![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনা একঃ
কয়েকদিন আগে মাঝ রাতে শ্বাসকষ্টের একটা জরুরী ঔষধ খুজতে জয়দেবপুর বাজারের প্রায় সবগুলো ফার্মেসি খুজে খুজে হয়রান হয়েছিলাম।ঔষধ টি পাইনি।শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল আমার ছোট ভাইয়ের ছেলের।তো এই অবস্থায় ভীষণ খারাপ লাগছিল। চোখের সামনে
ফুটফুটে দুরন্ত পিচ্চিটা কষ্ট পাচ্ছে,ভিতর থেকে মেনে নিতে পারছিলাম না।সেই কষ্ট থেকেই হন্তদন্ত হয়ে ছুটেছিলাম এক ফার্মেসী থেকে আরেক ফার্মেসী । শেষমেশ না পেয়ে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলাম।আনমনে ছিলাম বলে বিকট শব্দ অতটা কানে লাগেনি।বিকট শব্দ আসছিল মন্দির থেকে।সেদিন ছিল হিন্দু ধর্মের সরস্বতী পুজা ।পুজার রাতে মন্দিরকে বিশেষ কায়দায় চারদিক থেকে এক প্রকার পেঁচিয়ে প্রাচীর তৈরি করা হয়।ভিতরে হাই ভলিউমে কনসার্ট করা স্পিকারে ডিজে মিউজিক বাজছিল।বিশ তিরিশ সেকেন্ডের মত দাঁড়ালাম,বাইরে থেকে বুঝার চেষ্টা করলাম কি হচ্ছে ভিতরে।যেটা মনে হল,ডিজে মিউজিকের তালে তালে ভিতরে উদ্যম উন্মাদনা চলছে।মোটামুটি বেকুব হইলাম।এইরকম মাঝরাতে বিদ্যার দেবী কে তুষ্ট করার উদ্ভট তেলেসমাতি দেখে।আমি যতটুকু জানি,যে
কোন উচশব্দ তৈরি কারক অনুষ্ঠান করতে গেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি সাপেক্ষে করতে হয়।খুব সম্ভবত তারাও করেছে রাষ্ট্রের অনুমতি সাপেক্ষে।
ঘটনা দুইঃ
কুতুব্বাগ দরবার শরিফের খুব সম্ভবত বার্ষিক ওরস বা খানকা টাইপের কিছু একটা হয়ে গেলো ফার্মগেট আর খামার বাড়ির মাঝখান টায় পার্কে।ওঁরে ব্বাপ,মাহফিল কারে কয়।পার্ক মুরিদানে গিজগিজ করতেছিল ।হাজারো মুরিদানে ধন্য হয়েছিল পার্ক।মিনিমাম কয়েকশো মাইক চারদিকে সেট
করা হয়েছিল আসে পাশে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে।একটা ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় বিকট শব্দে মাইক বাজান তাও কয়েক কিলোমিটার এলাকা নিয়ে,এদের সমিস্যা কি !!! এখানেই শেষ নয়।পাশের রাস্তায় সারি সারি করে বেঁধে রাখা গরু,ছাগল এমনকি উট ও।এগুলো এখানে আসলো
কোত্থেকে ?আজব লাগলো আমার কাছে ।একটু দাড়িয়ে গরু ছাগলের স্টোরিটা বুঝার চেষ্টা করলাম।এই খানকার মুরিদগণ খুশি হয়ে পীরের জন্য এই সব আয়োজন।রীতিমত গরুছাগলের হাট।তো এই বিকট শব্দ এবং গরুছাগলের হাট নিশ্চয়ই রাষ্ট্রের অনুমুতি নিয়েই করা হয়েছে আশা রাখি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০২
মীন বলেছেন: ভাই,লাগেনা এক জিনিস আর নেওয়া হইনাই আরেক জিনিস।আপনি যদি দেখতেন মন্দিরে নাচন !!!রীতিমত ডিস্কো ,নাইট ক্লাব।ফার্মগেটের কথা না হয় নাইবা বললাম।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫০
নতুন বলেছেন: এক ভন্ড কখনোই আরেক ভন্ডের পেটে লাথি মারেনা.... তাই এরা কেউই কারুর বিপক্ষে কথা বলবেনা... তাতে ব্যবসায় সমস্যা হয়...
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
মীন বলেছেন: সাববাস ,বীর বাঙ্গালী !!!মিউচুএলি কতো কাজ করে এরা অথচ ভালো কিছু করতে পারেনা ।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪৫
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: বলা যায় রাষ্ট্রের অনুভূতি - নির্বিকার দর্শকের !!
কারন,
কোনো মানব সমাজ যদি দীর্ঘ দিন ধরে দরিদ্র, অশিক্ষিত, যথাযথ কর্ম-সংস্থানহীন, নৈতিক অবক্ষয়-এর মধ্যে থাকে তবে সেই সমাজ ধীরে ধীরে ধংসপ্রাপ্ত হয় - জাতি পরিনত হয় হতদরিদ্র, কুশিক্ষিত, লোভী আর দুর্নীতিপ্রিয় এক অসভ্য সমাজে। বাংলাদেশেও এই প্রক্রিয়ার প্রভাব যথেষ্ট ক্রিয়াশীল। এই অবস্থায় "কল্যণমূখী গণতন্ত্র" তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারায়, শাষন ব্যবস্থা পরিনত হয় সন্ত্রাসপ্রিয় নষ্ট কু-রাজনীতিবিদদের হাতিয়ারে।
সুতরাং এই কু-রাজনীতিবিদরা যে রাষ্ট্রের হর্তা-কর্তা হয়, তখন এটাই স্বাভাবিক।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২০
মীন বলেছেন: আপনার প্রতিটি কথার সাথে একমত ।চমৎকার ভাবে বলেছেন।তবে আমি যেটিকে মুল এবং দীর্ঘ মেয়াদি বলবো সেটা হল,শিক্ষা ব্যবস্থার দৈন্যদশা।সেটা নৈতিক শিক্ষা হোক কিংবা একাডেমিক শিক্ষা হোক।বেতাল রকমের খারাপ।
যেই দেশে প্রেক্টিকেল ক্লাসের সল্ট এনালাইসিস হয় টাকা দিয়ে ল্যাবের মামা কাকাদের দিয়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
মুহামমদল হািবব বলেছেন: ওপর মহলের সাথে 'ভালোবাসা' থাকলে হয়, অনুমতি লাগে না।