![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সপ্নটা অনেক বড় , কিন্তু দিনকে দিন সপ্ন গুলো ফিকে হয়ে যাচ্ছে ।
বাংলাদেশের মতো মুসলিমপ্রধান দেশে হিন্দু প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে নানান কথা উঠেছে, কিছু ধার্মিক লোক (!) এই নিয়োগের বিষয়ে তাদে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা কোন ভাবেই মানতে পারছেন না একটি মুসলীম অধ্যুশিত দেশে কি করে অন্য ধর্মের লোক বিচারপতি হয় ?
যারা এমন দাবী করছেন তাদের জন্যে করুণা হয়। তারা কোন নিয়োগে যোগ্যতা বিচার না করে শুধু মাত্র ধর্মের বিষয়টি সামনে এনে অন্যন্ত সংকীর্ণ মনের পরিচয় দিচ্ছেন।
একটি লোক যদি নিয়োগকৃত পদে আসিন হবার যোগ্যতা সম্পন্ন হয় তবে সে সেই পদে নিয়োগ পাবে এটা সোজা হিসাব।
গয়েশ্চর চন্দ্র রায় কেন অনুক দলের অমুক পোস্টে এলো কেন অন্য কোন মুসলীম কে এই পদ দেয়া হয় নাই এমন দাবী যেমন অবান্তর তেমনি মিস্টার সিনহা যিনি একজন আদিবাসী হয়ে এত দূর এসেছেন নিজ যোগ্যতা আর দক্ষতা বলে তাকে নিয়োগ নিয়ে যদি প্রশ্ন তোলা হয় তবে তুলুন তার কি কি অযোগ্যতা আছে তা নিয়ে। তার ধর্ম বর্ণ বংশ কে এখানে কোন ভাবেই মুখ্য করে দেখা কোন যুক্তিসম্পন্ন? বিবেকসম্পন্ন লোকের কাজ নয়।
মাত্র দেড় শতাংশের জনসংখ্যার মধ্য থেকে একটি দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন নিজ যোগ্যতা বলে। তাঁর নাম ইসমাইল মাহমুদ। সাউথ আফ্রিকায় ১৯৯৬ সালে ন্যালসন ম্যান্ডেলার শাসন আমলে ইসমাইল মাহমুদ কে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
মুসলীম বিশ্ব গর্ব করে ইসমাইল মাহমুদের এই সাফল্যের কথা শুনে।
সেই মুসলীমদের একটি অংশ আজ প্রশ্ন করছে একটি মুসলীম দেশের প্রধান বিচারপতি কিভাবে এক জন উপজাতীয় হয় ?
এই আবালদের থেকে কি সাউথ আফ্রিকার কালোরা অনেক বেশী উদার মনা নয় কি ? সাউথ আফ্রিকার কালো, সাদা খ্রিশ্চিয়ান, নাসারারা যদি একজন মুসলীম কে সেই দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে সহজেই মেনে নিতে পারে আর সেটা নিয়ে আমরা মুসলীমরা যখন গর্ব করতে পারি তবে সেই আমরাই কেন আমাদের দেশের একজন বিচারপতি যোগ্যতা থাকার পরও শুধু মাত্র তিনি উপজাতীয় আর অন্য ধর্মী বলে মেনে নিতে পারছি না ?
এবার আরেকটি টপিক নিয়ে প্রশ্ন তোলতে চাই হুট করে সংসদ ভবনে সরস্বতী পুজার আয়োজনের প্রয়োজন কি ছিল ? আমরা যদ্দুর বাইরে থেকে জেনেছি সরস্বতী কে সনাতন (হিন্দু) ধর্মীরা শিক্ষা বা জ্ঞানের বা বিদ্যার দেবী হিসেবে পুজা করে থাকে। সংসদ সদস্যদের জ্ঞানের বা বিদ্যার অভাব মনে হয় অনুধাবন করেই এবার এই পুজার আয়োজন করা হয়েছে ঃ/
যাই হোক আমি যেহেতু এই বিষয়ে অজ্ঞ তাই আমার ফ্রেন্ড লিষ্টের একজন সনাতন ধর্মী বন্ধু সুব্রত দাস পাপলু র দেয়া স্ট্যাটাস কোট করছি
"সংসদ ভবনে বা সাংসদদের সরস্বতী পুজার কোন যুতসুই কারন খুজে পাচ্ছি না।সরস্বতী পুজা বিদ্যার্থী অথবা শিল্পকলার সাথে জড়িতরা করে।বিদ্যাদেবীর আরাধনা সংসদ ভবনে হোক এটা চাই না।
ধর্ম পালন লোকদেখানো অথবা রাজনীতির প্রয়োজনে কোনটাই ঠিক না।"
.................
শেষকথা : ধর্ম বর্ণ সকলের এই দেশ। সবাই সমান যোগ্যতা রাখে সব পদে আসীন হতে।
©somewhere in net ltd.