![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব ভাল একটা ছেলে। আমার সবচেয়ে ভাল দিক হল, কথাটা আমি বিশ্বাস করি ! :) ব্লগের বাইরে যোগাযোগে: [email protected]
(সারা রাত জাগা হাসনাহেনা'র ভেজা গন্ধ এ কাব্য জুড়ে)
কোনও এক সাঁঝে, তোমাদের মাঝে - যেতে চাও কেউ গাঁয়ে?
গোধুলীর শেষে রাত নেমে আসে যেথা গুটি গুটি পায়ে,
চাঁদ উঠে আসে মেঘের ওপাশে, মেঘ ভেসে যায় দূরে
লক্ষ হীরা জ্বলে ওঠে নীল আকাশের বুক জুড়ে।
নীলচে আলোর মায়ায় ভরা নক্ষত্রের রাতে
পাড়াময় যেন রূপালী জোছনা ছায়ার খেলায় মাতে
গাছের ছায়া, পাতার ছায়া - কালচে নীলাভ ছায়ায়
কুটিরখানিরে রেখেছে যে ঘিরে, কোন সে অবুঝ মায়ায় !
সেই ছোট নীড়ে, পর্ণ কুটিরে, এইটুকু আঙিনায়
রাজপুত্তুর-রাজকন্যা'রা প্রতিদিন আসে যায় !
দাদীমা'র পাশে, গোল হয়ে বসে, শিশুরা সেসব শুনে
রাজপুত্তুর এক কোপে ক'টা রাক্ষস মারে গুনে;
দুনিয়ার যত রাজা - সব ছিল দাদীমা'র পরিচিত
একটা সোনার মোহর-ও যদি বোকা দাদী চেয়ে নিত !
আর এক পাশে, সারি বেধে বসে, যতেক ছেলের দল
বই-খাতা খুলে, একই সুরে তুলে পাড়াময় সোরগোল,
হ্যারিকেন আর পিদিমের সাথে জ্ঞানের আলো এসে মেশে
গড়ছে তাদের, ভাবী মুখ যারা - এ গাঁয়ের, এই দেশের।
দেউরি'র কাছে, পাটি পাতা আছে, সেথা অভ্যাসবশে
তামুক-ছিলিম সাজায়ে পাড়ার মর্দ্দ'রা সব বসে
ছোট কুপি নিয়ে, পুঁথি উল্টিয়ে পড়ে কোনও বিদ্বান
তার চারপাশে, গভীর আবেশে, শুনে সবে সে বয়ান।
দরাজ কন্ঠ, কাঁপা কাঁপা স্বর, কাহিনী উঠেছে জমে
পিতা-পুত্রের সে কী যুদ্ধ - "সোহরাব-রোস্তমে"
হাসিয়ে-কাঁদিয়ে কাহিনী আগায় - একটানা সেই সুরে
আকুল বাতাসে মন ভেসে যায় দূর থেকে আরও দূরে
ডাব্বা-হুঁকা এক হাত থেকে আরেক হাতে ঘোরে
'গুড়ুক গুড়ুক' শব্দে বধু'র বাপজী'রে মনে পড়ে
ক্লান্ত বধু'র দুই চোখে নামে উদাস স্মৃতির ঘোর
গাঙের ওপারে ফেলে আসা তার শৈশব-কৈশোর
হাওয়া সুর তোলে পৃথিবী'র কোনও আদিরূপ শিষ-গীতে
বনফুলগুলো পড়ে যেন নুয়ে - জোনাকীর বৃষ্টিতে;
বাঁশঝাড় আর ধানক্ষেত ফেলে আরও পূবে যাও যদি
দেখবে সেথায় টলমল জলে - আমাদের ছোট নদী।
বাঁশঝাড়টা তো চিরটাকালের অলক্ষুণে ভারী
শিমুল গাছটা পেরোলেই সেথা লক্ষীপেঁচা'র বাড়ি,
বাদ দাও ওসব - এই রাত্তিরে নাম নেয়াটাও ভূল
পেঁচাও কিভাবে 'লক্ষী' হয় - তা পাইনা যে ভেবে কূল !
উত্তর কোণে, যেন এক মনে, বাঁধানো পুকুর ঘাটে
টলটলে জলে, গা ভিজাবে বলে, চাঁদ নেমে আসে পাটে
ঘাটের কিনারে, যেন অভিসারে, ছোট্ট মাছের বহর
দুষ্টুমীছলে নিতে আসে বুঝি - ডাঙা'র খবরাখবর !
একই চাঁদ তো শহরেও আসে - ফিলিপস বাতির মত
সন্ধ্যা হতেই উঠে বসে থাকে, রাতে জ্বলে অবিরত
নেমে আসতে দেখেছ কি তাকে শহুরে শপিং মলে?
যেভাবে সে আসে, গা ভিজাবে বলে, ছোট্ট পুকুর জলে?
পুকুর পেরিয়ে 'কবর' - সেথায় শুয়ে আছে চিরসুখে
গ্রামখানি গড়ে ঘুমায়েছে যারা এই গাঁয়ের-ই বুকে;
কত পিতা-মাতা, কত ভাই-বোন, কত আদরের দাদু
ঘুমায় ঘুমায় সোনার ছেলেরা, কত না বুকের যাদু!
যারা যায় তারা চলে যায়, যারা বেঁচে থাকে অবেলায়
বাকীটা জীবন, প্রতি সাঝেঁ তারা, হারায় স্মৃতির মেলায়।
থুত্থুরে বুড়ো, কাসেম খুড়ো'র মন ভরে ওঠে ব্যাথায়
তোরাব, সগীর, আলম - সবাই ঘুমায়ে রয়েছে সেথায়
সারা জীবনের সঙ্গীরা সব সুগভীর ঘুমে বুঁদ
'তাদের সবারে বেশ্ত নসিব করিও, ইয়া মা'বুদ'
রাত বেড়ে চলে, তারা'রাও জ্বলে, চাঁদ হেলে পড়ে ধীরে
বাতাসও ভাসে ফুলের সুবাসে, পুরো গ্রামখানি ঘিরে
রাত বেড়ে চলে, রাত বুড়ো হয়, গ্রাম হাসে অমলিন
শত বছরের পুরোনো এ গাঁথা -- এ-ই রবে চিরদিন !!
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:০৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: উত্তর কোণে, যেন এক মনে, বাঁধানো পুকুর ঘাটে
টলটলে জলে, গা ভিজাবে বলে, চাঁদ নেমে আসে পাটে
ঘাটের কিনারে, যেন অভিসারে, ছোট্ট মাছের বহর
দুষ্টুমীছলে নিতে আসে বুঝি - ডাঙা'র খবরাখবর !
ভালো লাগলো
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:২২
শায়মা বলেছেন: ছেলেবেলার গল্প শোনার দিন গুলো এখন কত দূরে !!!
অনেক সুন্দর ভাইয়া।
২৭ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:২৪
শাহেদ খান বলেছেন:
আপু,
যদি চাও তো, ছেলেবেলাও আসতে পারে কাছে !
চোখ বুজে দেখো, বুকের ভেতর আটকা পড়ে আছে...
(দীর্ঘশ্বাসের ইমো)
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৩৪
সায়েম মুন বলেছেন: অসাধারণ!
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:০৬
বড় বিলাই বলেছেন: কবিতায় কবিতায় গাঁও ঘুরে এলাম।
২৭ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:১৩
শাহেদ খান বলেছেন: বাহ ! ফ্রি-তে ঘুরে আসলেই হলো??? আসা-যাওয়া'র খরচা কে দেবে?
আমি বিল রেডি করছি, পেমেন্ট-এর জন্য রেডি থাকো আপু !
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:০৩
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: বেশ কিছু লাইনে ছয় ছয় আট যেভাবে শুরু করেছিলে সেভাবে রাখতে পারোনি ভাইয়া । একটু সেদিকটা ঠিক রাখলে ভাল হয় । প্রথম লাইনেই বিচ্যুতি কাম্য নয় ।
কবিতার বিষয়বস্তু খুব ভাল লাগল । উপস্থাপনা আরো আধুনিক করা যেত । একটু জসিমউদ্দীনের গন্ধ পেয়েছে কিছূ জায়গায় ।
সব মিলিয়ে ভাল লাগল
২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৩১
শাহেদ খান বলেছেন: জানতাম, আমার কবিতা কেউ যদি আমার চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়ে, সে তানিম
যাই হোক, তোমার কথাগুলো:
১. বেশ কিছু লাইনে ছয় ছয় আট যেভাবে শুরু করেছিলে সেভাবে রাখতে পারোনি ভাইয়া ।
লেখার সময় বিচ্যুতি, ছয় ছয় আট - এসব কথা একটিবারও ভাবিনি, সত্যি বলছি... কলমের মুখে যা এসেছে, উদারভাবে মেনে নিয়েছি। চোখের সামনে দৃশ্যগুলো আসছিল, আর কবিতাটা এগিয়ে যাচ্ছিল ! প্রথম প্রথম পুরো কবিতাটা মুখে মুখে লিখেছি (মানে উচ্চারণ করেছি আর মনে রেখেছি), তাই অক্ষরবৃত্ত, মাত্রা এসব ভাবার অবকাশও ছিল না।
২. উপস্থাপনা আরো আধুনিক করা যেত ।
যেত, কিন্তু আমি নিজেই চাইনি। শত বছরের উপাখ্যান, উপস্থাপনাও সেরকম না হলে চলে?
৩. একটু জসিমউদ্দীনের গন্ধ পেয়েছে কিছূ জায়গায় ।
হুম... কী করব বলো? পল্লীকবি এ বিষয়ে এই স্টাইলে এত এত লিখে গেছেন, এখন এ লেখায় তার কথা মনে না পড়াটাই অস্বাভাবিক !
৪. সব মিলিয়ে ভাল লাগল
তোমার মন্তব্য পেয়ে আমার ভাল লাগল আরও অনেক অনেক বেশি। দেখ, সবার আগে জবাব দিলাম তোমার মন্তব্যেই।
থ্যাংকস ব্রাদার। এমন কমেন্টের অপেক্ষায়ই তো থাকি।
৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১১
নাজিরুম মুবিন বলেছেন: দারুণ লিখেছেন।
এই ধাঁচের কবিতা এখন আর কেউ লেখেনা।
অনেক অনেক শুভকামনা।
৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫৭
সোমহেপি বলেছেন: ধীর লয়ের কবিতা সোঁদা মাটির গন্ধ পেলাম যেন।হাজার বছর ধরে 'জহির রায়হানের উপন্যাসিক স্বাদটাও পেলাম।ভাল লাগলো।কবিতার ছন্দের ব্যাপারে খুব করে কিছু বলতে চাইনা।এর যে কতরকম মোড়! পড়তে পড়তেই কবিতার ছন্দ আয়ত্ব করতে হয়।আব্দুল মান্নান সৈয়দের কিছু লেখা পড়তে পারেন....
২৭ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৫৫
শাহেদ খান বলেছেন:
পড়তে পড়তেই কবিতার ছন্দ আয়ত্ব করতে হয় -- সহমত
বিড়বিড় করে 'পড়তে পড়তে' যে কবিতা জন্ম নিল
সেই কবিতা'র ছন্দ তো 'পড়া'র মাঝেই লুকিয়ে ছিল !
সেই ছন্দ ধরতে পেরে পড়তে পারলে আর কি বা চাই?
মাত্রা, বৃত্ত - ফেলে শুধু মনের সুখেই কাব্য সাজাই !
অনেক অনেক ধন্যবাদ ! আমি কবি আব্দুল মান্নান সৈয়দের লেখা পড়ে দেখব
৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:১৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: রূপকথার গল্প পড়লাম যেনো অথবা আমার ছেলেবেলার সেই সুন্দর দিন গুলোর দেখা পেলমা।
কাব্য পর্যালোচনা করার ক্ষমতা আমার নেই, পড়তে অনেক ভাল লেগেছে, নস্টালজিক হয়েছি, এটাই মূল বিষয় আমার কাছে
২৭ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:০৭
শাহেদ খান বলেছেন: বুনোফুলের গন্ধে ভেজা "সরল" - সাঁঝের এই কবিতা
সবাই এত কঠিন করে বলছে কেন এসব কথা?
মনের গভীর আনন্দ'তে এর প্রতিটা লাইন রচিত
আনন্দটা ধরতে পারলে, কবিও ভীষণ আনন্দিত !
আপু, তোমার ভাই-কে এখনও চেনো না? আমার এই কবিতাও আর সবগুলোর মত খুব সরলভাবে লেখা। গভীরভাবে কাব্য পর্যালোচনা করার ক্ষমতা আমার নিজেরই নেই ! আমি প্রথাগত কবি না ! শুধু মনের আনন্দে লিখি ! তাই আমার কবিতায় প্রথাগত গাঠনিক সংকেত খুঁজতে গেলে পাঠকেরও ঝামেলা, আমারও অস্বস্তি !
১০| ২৭ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৪৪
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
অসাধারণ কাজ
ছবিটা উঠে এসেছে সুন্দর। বেশ কয়েক বার পড়েছি।
মন খুলে এরকম লেখা আর দিন
২৭ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪১
শাহেদ খান বলেছেন: আমিও বেশ ক'বার, বার-বার, বহুবার করে পড়ছি - আপনার এবং অন্যদের মন্তব্যগুলো
বিনয়-টিনয় বাদ দিয়ে বলি, নিজের প্রশংসা পড়তে কক্ষনো ক্লান্তি লাগে না, প্রতিবারই নতুন করে ভাল লাগে !
# মন খুলে এরকম লেখা আর দিন
আমি চেষ্টা করব, ভাইয়া। এমন লেখা আগেও দিয়েছি, জানিনা পড়েছেন কিনা... তাই নিচে লিঙ্ক দিয়ে গেলাম:
বর্ষায়...
("বর্ষায়..." - আমার একদম প্রথম দিকের লেখা। ওটায় ভূল-ভ্রান্তি না থাকাটা অস্বাভাবিক)
১১| ২৭ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩৭
নাআমি বলেছেন: কোনও এক সাঁঝে, তোমাদের মাঝে - যেতে চাও কেউ গাঁয়ে?
গোধুলীর শেষে রাত নেমে আসে যেথা গুটি গুটি পায়ে,
চাঁদ উঠে আসে মেঘের ওপাশে, মেঘ ভেসে যায় দূরে
লক্ষ হীরা জ্বলে ওঠে নীল আকাশের বুক জুড়ে।
পুরোটা লেখা জুড়ে অসাধারন এক গভীর অনুভূতির ছোঁয়া !!
ধন্যবাদ .......অনেক ভাল লাগল।
১২| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক শাহেদ লিংক দেয়ার জন্য
আগের কবিতাও অনেক সুন্দর। মনে হয় পল্লী কবিতায় আপনার হাত ভাল। একটা বিভাগ খুলে এ ধরনের কবিতাগুলো এড করে দিতে পারেন।
১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:২৯
লিটল হামা বলেছেন: খুবই সুন্দর। এরকম করে এখন কেউ লেখেনা আর। কবিতা পাঠের পর একটা স্নিগ্ধবোধ হল। আরো লিখুন এরকম।
৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৪৪
শাহেদ খান বলেছেন: ভাইয়া, এই পোস্টের ১০ নং কমেন্টের জবাবে যা লিখছি, আপনার উত্তরেও হুবহু তা-ই লিখতাম
কখনও আসলে দেখে যাবেন, বর্ষায়...
১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৪২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: খুব খুব ভালো লাগল পল্লীময় মায়াভরা কবিতাখানি। ছন্দটা এমন যে বাঙালিমাত্রই দুলে উঠবে।
কাব্যচর্চা অব্যাহত থাকুক।
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:০৬
শাহেদ খান বলেছেন: চেষ্টা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাব
১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: হঠাৎ হঠাৎ কোথায় ঢুব দাও?
১৫ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:০৪
শাহেদ খান বলেছেন: :-&
ইদানিং তো ডুবে নেই ! ভেসেই আছি বেশ ক'দিন ধরে !
আপু, নতুন ক'টা পোস্টও দিলাম
১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:২৮
উসীমজদ্দীন বলেছেন: অনেকদিন পর ফিরেই আপনার কবিতা পড়লাম। ভাল লাগল...................
১৫ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:১২
শাহেদ খান বলেছেন: শুভ প্রত্যাবর্তন ! কেমন ছিলেন?
১৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:০৭
সাগর রহমান বলেছেন: বিড়বিড় করে 'পড়তে পড়তে' যে কবিতা জন্ম নিল
সেই কবিতা'র ছন্দ তো 'পড়া'র মাঝেই লুকিয়ে ছিল !
সেই ছন্দ ধরতে পেরে পড়তে পারলে আর কি বা চাই?
মাত্রা, বৃত্ত - ফেলে শুধু মনের সুখেই কাব্য সাজাই !......
আটমাস পর ফিরে আপনার লিংক পেয়ে সোজা এখানে। স্নিগ্ধ কবিতা, যা লিখা সহজ ব্যাপার নয়। অভিনন্দন কবি। কমেন্টের কথা গুলো দারুন হয়ে উঠল। থাক না হয় কবিতার ব্যাকরণ দূরে কখনো কখনো যখন মনের সুখে কবিতা লিখা হয়...
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৮
শাহেদ খান বলেছেন: আপনি যেদিন ভেসে উঠলেন সাগর ভাই, তার সপ্তাহখানেক আগে আমিই ডুব দিলাম ! তাই দেখাটা দেরিতে হল !
হুম, আপনার সাথে সহমত - কবিতায় কবি'র মনের সুখই তো আসল; এসব কবিতা যখন কোনও টেক্সটবুকে প্রনীত হবার আশঙ্কা নেই, তখন মনের সুখে লেখার স্বাধীনতা বিসর্জন দিব কী কারণে?
যাচ্ছেতাই কবিতাই হয়ে থাক না
১৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:০০
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
অসম্ভব সুন্দর ...!!!
তো আমি বলি কি! এত সুন্দর একটা কবিতায় ছোট-খাট মিসটেকগুলো এডিট করে দিলে ভাল হয়...
এই যেমন মাত্রার সমতা...
তো আপ্নার দেখার দৃষ্টি আর বলার মুন্সিয়ানা অন্যরকম সুন্দর...
০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:০০
শাহেদ খান বলেছেন: আরও কেউ বলেছে সেটা। কিন্তু 'ভুল'গুলো ঠিক করতে হলে আমাকে আগে জানতে হবে তো 'ভুল'গুলো হলো কোথায় ???
আমি প্রতিবার একইভাবে পড়ছি বলেই হয়তো কখনও ছন্দপতন ধরতে পারছি না। হয়তো পড়ার সময় আমি কোনও শব্দ দ্রুত উচ্চারণ করেছি, কোনওটা বা ভেঙে পড়েছি... আমার পড়ায় তাই ছন্দ মিলেছে প্রতিবার !
আর কি বলব সুপান্থ ভাই, সীমাবদ্ধতা কিছুটা থাকবেই; না থাকাটাই অস্বাভাবিক।
এরপরও কিছু যদি বলি, সোমহেপি'র (৮ নম্বর) কমেন্ট আর তার জবাবটাই আপনাকে বলতাম...
১৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:০৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
*অসমতা
০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:০৩
শাহেদ খান বলেছেন: হুম, 'অসমতা' বলতে চেয়েছেন সেটা বুঝছি, সুপান্থ ভাই
কিছুদিন একটু অনিয়মিত আছি। আবার এসে আপনাদের পোস্টে ঢুঁ মারা শুরু করব নিয়মিত
২০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৩
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
লেখার মধ্যে লেখা থাকে
যা অদৃশ্যমানতায় দৃশ্যমান ।
যেখানে থাকে কবি বা লেখকের একান্ত নিজস্ব জগৎ।
সে অদৃশ্যতা দৃশ্যমান করতে পারলেই পাঠক পাঠক ।
আর তখনই লেখক প্রকৃত লেখক হৃদয়বান পাঠকের কাছে ।
(আমার লেখক বা পাঠক কোনটাই হওয়া হল না ।)
আর লেখমু না,শ্যাষে কি না কি লেইখ্যা হালামু .........
লেখার ঐ কঠিন ব্যাকরণ জানি না ,তাই আমি ভুল দেখি না
খুঁজিও না (বকলম হলে যা হয় আর কি )।
শাহেদের অনুভূতিটুকুই আমার কাছে প্রয়োজন ও মূল্যবান ।
লেখক যে ফ্র্মেই তাকে প্রকাশ করুন না কেন তাঁর
বিন্যাসটি ই প্রকৃত রূপ ।
আর বলা যাবে না .........
বিন্যাস নিয়ে বললে অনেক অনেক বলতে হবে
আমি যে কিছুই যানি না ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩২
শাহেদ খান বলেছেন: কী জবাব দেব এর?
রেজোওয়ানা আপু'কে জবাবে যে ছড়াটা বলেছি, সেটাই আবার বলি~
বুনোফুলের গন্ধে ভেজা "সরল" - সাঁঝের এই কবিতা
সবাই এত কঠিন করে বলছে কেন এসব কথা?
মনের গভীর আনন্দ'তে এর প্রতিটা লাইন রচিত
আনন্দটা ধরতে পারলে, কবিও ভীষণ আনন্দিত !
সাধারণ পাঠকের চোখ আর মন নিয়ে সাধারণ হয়েই থাকি না হয় আমরা? কবিতা'র কাঠামো-বিন্যাস আমাদের কাজ না হোক। আনন্দেই শুধু আনন্দ !
২১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪১
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
আপনি জানেন আমি ছড়া বা কবিতা আমি জানিনা ।
আমি ছড়া হুনমু না ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৫
শাহেদ খান বলেছেন: ভাল গন্ডগোল উপস্থিত করলেন দেখছি !
:-&
২২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৭
শায়মা বলেছেন: আমার সাথে তো সবসময়ই আছে আমার ছেলেবেলা।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪২
শাহেদ খান বলেছেন:
ছেলেবেলা মানে খুব দ্রুত রাগ করা, আর তার চেয়ে দ্রুত ভুলে যাওয়া !
কথায় কথায় আড়ি আর ভাব
হিসেব ছাড়াই কথা'র জবাব
অবাক ছেলেবেলায়...
আপু ভাল আছো? ধরে রেখো ছেলেবেলা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৩৯
ফাইরুজ বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা।