নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুর্নীতি এবং অসততা প্রতিরোধ করুন

আসুন,সরকারী কর্মচারীদের ঘুষগ্রহণসহ সকল দুর্নীতিবন্ধে সর্বাত্মক সহায়তা করি। কারন সরকারি কর্মচারীরা দেশপরিচালনার হাতিয়ার। তারা যদি না হয় দক্ষ ও সততার অধিকারী, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বাংণাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি হবে সুদূরপরাহত।

শাহ আলম বাদশাহ

৮০ দশকের কবি, ছড়াকার, গীতিকার বিশেষত; শিশুসাহিত্যিক। ৬টি প্রবন্ধ সংকলন, ৩টি গল্প সংকলন, ১টি শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ, ৭টি অডিও-ভিডিও এলবাম প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭৭ সাল থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি। ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রেডিও বাংলাদেশ রংপুর কর্তৃক ‘‘উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ ছড়াকার’’ হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। ১৯৮৬ সালে সিলেট ছড়া পরিষদ কর্তৃক ছড়ায় অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিভিন্ন দৈনিকে সাংবাদিকতাছাড়াও বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা যেমন; লালমনিরহাট থেকে ত্রৈমাসিক চলমান, ত্রৈমাসিক ব্যতিক্রম, ত্রৈমাসিক দারুচিনি, ত্রৈমাসিক কিশোরকন্ঠ, ত্রৈমাসিক প্রজাপতিসহ (অধুনালুপ্ত) বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক এবং লালমনিরহাটের প্রথম প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক জানাজানি’র প্রতিষ্ঠাতা সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন।\n\nশাহ আলম বাদশা’র প্রকাশিত অডিও-ভিডিও এলবাম এবং গ্রন্থসমূহঃ ১। ভোরের পাখিরা [অডিও-ভিডিও এলবাম-১৯৮৯] \n২। শিহরণ ১ [অডিও এলবাম-১৯৯৩] \n৩। শিহরণ ২ [অডিও এলবাম-১৯৯৩] \n৪। প্রত্যয় [অডিও এলবাম-১৯৯৪] \n৫। প্যারোডি গান [অডিও এলবাম-১৯৯৫] \n৬। তথ্য পেলেন কাশেম চাচা [নাটিকার ডিভিডি-২০০১৪] \n৭। তথ্য কমিশনের বিচারিক কার্যক্রম [প্রামাণ্যচিত্রের ডিভিডি-২০১৪] ৮। কিশোকন্ঠ গল্প সমগ্র-১ [যৌথ গল্পগ্রন্থ-২০০১] \n৯। মা ও শিশু [যৌথ প্রবন্ধগ্রন্থ [১খণ্ড)-২০০৬] \n১০। মা ও শিশু [যৌথ প্রবন্ধগ্রন্থ [২খণ্ড-২০০৭] \n১১। মা ও শিশু [যৌথ প্রবন্ধগ্রন্থ [৩খণ্ড-২০০৮] \n১২। মা ও শিশু [যৌথ প্রবন্ধগ্রন্থ [৪খণ্ড-২০০৯] \n১৩। স্বপ্ন দিয়ে বোনা [যৌথ গল্পগ্রন্থ-২০১৩] \n১৪। মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য গল্প [যৌথ গল্পগ্রন্থ-২০১৫] \n১৫। দুরছাই ধুত্তোরী ছাই [শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ-২০১৫] \n\nশাহ আলম বাদশা’র প্রকাশিতব্য গ্রন্থসমুহঃ \n১। ইষ্টিপাখি মিষ্টিপাখি [শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ] \n২। ষড়ঋতুর দেশে [শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ] \n৩। লিন্তামনির চিন্তা [শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ]\n৪। ফুল-পাখি-নদী [কিশোর কবিতাগ্রন্থ] \n৫। ফুলবনে হই-চই [কিশোর উপন্যাস] \n৬। সানিনে অভিযান [[কিশোর উপন্যাস] \n৭। কালো মুরগি [শিশুতোষ গল্প] \n৮। বেওয়ারিশ লাশ [শিশুতোষ গল্প] \n৯। কবিকবি ভাব ছন্দের অভাব [ছন্দপ্রকরণ-প্রবন্ধগ্রন্থ] \n১০। বাংলাবানান এবং শব্দগঠনঃ ভুল শুধু ভুল [প্রবন্ধগ্রন্থ] \n১১। আমাদের মুসলমানিত্ব এবং কামড়াকামড়ির রকমফের \n\nতিনি বিসিএস তথ্য ক্যাডারের সদস্য এবং এলএলবি\\\'র ছাত্র। তথ্যমন্ত্রণালয়ে কর্মরত। ফোনঃ ০১৮১৭১১৭৯২৯/০১৫৫২৩৪২৪৪৯\nWebsite: http://mediamaster1.blogspot.com/

শাহ আলম বাদশাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের মুসলমানিত্ব এবং কামড়াকামড়ির রকমফের-৪

২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৪



ইসলাম, মুসলিম এবং ঈমান কী

ইহা অতিশয় সহজ একটা প্রশ্ন এবং ইহার জবাবও হইবে পানির মতোন মানে জলবৎতরলং, তাই নহে কি? যাহারা নিজেকে আলেম-আল্লামা, মাদ্রাসার ছাত্র ইত্যাদি বলিয়া দাবী করেন কিংবা ভাবেন, তাহাদের কেহ হয়তো আমার শিক্ষার দৌড় লইয়াও ভাবিতে শুরু করিয়াছেন? কারণ আমি শিশুসুলভ প্রশ্নই করিয়া বসিয়াছি কিনা!



ইসলাম একটি ধারাবাহিক কোর্সের নাম

ইসলাম কী তাহা সহজে বলিতে গেলে বলিতে হয়-ইসলাম হইলো আল্লাহ-রসুলের বিধিবিধানের সমষ্টি অর্থাৎ পবিত্র কুরআন-হাদীসের সমন্বয়ই হইতেছে ইসলাম। আরো পরিস্কার করিলে-শরিয়তে আল্লাহ-রসুল নির্দেশিত ফরজ-ওয়াজিব-সুন্নত-নফল-মুস্তাহাব, হারাম-হালাল, মাকরুহ-মুবাহ ইত্যাদির সমন্বয়ই ইসলাম। আরেকটু বলিলে-- কুরআন-হাদীসের বাণী ব্যতীত নবী সাঃ ও সাহাবীদের দেখানো উদাহরণ এবং পথনির্দেশও ইসলামের অংশ।



অনেক আহাম্মক আবার বলেন--আলী রাঃ এবং আয়েশা রাঃ এর মধ্যকার যুদ্ধও নাকি ইসলাম এবং সমালোচনার অযোগ্য। এমনকি মুয়াবিয়া-আলী রাঃ এর বিরোধও নাকি ইসলাম এবং পালনীয়!! এমনকি সাহাবীদের মধ্যে সংঘটিত রক্তক্ষয়ও নাকি ইসলামসম্মত?? তাহলে আবুবকরের রাঃ ছেলে যে ওসমানকে রাঃ দাঁড়ি ধরে মারেন--এটাও তো অনুসরণীয় ইসলাম যা আমরাও মুরুব্বীদের সাথে ইসলামের নামে করতেই পারি, কী বলেন?? উল্লুক কাকে বলে?



দুর্ভাগ্যক্রমে সংঘটিত এমন কুরআন-সুন্নাহবিরোধী অন্যায় কাজও নাকি মেনে নিতে হবে তা থেকে শিক্ষা না নিয়ে আবার তাদের অনুসরণীয় ভালো কাজগুলোও মেনে নিতে হবে? তাহলে ভালো-মন্দের ফারাক কোথায়? ইসলাম তো এমন শিক্ষা দেয়না ভাই।



প্রসঙ্গত ইহাও না বলিলে নহে যে, কুরআন-হাদীসের বাহিরে এবং সাহাবীদের ইসলামপালন বা শরিয়তচর্চার বাহিরে ইসলামের নামে যাহা কিছু প্রচলিত আছে তাহা ইসলামের মতোন মনে হইলেও ইসলাম নহে বরং বিদায়াত যাহা হারাম ও বর্জনীয়। কেননা ইসলাম বা দীন অন্যান্য ধর্ম বা বিধানের মতোন অপূর্ণাঙ্গ নহে এবং ১০০% পরিপূর্ণ যাহা আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়াছেন, হে নবী, আজ হইতে জীবনব্যবস্থা হিসাবে ইসলামকে পরিপূর্ণ করিয়া দিলাম।



কিন্তু একটা কথা ভুলিলে চলিবে না যে, ইসলাম পরিপূর্ণ মানে ইহা নহে যে, মানুষের চলিবার প্রয়োজনে পবিত্র কুরআনে অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের সব বিধানই বিস্তারিতভাবে আল্লাহ লিখিয়া দিয়াছেন। বরং আল্লাহ-রসুল এমন সব সূত্র বর্ণনা করিয়াছেন যাহাতে মানুষ প্রয়োজনে কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর নির্দেশিত রাস্তায় সহজেই চলিতে পারে এবং অন্য কোনো ধর্ম বা বিধানের দ্বারস্থ হইতে না হয় মুসলিমদের। এইজন্যই ইসলামকে বলা হইয়াছে--নৈতিকতার বিধান বা ধর্ম।



বিদায়াত?

বিদায়াত মানে ইসলামের নামে চালুকৃত বা উদ্ভাবিত নতুন কিছু যাহা কুরআন-সুন্নাহবিরোধী। ইহার অর্থ হইলো--সওয়াবের আশায় মাগরিবের তিন রাকায়াত ফরজ নামাজের স্থলে চার রাকায়াত ফরজ পড়াও হইবে মূলতঃ বিদায়াত এবং মহাপাপ। বিদায়াতের বাকী রূপ কী কী হইতে পারে তাহা এখন আপনারাই খুঁজিয়া বাহির করুন।



মুসলিম একটি ডিগ্রীর নাম

মুসলিম অর্থ হইলো ইসলামের প্রতি অনুগত বা নিঃশর্ত আনুগত্যকারী ব্যক্তি। তাহাকে আল্লাহ, ফিরিস্তাগণ, নবী-রসুলগণ, আসমানী কিতাবসমূহ, কিয়ামাত-আখিরাত, ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর আস্থা রাখার পাশাপাশি তদানুযায়ী দুনিয়াতে আমল বা কর্ম করিতে হইবে। তাই ডাক্তারের পুত্র যেমন জন্মসূত্রে ডাক্তার হইতে পারেনা, তেমনই মুসলিমের ঘরে জন্মিলেই অটোমেটিক মুসলিম হইবার সূত্র অন্ততঃ আমি ইসলামের কোথাও খুঁজিয়া পাই নাই।



তবে ইসলাম যে, দুনিয়ার লোভনীয় ডক্টরেট বা অনুরূপ মহামূল্যবান ডিগ্রী অর্জনের ন্যায় জন্ম হইতে মৃত্যু অবধি একটি মুসলিম ডিগ্রী অর্জনের পূর্ণাঙ্গ কোর্স, তাহা আমি নির্দ্বিধায় বলিতে পারি। সেইজন্যই তো ঈমানের ডিগ্রীর ওঠানামার ওপরই মুসলিমত্বের মানের হেরফের হইয়া থাকে এবং আল্লাহও মুসলিমের মানানুযায়ী পুরস্কারস্বরূপ পরকালে ৮ প্রকার জান্নাত প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছেন।



মুসলিমত্ব অর্জন এবং আলেম হইতে কি মাদ্রাসায় পড়া জরুরি?

আমি মাদ্রাসার বিরোধী নহি বরং সমর্থক। কিন্তু কিছু মাদ্রাসাপন্থী আলেমের অজ্ঞতা এবং অযোগ্যতার জবাব দিতেই আমাকে এই প্রসংগ তুলিতে হইতেছে এবং তাহাদের বালুর ঘর ভাঙ্গিয়া দিতে প্রবৃত্ত হইয়াছি মাত্র। আমার মতোন স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিপড়ুয়ারাও যে, কুরআন-হাদীস অনুযায়ী খাঁটি মুসলিম হইতে পারেন এবং আলেম হইতে পারেন, তাহা তাহারা আদৌ মানিতে চাহেন না। বরং নিজেদের জ্ঞানের দৈন্যতা ঢাকিতেই তাহারা শেষ অস্ত্র ছুঁড়িয়া মারেন যে, আপনার কি মাদ্রাসার সনদ আছে, আপনি তো আলেম নন ইত্যাদি। এমনকি এই অজ্ঞরা বিশ্ববিখ্যাত আলেম সাঈদী এবং মওদু্দীরও মাদ্রাসার সনদ খুঁজিয়া থাকেন? আমার কাছে বেকুব হইয়া আমাকেও একজন মাদ্রাসার তথকথিত আলেম নামধারী একই কায়দায় এইসব ফালতু প্রশ্ন ছুঁড়িয়া দিয়াছেন।



তাই তাহাদের ঔদ্ধত্যের জবাব দিবার পূর্বে আমিই আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখিতে চাহি যে, নবী সাঃ এবং তাহার সাহাবারা কি আদৌ কোনো মাদ্রাসায় বা কলেজে পড়িয়াছেন? ইহার জবাব হইবে, নাহ তাহারা মাদ্রাসায় পড়েন নাই যেহেতু মাদ্রাসাই ছিলোনা? ইহার অর্থই হইলো ইসলাম শিখিবার এবং মুসলিমত্ব অর্জনের জন্য মাদ্রাসা বা ভার্সিটিতে পড়া জরুরি নহে বলিয়াই নবী সাঃ এবং আশারা মুবাশ্বারা সাহাবীরা পর্যন্ত মসজিদ স্থাপনের গরজ করিলেও এইরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা মাদ্রাসা গড়িয়া তোলেন নাই এমনকি গড়িবার জন্যও তাগিদ দেন নাই!



অন্য ধর্মের পুরোহিতদের হাতের মুঠোয় যেমন তাহাদের ধর্মগ্রন্থ এবং বিধিবিধান কুক্ষিগত থাকে, যাহা সাধারণের নাগালের বাহিরে; ইসলাম কিন্তু তেমন কোনো আচারসর্বস্ব ধর্ম নহে। বরং ইসলামকে আল্লাহ-রসুল সকলের জন্য উন্মুক্ত করিয়া দিয়া বলিয়াছেন যে, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ। কিন্তু কিভাবে তাহা করিবে তাহা নির্দিষ্ট করিয়া দেন নাই যাহাতে ইসলাম বৈষম্যদোষ ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে আবদ্ধ হইয়া না যায়। যদি মাদ্রাসা বা ভার্সিটিতে জ্ঞানার্জন করা ফরজ করিয়া দেওয়া হইতো তাহা হইলে দুনিয়াসৃষ্টির পর হইতে আজ অবধি কোটি কোটি মানুষ তাহা হইতে বঞ্চিত হইবার দায়ভার কে লইতো? আর এইরূপ ফরজ আদায় না করিতে পারার দরুণ এই মহাপাপের ভাগীই বা কে হইতো বলিতে পারেন?



মাদ্রাসায় না পড়িলে যদি আলেম-উলামা বা ভালো মুসলিম হওয়া না যায়, তাহা হইলে মাদ্রাসা তৈরির কোটি কোটি বছর আগের মুসলিমগণ বা আলেম-উলামাগণের কী হইবে? বিগত লাখ লাখ নবী-রাসুলের কী হইবে এবং তাহারা কি মাদ্রাসায় না পড়িয়া মহাপাপ করিয়াছেন! (নাউজুবিল্লাহ)




মাদ্রাসা হচ্ছে খ্রিস্টানদের শিক্ষাপদ্ধতি

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে ইসলামী ও মুসলিমশাসন ধ্বংসকারী ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর দালাল খ্রিস্টান লর্ড ম্যাকলে ১৮৩৫ সালের ২রা ফেব্রুয়ারী ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যে বক্তৃতা দিয়েছিলো তা লক্ষ্যণীয়।



“আমি ভারত উপমহাদেশের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর এক মাথা থেকে অপর মাথা পর্যন্ত ভ্রমণ করেছি এবং আমি সেখানে একটি চোর অথবা একটি ভিখারীও দেখিনি। কিযে সম্পদশালী সেই দেশ! সেখানকার মানুষ এত উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন, কিযে তাদের ধীশক্তি! আমি মনে করি যে, এই সকল কারণে ঐ দেশ আমরা কোনদিনও জয় করতে পারব না। এটা সম্ভব হবে কেবল তখনই, যদি আমরা তাদের মেরুদন্ড ভেঙে দিতে পারি। তাদের মেরুদন্ড হলো তাদের সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এইজন্য আমি এই প্রস্তাব রাখছি যে, আমাদের করণীয় হবে, তাদের প্রাচীন ও ঐতিহ্যময় শিক্ষাপদ্ধতি ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে ফেলা। এটা এমনভাবে করতে হবে যেন ভারত উপমহাদেশবাসীরা মনে করে যে, যা কিছু পরদেশী ও ইংরেজী তা সবই ভালো এবং তাদের গুলোর চাইতে উন্নততর। এভাবে তারা তাদের আত্মসম্মান হারিয়ে ফেলবে, আরও হারিয়ে ফেলবে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। আর এভাবে তারা গড়ে উঠবে ঠিক তেমনটি করেই, যেমনটি আমরা চাই –একটি সত্যিকারের বশীভুত পরাধীন জাতি.”



(“I have traveled across the length and breadth of India and I have not seen one person who is a beggar, who is a thief. Such wealth I have seen in this country, such high moral values, people of such caliber, that I do not think we would ever conquer this country, unless we break the very backbone of this nation, which is her spiritual and cultural heritage, and, therefore, I propose that we replace her old and ancient education system, her culture, for if the Indians think that all that is foreign and English is good and greater than their own, they will lose their self-esteem, their native self-culture and they will become what we want them, a truly dominated nation.” – Lord Macaulay)



লর্ড ম্যাকলে ভারত উপমহাদেশের আধ্যাত্মিকতা ও সংস্কৃতির ক্ষমতা শনাক্ত করিতে পারিয়াছিলো। বৃটিশ সরকার ম্যাকলের প্রস্তাবকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করিয়াছিলো এবং সেই অনুসারে পলিসিও তৈরী করেন। আলিয়া মাদ্রাসা এবং স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি পদ্ধতির দ্বিমুখী শিক্ষাব্যবস্থা এইদেশে প্রবর্তন করেন, যাহার ফল আমরা এখনো ভুগিতেছি। ১৮৩৫ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই সুদীর্ঘ ১১২ বছর ছিলো মূলতঃ ঐ পলিসিরই বাস্তবায়নের যুগ। যাহার ফলে আমাদের উপর জোর করিয়া চাপাইয়া দেওয়া ইংরেজীভাষার ব্যাপক প্রভাবে আমরা আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান, সংস্কৃতি-ঐতিহ্য, আদর্শ-আধ্যাত্মিকতা, এককথায় স্বকীয়তা হারাইয়াছি। পাশাপাশি হারাইয়াছি নৈতিক মূল্যবোধ ও ধীশক্তি!



সেই সুযোগে চলিয়াছে আমাদের দেশে প্রচলিত ইংরেজদর চাপানো সেই পুরাতন শিক্ষাব্যবস্থা- জগাখিচুড়ীমার্কা আলেম তৈয়ারীর আলিয়া মাদ্রাসাপদ্ধতি এবং মিস্টার তৈয়ারীর সাধারণ শিক্ষাপদ্ধতি।



অথচ ইংরেজদের মানসিক ও শিক্ষাপদ্ধতির গোলাম হইয়া আমাদের তথাকথিত আলেমগণ মাদ্রাসার এইচএসসি'র সমমানের আলেম সার্টিফিকেটকেই ধরিয়া লইয়াছেন ইসলামী পরিভাষার সেই ''আলেম' হইবার সনদ বলিয়াই। তাহারা কি কখনো ভাবিয়া দেখিয়াছেন যে, স্কুল-কলেজের ন্যায় যে মাদ্রাসার নকলের বন্যা বহিয়া চলে, কুরআন-হাদীসের পাতা ছিঁড়িয়া যাহারা পায়খানা-পেসাবখানায় ফেলিয়া লর্ড ম্যাকলের নির্দেশিত সনদের ধান্ধায় পাগল হইয়া যায়--তাহা কী করিয়া ইসলামী শিক্ষা হইতে পারে? আলেম আর জালেমের ফারাক তখন কোথায় উড়িয়া যায়, তাহা হইলে আপনাদের এমন ভূয়া বড়াই করিবার কী আছে?



সুতরাং ইসলাম আর মাদ্রাসাকে একাকার করিয়া ইংরেজদের হাসাইবার পথ পরিহার করাই ভালো হইবে।



ঈমান কী?

পূর্বেই মুসলিমত্ব কী এই পর্যায়ে উল্লেখ করিয়াছি যে, আল্লাহ, ফিরিস্তাগণ, নবী-রসুলগণ, আসমানী কিতাবসমূহ, কিয়ামাত-আখিরাত এবং ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর আস্থা রাখার পাশাপাশি তদানুযায়ী দুনিয়াতে আমল বা কর্ম করিবার নামই হইলো ঈমান আর যাহারা এই সূত্র মানিয়া চলে তাহারাই মুসলিম বা ঈমানদার।



ইহার বাহিরে ঈমানের আর কোনো সংজ্ঞা থাকিতেই পারেনা ইসলাম অনুযায়ী। কিন্তু বাংলাদেশী তথাকথিত ইসলামের ধারক-বাহকগণ অনেকেই তাহাদের ফেরকা, মাজহাব, পীরত্ব বা মতবাদের পক্ষে কাউকে কথা বলিতে না দেখিলে কিংবা বিপক্ষে কিছু বলিতে শুনিলেই তাহাদের ইসলাম ও ঈমানের খাতা হইতেই খারিজ করিয়া দিতে বিলম্ব করেনা। কথায় কথায় মুরতাদ বলিয়া ঘোষণা দিয়া থাকে!



মুরতাদ কাহাকে বলে-তাহা না জানিয়াই তাহাদের কায়েমীস্বার্থে আঘাত লাগিলেই নিজস্বার্থে এতোবড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করিয়া থাকেন যদিও উল্লিখিত বিষয়ের বিরোধিতা করিলেই কেবল কোনো মুসলিম নামধারী ব্যক্তি মুরতাদ হইয়া যায় যাহার শাস্তি হইলো মৃত্যুদণ্ড মাত্র। আর সেই মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়নের দায়িত্ব হইলো কেবলমাত্র ইসলামী রাষ্ট্রেরই।



তাহা হইলে ইসলামী রাষ্ট্র না থাকিলে কে মুরতাদ আর কে ঈমানদার তাহার বিচার কে করিবে এবং কাহার অপরাধের শাস্তি কেইবা দেবে, ভাবিয়া দেখিয়াছেন কি? ইসলামী বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কেনো আমরা ভুলিয়া যাই যে, ইসলাম কোনো তথাকথিত ধর্ম নহে বরং পরিপূর্ণ জীবনবিধান এবং ফরজ ও হালাল-হারাম নির্ধারণের দায়িত্ব একমাত্র আল্লাহতায়ালারই, কোনো মুসলমানের নয়। তাই ঈমানের যে সংজ্ঞা আল্লাহ-রসুল সুনির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন, তাহার বাহিরে মনগড়া কথা বা ফতোয়া বলিলে শুধু মহাপাপই হইবেনা বরং দলাদলী ও বিভ্রান্তিই বাড়িবে মাত্র। (চলবে)



যাহার মিস করিয়াছেন পড়ুন--



প্রথম পর্ব



দ্বিতীয় পর্ব



তৃতীয় পর্ব

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.