নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পিকিঙ্গে ৮২ সালের বাজার খুবই গরীব , অপরিচ্ছন্ন ছিল । একদম গমক্ষেতের সাথে লাগোয়া বাজারটির দালান ব্রিটিশদের তৈরি । ঢুকতেই সদর রাস্তায় চাষা ভুষা কয়লার কালি মাখা লোক গুলো হাতে মোটা গ্লাভস পরে মিষ্টি আলু পোড়া বিক্রি করছে । একটা ড্রাম সেটা আবার লেপ দিয়ে ঢাকা । ড্রামের ভিতরে চারিদিকে থাক কাটা আর তাতেই আলু রোস্ট হচ্ছে । একদম নিচে কয়লা জ্বলছে । কাঁদা মাটির প্রলেপ দেয়া ভেতরে । দেখতে চাইলাম কমরেডের কাছে । হলদে দেঁতো হাসি দিয়ে লেপ সরিয়ে উকি দিতে বলল । বাহ চমৎকার দৃশ্য । কনকনে সাইবেরিয়ান ঠাণ্ডা হাওয়ায় সূর্য হারানো দিনে প্রায় মনুষ্যবিহীন বাজারের সামনে এরাই দাড়িয়ে বিড়ি দাতে চেপে ধরে হাকাচ্ছে অ্যাই পোড়া আলু । একটা বাশপাতা কাগজে গরম আলু তুলে দিল কমরেড । ধোয়া উড়ছে আলুতে , আমার মুখ নাক আর আলু বিক্রেতার মুখ দিয়ে বিড়ির ধোয়া সহ । মাইনাসে এমন পাগলা হাওয়ার দিনে গরম আলু মজার জিনিষ । ঠাণ্ডা কমিয়ে দেয় কিছুটা । আস্তে ধীরে পরিবর্তন এসেছে । ড্রাম উঠেছে ভ্যান গাড়িতে , সাইকেলে । জীবন এখন অন্যরকম কিন্তু মিষ্টি আলুর সেই স্বাদ তেমনি রয়ে গেছে , একটুও বদলায়নি । আহা মিষ্টি আলু , আহা পিকিং !!
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ওখানে মাদ্রাসা নেই , কওমি নেই , বাবুনগরিও নেই কিন্তু ধেই ধেই করে উন্নয়ন হচ্ছে ।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
মিষ্টি আলু খুবই উপকারি । ব্যাড কোলেস্টেরল কমিয়ে আনে । সুগার লেভেল স্টেবল রাখতে হেল্প করে । লালটার চেয়ে পার্পল কালার মিষ্টি আলু বেশী উপকারি । কুক করে খাওয়ার চেয়ে পোড়া আলু বা ওভেন বেইকটা বেশি হেল্থদি ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: এখন অল্প খেতে পারি , সুগার হাইতো ! দেশে ওরকম বেক করা পাওয়া যায়না । মিস করি ।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: চুলায় পোড়া দিয়ে অনেক মিষ্টি আলু খেয়েছি।আমাদের ক্ষেতে মিষ্টি আলুর চাষ হতো।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২
শাহ আজিজ বলেছেন: এখন সেই ক্ষেত আছে ? আলু হয় কি ?
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৫
মেহবুবা বলেছেন: ছোটবেলায় নানীবাড়ীতে গেলে কখনো কখনো খেয়েছি মাটির চুলায় পোড়ানো মিষ্টি আশু সুস্বাদু ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: মিষ্টি আলুকে কেউ খারাপ বলতে পারবে না , বেক করা তো অসাধারন । আমিও ছোট বেলায় চুলায় পোড়া আলু খাওয়ার জন্য চুলার পাড়ে বসে থাকতাম ।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সুন্দর স্মৃতি।
পড়ে ভালো লাগলো, স্যার।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছোটকালে অনেক খেয়েছি। দাদা সব চাষ করতো। এখন বাদাম আলু ডাল চাষই হয় না। খালি পড়ে থাকে জমি
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৬
শাহ আজিজ বলেছেন: চাষের লোকের অভাব বড্ড । পেশায় পরিবর্তন এইসব বিষয়কে থামিয়ে দিচ্ছে ।
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আজ ৫ কেজি মিষ্টি আলু কিনেছি। হে হে----
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫২
শাহ আজিজ বলেছেন: দাও দাও পোড়া দাও -----------------
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গত শীতেও রাতের বেলা খোলা প্রান্তরের বসে মিষ্টি আলু পুরিয়ে খেয়েছি। এবারও খাবো।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: রাতে ক্যাম্প ফায়ারের সময় বা বি বি কিউ এর আগুনে পোড়া দিতে হবে । ফয়েল মুড়ে দিলে ময়লা লাগবে না ।
৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪৬
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: মুরুব্বি,
আপনার ব্লগ পরলে মনে হয় আমিঔ সময় টায় ফিরে যাই।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: এই করোনাকালে ঘরে বসে পুরাতন স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে -------------- টাইম মেশিন দরকার হে হে হে
১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৪৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমার প্রিয় বেইজিংয়ের হাঁস (পিকিং ডাক), যেভাবে পাতলা রুটি দিয়ে মুড়িয়ে কি একটা সস দিয়ে পরিবেশন করতো - ভাবতেই এখনো জিভে পানি চলে আসে। তবে ৮২ সালের পিইকিং দেখার সৌভাগ্য আমার হয় নি। আমি যখন (১৯৯৬) সেখানে যাই তখন কমরেডরা অনেক কম রেড হয়ে গেছেন। চোখ ধাঁধানো রাস্তা-ঘাট, ওভারপাস, মল, এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে চেয়ে গেছে বেইজিং ও তার আশপাশের চীন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০১
শাহ আজিজ বলেছেন: ২০০৫ সালে শেষ গিয়েছি পিকিং ডাকে । ১০০ লোকের পার্টি ঠিক চুলার উল্টো দিকের বিশাল রুমে । বিল্ডিং ১০ তালা হয়ে গেছে । আমাদের নেতাদের ধরে পিকিং নিয়া বেধে রাখা উচিত । ঘুরে ঘুরে দেখলাম আমাদের স্মৃতিময় জায়গাগুলো ।
১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:০৪
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: শীতের রাতে আগুন জ্বালিয়ে মিষ্টি আলু পুড়িয়ে খেতে নিশ্চয় বেশ মজা লাগবে! মিষ্টি আলু খাওয়া হয়েছে কম তাও আবার সেদ্ধ করে। পুড়িয়ে দু'একবার হয়তো। কিন্তু আমার কাছে সেদ্ধর চেয়ে পুড়ানোটা খেতে বেশি মজা লেগেছে। এমনকি আলু, বেগুন এসব পুড়িয়ে ভর্তা করলে বেশি সুস্বাদু মনে হয়।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৩
শাহ আজিজ বলেছেন: সবধরনের বেকিং ভাল লাগবে মুখে , কাঠ কয়লা দিয়ে বেশি ভাল হয় ।
১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আগে গ্রামে থাকতে খাওয়া হতো। এখন কালে ভদ্রে খাওয়া হয়। দারুণ লাগে একটু চিনি, পোড়া মিষ্টি আলু দিয়ে দুধ মাখিয়ে ভাত।
++++
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি দুধ দিয়ে চেষ্টা করিনি বা জানিনা । মাটির চুলায় পোড়া আলুর তুলনা নেই ।
১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর স্মৃতি। ভালো লাগলো।
ছবিতে পোড়া আলুর ছবিটা খুব সুন্দর লাগছে। কিন্তু বাংলাদেশের আলু সিদ্ধ করলে বা পোড়ালে তার রঙ অত টাটকা বা সুন্দর দেখাবে না। আলু পোড়ার জন্য গ্রামের মাটির চুলা হলো উত্তম। মিষ্টি আলু আমার স্ত্রীর খুব পছন্দ। মিষ্টি আলু সামনে পেলে আমি কিনে ফেলি। শহরের চুলায় মিষ্টি আলু পোড়ার ব্যবস্থা করা খুব কষ্টকর। আমার স্ত্রী আলু স্লাইস করে তাওয়ায় ভেজে খান; আমাকেও ভাগ দেন কিছু
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৫
শাহ আজিজ বলেছেন: একটা গ্যাস ওভেন পাওয়া যাচ্ছে , চুলার ওপর বসিয়ে কেক, মুরগি বি বি কিউ , খাসি বা গরুর স্টেক করা যায় । আলুও হবে , সময় নেবে ।
১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: দাও দাও পোড়া দাও -
পোড়া খাবো না সিদ্ধ খাবো বুঝতে পারছি না।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: যেটা সুবিধা হয় ।
১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: মিষ্টি আলু খেতে মঞ্চায়
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: বাজারে নিশ্চয়ই পাওয়া যাচ্ছে ।
১৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মিষ্টি আলু খুবই মজাদার আলু, যেভাবেই খেতে চাইবেন। আমার প্রিয় একটি খাদ্য। আমি জানি না, আপনি পাহাড়ি মিষ্টি আলু খেয়েছেন কিনা - স্বাদ মনে রাখার মতো।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৩
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি খাইনি তবে পাহাড়ে জন্মানো বিশেষ করে আমাদের চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা বৃষ্টি বিধৌত হওয়াতে ফলফলাদির স্বাদ অপূর্ব হয় ।
১৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
জুন বলেছেন: চীন ভ্রমণ শেষ করে আসার আগের দিন আমরা যেখানে থাকতাম সেই ট্যুরিস্ট এলাকা ওয়াংফুজিং স্ট্রিট এ পিকিং ডাক খেতে গেলাম। রেস্তোরাঁয় প্রচুর মানুষের ভীড়। যাইহোক টেবিলে বসে একটা ডাকের অর্ডার দিলাম সাথে চাপাতি। ট্রলি ঠেলে ওয়েটার হাস, রুটি আর সস নিয়ে আসলো। এখনি টেবিলে সার্ভ করবে। না তিনি হাস থেকে স্লাইস করে বিভিন্ন জায়গা থেকে কেটে কিছু মাংস প্লেটে রেখে মাথাটা কেটে বসিয়ে বল্লো "দিস ইজ ইউর ডাক"। বলে ট্রলি ঠেলে চলে গেল আমরা সেই কুড়মুড়ে হাড়ের দিকে বিরস বদনে চেয়ে রইলাম শাহ আজিজ।
বেইজিং এ মিষ্টি আলুর দেখা পাইনি। তবে থাইল্যান্ডে প্রচুর পাওয়া যায়। কিন্ত গুরমিত মার্কেটে যেগুলো বেক করে তা আমাদের দেশের লাল খোসা আলা আলুর মতই কিন্ত বিক্রি করছে তার দাম আকাশছোয়া। মনে হয় অর্গানিক তবে ওরা নাকি ঐ আলু ইমপোর্ট করে। ছোট সাইজের ভেতরে কমলা বা গাঢ় বেগুনি রঙের আলু অসম্ভব মিষ্টি। দশ/ বিশ বাথ ছোট ছোট প্যাকেটে বিক্রি করে। আমি ডেইলি খেতাম।
আপনার লেখা পড়ে স্মৃতিচারণ করলাম একটু
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: হাস ওরকম হওয়ার কথা না , মাংস দেবে চর্বি ওয়ালা । কেন অমন করল !! ওয়াংফুজিঙ্গের পেছনেই ছিল আমাদের আর্ট একাডেমী । এখন ওয়াংফুজিং গাড়ি বিহীন রাস্তা , রেস্টুরেন্ট আর দোকানে ভর্তি । আমাদের অ্যাকাডেমি জায়গা বেচে চলে গেছে শহরের বাইরে আর্ট পল্লীর কাছে । আমি নিয়মিত আসতাম ঘুরতে । পোড়া আলু শহরতলীতে পাওয়া যায় , মুল শহরে ঢোকা নিষেধ । ০৫ সালে তাইওয়ান হোটেলে উঠে ছিলাম একদম ওয়াংফুজিঙ্গের কাছে । এক্সময়ের অন্ধকার এলাকা এখন আলোয় আলোয় উজ্জ্বল ।
১৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: মিষ্টি আলু নিয়ে লেখা মোঃ মাইদুল সরকার এর একটি পোস্ট পড়ে এখানে এলাম। সেখানে এ পোস্টের উল্লেখ আছে।
মনে পড়ে গেল সেই শৈশব-কৈশোর কালের কথা। তখন গ্রামে গেলে প্রচুর মিষ্টি আলু খাওয়া হতো।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , মিষ্টি আলু বেক সব সময় প্রিয় ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৮
আমি সাজিদ বলেছেন: গণচীনের সাফল্য ঈর্ষনীয়।