নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সুনিতা উইলিয়ামস: মহাকাশ অনুসন্ধানে অনুপ্রেরণার যাত্রা

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮




সুনিতা উইলিয়ামস: মানুষ জন্মগতভাবেই কৌতূহলী। সব সময় নতুন কিছু খুঁজে বের করতে চায়। আমাদের সবার মধ্যে কৌতুহল আছে। হয়তো সমাজের চাপে আর চারপাশের নানা কারণে সেটা কিছুটা চাপা পড়ে যায়। কিন্তু আমরা সবাই কৌতূহলী এবং নতুন কিছু জানতে চাই। মহাকাশ এমন একটা জিনিস, যা মানুষকে আশার আলো দেখায়। নিজেদের চেয়ে বড় কিছু ভাবতে ও বুঝতে শেখায়।

সুনিতা উইলিয়ামস: আমি মনে করি, আমরা জানতে চাই মহাবিশ্বে আমাদের স্থান কোথায়। পৃথিবীতে থাকতে আমরা শুধু নিজেদের কাজ আর ছোটখাটো জিনিস নিয়েই ব্যস্ত থাকি। কিন্তু মহাকাশে গেলে বোঝা যায়, পৃথিবীটা একটা ছোট্ট দ্বীপের মতো। মহাকাশে আমাদের ভাবনা গভীর হয়, মনে অনেক দার্শনিক প্রশ্ন জাগে—আমাদের উদ্দেশ্য কী? এই পৃথিবীতে আমাদের ভবিষ্যৎ কী?

সুনিতা উইলিয়ামস: যদি আমরা মঙ্গলে যেতে পারি, তাহলে হয়তো জানতে পারব ভবিষ্যতে আমাদের পৃথিবীর কী হবে। পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখতে কী করা দরকার, সে বিষয়ে হয়তো নতুন ধারণা পেতে পারি। মঙ্গল পর্যন্ত যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

সুনিতা উইলিয়ামস: আমি জানি না, আমরা কীভাবে মঙ্গলে যাব। কেউই হয়তো এখনো পুরোপুরি জানে না। কিন্তু চাঁদে স্থায়ীভাবে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে করতে আমরা অনেক কিছু শিখব। ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রযুক্তি, এমনকি মানুষ হিসেবে আমরা কীভাবে সমস্যা মোকাবেলা করি, ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে মহাকাশে যাওয়ার সময় আমরা কীভাবে সমস্যার মুখোমুখি হই, তাও শিখব।

সুনিতা উইলিয়ামস: চাঁদ থেকে মঙ্গল যাওয়াই আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। আমরা স্থায়ীভাবে চাঁদে ফিরে যেতে চাই। মানে সেখানে আমাদের একটা অবতরণকারী যান থাকতে হবে। সম্ভবত আমাদের একটা মহাকাশ স্টেশনও দরকার হবে। আমরা গেটওয়ে তৈরি করছি। সেটা চাঁদ এবং চাঁদ থেকে দূরে যাওয়ার একটা ঘাঁটি হবে। সেখানে আমরা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করব। ল্যান্ডার আর মহাকাশযানের কথা ভাবলে একটু সায়েন্স ফিকশনের মতো মনে হয়। পাগলামিও মনে হতে পারে। কিন্তু আমি যখন নাসায় যোগ দিই, তখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনও একটা পাগলাটে ধারণা ছিল। আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। তাই মানুষ যা ভাবতে পারে, তা করতেও পারে।

সুনিতা উইলিয়ামস: হ্যাঁ, আমরা মহাকাশ থেকে সুস্থভাবে ফিরে এসেছি ঠিকই, কিন্তু দীর্ঘদিন কেউ মহাকাশে থাকলে কী হয়, সেটা জানতেই হবে। চাঁদ খুব বেশি দূরে নয়, তাও সেই মিশন কয়েক সপ্তাহ দীর্ঘ হয়। নভোচারীরা এই পুরো সময়টা মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে থাকে। মঙ্গলযাত্রা অনেক দীর্ঘ, ওখানে অনেক দিন থাকতে হবে। মঙ্গলে পৃথিবীর মতো মাধ্যাকর্ষণও থাকবে না। তাই আমাদের এখনো অনেক কিছু শিখতে হবে।







রহস্যময় দুনিয়া

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮

অগ্নিবাবা বলেছেন: মুমিনের লক্ষ্য বেহস্তে যাওয়া। সেখান থেকে কেউ আর ফিরে আসে না, তারা হুরদের ব্লাকহোলে হারিয়ে যায়।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০

শাহ আজিজ বলেছেন: হুরদের পিঙ্ক হোল হয় ।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

যামিনী সুধা বলেছেন:



মংগলের মতো আমাদের গ্রহ থেকেও পানি হারিয়ে যাবে; অবশ্য মানব জাতি তা দেখার সুযোগ পাবে না; তার অনেক আগেই মানব জাতি নিশ্ছিহ্ন হয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.