![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অশান্ত বাংলাদেশ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সভাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার গোপালগঞ্জ। আওয়ামি লিগের গড়ে পথসভা করতে গিয়েছিল এনসিপি। বুধবারের ওই সভা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এনসিপি নেতারা। ‘মুজিববাদকে কবর’ দেওয়ার স্লোগানও তোলে। এরপরেই এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে।
সাধারণ মানুষের একাংশ তেড়ে গিয়ে ভণ্ডুল করে দেন ওই সভা। তারপর থেকে প্রবল অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আওয়ামি লিগের ও ছাত্র লিগের কর্মীদের উপর হামলা করেছে খোদ সেনা ও পুলিশ, অভিযোগ এমনটাই। সেনা ও পুলিশের গুলিতে অন্তত চারজন মারা গিয়েছেন।
আওয়ামি লিগের দাবি, মৃতের সংখ্যা অন্তত সাত, জখমও হয়েছেন বহু। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ করেছেন আওয়ামি লিগের সভাপতি শেখ হাসিনা। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। সেখানে সাধারণ মানুষের উপর সেনা ও পুলিশের অত্যাচারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তার সঙ্গেই ইউনূস সরকারের পতন ঘটাতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার ডাকও দিয়েছেন।শেখ হাসিনা তোপ দেগেছেন এনসিপির বিরুদ্ধেও। গোপালগঞ্জে যা ঘটেছে তার জন্য এনসিপি-ই দায়ী বলে অভিযোগ তাঁর। বুধবার শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জীবনে শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। এনসিপির চাঁদাবাজি, মাস্তানির জন্য মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এনসিপির কারণেই গোপালগঞ্জে সাতটা প্রাণ ঝরে গেল…অথচ দোষ সব ছাত্র লিগের উপর দেওয়া হচ্ছে।’
হাসিনার নিশানায় এসেছে সেনাও। তাঁর আমলে তিনি কী কী করেছেন, সেই বিষয়টি মনে করিয়ে তাঁর তোপ, ‘এই সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া। ভাত পেত না, রুটি-ডাল খেতে হতো। আমি আসার পরে সেই ব্যবস্থা করি। বেতন বৃদ্ধি করেছি, প্রোমোশনের ব্যবস্থা করেছি। আর এখন এই সেনা দেশের মানুষের সঙ্গে যা আচরণ করেছে, সেটা একাত্তর সালে পাক সেনা বাহিনী করেছিল।’ইউনূস সরকার ক্ষমতায় এসে ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আওয়ামি লিগের রেজিস্ট্রেশন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাও করেছে। এমনকী আওয়ামি লিগের দলীয় প্রতীক কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনাও করছে বলে অভিযোগ। এর মাধ্যমে আওয়ামি লিগের ভোটে লড়ার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার মতো অগণতান্ত্রিক কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হাসিনা।
গোপালগঞ্জের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে, দেশবাসীর জন্য বড় বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাঁরা গণতন্ত্র ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করে। প্রত্যেককে অনুরোধ করব এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য।’ ইউনূস সরকারকে জঙ্গি তকমা দিয়ে, সেই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ডাক দিয়েছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে হাসিনার বার্তা, ‘ইউনূসের হাত থেকে দেশের মানুষকে, নারীকে, শিশুকে রক্ষা করুন…এখন ঘরে বসে থাকার সময় নেই। হাতে যা আছে, তা নিয়ে পথে নামতে হবে।’ সূত্র : এই সময়
১৮ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার একটু আছে --------- দেখি কি করে বেটি -------
২| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
কাঁউটাল বলেছেন: মাঝখান থেকে হাউয়ামী লীগ আরও মাইর খাবে।
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: জনগনের ডাক শুনতে হবে।জনগন কি চায়।জনগন যা চাইবে তাই হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনার ডাক নিয়ে কারো হেডেক নাই।