নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুপুরের ঘুম বা ন্যাপ

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২৪







যারা খুব ভোরে ওঠেন এবং ঘরের কাজ কিছু থাকলে তা সেরে অফিস যান তাদের দুপুরে চোখ লেগে আসে । চেয়ারে বসে ঝিমিয়ে নেন কিছুক্ষন । যাদের ঝিমানোর পরিবেশ নেই তারা বাকি কাজটুকু মেজাজ খারাপ নিয়ে করেন বা যত্ন হয়না সেই কাজের । অনেক আগে আমেরিকান বিগ বসদের ওপর জরিপ হয়েছিল ন্যাপ নেন কিনা । প্রায় সবাই হ্যা বলেছিলেন দু একজন বাদে । প্রায় দু বছর আগে হুয়া ওয়েই মোবাইল কোম্পানির সিটিতে জরিপ চালিয়ে পাওয়া গেল এই সব তরুন ইঞ্জিনিয়াররা সবাই তাদের ওয়ার্ক ষ্টেশনে ডেস্কের নিচে ভাজ করা স্লিম বেডে ঘুমিয়ে নিচ্ছেন । সাধারনত ১২ টায় লাঞ্চ টাইম । ডাইনিং রুম থেকে নিজের বাটিতে খাবার নিয়ে চপ সটীক দিয়ে চট পট খেয়ে বেড আন ফোল্ড করে ৪০ মিনিটের ঘুম । এই ঘুম তাদের ফ্রেশ করে দেয় । নিজের কথাই বলি । স্কাল্পচার স্টুডিও থেকে ১২ টার আগেই আমাদের ডরমিটরি বিল্ডিঙের নিচ তালায় বিদেশীদের ডাইনিং । পছন্দ সই যা সেলফে থাকে আজকের মেন্যু তা থেকে অর্ডার দিয়ে তারপর খেয়ে সোজা নয় তালায় রুমে । শবাসন করতাম আমি । ১ ঘণ্টা বাদে আবার কাজে ফেরা । শরীরটা বেশ চনমনে থাকতো , কাজও ভাল হতো। হুয়াওয়েই যখন পশ্চিমের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়লো তখন একদিন কোন পত্রিকায় ঐ শোবার ছবি দিয়ে সবাইকে তাজ্জব করেছিল হুয়াওয়েই । আজকে সিনিয়র ফোরামে একজন একটা ছবি দিয়ে চীনা কর্মীদের গুনগান গাইলেন । এই গুনগান আমরাও ৩৫ বছর আগে ভোগ করেছি ডরমিটরি কাছে পিঠে ছিল বলে । হুয়াওয়েই কর্মীরা যারা ওভারটাইম করেন তারা দুপুরে খাওয়া এবং ঘুমানোর জন্য ২ ঘণ্টা সময় পান । এই সুবিধা মার্কেটিং বা সেলস এ যারা থাকেন তারা পাননা । সব কোম্পানিতেই এই সুবিধা নেই । হুয়াওয়েই সিটি নিয়ে আরেকদিন লিখব ।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৩

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ছবি

দারুন কালেকশন

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রথম ছবিটা ফেসবুকে কয়েকদিন ধরে দেখছি খুব।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: এটা আমিও ফেসবুক থেকে নিয়েছি ।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৫

শায়মা বলেছেন: অফিসে বসে না এক্কেবারে শুয়ে ঘুম!!!!

এই জীবনে প্রথম দেখলাম এবং জানলাম।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: বসে ঘুমানো একটা যন্ত্রনা তার চেয়ে চেয়ার কাম বেডে ৪৫ মিনিট ঘুমালেই যথেষ্ট ।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার অফিসে ঘুমানোর জায়গা নাই। তবে আমি যেখানে অফিস করি, সেখানে ২/৩টি রুম প্রতিদিন খালি পড়ে থাকে। আমি প্রায়ই সেই রুমের কোন একটার বাইরে নোটিশ টানিয়ে ৩০ মিনিটের ঘুম লাগাই। আমরা প্রতিদিন অফিসে ৩০ মিনিট আলাদা বরাদ্দ পাই। অর্থাৎ অফিসে ঠিকই ৮ঘন্টা থাকতে হয়, তবে আমরা কাজ করি ৭ঘন্টা ৩০ মিনিট। আবার প্রতি ঘন্টার জন্য ৫মিনিট করে পাই। অর্থাৎ বাড়তি আরও ৩৫ মিনিট; এটা আমি চা-পানি, লাঞ্চ ও সালাত (নামাজ) এর জন্য কাজে লাগাই।

যেদিন দুপুরে ৩০ মিনিটের ঘুম দিতে পারি, সেদিন কাজের স্পৃহা বেড়ে যায় অনেক।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

শাহ আজিজ বলেছেন: কোথায় থাকেন আপনি ?/

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:১০

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি সৌদী আরবে থাকি :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:১৬

শাহ আজিজ বলেছেন: আচ্ছা , বেশ ।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



আমার ঘুম ১৫মিনিট, চেয়ারে বসেই ঘুমায়েছি সব কাজে। ম্যানেজারদের জানিয়ে দিতাম যে, ইহা আমার অভ্যাস।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১

শাহ আজিজ বলেছেন: গুড , এরকমই হওয়া উচিত ।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: আপনার লেখা সুন্দর

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ । আমি স্কুল বয়েস থেকেই লেখালেখি করি ।

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহ আজিজ,




দুপুরে এরকম ন্যাপিংয়ের অভ্যেস আমারও আছে। যখন কাজ করতুম তখন আমার পিয়নকে বলে দিতুম খাওয়ার পরে আমার রুমে যেন কেউ না ঢোকে। চেয়ারে বসেই ঝিমিয়ে নিতুম। :)
এখন কাজ হীন । অফুরন্ত সময় ন্যাপিংয়ের।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: আমিও একই পর্যায়ে আছি । প্রজেক্ট এরিয়াতে বিছানা দেওয়া থাকত গড়িয়ে নেবার জন্য ।

৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২১

বিজন রয় বলেছেন: আমি দুপুরে কখনো ঘুমাই না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩২

শাহ আজিজ বলেছেন: একসময় আমিও ঘুমাতাম না , এখন বয়েস বেড়েছে , দুপুরে গড়িয়ে নেই ।

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:১৪

গরল বলেছেন: আমি জীবনের প্রথম যে চাকুরিতে ছিলাম সেটা ছিল সফটওয়্যার কোম্পানি। আমাদের একটা ঘরে দোতালা খাট ছিল তিনটা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তবে কোন সময় বাধা ধরা ছিল না। যার যখন টায়ার্ড সে তখন একটু শুয়ে থাকত বা ঘুমাতো। এটা আসলেই খুব কাজের এবং প্রোডাক্টভিটিও বাড়ে কারণ ক্লান্ত কর্মি দিয়ে কখনই ভালো কিছু আশা করা যায় না।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২১

শাহ আজিজ বলেছেন: ভেরি রাইট ইউ আর ! শরীরকে ঠিক রাখাই প্রথম কাজ । ন্যাপ , চা , কফি শরীরকে চনমনে করে তোলে । আমি জেনেছিলাম আমেরিকানরা দুপুরে সাদামাটা খায় এবং রাতে হেভি ডিনার করে । কার্যত পিকিং জীবনে আমিও এরকম অভ্যাস শুরু করলাম । আপনি কোথায় ছিলেন প্রথম চাকুরিতে ।

১১| ০২ রা মে, ২০২২ রাত ১২:১২

গরল বলেছেন: আমি বাংলাদেশেই একটা সফটওয়্যার কোম্পানীতে চাকুরি শুরু করি তবে সেটাতে জাপানীজ আোর্থায়ন ছিল এবং ম্যানেজমেন্টেও জাপানীজ ছিল। তিন বছর চাকুরির পর ঐ কম্পানির কাজ নিয়েই জাপান যাই।

০২ রা মে, ২০২২ রাত ১২:৪৮

শাহ আজিজ বলেছেন: এখন জাপানেই থাকেন ?

১২| ০২ রা মে, ২০২২ ভোর ৫:২১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পারলে দয়া করে আমার উপরের কমেন্টটি মুছে দেবেন -তাড়াহুড়ায় অনেক টাইপো হয়ে গেছে।

এক সময় দুপুরের ঘুম বা ন্যাপ না নিলে খুবই ক্লান্তি বোধ করতাম। দেশে একসময় সরকারি চাকুরীর সুবাদে বেশ আরামের চেয়ারে প্রতিদিন একটু ঝিমিয়ে নেয়ার সুযোগও হয়েছিল।

সেদিন আর নেই - নর্থ আমেরিকার কঠিন জীবনে ন্যাপ নেয়াটা ধীরে ধীরে ভুলে যাচ্ছি। উইকেন্ডে চেষ্টা করি, তবে ব্যাটেবলে হয় না। খুবই মিস করি ন্যাপ নেয়াকে।

০২ রা মে, ২০২২ সকাল ১০:০২

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , অনেকেই ন্যাপ নেন না কিন্তু ক্লান্ত বোধ করেন না ।


ভাল থাকুন ।

১৩| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:২৬

গরল বলেছেন: জাপানে ছিলাম সারে তিন বছর, তারপর দেশে ফিরে আসি কারণ জাপানিজ ভাষা না জানার কারণে। বস্তুত আমরা কাজ করতাম নোকিয়ার কন্ট্রাক্টর হিসেবে, নোকিয়া জাপান থেকে তাদের R&D সেন্টার গুটিয়ে নিলে আমাদের সমস্যা হয়ে যায় জাপানিজদের সাথে কাজ করতে। এখন কানাডাতে আছি।

০৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.