নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন শিকার এবং

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮




রাতের অন্ধকারে গহিন বন থেকে অবৈধভাবে হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে ফিরছিল শিকারির দল। সুন্দরবনের খাল ধরে তাদের নৌকা এগোচ্ছিল লোকালয়ের দিকে। এমন সময় সেখানে হাজির হন সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের বনরক্ষীরা। তাঁদের দেখে নৌকার মধ্যে মাংসের বস্তা ফেলে পালিয়ে যায় হরিণশিকারিরা। পরে ওই নৌকা থেকে তিনটি বস্তায় থাকা ৮০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়। গতকাল বুধবার রাতে সুন্দরবনের সত্যপীরের খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।সকালে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া হরিণের মাংস আদালতে আনা হয়েছে। আদালত ভবনের পেছনে গর্ত খুঁড়ছেন এক ব্যক্তি। পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন বনকর্মী। তাঁরা জানালেন আদালতের নির্দেশে হরিণের মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে।আমরা শাকবাড়িয়া নদী পেরিয়ে সুন্দরবনের সত্যপীরের খাল এলাকায় পৌঁছে একটি নৌকা দেখতে পাই। রাতের অন্ধকারে আবছা দেখতে পাই, দুজন নৌকায় বসে বইঠা বাইছে। আর কয়েকজন বসে আছে নৌকার পাটাতনে। তাদের নৌকার কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই আমাদের দেখে নৌকা ফেলে কয়েকজন গহিন বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। আমরা তাদের পিছু নিলে তারা ঘন জঙ্গলে ঢুকে যায়। এ কারণে কাউকে আটক করতে পারিনি। পালিয়ে যাওয়া শিকারিদের কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাদের বাড়ি কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রা গ্রামে।’

হরিণ শিকারের জন্য কারাগারে যাওয়া কয়রার মহেশ্বরীপুর এলাকার এক শিকারি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বনের যেদিকে কেওড়াগাছ বেশি, সেখানে হরিণের বিচরণ বেশি। সেসব এলাকায় ডোয়া (ফাঁদ) পেতে হরিণ ধরা হয়। তিনি বলেন, ফাঁদে বন্য শূকর আটকা পড়লেও হরিণের মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি হয়।

এটাই ছিল হরিন শিকার গল্পের চুম্বকাংশ ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এদের প্রতিহত করা না গেলে বন এর সৌন্দর্য হারাবে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫

শাহ আজিজ বলেছেন: বনে গাছ কাটা হচ্ছে অহরহ । এর সাথে বন বিভাগের লোকেরা জড়িত । বনের উপর নির্ভরশীলতা বন্ধ করতে হবে ।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: কয়েকদিন আগে সুন্দরবন থেকে আসলাম। হরিণ দেখলাম, স্পর্শ করলাম, খাওয়ালাম। শুকরও দেখছি। ওখানকার মানুষ বন্যপ্রানীকে ভালোবাসে। কিছু হারামজাদা আছে, এসব করে। তাদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: কোথায় ? করমজলে ?

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ফাঁদে বন্য শূকর আটকা পড়লেও হরিণের মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি হয়। - খুলনায় মাঝে মধ্যে একদম কম বয়সী গরুর গোস্তকে হরিনের গোস হিসাবে বিক্রি করা হয়। একবার দেখেছিলাম ময়লাপোতায় এক গোস্ত বিক্রেতাকে লোকজন রাম ধোলাই দিচ্ছে।

আবার শুনেছি কেউ কেউ কুকুরের মাংসকেও হরিনের মাংস বলে বিক্রি করে! কিয়েক্টাবস্থা!

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫০

শাহ আজিজ বলেছেন: সুযোগ সন্ধানী সবখানে ।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০১

অগ্নিবাবা বলেছেন: গরু,মহিষ,হাংগর,কুমির,হরিন,ব্যাং,চ্যাং অনেক কিছুই চেখে দেখেছি, সবচেয়ে মজাদার হল দেশী কালো শুকর, খ্রিষ্টান পাড়ায় পাওয়া যায়, এগুলো শুনেছি মাঠে ঘাটে কচু ঘেচুর সাথে গু মুতও ভক্ষন করে থাকে। শোনা কথায় কান দিতে নাই, আর একটু আধটু গু মুত খেলেই বা কি? ইলিশ মাছেও নাকি ঠুকরে ঠুকরে খায়। আগে ২০টাকায় কেজি বিক্রি হত, এখনতো কলিকাল, ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে লুকিয়ে চুরিয়ে ওল্ড মঙ্কের সাথে বদ্দি কষা খায়, তাতেই কেজি নাকি ৫০০টাকা, মাথায় হাত। সস্তায় মাংস খাওয়ার জন্য ধর্মের দরকার আছে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল বলেছেন । ;)

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, হরিণ স্পর্শ করেছি করমজলে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম আমিও তাই ভাবছিলাম ।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:২৫

আদিত্য ০১ বলেছেন: হরিণ মাংশ খেতে গিয়েও শুকরের মাংশ খায়, নাহ চোরেরা আর ভালো হইলো, যারা খাচ্ছে তাদের কষ্টটা দেখে না কেউ

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: হা হা হা :) , কোনই কষ্ট নেই বরং বেশ মজার ।

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দরবন থেকে শুধু হরিন নয়, মধু, মাছ, গাছ ইত্যাদি সব কিছু চুরী করা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১২

শাহ আজিজ বলেছেন: মধু , মাছ , গোলপাতার জন্য টাকা দিয়ে পাশ দেওয়া হয় । জঙ্গলের জন্য পাশ লাগে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.