নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেখ আহমেদ ইয়াসিন , হামাসের প্রতিষ্ঠাতা
ফিলিস্তিনের কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামাস। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে ইসরায়েলি দখলদারির অবসানের দাবিতে ‘ইন্তিফাদা’ বা ফিলিস্তিনি গণজাগরণ শুরুর পর ১৯৮৭ সালে হামাস গঠিত হয়।
কট্টর ইসরায়েলবিরোধী আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমাদ ইয়াসিন ও আবদেল আজিজ আল-রান্তিসির হাতে গাজায় হামাস প্রতিষ্ঠা পায়। ২০০৪ সালের মার্চে গাজায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন আহমাদ ইয়াসিন। পরের মাসেই নিহত হন আজিজ আল-রান্তিসি।
সংগঠনটির সনদ অনুযায়ী, তারা ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আর তাদের চাওয়া হলো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে বর্তমান ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীর নিয়ে গঠিত একক ইসলামি রাষ্ট্র।
২০০৭ সাল থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা রাজনৈতিকভাবে হামাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রায় ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের গাজায় ২০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। ফিলিস্তিনি ফাত্তাহ গ্রুপের সঙ্গেও লড়াই করেছে হামাস।হামাস প্রাথমিকভাবে দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়। প্রথমত, এর সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাশেম ব্রিগেডসের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়ত, ফিলিস্তিনে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা। বিশেষত ইসরায়েলি দখলদারত্বের কারণে ভুক্তভোগী ফিলিস্তিনিদের কল্যাণে কাজ করা।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর নির্ধারণ করা ফিলিস্তিন সীমান্ত মেনে নিয়েছে হামাস। তবে সংগঠনটি কখনোই স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব মানেনি। হামাস নেতা খালেদ মিশাল ২০১৭ সালে বলেছিলেন, ‘দখলদারি যত দিন ধরে চলুক না কেন, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের এক ইঞ্চি মাটিও আমরা ছাড়ব না।’
এমনকি ১৯৯০-এর দশকে ইসরায়েল ও পিএলওর মধ্যকার সমঝোতাকে নাকচ করে দিয়েছে হামাস। এ সমঝোতা অসলো শান্তি চুক্তি নামে পরিচিত। নানা সময় চালানো হামলায় ইসরায়েলি সেনা, বসতি স্থাপনকারী এবং বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের কারণে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, মিসর ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে হামাস ও এর সামরিক শাখা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে পরিচিত।হামাসের বেশ কিছু আঞ্চলিক সমর্থক রয়েছে। তারা হলো ইরান, সিরিয়া ও লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এরা সবাই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলবিরোধী হিসেবে পরিচিত। মধ্যপ্রাচ্য ও ইসরায়েল নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের নীতির বিরোধিতা করে হামাস ও তার মিত্ররা।মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্রগোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ। ইসরায়েলবিরোধী অভিন্ন মনোভাব সশস্ত্র এই সংগঠনের সঙ্গে হামাসকে কাছাকাছি এনেছে। একযোগে কার্যক্রম চালিয়েছে সংগঠন দুটি। তবে বিভিন্ন সময় ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে হামাসের সম্পর্কে ফাটল ধরতেও দেখা গেছে।হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, দশকের পর দশক ধরে চরম নৃশংসতার শিকার হয়ে আসছেন ফিলিস্তিনিরা। এর প্রতিক্রিয়ায় তাঁরা ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছেন।
খালেদ কাদোমি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান নৃশংসতা বন্ধ করবে। পবিত্র স্থান আল-আকসায় সংঘাত বন্ধ করবে। এটাই আমাদের চাওয়া। এসবই এবারের হামলার পেছনের কারণ।’
গত শনিবারের হামলাকে ‘কেবল সূচনা’ বলে উল্লেখ করেছে হামাস। সেই সঙ্গে এ লড়াইয়ে অন্য সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
_____________________________________
প্রথম আলো / গেটি
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১২
শাহ আজিজ বলেছেন: সম্ভবত এবার ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাদা ভুমি এবং ইজরায়েলএর জন্য আলাদা ভুমির ঘোষণা আসতে পারে ।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি ইডিওটিক'এর নেতার জায়গায় কি ভুল করে আধ্যাতিক নেতা লিখলেন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১০
শাহ আজিজ বলেছেন: হামাস সম্পর্কে জানার আগে ইয়াসিনকে আধ্যাত্মিক নেতাই জানতাম । ক্রমশ চেহারা উন্মোচিত হওয়ার পর এখন সে একজন দানব ।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬
স্প্যানকড বলেছেন: নতুন কিছু আসছে তবে সব নিশ্চিহ্ন হওয়ার পরে....
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১০
শাহ আজিজ বলেছেন: কি আসছে লেখা যাবে এখানে ?
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৩৭
স্প্যানকড বলেছেন: মেহেদী এবং ঈসা আ: এছাড়া কেয়ামত আসা বাকী। ভালো থাকবেন।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১২
শাহ আজিজ বলেছেন: তুমি কি মৃত মানুষদের কাউকে জীবিত ফিরে আসতে দেখেছ ?
কিয়ামত হবে নিশ্চিত তবে কবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি ।
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম যাই থাক , বর্ণ বাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল উদ্ভব হয়েছে ১৯৪৮ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ব্রিটিশ ও ইউরোপের সহযোগিতা নিয়ে। তার আগে কোন ইসরায়েল রাষ্ট্র ছিলো না, ইতিহাসে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১৬
শাহ আজিজ বলেছেন: রাষ্ট্র ছিলনা কিন্তু ইহুদি জাতি ছিল । তারা এই এলাকায় বসবাস করেছে । এখনো আরব ইহুদি আছে কথিত ফিলিস্তিনে । আমি একজন লেবানিজ ইহুদির সাথে গল্প করেছি একদা।
৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৫৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আফ্রিকায় আরেকজন দুর্ধর্ষ ইসলামী জঙ্গী ছিলো 'বেকো হারাম' নামে সে কি এখনো জীবতি আছে না ভালো হয়ে গেছে?
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: বোকো হারাম আছে এবং টুকটাক চালিয়ে যাচ্ছে আফ্রিকায় ।
৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৭
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: সোনাগাজীর টিপিক্যাল কাজ সমুহঃ
/আগাছা পরগাছার মত পোষ্ট প্রসব করা,
/যার তার ব্লগে হামলে পরে নিলর্জ্জের মত ব্যাক্তি আক্রমন করা,
/আর নিজে ব্যাক্তি আক্রমনের শিকার হওয়ার পর আক্রমন থেকে বাচতে কাপুরুষের মত অন্যদের কমেন্ট ব্যান করা,
/সর্বপোরি ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করা।
এই প্রকারের পরিবেশ দূষনকারী ব্লগে থাকলে, ব্লগ কর্তৃপক্ষকে হয়তো তাদের ওয়েব সাইটে অতিসত্তর ETP-Effluent treatment plant বসাতে হতে পারে
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০১
বাউন্ডেলে বলেছেন: সেটেলাররা সবসময় নৃশংষ হয়। অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকার সেটেলাররা আদিবাসীদের হত্যা করতে করতে বিলুপ্ত করে ফেলেছে । আল্লাহ এসব অন্যায় ও জুলুমের চরম প্রতিশোধ নেবে। এবং মানব জাতির সামনে এটা হবে একটি দৃষ্টান্ত। ইনশাল্লাহ । দিন শিষে মহান আল্লাহই বিজয়ী-ইহকাল ও পরকালে।