![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে গত সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি যখন আছড়ে পড়ে, তখন একটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আটকা পড়েন শিক্ষক পূর্ণিমা দাস। পরে অবশ্য অক্ষত অবস্থায় তারা সবাই ফিরে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এই শিক্ষিকা দুই হাত জোর করে ভুল তথ্য না ছড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
পোস্টে পূর্ণিমা দাস লিখেছেন, ‘আমি মাইলস্টোনের হায়দার আলী ভবনের একজন শিক্ষিকা। আপনাদেরকে দুই হাত জোর করে বলছি, ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আমিও আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছিলাম, আমার চেয়ে বেশি আপনারা ফেসবুকবাসী জানবেন না, তাই না?’
তিনি লিখেছেন, ‘স্কুল ছুটি হয় দুপুর ১টায়, আমি ঠিক তার এক থেকে দুই মিনিটে স্কাই সেকশনে ঢুকে দেখি ওখানে শুধু একটা বাচ্চা দাঁড়ানো। কেউ ছিল না, সবাই চলে গেছিল। আপনারা জানেন না, ছুটির সময় হলে বাচ্চারা তিন-চার মিনিট আগে থেকেই কিভাবে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাসায় যাওয়ার জন্য এবং আমি চলে আসার পর অভিভাবক আসেনি বলে আবার স্কাইয়ে কিছু বাচ্চা ঢুকেছিল, তাদেরকেও আমাদের আরেকজন টিচার ক্লাস থেকে নিয়ে অন্য সেকশনে বসায়।’
‘এরপরেও আবার কয়েকজন (৫-৬ জন) ঢুকেছিল, তাদেরকেই আমরা হারিয়ে ফেলেছি। বা যারা করিডোরে, দোলনায় খেলছিল বা সিঁড়িঘরে ছোটাছুটি করছিল। বা ওই মুহূর্তে ওই জায়গায় কাকতালীয়ভাবে ছিল’, যোগ করেন এই শিক্ষক।
তিনি লেখেন, ‘এরপর আসেন #cloud এ, ওখানে বাচ্চার সংখ্যা (৮-১০) স্কাইয়ের চেয়ে বেশি ছিল। আমার ধারণা মাহরিন মিস, মাসুকা মিস ও মাহ্ফুজা মিস ওখান থেকেই বাচ্চা বের করার চেষ্টা করছিল। এবং তাদের বের করতে করতে নিজেরা ঝলসে যায়। যার মধ্যে মাহরিন মিস এবং মাসুকা মিসকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। মাহফুজা মিসের অবস্থা এখন গুরুতর, উনি লাইফ সাপোর্টে আছেন। উনার জন্য আপনারা দোয়া করবেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘cloud এর পাশের রুম #mayna এখানে কিছু বাচ্চা ইনজিউরড, কেউ মারা যায়নি। mayna এর পাশে #doyel এই ক্লাসের একটা বাচ্চা আর নেই। doyel এর পাশে #tuberose এবং #waterlily এখানেও সবাই সেফ আছে।’
পূর্ণিমা দাস লেখেন, ‘দ্বিতীয় তলার বাচ্চাদেরও ঘটনা একই। দুইটা ক্লাসরুম এবং একটা টিচার্স রুম পুড়েছে। ওখানেও ১৫-২০ জন ছিল। হায়দার আলী ভবনের মুখে, দোলনায় এবং করিডোরের হাঁটাহাঁটি করা বাচ্চার সংখ্যা এভাবে বলতে পারা যায় না। অনুমানও করা কঠিন। তার মধ্যে অনেকের শরীর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে যে লাশগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে আছে ওখানকার আয়ারাও।’
‘তাই ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আপনারা যত মৃতের সংখ্যা বলছেন, সেটা একেবারে সম্ভব না। তার মধ্যে আমরা যারা দুই কর্নারে ছিলাম, তারা তো অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছি’, যোগ করেন এই শিক্ষিকা।
তিনি বলেন, ‘আর লাশ গুম করার কথা যারা বললেন, আপনাদের কতখানি মাথায় সমস্যা আমার জানা নেই। কারণ একটা বাচ্চা যাকে আমরা বাঁচাতে পারিনি, তার লাশটাতো অন্তত আমরা তার বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছানোর সর্বাত্মক চেষ্টাটা করব। তাই না? আমরা টিচার, রাজনীতিবিদ নই।’
পূর্ণিমা দাস লেখেন, ‘আপনাদের কোনো ধারণা নেই এই শিক্ষক শিক্ষিকাগুলো কিভাবে বাচ্চাদেরকে সারাদিন আগলে রাখে। ছুটি হওয়ার সময় মাহরিন মিস গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিদিন বাচ্চাদেরকে অভিভাবকদের হাতে বুঝিয়ে দেয়। যতক্ষণ একটা বাচ্চারও অভিভাবক থাকে, উনি গেট থেকে নড়েন না। তাই হাত জোর করে বলছি, ভুল তথ্য ছড়াবেন না। মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলবেন না।’
সবশেষে এই শিক্ষিকা লিখেছেন, ‘নিহতের সংখ্যা সামনে বাড়বে, আপনাদের বাড়াতে হবে না। আসেন আমরা প্রার্থনা করি প্রতিটা ফুলের জন্য যারা অকালে ঝরে গেল। আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকা, স্টাফ আর ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর জন্য আসেন আজ প্রার্থনা করি।’
এফএস
২৪ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি প্রথম বেশ ধাক্কা খেয়েছি এই বিবিধ আচরনে । । পরে চুপ করে সবার দেওয়া মেসেজ দেখতে থাকলাম । এমনকি প্লেনের মডেল পর্যন্ত চেঞ্জ করে ফেলেছে ।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৪২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মেইন স্ট্রীম মিডিয়া ছাড়া অন্যান্য মিডিয়া থেকে কোন তথ্য নেই নাই।
সবচেয়ে খারাপ লেগেছে যখন দেখেছি - একটা পোড়া বাচ্চা দৌড়ে যাচ্ছে আর তার পিছু পিছু ক্যামেরা ছুটছে। এই দৃশ্য দেখে বুঝেছি, আমাদের দেশের কিছু মানুষ বখে চলে গিয়েছেন।
২৪ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ক্যামেরা প্রিয় বাঙ্গাল খুব নিয়েছে এক হাত ।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯
গণথদঢ়ফীৎঢ বলেছেন: Reading this tragic account is heartbreaking. Misinformation only adds to the pain. Let's focus on supporting the families and community during this difficult time. It's crucial to respect the accuracy of information shared, especially when dealing with such sensitive events. Instead of spreading rumors, perhaps we can find solace in simple io games as a brief distraction. Let's remember those affected and honor their memories with empathy. https://iogamesonl.com/
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ফালতু মিডিয়া এবং ইউটুবারদের কান টেনে ছিড়ে ফেলা দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ১০০ জন ১০০ মিডিয়ায় কথা বলে সরকারের বারোটা বাজিয়েছে।