নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে ভাবি আমি তো সাধারন একজন , হাজার মানুষের মধ্যে আমার কোন বিশেষত নেই। হাজার মানুষ না ধরলাম শত মানুষ ধরলাম তারপর ভাবলাম নাহ্‌ আমার কোন বিশেষত নেই। আর দশ টা পাঁচ টা মানুষের মত আমি অতি সাধারন। নিজের অজান্তেই সিধান্ত নিলাম কিচ্ছু একটা করি সাধারন থেকে

আসাদ শাহীন

সপ্নটা অনেক বড় , কিন্তু দিনকে দিন সপ্ন গুলো ফিকে হয়ে যাচ্ছে ।

আসাদ শাহীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারি চাকুরেদের সাম্প্রতিক বেতনবৃদ্ধির সম্ভাব্য প্রভাব

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ডঃ মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত অষ্টম বেতন কমিশন গত বছরের ২১ শে ডিসেম্বর নতুন বেতন কাঠামো সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি অর্থমন্ত্রী'র কাছে হস্তান্তর করেছে। এখানে পরবর্তী অর্থবছর থেকে,অর্থাৎ আগামী পহেলা জুলাই থেকে সরকারি চাকুরিজীবীদের বর্তমান বেতনের শতভাগ বৃদ্ধির শুপারিশ করা হয়েছে। এতে সর্বনিম্ন বেতন ৮,২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন ৮০,০০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। এখন আমরা বোঝার চেষ্টা করবো,সামষ্টিক অর্থনীতিতে এই বেতন বৃদ্ধির ফলাফলটি কী হতে পারে।
আমাদের দেশে প্রায় তের-চৌদ্দ লক্ষ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। দেশের দূর্নীতি'র সিংহভাগই তাদের দ্বারা সংঘটিত হয়। বেতনের এই বৃদ্ধি হয়তো তাদের দূর্নীতি করার প্রবণতা কিছুটা কমাবে। এতে অর্থনীতিতে গতি আসবে।
চলমান অর্থবছরে সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাবদ ৩৯,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা আছে। আগামী অর্থবছর থেকে যখন নতুন বেতন কাঠামো প্রযোজ্য হবে,তখন এই অর্থ বরাদ্দের পরিমান বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৬৩,০০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, বরাদ্দ প্রায় ২৪,০০০ কোটি টাকা বাড়াতে হবে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ যোগান দিতে অন্যান্য উন্নয়নমূলক খাতে হয়তো যথেষ্ঠ পরিমান বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হবে না।
বেতন বৃদ্ধি মানেই বাজারে তারল্যের প্রাচুর্য ঘটা। এটি মূল্যস্ফীতি তৈরী করে। তাছাড়া,সরকারি লোকদের বেতন বৃদ্ধি বেসরকারি খাত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও বেতন বাড়াতে প্রভাবিত করে। ইতোমধ্যে সশস্ত্র বাহিনী'র সদস্যগণের বেতন দ্বিগুণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। কাজেই নিশ্চিতভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। অর্থমন্ত্রনালয় যতো পদক্ষেপই নিক না কেন,দাম বাড়ার পথ রুদ্ধ করতে পারবে না। যদি তারা নোট ছাপিয়ে বেতন সরবরাহ করার চিন্তা-ভাবনা করে,তাহলে আমরা গেছি! এই অবস্থায় মূল্যস্ফীতি অনেক বেশী হারে বাড়বে।
সরকারকে ব্যাংক জাতীয় বেসরকারি খাত থেকে প্রচুর ঋণ নিতে হতে পারে,যা বেসরকারি বিনিয়োগ কিছুটা হ্রাস করতে পারে। বেসরকারি বিনিয়োগ হ্রাস মানে প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং কর্মসংস্থান হ্রাস। আমাদের দেশের মতো বেকার দিয়ে ভরা দেশে এটা কাম্য হতে পারে না।
যাই হোক,দীর্ঘ ছয় বছর পর বেতন বৃদ্ধি সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আশীর্বাদ হলেও এর কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে। কিন্তু কঠোরভাবে তদারকি করলে এর নেতিবাচক দিকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। হুজুগে যেন বাজার তথা দ্রব্যের মূল্য অস্থিতিশীল করে তোলা না হয়,সেদিকে লক্ষ রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি যথাযথ খাতগুলো থেকে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে বেতনের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ পূরণ করা দরকার,যেন অন্যান্য উন্নয়নমূলক খাতে এর কোন প্রভাব না পড়ে।
সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে,এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত,যদি পরিপার্শ্বিক দিকগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.