নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলস গল্পকার

মাথায় অনেক গল্প আসে; কিন্তু লেখার মত পর্যাপ্ত ধৈর্য-শ্রম-অধ্যবসায় নেই। গল্পগুলোকে তাই ছোট করে কবিতা বানাই...

শাহেদ খান

আমি খুব ভাল একটা ছেলে। আমার সবচেয়ে ভাল দিক হল, কথাটা আমি বিশ্বাস করি ! :) ব্লগের বাইরে যোগাযোগে: [email protected]

শাহেদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইম্প্রেশনিস্ট আর্টিস্ট :: এদগার দেগা (Edgar Degas)

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪



চিত্রকলায় ফ্রান্সের 'ইম্প্রেশনিজম' আন্দোলনের গল্প'টা কোনও উপন্যাস বা সিনেমার চেয়ে কম নাটকীয় না ! মোটামুটি অর্থকষ্টে ভোগা একদল তরুণ ছেলে-মেয়ে হঠাৎ করে এসে হইচই করে সমস্ত ট্র্যাডিশনাল নিয়ম ভাঙতে শুরু করল, আর তারপর পৃথিবীর চিত্রশিল্পের ইতিহাস পাল্টে দিল চিরদিনের মত ! ক্লাসিকাল পুরাণ-কাহিনী বা রুপকথা-নির্ভর পেইন্টিংস ছেড়ে তাদের ছবিতে উঠে আসতে লাগল একদম বাস্তব সব দৃশ্যাবলী; যেই দৃশ্যে সাধারণ জীবনের গল্প আছে, প্রতিদিনের ঘটনাবলীর নিখুঁত বর্ণনা আছে। পেইন্টিংসগুলো হয়ে উঠল সহজ, সুন্দর আর জীবন্ত !





The Orchestra at the Opera: Edgar Degas



ক্লদ মনে', রেনোয়া', কামিল পিসারো, এদুয়ার মানে', এদগার দেগা' - চিত্রশিল্পের ইতিহাসে এখন অবিস্মরণীয় কয়েকটা নাম। ইম্প্রেশনিস্ট আর্টিস্টদের নিয়ে ধারাবাহিক পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে, আজকের পর্ব শুরু করছি 'এদগার দেগা'কে দিয়ে। আলো, রং আর সৌন্দর্যের এক অপূর্ব জগতে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি।



অধিকাংশ ইম্প্রেশনিস্ট আর্টিস্টের তুলনায় দেগা'র জন্ম মোটামুটি সচ্ছল পরিবারে, ১৮৩৪ সালে। তার বাবা ছিলেন ব্যাংকার। অল্প বয়স থেকেই দেগা'র ছিল পেইন্টিং-এর শখ, স্কুল জীবন শেষ করতে করতেই তিনি তার বাসায় একটা আলাদা আর্ট-স্টুডিও পর্যন্ত বানিয়ে ফেলেন। এরপর 'ইউনিভার্সিটি অফ প্যারিস'-এ আইন অনুষদে ভর্তি হলেও ওদিকে তার খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়নি। এর মাঝে (১৮৫৫ সালে) একদিন সাক্ষাৎ পান ঐ সময়ের অন্যতম সেলিব্রেটি আর্টিস্ট Dominique Ingres-এর। পেইন্টিংস বিষয়ে ইঙ্গার্সের দেয়া একটা উপদেশ দেগা পরবর্তী সময়ে কখনও ভুলেননি - "Draw lines, young man, and still more lines, both from life and from memory, and you will become a good artist." ইঙ্গার্স যদি জানতেন - তার সামনের এই শান্ত-শিষ্ট ইয়াংম্যান আরও ক'জনকে নিয়ে একদিন চিত্রশিল্পের ধরনই পাল্টে দিবে !





(সেল্ফ পোর্ট্রেট: এদগার দেগা)



তো ১৮৫৫-তে দেগা ভর্তি হয়ে গেলেন ফ্রান্সের বিখ্যাত "École des Beaux-Arts" (স্কুল অফ ফাইন আর্টস)-এ। পরের বছরই তিনি ইতালী চলে যান, আর বছরতিনেক রেনেঁসা শিল্পীদের প্রচুর পেইন্টিংস কপি করার কাজ করেন। ১৮৫৯-এ দেগা আবার ফ্রান্সে ফিরে আসেন, আর এরও তিন বছর পর লুভর মিউজিয়ামে পরিচিত হন এদুয়ার মানে'র সাথে। ইতিহাসের এক ক্রান্তিলগ্ন। ঠিক ওইসময় আরও চার বন্ধু তখন নিজেদের প্রস্তুত করছিল এক ভিন্ন দৃষ্টিতে এক-পৃথিবী'র গল্পগুলো ক্যানভাসে বেঁধে রাখতে। এই সিরিজ চলতে থাকলে তাদের সবার গল্প আলাদা করে বলব, আশা রাখছি।



দেগা'র কথায় ফিরে আসি। ফ্রান্সে ফিরে আসার পর দেগা প্রাথমিকভাবে তার খুব কাছের মানুষদের পোর্ট্রেট আর চেনা জীবনের ছবি আঁকতে থাকেন। দেগা'র পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, একাডেমিক শিক্ষা, তার ওপর রেনেঁসা আর্টের ওপর দখল - সব মিলিয়ে একজন নিখুঁত ট্র্যাডিশনাল পেইন্টার হওয়ার সমস্ত আভাস তার মাঝে ছিল। কিন্তু কী এক খেয়ালে, সময়ের সাথে সাথে তার চিত্রের রং আর চেহারা রূপ নিচ্ছিল সম্পূর্ণ নতুন আর ইউনিক একটা ফর্মে। ছবিগুলো সব উজ্জ্বল আর সাহসী, বাস্তব আর আনপ্রেডিক্টেবল। ইম্প্রেশনিজমের ওপর BBC'র নির্মিত ডকুমেন্টারী'তে দেগা'র সম্পর্কে বলা হয়েছে - "He was also a genious and quite shockingly ungovernable and adventurous"





(পারিবারিক ছবি: দেগা'র আঁকা তার দাদা'র ছবি)



উদাহরণস্বরূপ, তার 'ঘোড়দৌড়ে'র ছবিগুলোর কথাই বলি। তার আগে বলে রাখি, ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পী'রা ট্র্যাডিশনাল শিল্পীদের মত শুধু স্টুডিওতে বসে কল্পনার উপর রং ছড়াতেন না। তারা যা দেখবেন, তাই আঁকবেন বলে ঠিক করেছিলেন। ফলে সবাইকে হতবাক করে দিয়ে তারা বাক্স-পেটরা হাতে নিয়ে ছবি আঁকার জন্য চলে গেলেন বনে-পাহাড়ে, শহরে-গ্রামে, বরফে-সাগরতীরে। দেগাও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। সেই সময় ফ্রান্সে শহুরে সমাজে নতুন ক্রেজ ছিল 'ঘোড়দৌড়'। নগরবাসীর সমগ্র আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু; স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শিল্পীদেরও। যেখানেই প্রাণবন্ত জীবন, সেখানেই ইম্প্রেশনিস্ট'রা ! তবে, দেগা'র বিশেষত্ব হল - তিনি প্রথমবারের মত ঘোড়া'কে আঁকতে চাইলেন নিখুঁত বাস্তব করে। ঘোড়া যেই মুহুর্তে ছুটে, প্রতিটা মুহুর্তের একদম সঠিক মুভমেন্ট কিন্তু আমাদের চোখে ধরা পড়ে না। বরং সবটা মিলে আমরা দেখতে পাই একটা তেজী প্রাণী ছুটে যাচ্ছে। কিন্তু দেগা রেসকোর্সে গিয়ে সাক্ষাৎ পেলেন এক ব্রিটিশ ফটোগ্রাফার Eadweard Muybridge-এর, যিনি ঐ সময় ঘোড়া'র মুভমেন্ট নিয়ে গবেষণা করছিলেন। এক লাইনে অনেকগুলো ক্যামেরা বসিয়ে Muybridge চলমান ঘোড়া'র প্রতিমুহুর্তের স্ন্যাপশট নিচ্ছিলেন, আর যে ছবিগুলো আসল তা রীতিমত অবাক করার মত। সবটা মিলিয়ে ঘোড়া'কে প্রবল তেজস্বী দেখালেও যেকোনও একটা মুহুর্তকে দেখতে গেলে দেখা যায়, ঘোড়া'র মুভমেন্টে সেই Grace নেই !



(

(মাইব্রিজের ফটোগ্রাফি)



আলাদা করে দেখলে প্রতিটা ভঙ্গিমা কেমন দৃষ্টিকটু, যেমনটা আমরা দেখার কথা ভাবি না ! দেগা কল্পনা'র তেজী রূপ বাদ দিয়ে বাস্তব মুভমেন্ট আঁকার পক্ষেই থাকলেন, আর প্রথমবারের মত রেসের এমন কিছু ছবি তৈরি হল সেগুলো অদ্ভূত অথচ বাস্তব !









(দেগা'র আঁকা রেসকোর্সের ছবি)



তবে দেগা'র ছবি মহিমান্বিত হয়ে উঠল যখন থেকে তিনি তার এই ব্যতিক্রম দৃষ্টিভঙ্গি সব-বিষয়ের ছবিতে আনতে শুরু করলেন। এমনকি ন্যুড স্টাডিতেও - মডেলের সৌন্দর্য বা আবেদনময়তা না, দেগা আঁকলেন একদম অড-অ্যাঙ্গেল (Odd Angle) থেকে কিছু ছবি ! এসব দৃশ্য হয়তো সব শিল্পীই দেখেন, কিন্তু কোনও শিল্পীই আঁকেন না !







কোনও বিশেষ ভঙ্গিমা বা পোজ না, দেগা'র তুলিতে ধরা পড়তে লাগল মডেলদের স্বাভাবিক এবং জীবন্ত চলাফেরার দৃশ্য !







কিন্তু যে ছবিগুলো'র জন্য দেগা অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন; তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজগুলো ছিলো ব্যালে ডান্সের চিত্রমালা ! নাচঘরের প্রতিটা মুহুর্তকে দেগা দেখেছেন অসাধারণ দৃষ্টি এবং সেন্স দিয়ে। ছবিগুলো দেখলে চোখ ফেরানো যায় না - পুতুলের মত মেয়েগুলো যেন নেচে বেড়াচ্ছে, শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছে !







আর দেগা'র ইউনিক স্টাইল অনুযায়ী, তিনি এখানেও এমন একটা কাজ করলেন, যা হয়তো অন্য কোনও সাধারণ শিল্পী করতেন না ! স্টেজে স্টার বা প্রধান ড্যান্সারকে বাদ দিয়ে বেশিরভাগ ছবিতে তিনি বরং আঁকতে থাকলেন - সাধারণ ড্যান্সারদের ! অনেকক্ষেত্রে শিক্ষানবীশদের !







তাদের চেষ্টা আর মনোযোগ, দৃঢ়তা আর অভিব্যক্তি - সব এত জীবন্ত ! মেয়েগুলোকে দেগা তার গভীর মমতায় ক্যানভাসে এনে অমর করে গেলেন !







প্রতিটা ছবি যেন জীবন্ত, ছবি'র মানুষগুলো'র অনুভূতি যেন স্পষ্ট পড়ে ফেলা যায় !







রং-এর ক্ষেত্রেও দেগা ইউনিক ! তরল রং আর ব্রাশ-স্ট্রোক না, দেগা ক্যানভাসজুড়ে ছড়িয়ে দিলেন পেস্টাল, যা তার ছবিতে নিয়ে আসল এক অভূতপূর্ব আমেজ ! এমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি !







ছবিগুলো'র উজ্জ্বলতা চোখে পড়া'র মত ! সবখানে প্রাণপ্রাচুর্য (এটাই অবশ্য সমস্ত ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পীদের ছবি'র মূল ধারা)! BBC'র ওই ডকুমেন্টারী'তে দেগা'র ছবি সম্পর্কে বলা হয়েছিল, "Something glorious and colourful, blurry and intoxicating" -- অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই !







শুধু চিত্রকর্মে নয়, পরে আবিস্কৃত হয়েছে দেগা'র ভাস্কর্য গুণের উদাহরণও ! ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী ড্যান্সারের এক তীব্র ভঙ্গিমা দেগা স্থির করে রেখে গেলেন তার ধাতব কারুকার্যে !







আমি খুব সংক্ষেপে এক মহান শিল্পী এদগার দেগা'র চিত্রকর্মের সাথে প্রাথমিক পরিচয়টুকু করিয়ে দিতে চাইলাম মাত্র। এসব দেগা'র কালজয়ী সব শিল্পকর্মের একটা অংশমাত্র। কালক্রমে রেনোয়া, মনে', পিসারো - তার আর সব সহযোদ্ধা শিল্পীদের গল্পও বলার চেষ্টা করব, যারা সনাতন শিল্পীসমাজের ক্রমাগত টিটকারী/তিরস্কার সত্বেও নিজেদের মত এক পৃথিবী গড়ে গেছেন সমস্ত ট্র্যাডিশনাল নিয়ম ভেঙে। এই পোস্টে শুধু দেগা'র শিল্পকর্ম নিয়ে কথা বললাম, কিন্তু বিরূপ পরিবেশে এই শিল্পীদের সংগ্রাম নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সবটা একবারে বলব নাকি? এই আন্দোলনের গল্প নিয়েই একটা পোস্ট দিতে চেষ্টা করব পরে।



নিচের ছবিটা দেখুন? এদগার দেগা'র এক অমর সৃষ্টি দুই হাত বাড়িয়ে আপনাকে ডাকছে রং-ঝলমলে এক উজ্জ্বল জগতে ! ইম্প্রেশনিস্ট'দের পৃথিবীতে আপনাকে স্বাগতম !



মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৬

শাহেদ খান বলেছেন: সমস্ত ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল ডট কম এবং উইকিপিডিয়া

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:১১

শাহেদ খান বলেছেন: তথ্য সূত্র:

* বই - Impressionism: A Celebration of Light, by Isabel Kuhl, Parragon books.

* টিভি ডকুমেন্টারী - The Impressionists Painting and Revolution, BBC.

* ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৩

~মাইনাচ~ বলেছেন: সুন্দর শাহেদ ভাই

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

শাহেদ খান বলেছেন: আরে আপনি ! এতদিন পর !

একটু আগেই আপনার নিক দেখলাম 'অনলাইনে থাকা ব্লগার'দের মাঝে। অবাক লাগছিল। তো, কেমন আছেন?

পোস্টে মাইনাচ? :#>

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

বোকামন বলেছেন:





যেখানেই প্রাণবন্ত জীবন, সেখানেই ইম্প্রেশনিস্ট'রা !
দারুন বলেছেন !

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

শাহেদ খান বলেছেন: এই দলটার প্রায় প্রতি'টা শিল্পী'র কাজ আকর্ষণীয় আর মুগ্ধ করার মত ! সবকটা ছবিতে যেন নতুন কিছু দেয়ার চেষ্টা ! আর প্রাণবন্ত উজ্জ্বলতা !

8-|

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান,
ভালো লাগলো এধরনের একটি পোষ্ট ।

'ইম্প্রেশনিজম' এই শৈল্পিক শব্দটির ভেতরেই তো একটি আবেগ আছে তাইনা ?

লিখুন.....

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৩

শাহেদ খান বলেছেন: 'ইম্প্রেশনিজম' - এই নামটারও একটা ইতিহাস আছে। এক সাংবাদিক এই নামে খোঁচা দিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন এই শিল্পীদের বিষয়ে। পরে ঐ টিটকারি করে দেয়া নামটাতেই পুরো পৃথিবী চিনে নিল নতুন ধারা'র এই শিল্পীদের !

এই বিষয়ে পরে একটা পোস্টে বিস্তারিত বলা'র ইচ্ছা আছে।

উৎসাহে ভাল লাগা। :)

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো পোস্ট। প্লাসের অপশন আসতেই প্রদৃত হবেন।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৫

শাহেদ খান বলেছেন: ভাল লাগা বুঝে পেলাম। প্লাস-ও তো এরই সমার্থক, তাই না? 8-|

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভালো লাগল আপনার পোস্টটি

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৭

শাহেদ খান বলেছেন: আপনার মন্তব্য প্রেরণাদায়ক ! B-)

কী খবর, তানিম? ফেসবুক আওতা'র বাইরে আছি গত দুই মাস। তাই যোগাযোগ আরও কম হয় এখন...নিরুপায়।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৯

জানতে চায় বলেছেন: এই শিল্পির কাজ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৫

শাহেদ খান বলেছেন: আমারও :)

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:২০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালোলাগা ভালো লেখায়

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৬

শাহেদ খান বলেছেন: ভাল লাগল জেনে 8-|

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৪

সায়েম মুন বলেছেন: এরকমই তো চাই। শুধু কয়েকটা লাইন দিয়ে ছবির কি বুঝা যায়। ছবি হবে এদগার দেগা'র মত। #:-S

সুন্দর একটা পোস্ট। জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

শাহেদ খান বলেছেন: কয়েকটা লাইন বলতে ইঙ্গার্স কিন্তু বর্তমানের মডার্ন আর্টের কথা বোঝান নি ! এই আর্ট তখন ছিলই না ! ইঙ্গার্স নিজেও নিখুঁত ছবি আঁকতেন - তবে ক্লাসিক্যাল ধারা'র। ঐতিহাসিক (রাজা-রানী-যুদ্ধ), পুরাণ-কাহিনী, বা আদি বাইবেলীয় কাহিনী-নির্ভর।

যে ধারাটা ইম্প্রেশনিস্ট'রা ভেঙে ফেলেছেন পরে ! এই মানুষগুলো ছবিতে বর্তমান-বাস্তব জীবনের গল্প বলতে শুরু করেন।

ভাল লাগায় ভাল লাগা জানবেন, সায়েম ভাই।

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছবিতে ও লেখনিতে ভাললাগা।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

শাহেদ খান বলেছেন: ভাল লাগা :)

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

~মাইনাচ~ বলেছেন: হু, পোষ্টে মাইনাচ দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। দিয়ে গেলাম

মাইনাচ B-)

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫

শাহেদ খান বলেছেন: B-))

১২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

শশী হিমু বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। খাটুনি করে লেখা পোষ্ট এজন্য ধন্যবাদ ।

পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

শাহেদ খান বলেছেন: আজ আরেকটা পর্ব প্রকাশিত হল। :)

মন্তব্যে ভাল লাগা !

১৩| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:০৭

ডি মুন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট , +++++++

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

শাহেদ খান বলেছেন: প্লাসে প্লাস ! :)

১৪| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:

পোস্ট অনেক গুলো প্লাস রেখে গেলাম


০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

শাহেদ খান বলেছেন: সেকী ! এই পোস্টে দেখছি চাঁদের হাট বসেছে ! সায়েম মুন, ডি মুন, 'শশী' নামে একজন আর এখন আপনি আসলেন 'জোছনা' নিয়ে ! :)

ভাল লাগায় অনেক ভাল লাগা জানবেন।

১৫| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

নীরব 009 বলেছেন: নাচঘরের ছবিগুলো সত্যি জীবন্ত আর তাদের অনুভূতিগুলো পড়ে ফেলা যায় অনায়াসে। পোস্টে অনেক অনেক ভাল লাগা আর ১১ তম প্লাস। :)

বাকি শিল্পীদের সম্পর্কেও জানতে চাই শাহেদ ভাই :)

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

শাহেদ খান বলেছেন: জীবন্ত ছবি'র কথা বললে আমি দেগা'র চেয়ে এগিয়ে রাখব রেনোয়া'কে ! কিন্তু রেনোয়া' এত বিস্তারিত, তাকে নিয়ে এখনই বলার সাহস পাচ্ছি না ! আস্তে আস্তে গুছিয়ে সব বলব আশা রাখছি !

নীরব, ভাল লাগল অনেক। :)

১৬| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অতি চমৎকার পোস্ট। মুগ্ধ হলাম ছবি দেখে এবং তার পেছনের ইতিহাস জেনে।

তবে ভাস্কর্যটা এক কথায় জঘন্য!

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

শাহেদ খান বলেছেন: হাহ হা ! হাসান ভাই, ভাস্কর্য'টার দাঁড়ানোর ভঙ্গি কিন্তু স্বাভাবিক না ! পায়ের পজিশন ওভাবে রেখে কেউ বেশিক্ষণ দাঁড়াবে না ! তার উপর মাথা উঁচু করে, দু'হাত পেছনে টান-টান করা - মনে হচ্ছে জড়তা ভাঙতে এই কিশোরী আড়মোড়া ভাঙছে ! আড়মোড়া ভাঙার সময় এই পজিশন হয়তো মাত্র এক সেকেন্ডের - দেগা সেটাই ধরে ফেললেন !

আগের ছবিগুলোতে তো দেখেছেনই। দেগা কোনও পোজ দেয়া ছবি তেমন আঁকতেন না। বরং স্বাভাবিক চলাফেরা থেকে হঠাৎ একটা মুহুর্তের ছবি ক্যাপচার করে সেটা নিয়েই কাজ করতেন ! এটাও হয়তো তাই তার স্বভাবসুলভ সৃষ্টি !

মুগ্ধতার কথা জেনে ভাল লাগল। ইম্প্রেশনিস্টদের সবার গল্প জানার সময় আমি নিজেও মুগ্ধ হচ্ছিলাম ক্রমাগত !

১৭| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: "Something glorious and colourful, blurry and intoxicating" -- অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই !

আসলেও তাই । ভালো লেগেছে বাস্তব সব দৃশ্যাবলী সম্বলিত এই পেইন্টিংস গুলো দেখে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

শাহেদ খান বলেছেন: মন্তব্যে ভাল লাগা 8-|

১৮| ০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

আরজু পনি বলেছেন:

ছবিগুলো দেখতে দেখতে আর বর্ণনা পড়তে পড়তে মুগ্ধ হচ্ছিলাম আর আপনার ছবি আঁকার গুণের কথা ভাবছিলাম।

অন্য কেউ হলে হয়তো নিচে নিজের আঁকা একটা ছবি জুড়ে দিত...

কোন এক সময় হয়তো আপনার আঁকা ছবিও পাবো পোস্ট আকারেই :D

যাই হোক বিদেশী হাওয়ায় ভিন্ন স্বাদের পোস্ট পাচ্ছি আপনার কাছ থেকে স্বাদ বদল...বেশ লাগছে কিন্তু।।

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৩

শাহেদ খান বলেছেন: আমার আঁকা ছবি ! হাহ হা ! ওসব আকাশ-কুসুম চিন্তা বাদ দিয়ে বাস্তব কথা বলি, আপু।

আগে ব্লগে আসতাম শুধু কবিতা পোস্ট করতে। যখন কবিতা আসত না, আমিও ব্লগে আসতাম না। ৩ বছর ৩ মাস পর হঠাৎ মনে হল - 'ব্লগে শুধু কবিতাই পোস্ট করতে পারব' - এমন দিব্যি কে দিয়েছে? তারচে বরং যখন যা আসে সবটাই লিখতে থাকি। তাই গত ক'দিনে এমন সব পোস্ট। 8-|

দেশে ফিরে গিয়ে আমাদের নিজেদের শিল্পীদের নিয়ে পোস্ট দিতে চেষ্টা করব - জয়নুল আবেদীন, শাহাবুদ্দিন, এস এম সুলতান, কামরুল হাসান উনাদের। উনাদের নিয়ে বইপত্র-পেইন্টিংস ইতিমধ্যে যোগাড় করা আছে, তবে সব বাসায়। নেট-এ তেমন কিছু পাই না, তাই আমিও এখন দেশে ফেরার অপেক্ষায় বসে আছি... অফটপিকে অনেক কথা বললাম !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.