নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুলাইয়ের শুরুতে একটি বিজ্ঞাপন দেখা গেল একটি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের । তারা ৫০ পারসেনট কমে ফ্লাট বিক্রি করছে । মুখ চেপে হাসলাম এত দুঃখের মাঝেও । এই ভুঁইফোঁড় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার মানুষকে পথে বসিয়েছে ইতিমধ্যেই । যারা দু তিন বছর আগে টাকা দিয়ে ফ্লাট কেনার বায়না করেছিলেন তাদের আর কখনো ফ্লাটে ওঠার সৌভাগ্য হবে না । কারন হয় তাদের ফ্লাট শুরুই হয়নি বা আধা সমাপ্ত হয়ে কয়েক মাস আগেই নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। আশ্চর্য হবেন জেনে এই প্রতারনার বিপক্ষে কোন আইন নেই দেশে । বনানিতে বিশাল এক দালানের ভিডিও ফেসবুকে দিয়ে একজন তার সুসজ্জিত ফ্লাট বিক্রির প্রস্তাবনা দিয়ে মোবাইল নাম্বারও দিয়ে দিয়েছে। করোনা কালেই ঢাকা থেকে ৫০ হাজার পরিবার তাদের ভাড়াবাড়ি ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন । ঢাকাতে তাদের কোন কাজ ছিলনা , ছিলনা আয় । ঢাকা শহরে বাসস্থান নির্মাণে কোন রকম বাছ বিচার করা হয়নি । যেই চেয়েছে সেই বড় দালান হাকিয়েছে এবং এখন তারা সবচে বড়রকম বিপদের মধ্যে আছে ।
একটু পেছন দিকে যাই দেখতে ঠিক কি কারন ছিল এইসব দুর্ভাগ্যের পেছনে । ৯৮ সালে অফিসে বসে আমি । বিদেশী দুজন আমায় বলল তারা যে নির্মাণ ব্যাবসায় নামতে চেয়েছিল তা হচ্ছে না । তারা আমার হাতে একটা ফ্যাক্স কপি ধরিয়ে দিল । তাতে বাংলাদেশ তথা ঢাকার আবাসন ব্যাবসা কেমন হবে তার একটা রিপোর্ট দিয়েছে । হংকং ভিত্তিক এই কনসালটেশন কোম্পানি লিখছে এই দেশের মুল আয় বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশীদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকে । শিল্পবান্ধব কোন পলিসি না থাকায় এই মানুষদের প্রথম টার্গেট একটুকরো জমি । এই দেশে জমির মুল্য বিশেষত ঢাকা শহরে বেড়েছে কয়েকগুন । সবার নজর একখানি আবাসস্থল তৈরি করে নিজের পরিবার , অথবা ভাড়া বা বিক্রি করে আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হওয়া । আগামি দশ বছরে ঢাকা শহরে আবাসন বৃদ্ধি পাবে বহুগুন । মানুষের জীবনধারন , কর্ম , অন্যান্য সুবিধা প্রপ্তিতে ঢাকা অগ্রগন্য । শিল্পে বিনিয়োগ না হয়ে বাইরের আয়ের টাকায় প্রায় সকল প্রবাসী একটি জমি বা বাড়িতে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করেন । এক্ষেত্রে জমির দামে ঊর্ধ্বগতি বা আবাসনের মুল্য বেড়ে যাবে । আবাসন প্রক্রিয়া ২০০৮ নাগাদ প্রায় হকারি ভিত্তিতে বিক্রির চেষ্টা হবে । আমাদের যারা এইরকম আবাসন ব্যাবসায় নামতে চেয়েছিলেন তারা মুহূর্তেই তা বাতিল করলেন ।
২০০৯ সালে অর্থমন্ত্রী একাধিক ফ্লাট মালিকদের ছাড় দিলেন বাজেটে । সবাই সুযোগ নিলেন এবং যারা কালো টাকা হাতে রেখেছিলেন তারাও দশ বিশটা ফ্লাট কিনে টাকা সাদা করে ফেললেন । কি অদ্ভুত যোগাযোগ তাইনা । ৯৮ সালেই আমি ধারনা পেয়েছি কি ঘটতে যাচ্ছে আর ২০০৮ পেরিয়ে এখন আমি দাড়িয়ে ২০২০ সালে । ঢাকা শহরে এখন মহামারী ফ্লাট বাড়ি নিয়ে । উচ্চমুল্যের ভাড়া থেকে মধ্যম ভাড়ায় যাচ্ছেন অনেকে । মধ্যম থেকে ছোট দুরুমের বাড়িতে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে । আর ছোট আয়ের মানুষ ছোট ঝুপড়ি ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন । এভাবেই বাড়িওয়ালারা একটা নিখুঁত ফাঁদের মধ্যে পড়ে গেছেন । আয় না থাকলে রুটির জোগান কেমনে হবে । ঢাকাতেই প্রায় সব আছে এরকম ফাঁদ সমাজের পরিচালনা কারিরাই তৈরি করেছেন । ঢাকা নিয়ে এক মাস্টার প্লান দেখেছি রাজউকের ছাপানো দুখানা বই যার মুল্য এক লাখ বিশ হাজার টাকা । এটি পাকিস্তানের সময় তৈরি । এতে বিশাল ঢাকা শহর আর উপ শহরের ম্যাপ ছিল । আমি ৭৬ সালে পল্লবীতে এসেছিলাম বাসে চড়ে । ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে সেই একতলা দালান সমৃদ্ধ উপ-শহর পল্লবী এখন বহুতল বিশিষ্ট পল্লবীতে রূপান্তরিত , ধানক্ষেত খাল উধাও । রুপনগরে একটি খাল ছিল যা দখল হয়ে ভয়াবহ দুষিত পানির আধার এখন। নগর বিকেন্দ্রীকরণ আর প্রশাসন সরিয়ে জেলা শহরে নেওয়া অনেক আগের ব্যাপার ছিল । আপনি ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ গাড়ি চালিয়ে গেলে মাঝে কোন ছেদ পাবেন না, মনে হবে বিশাল এক শহরেই আছি কয়েক ঘণ্টা। এভাবেই নগর আর শিল্পাঞ্চল বাড়ছে ঢাকাকে ঘিরেই । ঢাকাতে জনসংখ্যা এমনিতেই বেশী । ঢাকাতে আয়ের সুযোগ বেশী । লেখাপড়ার মান ছোট শহর থেকে উন্নত । উচ্চমুল্যের জীবনযাত্রা হলেও নিন্ম ও মধ্যবিত্ত ঢাকাকেই উপযুক্ত ভাবেন । আমি ধানমণ্ডিকে দেখেছি এক তলা থেকে বড় জোর দোতালা ছিমছাম শহর । ৪০ বছরের বেশী সময় বাদে সেই ধানমণ্ডি এখন হাই রাইজে পূর্ণ । এত মানুষের জন্য ড্রেন নেই পয়নিষ্কাশনের জন্য । মধ্য ঢাকা রীতিমত বর্বর তার চেহারায় । বর্ষা শুরু হলে ওখানে জমে থাকা পানি নিস্কাশনের খাল দখল হয়ে দালান হাকিয়েছে । অতএব ভেনিসের মত বসবাস । এখানে দেখেছি আগে দালান হয় তারপর পানি জমলে ড্রেনের পাইপ কেনে বাড়ির মালিকেরা , গ্যাস লাইন টানতে বেশ খরচ করতে হয় । নাগরিক সুবিধার সবটুকু টেন্ডারবাজ ঠিকেদার ছিনতাই করে নিয়ে গেছে । আমি যেহেতু পরিকল্পিত নগরে বাস করেছি তাই আমার আওয়াজ একটু বেশিই হবে।
কি হবে এই যে বিপুল সংখ্যক দালান বানিয়ে রেখে এখন খালি হয়ে যাচ্ছে বা আগেই খালি ছিল । গেল ডিসেম্বরে ঢাকায় চল্লিশ হাজার অবিক্রিত ফ্লাট বাড়ি ছিল । বৈশ্বিক পরিস্থিতি এমন হতে যাচ্ছে যে পঞ্চাশ হাজার পরিবার ঢাকা ছেড়ে গেছেন তারা আমার থেকে জীবনের ক্যাল্কুলেশন বেশী বোঝেন । গ্রামে গেছেন তারা , খাবেন কি ? অক্সফাম আজকের হুশিয়ারিতে বলছে ভাইরাসে যে পরিমান মানুষ মারা যাচ্ছে তার থেকে বেশী মারা যাবে খাদ্যসংকটে । কি ভীষণ ব্যাপার । আমার মেয়ে বাসার বাজার সদাই করে । আজ জিজ্ঞাসা করলাম সবজি কেমন দাম ? বিষণ্ণ কণ্ঠে জানাল ৫০ টাকার নিচে সবজি নেই । দাম বাড়ায় মধ্যসত্ত্বভোগী দালাল যাদের দৌরাত্ন রাষ্ট্রে সবচে বেশী তারাও নিশ্চিন্তে নেই । দালানওয়ালারা এরপর মাগনা থাকতে দিলেও কেউ থাকবেনা । দালান বাড়ির মালিকেরা ব্যাঙ্ক লোণ পরিশোধে অক্ষম আর মাসিক আয় থেকে বঞ্চিত হয়ে এক ভয়ানক সমস্যার মধ্যে পড়বেন । ব্যাঙ্ক এই সম্পদ নিয়ে পড়বে আরেক সংকটে । পিপলস মানির এখানেই হবে অপচয় । দালান মালিক জেলে গেলেও সমাধান আসছে না । নতুন করে কেউই ফ্লাটে বিনিয়োগে করবেন না । সবার এখন সঞ্চয়ী হবার সময় । সঞ্চয় ফুরিয়ে গেলে খাদ্য লুট । কি বিশাল এক সংকট আমরা সেধেই টেনে এনেছি আমাদের ঘাড়ে । তবু একটা আশা আছে তা হচ্ছে ধান উৎপাদন এখন তুলনামুলক ভালই হয় । খাদ্য সামগ্রী যদি ক্রয়সীমার মধ্যে রেখে সরকার সেনাবাহিনী ব্যাবহার করে বিক্রি করতে পারেন তবু মানুষ দুটো ভাত খেতে পারবে হোকনা একবেলা ।
সবাই মুক্তকণ্ঠে তাদের থিওরি দেবেন এখানে কি করে এই দুঃসময় পার করা যায় । অতি উর্বর এই পলির দেশে আমি ক্ষীণ হলেও কিছুটা আশার আলো দেখি , কি জানি ভ্রম কিনা ।।
১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: কি পরিমান লস উভয় মালিক ও ব্যাঙ্কের জন্য । যারা একটি ফ্লাট ভাড়া দিয়ে সংসার চালাতেন তারা পড়বেন মারাত্মক সমস্যায় ।
২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: খাদ্য উৎপাদন প্রাকৃতিক কারনে ব্যাহত না হলে,অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন এনে অনাহারে মৃত্যু কমানো যাবে।সবার আগে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
শাহ আজিজ বলেছেন: আমিও সেরকমটাই ভাবছি । দুর্নীতি শাহেদকে দিয়েই শেষ হোক ।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুবই মুল্যবান তথ্য সম্বলিত একটি পোষ্ট।
প্রিয়তে রাখলাম ,তথ্যগুলি কাজে লাগবে।
শুভেচ্ছ রইল ।
১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ আলী ।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আবাসন ব্যবসায়ীদের একটা অংশের এত টাকা ( এত বছরে প্রচুর কামিয়েছেন বৈধ/ অবৈধভাবে) যে ব্যবসার ক্ষতি নিয়ে তারা মনে হয় উদ্বিগ্ন না। ব্যাংক ঋণ খেলাপি হলেও সমস্যা নেই কারণ ওটা সামলানোর কিছু প্রতিষ্ঠিত তরিকা আমাদের ব্যবসায়ীরা বানিয়ে নিয়েছেন ও ক্রমাগতভাবে উপকৃত হচ্ছেন। জমি, বাড়ি এগুলি সহজে ধ্বংস হয় না তাই দুর্দিন গেলে ওনাদের দিন আবার আসবে। প্রয়োজনে কর্মচারী কিছু ছাটাই করে দেবেন। বাংলাদেশে গার্মেন্টস আর আবাসন ব্যবসা হোল ডাকাতদের ব্যবসা (কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে)। ডাকাতরা এত সহজে দুর্বল হবে না। সমস্যায় পরবে অপেক্ষাকৃত ছোট পুজির ভালো ব্যবসার মানসিকতা সম্পন্ন ব্যবসায়ীরা। সরকারের নীতিগত সমর্থন ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতাদের ক্ষতি কমানো কঠিন হবে।
১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
শাহ আজিজ বলেছেন: খাদ্য উৎপাদন ও সুষম বণ্টন প্রক্রিয়ায় কিছুটা কষ্ট কমবে । আমি ছোট গ্রুপ নিয়েই চিন্তিত । এদের হাহাকার শুরু হয়ে গেছে । যারা সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে একটি ফ্লাট কিনেছিলেন তারা বেচে যাবেন । যারা একাধিক কিনে তার অর্থে সংসার চালাতেন বিপদ তাদের । যারা এসবে ভেঙ্গে পড়েন না তাদের সঙ্খ্যা অল্প বিধায় তাদের নিয়ে কোন চিন্তা নেই । আর যাদের খোলা আকাশ ভরসা ----------
৬| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধান উৎপাদনের জন্য একটা ভয় বন্যা ও খরা।
১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: মার্চের ফসল উঠে গেছে । শ্রাবনে যে ফসল লাগবে তা উঠবে অগ্রহায়ন বা পৌষে । ইতিমধ্যে বোরো লাগিয়েছে বেশ কিছু জমিতে । আশা করা যায় আমরা পার পেয়ে যাব ।
৭| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পরিকল্পনাহীন নগরায়ন, বিকেন্দ্রীকরণ না করে সব ঢাকা কেন্দ্রীক ধরে রাখা
সর্বোপরী এক অবিমৃশ্যকারী তথাকথিত উন্নয়নের ফাঁপা বেলুনে বাস্তবতার (করোনার) পিন ফুটে
নিট বাস্তবতা ফুটে উঠছে।
ভবিষ্যত পরিণতি খুব ভাল যে নয়, অনায়াসে বলে দেওয়া যায়!
খারাপটা কতটুকু খারাপ ভাবতেও ভয় লাগে।
++++
১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: সহমত ।
ধন্যবাদ সময় দেবার জন্য ।
৮| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১২
সানহিমেল বলেছেন: বিশ্লেষনধর্মী সুন্দর পোস্ট, ভাল লাগলো।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৭
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: ক্যাম্পাস বন্ধ, বাড়িতে থেকেও মেছ ভাড়া টানতে হচ্ছে। কবে নাগাদ ক্যাম্পাস খুলবে তারও কোনো ইয়ত্তা নাই। সীদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি, বাসা ছাড়বো কি ছাড়বো না, এই জীবনে যত অর্জন তার সকল কাগজপত্রই সেখানে!
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ক্যাম্পাস খুললে যদি সেই সময় মেস না পাওয়া যায় । এখন বিছানা পাতি নিয়ে কোথাও রাখাও বিপদ । কাগজপত্র সাথে রাখাই ভাল ।
১০| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পশ্চিমা বিশ্বের মতো ফ্লাট ব্যাসায়ীরা ভাড়ার টাকার কিস্তিতে
ফ্লাট বিক্রি করে দিতে পারেন। এককালীন একটা ডাউন পেমেন্ট
নিয়ে ৫০ বছরে কিস্তি পরিশোধ হলে মালিকানা দিয়ে দিতে পারেন
ভাড়াটিয়াদের। এতে উভয়েরই লাভবান হবার সম্ভবনা থাকে।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৭
শাহ আজিজ বলেছেন: এই ফ্লাট নিয়েই যত সমস্যা , কে কিনবে এই সময়ে ? যদি কেনেও ভাড়া দেবে কার কাছে । ঢাকায় থাকার শখ অনেকেরই নেই এখন । তারা ছোট শহরেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন । প্রশাসন কেটে কুটে ভাগ করে তৃণমুলে নিতে হবে । এক সময় ডাক্তাররা গ্রামে যেতে চাইত না , এখনো চায় না । সরকারী কর্মকর্তারা যেতে না চাইলে নতুন নিয়োগ দিতে হবে এবং বি সি এস উঠিয়ে দিতে হবে । এতে করে তৃণমুলের অনেকেই নিজ এলাকায় থাকতে চাইবে । আমি এছাড়া উপায় দেখি না । সাহেব সুবো নয় কর্মী চাই ।
১১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫০
কহেন কবি কালীদাস বলেছেন: আপনি মনে হয় তেমন ব্লগে এখন লেখালেখি করেন না। আরও কয়েকজনকে মিস করি যেমন ব্লগার প্রামানিক।
আপনারা পুরনো ব্লগার, আপনারা না থাকলে কেমনে কি?
যাই হোক, খুব ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ঢাকা ফাকা হওয়ার দরকার আছে। আবাসন ব্যাবসায়িরা আর বাড়িওয়ালারা দের বেশ ভালই চলছিল! তবে আমি বাড়িওয়ালাদের দৌরাত্তের কথা বলবো বেশি করে। যেভাবে প্রতিবছর তারা ভাড়া বারাত,রিতিমত আমার কাছে ডাকাতি মনে হত!নিরুপায় মানুষ তাই দিয়ে চলত।
এখন যারা বাড়ি গিয়েছেন তারা বেচে যাবেন, কিন্তু যারা লোণ করে বাড়ি করেছেন তাদের খবর আছে।জাদের চাকুরি গিয়েছে বা বেতন অর্ধেক হয়ে গিয়েছে, তারা মনে হয় না সহযে আর পরিবার নিয়ে শহরে আসবেন।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৪
শাহ আজিজ বলেছেন: প্রক্রিয়াটি ২০০৭/৮ সালেই শুরু হয়েছে ঢাকাতে । বড় অংশের ছোট কর্মচারীরা তাদের পরিবারকে জেলায় বা উপজেলায় নিজ বাড়িতে রেখে ঢাকায় একা মেসে থাকছেন । আমি ওইসময় খুব বাসে চড়তাম আর পেছনের দিকে আড্ডা বসিয়ে দিতাম , গল্প হত জীবন নিয়ে । মতিঝিল এসে গেলেই আমরা আলাদা হয়ে যেতাম । তবু আমাদের হার্দিক বন্ধন কাটত না কখনো । আমার অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ , ফাকি দেবার সুযোগ নেই ।
১২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহ আজিজ,
অশনি সংকেত এখন শুধু আবাসন খাতেই নয়, সবখানেই। বিশেষ করে অল্প পুজির মানুষজন যারা কোনও রকম দূর্নীতি ছাড়াই টিকে ছিলেন এতোদিন তাদের জন্যে এই করোনা পরিস্থিতি আসলেই শঙ্কাজনক। আবার ঢাকাতেই নয়, সারা দেশ জুড়েই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত সাধারণ মানুষদের জন্যেও বর্তমান সময়টা একটি অশনি সংকেত যদি দৈব কিছু না ঘটে।
খাদ্য উৎপাদন পর্যাপ্তে হলেও ক্রেতা আসবে কোত্থেকে? সরকারী আশীর্বাদপুষ্ট লুটেরারা, চামচারা হয়তো এযাত্রা বেঁচে যাবে কিন্তু
সাধারণ মানুষের পিঠ দেয়াল ভেদ করে আরও পিছনে ঠেকে গেলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন নৈরাজ্যের দিকে যে যাবে ভাবতেও ভয় লাগে।
সাড়ে চুয়াত্তর সুন্দর মন্তব্য করেছেন " ......ব্যাংক ঋণ খেলাপি হলেও সমস্যা নেই কারণ ওটা সামলানোর কিছু প্রতিষ্ঠিত তরিকা আমাদের ব্যবসায়ীরা বানিয়ে নিয়েছেন ও ক্রমাগতভাবে উপকৃত হচ্ছেন।........... সমস্যায় পরবে অপেক্ষাকৃত ছোট পুজির ভালো ব্যবসার মানসিকতা সম্পন্ন ব্যবসায়ীরা।"
আপনি বলেছেন - "খাদ্য উৎপাদন ও সুষম বণ্টন প্রক্রিয়ায় কিছুটা কষ্ট কমবে "। আপনি কোন দেশে আছেন জানিনা! সুষম বণ্টন প্রক্রিয়ার কথা তো সমাজতন্ত্রের বইতেই লেখা থাকে, বাস্তবে থাকেনা ! এই দেশে দেখেছেন কখনও ? এই করোনা মহামারীর সময়েও যে জাতির মুখপাত্ররা ( যাদের জন্য প্রযোজ্য) ত্রানসামগ্রী লুটপাট করে সে জাতির ব্যবস্থাপনায় "সুষম বণ্টন" কথাটা খড়ের গাঁদায় সুই খোঁজার মতোই হয়ে যাবেনা ?
আপনার মতো আমরাও এই "ভ্রম" আশাতেই বুক বাঁধি কিন্তু ভ্রম - ভ্রমই থেকে যায়।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৩
শাহ আজিজ বলেছেন: সব খাত নিয়ে একসাথে লেখা যায় না । আলাদা করে লিখব পরে ।
চলমান সব বিষয়েই আমি জ্ঞাত কিন্তু বিশেষ মহলের সমালোচনা করে বিপদে পড়তে চাইনা । সুষম হল ওই যে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখতে না পারে সেটাই ভদ্র ভাষায় বলতে চেষ্টা করেছি ।
তারপরেও আশায় বুক বাধি ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
১৩| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে আজ ঢাকার এই অবস্থা। তার ওপর মানুষের লোভ লালসা ও দুর্নীতি বোঝার ওপর শাকের আঁটি হয়ে দেখা দিয়েছে। ঢাকার ভবিষ্যৎ কি হবে কে জানে?
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: রাজশাহি কিন্তু ভাল প্রোগ্রাম নিয়েছে । আমি ৯৮-৯৯ সালে রাজশাহি সিল্ক কারখানায় চীনেদের দোভাষী হিসাবে কাজ করেছি । রাজশাহি মডেলে অন্য শহরগুলোতে এভাবেই উন্নতি করতে হবে । রাজশাহি আসব পরিস্থিতি উন্নতি ঘটলে , পদ্মার পাড়ে আবার বসব , বাদাম খাব ।
১৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব ব্যবসায় ধস নামবে। মধ্যপাচ্য হতে হাজার হাজার লোক ফেরত আসবে।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৩
শাহ আজিজ বলেছেন: ম্যানেজ করতে হবে । এই বিপদ প্রতি শতাব্দিতেই আসে তবে দুর্নীতির এই বিপদ আমাদের কাধ থেকে কে নামাবে ?
১৫| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪১
সাইন বোর্ড বলেছেন: পুরাতন বাসাই যেখানে খালি হয়ে যাচ্ছে সেখানে নতুন আবাসন দিয়ে মানুষ কি করবে ? দাম যতই কমাক, ক্রেতা পাবে না । তবে দেশে এখনো একটা শ্রেণী আছে, যাদের কখনো টাকার অভাব হবে না । এরা সব সময়ই সব কিছু কেনার যৌগ্যতা রাখে ।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৯
শাহ আজিজ বলেছেন: এইখাতে ভুলেও কেউ একপয়সা দেবেনা । সবাই কমে ঝেড়ে দেবার ধান্ধায় আছে । যাদের একান্ত একটি আবাস দরকার তারা দাও মারবেন অর্ধেক দামে ।
১৬| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই সম্স্যাটা শুধু একা ঢাকার নয়, কলকাতাতেও আবাসন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে।এখন না হয় করোনা সঙ্কটে মধ্যে আছি।কিন্তু তার আগে থেকেই কলকাতা ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় ফ্লাট বিক্রিতে ছাড়ের বন্যা বয়ে গেছিল।সারাদিনে বিভিন্ন আবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে এমন ছাড়ের ভুরি ভুরি এস এম এস গ্রাহকদের বিব্রত করে তুলতো যা এখনও অব্যাহত।তবে করোনা এত বেশি সংখ্যক মানুষকে বেকার করে দিয়েছে যা কল্পনারও বাইরে। আর এর ফলে নির্মাণসংস্থাগুলোও পড়েছে আতান্তরে। গাড়ি ও ফ্লাট বিক্রি এই মুহূর্তে সুপার ফ্লপ করেছে।
আপনার বিশ্লেষণ ভালো লাগলো। আপনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে যেটাই কেনেন দাম পঞ্চাশ টাকা বলে।কলকাতাতেও একই অবস্থা। হাত দিলেই চল্লিশ। তার মধ্যে আবার সাদা/মাচার পটলের দাম ৭০/৮০টাকা কেজি।চারাপোনা ১৫০, বাটা১৮০, কাতলা ছোট্ট ২৫০,বড়৩২০, ভাঙান৪০০, ভেটকি সাত/আটশো ওজনের দাম ৬০০। ইলিশের দাম শোনার সাহস এখনও হয়নি।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১১
শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যা , আমাদের জীবনে একটা জীবাণু অস্ত্রের সফল প্রয়োগ দেখে গেলাম । আমরা সুস্থ থাকলে ক্রন্দনময় এক ক্ষুধার্ত পৃথিবীকে দেখব । এবার সেই মঙ্গার মত হবেনা কারন ভাইরাসের হানা সবখানেই । আমরা যেন ভাগাভাগি করে নিতে পারি এই দুঃসময়কে । আমি কাল বেলে আর মলা আনিয়েছি মেয়েকে দিয়ে ।
ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী ।
১৭| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫২
একাল-সেকাল বলেছেন:
আবাসন প্রকল্প গুলো ফসলী জমির বারোটা বাজাচ্ছে।
কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, ধানমন্ডি বহু আগেই নামের যতার্থতা হারিয়ে ফেলেছে। বাকী গুলোকে রক্ষা করতে না পারলে খাদ্য সংকটে পড়তে হবে। করোনা বিশ্বকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে খাদ্য উৎপাদন ও সঠিক বণ্টন কতটা গুরুত্বপুর্ন।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৩
শাহ আজিজ বলেছেন: উপ শহর উপযুক্ত থিম ছিল । কম শিক্ষিত ধূর্ত সাঙ্গ পাঙ্গরা তা নষ্ট করেছে কমিশনের লোভে ।
১৮| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের সব সমস্যার আসল কারন দূর্নীতি।
আমাদের দেশ থেকে শুধু মাত্র দূর্নীতি বন্ধ করতে পারলে আমাদের দেশ আসলেই সিঙ্গাপুর, মালোশিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে। ছোট ছোট আবাসন ব্যবসায়ীরা ধরা খাবে। কিন্তু বড় কোম্পানীরা ভালৈ আছে।
আপনি চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছে। সুন্দর বিচার বিশ্লেষন করেছেন।
দেশ নিয়ে আপনি যতটূকু ভাবছেন, ততটুকু দেশের একজন মন্ত্রী ততটুকু ভাবেন না। এই জন্য দেশ পিছিয়ে আছে।
আপনাকে অনুরোধ করবো দুদক এবং দূর্নীতিবাজদের নিয়ে কিছু লিখুন।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১১
শাহ আজিজ বলেছেন: অথরেটেটিইয়ান দিয়ে কোন উত্তম কিছু আশা করা যায়না বরং বিরোধিতা করলে হয়রানি অপরিহার্য । অসব নিয়ে আমি লিখব না ।
১৯| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: দেশের মানুষ যাদেরকে দেশ নিয়ে ভাবার দায়িত্ব দিয়েছিলো, তারা কানাডা, সিঙাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ নিয়ে ভেবেছে।
আমাদের রেমিট্যান্স হচ্ছে অর্থনীতির অন্যতম মূলশক্তি। কিন্তু মূলশক্তির মানুষগুলো অর্ধেকের বেশি অদক্ষ। তাদের দক্ষ করার জন্য দেশ কোন পদক্ষেপ নেই নাই।
এদেশে উদ্যোক্তা তৈরি হবার কথা নয়। এর মূল কারণ রাজনৈতিক বাঁধা। আমি আমার জেলা শহরে ব্যবসা করতে গিয়ে সাহস করতে পারি নি। পরে ভেবেছি, টাকা জমিয়ে, ব্যাংক লোন পাঁচতালা বাড়ি বানিয়ে ভাড়া দিয়ে রাখবো।
এদেশে চাকুরী করার জন্য যতটা উৎসাহ দেওয়া হয়, ব্যবসা করার জন্য ততটাই নিরুৎসাহিত করা হয়।
ছোট ছোট ব্যবসা বন্ধ হবার আরেকটি কারণ, প্রাণ আরএফএল, স্কয়ারের মত কোম্পানিদের সকল টাইপের প্রোডাক্ট বাজারে বের করা।
অন্যদের ব্যবসাও তারা কিনে নিচ্ছে। ফলে সকল কিছু কিছু মুষ্টিমেয় লোকের হাতে চলে যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনা খুব সুন্দর ভাবে সাজাতে হবে।
আমাদের সবচেয়ে নেগেটিভ দিক আমাদের জনসংখ্যা, আবার পজিটিভ দিকও জনসংখ্যা। ১৬ কোটি জনগনের মার্কেট আমরা ব্যবহার করতে পারছি না।
১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩০
শাহ আজিজ বলেছেন: অন্যদের ব্যবসাও তারা কিনে নিচ্ছে। ফলে সকল কিছু কিছু মুষ্টিমেয় লোকের হাতে চলে যাচ্ছে।
অনেক আগে থেকেই এই ব্যাপার নিয়ে ভাবছি । ছোটখাটো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে বিশেষ করে পেশাজীবী যারা তারা উৎপাদন ব্যাবস্থা ভালই বোঝেন । ছোট খাট প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা ফেইল করলে ক্ষতি কম কিন্তু কংগ্লোমরেট পড়ে গেলে বিপুল ব্যাঙ্ক ঋণ সাথে করেই পড়ে তাতে রাষ্ট্রের ক্ষতি । এটি আমাদের রাজনিতিকদের বোঝানো মুশকিল । মুলত ওয়ান স্টেপ কালেকশন সিস্টেমে গড়ে উঠেছে এই বিপুল আবর্জনা । ক্ষুদ্র আকারের শিল্প দিয়েই চীনের এত উন্নতি । আমাদের পাছায় কাপড় নাই থাক মাথায় পাগড়ি থাকতেই হবে। জেলা শহর ভয়ঙ্কর ব্যাবসার ব্যাপারে । পরিবারের একজনকে গুন্ডা হিসাবে রাখতেই হবে সব ঠেকানোর জন্য । অথবা সুবিধা দিয়ে ব্যাবসা চালাতে হবে ।
২০| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৭
উদ্বাস্তু মানুষ আমি বলেছেন: যারা বাড়ি ভাড়ার টাকা দিয়ে সংসার চালান, তাদের জন্য সময়টা চিন্তার। দোয়া করি পরিস্থিতি যেন দ্রুত ভালো হয়।
১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৩
শাহ আজিজ বলেছেন: এই মুশকিলের মধ্যে অনেকেই পড়েছেন ।
২১| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:২৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমার ক্যারিয়ারের ২ টা বছর আমি রিয়েল এস্টেট প্রফেশনে ছিলাম। ২০১৩ সাল থেকে আবাসন ব্যাবসা ফল করছে । ২০১৭ এর দিকে আরেকবার জমে উঠেছিল। ২০২০ এ একেবারে শেষ।
১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: তাহলে আপনিই জানেন পুরো ব্যাপারটা ।
২২| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১৭
রাফা বলেছেন: আবাসন ব্যাবসায়িরা মুলত ভুমি দস্যু । যত্রতত্র জমির দখল নিয়ে অপরিকল্পিত দালান কোঠা নির্মান করে অবৈধ সম্পদ অর্জনই এদের লক্ষ ছিলো।ভবিস্যতে এই ফ্ল্যাটবাড়ির ক্রেতাদের কি অবস্থা হবে তা এরা মোটেই বিবেচনায় রাখেনি।তাই রাস্তাঘাট খালবিল কোন কিছুই দখলে নিতে বাকি রাখেনি।মানুষের বসবাসের অনুপযক্ত করে ফেলেছে ঢাকা'কে।আমাদের প্রিয় ঢাকা যেখানে জন্ম নিয়ে বড় হয়েছি সেই ঢাকা'কে আমাদের জন্যই করে তুলেছে বসবাসের অযোগ্য।নিঃস্বাশ নেওয়ার কোন সুযোগ রাখেনি প্রকৃত ঢাকার বাসিন্দাদের।আমরাই এখন ঢাকা ছেড়ে যেতে পারলে বেচে যাই।
বর্তমানের ঢাকা'কে আমার কাছে ইটকাঠ-লোহার জংগল ছাড়া কিছুই মনে হয়না।মানুষ বসবাস করার জন্য সকল কিছুর প্রয়োজন আছে ঠিক ততটাই প্রয়োজন ফাঁকা জায়গা রেখে দেওয়ার।এর কিছুই অনুসরণ করা হয় নাই ঢাকার বেলায়।এই দ্বায় সকলের।নিতী নির্ধারক থেকে শুরু করে প্রতিটি সরকারি বেসরকারি বিভাগ দায়ী।সবাই ঢাকার অস্থিমজ্জ্যা ,রক্ত শুষে খেয়ে ফেলেছে।এখনকার ঢাকা'তে কর্মচাঞ্চল্য আছে ঠিকই কিন্তু সতেজতা নাই।এই হোচ্ছে বর্তমানের ঢাকা'কে নিয়ে আমার মূল্যায়ন।
আমরাই সবচাইতে বেশি নিরুপায় ।কারণ ঢাকা ছেড়ে কোথাও যাওয়ার গতি নেই আমাদের ।মরি-বাচি ঢাকাতেই থাকতে হবে আমাদের ।ভবিষ্যত কোথায় নিয়ে যায় সেটার অপেক্ষায় আছে এখন ঢাকার প্রকৃত উত্তরাধিকারিরা।
ধন্যবাদ,শা.আজিজ প্রিয় ঢাকার সমস্যা নিয়ে পোষ্টের জন্য।
১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: ভুমি দস্যু তো আছেই সাথে বাটপাড়ি ভয়ানক । ছিচকে একজন বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠান মানুষের টাকা নিয়ে বছরের পর বছর ঘুরিয়ে দালান তুলে ৮৫ লাখের জায়গায় ব্লাক্মেইল করে ১ কোটি ২৫ লাখে রফা । আর অনেকেই ভেগে যায় অসম্পূর্ণ অবস্থায় ফেলে রেখে । যারা জীবনের সঞ্চয় তুলে দিয়ে একটি ফ্লাটের স্বপ্ন দেখেছিল তারা দলবদ্ধ হয়ে সেই অসম্পূর্ণ ফ্লাট দখল নিয়ে কোনমতে ফ্লোর রেডি করে চলছেন । বাইরের অংশ ইট বেরিয়ে হাহাকার অবস্থা । তবু সেই বাড়িতে তারা থাকছেন সুখে , নির্মাতা পলাতক , থানায় শুধু একটি জি ডি তাও টাকার অর্ধেক জমা হয়েছে পার্টির নিজ নামে বা ক্যাশে । ওই প্রমান ছাড়াই জি ডি পড়ে থাকে অলস হয়ে । কোন প্রস্তুতি ছাড়াই একটি লম্বা সফর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ।
২৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গ্রামে যেয়েও তো শান্তি নেই, ধানি জমিতে হচ্ছে একের পর এক বিল্ডিং
১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ফসলী জমিতে দালান বানানো আত্মহত্যার সামিল ।
২৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২২
আমি সাজিদ বলেছেন: গত নির্বাচনে( যদিও ভোট হয় নাই) সরকার দলের ইশতেহার ছিলো - গ্রাম হবে শহর। মনে আছে? আমার মনে আছে তখন এই কথাটি নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করে নাই। কোন নগর পরিকল্পনা প্রশাসনের আছে কি? কখনও ছিল?
১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৮
শাহ আজিজ বলেছেন: মন্তব্য বিতর্কিত ।
২৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: এখন-ই সময় প্রশাসন কে বিকেন্দ্রিকরণের মাধ্যমে ঢাকা-র চাপ কমানো! তবে সবার আগে দূর্নীতি দূর না হলে এই ঢাকা হয়তো একদিন ফাঁকা মৃত্যুপুরীতে পরিনত হবে- ন্যাচারাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট করার ক্ষমতা এই শহরের নেই।
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: সহমত ।
২৬| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়ে মনে হলো- দেশ থেকে শুধু মাত্র দূর্নীতি দূর করতে পারলেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: সহমত । এই করোনাকালে উন্মোচন হয়ে গেছে সমাজের আন্তঃচিত্র ।
২৭| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: গ্রামের মানুষের বিদেশী টাকা, আম বাগান কেটে, ফসলের জমিতে তারা ৫ তালা ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ি বানাচ্ছে।
গ্রামে হাই স্পিড ইন্টারনেটও পৌঁছে গেছে, গ্রামের ছেলে মেয়েদের হাতে এখন আইফোন দেখা যায়। তারা ল্যাপটপে মুভি দেখে।
কিন্তু যেটা বেশি দরকার, সেটা কিন্তু পৌঁছায় নি। উঁচু মানের শিক্ষা ব্যবস্থা। গ্রামীণ শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি ঘটেছে। আমরা যে শিক্ষা পেয়েছিলাম, গ্রামে এখন সে শিক্ষাটাও পাচ্ছে না। গ্রামেও এখন শহরের মত শিক্ষা বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গ্রামে কোন ভালো শিক্ষক নেই।
গ্রামে এখন ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের ভালো শিক্ষকের প্রয়োজন, তাহলে মানুষের শহরগামীতা কমবে। সেই সাথে শিক্ষকের গ্রেড ও সম্মানির দিকেও নজর দিতে হবে। যেন মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসেন।
আপনি বা আপনারা মানেন বা না মানেন, আমি মানি এখন যারা শিক্ষকতা পেশায় আসেন, তাদের অনেকেই কাজ না পেয়ে, এই পেশায় আাসেন। এসেই প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন। ভূগোলে অনার্স মাস্টার্স, গণিতের প্রাইভেট পড়ায়।
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
শাহ আজিজ বলেছেন: শিক্ষা , চিকিৎসা , খাদ্য এই তিনের কারনে অনেক জনপদ বিলুপ্ত হয়। রাজধানীর সুযোগ সুবিধা প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দেবার এইতো সময় । ভাল আয় নিশ্চিত করতে হবে আর কাজটা সরকারের উপর বর্তায় । পেশার উপর কুড়ল সরকারগুলো নিজেই মেরেছে । একজন ডাঃ কিভাবে পুলিশে বা কাস্টমসে চাকরি নেয় । বন্ধ করতে হবে এসব তামাশা । ট্রেনিঙটা খুব জরুরি বিষয় শিক্ষকদের জন্য । প্রাইভেট পড়ানো এমনভাবে গেথে গেছে যে এর উচ্ছেদ কিভাবে হবে জানিনা ।
২৮| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি ঢাকা শহরের পুরনো স্বাক্ষী।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , তা অনেক ক্ষেত্রে বটে ।
২৯| ১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে চরম বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছেন। এটা নির্বাচিত পোস্ট হবার যোগ্য।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৩০| ১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
করুণাধারা বলেছেন: আবাসন ব্যবসায় অশনি সংকেত- কিন্তু সেটা ক্রেতাদের জন্য এবং যারা ডেভেলপারদের কাছে জমি দিয়েছেন তাদের।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: ব্যাবসায়িদের জন্য , ব্যাঙ্কের জন্য , লক্ষ শ্রমিক , সাপ্লাইয়ার আরো অনেকের ভাগ্য এখানে জড়িত ।
৩১| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ফ্লাট ছিল মূলত মধ্যেম আয়ের মানুষের মাথা গোঁজার একটা স্বপ্ন। করোনা সহ বিভিন্ন পারিপার্শিকতা সেই স্বপ্ন এখন দূস্বপ্নই হয়ে রইলো।
তথ্য ও যুক্তিনর্ভির লেখা, খুবই ভালো লাগলো।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: সরকার এখন ছোট শিল্পের দিকে নজর দিচ্ছে , এটা শুভ লক্ষন । এতে রেমিটেন্স জমি বাড়ির দিকে না ব্যাবহার হয়ে ক্ষুদ্র শিল্পে ব্যাবহার হবে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
শায়মা বলেছেন: বড় বড় দালানগুলি খালি হয়ে যাবে।