নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশুটির তিন কুলে আর কেউ বেচে নেই । সবাই মারা গেছে কাল রাতে ইজরায়েলি বিমানের বোমায় । কেউ আসেনি এই ফুটফুটে শিশুটির খোজ নিতে । অবশেষে ঠাই এই মুরগির বাচ্চা রাখা এই বাক্সটাতে । বাচ্চাগুলো অক্ষত , বাক্সটিও অক্ষত । দালান ভেঙ্গে মায়ের ওপর পড়ে মাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে । ফাক ফোকড় দিয়ে বেরুনোর আগে মায়ের পা ধরে ডেকেছে , কেদেছে কিন্তু চুপ হয়ে যাওয়া মা আর সাড়া দেয়নি । ভাঙ্গা দেওয়ালের ফাকা দিয়ে দেখে চারিদিকে শুধু ধ্বংস হয়ে যাওয়া দালান । শিশু ইয়ামনা যেখানে খেলত সে জায়গাটুকু ইট পাথর আর বালিতে ভর্তি । তার সাথীরা কে কোথায় সে জানে না , জানেনা আর কখনো খেলতে পারবে কিনা । অতঃপর বাক্সটির মধ্যেই ঘুমিয়ে গেল ইয়ামনা । তার চারপাশে আধোঘুমের মুরগির বাচ্চাগুলো ঝিমুচ্ছে । একটা কম্বলের দরকার ছিল বড় ----------।
ইয়ামনা ঘুমিয়ে গেল অচিরেই ।
গাধার শকটের ওপর শিশুদের লাশ নিয়ে ইমাম যাচ্ছে দাফন করতে । ইসরায়েলি বিমানের বোমায় মারা গেছে ওরা । উল্টো পথে আসছিল শিশুদের জন্য গাড়ি ভর্তি গিফট নিয়ে সান্টা ক্লস বুড়ো । সে খুব আশ্চর্য হচ্ছিল গাজায় কোন শিশু নেই ছুটে এসে উপহার হাতে নিয়ে আনন্দে গদ গদ হয়ে হাগ দেবে বুড়োকে । সান্টা বুড়োকে টেনে নিয়ে যাওয়া হরিণটিও বেশ অবাক গাজার শিশুহীনতায় । সান্টা ক্লস ভাবছিল বাকি পৃথিবীর অবস্থা , কেমনে বরন হবে নতুন ২০২৪ সাল । সান্টা কেঁদে ফেলল । লাশ টেনে নিয়ে যাওয়া গাধাটি কেঁদে বলল আর কত শিশুর লাশ টানতে হবে আমায় , আমি কেন বেচে আছি ??
ছবি দুটো ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , ভাল বলেছেন বিজন ।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: গিহা থেকে মানুষ বের হয়েছে অনেক অনেক বছর আগে। মানুষ আজ সভ্য। অথচ এই জ্ঞানী মানুষ এই আধুনিক যুগে এসেও যুদ্ধ করছে। এটা দুঃখজনক। একদিন মানুষ যুদ্ধ যুদ্ধ করে, মরবে। সবাই মরবে। পৃথিবী হবে মানুষ শূন্য।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫
শাহ আজিজ বলেছেন: অতি সত্য কথন ।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
শায়মা বলেছেন: কি কষ্টের ছবিগুলো!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: মেয়েটি বেড়ে উঠবে একা একা , কি কষ্টের তাইনা ??
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: এই বিশ্বে আরো বহু বছর অনন্দ আর দুঃখ পাশাপাশি থাকবে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
শাহ আজিজ বলেছেন: পৃথিবীতে স্থায়ী শান্তি কখনই ছিল না এবং থাকবেও না ।
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
কালো যাদুকর বলেছেন: এই ছবি ও কথা বড় কস্টের। এর শেষ হবে তখনই, যখন মানুষ মারার জন্য একটি অস্ত্রও আর থাকবে না, অথবা-একজন মানুষও আর বেচেঁ থাকবে না পৃথিবীতে কোন অস্ত্র চালানোর জন্য।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
শাহ আজিজ বলেছেন: বরং অস্ত্র উৎপাদন আরও বেড়ে যাবে ।
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫
প্রামানিক বলেছেন: করুণ কাহিনী
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: পৃথিবীর সবচে দুঃখের কাহিনী ।
৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: উত্তম
৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৪
কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের দ্বারা সৃষ্ট দুঃখ থেকে মানুষ মুক্তি পেতে পারে।এটা কি পারে না বলে আপনার মনে হয়।আধিম সাম্য ব্যবস্থায় এটা ছিলো।আবার হওয়া সম্ভব।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার কেন জানি ঘোরতর সন্দেহ এই সুখ প্রাপ্তি নিয়ে । এই পৃথিবী কখনই এককভাবে শান্তির ছায়ায় ছিল না বলেই জানি । আদিম ব্যাবস্থা একটা ধারনা মাত্র ।
৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০০
কামাল১৮ বলেছেন: কৃষি বিপ্লবের আগে এই ব্যবস্থা ছিলো।কৃষি বিপ্লবের আগে মানুষের প্রধান এবং একমাত্র কাজ ছিলো পশু শিকার করা এবং সেটা খেয়ে শেষ করা।বড়জোর দুই তিনদিন রাখা যেতো।যেটা এখনো শিকারী পশুরা করে।দর্গম এলাকায় মানুষ এখনো তাই করে।আগন্তুক সিনেমায় সত্যজিৎ গল্পের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেছেন।
কৃষি বিপ্লবের পর মানুষ তার উৎপাদিত ফসল খেয়ে শেষ করতে পারতো না।গোলায় বা অন্য কোথাও রক্ষা করতো।শুরু হলো সম্পদ সৃষ্টি।তার পর শুরু হলে এই সম্পদ কেড়ে নেবার চেষ্টা যেটা এখনো চলছে।আদিম সাম্যবাদ ধারনা না বস্তবে ছিলো।
সেটা কি আবার সম্ভব।ঠিক আগের মতো সম্ভব না।নতুন ভাবে সম্ভব।সেটার প্বপ্ন দেখে কিছু লোক।সম্পদ আছে এবং সম্পদ নাই বিশ্ব আর দুই ভাগে বিভক্ত।এদের মাঝে সংগ্রাম চলছে।আপনিও ভালো বোঝেন। তবে ব্যর্থতাই বেশি দেখেন।আশার আলো খুব কম।তাই আমরা হতাশ হয়ে যাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬
বিজন রয় বলেছেন: করুণ আর নিদারুণ!!