নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগারদের পুজোর শুভেচ্ছা ।
আর মাত্র চারদিন । তারপর দুর্গা বিসর্জন হবে ।
আমার হিন্দু সমাজের বন্ধুদের বাড়ি যেতাম , খেতাম , মণ্ডপে গিয়ে অন্যদের সাথে গল্প সল্প করা ।
এখন বন্ধুরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে , অনেকেই বারাসাতে ঘর বেধেছে । কলকাতায় এক দুজন ।
জীবনটাই এরকম , সব সময় জুড়ে বসন্ত বিরাজ করে না , এ জীবনে খরাও নামে ।
দুর্গা পুজোর শুভেচ্ছা বাংলাদেশ আর ভারতের বন্ধুদের ।
বিরিয়ানিকে শুধু মোগলাই খানা বললে ভোজনরসিক বাঙালি রে-রে করে উঠতেই পারে। কলকাতার দুর্গাপুজো যেমন বিশ্বজনীন, বিরিয়ানিও তেমনই জাত-ধর্ম নির্বিশেষে বিশ্বজনীন। খিদিরপুর অঞ্চলে ৪৫ বছরেরও বেশি পুরনো এক রেস্তোরাঁর বিরিয়ানি জিভে জল আনার মতো সুস্বাদু। হাফ ডজনের বেশি বিভিন্ন রকমারি স্বাদের বিরিয়ানি সব সময় পাওয়া যাওয়াটা এদের বিশেষত্ব। মটন, চিকেন, স্পেশ্যাল, কাচ্চি, হান্ডি- কোনটা ছেড়ে কোন বিরিয়ানিটা খাবেন! দাম সাধারণ দোকানের তুলনায় বেশি হলেও খুব কিছু বেশি নয়।
চিংড়ির মালাইকারি: বাঙালি আমিষ মেন কোর্সের একটি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পদ চিংড়ির মালাইকারি। একটু মিষ্টি স্বাদের অসামান্য মুখরোচক এক সাইড ডিশ। যেটা সাদা ভাত, পোলাও, ফ্রায়েড রাইস- তিনটে দিয়েই মেখে খেতে সমান সুস্বাদু লাগে। কলকাতায় চিংড়ির মালাইকারির অন্যতম সেরা ঠিকানা যে বাঙালি রেস্তোরাঁ, সেখানে গলদা ও বাগদা, দু'প্রকারের চিংড়ির মালাইকারি পাওয়া যায় প্রতিদিন। এঁদের বিশেষত্ব নারকেলের দুধ দিয়ে মূলতঃ চিংড়ির মালাইকারি রান্না করা
চিকেন, মটন, ফিশ, প্রন- চার রকমের কবিরাজি কাটলেট-ই দারুণ সুস্বাদু ও মুখরোচক। এবং এই চার রকমারি কবিরাজি কাটলেটের-ই বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী দোকানটি উত্তর কলকাতার পাশাপাশি এখন দক্ষিণ কলকাতায় শাখা খুলেছে। দু’টি 'আউটলেটে'ই সমান দুর্ধর্ষ স্বাদু চার রকমের কবিরাজি কাটলেট মেলে, মটন, চিকেন, মাছ ও চিংড়ির কবিরাজি কাটলেট। দাম স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন। তবে মূল রেসিপি মোটামুটি এক। কবিরাজি কাটলেট মানেই তার ওপর ডিমভাজা গুঁড়োর মুখরোচক প্রলেপ অর্থাৎ 'কোটিং'। মুচমুচে, খাস্তা!
মটন কালিয়া: হাড় সহ ৫ পিস মোটামুটি বড় সাইজের মাংস থাকে এই পদটিতে। কলকাতায় যেখানে এই বাঙালি মেনুর সাইড ডিশ সম্ভবত সবচেয়ে সুস্বাদু এবং বিখ্যাত, তারা অবশ্য এটিকে বলে থাকে মাংসের ঝোল। এবং মহাপঞ্চমী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত পুজোর ক'দিন এটা আলাদাভাবে বিক্রির ব্যবস্থাও সেখানে থাকছে না। সাধারণ সময়ে যেমনটা পাওয়া যায়।
চেলো কাবাব: বিশেষ এক ধরনের 'কম্বো ডিশ' অর্থাৎ মিশ্র খাবার। সব বয়সিদের কাছেই ভীষণ জনপ্রিয়, বিশেষ করে যারা কাবাবের ভক্ত। দুর্ধর্ষ সুস্বাদু ও মুখরোচক। মধ্যাহ্ন ভোজবা রাতের খাবার, দুয়ের পক্ষেই আদর্শ। চেলো কাবাবে থাকে সরু চালের ভাত, ২ পিস মটন শিক কাবাব, ৮ পিস রেশমি কাবাব, ১ পিস ফ্রায়েড এগ, শশা-টম্যাটোর টুকরো, টম্যাটো-চিলি শস।
মটন টিকিয়া: মটন-কে কিমা করে মাঝারি আকারের গোলাকার একেকটা পিস বানিয়ে তৈরি মশলাদার এক মোগলাই সাইড ডিশ এটা। মটন টিকিয়া প্রায় শুকনো খাবার। টিকিয়ার গায়ে মশলাদার গ্রেভি লাগানো থাকে। রুমালি রুটি দিয়ে খেতে দুর্দান্ত লাগে। হাতরুটি দিয়ে খেতেও ভালো।
মটন পসিন্দা: মোগলাই খাবারের এক দারুণ সুস্বাদু অথচ হালকা ধরনের সাইড ডিশ এটি। মটন পসিন্দা যেমন তন্দুরি ও রুমালি রুটি দিয়ে খেতে দুর্দান্ত লাগে, তেমনই বিরিয়ানির সঙ্গেও খাওয়া যায়। হালকা মশলা অথচ মুখরোচক খেতে। গা-মাখা মাখা ঘন গ্রেভিতে হাড় বিহীন খুব ছোট ছোট পিসের অসংখ্য মটন থাকে এক প্লেটে।
কচুপাতা চিংড়ি ভাপে: বাঙালি, বিশেষ করে পূর্ববঙ্গীয় একটা দারুণ সুস্বাদু তথা মুখরোচক খাবার। গরম সাদা ভাত দিয়ে খেতে অপূর্ব লাগে। মূলতঃ কুঁচো চিংড়ির সঙ্গে সরষে এবং সেদ্ধ কচুপাতার রেসিপি এটি। গা-মাখা মাখা ধরনের হয়। সাধারণ এক বাটি কচুপাতা চিংড়ি ভাপেতে ৮-১০ পিস কুঁচো চিংড়ি থাকে।
মটন রেজালা: এটা মোগলাই মেন কোর্সের একটা সাইড ডিশ। একটু মিষ্টি-মিষ্টি খেতে। এর ঝোল সাদাটে দেখতে। মাংস এতটাই নরম হয় যে, মুখে দিলে প্রায় গলে যায়। তন্দুরি রুটি দিয়ে খেতে পারেন।
আনন্দবাজার
২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬
শাহ আজিজ বলেছেন: খুলনাতে আমাদের বাড়ির পেছনেই পুজা মণ্ডপ । ঢাকাতে তা নেই । তবুও এখানে সেখানে যে মণ্ডপ আছে তার কাছ দিয়ে আসতে যেতে ছোটবেলার অনেক গল্প মনে পড়ে যায় । ধর্ম যার যার উৎসব সবার ।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৪
সোনাগাজী বলেছেন:
কিছু বুঝতেছি না, পুজার সময় কলিকাতার লোকজন এসব খায়? আমেরিকায় কলকাতার লোকেরা হাউকাউ সিংগারা, মিংগারাসহ ভেজিটেবল বিরানী খাওয়ায়।
২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
শাহ আজিজ বলেছেন: লুচি আর আলুর দম সবচে বেশী চলে । এগুলো বেশ দামী । উচ্চ বংশীয়দের বাড়িতে বেশ উপাদেয় রান্না হয় ।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
খেলাঘরের মন্তব্য পড়ে অনেক হাসলাম
বাংলাদেশে থাকতে ফ্রেন্ডস ছিলো, বৌদিরা ছিলো কত মজার মজার খাবার নাড়ু লুচি মিষ্টি, নারকেল খিচুড়ি।
ওদের রান্নার টেস্ট অন্যরকম মজা।
আর এখানে কেউ নেই
কবে পূজা পার্বণ আসে যায় জানিও না।
পুজার সময় যে ঢোল বাজায়, ওটা মজা লাগতো।
২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শাহ আজিজ বলেছেন: ঢাকাতেও সীমিত হয়ে গেছে উদযাপনের ব্যাপারটি । ঢোলের কাড়া নাকাড়া আওয়াজে আমারও শরীর এমনিতেই নেচে ওঠে ।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২৪
সোনাগাজী বলেছেন:
@মিরোরডডল,
আমেরিকায় সবচেয়ে কৃপণ হলো কলকাতার লোকজন; আমি এখনো পুজায় যাই; তবে, মুলত উৎসবের সময়টাকে অনুভব করতে; গতবার সিংগারা দিচ্ছিল এক লোক, আমি নিইনি। ভেজিটেবল বিরানীটা সাপ্লাই দিয়েছিলো একটি ভালো রেষ্টুরেন্ট, মোটামুটি।
২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:১৭
শাহ আজিজ বলেছেন:
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: আমি দিল্লি এবং বোম্বে দূর্গা পুজায় কোন হৈচৈ দেখি নাই।ওরা মনে হয় এই পূজাটা করে না।কাঁলিপূজা অনেক ঝাঁকঝমকের সাথে করে।কলকাতায় দূর্গাপূজা দেখেছি অনেকবার।অনেক টাকা খরচ করে মন্ডপ বানায়।দূর্গা মূর্তি বানায় দেখার মতো।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: দুর্গাপুজা পশ্চিমবঙ্গে হয় । ওদিকে কালিপুজার চল বেশী ।
৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০১
কামাল১৮ বলেছেন: কানাডায় আমি যে বয়স্ক ক্লাবের সদস্য এখানে ৭০/৮০ জন হিন্দু আছে। একমাত্র আমি বাঙ্গালী এবং মুসলমান।এরা কালী পূজা সহ ভারতের অনেক কালচার ফলো করে।সপ্তায় একদিন পাঁচ ঘন্টা।হালকা নাস্তা দুপুরের খাওয়া,নাচ গান,তাস পাশা ইত্যাদি।গূর্গাপূজা হয় না।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩০
শাহ আজিজ বলেছেন: ভালইতো । সময়টা ভালই কাটে আপনার ।
৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: খাবের ছবি গুলো দিয়ে মাথা আইলায়ে দিলেন।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: মাটন কালিয়া দেখে মাথাটা খারাপ হয়ে গেল । আহা !!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশে দূর্গা পূজা মানের অন্য রকম আমেজ ও আনন্দ। আমার ঘরের কাছেই জেলেপাড়া, আমরা গিয়ে মন্ডপ দেখে আসতাম। বোয়াল খালিতে এক দূর্গাপূজায় বেড়াতে গিয়েছিলাম বন্ধুর বন্ধুর বাড়িতে, রাতে থেকে পরের দিন ঘরে ফেরা, রাতে সাংস্কৃতিক আয়োজন হয়। কলাকাতায় দেখেছি দূর্গাপূজা। একটা একটা গেইট আলিশান কারবার। ওদের প্রতিযোগিতা চলে মন্ডপ ও গেইট কতো সুন্দর করা যায়।