নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাঁঠালের বিস্কিট

০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬



এই বিশাল দশাসই কাঁঠালের সাইজ দেখেই আমার কাঁঠালের মুচমুচে বিস্কিটের কথা মনে পড়ে গেল । তখন একটি তাইওয়ানিজ কোম্পানিতে ব্যাবস্থাপক হিসাবে কাজ করি । চেয়ারম্যান তাইওয়ানে প্রতি মাসেই যান । এবার গেলেন ৪০ কেজি কাঁঠাল নিয়ে। আমরা বেশ আগ্রহের সাথে জিজ্ঞাসা করলাম বস এটা এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছেন কেন ? তিনি হাসলেন তবে জবাব দিলেন না । পরদিন আমি উত্তরবঙ্গে প্রডাক্ট মার্কেটিঙে চলে গেলাম এবং ৬ দিন পর ফিরে দেরিতে অফিস গিয়ে দেখি একটা বড় পলিথিনে ভাঙ্গাচুরা কিছু একটা সবাই মুচমুচ করে খাচ্ছে । মুখে দিয়ে দেখলাম এটাতো কাঁঠাল , ডি হাইড্রেট করা এবং অসাধারন স্বাদ হয়েছে । আমার ভিজিটিং রিপোর্ট জমা দিতে চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করলাম এই আজব জিনিষ কিভাবে হল । তিনি বললেন ডি হাইড্রেট আর হিটিং মেশিন দিয়ে এটা করা হয়েছে শুধু বিচিটা ফেলে দেওয়া হয়েছে । আমি বললাম এটা শুরু করেন খুব চলবে ঢাকাতে । মুখে মধু লেগে রইল । ৯৮ এর শেষে ওই কোম্পানি ছেড়েছি কিন্তু ঢাকার বাজারে কাঁঠাল বিস্কিট পাইনি , তার মানে ওরা বের করেনি । একটি অসাধারন ব্যাবসা সফল বিষয় হবে কাঁঠাল পাকার দু তিন মাস একটানা প্রডাক্ট বেরুবে এবং সারা বছর ব্যাবসা চলবে । ছোট বড় সব মেশিন পাওয়া যায় চীন এবং তাইওয়ানে । স্বল্প পুজিতে শুরু করা যায় এই প্রকল্প । কাঁঠাল শেষ হলে এই মেশিন গুলো কলা , পেপে , আমড়া ইত্যাদি শুকনো করে বার মাসি ব্যাবসা চালানো যাবে । টঙ্গি , গাজীপুর জমি থাকলে , ১ বিঘা অথবা পূর্বাচলের দিকে যেতে গ্রামে জায়গা কিনে এটা চালু করা যাবে । কেনার আগে সশরীরে চীন বা তাইওয়ান ঘুরে এর প্রক্রিয়া দেখতে থাকতে হবে ক'দিন ।
যারা নিরিবিলি ব্যাবসা করতে চান তারা চেষ্টা করতে পারেন ।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমত কাঁঠালের সাইজ দেখে ভুয় পাইছি। ফটোশপের কাজ না তো!!

দ্বিতীয়ত, কাঁঠালের বিস্কুট, অন্তত কাঁঠালের ফ্লেভারযুক্ত বিস্কুট তৈরি একটা ভালো আইডিয়া। এমনকি, আম ও কলার বিস্কুটও হতে পারে। এতে, আম, কলা, কাঁঠাল চাষের প্রতি আগ্রহও বাড়তে পারে, যদি বিস্কুটের প্রজেক্ট সফল হয়। আনারস ফ্লেভারের বিস্কুট অলরেডি আছে (পাইন অ্যাপেল বিস্কুট), যদিও তাতে পাইন অ্যাপেলের ঘ্রাণ আছে বলে মনে হয় না :(

বিভিন্ন ফ্লের ফ্লেভারযুক্ত চা বা ব্ল্যাকটি/কফটিও বানানো যেতে পারে। আমাদের দেশে তৈরি এরকম অল্প কিছু কফট/ব্ল্যাকটি দেখেছি বলে মনে পড়ে, বাট নিশ্চিত। এসব ফ্লেভারের টি/কফটি বিদেশে রফতানিযোগ্য আইটেম হিসাবেও বানানো যায়।

০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: এর ফ্লেভার এমনিই থাকছে , বিস্কিটের মত কেমিক্যাল দেওয়া নয় । যে খাবে কাঁঠাল মনে করেই খাবে । টেস্টে কোন পার্থক্য থাকবে না , না কেমিক্যাল , বা রঙ কিছুই দেওয়া হয়না । বাংলাদেশে কনডেন্সড মিল্ক ছাড়া অন্য কিছু চলবে না , ইদানিং খাটি দুধের চা চলছে খুব । এসবের বিস্কিট জাপান , তাইওয়ান , হংকং এবং চীনে ভর্তি ।

২| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

নয়া পাঠক বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি আইডিয়া! তবে প্রথম প্রথম বাজারজাত করতে অনেক বেগ পেতে হবে। আমাদের দেশে নতুন কিছু সহজেই কেউ মেনে নিতে চায় না/পারে না। আর তাছাড়া এই কাজে কোন কর্পোরেট কোম্পানীকেই এগিয়ে আসতে হবে। অথবা এমন কেউ যার বেশ কিছু টাকা অলস পড়ে রয়েছে কিংবা কিছু টাকা গচ্চা গেলে তেমন কিছু যাবে আসবে না। তবে হ্যাঁ আমার নিজেরও এমনটাই মনে হয় যে, যদি স্বাদ ও গুণাগুণ অক্ষুন্ন থাকে তবে প্রয়োজনীয় সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যবসায় নামা যেতে পারে।

০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , আমার মনে হয় এটা খুব চলবে । এটাকে প্রথম দশ লাখ টাকার প্রডাক্ট ফ্রি খাওয়ার জন্য সব অফিসে বিলি করতে হবে । এটা মার্কেটিং পলিসি । তারপর সেলস নিয়োগ , এরপর বাজার শুধু আপনার ।

৩| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সম্ভব।

০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৪| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়ে পোষ্ট দিয়েছেন ।
অত্যন্ত উচুমানের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই জাতীয়
ফলটি খুবই সিজনাল একটি ফল । সারাবছর
এ ফলটি জন্মেনা , দুএকটি ব্যতিক্রমী কুবাউরা
( Non seasonal) জাতের কাঠাল ছাড়া ।
আমাদের দেশের বাড়ীতে দুটি শতবর্ষী কাঠাল
গাছে প্রায় ৪০ হতে ৫০ কেজি ওজনের কাঠাল
ফলত এক সময়ে । ৭৪ এর বন্যায় গাছের
গোড়ায় জীবনের প্রথমবারের মত পানি জমে
যাওয়ায় গাছ দুটি মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ে যায়,
মুল ও কান্ডে পচন ধরায় গাছ দৃটিকে বাঁচানো
যায়নি । উল্লেখ্য কাঠাল গাছের গোড়ায় পানি
জমে গেলে সে গাছকে আর বাঁচানো যায়না।

ফলটিকে ডিহাইড্রেট করে একে স্বুসাদু
মচমচা বিস্কিটে পরিনত করার জন্য আপনার
প্রস্তবনাটুকু যে কেও একটু চেষ্টা করলে সহজে
বাস্তবায়ন করতে পারেন । বছর কয়েক আগে
আমার এক বন্ধুর আনুরোধক্রমে এর টেকনোলজি
সম্পর্কে কিছু তথ্য তাকে দিয়েছিলাম । সে একটি
প্রি-ইনভেষ্টমেন্ট ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রতিবেদন তৈরী
করে প্রয়োজনীয় কারগরী দিকের বিষদ বিবেরণ দিয়ে
একটি প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরী করে তার প্রজেক্টের
অনুকুলে ব্যাংক লোনের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে ।

জ্যকফ্রুট ডিহাইড্রেশন সস্পর্কিত কিছু তথ্য সংগ্রহে আছে ।
নীচে দিয় দিলাম । আগ্রহী যে কেও একটু দেখে নিতে পারেন।

How to dehydrate jackfruit
by food dehydrator

Ingredients: jackfruit

Directions:

1.Remove the core of jackfruit then clean each one.
2.Make it thickness in 5-15mm
3.Place it on the tray then put it into the drying house
4.Set the drying temperature: 60 °C ,drying humidity: 10%
5.Drying time:8-10 hours

Different jackfruit thickness will have different dehydrating time,
more thinner, the dehydrating time will be shorter. The dried jackfruit
slices will regain moisture when they are in direct contact with the air,
so a sealed package is required. If you use vacuum packaging, you can
better preserve the color and aroma of jackfruit slices.

একটি ছোট আকারের
Commercial WRH-100G Heat Pump All-in-one Jackfruit Dehydrator
এর বিবরণ
Capacity: 20~100kg per batch
Machine Dimension (L*W*H): 1180*680*1800MM
Power supply: 220V, 50Hz/60Hz
Drying Temperature: 50℃~80℃

Commercial WRH-100G jackfruit dehydrator just needs to
connect the power to use, is the easiest operation heat
pump jackfruit dehydrator. WRH-100G jackfruit dehydrator
used heat pump technology for energy saving. Drying takes
place in a closed system, which makes your jackfruit clean
and sanitary. Equipment plant can be viewed below:


তৈরীকৃত জ্যাকফ্রুট বিস্কিট দেখতে হবে নীচের মত ।


অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আরও কিছু আইডিয়া শেয়ার করার জন্য ।

৫| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি খেয়েছি দুবাই তে। চমৎকার আইডিয়া।

০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শাহ আজিজ বলেছেন: সেই ২৩ বছর আগের মজা এখনো লেগে আছে ।

৬| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের দেশের নতুন উদ্দ্যোক্তারা উত্পাদনে যেতে চায় না।তারা চায় ফটকা ব্যবসা

০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:০৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আর যারা উদ্যোগী হয় তাদের কাজ ভেস্তে দেয় । দেশে মিডল ম্যান উৎপাদকদের চেয়েও বেশি ।

৭| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:০৭

শায়মা বলেছেন: আমার খেতে ইচ্ছা করছে।

চেহারা তো পুরাই লিলি ফুল....

০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:১২

শাহ আজিজ বলেছেন: কাঁঠাল খুলে বিচি ফেলে দিলে এরকমই লাগে দেখতে ।

৮| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: কাঠাল দিয়ে কি কি করা যায় আমি বেশ কয়েক বছর ধরে ভাবছি।
কেরালায় কাঠাল দিয়ে অনেক কিছুই করে কিন্তু বিস্কুটের ব্যাপারটা এই প্রথম জানলাম!

আপনিওতো শুরু করতে পারেন- নাকি?

০৭ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: কেরালায় আর কি কি করে , বলবেন একটু ।


আমার শারীরিক কাঠামোতে ঘুন ধরেছে , উপদেশ দেওয়া ছাড়া আর কিছু চলবে না ।

৯| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: দারুণ আইডিয়া।
গাজীপুর, নরসিংদী কাঁঠাল সমৃদ্ধ এলাকা, এসব এলাকায় উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এতে কাঁঠালের চাহিদা ও গুরুত্ব যেমন বাড়বে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও আসবে।
ড্রায়ার মেশিনের ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। অবশ্যই ডঃ এম এ আলী ভাইএর মন্তব্যটিও খুব সহায়ক হবে।
অনেক শুভেচ্ছা উভয়কে।

০৭ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যা , ওইসব এলাকার জন্যই বলা হচ্ছে যাতে কাচা মাল কম খরচে কারখানায় পৌছতে পারে ।

১০| ০৭ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ছবি দেখেই মনে হচ্ছে অসাধারণ হবে স্বাদটা। সুন্দর আইডিয়া শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: মনে হবে ক্রাঞ্ছি কাঁঠাল খাচ্ছেন ।

১১| ০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:২২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এটা একটা চমৎকার আইডিয়া। আমাদেরও একটা এরকম কাঠালের গাছ ছিল কিন্তু বাড়ী করতে গিয়ে গাছটি কাটতে হয়েছিল।

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১০

শাহ আজিজ বলেছেন: বাড়ি বানাতে গিয়ে যে কি পরিমান দরকারি গাছ কাটা পড়ে তা আমরা খেয়াল করি না । একটি কাঁঠাল , আম , নারকেল গাছ শত বছর ফল দেয় ।

১২| ০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: কাঁঠালের হালুয়া ওদের বেশ প্রিয় খাবার।
পাকা কাঁঠাল বেশী খেলে পেটে গ্যাস জমে- তাই কেরালার লোকেরা বিট লবন আর গোল মরিচের গুঁড়া দিয়ে খায়।
কাঁঠালের এচোড় দিয়ে ওরা অনেক সুস্বাদু খাবার রান্না করে। যদিও প্যাকেটজাত এচোড় আফ্রিকা ও ইউরোপে বেশ প্রসিদ্ব!
তবে পাকা কাঁঠালের বিস্কুট ও চিপস হিসেবে বেস্ট হবে!
জুস খুব একটা জনপ্রিয় হবে বলে মনে হয় না।
কাঁঠালের মুল সমস্যা হচ্ছে এর রোয়ার সাইজ, রং ও স্বাদের ভিন্নতা।বাইরে থেকে বেশ কঠিন সেটা আঁচ করা।
বিশেষ প্লানটেশন প্রজেক্ট না করলে এর বাই প্রডাক্ট উৎপাদনে সফলতা পাবার সম্ভাবনা কম।

০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: এক এক জাতের কাঁঠাল একেক স্বাদের হয় । স্বাদ হিসাবে অগ্রিম গাছ কিনতে হবে । এর জন্য দালাল ধরতে হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.