নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমলা দেবী হ্যারিস

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮




খুব বেশি পরিচিতি ছিলনা কমলার । কমলার মা মাদ্রাজ থেকে আর বাবা জ্যামাইকা থেকে সংসার গেড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে ।
ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা কমলা হ্যারিস, জন্ম ২০ অক্টোবর, ১৯৬৪, হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হেস্টিংস কলেজ অফ ল হতে স্নাতক উপাধির অধিকারী। তিনি আল্যামেডা কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি অফিসে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে সান ফ্রান্সিসকো অ্যাটর্নি অফিসে ও আরও পরে সিটি অ্যাটর্নি অব ফ্রান্সিসকো অফিসে যোগ দেন। ২০০৩ সালে তিনি সান ফ্রান্সিসকোর অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন; ২০১৪ সালে পুনঃনির্বাচিত হন।


তিনি ২০১৬ সালের সিনেট নির্বাচনে লোরেটা সানচেজকে পরাজিত করে বারবারা বক্সারের উত্তরসূরী হন। এর ফলে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার তৃতীয় মহিলা সেনেটর হওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় আফ্রিকান-মার্কিন মহিলা এবং প্রথম দক্ষিণ-এশীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনী হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেনেটর হিসাবে তিনি স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার, নিয়ন্ত্রিত পদার্থের তফসিল হতে গাঁজা বাতিলকরণ, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের নাগরিকত্বের পথ হিসাবে ড্রিম আইন, আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধকরণ এবং প্রগতিশীল কর সংস্কারকে সমর্থন করেছেন। সিনেটের শুনানির সময় ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি তার তীক্ষ্ণ প্রশ্নের জন্য তিনি একটি জাতীয় পরিচিতি অর্জন করেন।

হ্যারিস ২০২০ সালের ডেমোক্রাট দলের প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের জন্য অংশ নিয়েছিলেন এবং ৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ এ তার প্রচার শেষ হওয়ার আগে জাতীয় মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন। ১১ই আগস্টে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সাবেক উপরাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সহকর্মী হিসাবে ঘোষিত হন। ফলত তিনি প্রথম আফ্রিকাম-মার্কিনী এবং প্রথম এশীয়-মার্কিনী হিসাবে কোনও বড় রাজনৈতিক দলের রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর চলতি সহকর্মী হিসাবে ঘোষিত হন। এবং একই সাথে তিনি জেরাল্ডিন ফেরারো এবং সারা পেলিনের পরে বড় কোন দল থেকে তৃতীয় নারী হিসেবে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেলেন।

কমলা একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন সদস্য। তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জো বাইডেনের সাথে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উপরাষ্ট্রপতি মাইক পেন্সকে হারিয়েছেন। ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহন করবেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কনিষ্ঠ সিনেটর হিসাবে ২০১৭ সাল থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনীত উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী।

ভারতীয় কোন বংশোদ্ভূত কেউ প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দ্বিতীয় পদ ধারন করবেন । যে কোন কারনেই হোক আমি খুব উৎফুল্ল কমলা সুন্দরীর এই বিজয়ে ।

উইকি তথ্য ভাণ্ডার থেকে । ছবি কমলা হ্যারিসের টুঁইট থেকে ।



মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



কমলাকে ভাইস হিসেবে নিয়ে জো বাইডেন ভালোই ভুল করেছিলেন; কারণ, কমলা কালোদের পুরোপুরি সমর্থন পাননি, ভোটে তা প্রমাণিত হয়েছে। প্রাইমারীতে কমলা যেভাবে জো বাইডেনকে আক্রমণ করেছিলেন, উহা ভালো ছিলো না।

বাইডেনের বয়স হয়েছে, কোন কারণে জো যদি প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্হায় মৃত্যুমুখে পতিত হন, কমলা প্রেসিডেন্ট হবেন, এই বিষয়টা মনে রেখে অনেকেই জো বাইডেনকে ভোট দেননি।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল তথ্য দিয়েছেন ।

ট্র্যাম্প লড়েছেন প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে । জো এর বিজয় ল্যান্ড স্লাইড ভিক্টরি নয় কিন্তু তিনি জিতেছেন । কেন এত আমেরিকান ট্র্যাম্পকে সমর্থন দিলেন তা নিয়ে আপনি লিখবেন যেহেতু আপনি আমেরিকাতে বসবাস করেন এবং আমেরিকানদের পালস ভাল বোঝেন একজন বয়স্ক এশিয়ান হিসেবে ।

আমেরিকার রেসিয়াল ব্যাপারটি খুব প্রকট ।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

জুন বলেছেন: @চাদগাজী, জো বাইডেন বিছানা নিলে আমেরিকার ভবিষ্যত যে কি হবে তাই ভাবি /:)

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

শাহ আজিজ বলেছেন: আমার মনে হয় কিছুই হবে না । আমেরিকা রাষ্ট্র একদল পেশাদার কর্মী চালায় । প্রেসিডেন্ট শুধু আদেশ নির্দেশ করেন ।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বাংলাদেশর জন্য খুব একটা আশার খবর নেই।ক্লিনটনের বন্ধুরা আবার জেগে না উঠে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

শাহ আজিজ বলেছেন: জাগলেও লাভ তেমন হবেনা ।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জুন বলেছেন: আপনি ব্লগার চাদগাজীকে যে কথাটি বলেছেন ঠিক সেই কথাটিই আমি তার পোস্টে একটু আগেই করেছি। আমার আমেরিকা প্রবাসী আত্নীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সহ চারিদিকে শুনছি সে এত খারাপ, এত মুর্খ, এত গাড়ল- গবেট, এত হ্যান- ত্যান যা আমরা অন্য দেশের নাগরিক হয়ে ধরে ফেলেছি ! ওরা কেন ধরতে পারলো না।কেন আমেরিকার অর্ধেক লোক তাকে ভোট দিল! তবে কি আমেরিকার অর্ধেক লোকই গবেট!! তাহলে ক্যানো বাইডেনের ভূমিধ্বস বিজয় হলো না!! এই উত্তরটা জনাব চাদগাজীর কাছে আমিও চাইছি শাহ আজিজ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: এটা নিয়ে গাজী সাহেব একটা পোস্ট দিন ।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ট্রাম্প এত বেশী ভোট পাবার কারণ, আমেরিকার সাদা ভোটারের হার শতকরা ৬৮ জন, এবং এদের অর্ধেক বিশ্বাস করে যে, কালোরা সঠিক মতো কাজ করে না, কথা বেশী বলে, সততা কম, প্রতিবাদের ভাষা হলো লুটপাট করা; বাদামীদের (এশিয়ান ) নিয়ে আমেরিকানরা বেশ বিভক্ত: ভারতীয়দের স্বার্থপর হিসেবে দেখেন, এরা আমেরিকানদের মতো উদার কখনো হবে না; চীনা ও পুর্ব এশিয়ার লোকদের ওরা জানে খুবই নীচুমন ও সুযোগ সন্ধানী হিসেবে।

ট্রাম্প এই সুযোগটা নিয়েছে ২০১৬ সালে, এবারও জেতার কাছাকাছি ছিলো; শুধু মাত্র করোনাতে সে অদক্ষতা ও গোয়ার্তুমি করে হেরে গেছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: আমেরিকার মত শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট করোনা হ্যানডলিং এ এত দুর্বল হবে এটা সবার চোখেই কটু লেগেছে ।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকানরা বিশ্বাস করে যে, আমেরিকা গঠনে সবার অবদান আছে, কিন্তু লীডারশীপে সাদাদের থাকতে হবে; কারণ, তারা কালো, বাদামী ও স্পেনিশদের বড় অংশকে সৎ ও উদার মনের মানুষ হিসেবে ভাবে না।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শাহ আজিজ বলেছেন: আসলে সাদাদের দাস মনোবৃত্তি মোছেনি এখনো ।

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: কমলা সম্পর্কে জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৫

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৫

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: কমলা হ্যারিস সম্পর্কে বেশ কিছু লেখা পড়া হয়েছে। এখানেও নতুন কিছু জানলাম। ভালো লাগলো পোস্টটি। :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: যতটুকু পড়েছেন ছেপে দিন । তামিলনাড়ুর ব্লাড হোয়াইট হাউসে বেশ আনন্দের ব্যাপার।

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৪

সোহানী বলেছেন: যতটুকু পড়েছি ও শুনেছি কমলার কারনে অনেক ভোট কমেছে আবার বেড়েছেও। কারন ভারতীয়রা ট্রাম্প বা রিপাবলিকা সাপোর্ট করে একটা বড় অংশ। তাদেরকে আকর্ষন করতেই কমলাকেই মূলত দাঁড় করিয়েছে। আবার মূল কালো বা সাদাদের মাঝেই কমলাকে নিয়ে বেশ ভীতি আছে। যতটুকু জানি কমলা বেশ মারমুখী রাজনীতিতে বিশ্বাসী যা বাইডেনের সম্পূর্ণ বিপরীত।

যাহোক, সামনে তাকিয়ে আছি। আর আম্রিকার প্রতিবেশী ও ট্রডোর চ্যালা হিসেবে আমরা বরাবরেই ডেমোক্রেট সাপোর্ট করি।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি প্রায় জানতামই না কে এই কমলা । এখন জানতে পারছি । মিক্সড রেসের আমেরিকা বড়ই বিচিত্র । হোয়াইট হাউসের শান্ত অংগন আর আফঘানিস্তানের রনাঙ্গন এক রকম হবে না কখনই ।

১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কমলাকে নিয়ে তথ্যমূলক লেখা। ভবিষ্যতে কাজ বলে দিবে ভালো মন্দ

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , তাই বটে

১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৪

কলাবাগান১ বলেছেন: ২০২৪ সালে কমলা হ্যারিস বনাম ডোনাল্ড ট্রাম্প এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আরো বেশী নাড়া দিবে পৃথিবীকে

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ততদিনে ট্র্যাম্প পাগল হয়ে যাবে । ওর লোভ খুব বেশি ।

১২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ট্রাম্প নিখোজ হয়ে যাবে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪১

শাহ আজিজ বলেছেন: ধনী লোক , নিখোঁজ কেন হবে । আমেরিকায় এক্স প্রেসিডেন্টদের বেশ তরতাজা দেখায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.