![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত মাসে ভারতের আহমেদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিমানটি উড্ডয়নের তিন সেকেন্ড পরেই ইঞ্জিনের জ্বালানি সুইচগুলো প্রায় একইসঙ্গে ‘চালু’ অবস্থা থেকে ‘বন্ধ’ অবস্থায় চলে যায়। ফলে ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। গত ১২ জুন আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ১৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি উড্ডয়নের কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই দুটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এক সেকেন্ডের ব্যবধানে পরপর বন্ধ হয়ে যায় ১ ও ২ নম্বর ইঞ্জিন।
তদন্তকারীদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হওয়ার কারণে বোয়িং–৭৮৭ ড্রিমলাইনারটির গতি দ্রুত কমতে শুরু করে এবং নিচের দিকে নামতে থাকে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে একজন পাইলটকে অপর পাইলটকে জিজ্ঞেস করতে শোনা যায়, তিনি কেন জ্বালানি বন্ধ করেছেন। জবাবে ‘অপর পাইলট বলেন, তিনি জ্বালানি বন্ধ করেননি।’
এসব কথা ক্যাপ্টেন, না কি ফার্স্ট অফিসার বলেছিলেন প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া দুর্ঘটনার আগে, ঠিক কোন পাইলট ‘মে ডে’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন, সেটিও স্পষ্ট করা হয়নি প্রতিবেদনে। লন্ডনগামী ফ্লাইটটি কীভাবে ‘কাটঅফ’ অবস্থানে চলে গেল তা–ও বলা হয়নি।
মার্কিন উড়োজাহাজ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জন কক্স বলেন, একটি পাইলটের পক্ষে ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহকারী এই সুইচগুলো ভুল করে নাড়ানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘একটু নড়াচড়া করলেই সুইচগুলো সরে যায়—এমন নয়।’ ‘কাটঅফ’ অবস্থানে সুইচ চলে গেলে ইঞ্জিন প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত একটি উড়োজাহাজ গন্তব্যের বিমানবন্দরের ফটকের সামনে থামলে এটি ব্যবহার করা হয়। অথবা ইঞ্জিনে আগুন লাগার মতো বিশেষ পরিস্থিতি দেখা দিলে। তবে ওই ফ্লাইটে এমন কোনো জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল কী না, প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়নি।
গত ১২ জুন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বিমানটি। ওই বিমান দুর্ঘটনায় ২৬০ জন নিহত হন।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:১২
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: জ্বালানী বন্ধ হওয়ার ব্যাপার টা জানলাম ।