নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লন্ডনে ‘বিনা মূল্যে ফ্ল্যাট’ ও বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক চাপে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির আর্থিক সেবাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। ইতোমধ্যে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্তও হয়েছে। এ ছাড়া টিউলিপ নিজেও তার বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস এই তদন্ত চলার মধ্যে সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব থেকে টিউলিপকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। রুপার্ট মারডকের মালিকানায় থাকা ব্রিটিশ সংবাদপত্রটির সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপ সিদ্দিক আর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন না।
এ ছাড়া টিউলিপকে এ দায়িত্বের জন্য বেছে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনাও করা হয়েছে সম্পাদকীয়তে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দ্য টাইমস লিখেছে, এমন প্রেক্ষাপটে লেবার পার্টির সিটি মিনিস্টার হিসেবে টিউলিপকে বাছাই করাই ‘স্বচ্ছ ছিল না’। টিউলিপ এ পদের জন্য একমাত্র বিকল্প ছিলেন না।
টিউলিপকে এ দায়িত্বের জন্য বেছে নেওয়ার সমালোচনা করে সম্পাদকীয়তে আরও লেখা হয়েছে, স্যার কিয়ার স্টারমার তার উত্তর লন্ডনের প্রতিবেশীদের রাজনৈতিক সুক্ষ্মদর্শিতা ও যোগ্যতা যাই হোক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে তাদের বসিয়ে রেকর্ড করেছেন।
দ্য টাইমস তাদের সম্পাদকীয়তে আরও লিখেছে, যাই হোক যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবা খাতের দায়িত্বে টিউলিপকে বসানোর সিদ্ধান্ত কতটা অবিবেচনাপ্রসূত ছিল, তা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সামনে আসা অনেক প্রাসঙ্গিক কারণগুলোতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। টিউলিপের বিরুদ্ধে তার খালা, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের ব্যাপারে অনেকগুলো অভিযোগ সামনে এসেছে। তদন্ত কর্মকর্তা টিউলিপের আবাসন বা ‘উপহারের ফ্ল্যাট’ এবং এর সঙ্গে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগসূত্র খুঁজবেন। তদন্ত চলাকালে তার সরে দাঁড়ানোই উচিত হবে। তবে তদন্তে যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন তাকে সরকারে ফিরিয়ে আনার পথ খুলে যাবে।
টাইমস
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৩১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
টিউলিপের পরিবার ওই দেশেই থাকে। ওই দেশেরই নাগরিক।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বহু বছর হাসিনা রেহানা দেশে ফিরতে পারেন নি, এদের পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়ে বিদেশে থাকতে হয়েছে
তবে এরা তারেকের মতো বকলম না, বসে বসে খায় নি। লেখাপড়া করেছে, এরপর একটা অবস্থান তৈরি করেছে
এদের কেউ একসময় কাউন্সিলর ছিল। এরপর এমপি হইছে। এখন মন্ত্রী।
এদের বাড়িঘর থাকবে নাকি তারেকের বাড়ি ঘর থাকবে?
উন্নত দেশে বাড়ীর মালিক হতে হলে কোন টাকাই দিতে হয় না। শুধু থাকার বৈধতার কাগজ, আর মাথলি একটা ইনকাম সোর্স যা দিয়ে বাড়ীর কিস্তি মেটাতে সক্ষমতা দেখলেই ব্যাঙ্ক বিনা দিধায় বাড়ী কেনার অনুমতি দিয়ে দেয়। একজন বাংগালী ট্যাক্সিচালক ৫ বছর ট্যাক্সি চালিয়ে ২ বাড়ীর মালিক হয়েছে এমন উদাহরন অনেক দেখানো যায়, সেখানে টিউলিপের মত অভিযাত পরিবারের বাড়ী থাকা নিয়ে বিস্মিত হওয়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হনন করার চেষ্টা বলা যায়।
মানি লন্ডারিং আইন কঠিনভাবে চালু হওয়ার পর ইংল্যান্ডের মত জায়গায় দুর্নীতি করা দুর্নীতির টাকা নিয়ে আসা অনেক কঠিন প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার।
আর টিউলিপকে যেই সময় বাড়ীটা দেয়া হয়েছিল সেই সময়টা টিউলিপ ছিল একজন টিনএজ স্টুডেন্ট মাত্র।
প্রকৃতই কোন অনিয়ম হলে যুক্তরাজ্যের আয়কর বিভাগ এতদিনে ধরে শাস্তি দিত।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:৩১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: মনে হয় পেছনে কেউ আছে দুর্নাম দেয়ার জন্য বা ডোবানর জন্য।