নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ হই হুল্লোড় করেই চীন তার দেশের একমাত্র শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির শততম বর্ষ পালন করছে । আজ সকালে থিয়েন আন মেন স্কয়ারে পার্টি সদস্যদের উপস্থিতিতে নানা কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর দিবসের সুচনা হল । ১০০ বছর আগে Chen Duxiu ও Li Dazhao ঠেন তু শিউ ও লি তা ট্রাও নামে দুই কমরেড কমিউনিস্ট পার্টির সুচনা করেন । দুজনই বিদ্বান ও দার্শনিক ব্যাক্তিত্ব ছিলেন । পার্টি গঠনের আগে তারা দুজন জাপানে গিয়েছিলেন মার্ক্স ইজমের ওপর পড়াশোনা করতে । প্রথম দিকে মাত্র ৫৭ জন সদস্য এতে যোগ দেন । কালে কালে সদস্য সংখ্যা এখন ৯ কোটি ২০ লাখে দাঁড়িয়েছে । বিদ্বান , সৎ ব্যাক্তিদের যাচাই বাছাই করেই সদস্য করা হয় । লোকাল সদস্য থেকে কয়েক ধাপ পেরিয়ে কেন্দ্রীয় সদস্য হওয়া যায় । কেন্দ্রীয় সদস্যরা কংগ্রেসে বসে দেশের ভুত ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেন । আজ কারো মুখে মাস্ক নেই দেখে নিশ্চিত হলাম সবার টিকা সম্পন্ন হয়ে গেছে ।
Li Dazhao কে ১৯২৭ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় কমিউনিস্ট হওয়ার অপরাধে । Chen Duxiu ১৯৪২ সালে স্বাভাবিকভাবেই মারা যান ।
পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ নেতারা হলেন মাও জে তুং , তেং শিয়াও পিং যিনি আজকের নতুন চীনের সংস্কারের মহানায়ক , জিয়াং জে মিন সংস্কার আন্দোলনকে জবরদস্তি উপরে ওঠানোর আরেক নায়ক , শি জিন পিং চলতি চীনা সমাজ বা রাষ্ট্রকে এমনি গতিময় করেছে যে বিশ্ব সৃষ্টির পর যে কোন রাষ্ট্র দ্রুত সময়ের মধ্যে এত উন্নতি করতে পেরেছে । এরা সবাই তেং শিয়াও পিং এর অনুসারি । কিছু ছবি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট আর চায়না ডেইলি থেকে সংযুক্ত করে দিলাম ।
চীনে হাজার হাজার দালান কোঠা এভাবেই আলোকসজ্জায় রাঙ্গানো হয়েছে ।
০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: টেকনোলজি একবার ধারন করলে তাকে তেল পানি খাইয়ে আরও শত বছর টিকিয়ে রাখা যাবে । তাদের জিদ ছিল তারা সম্পূর্ণ করেছে এখন ভবিষ্যৎ নেতৃত্তের উপর বাকি উন্নয়ন নির্ভর করছে । একমুখী শিক্ষা ব্যাবস্থা বলে তারা ধরে রাখতে পারবে ।
২| ০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার কাছ থেকে এই বিষয়েই পোস্টের অপেক্ষায় ছিলাম।
চীনের নেতৃত্ব যুগের সাথে তাদের রাষ্ট্র ও সমাজনীতিকে সঠিকভাবে এডাপ্ট করে বরাবরই দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে এই দলটি দেশ পরিচালনা করেছে বলেই আজও তারা এই বৃহত্তম জনবহুল দেশটিকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। যদিও একদলভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনার উপজাত হিসাবে দুর্নীতি ও স্বৈরতন্ত্র বাসা বেঁধেছে, কিন্তু তারপরও তাদের মধ্যে শৃঙ্খলার উপস্থিতি আশপাশের প্রতিদ্বন্ধি রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। শৃঙ্খলা ও একক নেতৃত্বের কারণেই তারা এই অতিমারী নিয়ন্ত্রণে ভারত সহ অনেক গণতান্ত্রিক দেশের তুলনায় অধিক সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল।
০২ রা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০১
শাহ আজিজ বলেছেন: সহমত । তেং এর সাথে মাওএর বিরোধ এখানেই । তেং চাইতেন উৎপাদনে সংস্কার মাও এসব নিয়ে গা করতেন না । সেই সম্ভব হয়েছিল মাও মরার পর । তথাকথিত গনতান্ত্রিক অবস্থার চেয়ে জনবহুল দেশে আসলেই যা প্রয়োজন তা গ্রহন করা । হু ইয়াও বাং চাষাবাদে বিপ্লব এনেছিলেন শুধু ব্যাক্তি বা পরিবার প্রতি জমি বরাদ্দের কারনে হু হু করে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ার কারনে । আবহাওয়া , জমির গুনাগুন , জনসংখ্যা সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত । শিল্পে সবচে বেশি সময় দেওয়া । এখানে চীনারা সবচে বেশি আকাম করেছে কপিরাইট ভেঙ্গে । যুথবদ্ধতা এবং সংঘবদ্ধতা থাকলে অতিমারি নিয়ন্ত্রন সম্ভব তা চীনে দেখা গেছে ।
ধন্যবাদ বিশুদ্ধানন্দ
৩| ০২ রা জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
জুন বলেছেন: শুধুমাত্র পার্টির লোকজন ছাড়া চীনের আধুনিক জনগন বিশেষ করে ইয়াং জেনারেশন মাও এর সেই দুনিয়া বদলে দেয়া সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কথা মনেই রাখে না শাহ আজিজ। বেইজিং ছাড়াও বিভিন্ন দেশে চীনাদের সাথে পরিচিত হয়ে এই ধারণা হয়েছে। তিয়েনয়ানমেন স্কয়ারে ২৪ ঘন্টা মাও সে তুং এর উপর ধারাভাষ্য চলছে কিন্ত কাউকে মাথা ঘামাতে দেখিনি। তারা স্মার্টফোন আর বিভিন্ন আধুনিক গ্যাজেট নিয়ে ব্যাস্ত।
০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫
শাহ আজিজ বলেছেন: যারা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ভিকটিম তাদের মধ্যে আমার শিক্ষক একজন । তার জবানীতে শোনা ইতিহাস নিয়ে গল্প লিখেছিলাম , কোথাও পোস্ট করেছিলাম , এখন খুজে পাচ্ছি না । আমি এমন কাউকেই পাইনি যে সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে পছন্দ করে । একজন মহিলা আমায় বলেছিলেন মাও হচ্ছে ড্রাগন যার কাজ ধ্বংস করা । এই আধুনিক চীনে নব্য জেনারেশন কেউই ভুলে মাওএর কথা স্মরণ করেনা । যদিও পার্টি তাকে ফেলে দেয়নি একদম । পার্টি সবার মুল্যায়ন করে কিন্তু পজিটিভ ভাবে । পার্টির ওল্ড গার্ড মাওএর সমর্থক । যে উন্নতি হয়েছে চায়নার তাতে তারা চুপটি মেরে থাকে ।
৪| ০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩১
জুন বলেছেন: চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্যাম্বোডিয়ায় শুদ্ধি অভিযান চালাতে গিয়ে পলপট কি চরম এবং নৃশংস গনহত্যা চালিয়েছিল তা নিশ্চয়ই আপনি জানেন। দেশের এক তৃতীয়াংশ জনগন সেই নির্যাতনে মারা গিয়েছে। এমন কোন লোক নাই যার আপনজন তাতে মারা যায়নি। নমপেনের প্রানকেন্দ্রের এক স্কুল যা তোলস্লেং কারাগার নামে পরিচিত সেটা দেখতে গিয়ে আমার গা শিউরে উঠেছিল। শত শত মানুষ তাদের মধ্যে শিশু -কিশোর, যুবা -বৃদ্ধ কেউ বাদ ছিল না যারা এই তথাকথিত সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বলি হয়েছিল। অনেক বিদেশি নাগরিক হত্যা করেছিল শুধু মাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে। আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিচারের সময় একজন জানিয়েছিল তারা এই গনহত্যা পরিচালনা করেছে বড় ভাই এর নির্দেশে। এই বড় ভাইটা কে সেটাই রহস্য শাহ আজিজ। তবে এস ২৯ কারাগারের দেয়ালে আমি হাতে আকা মাও এর ছবি দেখেছি। কিন্ত দুঃখের বিষয় পলপট বিচারের কাঠগড়ায় দাড়ানোর আগেই সুইসাইড করে। এ নিয়ে আমার ব্লগে আবার ম্যাগাজিনেও লেখা প্রকাশিত হয়েছে। অনেক বড় মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত আমি
০২ রা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০
শাহ আজিজ বলেছেন: স্কুল শিক্ষক পলপট ছিল মহানায়ক , পেছনে মাও । কম্পুচিয়ার এক তরুন যোদ্ধা আমার সাথে হাসপাতালের রুমে ছিল । সে আমাকে খুব কম জানা চীনা ভাষায় বুঝিয়েছিল কিভাবে তার পায়ে আর হাতে স্প্লিনটার লেগেছিল সমর ক্ষেত্রে । কম্পুচিয়ায় হত্যা করা হতো হাতুড়ি দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে । কমিউনিজম পৃথিবীতে গনহত্যার সবচে বড় কারন ।
৫| ০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪২
জুন বলেছেন: কারেকশন* এস২১
০২ রা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩
শাহ আজিজ বলেছেন: ডান
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: অর্থনীতি মানুষের চিন্তাধারাকে নিয়ন্ত্রন করে।চীনাদের অর্থনীতি এখন উন্নত, তাদের চিন্তাধারায় পরিবর্তন আসছে।দেখার বিষয় হলো কোথায় তাদের নিয়ে যায় বর্তমান নেতৃত্ব।