নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসক্ত আমি দিবা স্বপ্নে!

শািহনুর৯৩

হাসতে ভালবাসি।

শািহনুর৯৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রতনের রাজি হতে একটি রতন-০১

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

রতন বারান্দায় বসে মুড়ি খাচ্ছে আর একমনে কি যেন ভাবছে। শীতের সকালে সোনালী রোদ এসে পড়েছে উঠোনে, বারান্দায় আর রতনের পিঠে। অসম্ভব মিষ্টি সে রোদে মুড়িতে গুড়ের অভাবটা টেরই পাচ্ছেনা রতন। হঠাত রতনের ভাবনার ঘোর কাটল তার দাদি নাজমা বেগমের চিৎকার চেচামেচিতে। রতনের মা শায়লা বেগমকে অনবরত বকে যাচ্ছেন তিনি। সামান্য কারনে শাশুড়ীর বাক্যগুলি শালীনতার সব সীমা অতিক্রম করলেও শায়লা বেগমের তা নীরবে সহ্য করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
না ব্যাপারটা নাজমা বেগমের কাছে মোটেও সামান্য নয়। তার লাল মোরগটা যখন বাচ্চা ছিল তখনই তিনি মানত করিছেলেন এই লাল বাচ্চাটা বড় হলে মসজিদের ইমাম সাহেবকে দান করবেন। মুরগির বাচ্চাটাত আজ আর বাচ্চা নেই, বেশ নাদুস নুদুস হয়েছে তাই এবার সময় হয়েছে মানত রক্ষা করার। আজ শুক্রবার মানত রক্ষার উপযুক্ত সময় তাই গতকাল রাতেই শায়লা বেগমের প্রতি আদেশ হয়েছিল লাল মোরগটা আটকে রাখার। কিন্তু শায়লা বেগম প্রতিদিনের অভ্যাসমত আজকেউ কাকডাকা ভোরে উঠে উঠোন ঝাড় দিয়েছেন, থালা-বাসন পরিষ্কার করেছেন তারপর মুরগির খুপিটার দরজা খুলে দিয়ে চলে গেছেন রান্নাঘরে। নাজমা বেগম কিছুতেই মানতে রাজি নন যে শায়লা ইচ্ছা করে মোরগটি ছেড়ে দেয়নি।
আজ আর নাজমা বেগম থামবার নন যতক্ষণ না তার লাল মোরগ ধরা পরে। তাই রতন আর রতনের মা লাল মোরগটি ধরার কাজে নেমে পরল। মোরগটা অন্য মুরগিগুলোর সাথে বাড়ির উত্তর দিকে উঠোনের কোণায় সদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছিল আর খড়কুটোতে ঠোকরাচ্ছিল। শায়লা বেগম উঠোনে কিছু চাল ছিটিয়ে আ..টি..টি..টি... আ..টি..টি..টি... বলে ডাকতে লাগলো আর মুরগিগুলো ছুটে এসে উঠোনে ছড়ানো চাল খেতে ব্যাস্ত। মোরগটাও থেমে নেই ভাবটা এমন যে, পারলে সে সব একাই খেয়ে নেয়।রতন একটি বাঁশের খাঁচা নিয়ে পা টিপে টিপে এগিয়ে চলল পিছনের দিক থেকে। আচমকা রতন খাঁচাটি মোরগের উপর ফেলল আর মোরগটি খাঁচায় বন্দি হল। পরের কাজটা হল মোরগটা মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে পৌঁছে দেয়া আর সে দায়িত্বটাও পরল রতনের কাঁধেই।
রতন লাল মোরগটা পা বাঁধা অবস্থায় ডানায় ধরে মসজিদের রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছে আর ভাবছে। কেন ইমাম সাহেবকে মোরগটা দিতে হবে? প্রশ্নটা রতনকে খুব ভাবাচ্ছে। এর আগেও সে অনেকবার লক্ষ্য করেছে তার গাঁয়ের অন্য লোকেরাও তাদের গাছের প্রথম ফলগুলো ইমাম সাহেবকে খাওয়ার জন্য পাঠায়, কেউ আবার গাছের প্রথম লাউটাও পাঠায়। ১৪ বছরের রতন এসবের কোন অর্থই খুঁজে পায়না। তার মাথায় একটা দুষ্ট বুদ্ধি খেলে গেল আর মসজিদের পাশ ঘেষে মাটির রাস্তা ধরে বাজারের দিকে হাটতে লাগল। অনেকদিন হল সে গুড়ের জিলাপী খায়নি আর সিনেমা দেখার লোভটাও কি সামলানো সহজ???রতনের রাজি হতে একটি রতন-০২

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.