম্যান্স-কে বাঁধা বরাদ্দ ছাঁচে ঢালাই করে জোগাতে হবে নাকি। কিছুতেই না। আমার রোম্যান্স্ আমিই সৃষ্টি করব। আমার জীবনেও রয়ে গেল রোম্যান্স্, আমার মৃত্যূতেও ঘটাব রোম্যান্স্। যারা ওর একটাকে বাঁচাতে গিয়ে আর-একটাকে দেউলে করে দেয় তাদেরই তুমি বল রোম্যান্টিক! তারা হয় মাছের মতো জলে সাঁতার দেয়, নয় বেড়ালের মতো ডাঙায় বেড়ায়, নয় বাদুড়ের মতো আকাশে ফেরে। কিন্তু আমি রোম্যান্সের পরমহংস.......
৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: আয় হায় কি থেকে কি হয়ে গেল তবে লিখেছ খুব সুন্দর ভাই। খুব ভালো লাগল....
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: গল্পটা পরশুই পড়েছিলাম কিন্তু ব্যস্ততার দরুন মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি। ভালো থেকো ভাই।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
বিজ্ঞানের ছত্রছায়ায় থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু গল্পটার পরিনতি কেমন যেন হয়ে গেল। মনে হয় সৃষ্টিকর্তা আমার মধ্যে একটা ভাগ মিশাতে ভূলে গিয়েছেন। রোমান্টিক গল্প লিখতে গিয়ে কেমন যেন হয়ে যায়।
৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:২৩
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: পলাশমিঞাকে আর হয়তো ছাড়বে না।
অজরা আজকাল অজগার খায়।
৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ধন্যবাদ। পলাশমিঞা থাকবে।
সত্যিই মনে হচ্ছে মডার্নিটি জিনিসটা একসময় জন্ম নিয়েছিল। এখন তার মৃত্যু হয়েছে ।
১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আসলে ভালো হয়েছে, পলাশমিঞাকে দূরে রাখা ভালো।
ব্লগিং শুভ হোক।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আবারও ফিরে আসায় ধন্যবাদ। আসলে যে নিকেই ব্লগিং করেন না কেন পলাশমিঞা বার বার ফিরে ফিরে আসবে। কেননা সে যে আপনারই সৃষ্টি , আপনারই আর এক বিশেষ রুপ।
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি, ঠিক বলেছেন। ২৫ বছর সে আমার চিন্তা চেতনায় ছিল।
পলাশমিঞার কাহিনী
১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মেরেছে কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দেবো না!!! আরো আশ্চর্য আপনাতে...।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৩
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
প্রতিউত্তর বিলম্বে আন্তরিক দুঃখিত।
কলসির কানার আঘাত যে এত তীব্র হতে পারে, তা বোধকরি আজ বুঝতে পারলাম। আমি ভাবি আমার হৃদয়ের এই অল্প কয়দিনের আয়ুর মধ্যে এত বিপদের আঘাত , এত বেদনার ভার সহিল কী করে , ধারন করল কোথায় ।
১৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভালো লেগেছে, শুভেচ্ছা রইল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রবোটিক্স এগুলো আমার খুব পছন্দের সাই-ফাই। সামনে এমন গল্প আরও চাই।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৭
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
প্রতিউত্তর বিলম্বে আন্তরিক দুঃখিত গুরু।
আমার মনে হয় বিধাতা দয়া করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে এমন কৃত্রিম বুদ্ধিবৃত্তির উপরে একটা আবরণ ফেলে রেখেছেন। ভয় হচ্ছে ,এই আবরণ যদি উঠে যায় তবে অদৃষ্টের রুদ্রলীলার কী ভীষণ চিহ্ন প্রকাশ পাবে।
১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অল্পতেই বেঁচেছেন।। চাপাতি আর বুলেটের চেয়ে কলসীর কানা ফুলের মত।।
নূতন কৈ?? এতদেরী!!
১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৪
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ধন্যবাদ ।
১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮
জুন বলেছেন: মনের গভীরে দাগ কেটে যাওয়া এক গল্প মুশি-১৯৯৪
মৃতুর পর কি হবে সেটা বড়ই বিস্ময় । সহ ব্লগার মানবীর মন্তব্যের সাথে একমত ।
+
১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৫
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ধন্যবাদ ।
১৬| ১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
উম্মে সায়মা বলেছেন: তুমি কয়দিন পরপর কোথায় হারিয়ে যাও ভাই?? আশা করি সুস্থ আছো।
১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৫
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ধন্যবাদ ।
১৭| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ? কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে ভাই?
১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:০২
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
এতো সহজে বোধয় হারাতে পার বো না বুবু।
সৃষ্টিকর্তা জগতে একটি বিশেষ পদার্থ সংযোগ করেছেন , তার নাম- অসংগতি । যা হতে পারত, যা হওয়াই ছিল সঠিক সেটাকে সে হঠাৎ আসিয়া লন্ডভন্ড করে দেয় ।
১৮| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৫৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: এতো জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তুমি যতই সব মসৃণ রাখতে চাইবে ততই কন্টকাকীর্ণ হয়ে উঠবে। এসব মেনে নিয়েই পথ চলতে হয়। দোয়া করি তোমার অসংগতি শীঘ্রই সংগতিতে পরিণত হোক।
১৯| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাকার ছুঁয়ে গেলো ।
২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৬
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
হায়! হায়! শুধু কি হাহাকার চোখে পড়ল।
মনে হচ্ছে যে কাগজের টুকরায় আমি স্বহস্তে দীনতা প্রকাশ করিলাম সেটা অনন্ত কাল এবং অনন্ত জগৎ হতে সম্পূর্ণ লোপ করে দিই। তবেই আমার হৃদয়ের নিদারুণ ক্ষোভ মিটিবে ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
একটু ব্যস্ত ছিলাম পরে আবার পড়তে......
মাসুদ ভাই ,,, আপনাকে অনেক দিন পরে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগলো !
কেমন আছেন ?