![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা বেপার কতটা এড়িয়ে গেছে সবার নজর,জানি না।সাম্প্রতিক কালে কোন একটা ঘটনা শুধু অনলাইন ফটো শেয়ারিং এবং এ নিয়ে লেখালেখি এর মাধ্যমেই অনেক দুর বিস্তৃত হয়।সেই সেয়ার করা ফটো কখনো থাকে পুরো সত্যি,কখনো মিথ্যা।সত্য হোক আর মিথ্যা হোক বেপার গুলু ভার্চুয়াল দুনিয়াতেই সীমাবধ্য ছিল অথবা এখনও আছে।কিন্তু বেপারটার ভিন্য মাত্রিকতা আপনাকে কিছুটা অবাক করবে।
দিন কয়েক আগে এক পরিচিত ভদ্রলোক কোন এক চা চক্রে থম থমে গলায় বলছিলেন যে আল্লাহর দুনিয়ায় এই গজব মানা হবে না,অন্তত আল্লাহ এর সমুচিত জবাব দিবেন,গজব নেমে আসবে এই দেসে,এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।তিনি আবেগ মিস্শ্রিত কণ্ঠে বর্ণনা দিলেন যে তিনি নিজের চোখে যা দেখেছেন তা বিশ্বাস করার মত নয়।হাজার হাজার লাশের স্তুপ দেখেছেন।কোথায় দেখেছেন?কেউ একজন কাগজে প্রিন্ট আউট দিয়ে দেখিয়েছেন উনার অফিসে।গত ৫ই মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম সমাবেশ করেছে।এ সমাবেশের উদ্দেশ্য কি ছিল ?আমি মনে করি দেশের সাধারন জনগন এখনও ধুম্র জালে মোড়ায়িত এই উদ্দেশ্য বিষয়ে ।এই সমাবেশে নাশকতা ছিল গা শিরশির করে উঠার মত।হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীরা প্রলয়ঙ্করী এক তাণ্ডব দেখিয়েছেন ঢাকা বাসী সহ সারা পৃথিবীকে।গুরুত্বপূর্ণ স্থাপ্ননা এবং রাজনৈতিক দলের অফিস ভাংচুর,বৃক্ষ নিধন,কোরআন সহ অন্যান্য ধর্মীয় পুস্তকে অগ্নিসংযোগ,ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ,জুয়েলারি দোকান সহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটতরাজ দেখেছি আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।এমনকি এটা নিয়ে যথেষ্ট দলা দলিও দেখেছি।দলা দলি হয়েছে এই সমাবেশের নৈতিকতা নিয়েও এমন কি এখনো রীতিমতো প্রশ্নবিদ্ধ।দলা দলির মূল বিষয় ছিল মহাসমাবেশে আসা হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীর পুলিশের হাতে নির্যাতন এবং নির্যাতিত হয়ে মৃত্যু বরন কারি লাশের সংখ্যা কম বা বেশি নিয়ে।এক দল বলছে লাশ ৩৪ টি বা এর কাছা কাছি আরেক দল বলছে হাজার হাজার।
এই বার আসি মূল প্রসঙ্গে।যে দল লাশের সংখ্যা হাজার হাজার বলছে তাদের বক্তব্যের সত্যতা প্রমানে নানামুখী প্রচারনায় ব্যস্ত।এমনি এক প্রচারনার সন্মুখিন হই আজ।গাজীপুরের বোর্ড বাজারে ই,বি,এল থেকে একটা জরুরি কাজ সেরে বের হয়ে একটা জন প্লেয়ারের টানে ব্যংকের নিচে এক টং দোকানে দারাতেই সিরাম এক প্রচারনা দেখলাম।টঙ্গের সামনে রাখা বেঞ্চে বসে থাকা দুই ভদ্রলোক গভীর মনোযোগে একজনের হাতে রাখা একটা ছবির দিকে নিবিষ্ট।ঘটনা বোঝার জন্য একটু ইন্টারেস্ট দেখাই।"কি ভাই,কি দেখতেছেন?" জিজ্ঞেস করলাম একজনকে।জিজ্ঞেস করতেই এক ভদ্রলোক তার হাতে রাখা ছবিটা আমাকে দেখিয়ে বল্লেন"দেখেন কি করছে!এই সরকার দেশরে কই লইয়া যাইতাছে?আলেমগরে কেমনে পশুর মত মাইরা টাল কইরা রাখছে"এই ছবি দেখে আমি রীতিমতো তাজ্যব বনলাম।মনের মধ্যে কেউ কাতু কুতু দিয়ে বলছিল "মাইরালারে আমারে কেউ মাইরালা"এ কি দেখলাম আমি!সম্প্রতি হাইতি তে এক মর্মান্তিক ভুমিকম্পে বহু মানুষের প্রান হানি ঘটেছে।সেই লাশের স্তুপের এক বিভৎস ছবিকে একটু এডিট করে চালিয়ে দিচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীর লাশের স্তুপ বলে যা কিনা তাদের মতে ৫ মে রাতের জেনসাইড।কেউ কেউ আবার এটা কে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের সেই ভয়াল কাল রাতের সাথেও তুলনা করেছেন।তাদের প্রজ্ঞায় যতটুকু ধরেছে ততটুকু বলেছেন।কিন্তু এই মিথ্যা ছবি গুলু প্রিন্ট আওট দিয়ে প্রকাশ্যে কে ছড়াচ্ছে?এই ডাহা মিথ্যা কে রঙ মেখে প্রচারনার এত দায় কার?এই জনপদের সহজ সরল মানুষের সরলতার সুযোগ নিচ্ছে কারা?যারা এটা করছে তারা কি এই দেশের উন্যয়নের বিরুদ্ধে না?বাংলাদেশ কি কখনো প্রপাগান্ডা থেকে বের হতে পারবে না?নাহ!এটা হতে পারে না।কক্ষনও হতে দেয়া যায় না।লুক ফরওয়ার্ড ম্যান।অল অফ ইউ গাইস আর কারেজিয়াস বাংলাদেশি।ইউ হেভ আ গ্লরিয়াস ফ্রিডম ফাইটিং ভিক্টরি স্টোরি।সো ইটস নট আ বিগ ডিল টু ডিফিট দউস বাস্টার্ড।
©somewhere in net ltd.