নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১ম বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি , চারুকলায়

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২০

খুব দ্রুত এগিয়ে আসছে ১ম বৈশাখ। চারুকলা অনুষদের মাঠে চলছে বাঘ, ঘোড়া ,ইলিশ মাছ এবং পাখির কাঠামো তৈরির কাজ । বাশ ফালি করে একদল কারিগর চটা বানিয়ে তা দিয়ে ভেতরের কাঠামো তৈরি করছে তার বা গুনা দিয়ে বেঁধে । এরপর আঠা দিয়ে লাগানো হবে কাগজ , তার ওপর রং দিয়ে সাজানো হবে বাংলার আবহমান সংস্কৃতির এইসব উপাদানকে । একসময়ের হাল খাতা আজ গোটা বাংলাদেশের সবচে বড় সেকুলার উৎসবে পরিনত হয়েছে । ঈদের আগে যেমন নতুন পাঞ্জাবি আর কাপড় কেনা হতো আমি ২০০৭এ সায়েন্স ল্যাবের সামনে বৈশাখের আগের রাতে ঠিক ওরকম উৎসব ভরা কেনাকাটা দেখে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছলাম যে বাংলা সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার , ভাষা পরিবর্তনের জারজীয় ইচ্ছা , বোমা মেরে গান বাজনাকে স্তব্ধ করার তাবৎ চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে নতুন প্রজন্মের বাঙ্গালরা । ৭৭ সালে রমনায় গিয়ে মিস করলাম কিন্তু ৭৮ সালে ঠিকই বসে গেলাম মাঠে আর বট তলায়, তখন গাছটি নিতান্তই ছোট ছিল, নিরাভরণ এক ফুট উচু মঞ্চে সর্ব সাকুল্যে ৩০জন গায়ক , গায়িকা আর বাজনা সঙ্গতকাররা বসে রবি ঠাকুরের গান গাইলেন । এখনকার দিনের মতো সাজগোজ ছিলোনা, ছিলোনা নতুন পোশাকের বাহারি চমক। সেই ৭৭ থেকে আজাবধি “ছায়ানট” চালিয়ে যাচ্ছে অনুষ্ঠানটি, এককভাবে । আমরা দর্শক বড়জোর শয়ের একটু বেশী হবো । প্রায় সবাই গান করা মেয়েদের গার্জেন । কোন বাদামওয়ালা কি পান্তা অথবা রাস্তায় আগ্রহী মানুষের ভিড় কিছুই নেই । সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে চলছে বলা চলে ওইসময় ঢাকাতে ১০০ গুন কম যানবাহন আর মানুষ ছিল । এই ব্যাপারটা , মানে এই বিষয়টিকে দাড়া করাতে একক কৃতিত্ব দেবো মহীয়সী সানজিদা খাতুনকে । ৭৮ থেকে আস্তে ধীরে মানুষ বাড়তে শুরু করল । ৮১ তে বেশ মানুষের আগমন ঘটেছিল । এরপর প্রবাসে আমরাই বৈশাখের
অনুষ্ঠান করতাম আর পুরনো বাংলা পত্রিকায় ঢাকার খবর নিতাম । প্রায় হটাত করেই মঙ্গল শোভাযাত্রার ছবি চমকে দিলো আমাদের । ঐ হচ্ছে নতুন মাত্রার শুরু । ওসময় মুখোশ বানিয়ে শুরুটা করেছিল সাইদুল হক জুইস , আমরা একত্রে সহপাঠী ও একই কক্ষে থাকতাম । জুইসের কৃতিত্ব খুব শীঘ্রই ছিনতাই হয়ে গেল । এখন কেঁউ তাঁকে স্মরণ করেনা । সাম্প্রতিক বছর গুলোতে এতো ভিড় হয় যে দম আটকে আসে, তাই যাইনা, যাই বন্যার অনুষ্ঠানে তাও বন্যার ঐতিহাসিক জায়গাটি দখল হয়ে গেছে , আহত আমি, আহত সবাই । দেখুন একনজর প্রস্তুতি পর্ব কেমন চলছে !


























মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: :)

সুন্দর!

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ চমৎকার।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৬

শাহ আজিজ বলেছেন: প্রায় চার বছর পর গেছি চারুকলায় । ভালো লাগলো ।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৫

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: আহ, দেশ উদ্ধার হতে চলেছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:১৯

শাহ আজিজ বলেছেন: কালের চাকা চালু থাকে ,

জীবন থেমে থাকেনা প্রয়ান , জনন, প্রনয়ে

সংস্কৃতি একদিনে গড়ে ওঠার নয়

হাজার বছরে রচিত হয় সুকৃতির ইতিহাস

বিরক্ত হলেও এটাই আমাদের জীবনের অংশ

মহাপ্রলয়ের ভয়ে আবদ্ধ রইবনা ঘরে ।

আপন পেশার উন্নতি করুন দেখবেন দেশটা এমনিতেই উদ্ধার হয়ে গেছে। হীনমন্যতা পরিহার করুন ।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১২

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: না হীনমন্যতা নয়, উপরে কিছু ছবি দিয়েছেন, বলুনতো এর মধ্যে কিসের সাদৃশ্যতা সবচে বেশী পাওয়া যায়। আপনার পিকে মনে হয় অনেক বড় মাপের মানুষ। পিক না দেখেই মন্তব্য করে ফেলেছিলাম। হয়তো আগে দেখলে ক্যাচালে যেতাম না, কিন্তু করেই যখন ফেলেছি তখন জানতে চাই। আচ্ছা বাংলা বর্ষবরণ কি অন্যভাবে সম্ভব ছিলনা, কতগুলি মুর্তি, মুখোশ কি করে জাতির সমৃদ্ধি আনে তা আমার কোনক্রমেই বোধগম্য হয়না। জানতে চাই........প্লিজ আবার ছাগু ট্যাগ দিয়েন না যেনো।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ভালো প্রশ্ন করেছেন । আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী এবং নিরাকার ও সর্বত্র বিরাজমান। মূর্তি আমার জন্য আনন্দ বৈ আর কিছু নয় । সাজগোজ , সাজসজ্জা মানুষের প্রথাগত এবং জেনেটিক হ্যাবিট । এখনো আগের সময়ের মতো মূর্তিপূজা হয় কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এই আধুনিক কালে বিশ্বাস করে এক অজানা শক্তি অথবা সুপার পাওয়ার দ্বারা সব কিছু নিয়ন্ত্রিত । মূর্তি ও মুখোশ জাতির প্রত্যক্ষ কোন সমৃদ্ধি আনেনা বটে তবে পরিচয়ের বাহক হিসাবে কাজ করে । এটি এই বঙ্গভুমিকে চেনাতে সাহায্য করে এবং ের আদি সংস্কৃতিতে কিন্তু মুখোশ বা পুতুলের সমাহার ছিল । আফ্রিকার কাঠের মূর্তি তাদের পরিচয়কে নিরধারন করে তেমনি চিনাদের , ফিজির আদিবাসিদের ও অন্যান্য অঞ্চলের কিছু না কিছু প্রতিক আছে । আমাদের দেশে ধর্ম(আরবিও) ও স্থানীয় সংস্কৃতির একটি সাঙ্গঘর্ষিক দিক আছে । অনেক পরে এসে প্রতিষ্ঠিত একটি সত্য কে অস্বীকার নিজেকেই অস্বীকারের নামান্তর । কৈ বিদেশের এতো পুতুল ,ডল তো কোনই সমৃদ্ধি আনছেনা জাতির । মানুষ এই সময়ে আনন্দর উপকরন চায় । তার এই নিস্কলুস আনন্দে আমি বাঁধা হয়ে দাড়াবার কে? আর এই যে একদিনের আনন্দবোধ এই বোধ শক্তিই তার কর্মের সমৃদ্ধি আনছে যা সমষ্টিগত ভাবে জাতির সমৃদ্ধি ।

আরও প্রশ্ন থাকলে করবেন এবং আমার জ্ঞ্যানে তাক্লে তার জবাব দেবো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.