নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এসো শিশু কুলাংগারের ভুবনে স্বাগতম তোমায়

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০০



১৬ অক্টোবর ভোরে এক নবজাতকের জন্ম দেন শাহিনুর নামের এক নারী। জন্মের পরপরই ঐ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে হাস্পাতালের গ্লাভস রাখার একটি প্যাকেটে ভরে শাহিনুরের স্বামী ইয়াসিনের কাছে হস্তান্তর করে চিকিৎসক জানান সন্তানটি মৃত অবস্থায় জন্ম নিয়েছে। হাসপাতাল কর্মচারিদের কথামতো সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে আজিমপুর কবরস্থানে যান ইয়াসিন। তবে অর্থসঙ্কট থাকায় শিশুটিকে নিয়ে যেতে বলা হয় অপেক্ষাকৃত কম খরচের রায়েরবাজার কবরস্থানে।
রায়েরবাজারে নিয়ে গেলে শিশুটির জন্য একটি কবর খোঁড়া হয়। সব প্রস্তুতি শেষ করে যখন কবরে রাখা হবে এমন সময় নড়ে ওঠে শিশুটিকে রাখা বাক্সটি। জীবনের অস্তিত্ব জানান দেয় নবজাতক। পরে সেখান থেকে নবজাতকে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে আসেন ইয়াসিন।
বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে শিশুটি চিকিৎসাধীন আছে। সেখানের চিকিৎসকরা বলেছেন, নবজাতের অবস্থা তেমন ভালো না, যেকোনো সময় কিছু ঘটে যেতে পারে।

ইয়াসিন মোল্লা জানান, ঢামেক হাসপাতালে সন্তান জন্মের পরপরই সেখানের লোকজন হ্যান্ড গ্লাভস রাখার একটি খালি বড় প্যাকেটে ভরে নবজাতকটিকে মৃত বলে আমাকে দেন। সেই প্যাকেটটি নিয়েই আমি কবরস্থানে গিয়েছিলাম। সেখানে নড়ে ওঠে আমার নবজাতক সন্তান।

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, নবজাতকটি জীবিত আছে। সে ভালো আছে ও তার চিকিৎসা চলছে।



প্রিয় ব্লগার , এ এমন বিচিত্র তেমন কিছু নয় এই বাংলাদেশে । প্রায় খরচবিহীন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতেই মানুষ সরকারি হাসপাতালে যায় । শিশুটিকে কোন সাপোর্ট দেওয়া বা ই সি জি করে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল কিনা জানবার উপায় নেই । আমার বয়েসি ভাতিজা সেইই সময়ে দাই এর হাতে জন্ম নিলে তার নড়াচড়া কিছু না দেখে বুকে কান পেতে কান্নার রোল উঠলো । সদ্যজাত মৃত শিশুকে কবর দেয়ার প্রস্তুতিতে জন্মদাত্রী দেখতে চাইলেন , আমার ভাই বাচ্চাকে উঠানোর সময় খেয়াল করলেন নাকের তুলো নড়ছে । তিনি শিশুর কানের কাছে জোর আওয়াজে ধমক দিলেন । শিশুটি কেদে উঠলো ভয়ে । জীবিত শিশু মায়ের কোলে গেল । বাড়িতে হাসির রোল উঠলো । ১৯৫৭ সালে এক গণ্ড গ্রামের কথা ।
আলোচ্য শিশু যদি আজিমপুরে দাফন হত তবে জানবেন একটা জীবিত শিশু কোন অপরাধ ছাড়াই দাফন হত , জোরে বলেন আলহামদুলিল্লাহ ।
আমরা সপ্ত আসমানের কোন স্তরে আছি জানিনা তবে আমরা বড্ড নির্বোধ স্তরে আছি এতটুকুই বুঝি ।

জাযাকাল্লাহ খাইরান ।।

পুনশ্চঃ বোল্ড অংশটি আবার পড়ুন ।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: স্বাগত মানুষের জগতে । শিশু ইনশাল্লাহ মানুষ হবে

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২১

শাহ আজিজ বলেছেন: মানুষ !!!!!! আমরা মানুষ কবে আছিলাম ?????

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখন মেডিক্যাল কলেজগুলোতে পড়ছে ডাক্তার, সেক্রেটারী, অফিসারদের ছেলেমেয়েরা,যারা আসলে পড়তে চায় না।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: ভর্তি হইয়াই ৭ বছর বাদের জি ডি পি হিসাব করে , চিকিৎসা বিজ্ঞান হিসাব করে না ।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

আমি সাজিদ বলেছেন: বাচ্চাটা কি প্রি ম্যাচিউর? লো বার্থ ওয়েট নিয়ে জন্মালো কিনা? জন্মের পর কান্না করেছে কিনা? আল্ট্রাতে মায়ের জরায়ুর কি অবস্থা ছিল? এসব না দেখে ঢালাও ভাবে কোন পক্ষকেই দোষ দিতে পারবেন না। আসল ঘটনা কি? ডাক্তার কি বাচ্চার জন্য এন আই সি ইউ এর কথা বলেছে? বললেও রোগীর পক্ষ থেকে কি বলা হয়েছে? ডকুমেনটেশন লাগবে। কি কথা হয়েছে প্রপার হিস্ট্রি ভাল মতো গবেষনা করে লিখলে ভালো হয়৷ মেডিকেল সায়েন্সে মিরাকল ঘটতেই পারে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি ঢামেকে যোগাযোগ করেন ।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



@আমি সাজিদ,
আপনি বলেছেন ," বাচ্চাটা কি প্রি ম্যাচিউর? লো বার্থ ওয়েট নিয়ে জন্মালো কিনা? জন্মের পর কান্না করেছে কিনা? আল্ট্রাতে মায়ের জরায়ুর কি অবস্থা ছিল? "

-হাসপাতালে যেতে পারিবারিক ডাক্তার ও ১ জন উকিল সাথে নিলে কেমন হয়?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: :(( :(( :(( :((


সরকারি লোক মাস্ট ।

উনি ভাবছে ইউনাইটেড হাস্পাতাল , ঢামেক বোঝে নাই ।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জন্মের শুরুতেই তার সাথে যে ব্যবহার
করা হলো সেকি তার প্রতিশোধ নিবেনা !!

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: কি কষ্টকর । এই বাচ্চা বড় হয়ে জানবে তারে প্রায় কবর দেওয়ার সময় সে নইড়া উইঠা দৌড় দিছিল বইলা আজকের দুনিয়ার আলো দেখতে পাচ্ছে ।

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

আমি সাজিদ বলেছেন: @চাঁদগাজী সাহেব, বাচ্চা যদি নরম্যাল ডেলিভারিতে হয় তাহলে সেসময়ের কনডাকশন নোট ( ডাক্তাররা ডেলিভারির পর ট্রিটমেন্ট কাগজে লিখেন) অথবা সিজারিয়ান সেকশন হলে বেবি নোট চেক করতে হবে। কি ভিত্তিকে তাকে মৃত বলা হলো সেটার জবাব চাওয়ার অধিকার আছে পরিবারের। এইজন্যই ডকুমেন্টশনের গুরুত্ব। আর যদি সব ঠিক থাকে এরপরেও এমন হয় তাহলে মিরাকল সেটা।

প্রসঙে আসি, পারিবারিক ডাক্তার ওই হাসপাতালে কর্মরত না হলে, উনি চিকিৎসা ব্যবস্থায় কোন হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। উকিলের বিষয়ও একই। আমি বুঝাতে চাচ্ছি, বাচ্চার মা নিশ্চয়ই সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে ফলো আপে ছিলেন, সেগুলোর কাগজ পত্র এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আসল ঘটনাটি বিশ্লেষণ করতে সাথে বাচ্চার জন্মের সময়কার ডকুমেন্টস।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি কি বাংলাদেশে থাকেন ?

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

স্থিতধী বলেছেন: @আমি সাজিদ

আমি বোধ করি আপনি ডাক্তারী পেশার সাথে জড়িত। তাই বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রটি নিয়ে আপনার ভালো ধারণা ও অভিজ্ঞতা আছে ধরে নিয়েই আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি। আপনি যে ডকুমেন্টশনের কথাগুলো বলছেন এটা কি বাংলাদেশের সকল সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে একটি কমন প্রাকটিস? আইনের দ্বারা সব হাসপাতালগুলোতে এই ডকুমেন্টশন গুলো বিনা খরচে বা নাম মাত্র খরচে রোগীর আত্মীয় স্বজন / কেয়ারটেকার কে প্রদান করা বাধ্যতামূলক কি? হাসপাতালগুলো চাইলে কি পারে এই ডকুমেন্টশনগুলো / রিপোর্টগুলো রোগীর আত্মীয় স্বজন / কেয়ারটেকারকে না দিয়ে তাদের বিদায় দিয়ে দিতে? অথবা এই ঘটনাটির মতো হ্যান্ড গ্লাভস রাখার একটি বাক্স/ প্যাকেটে ভরে একটি মৃত শিশুর দেহ তাঁর পরিবারকে ফেরত দিতে? এটা কি বাংলাদেশের মেডিকেল জগতে স্ট্যান্ডার্ড প্রাকটিস এখন?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যান্ড গ্লাভস রাখার একটি বাক্স/ প্যাকেটে ভরে একটি মৃত শিশুর দেহ তাঁর পরিবারকে ফেরত দিতে?

এটা ডকুমেন্টেশন থেকে বাদ যাবে কারন মৃতদেহের জন্য নির্ধারিত কাফন খরচ নার্স আয়াদের মধ্যে বণ্টন হয় ।

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মেডিকেল কলেজগুলোতে এখন তাবিজ-কবজ ঝাড়ফুঁক আর পানি পড়া শেখানো হয়।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

শাহ আজিজ বলেছেন: তাও ঠিক নয় । সরকার বেতন দেয় হাসপাতালে সময় কাটানোর জন্য । এরপর প্রাইভেটে ক্যাশ আর ক্যাশ , সিজার আর সিজারে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে দেহমন । করোনা সময়ে সিজার প্রায় উধাও । সরকারি হাসপাতালে কি হয় এটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না । আমি সাজিদের অবস্থা এখনকার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মত ।

৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আহারে। এই ঘটনাটা শুনে আমি চমকে গেছি। জন্মের পর যে আদরের কোল পাওয়ার কথা তার পরিবর্তে গ্লাভসের প্যাকেটে করে কবরস্থানে যেতে হল। মানুষের কি কোনোই দাম নেই?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: নেই । বরং করোনা কন্ট্রোল এর জন্য তারা বিগ প্রাইজের চেষ্টায় ব্যাস্ত ।

১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩১

মৃত্তিকামানব বলেছেন: এ বিষয়ে জানতে নিজের দু'টি লিংক সাহায্য করতে পারে।

https://zafrulmobin.blogspot.com/2015/09/lazaraussyndrome.html?m=1&fbclid=IwAR0MMvhPxfPGw0azZQL89crs86lwudJ_umg7ci8WgIosv_fOPwLvuqRRUzE

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1736536169856058&id=100004990757830&fs=0&focus_composer=0&ref=content_filter

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

শাহ আজিজ বলেছেন: জানলাম । গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সমৃদ্ধ । আমার উল্লেখিত ভাতিজা এখন ৬৪ বছর বয়েসি এবং ভালভাবে একটি সরকারী ব্যাঙ্কে কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছে , প্রায় অবসরের পথে।


শিশুটি সুস্থ থাকুক ।

১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

আমি সাজিদ বলেছেন: সাত নম্বর কমেন্টের প্রতিউত্তর - স্থিতধী ভাইয়াকে ।

জ্বি, ডকুমেন্টশন কমন প্র‍্যাকটিস। আর ডেথ সার্টিফিকেটের কথা যদি বলেন, এটা আরও গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বেসরকারিগুলো নিশ্চয়ই অন্তত এই বিষয়ে সচেতন। কারন ইনফরমেশন গ্যাপ থাকলে, যেকোন সময়ই সমস্যা হতে পারে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের। প্রতিটি হাসপাতালই ছুটির ছাড়পত্র ( চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র সহ) , মৃত্যুর প্রমানপত্র এগুলো রোগী বা তাঁর স্বজনকে দেয়ই। এটাই নিয়ম। একটা টিস্যুর বক্স এর ভেতরের আয়তন কতো আর একটা বাচ্চার ওজন কতো হতে পারে ? মিডিয়ার সব খবর কেমন করে বিশ্বাস করি ? আপনিই বলুন ।

মেডিকেল সায়েন্সে কিছু বিষয় আছে স্বাভাবিক ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। আর এই পুরো ঘটনাটি শুরু থেকে শেষ না জেনে ডাক্তারকে কুলাঙ্গার বললাম বা হাসপাতালকে জাহান্নাম বললাম, গালি দেওয়া হবে। সমাধান আসবে না।

১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৯

সোহানী বলেছেন: এটা আমাদের দেশে একটা কমন ঘটনা............। ১৮ কোটি লোকের দেশে খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: হাসপাতালে থাকলে বেশ জ্ঞান হয় । ডাক্তার , নার্স , আয়া সব মিলিয়ে জগাখিচুড়ি অবস্থা।

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৮

স্থিতধী বলেছেন: "জ্বি, ডকুমেন্টশন কমন প্র‍্যাকটিস। আর ডেথ সার্টিফিকেটের কথা যদি বলেন, এটা আরও গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বেসরকারিগুলো নিশ্চয়ই অন্তত এই বিষয়ে সচেতন। কারন ইনফরমেশন গ্যাপ থাকলে, যেকোন সময়ই সমস্যা হতে পারে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের।"
-- তাহলে ধরে নিতে হচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলোর এসব বিষয়ে সচেতন না হলেও চলে? সেটা যদি বাস্তবতা হয় তবে তা কি কোন দেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য ভালো কথা? এই পোস্টে তো দেশের অন্যতম সরকারি হাসপাতালের কথাই বলা হচ্ছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে/ নাম মাত্র মূল্যে এসকল ডকুমেন্টশন বেসরকারিগুলো ও কি দিচ্ছে? পোস্টের উল্লেখিত পরিবার বোঝা যাচ্ছে যে একটি দরিদ্র পরিবার।

"একটা টিস্যুর বক্স এর ভেতরের আয়তন কতো আর একটা বাচ্চার ওজন কতো হতে পারে ? মিডিয়ার সব খবর কেমন করে বিশ্বাস করি ? আপনিই বলুন ।"
-- হ্যান্ড গ্লাভস রাখার একটি খালি বড় বাক্সের কথা বলা হয়েছে এই পোস্টে (৪ নং প্যারা দ্রষ্টব্য)। টিস্যুর বক্সের সমান বাক্স গুলোর কথা বলা হয়নি। এটা আন্দাজ করাই যায় টিস্যুর বক্সের সমান হ্যান্ড গ্লাভস বাক্সে কোন বাচ্চার দেহ আসেনা। সেটা এখানে বলেও নাই।

মেডিকেল সায়েন্সে কিছু বিষয় আছে স্বাভাবিক ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। আর এই পুরো ঘটনাটি শুরু থেকে শেষ না জেনে ডাক্তারকে কুলাঙ্গার বললাম বা হাসপাতালকে জাহান্নাম বললাম, গালি দেওয়া হবে। সমাধান আসবে না।
-- 'রাজনীতি জটিল বিষয়, সবার বোঝার বিষয় না। মিডিয়া কে বিশ্বাস করা যায়না, তাঁরা ভুল ভাবে রাজনীতিবিদদের দেখিয়ে ওয়ান - ইলেভেন ডেকে আনতে চায়। সব না বুঝে রাজনীতিবিদ আর রাজনীতি কে গালি দেয়া যাবে, সমাধান হবেনা'

এমন করে তো রাজনীতিবিদরাও বলে। তাঁর মানে কি তারা সব সময় ঠিক ই বলে? এই ব্লগেই কি রাজনীতিবিদ ও রাজনীতি নিয়ে তুমুল আলোছনা- সমালোচনা হয়না? সেই সমালোচনার সবগুলোই কি ভুল?

আপনি যেহেতু এই সেক্টরের একজন, তাহলে আপনি এক্ষেত্রে যেটা করতে পারেন সেটা হলো নিজের সেক্টরে নেটওয়ার্কে খোঁজ লাগিয়ে এই খবরটি কতটুকু সত্যমিথ্যা সেটা যাছাই বাছাই করে তারপর প্রয়োজনে এই ব্লগেই সেটা প্রকাশ করা। কিন্তু যতদূর মনে হয় এখানে প্রথম কমেন্ট টি করার আগে আপনি কোন খোঁজ করেন নি এ নিয়ে। তাহলে আপনি নিজেও বা কি করে নিশ্চিত হতে পারেন যে এটি একটি মেডিকেল মিরাকল ই হবে, ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আসলে নেই ?

রাজনীতিবিদদের মতো দেশের বিভিন্ন পেশাজীবিরা ও তাঁদের সংগঠনগুলোও যদি প্রথমেই নিজেদের গোষ্ঠীর লোকদের ডিফেন্ড করতে ছুটে আসে সত্য- মিথ্যা, নিয়ম-নীতি আর ভালোমন্দ যাচাই না করেই, তাহলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ কে কিভাবে পতন থেকে ডিফেন্ড করা যাবে?

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: বাস্তব ভিত্তিক আলাপ হয়েছে ।

১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৪

আমি সাজিদ বলেছেন: স্থিতধী ভাইয়া, এই পোস্টের দশ নম্বর কমেন্টে দুটো লিংক দেওয়া আছে। দয়া করে মনযোগ দিয়ে পড়ুন। আপনার সব ধারনারই অবসান হবে। রাজনীতি করতে হলে তো পড়তে হয় না, চিকিৎসা দিতে হলে আজীবন পড়ার মধ্যে থাকতে হয়। আপনি যতোটা সোজা ভাবছেন আসলে এতোটা সোজা নয় জায়গাটা। আমার সাথে অনর্থক তর্ক না করে আপনি বরং দশ নম্বর কমেন্টের লিংক দুটোয় যান। আমি আমার প্রথম কমেন্টে বাচ্চার যে হিস্ট্রি জিজ্ঞেস করেছি তার বেশ কিছুর সাথে বাচ্চাটির অবস্থা মিলে যায়।

এই যে বললেন নিজের সেক্টরকে বাচাচ্ছি । এখন আমি যদি বলি, বাচ্চার কাফনের কাপড়ের হিসেবও যদি সরকারী হস্পিটালে ডাক্তারকে করতে হয় সেটা বড্ড বেশী বেমানান হয়ে যায় না ? যেমন দেখুন, এখানে ওই ডিউটিরত ডাক্তার কি করবে ? চিকিৎসা দেওয়া বা জীবনের চিহ্ন মানে ভাইটাল সাইনগুলো সময়ে সময়ে বিবেচনা করা, এবং শেষে যদি মারা যায় তাহলে মৃত ঘোষনা করা। এরপর সে কার্যত সেখান থেকে তার অন্য কাউকে চিকিৎসা দেওয়ার নিয়ম। বাকি কাজগুলো করার জন্য আছে অন্য স্টাফ। এখন অন্য কোন স্টাফ যদি বাচ্চাকে তার পিতার কাছে মোটা কাগজের বক্সে করে তুলে দেয়, ডাক্তারের জানারই কথা না। জানলেই না সে ব্যবস্থা নিবে , তাই না ? প্রতিটা হাসপাতালে শিশু বিভাগে খুব রাশ থাকে। সময়ে সময়ে ভর্তি থাকা বাচ্চা খারাপ হয়ে যায়, চিকিৎসকরা কি সেদিকটা সামলাক তাই তো উচিত , না ?

দেখেন শাহ আজিজ আংকেল নয় নম্বর কমেন্টের উত্তরে এখানে ডাক্তারদের দোষ দিচ্ছেন। সরাসরিই।

শেষে কি দাঁড়াল, আমি আমার পেশার লোকদের ইচ্ছাকৃত ভুলেও তাদের পাশে থাকবো ? মোটেও নয়। এই ঘটনায় ডাক্তারের ভুল নেই । ভুল থাকলে আমি লজ্জিত হতাম। আয়া - ওর্য়াড বয়রা এভাবে বাচ্চা দিয়ে কাজটা ঠিক করে নাই।


আরেকটা কথা, আমাকে আপনাকে যদি পলিটিক্যাল ফিল্ড দেওয়া হয় , রাজনৈতিক শিষ্টাচার শিখতে ও এপ্লাই করতে আমাদের ছয় মাসও লাগবে না। আমি বরং আরেকটা চ্যালেঞ্জ দেই, একজন পলিটিক্যাল লোককে মাসে হাজার টাকা দিয়ে মেডিসিনের চার বছরের ট্রেনিং এ পাঠান, এরপর সে যদি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না যে সে ২০% ও একুরেট ডায়াগনোসিস করতে পারবে। ট্রিটমেন্ট তো পরের ব্যাপার। আমার ছোট জ্ঞান এটাই বলে।

৯/১১ এর সময় আমাদের মিডিয়া নিরপেক্ষ ছিল। ভালো ছিল। অফ টপিক।

১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আনন্দময় কিছু পোষ্ট করুন।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০২

শাহ আজিজ বলেছেন: রাজীব , চারিদিকে এত সংকট , এর মধ্যে আনন্দের ছিটে ফোটা মেলে না ।

১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৩১

কালো যাদুকর বলেছেন: বাচ্চাটি ভাল হোক।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদেরও আশা তাই ।

১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৪৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটা একটা দুঃখ জনক ঘটনা এবং অপরাধ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: অপরাধের টইটুম্বুর সরোবরে নোংরা হাসের দল কেলীতে ব্যাস্ত ।

১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৬

জুন বলেছেন: কি নির্মম আচরণ । আমাদের দেশ থেকে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নির্মুল হোক চিরতরে এটাই প্রার্থনা।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: এধরনের ঘটনা অনেক ঘটে , প্রকাশ হয়না । প্রচলিত নিয়ম অবজারভেশন । কিন্তু তা না করেই ডাইরেক্ট গোরস্থান ।

১৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: সরকারী হাসপাতালে এত সময় দেয়ার সময় আছে নাকি ডাক্তারদের? চেম্বারে রুগীও দেখেই সব সময় শেষ!
এই ঘটনা এই প্রথম নাকি আমাদের দেশে?

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সকল গোলমালের মুল ।

২০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

স্থিতধী বলেছেন: @ আমি সাজিদ ভাই
দুটি লেখাই পড়লাম। জনাব জহিরুল ইসলামের লেখাটি চটুল, টু দি পয়েন্ট না থেকে জ্ঞান ঝাড়ার চেষ্টা বেশী, বিক্ষিপ্ত অনেক তথ্য আর ওকালতি সাফাই দিয়ে নিজের ফিল্ডের লোকদের ডিফেন্ডিং এর চেষ্টা বেশী। জনাব জাফরুল মবিনের ব্লগের লেখাটি বরং অনেক গোছালো এবং তথ্যবহুল, একই সাথে পেশাদার, দায়িত্বশীল ও সৎ একটি মেডিকেল প্রবন্ধ । তাকে অনেক ধন্যবাদ। অযথা কোন ধরনের ডিফেন্ডিং এর চেষ্টা করেন নি বরং একজন দায়িত্বশীল পেশাদার এর মতো সমস্যা কে চিহ্নিত করে, ব্যাখ্যা দিয়ে সেটার সমাধানের কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন। তিনি যে বাস্তবতা কে মোটেও এড়াতে চান না তাঁর একটা প্রমান তাঁর লেখার শেষের দিকে ঢাকা ট্রীবিঊনের আরেকটি খবর সং যোজন করা , যে খবরের তিন নম্বর প্যাড়াতে আমরা ঢামেক এর আরেক ডাক্তারের পেশাদারিত্বের নমুনা দেখতে পাই তাঁর নিজের দেয়া ডেথ সার্টিফিকেট ছিড়ে ফেলার মাধ্যম!

ঢামেক এর সাম্প্রতিক ঘটনাটিতে আপনি যে ডাক্তার কে সম্পূর্ণ ভাবে খালাস দিয়ে দিলেন, এ ঘটনা নিয়ে কি এখনো কোন পেশাদার তদন্ত কোন পক্ষ থেকে হয়েছে যা থেকে বোঝা গেছে কোন কোন পর্যায়ে কার কার গাফিলতি ছিলো বা ছিলো না ? যদি না হয়ে থাকে তাহলে শুধুমাত্র ডমেইন নলেজ থেকে একটি ঘটনা নিয়ে মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধানী কার্যক্রম না চালিয়ে সেই বিষয়ের উপর রায় দিয়ে দেয়া কি ভালো অভ্যাস ? প্রিম্যাচিউর বেবী হওয়া মানেই এমন প্রাকৃতিক মিরাকল এর ঘটনা ঘটবেই সেটার কোন গ্যারান্টী তো নয়। পরিসঙ্খ্যান যদি দেখায় কতগুলো নির্দিষ্ট হাসপাতালে এ জাতীয় ঘটনা অনেক বেশী ঘটতে দেখা যাচ্ছে গেলো ৫-১০ বছরে, তবে কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিৎ নয় এ বিষয়ে গভীর তদন্ত করে বের করা যে এমন ঘটনা ডাক্তার সহ অন্যান্য কোন কোন স্বাস্থ্য কর্মীর অবহেলায় বারবার হচ্ছে কিনা? ( কেননা, কোন মেডিকেল মিরাকল বারবার একই জায়গাতে ঘটেনা নিশ্চয়ই)

ল্যাজারাস সিন্ড্রোম একটি বিরল ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত এ লেখাগুলো অনুযায়ী। কিন্তু কোন কারনে বাংলাদেশে এই জাতীয় সিন্ড্রোমের ঘটনা সারা বিশ্বের তুলনায় একটু বেশী ঘটছে নাকি ঘটছেনা সেটার উপর কোন তুলনামূলক পরিসংখ্যান কোন চিকিৎসা বিজ্ঞানীর গবেষণায় উঠে এসেছে কি ? সে গবেষণা করা হয়ে থাকলে সেটা শেয়ার করলেও ভালো হয় বাস্তবতা বোঝার স্বার্থে । আমরা জানি আমাদের শহরাঞ্চলগুলোতে সি- সেকশন ডেলিভারি ছাড়া কোন শিশুর ডেলিভারি বলতে গেলে হয়ইনা সে আজ বহু বছর ধরে। শাহ আজিজ ভাই বলছেন যে এই করোনার সময়ে এখন ঠিক ই নরমাল ডেলিভারী বেশী করতে দেখা যাচ্ছে! এই যে এই দেশে সারা বিশ্বের তুলনায় সি- সেকশন ডেলিভারি অনেক বেশী হতে দেখা যাচ্ছে, সেটা কি কেবল ই প্রাকৃতিক মেডিকেল কারনে, নাকি এর পেছনে হাসপাতাল প্রশাসন ও ডাক্তারদের অনৈতিক মুনাফার বিষয়টিও এদেশে এক টি রুঢ় বাস্তবতা?

এই যে বললেন নিজের সেক্টরকে বাচাচ্ছি । এখন আমি যদি বলি, বাচ্চার কাফনের কাপড়ের হিসেবও যদি সরকারী হস্পিটালে ডাক্তারকে করতে হয় সেটা বড্ড বেশী বেমানান হয়ে যায় না ?

শুধু ডাক্তারদের কথা বলিনি কিন্তু একবারও । আমি সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্য খাত/ সেক্টর এর প্রাকটিস গুলো নিয়ে কথা বলেছি আর এই ইকোসিস্টেমের ভেতরে থাকা সকলের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটিও তুলতে চেয়েছি। শাহ আজিজ ভাই তাঁর মূল পোস্টেও ডাক্তার নয়, মূলত হাসপাতাল প্রশাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাসপাতাল পরিচালকের অংশ টুকু বোল্ড করে দিয়ে। এই করোনাকালে বহু ডাক্তারের নীতিহীনতা কি আমরা দেখিনি? সেই সব নীতিহীন ডাক্তারের কথা উল্লেখ করে কথা বললে বাকি সৎ ডাক্তারদের আহত হয়ে যাওয়াটা তো মানায়না। আমি বিশ্বাস রাখি, আপনি অবশ্যই সততার সাথে আপনার পেশায় নিবেদিত।

অবশ্যই একটি হাসপাতাল শুধু ডাক্তাররা চালায়না আর তাই ডাক্তার দের সাথে সাথে নার্স সহ অন্যান্য সকল স্বাস্থ্য কর্মী ধন্যবাদ ও স্মমান পাওয়ার দাবীদার যখন কিনা তাঁরা সকলেই তাঁদের কর্তব্যগুলো সঠিক ভাবে পালন করেন। উন্নত বিশ্বেও স্বাস্থ্য খাত বলতে শুধু ডাক্তার দের বোঝায়না ।

আপনি বাংলাদেশের ডাক্তার, আপনি ভালো বলতে পারবেন যে বাংলাদেশে হাসপাতাল ব্যাবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য খাতের কর্মী প্রশিক্ষণ নিয়ে ভালো মানের অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু আছে কিনা এবং তা সফল ভাবে দক্ষ হাসপাতাল ব্যবস্থাপক ও কর্মীদের তৈরি করতে পারছে কিনা? যদি না থেকে থাকে তবে এর দায় আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে হাসপাতাল তৈরির উদ্যোক্তা এবং অনেক প্রতিথযশা/ ক্ষমতাবান ডাক্তারদের ও নেয়া উচিৎ কিনা? আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন কেন ডাক্তারদের কথাও বলছি? তাঁর কারন বাংলাদেশের বিভিন্ন ডাক্তার এসোসিয়েশন/ সংগঠন গুলো মোটেও ক্ষমতাশুন্য নয় তা আপনি ভালোভাবেই জানেন। ডাক্তার দের স্বার্থে বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁরা সারা বাংলাদেশে ডাক্তারদের সেবা এক ঘোষণায় বন্ধ করে দেবার ক্ষমতা রাখেন। (ঠিক যেমনটা আমাদের অল্প শিক্ষিত পরিবহন সেক্টরের লোকেরা করেন)। আপনি নিজেই বললেন ডাক্তাররা অনেক শিক্ষিত, আর আমরাও জানি এই উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার দের অনেকেই ক্ষমতা বলয়ের খুব কাছাকাছি থাকেন, রাজনীতিবিদ, আমলা ও অন্যান্য নীতি প্রণেতাদের সাথে এনাদের অনেকরই উঠা বসা থাকে। একজন ডাক্তার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদকেও অলঙ্কৃত করেছেন একবার। তাহলে আমরা এই অনেক ডাক্তার দের কেনো এগিয়ে আসতে দেখতে চাইবোনা তাঁদের ক্ষ্মমতা কে ব্যাবহার করে বাংলাদেশে দক্ষ হাসপাতাল ব্যবস্থাপক ও স্বাস্থ্যকর্মী তৈরির বিষয়ে সংস্লিষ্টদের চাপ দেবার জন্য? একই সাথে সরকারী ও বেসরকারি সব হাসপাতালে সেবার মৌলিক গুনগত মানের নিশ্চয়তা কে অক্ষুন্ন রাখার জন্য?

শেষে কি দাঁড়াল, আমি আমার পেশার লোকদের ইচ্ছাকৃত ভুলেও তাদের পাশে থাকবো ? মোটেও নয়।

আমি এ কথাটাই শুনতে চাচ্ছিলাম। শুধুমাত্র পেশাগত বা স্বার্থগত ভাতৃত্ব রক্ষার কারনে সবাই নিজেদের ভুলকেও শুদ্ধ হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করলে দেশের সব রকমের পতনের জন্য শুধু রাজনীতি কে দুষিয়ে কোন লাভ হবেনা। পেশাগত একটি বিষয়ে কোন তদন্তের আগেই তাই শুধু ডমেইন নলেজের উপর ভিত্তি করে কোন পেশাদারের দায়মুক্তির ঘোষণা দিয়ে দেয়াটাও ভালো অভ্যাস নয়।

৯/১১ এর সময় আমাদের মিডিয়া নিরপেক্ষ ছিল। ভালো ছিল।

এখন যদি আমাদের মিডিয়া সম্পূর্ণভাবে দূষিত ও অনিরপেক্ষ হয় তাঁর মানে সাম্প্রতিক সময়ে ডাঃ সাবরিনা আর রিজেন্টের সাহেদ আলমরাও নিশ্চয়ই কোন চক্রান্তের শিকার হয়েছে, নাকি? তাঁরা সকলেই তাহলে সম্পূর্ণ নির্দোষ বোধহয় ?

৯/১১ এরো আগে এই ঢামেকের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র কিনে নেয়ার মাধ্যমে ঢাকা মেডিক্যালে ঢোকার অযোগ্য একাধিক ব্যাক্তিকে আজ ডাক্তার হতে দেখেছি। তাঁরা ডি এম সি তে ঢুকে তাঁদের বহু পড়াশোনা করার অনেক গল্প করে গেলেও যেটা কোনদিন আমাদের থেকে আদায় করতে পারেনি সেটার নাম সম্মান। কারন আমরা যারা তাঁদের কে চিনতাম তাঁরা জানতাম যে এদের শুরু হয়েছে দুর্নীতি দিয়ে, এদের মাথা তাই ঝুঁকে ও থাকেবে দুর্নীতি বাজদের সামনে।



২১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

জাহিদ হাসান বলেছেন: :|

২২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৭

আমি সাজিদ বলেছেন: বেশ !

স্থিতধী ভাইয়া, আমার তিন নম্বর কমেন্টটি আবার তুলে দিচ্ছি । বাচ্চাটা কি প্রি ম্যাচিউর? লো বার্থ ওয়েট নিয়ে জন্মালো কিনা? জন্মের পর কান্না করেছে কিনা? আল্ট্রাতে মায়ের জরায়ুর কি অবস্থা ছিল? এসব না দেখে ঢালাও ভাবে কোন পক্ষকেই দোষ দিতে পারবেন না। আসল ঘটনা কি? ডাক্তার কি বাচ্চার জন্য এন আই সি ইউ এর কথা বলেছে? বললেও রোগীর পক্ষ থেকে কি বলা হয়েছে? ডকুমেনটেশন লাগবে। কি কথা হয়েছে প্রপার হিস্ট্রি ভাল মতো গবেষনা করে লিখলে ভালো হয়৷

দেখেন আমি বারবার বলছি সেসময়টার ডকুমেন্টেড স্টেপগুলো ছাড়া দোষ দেওয়া যাবে না চিকিৎসক কে। ছয় নম্বর কমেন্টে চাঁদগাজী সাহেবকে বলেছি, কি ভিত্তিকে তাকে মৃত বলা হলো সেটার জবাব চাওয়ার অধিকার আছে পরিবারের। এইজন্যই ডকুমেন্টশনের গুরুত্ব।


চৌদ্দ নম্বরে লিখেছি - শেষে কি দাঁড়াল, আমি আমার পেশার লোকদের ইচ্ছাকৃত ভুলেও তাদের পাশে থাকবো ? মোটেও নয়। এই ঘটনায় ডাক্তারের ভুল নেই । ভুল থাকলে আমি লজ্জিত হতাম। এরপরের বাক্যটি মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করুন , আমি বলেছি আয়া - ওর্য়াড বয়রা এভাবে বাচ্চা দিয়ে কাজটা ঠিক করে নাই।

, কোন প্রেক্ষিতে কথাটি বলেছি ? তের নম্বর কমেন্টে আপনার " হ্যান্ড গ্লাভস রাখার একটি খালি বড় বাক্সের কথা বলা হয়েছে এই পোস্টে (৪ নং প্যারা দ্রষ্টব্য)। টিস্যুর বক্সের সমান বাক্স গুলোর কথা বলা হয়নি। এটা আন্দাজ করাই যায় টিস্যুর বক্সের সমান হ্যান্ড গ্লাভস বাক্সে কোন বাচ্চার দেহ আসেনা। সেটা এখানে বলেও নাই।" কথাটির সূত্র ধরে। আমি তাহলে ডাক্তারের কোন ভুল অস্বীকার করলাম ? এই যে বাচ্চাকে কাগজের প্যাকেটে করে দেওয়ায় যে দোষটা অনেকেই ডাক্তারের উপর ফেলতে চাচ্ছেন সেটার। কবিতা পড়ার প্রহরের কমেন্টে শাহ আজিক আংকেলের ইংগিত পূর্ণ কমেন্ট একটু লক্ষ্য করুন।

এবার বলি, কর্তব্যে গাফিলতি আর অনিচ্ছাকৃত ভুলকে এক কাতারে ফেলা যায় না। প্রথম এই কথাটি বুঝতে হবে। একজন মানুষ সব পরিস্থিতিতে ক্রিটিকাল থিংকিং করতে পারবে, সেটা সম্ভব নয়। এখানে অনিচ্ছাকৃত ভুলও যদি চিকিৎসকের হয়ে থাকে তাহলে সেটাকে অপরাধের পাল্লায় ফেলা যায় না। দূর থেকে বিশ্লেষণ করে সেদিনের ঘটনা আমরা ( প্রমাণ, স্বাক্ষী ছাড়া‌) মোটেও বুঝতে পারবো না।

উপরের এই আলোচনার সারাংশ হচ্ছে - আমি মোটেও ডাক্তারকে খালাস দিচ্ছি না বরং যার জন্য তিনি দায়ী নন সেই দায় তার উপর থেকে সরাতে চাচ্ছি। বাকিটা ? তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার। যেটা আমার উপরের বোল্ড করা কমেন্টগুলোই প্রমান করে আমি কি বলতে চাচ্ছি।

আপনাকেও কিছু প্রশ্ন - করোনাকালে কত শতাংশ ডাক্তারের নীতিহীনতা দেখেছেন ? নীতিহীনতা বলতে আপনি কি বুঝাচ্ছেন ?

আপনাকেও কিছু বলি - ব্রিটেনের এন এইচ এসের ডাক্তাররাও কাজ বন্ধ রাখতে পারেন। অধিকার আদায়ে তারা করেছেন। খুঁজে দেখুন এই কোভিড কালে বা আগে বিভিন্ন উন্নত দেশের চিকিৎসকরা বিভিন্ন কারনে স্ট্রাইকে গেছেন। আমাদের দেশে এর পেছনে কি কারন ? প্রশাসনের যে অংশ স্বাস্থ্যসেবার অংশীদার তাদেরই অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসক প্রতিনিধির একদলীয় ভূমিকা। এগুলো আপনিও জানেন, আমিও জানি। বিভিন্নবার সংবাদপত্রে এসেছে। বিশটাকা দামের দেশী এন ৯৫ অনুমোদন কারা দিলো, কিনলোই কারা , বাইরের দেশ থেকে আসা কোভিড ফান্ডের কতোটাকাই বা আসল কাজে খরচ হচ্ছে সেগুলোর জবাবদিহিতা একজন চিকিৎসক আমাদী দেশের প্রটোকল অনুযায়ী চাইতে পারেন না। কাজেই এসব সস্তা আবেগের কথা আমরা বাদ দেই।

ডমেইন নলেজের কথা বললেন, এ দিয়ে পেশাদারের দায়মুক্ত তার কথা বললেন। খেয়াল করে দেখেছেন, আপনি নিজেই কিন্তু একটা ফিক্সড মাইন্ড সেট নিয়ে আমাকে বারবার অভ্যেস নাকি অভ্যেস নয় তা বুঝাতে চাচ্ছেন ? আমাদের নিজের যুক্তির অবস্থান বিবেচনা করেই কথা বলা উচিত নয় কি ?

আমি মিডিয়াকে রাজনৈতিক ভাবে পক্ষপাত দূষ্ট বললাম। এক সাহেদ বাটপারের ভিডিও চ্যানেল আইয়ের টকশোতে ত্রিশ বারের উপর পাবেন। তিতুমীর কলেজে জেকেজির সাথে কলেজ স্টাফদের মারামারির পর একাত্তর টিভি সাবরিনার পক্ষে সারাদিন খবর প্রচার করেছিল। ইউটিউবে সে ইন্টারভিউগুলোর ভিডিও পাবেন। যেসব ঘটনা নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না সেগুলো হাইলাইট করেই কিন্তু আপনাদের আমাদের মতো মানুষকে বুঝানো হচ্ছে , অপরাধী ছাড় পাবে না। আসলে অন্য প্রসঙ্গে বলতে গেলে, রায়হানকে পিটিয়ে মারার পর এস আই আকবর এখনও গ্রেফতার হয় নি। মিডিয়ায় সরকার দলীয় কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা টকশোতে বলে গেল, সিলেটে রেপড হওয়া নারী পতিতা ছিল। মিডিয়া তাদের আবার অন্য চ্যানেলে আমন্ত্রন জানিয়েছে। কাজেই আজ যে কনফিডেন্টের সাথে আমাকে মিডিয়া নিয়ে বলছেন, সঠিক চিন্তা ধারা ব্যহত হলে এই কনফিডেন্স একসময় থাকবে কিনা আমার সন্দেহ। কারন আপনি বেশ স্ট্রেট ফরওয়ার্ড, ব্যাপারটা ভালো লেগেছে।

প্রশ্ন ফাঁসের উদাহরন অস্বীকার করার উপায় নেই। উনাদের প্রতি আমারও সম্মান নাই।

২৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এ জাতী কি গভীর সংকটকাল পেরুচ্ছে তা না হলে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা চরম অমানবিক এক কাজ।

শিশুটির সুস্থতা কামনা করছি।

২৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

করুণাধারা বলেছেন: আলোচ্য শিশু যদি আজিমপুরে দাফন হতো তবে জানবেন একটা শিশু কোন অপরাধ ছাড়াই দাফন হলো।

শিশুটি অপরাধ ছাড়াই দাফন হতো, কিন্তু যারা একটা জীবন্ত শিশুকে কবর দিতে দিলেন তাদের কোন অপরাধ হতো কি?

আপনার বোল্ড করা অংশটুকু পড়লাম... যে ডাক্তার শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন তিনি মনে হচ্ছে সম্পর্কে সকলের ভাসুর হন!!!

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

শাহ আজিজ বলেছেন: একজন ডাক্তার এখানে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন । তিনি যা আদেশ করেন তাইই পালিত হয় । আমাদের সিস্টেম খুব গোলমেলে । বাংলাদেশে অধিকাংশ ডাক্তার , অল্প কিছু বাদে , সাধারন মানুষকে নিতান্ত পশু হিসেবে ভাবেন । ভাল ডাক্তারদের রাত দুটোয় চেম্বার করতে দেখা যায় । আমি নিজেও রোগী তাই আমাকেও বদলে বদলে ভাল ডাক্তারকে বেছে নিতে হয়েছি এবং আমি খুশি । বাচ্চা হবে এমন গরীব মানুষদের সরকারী হাস্পাতাল ছাড়া গতি নেই । ওসব জায়গায় ঘটা সব দুর্ঘটনার খবর বাইরে আসে না । হাশেম আল ঘাইলি নিত্য বিজ্ঞান বিষয়ক ভিডিও পোস্ট করেন । একটা বাচ্চা মৃত জন্ম নিল । তাকে থেরাপি দিচ্ছিল একজন আরবিয় পুরুষ ডাক্তার । উল্টো করে ধরে পিঠে ছোট ছোট থাপ্পড় দিয়ে বাচ্চাটিকে কাদালেন । বাচ্চাটির বাবার হাতে যখন শিশুটিকে দেওয়া হল বাবা বলে উঠলো তুমি যাদু দেখালে ডাক্তার মৃত বাচ্চাকে জীবন দিয়ে । আমি ভীষণ টেনশনে সেই ভিডিও দেখছিলাম । ডাক্তারের মুখে পৃথিবী জয়ের হাসি ।

২৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি নিষ্পাপ শিশু কত নিষ্ঠুর একটি সমাজে জন্ম নিল!
যাক, তার ফিরে আসা এই নিঃশ্বাস যেন শতবর্ষ ধরে সক্রিয় থাকে, তার হৃদয়ের স্পন্দন যেন শত শত মানুষের কল্যাণে আসে!

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আশা করি সে ভাল আছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.