নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ঢুকে আইনজীবীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের জানাজা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নজরুল ইসলামের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রফিক-উল হক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তিনি যদি হামলা ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার নির্দেশ দিয়ে থাকেন তাহলে এটা দুঃখজনক।”
বাহিরাগতদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের জানাজা হয়ে গেছে। নজরুল ইসলামের জানাজা পড়তে এসেছিলাম। কিন্তু গতকাল আইনজীবীদের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাতে সুপ্রিম কোর্টেরও জানাজা হয়ে গেছে।”
ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেন, “বিরোধী দলের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি করতে দিলে কী হতো। এতে কি কোনো অপরাধ হতো। কী অদ্ভুত গণতন্ত্র। এর নামই যদি গণতন্ত্র হয় তাহলে এ গণতন্ত্র চাই না।”
তিনি বলেন, “সবাই বলছে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে কিন্তু আওয়ামী লীগ তার দৃঢ় সিদ্ধান্তের অটল। এটা নির্বাচনতো নয়ই। এটা সিলেকশনের চেয়েও খারাপ।”
রফিক উল হক বলেন, “দুই নেত্রী একে অন্যকে দেখতে পারেন না। এমনকি একে অন্যকে সম্বোধনও করেন না। দেশে এখন নেত্রী নয় নেতার দরকার। এমন পদ্ধতি করা দরকার যাতে একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন।”
বিএনপি রাজি থাকলে নির্বাচন অবশ্যই পিছানো দরকার বলেও মনে করেন দেশের খ্যাতিমান এই আইনজীবী।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভিন্ন দেশের লোক এসে যদি ডিক্টেশন দিতে হয় তাহলে আমাদের গলায় দরি দেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন দেশের এই প্রবীণ আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম গত শনিবার ইন্তেকাল করেন। আজ তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ন বা
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
আহলান বলেছেন: আজব দেশ ....
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
শাহ আজিজ বলেছেন: যে কোন আদালত এলাকাতে বাদি,বিবাদি ও আইনজীবীরা কোন শ্লোগান , সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারবেন না । এসব কর্ম কাণ্ড ফৌজদারি অপরাধ এবং তাতে শাস্তি যোগ করতে হবে । বিশেষ করে আইনজীবীরা যেভাবে রাজাকার বিচার সময় পক্ষে বিপক্ষে মিছিল করেছেন তারা বরাবরের মতো বহিষ্কৃত হবেন । সাধারনদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া উচিৎ । স্ক্যাইপি বিচারকের কোন সাজা হয়নি ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
মুহসিন বলেছেন: সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ ও বার এসোসিয়েশনের সদস্যপদে উচুঁমানের প্রশ্নপত্র বা নিয়োগবিধি করলে সুপ্রিমকোর্টের প্রতি মানুষের সম্মান বহুগুণে বাড়বে। নাহলে দলনিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিচারবিভাগ ও আইন আদালত নিয়ে সবাই বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য ও অসম্মান করলেও, দেখার কেউ হয়তো থাকবেনা।